ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w৯৯ ৩/১ পৃষ্ঠা ১৩-১৮
  • আজকে “মন্দির” এবং “অধ্যক্ষ”

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • আজকে “মন্দির” এবং “অধ্যক্ষ”
  • ১৯৯৯ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • মন্দির আমাদের জন্য কী বোঝায়
  • এক বিশ্বস্ত যাজকবর্গ
  • অধ্যক্ষ—তিনি কে?
  • আজকে ঈশ্বরের লোকেদের দেশ
  • ঈশ্বরের মন্দিরে “তোমার চিত্ত নিবেশ কর”!
    ১৯৯৯ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • যিহিষ্কেল বইয়ের দ্বিতীয় বিভাগের প্রধান বিষয়গুলো
    ২০০৭ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • আমাদের ‘দেশে’ যিহোবার আশীর্বাদ
    ১৯৯৯ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • যিহোবার সাহায্যে আমরা ভালোভাবে প্রচার করতে পারি!
    প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য সম্বন্ধে ঘোষণা করে (অধ্যয়ন)—২০২২
আরও দেখুন
১৯৯৯ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w৯৯ ৩/১ পৃষ্ঠা ১৩-১৮

আজকে “মন্দির” এবং “অধ্যক্ষ”

“অধ্যক্ষ তাহাদের মধ্যে থাকিয়া তাহাদের প্রবেশকালে প্রবেশ করিবেন, ও তাহাদের বাহির হইয়া আসিবার সময় বাহির হইবেন।”—যিহিষ্কেল ৪৬:১০.

১, ২. কোন্‌ মূল সত্য আমাদের যিহিষ্কেলের মন্দির সম্বন্ধীয় দর্শনের অনেকখানি বুঝতে সাহায্য করে?

প্রাচীনকালের কিছু যিহূদী রব্বিরা যিহিষ্কেল পুস্তককে একেবারেই পছন্দ করতেন না। তালমুড অনুযায়ী, তাদের কেউ কেউ এই পুস্তককে পবিত্র শাস্ত্রাবলির স্বীকৃত অংশ থেকে বাদ দেওয়ার কথাও চিন্তা করেছিলেন। বিশেষ করে মন্দিরের দর্শন ব্যাখ্যা করা তাদের পক্ষে খুবই কঠিন হয়েছিল আর তাই তারা বলে দিয়েছিলেন যে এই দর্শনকে বোঝা মানুষের বুদ্ধির বাইরের বিষয়। যিহোবার মন্দির সম্বন্ধে যিহিষ্কেলের দর্শন অন্যান্য বাইবেল পণ্ডিতদেরও বিভ্রান্ত করেছে। আমাদের সম্পর্কে কী বলা যায়?

২ বিশুদ্ধ উপাসনা পুনর্স্থাপনের সময় থেকে যিহোবা তাঁর লোকেদের আধ্যাত্মিক অন্তর্দৃষ্টি দিয়েছেন ফলে তারা বিভিন্ন বিষয় বুঝতে পেরেছেন আর তারা ঈশ্বরের আধ্যাত্মিক মন্দির যে বিশুদ্ধ উপাসনার জন্য যিহোবার মন্দিরতুল্য ব্যবস্থা সেটাও বুঝতে পারেন।a মন্দিরের বিষয়ে এই মূল সত্যটাই আমাদের যিহিষ্কেলের মন্দির সম্বন্ধীয় দর্শনের অনেকখানি বুঝতে সাহায্য করে। আসুন আমরা এই দর্শনের চারটে উপাদান যথা মন্দির, যাজকবর্গ, অধ্যক্ষ এবং পুনর্স্থাপিত দেশকে আরও কাছ থেকে দেখি। আজকের দিনে এর অর্থ কী?

মন্দির আমাদের জন্য কী বোঝায়

৩. মন্দিরের প্রবেশ দ্বারের ভিতরে উঁচু ছাদ এবং কারুকার্য খচিত দেওয়াল থেকে আমরা কী শিখি?

৩ কল্পনা করুন যে আমরা দর্শনের এই মন্দিরটা ঘুরে দেখছি। আমরা সিঁড়ির সাতটা ধাপ পেরিয়ে বড় দরজার কাছে এসে পৌঁছেছি। এই প্রবেশদ্বারের ভিতরে দাঁড়িয়ে আমরা বিস্মিতভাবে ওপরের দিকে তাকাই। এর ছাদ আমাদের থেকে ১০০ ফুটেরও বেশি উঁচুতে! এটা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে তাঁর উপাসনা করার জন্য যিহোবা আমাদের কাছ থেকে উচ্চ মানগুলো দাবি করেন। জানালাগুলো দিয়ে আসা আলোকরশ্মি খেজুর গাছের কারুকার্য খচিত দেওয়ালকে আলোকিত করে যা শাস্ত্রে সততাকে চিত্রিত করতে গিয়ে ব্যবহার করা হয়েছে। (গীতসংহিতা ৯২:১২; যিহিষ্কেল ৪০:১৪, ১৬, ২২) এই পবিত্র স্থান তাদের জন্য যারা নৈতিক এবং আধ্যাত্মিকভাবে সৎ। আমরাও সৎ থাকতে চাই যাতে করে আমাদের উপাসনা ঈশ্বর গ্রহণ করেন।—গীতসংহিতা ১১:৭.

৪. কারা মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবে না এবং এটা আমাদের কী শেখায়?

৪ প্রত্যেক প্রবেশদ্বারের সঙ্গে তিনটে করে প্রহরী কক্ষ রয়েছে। প্রহরীরা কি আমাদের ভেতরে যেতে দেবে? যিহোবা যিহিষ্কেলকে বলেন যে “অচ্ছিন্নত্বক্‌ হৃদয়” বিশিষ্ট কোন বিজাতীয় লোক ভেতরে যেতে পারবে না। (যিহিষ্কেল ৪০:১০; ৪৪:৯) এর অর্থ কী? এর অর্থ ঈশ্বর কেবল সেই সমস্ত লোকেদের উপাসনা গ্রহণ করবেন যারা তাঁর ব্যবস্থা ভালবাসেন ও সেই অনুসারে জীবনযাপন করেন। (যিরমিয় ৪:৪; রোমীয় ২:২৯) যিহোবা এই ব্যক্তিদের তাঁর আধ্যাত্মিক তাঁবু অর্থাৎ উপাসনা গৃহে আমন্ত্রণ জানান। (গীতসংহিতা ১৫:১-৫) ১৯১৯ সালে বিশুদ্ধ উপাসনা পুনর্স্থাপিত হওয়ার পর থেকে যিহোবার পার্থিব সংগঠন দিন-দিন তাঁর নৈতিক ব্যবস্থাগুলোকে স্পষ্ট করেছে এবং বুঝিয়েছে। যারা ইচ্ছাকৃতভাবে অবাধ্য হন তাদের জন্য তাঁর লোকেদের মাঝে আর কোন জায়গা নেই। যেমন বাইবেলের সময়ে করা হতো, আজও আমাদের উপাসনাকে শুচি এবং বিশুদ্ধ রাখার জন্য অনুতাপহীন অন্যায়কারীদের বহিষ্কার করা হয়।—১ করিন্থীয় ৫:১৩.

৫. (ক) যিহিষ্কেলের দর্শন এবং প্রকাশিত বাক্য ৭:৯-১৫ পদে লিখিত যোহনের দর্শনের মধ্যে কোন্‌ মিল রয়েছে? (খ) যিহিষ্কেলের দর্শনে বহিঃস্থ প্রাঙ্গণে উপাসনারত ১২ বংশ কাদের চিত্রিত করে?

৫ প্রবেশদ্বারের মুখ বাইরের প্রাঙ্গণের দিকে খোলা থাকে, যেখানে লোকেরা যিহোবার আরাধনা এবং প্রশংসা করেন। এটা আমাদের প্রেরিত যোহনের দর্শনের কথা মনে করিয়ে দেয় যেখানে “বিরাট জনতা” (NW) যিহোবাকে “দিবারাত্র তাঁহার মন্দিরে” আরাধনা করছেন। দুটো দর্শনেই খেজুর গাছের বর্ণনা পাওয়া যায়। যিহিষ্কেলের দর্শনে এগুলো প্রবেশদ্বারের দেওয়ালের সৌন্দর্য বাড়ায়। যোহনের দর্শনে উপাসকদের হাতে খেজুর পাতা রয়েছে, যা দেখায় যে যিহোবার প্রশংসা করতে ও যীশুকে তাদের রাজা হিসাবে অভ্যর্থনা জানাতে তারা খুশি। (প্রকাশিত বাক্য ৭:৯-১৫) যিহিষ্কেলের দর্শনে ইস্রায়েলের দ্বাদশ বংশ ‘অপর মেষদের’ চিত্রিত করে। (যোহন ১০:১৬, NW. লূক ২২:২৮-৩০ পদের সঙ্গে তুলনা করুন।) আপনি কি তাদের একজন যারা যিহোবার রাজ্য সম্পর্কে ঘোষণা করার দ্বারা তাঁর প্রশংসা করে আনন্দ পান?

৬. বহিঃস্থ প্রাঙ্গণে ভোজনশালাগুলো কোন্‌ উদ্দেশ্যে ছিল আর এটা অপর মেষদের কোন্‌ সুযোগের কথা মনে করিয়ে দেয়?

৬ বহিঃস্থ প্রাঙ্গণে ঘোরার সময় আমরা ৩০টা ভোজনশালা দেখতে পাই যেখানে লোকেরা তাদের স্বেচ্ছাকৃত উৎসর্গের কিছু অংশ ভোজন করেন। (যিহিষ্কেল ৪০:১৭) আজ অপর মেষেরা পশু বলি উৎসর্গ করেন না কিন্তু আধ্যাত্মিক মন্দিরে তারা খালি হাতেও আসেন না। (যাত্রাপুস্তক ২৩:১৫ পদের সঙ্গে তুলনা করুন।) প্রেরিত পৌল লিখেছিলেন: “আইস, আমরা [যীশুর] দ্বারা ঈশ্বরের উদ্দেশে নিয়ত স্তব-বলি, অর্থাৎ তাঁহার নাম স্বীকারকারী ওষ্ঠাধরের ফল, উৎসর্গ করি। আর উপকার ও সহভাগিতার কার্য্য ভুলিও না, কেননা সেই প্রকার যজ্ঞে ঈশ্বর প্রীত হন।” (ইব্রীয় ১৩:১৫, ১৬; হোশেয় ১৪:২) যিহোবার কাছে এইধরনের বলি উৎসর্গ করা আমাদের জন্য খুবই সম্মানের।—হিতোপদেশ ৩:৯, ২৭.

৭. মন্দিরকে মাপা আমাদের কী আশ্বাস দেয়?

৭ যিহিষ্কেল একজন দূতকে দর্শনের মন্দিরটা মাপতে দেখেন। (যিহিষ্কেল ৪০:৩) একইভাবে, প্রেরিত যোহনকে “ঈশ্বরের মন্দির ও যজ্ঞবেদি ও যাহারা তাহার মধ্যে ভজনা করে, তাহাদিগকে পরিমাণ” করতে বলা হয়েছিল। (প্রকাশিত বাক্য ১১:১) এইভাবে মাপার অর্থ কী? এটা এক নিশ্চয়তা ছিল যে কোন কিছুই যিহোবাকে তাঁর বিশুদ্ধ উপাসনার সঙ্গে যুক্ত উদ্দেশ্যগুলো পরিপূর্ণ করতে বাধা দিতে পারে না। একইভাবে আজকে, আমরা নিশ্চিত হতে পারি যে কোন কিছুই—এমনকি সরকারের পক্ষ থেকে প্রচণ্ড বিরোধিতাও বিশুদ্ধ উপাসনার পুনর্স্থাপনকে থামিয়ে দিতে পারবে না।

৮. কারা দ্বার দিয়ে অন্তঃস্থ প্রাঙ্গণে প্রবেশ করেন এবং এই দ্বারগুলো আমাদের কী মনে করিয়ে দেয়?

৮ বহিঃস্থ প্রাঙ্গণ পেরিয়ে এসে, আমরা তিনটে দ্বার দেখতে পাই যা অন্তঃস্থ প্রাঙ্গণে নিয়ে যায়; অন্তঃস্থ দ্বার বহিঃস্থ দ্বারের সঙ্গে একই সারিতে আছে আর সেগুলির আকারও এক। (যিহিষ্কেল ৪০:৬, ২০, ২৩, ২৪, ২৭) কেবল যাজকেরা অন্তঃস্থ প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারেন। অন্তঃস্থ দ্বার আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে অভিষিক্তদের ঐশিক মান এবং ব্যবস্থা অনুযায়ী জীবনযাপন করা দরকার। আর অবশ্যই সেই একই ব্যবস্থা এবং মানগুলো সমস্ত সত্য খ্রীষ্টানদের মেনে চলা উচিত। কিন্তু যাজকদের কাজ কী এবং আজকে এর অর্থ কী?

এক বিশ্বস্ত যাজকবর্গ

৯, ১০. যিহিষ্কেলের দর্শনে যাজকীয় শ্রেণীর দ্বারা চিত্রিত “রাজকীয় যাজকবর্গ” কিভাবে আধ্যাত্মিক নির্দেশনা যুগিয়ে থাকেন?

৯ প্রাক্‌-খ্রীষ্টীয় সময়ে, যাজকেরা মন্দিরে কঠোর পরিশ্রম করতেন। পশু বলি দেওয়া, যজ্ঞবেদিতে সেগুলো উৎসর্গ করা এবং সহযাজক ও লোকেদের পরিচর্যা করা শারীরিক পরিশ্রমের কাজ ছিল। কিন্তু তাদেরকে অন্য আরেকটা জরুরি কাজও করতে হতো। যিহোবা যাজকদের সম্বন্ধে আজ্ঞা দিয়েছিলেন: “তাহারা আমার প্রজাগণকে পবিত্র ও সামান্য বস্তুর প্রভেদ শিক্ষা দিবে, এবং শুচি ও অশুচির প্রভেদ জানাইবে।”—যিহিষ্কেল ৪৪:২৩; মালাখি ২:৭.

১০ আপনি কি এই কঠোর পরিশ্রম এবং নম্র পরিচর্যাকে উপলব্ধি করেন যা অভিষিক্তগণ, “রাজকীয় যাজকবর্গ” বিশুদ্ধ উপাসনার পক্ষে করেছেন? (১ পিতর ২:৯) প্রাচীনকালের সেই লেবীয় যাজকদের মতো, তারা আধ্যাত্মিক শিক্ষা দেওয়ায় নেতৃত্ব দিয়েছেন আর লোকেদের বুঝতে সাহায্য করেছেন কোন্‌ বিষয়গুলো ঈশ্বরের চোখে পরিচ্ছন্ন ও গ্রহণযোগ্য আর কোন্‌গুলো নয়। (মথি ২৪:৪৫) তারা এই শিক্ষা বাইবেল ভিত্তিক প্রকাশনা, খ্রীষ্টীয় সভা এবং সম্মেলনগুলোর মাধ্যমে দিয়েছেন যা লক্ষ লক্ষ ব্যক্তিদের ঈশ্বরের সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপন করতে সাহায্য করছে।—২ করিন্থীয় ৫:২০.

১১. (ক) কিভাবে যিহিষ্কেলের দর্শন যাজকবর্গের পরিচ্ছন্ন হওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরে? (খ) শেষ কালে, কিভাবে অভিষিক্তরা আধ্যাত্মিক অর্থে পরিষ্কৃত হয়েছেন?

১১ যাজকেরা যে শুধু অন্যদেরকে পরিচ্ছন্ন থাকার জন্য শিক্ষা দিতেন তাই নয়, তাদের নিজেদেরকেও শুচি থাকতে হতো। তাই, যিহিষ্কেল দর্শনে দেখেছিলেন যে ইস্রায়েলের যাজকদেরকে বিশুদ্ধ করা হচ্ছে। (যিহিষ্কেল ৪৪:১০-১৬) একইভাবে, ১৯১৮ সালে যিহোবা যাজকীয় অভিষিক্ত শ্রেণীকে যাচাইয়ের জন্য তাঁর আধ্যাত্মিক মন্দিরে “পরিষ্কারক” হিসাবে বসেছিলেন। (মালাখি ৩:১-৫) যারা আধ্যাত্মিকভাবে শুচি হিসাবে বিবেচিত হয়েছিলেন ও যারা প্রতিমাপূজা ছেড়ে দিয়ে অনুতাপ দেখিয়েছিলেন তারা তাঁর আধ্যাত্মিক মন্দিরে আবার সেবা করার সম্মান পেয়েছিলেন। তবুও অন্যদের মতো, অভিষিক্ত ব্যক্তিদেরও আধ্যাত্মিকভাবে ও নৈতিকভাবে অশুচি হয়ে পড়ার বিপদ ছিল। (যিহিষ্কেল ৪৪:২২, ২৫-২৭) তাদের “সংসার হইতে . . . নিষ্কলঙ্ক” থাকার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হয়।—যাকোব ১:২৭. মার্ক ৭:২০-২৩ পদের সঙ্গে তুলনা করুন।

১২. কেন অভিষিক্তদের কাজের প্রতি আমাদের উপলব্ধি দেখানো উচিত?

১২ আমরা প্রত্যেকেই হয়ত নিজেদের জিজ্ঞাসা করতে পারি, ‘আমি কি অভিষিক্ত ব্যক্তিদের উদাহরণকে উপলব্ধি করি যারা বহু বছর ধরে বিশ্বস্তভাবে সেবা করে চলেছেন? আমি কি তাদের বিশ্বাসকে অনুকরণ করছি?’ বিরাট জনতার জন্য এটা মনে রাখা ভাল যে অভিষিক্ত ব্যক্তিরা এই পৃথিবীতে তাদের সঙ্গে চিরকাল থাকবেন না। যিহিষ্কেলের দর্শনে যাজকদের সম্বন্ধে যিহোবা বলেছিলেন: “তোমরা ইস্রায়েলের মধ্যে তাহাদিগকে কোন স্বত্ব [ভূমি] দিবে না, আমিই তাহাদের স্বত্ব।” (যিহিষ্কেল ৪৪:২৮) একইভাবে, অভিষিক্তদের পৃথিবীতে কোন চিরস্থায়ী স্থান নেই। তাদের স্বর্গীয় উত্তরাধিকার রয়েছে; আর তাই বিরাট জনতা মনে করেন যে এই সময় তারা যখন পৃথিবীতে আছেন তখন তাদের সমর্থন ও উৎসাহিত করাকে তারা এক বিশেষ আশীর্বাদ বলে মনে করেন।—মথি ২৫:৩৪-৪০; ১ পিতর ১:৩, ৪.

অধ্যক্ষ—তিনি কে?

১৩, ১৪. (ক) কেন অধ্যক্ষ অবশ্যই অপর মেষের অন্তর্ভুক্ত? (খ) অধ্যক্ষ কাদের চিত্রিত করে?

১৩ এখন এক আগ্রহজনক প্রশ্ন ওঠে। তাহলে এই অধ্যক্ষ কাদেরকে চিত্রিত করে? যেহেতু অধ্যক্ষের দ্বারা একজন ব্যক্তি এবং একটা দলকে বোঝানো হয়েছে তাই আমরা ধরে নিতে পারি যে এটা লোকেদের একটা শ্রেণীকে চিত্রিত করে। (যিহিষ্কেল ৪৪:৩; ৪৫:৮, ৯) কিন্তু এরা কারা? অভিষিক্তেরা যে নন তাতে কোন সন্দেহ নেই। এই দর্শনে তিনি যাজকদের সঙ্গে একসাথে কাজ করেন কিন্তু তিনি যাজক নন। যাজকীয় শ্রেণী ভূমি পায়নি কিন্তু তাকে ভূমির উত্তরাধিকার দেওয়া হয়েছে আর তাই তার ভবিষ্যৎ এই পৃথিবীতে, স্বর্গে নয়। (যিহিষ্কেল ৪৮:২১) এছাড়াও যিহিষ্কেল ৪৬:১০ পদ বলে: “অধ্যক্ষ তাহাদের মধ্যে থাকিয়া তাহাদের [অযাজকীয় বংশের] প্রবেশকালে [মন্দিরের বহিঃস্থ প্রাঙ্গণে] প্রবেশ করিবেন, ও তাহাদের বাহির হইয়া আসিবার সময় বাহির হইবেন।” তিনি অন্তঃস্থ প্রাঙ্গণে প্রবেশ করেন না কিন্তু বহিঃস্থ প্রাঙ্গণে উপাসনা করেন ও লোকেদের সঙ্গে মন্দিরে যাওয়া আসা করেন। এই বিষয়গুলো থেকে নিশ্চিতভাবে বোঝা যায় যে অধ্যক্ষ শ্রেণী অপর মেষের রক্ষাপ্রাপ্ত বিরাট জনতার মধ্যে রয়েছেন।

১৪ এটা স্পষ্ট যে ঈশ্বরের লোকেদের মধ্যে অধ্যক্ষের কিছু দায়িত্ব রয়েছে। তিনি বহিঃস্থ প্রাঙ্গণের পূর্বদ্বারের বারান্দায় বসেন। (যিহিষ্কেল ৪৪:২, ৩) এটা সমস্তকিছু দেখাশুনা করার জন্য এক পদকে বোঝায় আর এটা ইস্রায়েলের বিচারকদের পদের সঙ্গে মিল রাখে যারা নগরের দ্বারে বসতেন এবং বিচার করতেন। (রূতের বিবরণ ৪:১-১২; হিতোপদেশ ২২:২২) আজকে অপর মেষেদের মধ্যে কারা দেখাশোনার কাজ করেন? প্রাচীনেরা যাদের পার্থিব আশা আছে এবং যারা পবিত্র আত্মা দ্বারা নিযুক্ত। (প্রেরিত ২০:২৮) সুতরাং এখন অধ্যক্ষ শ্রেণীকে তৈরি করা হচ্ছে যাতে করে তারা নতুন জগতে প্রশাসনিক পদে পরিচর্যা করতে পারেন।

১৫. (ক) কিভাবে যিহিষ্কেলের দর্শন বিরাট জনতা এবং অভিষিক্ত যাজকীয় শ্রেণীর প্রাচীনদের সম্পর্কের প্রতি আলোকপাত করে? (খ) অভিষিক্ত প্রাচীনেরা ঈশ্বরের পার্থিব সংগঠনে কোন্‌ নেতৃত্ব দেন?

১৫ কিন্তু আজকে অভিষিক্ত যাজক শ্রেণী এবং এই প্রাচীনদের মধ্যে কী সম্পর্ক রয়েছে, যারা বিরাট জনতার অংশ কিন্তু এখন তত্ত্বাবধানের কাজ করছেন? যিহিষ্কেলের দর্শন থেকে জানা যায় যে অভিষিক্ত ব্যক্তিরা আধ্যাত্মিক নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন আর এই প্রাচীনেরা যারা বিরাট জনতার সদস্য তারা তাদের সাহায্য করেন ও তাদের অধীনে থেকে কাজ করেন অর্থাৎ এক গৌণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। কিভাবে? স্মরণ করুন যে দর্শনে লোকেদের আধ্যাত্মিক বিষয়গুলো শেখানোর জন্য যাজকদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে আইন সংক্রান্ত বিষয়গুলোকে মীমাংসা করতেও বলা হয়েছিল। এছাড়াও, লেবীয়দেরকে মন্দিরের দ্বারগুলোর ‘পরিদর্শক’ হওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। (যিহিষ্কেল ৪৪:১১, ২৩, ২৪) স্পষ্টতই, অধ্যক্ষকে নম্রতার সঙ্গে যাজকদের আধ্যাত্মিক কাজগুলো এবং নেতৃত্বের প্রতি বশীভূত থাকতে হতো। তাহলে আজকের দিনেও অভিষিক্তেরা বিশুদ্ধ উপাসনায় যে নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন তা যথার্থ। উদাহরণস্বরূপ, যিহোবার সাক্ষীদের পরিচালক গোষ্ঠীর সদস্যদেরকে অভিষিক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে থেকে নেওয়া হয়। এই বিশ্বস্ত অভিষিক্ত প্রাচীনেরা দশকের পর দশক ধরে বৃদ্ধিরত অধ্যক্ষ শ্রেণীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছেন। তারা এই শ্রেণীর ভাবী সদস্যদের সেই দিনের জন্য তৈরি করছেন যখন ঈশ্বরের আসন্ন নতুন জগতে তাদের উপর পূর্ণমাত্রায় দায়িত্ব অর্পণ করা হবে।

১৬. যিশাইয় ৩২:১, ২ পদ অনুসারে সমস্ত প্রাচীনদের কিভাবে কাজ করতে হবে?

১৬ কিন্তু এই ভাবী সদস্যেরা কীধরনের তত্ত্বাবধায়ক, যারা অধ্যক্ষ শ্রেণী হিসাবে আরও বেশি দায়িত্ব পাবেন? যিশাইয় ৩২:১, ২ পদের ভবিষ্যদ্বাণী বলে: “দেখ, এক রাজা ধার্ম্মিকতায় রাজত্ব করিবেন, ও শাসনকর্ত্তৃগণ ন্যায়ে শাসন করিবেন। যেমন বাত্যা হইতে আচ্ছাদন, ও ঝটিকা হইতে অন্তরাল, যেমন শুষ্ক স্থানে জলস্রোত ও শ্রান্তিজনক ভূমিতে কোন প্রকাণ্ড শৈলের ছায়া, এক জন মনুষ্য তদ্রূপ হইবেন।” এই ভবিষ্যদ্বাণী আজকে পূর্ণ হচ্ছে যখন অভিষিক্ত ও অপর মেষ এই দুই শ্রেণীর খ্রীষ্টীয় প্রাচীনেরা তাড়না ও নিরুৎসাহিত হওয়ার মতো “ঝটিকা” থেকে পালকে সুরক্ষা করার জন্য কাজ করেন।

১৭. খ্রীষ্টান পালকেরা তাদের নিজেদের কিভাবে দেখবেন এবং পালের কিভাবে তাদেরকে দেখা উচিত?

১৭ ইব্রীয় ভাষায় “শাসনকর্ত্তৃগণ” এবং “অধ্যক্ষ” শব্দ দুটোর অর্থ একই। এগুলো লোকেদের উঁচু করে দেখানোর জন্য উপাধি হিসাবে ব্যবহৃত হয়নি। বরঞ্চ, ঈশ্বরের মেষদের দেখাশোনা করার জন্য এই ব্যক্তিরা যে দায়িত্বগুলো পালন করবেন বলে আশা করা হয়, এই শব্দ তার বর্ণনা দেয়। যিহোবা কঠোরভাবে সতর্ক করেন: “হে ইস্রায়েলের অধ্যক্ষগণ, ইহাই তোমাদের যথেষ্ট হউক; তোমরা দৌরাত্ম্য ও ধনাপহার দূর কর, ন্যায় ও ধার্ম্মিকতার অনুষ্ঠান কর।” (যিহিষ্কেল ৪৫:৯) আজকে এই পরামর্শ হৃদয়ে গ্রহণ করা সমস্ত প্রাচীনদের জন্য ভাল। (১ পিতর ৫:২, ৩) আর মেষপালও উপলব্ধি করেন যে যীশু “মনুষ্যদিগকে নানা বর” হিসাবে এই পালকদের দিয়েছেন। (ইফিষীয় ৪:৮) তাদের যে যোগ্যতাগুলো অর্জন করতে হবে তা ঈশ্বরের অনুপ্রাণিত বাক্যে দেওয়া হয়েছে। (১ তীমথিয় ৩:১-৭; তীত ১:৫-৯) তাই খ্রীষ্টানেরা প্রাচীনদের নেতৃত্বকে মানেন।—ইব্রীয় ১৩:৭.

১৮. আজকে অধ্যক্ষ শ্রেণীর কিছু দায়িত্ব কী এবং ভবিষ্যতে এই শ্রেণীর কী কী দায়িত্ব থাকবে?

১৮ বাইবেলের সময়ে কিছু অধ্যক্ষদের অনেক বেশি অধিকার ছিল আর অন্যদের কম ছিল। আজকে, বিরাট জনতার প্রাচীনদেরও নানা রকমের দায়িত্ব রয়েছে। কিছুজন একটা মণ্ডলীতে সেবা করেন; অন্যরা ভ্রমণ অধ্যক্ষ হিসাবে অনেক মণ্ডলীতে পরিচর্যা করেন; কেউ কেউ শাখা কমিটির সদস্য হিসাবে পুরো দেশে সেবা করেন; আবার অন্যেরা সরাসরিভাবে পরিচালক গোষ্ঠীর সঙ্গে বিভিন্ন বিভাগে সাহায্য করেন। নতুন পরিস্থিতিতে, যীশু “সমস্ত পৃথিবীতে অধ্যক্ষ” নিযুক্ত করবেন যারা পৃথিবীতে যিহোবার উপাসনাকারীদের মধ্যে নেতৃত্ব দেবেন। (গীতসংহিতা ৪৫:১৬) কোন সন্দেহ নেই যে যীশু আজকের এই বিশ্বস্ত প্রাচীনদের মধ্যে থেকেই অনেককে নির্বাচন করবেন। যেহেতু এই লোকেরা এখনই নিজেদেরকে যোগ্য করে তুলছেন, তাই ভবিষ্যতে তিনি এমনকি আরও মহৎ সুযোগ দেওয়ার জন্য অনেককে বেছে নেবেন আর তখন নতুন জগতে অধ্যক্ষ শ্রেণী কোন্‌ ভূমিকা পালন করবে তিনি তা জানাবেন।

আজকে ঈশ্বরের লোকেদের দেশ

১৯. যিহিষ্কেলের দর্শনের দেশ কী চিত্রিত করে?

১৯ যিহিষ্কেলের দর্শন ইস্রায়েলের পুনর্স্থাপিত দেশেরও বর্ণনা দিয়েছিল। এটা কী চিত্রিত করে? পুনর্স্থাপনের অন্য ভবিষ্যদ্বাণীগুলোতে আগেই বলা হয়েছিল যে ইস্রায়েল দেশ, এদনের মতো পরমদেশ হবে। (যিহিষ্কেল ৩৬:৩৪, ৩৫) আজকে আমরা এক পুনর্স্থাপিত দেশে বাস করছি আর এটাও এক অর্থে এদন বাগানের মতোই। এই কারণে আমরা প্রায়ই আধ্যাত্মিক পরমদেশের কথা বলি। প্রহরীদুর্গ আমাদের “দেশ”-কে ঈশ্বরের মনোনীত লোকেদের ‘কার্যকলাপের এক রাজ্য’ হিসাবে বলেছে।b যিহোবার একজন দাস যেখানেই থাকুন না কেন তিনি পুনর্স্থাপিত দেশে আছেন, যদিও তিনি খ্রীষ্ট যীশুর পদচিহ্ন অনুসরণ করে সত্য উপাসনা করে চলার চেষ্টা করে চলেছেন।—১ পিতর ২:২১.

২০. যিহিষ্কেলের দর্শনের “পবিত্র উপহার” থেকে আমরা কোন্‌ নীতি শিখতে পারি এবং আমরা কিভাবে এই নীতি কাজে লাগাতে পারি?

২০ “পবিত্র উপহার” নামে আখ্যাত ভূমিখণ্ডের বিষয়ে কী বলা যায়? যাজকদের এবং নগরের দেখাশোনার জন্য লোকেরা এই উপহার দিত। এইরকমই অধ্যক্ষদের জন্য ‘দেশের সমস্ত প্রজাদের’ একখণ্ড জমি দান করতে হতো। আজকে এটা কী বোঝায়? অবশ্যই এটা বোঝায় না যে ঈশ্বরের লোকেদের উপর বেতনভোগী পাদ্রিদের ভার চাপিয়ে দেওয়া হবে। (২ থিষলনীকীয় ৩:৮) বরঞ্চ, আজকে প্রাচীনদের মূলত আধ্যাত্মিক সমর্থন দেওয়া হয়। আর এই আধ্যাত্মিক সমর্থনের মধ্যে বর্তমানে যে কাজ হচ্ছে তাতে সাহায্য করা এবং সহযোগিতা করা ও বশ্যতা দেখানোর মনোভাব রয়েছে। তবুও, যিহিষ্কেলের দিনের মতো, এই উপহার “সদাপ্রভুর উদ্দেশে” দেওয়া হয় কোন মানুষকে নয়। (বাঁকা অক্ষরে মুদ্রণ আমাদের।)—যিহিষ্কেল ৪৫:১, ৭, ১৬.

২১. যিহিষ্কেলের দর্শনে ভূমি ভাগ করা থেকে আমরা হয়ত কী শিখতে পারি?

২১ এই পুনর্স্থাপিত দেশে কেবল অধ্যক্ষ এবং যাজকবর্গের জন্যই নির্ধারিত স্থান নেই। ভূমির ভাগ দেখায় যে ১২ বংশের প্রত্যেকে তাদের নিজের নিজের জমি পাবে। (যিহিষ্কেল ৪৭:১৩, ২২, ২৩) সুতরাং আজকে বিরাট জনতা যে শুধু আধ্যাত্মিক পরমদেশে জায়গা পেয়েছেন তাই-ই নয় কিন্তু যখন তারা ঈশ্বরের রাজ্যের পার্থিব অঞ্চলের অধিকারী হবেন তখন সেখানেও তারা তাদের নিজস্ব জায়গা পাবেন।

২২. (ক) যিহিষ্কেলের দর্শনের নগর কী চিত্রিত করে? (খ) নগরের চারিদিকে দ্বার রয়েছে এই বিষয়টা থেকে আমরা কী শিখতে পারি?

২২ পরিশেষে, দর্শনের নগর কী চিত্রিত করে? এটা কোন স্বর্গীয় নগর নয় কারণ এটা “অপবিত্র” (NW) দেশের মাঝখানে অবস্থিত। (যিহিষ্কেল ৪৮:১৫-১৭) সুতরাং এটা অবশ্যই পার্থিব বিষয়। কিন্তু, নগরটা কী? নগর বলতে কি এই ছবি মনে আসে না যেখানে লোকেরা একটা দল হিসাবে একসঙ্গে ব্যবস্থিত ও সংগঠিতভাবে থাকে? হ্যাঁ। সুতরাং নগর পার্থিব প্রশাসনকে চিত্রিত করে যা থেকে পৃথিবীর ধার্মিক সমাজের সকলে উপকৃত হবেন। এটা আসন্ন ‘নূতন পৃথিবীতে’ পুরোপুরি কাজ করবে। (২ পিতর ৩:১৩) নগরের চারিদিকেই দ্বার রয়েছে, আর প্রত্যেক বংশের জন্য এক একটা দ্বার রয়েছে যা স্পষ্টভাবে উন্মুক্ততাকে বর্ণনা করে। আজকে, ঈশ্বরের লোকেরা কোন গুপ্ত, নিগূঢ় সংগঠনের অধীনে নেই। দায়িত্বপ্রাপ্ত ভাইরা খোলামেলা; যে নীতিগুলো তাদের পরিচালিত করে তা সকলের কাছে পরিচিত। আর সমস্ত বংশের লোকেরা ভূমি চাষ করে যা নগরকে আর্থিকভাবে সমর্থন করে আর তা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে অপর মেষেরাও ঈশ্বরের লোকেদের জন্য জগদ্ব্যাপী যে সাংগঠনিক ব্যবস্থা রয়েছে তাতে এমনকি বস্তুগতভাবে সমর্থন করেন।—যিহিষ্কেল ৪৮:১৯, ৩০-৩৪.

২৩. পরের প্রবন্ধে আমরা কী আলোচনা করব?

২৩ মন্দিরের পবিত্র স্থান থেকে যে নদী বয়ে আসে সেই সম্পর্কেই বা কী বলা যায়? আজকে এবং ভবিষ্যতে তা কোন্‌ বিষয়কে চিত্রিত করে আর এটাই আমাদের এই ধারাবাহিক প্রবন্ধের তৃতীয় ও শেষ বিষয়।

[পাদটীকাগুলো]

a ওয়াচটাওয়ার বাইবেল অ্যান্ড ট্র্যাক্ট সোসাইটি দ্বারা প্রকাশিত প্রকাশিত বাক্য—এর মহান পরিপূর্ণতা সন্নিকট! (ইংরাজি) বইয়ের ৬৪ পৃষ্ঠার ২২ অনুচ্ছেদ দেখুন।

b ১৯৯৫ সালের ১লা জুলাই সংখ্যার প্রহরীদুর্গ এর ২০ পৃষ্ঠা দেখুন।

পুনরালোচনার বিষয়বস্তু

◻ যিহিষ্কেলের দর্শনের মন্দির কী চিত্রিত করে?

◻ মন্দিরে সেবারত যাজকবর্গ কাদের চিত্রিত করে?

◻ অধ্যক্ষ শ্রেণী কী এবং এই শ্রেণীর কিছু দায়িত্ব কী?

◻ যিহিষ্কেলের দর্শনের দেশ কী এবং কোন্‌ অর্থে এটা ১২ বংশের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে?

◻ নগর কী চিত্রিত করে?

[১৫ পৃষ্ঠার ডায়াগ্রাম/মানচিত্র]

যিহিষ্কেলের দর্শনে বর্ণিত ভূমির ভাগ

দ্বাদশ বংশ

মহা সাগর

গালীল সাগর

যর্দন নদী

লবণ সমুদ্র

দান

আশের

নপ্তালি

মনঃশি

ইফ্রয়িম

রূবেণ

যিহূদা

অধ্যক্ষ

বিন্যামীন

শিমিয়োন

ইষাখর

সবূলূন

গাদ

[ডায়াগ্রাম]

পবিত্র উপহারের বিস্তৃতি

ক. যিহোবা স্বয়ং সেখানে (যিহোবা শাম্মাহ্‌); খ. নগরের উৎপাদনশীল ভূমি

লেবীয়দের অংশ

যিহোবার পবিত্র স্থান

যাজকদের অংশ

খ ক খ

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার