ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w৯৯ ১/১৫ পৃষ্ঠা ৫-৯
  • জীবনের জন্য ঈশ্বরের পথে চলতে দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • জীবনের জন্য ঈশ্বরের পথে চলতে দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ
  • ১৯৯৯ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • যীশু খ্রীষ্ট—পথ, সত্য ও জীবন
  • ভাল করে দেখুন কিভাবে চলছেন
  • “এই পথ, তোমরা এই পথেই চল”
  • “উদ্যোগী রাজ্য ঘোষণাকারীরা” আনন্দের সঙ্গে সমবেত হয়
    ২০০৩ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • ঈশ্বরের বাক্যের শিক্ষকদেরকে তাদের দায়িত্ব পালন করার জন্য উৎসাহ দেওয়া হয়েছিল
    ২০০২ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • ঈশ্বরের বাক্যের কার্যকারীরা আনন্দ খুঁজে পান
    ২০০১ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • “জীবনের জন্য ঈশ্বরের পথ” ১৯৯৮-১৯৯৯ সালের জেলা সম্মেলন খুবই নিকটে!
    ১৯৯৮ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
আরও দেখুন
১৯৯৯ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w৯৯ ১/১৫ পৃষ্ঠা ৫-৯

জীবনের জন্য ঈশ্বরের পথে চলতে দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ

যারা ঈশ্বরের সেবা করতে চান তাদেরকে “জীবনের জন্য ঈশ্বরের পথ” সম্মেলনের অনেক কিছু দেওয়ার ছিল! একজন অভ্যাগত এই সম্মেলনকে “শিক্ষা, উৎসাহ ও জ্ঞান লাভের এক অপূর্ব সময়” হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন।

আরেকজন অভ্যাগত বলেছিলেন, “সেখানে উপভোগ করা, চিন্তা করা ও নেওয়ার মতো অনেক কিছু ছিল।” আসুন আমরা এখন এই কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করি।

যীশু খ্রীষ্ট—পথ, সত্য ও জীবন

এটা সম্মেলনের প্রথম দিনের বিষয়বস্তু ছিল। (যোহন ১৪:৬) প্রথম বক্তৃতা সম্মেলনে আমাদের মিলিত হওয়ার উদ্দেশ্য সম্বন্ধে বর্ণনা করেছিল: যেখানে জীবনের সর্বোত্তম পথ অর্থাৎ জীবনের জন্য ঈশ্বরের পথ সম্বন্ধে আরও শেখানো হবে। যিহোবা তাঁর লোকেদের শিক্ষা দেন, কিভাবে তাঁর পথে চলা যায়। তিনি তা বাইবেল, “বিশ্বস্ত ও বুদ্ধিমান্‌ দাস” ও পবিত্র আত্মার মাধ্যমে করেন। (মথি ২৪:৪৫-৪৭; লূক ৪:১; ২ তীমথিয় ৩:১৬) নিখিলবিশ্বের সার্বভৌম কর্তার কাছ থেকে শিক্ষা পাওয়া কত বড় এক সুযোগ!

দিনের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল রেখে মুখ্য বক্তৃতা ছিল “খ্রীষ্টের মুক্তির মূল্য—পরিত্রাণের জন্য ঈশ্বরের পথ।” জীবনের জন্য ঈশ্বরের পথে চলাকে উপযোগী করে তোলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল যিহোবার উদ্দেশ্যের মধ্যে যীশু খ্রীষ্টের ভূমিকাকে স্বীকার করা। বক্তা বলেছিলেন: “বিশ্বাস এবং কাজ যেমনই হোক না কেন, যীশু খ্রীষ্টের মুক্তির মূল্যরূপ বলিদান ছাড়া কোন মানুষই ঈশ্বরের কাছ থেকে অনন্ত জীবন পেতে পারে না।” তারপর তিনি যোহন ৩:১৬ পদ উদ্ধৃত করেছিলেন, যেখানে বলা হয়েছে: “ঈশ্বর জগৎকে এমন প্রেম করিলেন যে, আপনার একজাত পুত্ত্রকে দান করিলেন, যেন, যে কেহ তাঁহাতে বিশ্বাস করে, সে বিনষ্ট না হয়, কিন্তু অনন্ত জীবন পায়।” খ্রীষ্টের মুক্তির মূল্যরূপ বলিদানে বিশ্বাস অনুশীলন করার জন্য আমাদের সত্য সম্বন্ধে যথার্থ জ্ঞান নেওয়া প্রয়োজন। এছাড়াও তা যিহোবার কাছে আমাদের জীবন উৎসর্গ করা ও জলে বাপ্তিস্ম নেওয়া এবং যীশু খ্রীষ্টের আদর্শের সঙ্গে মিল রেখে জীবনযাপন করাকে বোঝায়।—১পিতর ২:২১.

“প্রেমের পথ কখনও শেষ হয় না” নামক বক্তৃতার মাধ্যমে বিকেলের অধিবেশন শুরু হয়েছিল। এতে ১ করিন্থীয় ১৩:৪-৮ পদে দেওয়া প্রেম সম্বন্ধে পৌলের হৃদয় স্পর্শকারী বর্ণনা পদ ধরে ধরে আলোচনা করা হয়েছিল। শ্রোতাদের মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে আত্ম-ত্যাগমূলক প্রেমই খ্রীষ্টধর্মের এক শনাক্তিকরণ বৈশিষ্ট্য আর যিহোবার অনুমোদিত উপাসনার অপরিহার্য বৈশিষ্ট্য হল ঈশ্বর ও প্রতিবেশীর প্রতি প্রেম।

এরপরে “পিতামাতারা—সন্তানদের ঈশ্বরের পথ সম্বন্ধে যত্নপূর্বক শিক্ষা দিন” নামক সিম্পোজিয়ামটা তিনভাগে দেওয়া হয়েছিল। ঈশ্বরের সেবা করার জন্য তাঁর বাক্য পাঠ ও অধ্যয়ন করার ক্ষেত্রে এক উত্তম উদাহরণ স্থাপন করে পিতামাতারা তাদের সন্তানদের সাহায্য করতে পারেন। তারা নিয়মিতভাবে পারিবারিক অধ্যয়নের মাধ্যমে তাদের সন্তানদের সত্য সম্বন্ধে যত্নপূর্বক শিক্ষা দিতে পারেন আর তাই পরিবারের প্রয়োজনগুলো পূরণ করার জন্য এই পারিবারিক অধ্যয়নকে উপযোগী করে তুলতে হবে। এছাড়াও মণ্ডলীর বিভিন্ন কাজে এবং ক্ষেত্রের পরিচর্যায় অংশ নেওয়ার জন্য সন্তানদের সাহায্য করা গুরুত্বপূর্ণ। এই মন্দ জগতে সন্তানদের ঈশ্বর ভয়শীল করে মানুষ করা যদিও এক কঠিন সমস্যা, কিন্তু তা করলে মহা পুরস্কার আসে।

এই সিম্পোজিয়ামের পরে “আদরণীয় পাত্র করে আপনাকে গঠন করার জন্য যিহোবাকে সুযোগ দিন” বক্তৃতাটা হয়েছিল। ঠিক একজন কুম্ভকার যেমন একটা মাটির পাত্র গঠন করেন, তেমন যিহোবাও তাদের গঠন করেন যারা তাঁর সেবা করার জন্য ইচ্ছুক। (রোমীয় ৯:২০, ২১) তিনি তাঁর বাক্যে পরামর্শ দিয়ে ও তাঁর সংগঠনের মাধ্যমে এটা করেন। যিহোবা আমাদের ক্ষমতাকে যথাসাধ্য ব্যবহার করার জন্য সাহায্য করবেন যদি আমরা নিজেদেরকে সবসময় প্রস্তুত রাখি, সমস্ত সুযোগে সাড়া দিই এবং স্বেচ্ছায় আমাদের পদক্ষেপ তাঁকে স্থির করতে দিই।

এর পরেই কার্যক্রমের এক রোমাঞ্চকর অংশ ছিল—“মিশনারি ক্ষেত্রে পরিচর্যা।” বর্তমানে পৃথিবীব্যাপী ১৪৮টা দেশে ২,৩৯০ জন খ্রীষ্টান পরিচর্যাকারীরা মিশনারি হিসাবে সেবা করে থাকেন। তারা নিষ্ঠা ও উদ্দীপনার এক চমৎকার উদাহরণ স্থাপন করেন এবং বিদেশে ক্ষেত্রের পরিচর্যা করার সুযোগ পাওয়ায় তারা গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। আন্তর্জাতিক সম্মেলনগুলোতে এই বক্তৃতায় মিশনারিরা তাদের মিশনারি জীবনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও আনন্দগুলো সম্বন্ধে বলেছিলেন।

প্রথম দিনের শেষ বক্তৃতাটা ছিল “মৃত্যুর পরে কি জীবন রয়েছে?” এই প্রশ্নটা হাজার হাজার বছর ধরে মানবজাতিকে ভাবিয়ে তুলেছে। প্রতিটা সম্প্রদায়ের লোকেরা এই বিষয়টা নিয়ে চিন্তা করেছেন। আর সম্ভাব্য উত্তরেরও কোন অভাব নেই। সেগুলো উত্তরদাতাদের প্রথা ও ধর্মগুলোর মতোই বিভিন্ন। তাই লোকেদের সেই সত্যটা জানার প্রয়োজন রয়েছে।

পরিশেষে, মৃত্যুর পর আমাদের কী হয়? (ইংরাজি) নামক ৩২ পৃষ্ঠার, একটা নতুন রঙিন ব্রোশারের প্রকাশ সম্বন্ধে বক্তা ঘোষণা করেছিলেন। অমরাত্মার শিক্ষার উৎস সম্বন্ধে এই ব্রোশারটা বর্ণনা করে এবং দেখায় যে কিভাবে এই ধারণাটা আজকে বিশ্বের প্রায় সমস্ত ধর্মের মুখ্য বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এটা আত্মা, আমরা কেন মারা যাই, আমরা মারা গেলে আমাদের কী হয় এই সম্বন্ধে বাইবেল কী বলে, তা এক স্পষ্ট এবং চিত্তাকর্ষক উপায়ে পরীক্ষা করে। এছাড়াও মৃত ও জীবিতদের জন্য কোন্‌ আশা রয়েছে সেই সম্বন্ধে এই ব্রোশারটা ব্যাখ্যা করে। সব দেশের সত্য অনুসন্ধানকারীদের জন্য এই প্রকাশনাটা কী এক আশীর্বাদই না হবে!

ভাল করে দেখুন কিভাবে চলছেন

এটা সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের জন্য কী উপযুক্ত বিষয়বস্তুই না এটা ছিল! (ইফিষীয় ৫:১৫) সকালের কার্যক্রম প্রচার ও শিষ্যকরণের কাজের উপর জোর দিয়েছিল। প্রতিদিনের শাস্ত্রপদ আলোচনা করার পর পরই “জীবনের পথে চলতে লোকেদের সাহায্য করা” এই বিষয়ের উপর বক্তৃতা দেওয়া হয়। এই জরুরি কাজটা করার সময় সঠিক মনোভাব থাকা গুরুত্বপূর্ণ, এছাড়াও উপলব্ধি করতে হবে যে অন্যদের কাছে সত্য সম্বন্ধে বলা হল সুযোগ ও কর্তব্য দুটোই। সা.কা. প্রথম শতাব্দীতে, বেশিরভাগ মানুষ ঈশ্বরের বাক্যকে অগ্রাহ্য করেছিলেন। কিন্তু বিরোধিতা সত্ত্বেও, সেখানে এমন লোকেরা ছিলেন ‘যারা অনন্ত জীবনের জন্য নিরূপিত হইয়াছিল, ও বিশ্বাস করিল।’ (প্রেরিত ১৩:৪৮, ৫০; ১৪:১-৫) আজকের পরিস্থিতিও একই। যদিও অনেকে বাইবেলের সত্যকে অগ্রাহ্য করেন কিন্তু আমরা সেইসব ব্যক্তিদের খুঁজে চলব যারা অনুকূল সারা দেবেন।—মথি ১০:১১-১৩.

জীবনের বার্তা নিয়ে অন্যদের কাছে পৌঁছানোর পথে বাধাগুলো নিয়ে পরের বক্তৃতা আলোচনা করেছিল। যেহেতু এখন লোকেদের ঘরে পাওয়া মুশকিল হয়ে পড়ছে, তাই আমরা যদি রাজ্যের বার্তা নিয়ে যত বেশি সম্ভব লোকেদের কাছে পৌঁছাতে চাই তাহলে আমাদের পুঙ্খানুপুঙ্খ ও দক্ষ হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। অনেক দেশে সুসমাচারের প্রকাশকেরা টেলিফোনে সাক্ষ্য দিয়ে এবং বাণিজ্যিক এলাকাগুলোতে প্রচার করে ভাল ফল পেয়েছেন আর এইভাবে সেই লোকেদের কাছে পৌঁছেছেন, যাদের সঙ্গে এছাড়া যোগাযোগ করা খুবই মুশকিল।

“খ্রীষ্ট যা আদেশ দিয়েছিলেন সেইসমস্ত বিষয় শিষ্যদের শিক্ষা দেওয়া” নামক বক্তৃতা আমাদের পরিচর্যায় দক্ষ হওয়ার গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছিল। আমাদের শিক্ষা দেওয়ার দক্ষতা তখনই বাড়তে থাকে যখন আমরা অন্যদের কাছ থেকে শিখি এবং মণ্ডলীর সভাগুলোতে যে উৎকৃষ্ট প্রশিক্ষণ পেয়ে থাকি তা কাজে লাগাই। আমরা যখন আমাদের শিক্ষায় দক্ষ হই তখন আমরা বাইবেলের সত্য শিখতে লোকেদের সাহায্য করার কাজে আরও বেশি আনন্দ ও পরিতৃপ্তি পাই।

উৎসর্গীকরণ ও বাপ্তিস্মের অর্থের উপর বক্তৃতার মাধ্যমে সকালের অধিবেশন শেষ হয়। বক্তা বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেছিলেন যার মধ্যে একটি ছিল, আমরা যদি ঈশ্বরের উপর সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করি এবং তাঁর ইচ্ছা পালন করার জন্য মনে-প্রাণে চেষ্টা করি তাহলে তিনি আমাদের আশীর্বাদ ও রক্ষা করবেন। জ্ঞানী ব্যক্তি লিখেছিলেন: “তোমার সমস্ত পথে তাঁহাকে স্বীকার কর; তাহাতে তিনি তোমার পথ সকল সরল করিবেন।” (হিতোপদেশ ৩:৬) আনন্দপূর্ণ বাপ্তিস্ম ছিল সম্মেলনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা যেটা দেখায় যে অনেকে জীবনের জন্য ঈশ্বরের পথে চলতে শুরু করেছেন।

দুপুরের বিরতির পর, “অনন্ত জীবনের প্রতি দৃষ্টি রেখে সেবা করা” বক্তৃতার মাধ্যমে বিকেলের অধিবেশন শুরু হয়েছিল। ঈশ্বরের উদ্দেশ্য ছিল বাধ্য মানবজাতি পৃথিবীতে চিরকাল বেঁচে থেকে তাঁর সেবা করবে আর এই উদ্দেশ্য পরিপূর্ণ হবেই। অতএব এটা কতই না উপযুক্ত যে আমরা আমাদের চিন্তাধারা, পরিকল্পনা ও প্রত্যাশাগুলো অনন্তকালের জন্য যিহোবার সেবা করার উপর কেন্দ্রীভূত করেছি! ‘ঈশ্বরের সেই দিনের’ আকাঙ্ক্ষা করার সময় মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে আমাদের লক্ষ্য হল অনন্তকালের জন্য সেবা করা। (২ পিতর ৩:১২) যীশু কখন ঈশ্বরের প্রতিশোধের বিচার সম্পাদন করবেন তার সঠিক সময় না জানা আমাদের সতর্ক রাখে আর আমরা যে নিঃস্বার্থ মনোভাব নিয়ে যিহোবার সেবা করি তা প্রমাণ করার জন্য আমাদের প্রতিদিন সুযোগ দেয়।

পরের বক্তৃতা দুটো ইফিষীয়দের প্রতি পৌলের পত্রের চতুর্থ অধ্যায়টা পরীক্ষা করেছিল। অন্যান্য বিষয়গুলোর সঙ্গে ‘মনুষ্যদিগের নানা বর’ সম্বন্ধে আলোচনা করা হয়েছিল যারা আমাদের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ কারণ তারা পবিত্র আত্মার মাধ্যমে নিযুক্ত ও আধ্যাত্মিকভাবে যোগ্য। এই প্রাচীনেরা আমাদের আধ্যাত্মিক উপকারের জন্য পরামর্শ ও পরিচালনা দেন। এছাড়াও পৌলের অনুপ্রাণিত পত্র খ্রীষ্টানদের “নূতন মনুষ্যকে” পরিধান করার জন্য পরামর্শ দেয়। (ইফিষীয় ৪:৮, ২৪) ঈশ্বরীয় ব্যক্তিত্বের সঙ্গে করুণার চিত্ত, মধুর ভাব, নম্রতা, মৃদুতা, সহিষ্ণুতা ও প্রেমের মতো গুণাবলি জড়িত রয়েছে।—কলসীয় ৩:১২-১৪.

আমরা কিরূপে চলি তা ভাল করে দেখার বিষয়টা জগৎ থেকে নিজেদেরকে নিষ্কলঙ্করূপে রক্ষা করা বোঝায় আর এটাই ছিল পরবর্তী বক্তৃতার বিষয়। আমোদপ্রমোদ বাছার ব্যাপারে, সামাজিক কার্যকলাপে ও বস্তুগত জিনিস লাভ করার চেষ্টায় আমাদের ভারসাম্য রাখার প্রয়োজন রয়েছে। জগৎ থেকে নিষ্কলঙ্ক থাকার জন্য যাকোব ১:২৭ পদের পরামর্শ কাজে লাগানোর মাধ্যমে আমরা শুচিভাবে ঈশ্বরের পক্ষে থাকি ও উত্তম বিবেক বজায় রাখি। এছাড়াও আমরা এক উদ্দেশ্যপূর্ণ জীবনযাপন করতে পারি যেখানে আমরা শান্তি, আধ্যাত্মিক সফলতা ও অপূর্ব সঙ্গ লাভ করব।

তারপর “যুবক-যুবতীরা—ঈশ্বরের পথে চল” নামক একটা সিম্পোজিয়াম তিনভাগে দেওয়া হয়েছিল। ঈশ্বর তাদের ভালবাসেন এবং বিশুদ্ধ উপাসনার পক্ষে থাকায় তাদের প্রচেষ্টাকে উপলব্ধি করেন তা জেনে, অল্পবয়স্ক ছেলেমেয়েদের বিশ্বস্তভাবে তাঁকে সেবা করার জন্য তাদের জ্ঞানেন্দ্রিয় সকলকে প্রশিক্ষিত করা উচিত। জ্ঞানেন্দ্রিয়ের ক্ষমতা বাড়ানোর আরেকটা উপায় হল প্রতিদিন ঈশ্বরের বাক্য পড়া ও তার উপর ধ্যান করা। আমরা যদি এটা করি তাহলে আমরা যিহোবার পথ সকল বুঝতে পারি। (গীতসংহিতা ১১৯:৯-১১) এছাড়াও বাবামা, প্রাচীন এবং সোসাইটির প্রকাশনাগুলো থেকে উপযুক্ত পরামর্শ মেনে চলার মাধ্যমে জ্ঞানেন্দ্রিয়ের ক্ষমতাকে বাড়ানো যায়। সঠিকভাবে তাদের জ্ঞানেন্দ্রিয়কে ব্যবহার করার মাধ্যমে, যুবক-যুবতীরা বস্তুগত বিষয়সম্পত্তি, নোংরা কথাবার্তা ও মাত্রাহীন বিনোদনকে প্রতিরোধ করে কারণ এই বিষয়গুলো ঈশ্বর থেকে বিচ্ছিন্ন জগতের বৈশিষ্ট্য। জীবনের জন্য ঈশ্বরের পথে চলার মাধ্যমে যুবক-যুবতী ও বয়স্ক সবাই একইভাবে প্রকৃত সফলতা উপভোগ করতে পারেন।

দিনের শেষ বক্তৃতাটা ছিল “সৃষ্টিকর্তা—তাঁর ব্যক্তিত্ব এবং পথ সকল।” কোটি কোটি মানুষ সৃষ্টিকর্তাকে জানেন না এই বিষয়টা তুলে ধরার পর বক্তা বলেছিলেন: “জীবনের প্রকৃত অর্থ, আমাদের সৃষ্টিকর্তা, আমাদের ব্যক্তিত্ববান ঈশ্বরকে জানা; তাঁর ব্যক্তিত্বকে বোঝা; এবং তিনি যে পথে চলতে বলেন সেই পথে চলা। . . . পৃথিবী গ্রহ ও আমাদের সম্বন্ধে এতে যে সত্য রয়েছে তা ব্যবহার করে আপনি লোকেদের সৃষ্টিকর্তাকে জানতে ও তিনি আমাদের কাছ থেকে কী চান তা বুঝতে সাহায্য করতে পারেন।” এরপর বক্তা একজন প্রজ্ঞাবান ও প্রেমময় সৃষ্টিকর্তার আস্তিত্ব সম্বন্ধে সাক্ষ্যপ্রমাণ তুলে ধরে আলোচনা করেছিলেন। এমন একজন সৃষ্টিকর্তা কি আছেন যিনি আপনার জন্য চিন্তা করেন? (ইংরাজি) এই নতুন বই প্রকাশ করার পর বক্তৃতা শেষ হয়েছিল।

“এই পথ, তোমরা এই পথেই চল”

এটা সম্মেলনের তৃতীয় দিনের বিষয়বস্তু ছিল। (যিশাইয় ৩০:২১) তিনটে বক্তৃতার সমন্বয়ে এক রোমাঞ্চকর সিম্পোজিয়ামের মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু হয়েছিল, যা যিহিষ্কেলের মন্দির সম্বন্ধীয় দর্শনের উপর জোর দিয়েছিল। আজকে ঈশ্বরের লোকেদের জন্য এই দর্শন বিরাট অর্থ রাখে কারণ এটা আমাদের সময়ের বিশুদ্ধ উপাসনার সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত। দর্শনটা বোঝার উপায় হল এই: যিহোবার মহৎ আধ্যাত্মিক মন্দির বিশুদ্ধ উপাসনার জন্য তাঁর ব্যবস্থাকে বর্ণনা করে। দর্শনের বিষয়গুলো আলোচনা করার সময় শ্রোতারা চিন্তা করেছিলেন যে অভিষিক্ত অবশিষ্টাংশদের প্রেমময় অধ্যক্ষ ও ভবিষ্যৎ অধ্যক্ষশ্রেণীর সদস্যদের কাজে তারা কতখানি সহযোগিতা করছেন।

সকালের অধিবেশনের সবশেষে, বাইবেল থেকে একটি আগ্রহজনক নাটক হয়েছিল যেখানে অংশগ্রহণকারীরা প্রাচীনকালের সাজ পোশাক পরেছিলেন। নাটকটার নাম ছিল “পরিবারগুলি—প্রাত্যহিক বাইবেল পাঠকে আপনাদের জীবনের পথ করে তুলুন!” এটা তিনজন ইব্রীয়ের বিশ্বাস ও সাহস সম্বন্ধে তুলে ধরেছিল যারা বাবিলনের রাজা নবূখদ্‌নিৎসরের নির্মিত সোনার মূর্তিকে প্রণিপাত করতে অস্বীকার করেছিলেন। নাটকটা দেখানোর লক্ষ্য ছিল যে বাইবেল কেবল প্রাচীন ইতিহাসেরই বই নয় কিন্তু এর পরামর্শ আজকের দিনের অল্পবয়স্ক ও বয়স্ক উভয়ের জন্য প্রকৃতই উপকারী।

বিকেলের অধিবেশন জনসাধারণের বক্তৃতা দিয়ে শুরু হয়েছিল যার বিষয় ছিল “অনন্ত জীবনের একমাত্র পথ।” মানবজাতির পাপে পতন ও মৃত্যুর ইতিহাস সম্বন্ধে বর্ণনার পর, বক্তা এই চিন্তা উদ্রেককারী কথাগুলোর মাধ্যমে তা শেষ করেছিলেন: “সম্মেলনের আজকের বিষয়বস্তু হল বাইবেলের যিশাইয় ৩০ অধ্যায় ২১ পদ, যেটা বলে: “দক্ষিণে কি বামে ফিরিবার সময়ে তোমার কর্ণ পশ্চাৎ হইতে এই বাণী শুনিতে পাইবে, এই পথ, তোমরা এই পথেই চল।” কিভাবে আমরা এই বাণী শুনতে পাই? ঈশ্বরের বাক্য, পবিত্র বাইবেল এবং তাঁর আধুনিক দিনের খ্রীষ্টীয় সংগঠনের মাধ্যমে আমাদের মহান শিক্ষক, যিহোবা ঈশ্বর যে নির্দেশনা সরবরাহ করেন তা শোনা ও পালন করার মাধ্যমে। বাস্তবিক পক্ষে, এটা করাই অনন্ত জীবনের একমাত্র পথ।”

ওই সপ্তাহের প্রহরীদুর্গ এর অধ্যয়ন প্রবন্ধটির সারাংশ আলোচনা করার পর “যিহোবার পথে চলতে থাকুন” নামক শেষ বক্তৃতাটা হয়েছিল। এই অংশে কার্যক্রমের প্রধান বিষয়গুলো পুনরালোচনা করা হয়েছিল। এরপর বক্তা এক সংকল্প উপস্থাপন করেছিলেন যেখানে ঈশ্বরের পথে সর্বদা জীবনযাপন করার দৃঢ়সংকল্প সম্বন্ধে বলা হয়।

সেই সংকল্প এই উৎসাহজনক কথাগুলোর মাধ্যমে শেষ হয়েছিল “আমরা দৃঢ়প্রত্যয়ী যে শাস্ত্রীয় নীতি, পরামর্শ এবং উপদেশগুলোর দ্বারা জীবনযাপন করা বর্তমানে জীবনের সর্বোত্তম পথটা গঠন করে এবং ভবিষ্যতের জন্য এক উত্তম ভিত্তি স্থাপন করে, যাতে করে আমরা প্রকৃত জীবন দৃঢ়ভাবে ধরে রাখতে পারি। সর্বোপরি, আমরা এই সংকল্প গ্রহণ করেছি কারণ আমরা আমাদের সমস্ত হৃদয়, মন, প্রাণ ও শক্তি দিয়ে যিহোবা ঈশ্বরকে প্রেম করি!” উপস্থিত সকলে যারা এই সংকল্প করার পক্ষে ছিলেন তারা এতে সম্মতি জানিয়ে হ্যাঁ বলেছিলেন!

[৮ পৃষ্ঠার বাক্স//চিত্র]

এমন একজন সৃষ্টিকর্তা কি আছেন যিনি আপনার জন্য চিন্তা করেন?

এই নামের নতুন বইটা সৃষ্টিকর্তা, যিহোবার অস্তিত্ব সম্বন্ধে প্রত্যয় উৎপাদনকারী প্রমাণ দেয় ও তাঁর গুণাবলি আলোচনা করে। এটা বিশেষভাবে তাদের জন্য উপযুক্ত যারা সুশিক্ষিত কিন্তু ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন না। এছাড়াও ১৯২ পৃষ্ঠার এই বইটা সেই ব্যক্তিদের বিশ্বাসকে বাড়াবে যারা ইতিমধ্যে ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন এবং তারা ঈশ্বরের ব্যক্তিত্ব ও পথের জন্য উপলব্ধি গড়ে তুলবেন।

পাঠক ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন ধরে নিয়ে এমন একজন সৃষ্টিকর্তা কি আছেন যিনি আপনার জন্য চিন্তা করেন? বইটা প্রকাশ করা হয়নি। বরঞ্চ, এটা আলোচনা করে যে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব সম্বন্ধে কিভাবে আধুনিক বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার ও ধারণাগুলো সাক্ষ্য দেয়। এর মধ্যে “কী আপনার জীবনকে অর্থপূর্ণ করতে পারে?” “আমাদের নিখিলবিশ্ব কিভাবে অস্তিত্বে এসেছে?—এক বিতর্ক,” এবং “আপনি কতই না অদ্বিতীয়!” এই নামের অধ্যায়গুলো রয়েছে। অন্যান্য অধ্যায় আলোচনা করে, কেন আমরা নিশ্চিত হতে পারি যে বাইবেল ঐশিকভাবে অনুপ্রাণিত। এছাড়াও এই নতুন বই সম্পূর্ণ বাইবেলের এক ছবি দেয়, যেখান থেকে সৃষ্টিকর্তার ব্যক্তিত্ব ও পথ সকল সম্বন্ধে জানা যায়। বইটা কেবল ঈশ্বর কেন এত দুঃখ কষ্ট থাকতে দিয়েছেন সেই বিষয়েই আলোচনা করে না কিন্তু কিভাবে তিনি এগুলোকে চিরতরে শেষ করবেন সেই সম্বন্ধেও ব্যাখ্যা করে।

[৭ পৃষ্ঠার চিত্র]

অনেকে বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন

[৭ পৃষ্ঠার চিত্র]

এ. ডি. শ্রোডার, যিহোবার সাক্ষীদের পরিচালক গোষ্ঠীর একজন সদস্য এই নতুন ব্রোশার প্রকাশ করেছিলেন

[৯ পৃষ্ঠার চিত্র]

এক রোমাঞ্চকর নাটক যা প্রতিদিন বাইবেল পড়ার জন্য উৎসাহিত করেছিল

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার