ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w৯৮ ১১/১৫ পৃষ্ঠা ১০-১৫
  • ঈশ্বরের সঙ্গে গমনাগমন—প্রাথমিক পদক্ষেপগুলি

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • ঈশ্বরের সঙ্গে গমনাগমন—প্রাথমিক পদক্ষেপগুলি
  • ১৯৯৮ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • যথার্থ জ্ঞান অপরিহার্য
  • দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ—উৎসর্গীকরণ ও বাপ্তিস্ম
  • যীশুর পদচিহ্নে গমনাগমন করা
  • সমর্থনের জন্য ঈশ্বরের উপর নির্ভর করুন
  • আপনি কি ঈশ্বরের সঙ্গে গমনাগমন করবেন?
    ২০০৫ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • চিরকাল ঈশ্বরের পরিচর্যা করাকে আপনার লক্ষ্য করুন
    জ্ঞান যা অনন্ত জীবনে পরিচালিত করে
  • ‘তোমরা গিয়া শিষ্য কর; তাহাদিগকে বাপ্তাইজ কর’
    ২০০৬ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • বাপ্তিস্ম এবং ঈশ্বরের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক
    বাইবেল প্রকৃতপক্ষে কী শিক্ষা দেয়?
আরও দেখুন
১৯৯৮ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w৯৮ ১১/১৫ পৃষ্ঠা ১০-১৫

ঈশ্বরের সঙ্গে গমনাগমন—প্রাথমিক পদক্ষেপগুলি

“ঈশ্বরের নিকটবর্ত্তী হও, তাহাতে তিনিও তোমাদের নিকটবর্ত্তী হইবেন।”—যাকোব ৪:৮.

১, ২. কেন আপনি বলবেন যে যিহোবার সেবা করা এক মহান সুযোগ?

বেশ কয়েক বছর ধরে এই ব্যক্তি কারাগারে ছিলেন। এরপর একসময় তাকে সেই দেশের শাসনকর্তার সামনে উপস্থিত হতে বলা হয়। পরিস্থিতি দ্রুত পাল্টে যায়। অপ্রত্যাশিতভাবে, এই বন্দি ব্যক্তি সেই সময়ে পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতাবান রাজার কর্মচারী হিসাবে নিযুক্ত হন। পূর্বের এই বন্দি ব্যক্তিকে এখন অত্যন্ত দায়িত্বপূর্ণ এবং অসাধারণ সম্মানজনক পদ দান করা হয়। এই ব্যক্তি ছিলেন যোষেফ—একসময় যার পায়ে বেড়ি ছিল—এখন তিনি রাজার সঙ্গে গমনাগমন করেন!—আদিপুস্তক ৪১:১৪, ৩৯-৪৩; গীতসংহিতা ১০৫:১৭, ১৮.

২ আজকে, মিশররাজ ফরৌণের চেয়েও অধিক মহান একজন ব্যক্তির পরিচর্যায় নিযুক্ত হওয়ার সুযোগ মানবজাতির রয়েছে। নিখিলবিশ্বের সর্বোচ্চ ব্যক্তি আমাদের সকলকে তাঁর সেবা করার জন্য আমন্ত্রণ জানান। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর যিহোবার সেবা করা এবং তাঁর সঙ্গে এক ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলা কী এক বিস্ময়কর সুযোগ! শাস্ত্রে, তাঁর রাজকীয় ক্ষমতা ও প্রতাপ আর সেইসঙ্গে প্রশান্তি, সৌন্দর্য ও চমৎকার বৈশিষ্ট্যগুলিকে তুলে ধরা হয়েছে। (যিহিষ্কেল ১:২৬-২৮; প্রকাশিত বাক্য ৪:১-৩) তাঁর সমস্ত আচরণ ভালবাসায় পূর্ণ। (১ যোহন ৪:৮) তিনি কখনও মিথ্যা বলেন না। (গণনাপুস্তক ২৩:১৯) আর যিহোবা তাঁর প্রতি নিষ্ঠাবান ব্যক্তিদের কখনও নিরাশ করেন না। (গীতসংহিতা ১৮:২৫) তাঁর ধার্মিক চাহিদাগুলি পূর্ণ করার মাধ্যমে আমরা ভবিষ্যতের অনন্ত জীবনের প্রতি দৃষ্টি রেখে, বর্তমানে সুখী ও অর্থপূর্ণ জীবন উপভোগ করতে পারি। (যোহন ১৭:৩) কোন মানব শাসকই এমন কিছু দিতে পারেন না যেগুলিকে এইধরনের আশীর্বাদ ও সুযোগগুলির সঙ্গে তুলনা করা যায়।

৩. কিভাবে নোহ “ঈশ্বরের সহিত গমনাগমন করিতেন”?

৩ অতীতে, কুলপতি নোহ ঈশ্বরের ইচ্ছা ও উদ্দেশ্যের সঙ্গে মিল রেখে জীবনযাপন করার জন্য দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ ছিলেন। তার সম্বন্ধে বাইবেল বলে: “নোহ তাৎকালিক লোকদের মধ্যে ধার্ম্মিক ও সিদ্ধ লোক ছিলেন, নোহ ঈশ্বরের সহিত গমনাগমন করিতেন।” (আদিপুস্তক ৬:৯) নোহ অবশ্যই আক্ষরিক অর্থে যিহোবার সঙ্গে গমনাগমন করেননি, কারণ এমনকি কোন মানুষই “ঈশ্বরকে . . . কখনও দেখে নাই।” (যোহন ১:১৮) বরং, নোহ ঈশ্বরের সঙ্গে গমনাগমন করেছিলেন এই অর্থে যে তিনি ঈশ্বরের আজ্ঞানুযায়ী কাজ করেছিলেন। যেহেতু নোহ যিহোবার ইচ্ছা পালন করার জন্য তার জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, তাই সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের সঙ্গে তার এক উষ্ণ, অন্তরঙ্গ সম্পর্ক ছিল। নোহের মতো, আজকে লক্ষ লক্ষ ব্যক্তি যিহোবার পরামর্শ ও নির্দেশনার সঙ্গে মিল রেখে জীবনযাপন করার মাধ্যমে “ঈশ্বরের সহিত গমনাগমন” করছেন। কিভাবে একজন ব্যক্তি এইধরনের গমনাগমন শুরু করেন?

যথার্থ জ্ঞান অপরিহার্য

৪. কিভাবে যিহোবা তাঁর লোকেদের শিক্ষা দেন?

৪ যিহোবার সঙ্গে গমনাগমন করার জন্য, প্রথমে আমাদের তাঁকে জানতে হবে। ভাববাদী যিশাইয় ভাববাণী করেছিলেন: “শেষকালে এইরূপ ঘটিবে; সদাপ্রভুর গৃহের পর্ব্বত পর্ব্বতগণের মস্তকরূপে স্থাপিত হইবে, উপপর্ব্বতগণ হইতে উচ্চীকৃত হইবে; এবং সমস্ত জাতি তাহার দিকে স্রোতের ন্যায় প্রবাহিত হইবে। আর অনেক দেশের লোক যাইবে, বলিবে, চল, আমরা সদাপ্রভুর পর্ব্বতে, যাকোবের ঈশ্বরের গৃহে গিয়া উঠি; তিনি আমাদিগকে আপন পথের বিষয়ে শিক্ষা দিবেন, আর আমরা তাঁহার মার্গে গমন করিব; কারণ সিয়োন হইতে ব্যবস্থা ও যিরূশালেম হইতে সদাপ্রভুর বাক্য নির্গত হইবে।” (যিশাইয় ২:২, ৩) হ্যাঁ, আমরা সম্পূর্ণ আস্থা রাখতে পারি যে যিহোবা সেই সমস্ত ব্যক্তিদের শিক্ষা দেবেন যারা তাঁর পথে চলতে চায়। যিহোবা তাঁর বাক্য, বাইবেল দিয়েছেন এবং তিনি আমাদের তা বুঝতেও সাহায্য করেন। “বিশ্বস্ত ও বুদ্ধিমান্‌ দাস” হলেন একটি উপায় যার মাধ্যমে তিনি তা করে থাকেন। (মথি ২৪:৪৫-৪৭) বাইবেলভিত্তিক প্রকাশনাদি, খ্রীষ্টীয় সভা এবং বিনামূল্যে গৃহ বাইবেল অধ্যয়নের ব্যবস্থা দ্বারা আধ্যাত্মিক শিক্ষা দেওয়ার জন্য যিহোবা ‘বিশ্বস্ত দাসকে’ ব্যবহার করেন। এছাড়াও ঈশ্বর তাঁর বাক্য বোঝার জন্য পবিত্র আত্মার মাধ্যমে তাঁর লোকেদের সাহায্য করে থাকেন।—১ করিন্থীয় ২:১০-১৬.

৫. কেন শাস্ত্রীয় সত্য অত্যন্ত মূল্যবান?

৫ আমরা যদিও বাইবেলের সত্যের জন্য টাকাপয়সা দিই না, তবুও তা মহামূল্যবান। ঈশ্বরের বাক্য অধ্যয়ন করে আমরা স্বয়ং ঈশ্বর অর্থাৎ তাঁর নাম, ব্যক্তিত্ব, উদ্দেশ্য ও মানুষের সঙ্গে তাঁর আচরণ সম্বন্ধে শিখি। এছাড়াও আমরা জীবনের মৌলিক প্রশ্নগুলির সন্তোষজনক উত্তর পেয়ে থাকি: আমরা কেন এখানে আছি? কেন ঈশ্বর দুঃখকষ্ট ভোগ করতে অনুমতি দেন? ভবিষ্যতে কী রয়েছে? কেন আমরা বৃদ্ধ হই ও মারা যাই? মৃত্যুর পরে কি কোন জীবন আছে? এছাড়াও, আমাদের জন্য ঈশ্বরের ইচ্ছা কী অর্থাৎ তাঁকে সম্পূর্ণরূপে সন্তুষ্ট করার জন্য আমাদের কিভাবে চলা উচিত তা আমরা জানতে পারি। আমরা জানতে পারি যে তাঁর চাহিদাগুলি যুক্তিসংগত আর আমরা যখন সেগুলি মেনে চলি তখন তা অত্যন্ত উপকারজনক হয়। ঈশ্বরের নির্দেশনা ছাড়া, আমরা কখনও এই বিষয়গুলি বুঝতে পারতাম না।

৬. বাইবেলের যথার্থ জ্ঞান কোন্‌ পথ অনুধাবন করতে আমাদেরকে সমর্থ করে?

৬ বাইবেলের সত্য ক্ষমতাসম্পন্ন আর তা আমাদের জীবনধারাকে পরিবর্তন করতে অনুপ্রাণিত করে। (ইব্রীয় ৪:১২) শাস্ত্র সম্বন্ধে জ্ঞান নেওয়ার আগে, আমরা “এই জগতের যুগ অনুসারে” চলতাম। (ইফিষীয় ২:২) কিন্তু ঈশ্বরের বাক্যের যথার্থ জ্ঞান আমাদের এক ভিন্ন জীবনধারা নির্দিষ্ট করে দেয় যাতে আমরা “প্রভুর যোগ্যরূপে সর্ব্বতোভাবে প্রীতিজনক আচরণ” করতে পারি। (কলসীয় ১:১০) বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সর্বমহান ব্যক্তি, যিহোবার সঙ্গে গমনাগমন করার জন্য আমাদের প্রাথমিক পদক্ষেপগুলি গ্রহণ কী এক আনন্দের বিষয়!—লূক ১১:২৮.

দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ—উৎসর্গীকরণ ও বাপ্তিস্ম

৭. ঈশ্বরের বাক্য অধ্যয়ন করলে, আমাদের কাছে মানব নেতৃত্ব সম্বন্ধে কোন্‌ সত্যটি প্রকাশ পায়?

৭ বাইবেল সম্বন্ধে যখন আমাদের জ্ঞান বৃদ্ধি পায়, তখন আমরা ঈশ্বরের বাক্যের আধ্যাত্মিক আলোয় মানুষের বিভিন্ন বিষয় এবং আমাদের নিজ জীবন পরীক্ষা করতে শুরু করি। এর দ্বারা একটি গুরুত্বপূর্ণ সত্য প্রকাশ পায়। আর এই সত্যটি বহু পূর্বে ভাববাদী যিরমিয় প্রকাশ করেছিলেন, যিনি লিখেছিলেন: “হে সদাপ্রভু আমি জানি, মনুষ্যের পথ তাহার বশে নয়, মনুষ্য চলিতে চলিতে আপন পাদবিক্ষেপ স্থির করিতে পারে না।” (যিরমিয় ১০:২৩) মানুষের অর্থাৎ আমাদের সকলের, ঈশ্বরের পরিচালনা প্রয়োজন।

৮. (ক) ঈশ্বরের কাছে নিজেদের উৎসর্গ করার জন্য কী লোকেদের অনুপ্রাণিত করে? (খ) খ্রীষ্টীয় উৎসর্গীকরণ কী?

৮ আমরা যখন এই গুরুত্বপূর্ণ সত্যটি উপলব্ধি করি, তখন তা আমাদেরকে যিহোবার নির্দেশনা খোঁজার জন্য প্রেরণা দেয়। আর ঈশ্বরের জন্য ভালবাসা তাঁর কাছে আমাদের জীবনকে উৎসর্গ করতে অনুপ্রাণিত করে। ঈশ্বরের কাছে উৎসর্গ করার অর্থ প্রার্থনার মাধ্যমে তাঁর নিকটবর্তী হওয়া এবং তাঁকে সেবা ও তাঁর পথে বিশ্বস্তভাবে চলার জন্য আমাদের জীবনকে ব্যবহার করার গুরুগম্ভীর প্রতিজ্ঞা করা। তা করার মাধ্যমে আমরা যীশুর উদাহরণ অনুসরণ করি, যিনি ঐশিক ইচ্ছা পালন করার দৃঢ় সংকল্প নিয়ে ঈশ্বরের কাছে নিজেকে সমর্পণ করেছিলেন।—ইব্রীয় ১০:৭.

৯. কেন কিছু ব্যক্তি তাদের জীবন যিহোবার কাছে উৎসর্গ করেন?

৯ যিহোবা ঈশ্বর তাঁর কাছে উৎসর্গীকরণ করার জন্য কাউকে কখনও চাপ দেন না কিংবা বাধ্য করেন না। (২ করিন্থীয় ৯:৭ পদের সঙ্গে তুলনা করুন।) এছাড়াও ঈশ্বর চান না, কেউ ক্ষণিক আবেগের বশে তাঁর কাছে নিজের জীবন উৎসর্গ করুক। বাপ্তিস্ম নেওয়ার আগে, একজন ব্যক্তিকে শিষ্য হতে হবে আর তার জন্য প্রয়োজন জ্ঞান অর্জন করার একান্ত প্রচেষ্টা। (মথি ২৮:১৯, ২০) আর ইতিমধ্যেই যারা বাপ্তিস্ম নিয়েছিলেন পৌল তাদেরকে অনুরোধ করেছিলেন যে তারা যেন “নিজ নিজ দেহকে জীবিত, পবিত্র, ঈশ্বরের গ্রহণযোগ্য, বলিরূপে উৎসর্গ করেন; অর্থাৎ যুক্তি করার ক্ষমতা সহ এক শুচি আরাধনা” তারা করেন। (রোমীয় ১২:১, NW) আর আমরা এই একই যুক্তি করার ক্ষমতা ব্যবহার করে নিজেদের যিহোবা ঈশ্বরের কাছে উৎসর্গ করি। উৎসর্গীকরণের সঙ্গে জড়িত বিষয়গুলি জানার পর সেগুলি সতর্কতার সঙ্গে পরীক্ষা করে আমরা স্বেচ্ছায় এবং আনন্দের সঙ্গে ঈশ্বরের কাছে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করি।—গীতসংহিতা ১১০:৩.

১০. কিভাবে উৎসর্গীকরণ বাপ্তিস্মের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত?

১০ ঈশ্বরের পথে চলার জন্য আমাদের দৃঢ়সংকল্পকে একান্ত প্রার্থনায় তাঁকে জানানোর পর, আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করি। আমরা জলে বাপ্তিস্ম নেওয়ার দ্বারা আমাদের উৎসর্গীকরণকে জনসাধারণ্যে প্রকাশ করে থাকি। এর মাধ্যমেই আমরা জনসাধারণ্যে ঘোষণা করে থাকি যে আমরা ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছি। যীশু তাঁর পার্থিব পরিচর্যার শুরুতে যোহনের কাছে বাপ্তিস্ম নিয়ে আমাদের জন্য একটি উদাহরণ স্থাপন করেছিলেন। (মথি ৩:১৩-১৭) পরে, যীশু শিষ্যকরণ এবং বাপ্তিস্ম দেওয়ার জন্য তাঁর অনুগামীদেরকে নিযুক্ত করেছিলেন। অতএব, যারা যিহোবার সঙ্গে গমনাগমন করতে চান, তাদের জন্য উৎসর্গীকরণ ও বাপ্তিস্ম অপরিহার্য।

১১, ১২. (ক) কিভাবে বাপ্তিস্মকে বিয়ের সঙ্গে তুলনা করা যায়? (খ) যিহোবার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক এবং স্বামী ও স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে কোন্‌ সাদৃশ্য দেখানো যেতে পারে?

১১ যীশু খ্রীষ্টের একজন উৎসর্গীকৃত ও বাপ্তিস্মিত শিষ্য হওয়া কিছুটা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার মতো। অনেক দেশে, বিয়ের আগে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়ে থাকে। পাত্রপাত্রীর মধ্যে দেখাসাক্ষাৎ হয়, তারা পরস্পরকে জানে এবং একে অপরের প্রেমে পড়ে। এরপর তাদের মধ্যে বাগদান হয়। বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে স্বামী স্ত্রী হিসাবে একত্রে বসবাস করার যে বিষয়গুলি একান্তে স্থির করা হয়েছে, বিয়ে তা সকলের কাছে প্রকাশ করে। আর বিয়েই সেই বিশেষ সম্পর্কের শুরুকে জনসাধারণ্যে জানিয়ে দেয়। ওই দিনটি পরিণয়ের শুরুকে চিহ্নিত করে। একইভাবে, বাপ্তিস্ম যিহোবার সঙ্গে এক উৎসর্গীকৃত সম্পর্ক নিয়ে গমনাগমন করার জন্য নিয়োজিত জীবনের শুরুকে চিহ্নিত করে।

১২ আরেকটি সাদৃশ্যের কথা চিন্তা করুন। বিয়ের পর স্বামী ও স্ত্রীর পরস্পরের প্রতি ভালবাসা গভীর ও সম্পূর্ণরূপে বিকশিত হওয়া উচিত। পরস্পরের আরও ঘনিষ্ঠ হওয়ার জন্য, উভয় সাথীকেই তাদের বৈবাহিক সম্পর্ককে বজায় রাখতে এবং শক্তিশালী করতে নিঃস্বার্থভাবে চেষ্টা করতে হবে। যদিও আমরা ঈশ্বরের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই না, তবুও বাপ্তিস্মের পরে যিহোবার সঙ্গে এক ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য আমাদের চেষ্টা করতে হবে। তাঁর ইচ্ছা পালন করার জন্য আমরা যে প্রাণপণ চেষ্টা করি তা তিনি লক্ষ্য করেন ও উপলব্ধি করেন এবং আমাদের নিকটবর্তী হন। শিষ্য যাকোব লিখেছিলেন, “ঈশ্বরের নিকটবর্ত্তী হও, তাহাতে তিনিও তোমাদের নিকটবর্ত্তী হইবেন।”—যাকোব ৪:৮.

যীশুর পদচিহ্নে গমনাগমন করা

১৩. ঈশ্বরের সঙ্গে গমনাগমন করার ক্ষেত্রে কার উদাহরণ আমাদের অনুসরণ করা উচিত?

১৩ যিহোবার সঙ্গে গমনাগমন করার জন্য, আমাদের যীশু খ্রীষ্টের উদাহরণ অনুকরণ করতে হবে। প্রেরিত পিতর লিখেছিলেন: “তোমরা ইহারই নিমিত্ত আহূত হইয়াছ; কেননা খ্রীষ্টও তোমাদের নিমিত্ত দুঃখ ভোগ করিলেন, এ বিষয়ে তোমাদের জন্য এক আদর্শ রাখিয়া গিয়াছেন, যেন তোমরা তাঁহার পদচিহ্নের অনুগমন কর।” (১ পিতর ২:২১) যেহেতু যীশু সিদ্ধ ছিলেন আর আমরা অসিদ্ধ, তাই আমরা নিখুঁতভাবে তাঁর উদাহরণ অনুসরণ করতে পারি না। তাসত্ত্বেও, যিহোবা আশা করেন যেন আমরা আমাদের যথাসম্ভব করি। আসুন আমরা যীশুর জীবন ও পরিচর্যার পাঁচটি বৈশিষ্ট্য আলোচনা করি, যা উৎসর্গীকৃত খ্রীষ্টানদের অনুকরণ করতে চেষ্টা করা উচিত।

১৪. ঈশ্বরের বাক্য জানার সঙ্গে কী জড়িত?

১৪ ঈশ্বরের বাক্য সম্বন্ধে যীশুর যথার্থ এবং সম্পূর্ণ জ্ঞান ছিল। যীশু তাঁর পরিচর্যায় প্রায়ই ইব্রীয় শাস্ত্র থেকে উদ্ধৃতি করতেন। (লূক ৪:৪, ৮) অবশ্য, তখনকার দুষ্ট ধর্মীয় নেতারাও শাস্ত্র থেকে উদ্ধৃতি করতেন। (মথি ২২:২৩, ২৪) কিন্তু তাদের মধ্যে পার্থক্যটি ছিল এই যে যীশু শাস্ত্রের অর্থ বুঝতেন এবং তাঁর জীবনে সেগুলি প্রয়োগ করতেন। তিনি কেবল ব্যবস্থার আক্ষরিক অর্থই নয় কিন্তু এর উদ্দেশ্যও জানতেন। খ্রীষ্টের উদাহরণ অনুসরণ করার সময় আমাদেরও ঈশ্বরের বাক্য বোঝার, এর তাৎপর্য কিংবা উদ্দেশ্য উপলব্ধি করার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করা উচিত। তা করার মাধ্যমে আমরা হয়তো ঐশিকভাবে অনুমোদিত কর্মী হতে পারি যারা “সত্যের বাক্য যথার্থরূপে ব্যবহার করিতে জানে।”—২ তীমথিয় ২:১৫.

১৫. ঈশ্বর সম্বন্ধে বলার ক্ষেত্রে কিভাবে যীশু উদাহরণ স্থাপন করেছিলেন?

১৫ খ্রীষ্ট যীশু তাঁর স্বর্গীয় পিতার সম্বন্ধে অন্যদের কাছে বলেছিলেন। যীশু ঈশ্বরের বাক্যের জ্ঞানকে কেবল নিজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখেননি। এমনকি তাঁর শত্রুরাও তাঁকে “গুরু” বলে সম্বোধন করেছিলেন কারণ তিনি যেখানে যেতেন সর্বত্রই অন্যদের সঙ্গে যিহোবা ও তাঁর উদ্দেশ্যগুলি সম্বন্ধে বলতেন। (মথি ১২:৩৮) যীশু মন্দির এলাকায়, সমাজগৃহে, শহরে এবং গ্রামাঞ্চলে প্রকাশ্যে প্রচার করেছিলেন। (মার্ক ১:৩৯; লূক ৮:১; যোহন ১৮:২০) তিনি করুণার সঙ্গে ও সদয়ভাবে শিক্ষা দিতেন এবং যাদের তিনি সাহায্য করতেন তাদের প্রতি ভালবাসাও দেখাতেন। (মথি ৪:২৩) যারা যীশুর উদাহরণ অনুসরণ করেন তারাও অন্যদেরকে যিহোবা ঈশ্বর ও তাঁর চমৎকার উদ্দেশ্যগুলি সম্বন্ধে শিক্ষা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন স্থান এবং পদ্ধতি খুঁজে নেন।

১৬. যিহোবার উপাসকদের সঙ্গে যীশুর সম্পর্ক কতটা ঘনিষ্ঠ ছিল?

১৬ যিহোবার উপাসকদের সঙ্গে যীশু এক ঘনিষ্ঠ বন্ধন অনুভব করতেন। একবার যীশু যখন জনতার সঙ্গে কথা বলছিলেন, তখন তাঁর মা ও অবিশ্বাসী ভাইরা তাঁর সঙ্গে কথা বলার জন্য এসেছিলেন। বাইবেলের বিবরণ বলে: “এক ব্যক্তি তাঁহাকে কহিল, দেখুন, আপনার মাতা ও ভ্রাতারা আপনার সহিত কথা কহিবার চেষ্টায় বাহিরে দাঁড়াইয়া আছেন। কিন্তু যে এই কথা বলিল, তাহাকে তিনি উত্তর করিলেন, আমার মাতা কে? আমার ভ্রাতারাই বা কাহারা? পরে তিনি আপন শিষ্যগণের দিকে হাত বাড়াইয়া কহিলেন, এই দেখ, আমার মাতা ও আমার ভ্রাতারা; কেননা যে কেহ আমার স্বর্গস্থ পিতার ইচ্ছা পালন করে, সেই আমার ভ্রাতা ও ভগিনী ও মাতা।” (মথি ১২:৪৭-৫০) এর অর্থ এই নয় যে যীশু তাঁর পরিবারকে অবহেলা করেছিলেন কারণ পরবর্তী ঘটনাবলি প্রমাণ করে, তিনি তা করেননি। (যোহন ১৯:২৫-২৭) বরং, এই বিবরণটি সহবিশ্বাসীদের প্রতি যীশুর ভালবাসার উপর গুরুত্ব আরোপ করে। একইভাবে আজকে, যারা ঈশ্বরের সঙ্গে গমনাগমন করেন তারা যিহোবার অন্য দাসেদের সাহচার্য লাভের চেষ্টা করে থাকেন এবং তাদের প্রতি আন্তরিক ভালবাসা গড়ে তোলেন।—১ পিতর ৪:৮.

১৭. স্বর্গীয় পিতার ইচ্ছা পালন সম্বন্ধে যীশুর অনুভূতি কেমন ছিল এবং আমাদের উপর সেটির কিরূপ প্রভাব থাকা উচিত?

১৭ যীশু ঐশিক ইচ্ছা পালন করার দ্বারা তাঁর স্বর্গীয় পিতার প্রতি ভালবাসা দেখিয়েছিলেন। যীশু যিহোবার সমস্ত আজ্ঞা পালন করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন: “আমার খাদ্য এই, যিনি আমাকে পাঠাইয়াছেন, যেন তাঁহার ইচ্ছা পালন করি ও তাঁহার কার্য্য সাধন করি।” (যোহন ৪:৩৪) খ্রীষ্ট এও বলেছিলেন: “আমি সর্ব্বদা [ঈশ্বরের] সন্তোষজনক কার্য্য করি।” (যোহন ৮:২৯) যীশু তাঁর স্বর্গীয় পিতাকে এতটাই ভালবাসতেন যে তিনি “আপনাকে অবনত করিলেন; মৃত্যু পর্য্যন্ত, এমন কি, ক্রুশীয় মৃত্যু পর্য্যন্ত আজ্ঞাবহ হইলেন।” (ফিলিপীয় ২:৮) ফলে, যিহোবা যীশুকে আশীর্বাদ করেছিলেন, তাঁকে উচ্চ পদে অধিষ্ঠিত করেছিলেন এবং তাঁর পরের স্থানটি দান করে তাঁকে সম্মানিত করেছিলেন। (ফিলিপীয় ২:৯-১১) যীশুর মতো, আমরাও ঈশ্বরের আজ্ঞাবহ হয়ে এবং ইচ্ছা পালন করে তাঁর প্রতি আমাদের ভালবাসা দেখিয়েথাকি।—১ যোহন ৫:৩.

১৮. প্রার্থনার বিষয়ে যীশু কিভাবে উদাহরণ স্থাপন করেছিলেন?

১৮ যীশু সর্বদা প্রার্থনা করতেন। তিনি তাঁর বাপ্তিস্মের সময়ে প্রার্থনা করেছিলেন। (লূক ৩:২১) ১২ জন প্রেরিতকে মনোনীত করার আগে, তিনি সারারাত প্রার্থনা করে কাটিয়েছিলেন। (লূক ৬:১২, ১৩) যীশু তাঁর শিষ্যদেরকে প্রার্থনা করার পদ্ধতি সম্বন্ধে শিক্ষা দিয়েছিলেন। (লূক ১১:১-৪) মৃত্যুর আগের রাতে, তিনি তাঁর শিষ্যদের সঙ্গে তাদেরই জন্য প্রার্থনা করেছিলেন। (যোহন ১৭:১-২৬) প্রার্থনা যীশুর জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল আর যেহেতু আমরা তাঁর অনুগামী তাই আমাদের জীবনেও তা হওয়া উচিত। নিখিলবিশ্বের সার্বভৌম কর্তার সঙ্গে প্রার্থনায় কথা বলা কতই না সম্মানের বিষয়! এছাড়াও, যিহোবা প্রার্থনার উত্তর দেন কারণ যোহন লিখেছিলেন: “তাঁহার উদ্দেশে আমরা এই সাহস প্রাপ্ত হইয়াছি যে, যদি তাঁহার ইচ্ছানুসারে কিছু যাচ্ঞা করি, তবে তিনি আমাদের যাচ্ঞা শুনেন। আর যদি জানি যে, আমরা যাহা যাচ্ঞা করি, তিনি তাহা শুনেন, তবে ইহাও জানি যে, আমরা তাঁহার কাছে যাহা যাচ্ঞা করিয়াছি, সেই সকল পাইয়াছি।”—১ যোহন ৫:১৪, ১৫.

১৯. (ক) যীশুর কোন্‌ গুণাবলি আমাদের অনুকরণ করা উচিত? (খ) যীশুর জীবন এবং পরিচর্যা সম্বন্ধে অধ্যয়ন করা থেকে আমরা কোন্‌ কোন্‌ উপায়ে উপকৃত হতে পারি?

১৯ যীশু খ্রীষ্টের পার্থিব জীবন এবং পরিচর্যা গভীরভাবে পরীক্ষা করা থেকে অনেক কিছু জানার আছে! তাঁর প্রদর্শিত গুণাবলি সম্বন্ধে চিন্তা করুন: প্রেম, করুণা, দয়া, শক্তি, ভারসাম্য, যৌক্তিকতা, নম্রতা, সাহস এবং নিঃস্বার্থপরতা। আমরা যীশুর সম্বন্ধে যতই জানব, তাঁর বিশ্বস্ত অনুগামী হওয়ার জন্য আমাদের আকাঙ্ক্ষা ততই বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও যীশুর সম্বন্ধে জ্ঞান আমাদেরকে যিহোবার সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ করে তোলে। সর্বোপরি, যীশু ছিলেন তাঁর স্বর্গীয় পিতার এক নিখুঁত প্রতিমূর্তি। তিনি যিহোবার সঙ্গে এতই ঘনিষ্ঠ ছিলেন যে তিনি বলতে পেরেছিলেন: “যে আমাকে দেখিয়াছে, সে পিতাকে দেখিয়াছে।”—যোহন ১৪:৯.

সমর্থনের জন্য ঈশ্বরের উপর নির্ভর করুন

২০. যিহোবার সঙ্গে গমনাগমন করার ক্ষেত্রে আমরা কিভাবে আস্থা অর্জন করতে পারি?

২০ শিশুরা যখন নতুন নতুন হাঁটতে শেখে, তখন তাদের পদক্ষেপগুলি নড়বড়ে হয়। কিভাবে তারা দৃঢ় পদক্ষেপে হাঁটতে শেখে? একমাত্র অনুশীলন এবং অধ্যবসায়ের মাধ্যমে শিখে থাকে। একইভাবে, যারা যিহোবার সঙ্গে গমনাগমন করছেন তারা দৃঢ় ও স্থির পদক্ষেপে চলার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করেন। এর জন্যও সময় ও অধ্যবসায়ের প্রয়োজন। পৌল ঈশ্বরের সঙ্গে গমনাগমন করার ক্ষেত্রে অধ্যবসায়ের গুরুত্ব সম্বন্ধে ইঙ্গিত করেছিলেন যখন তিনি লিখেছিলেন: “হে ভ্রাতৃগণ, অবশেষে আমরা প্রভু যীশুতে তোমাদিগকে বিনয় করিতেছি, চেতনা দিয়া বলিতেছি, কিরূপে চলিয়া ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করিতে হয়, এ বিষয়ে আমাদের কাছে যে শিক্ষা গ্রহণ করিয়াছ, আর যেরূপ চলিতেছ, তদনুসারে অধিক উপচিয়া পড়।”—১ থিষলনীকীয় ৪:১.

২১. ঈশ্বরের সঙ্গে গমনাগমন করার সময় আমরা কোন্‌ আশীর্বাদগুলি উপভোগ করতে পারি?

২১ আমরা যদি ঈশ্বরের প্রতি সম্পূর্ণরূপে উৎসর্গীকৃত হয়ে থাকি, তাহলে তিনি আমাদেরকে তাঁর সঙ্গে গমনাগমন করে চলতে সাহায্য করবেন। (যিশাইয় ৪০:২৯-৩১) যারা তাঁর পথে চলছেন তাদের প্রতি তিনি যে আশীর্বাদ করেন তার সঙ্গে এই জগতের কোন কিছুকেই তুলনা করা যেতে পারে না। তিনি ‘আমাদের উপকারজনক শিক্ষা দান করেন, ও আমাদের গন্তব্য পথে আমাদেরকে গমন করান। আমরা যদি তাঁহার আজ্ঞাতে অবধান করি, আমাদের শান্তি নদীর ন্যায়, আমাদের ধার্ম্মিকতা সমুদ্র-তরঙ্গের ন্যায় হইবে।’ (যিশাইয় ৪৮:১৭, ১৮) ঈশ্বরের সঙ্গে গমনাগমন করার আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে এবং তা বিশ্বস্তভাবে করে, আমরা তাঁর সঙ্গে অনন্তকাল শান্তি উপভোগ করতে পারি।

আপনি কিভাবে উত্তর দেবেন?

◻ কেন সত্য ঈশ্বরের সঙ্গে গমনাগমন করা সম্মানজনক?

◻ যিহোবার সঙ্গে গমনাগমন করার জন্য কেন অধ্যয়ন, উৎসর্গীকরণ এবং বাপ্তিস্ম হল প্রাথমিক পদক্ষেপ?

◻ কিভাবে আমরা যীশুর পদচিহ্ন অনুসরণ করতে পারি?

◻ কিভাবে আমরা জানি যে যিহোবা তাঁর সঙ্গে গমনাগমন করার সময় আমাদের সমর্থন করবেন?

[১৩ পৃষ্ঠার চিত্র]

ঈশ্বরের সঙ্গে গমনাগমন করার প্রাথমিক পদক্ষেপগুলি হল অধ্যয়ন, উৎসর্গীকরণ এবং বাপ্তিস্ম

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার