ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w৯৯ ৭/১৫ পৃষ্ঠা ৪-৮
  • বাইবেলের ভবিষ্যদ্বাণীতে আপনি কেন বিশ্বাস রাখতে পারেন?

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • বাইবেলের ভবিষ্যদ্বাণীতে আপনি কেন বিশ্বাস রাখতে পারেন?
  • ১৯৯৯ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • তুলনামূলক বিষয়গুলো
  • আপনি কি বাইবেলের ভবিষ্যদ্বাণীতে বিশ্বাস করবেন?
  • বিশ্বাসযোগ্য ভবিষ্যদ্বাণীর খোঁজে
    ১৯৯৯ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে অনুমান করা
    প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে (জনসাধারণের সংস্করণ)—২০১৮
  • বাইবেলের ভবিষ্যদ্‌বাণী থেকে শিখুন
    প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য সম্বন্ধে ঘোষণা করে (অধ্যয়ন)—২০২৩
  • ঈশ্বরের রাজ্য এখন শাসন করছে!
    প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য সম্বন্ধে ঘোষণা করে (অধ্যয়ন)—২০২২
আরও দেখুন
১৯৯৯ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w৯৯ ৭/১৫ পৃষ্ঠা ৪-৮

বাইবেলের ভবিষ্যদ্বাণীতে আপনি কেন বিশ্বাস রাখতে পারেন?

উত্তর-পশ্চিম গ্রিসের রাজা পিরহাসের রোমীয় সাম্রাজ্যের সঙ্গে অনেক দিন ধরেই শত্রুতা ছিল। এর পরিণতি কী হবে তা জানার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে তিনি ডেলফি দেবমন্দিরের দেবদাসীর সঙ্গে পরামর্শ করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি যে উত্তর পেয়েছিলেন তার দুরকম অর্থ হতে পারে: (১) “হে একিয়াসের পুত্র, আমি বলছি তুমি রোম জয় করবে। তুমি যুদ্ধে যাবে আবার ফিরেও আসবে, তুমি যুদ্ধে কখনও মারা যাবে না। (২) হে একিয়াসের পুত্র, রোম তোমার ওপর জয় লাভ করতে পারে। তুমি যুদ্ধে যাবে কিন্তু কখনই ফিরে আসতে পারবে না, যুদ্ধেই তোমার মৃত্যু হবে।” তিনি ওই দৈববাণীর প্রথম অর্থকে ধরে নিয়ে রোমের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা করেছিলেন। আর ওই যুদ্ধে পিরহাস চরমভাবে পরাজিত হয়েছিলেন।

এইরকম কিছু ঘটনা দেখায় যে আগের দিনের দৈববাণীগুলো খুবই অস্পষ্ট হতো ও সেগুলো দুরকম অর্থ দিত। কিন্তু বাইবেলের ভবিষ্যদ্বাণী সম্বন্ধে কী বলা যায়? বাইবেলের কয়েকজন সমালোচক দাবি করেন যে বাইবেলের ভবিষ্যদ্বাণীগুলো অনেকটা দৈববাণীর মতোই। এই সমালোচকেরা মনে করেন যে বাইবেলের ভাববাণীগুলো খুবই বুদ্ধিমান লোকেরা, বিশেষ করে যাজকগোষ্ঠীর মধ্যে খুবই দক্ষ কিছু ব্যক্তি অনেক কিছু বিচার বিবেচনা করে লিখেছেন। অভিজ্ঞতা কিংবা বিশেষ কোন যোগাযোগ থাকায় এই লোকেরা বিভিন্ন ঘটনার ফলাফল কী হতে পারে তা হয়তো আগে থেকেই বুঝতে পারতেন। তাই বাইবেলের ভবিষ্যদ্বাণীর সঙ্গে এই দৈববাণীগুলোর কিছু বৈশিষ্ট্য তুলনা করলে আমরা সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারব।

তুলনামূলক বিষয়গুলো

দৈববাণীর প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল অস্পষ্টতা। যেমন, ডেলফিতে যে উত্তর দেওয়া হয়েছিল তা অস্পষ্ট ছিল। এজন্যই পুরোহিতদেরকে সেগুলো ব্যাখ্যা করে দিতে হতো আর তারা এমন কিছু ব্যাখ্যা তৈরি করেছিলেন যেগুলোর দুরকম অর্থ হতো। এর একটা জলন্ত উদাহরণ হল লিডিয়ার রাজা, ক্রোয়েসাসকে দেওয়া উত্তর। যখন তিনি দেবদাসীর সঙ্গে পরামর্শ করতে দেবমন্দিরে গিয়েছিলেন, তখন তাকে বলা হয়েছিল: “ক্রোয়েসাস যদি হ্যালিস পার হতে পারেন, তাহলে তিনি একটা শক্তিশালী সাম্রাজ্যকে ধ্বংস করতে পারবেন।” কিন্তু, যে “শক্তিশালী সামাজ্য” ধ্বংস হয়েছিল সেটা ছিল তারই সাম্রাজ্য! ক্রোয়েসাস যখন কাপ্পাদকিয়া জয় করার জন্য হ্যালিস নদী পার হয়েছিলেন তখন তিনি পারস্য রাজ, কোরসের কাছে চরমভাবে পরাজিত হয়েছিলেন।

কিন্তু বাইবেলের ভবিষ্যদ্বাণী পৌত্তলিক দৈববাণীগুলো থেকে আলাদা আর এগুলো যথার্থতা ও স্পষ্টতার জন্য উল্লেখযোগ্য। এর একটা উদাহরণ হল, বাবিলের পতন সম্বন্ধে ভবিষ্যদ্বাণী যা বাইবেলে যিশাইয়ের বইয়ে লেখা আছে। এটা ঘটার প্রায় ২০০ বছর আগে ভাববাদী যিশাইয় পুঙ্খানুপুঙ্খ ও ঠিক ঠিক ভাববাণী করেছিলেন যে মাদীয়-পারসিক সাম্রাজ্য বাবিলনকে ধ্বংস করবে। ওই ভবিষ্যদ্বাণীতে বলা হয়েছিল যে বিজয়ী ব্যক্তির নাম হবে কোরস। এছাড়াও সেখানে সেই যুদ্ধের রণনীতি সম্বন্ধে বলা হয়েছিল অর্থাৎ বলে দেওয়া হয়েছিল যে শহরের সুরক্ষা দানকারী নদীকে শুকিয়ে দেওয়া হবে আর সেই সুরক্ষিত শহরের খোলা দরজা দিয়ে শত্রুরা ভিতরে ঢুকবে। এগুলো সবই অক্ষরে অক্ষরে ফলেছিল। (যিশাইয় ৪৪:২৭-৪৫:২) এছাড়াও ভবিষ্যদ্বাণী করা ছিল যে শেষ পর্যন্ত বাবিলন একেবারে জনশূন্য হয়ে যাবে আর তাও সত্যি হয়েছিল।—যিশাইয় ১৩:১৭-২২.

এছাড়াও, একটু ভেবে দেখুন ভাববাদী যোনা যে সতর্কবাণী ঘোষণা করেছিলেন তা কত স্পষ্ট ছিল: “‘চল্লিশ দিন গত হইলে নীনবী উৎপাটিত হইবে।’” (যোনা ৩:৪) এখানে না বোঝার কিছুই নেই! আর ওই বার্তা এতই জোরালো এবং সরাসরি ছিল যে সঙ্গে সঙ্গে নীনবীর লোকেরা “ঈশ্বরে বিশ্বাস করিল; তাহারা উপবাস ঘোষণা করিল, এবং . . . চট পরিধান করিল।” তারা অনুতপ্ত হয়েছিল বলে যিহোবা নীনবীর লোকেদের তখন ধ্বংস করেননি।—যোনা ৩:৫-১০.

রাজনৈতিক প্রভাব সৃষ্টি করার জন্য দৈববাণী ব্যবহার করা হতো। শাসক ও সেনাপতিরা প্রায়ই নিজেদের স্বার্থ ও উদ্দেশ্যগুলো হাসিল করার জন্য নিজেদের পছন্দ মতো ব্যাখ্যা করতেন আর এভাবেই তারা “ঐশিক রহস্য” জানাতেন। কিন্তু ঈশ্বরের ভবিষ্যদ্বাণীগুলো নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তির পছন্দ মতো ছিল না বরং তা সবার জন্য ছিল।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়: যিহোবার ভাববাদী নাথন, রাজা দায়ূদকে তার অপরাধের জন্য তিরস্কার করতে পিছপা হননি। (২ শমূয়েল ১২:১-১২) ইস্রায়েলের দশ বংশের ওপর যারবিয়াম দ্বিতীয় যখন শাসন করেছিলেন, তখন ভাববাদী হোশেয় ও আমোষ বিদ্রোহী রাজা ও তার সমর্থকদেরকে তাদের ভণ্ডামী এবং ঈশ্বরের অসম্মানজনক কাজ করার জন্য তীব্র নিন্দা করেছিলেন। (হোশেয় ৫:১-৭; আমোষ ২:৬-৮) বিশেষ করে রাজাকে ভাববাদী আমোষের মাধ্যমে যিহোবা যে সতর্কবাণী দিয়েছিলেন তা আরও বেশি তীব্র ছিল: “আমি খড়্গ লইয়া যারবিয়ামের কুলের বিরুদ্ধে উঠিব।” (আমোষ ৭:৯) যারবিয়ামের পুরো কুলকে চিরতরে ধ্বংস করা হয়েছিল।—১ রাজাবলি ১৫:২৫-৩০; ২ বংশাবলি ১৩:২০.

বেশিরভাগ সময়েই দৈববাণীর জন্য টাকা-পয়সা দিতে হতো। একজন যত বেশি টাকা দিত তাকে তার পছন্দ মতো দৈববাণী শোনানো হতো। সুতরাং, যারা ডেলফির দেবমন্দিরে যেতেন তারা শুধু আজেবাজে তথ্য পাওয়ার জন্য অবাধে পয়সা ঢালতেন। এভাবে এপোলোর মন্দির ও এর আশেপাশের মন্দিরগুলো প্রচুর ধনদৌলতে ভরে গিয়েছিল। অন্যদিকে, বাইবেলের ভবিষ্যদ্বাণীগুলো কোন মূল্য ছাড়াই এবং কোন পক্ষপাত না করেই দেওয়া হতো। তা ব্যক্তির সামাজিক পদমর্যাদা যাই থাকুক বা যত ধনসম্পদের মালিকই তিনি হোন না কেন, কারণ একজন সত্য ভাববাদী কখনও ঘুষ নেন না। ভাববাদী ও বিচারক, শমূয়েল মন থেকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন: “আমি . . . আপন চক্ষু অন্ধ করিবার জন্য কাহার হস্ত হইতে উৎকোচ গ্রহণ করিয়াছি?”—১ শমূয়েল ১২:৩.

দৈববাণী শুধু গুটিকয়েক জায়গা থেকেই শোনা যেত বলে, কেউ তা জানতে চাইলে তাকে অনেক পথ পাড়ি দিতে হতো। বেশিরভাগ লোকেদের জন্য সেখানে যেতে খুব কষ্ট হতো কারণ ডোডোনা দেবমন্দিরটা ছিল ইপ্রিয়াসের টোমারাস পর্বতের ওপর আর ডেলফি দেবমন্দির ছিল মধ্য গ্রিসের পার্বত্য এলাকায়। সাধারণত ধনী ও ক্ষমতাবান লোকেরা এই দেবমন্দিরগুলোতে দেবতাদের সঙ্গে পরামর্শ করার জন্য যেতে পারতেন। এছাড়াও, বছরে শুধু অল্প কয়েকদিনই “দেবতাদের ইচ্ছা” প্রকাশ পেত। কিন্তু এর বিপরীতে, লোকেদের জরুরি কিছু জানাতে হলে যিহোবা ঈশ্বর তাঁর বার্তাবাহকদেরকে সরাসরি তাদের কাছে পাঠিয়ে দিতেন। যেমন, যিহূদীরা যখন বাবিলনের নির্বাসনে ছিল তখন তাঁর লোকেদের মধ্যে কাজ করার জন্য যিহোবা কমপক্ষে তাঁর তিনজন ভাববাদীকে পাঠিয়েছিলেন—যিরূশালেমে যিরমিয়, নির্বাসিতদের সঙ্গে যিহিষ্কেল এবং বাবিলন সাম্রাজ্যের রাজধানীতে দানিয়েল।—যিরমিয় ১:১, ২; যিহিষ্কেল ১:১; দানিয়েল ২:৪৮.

পুরোহিতেরা সাধারণত গোপনে দৈববাণী বলতেন যাতে যার জন্য তা বলা হচ্ছে সে সেটাকে নিজের ইচ্ছা মতো অর্থ করে নিতে পারে। অন্যদিকে, বাইবেলের ভবিষ্যদ্বাণীগুলো সাধারণত সবার সামনে শোনানো হতো যাতে সবাই ওই বার্তা শুনতে পারে এবং বুঝতে পারে যে তাদের কী করতে হবে। ভাববাদী যিরমিয় যদিও জানতেন যে তার বার্তাগুলো ওই শহরের নেতা ও লোকেদের খুব একটা ভাল লাগবে না, তবুও তিনি অনেক বার সবার সামনেই সেগুলো বলেছিলেন।—যিরমিয় ৭:১, ২.

আজকে, দৈববাণীগুলো প্রাচীন ইতিহাসের পাতায় ঢাকা পড়ে গেছে। এই কঠিন শেষকালে যারা বাস করছেন তাদের জন্য এগুলো কোন কাজেই আসে না। কোন দৈববাণীই আমাদের দিন অথবা ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করে না। কিন্তু অন্যদিকে বাইবেলের ভবিষ্যদ্বাণীগুলো “ঈশ্বরের . . . জীবন্ত ও কার্য্যসাধক” বাক্যগুলোর অংশ। (ইব্রীয় ৪:১২) বাইবেলের যে ভবিষ্যদ্বাণীগুলো পরিপূর্ণ হয়ে গেছে সেগুলো দেখায় যে যিহোবা কীভাবে সবসময় লোকেদের সঙ্গে ব্যবহার করেছেন এবং তা তাঁর উদ্দেশ্য ও ব্যক্তিত্ব সম্বন্ধে জরুরি অনেক তথ্য প্রকাশ করে। এছাড়াও, বাইবেলের প্রধান ভবিষ্যদ্বাণীগুলো অদূর ভবিষ্যতে পূর্ণ হবে। সামনে কী রয়েছে তা বর্ণনা করে প্রেরিত পিতর লিখেছিলেন: “তাঁহার [ঈশ্বরের] প্রতিজ্ঞা অনুসারে আমরা এমন নূতন আকাশমণ্ডলের [স্বর্গীয় মশীহ রাজ্য] ও নূতন পৃথিবীর [ধার্মিক মানব সমাজের] অপেক্ষায় আছি, যাহার মধ্যে ধার্ম্মিকতা বসতি করে।”—২ পিতর ৩:১৩.

বাইবেলের ভবিষ্যদ্বাণী ও মিথ্যা ধর্মের দৈববাণীগুলোর মধ্যে এই তুলনা দেখে আপনিও হয়তো এইরকম বলতে চাইবেন যেমন মহান ধারণাগুলো (ইংরেজি) নামের বই বলে: “মরণশীল মানুষের ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে জানার বিষয়টা যখন ওঠে তখন তাতে ইব্রীয় ভাববাদীদের সঙ্গে আর কারও তুলনা চলে না। পৌত্তলিক গণক অথবা ভবিষ্যদ্বক্তাদের মতো . . . ঈশ্বরের গুপ্ত বিষয়গুলো জানার জন্য তাদের কোন তন্ত্রমন্ত্রের সাহায্য নিতে হয়নি। . . . তাদের বেশিরভাগ ভবিষ্যদ্বাণী স্পষ্ট, দৈববাণীর মতো সেগুলো অস্পষ্ট নয়। এখান থেকে অন্তত এটুকু বোঝা যায় যে তারা এইসমস্ত বিষয়ে ঈশ্বরের পরিকল্পনাকে লুকিয়ে রাখতে নয় কিন্তু প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন কারণ ঈশ্বর নিজে চান যে মানুষ যেন জানতে পারে, ভবিষ্যতে কী ঘটতে চলেছে।”

আপনি কি বাইবেলের ভবিষ্যদ্বাণীতে বিশ্বাস করবেন?

বাইবেলের ভবিষ্যদ্বাণীতে আপনি বিশ্বাস করতে পারেন। আসলে, আপনি যিহোবা ও তাঁর ভবিষ্যদ্বাণীগুলোর পূর্ণতাকে ঘিরে আপনার জীবন গড়ে তুলতে পারেন। বাইবেলের ভবিষ্যদ্বাণী পূর্ণ হয়ে যাওয়া কোন মৃত ইতিহাস নয়। বাইবেলের আরও অনেক ভবিষ্যদ্বাণী আজকে পূর্ণ হচ্ছে বা নিকট ভবিষ্যতে পরিপূর্ণ হবে। অতীতের কথা মনে রেখে আমরা পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারি যে সেগুলো পরিপূর্ণ হবেই। যেহেতু এই ভবিষ্যদ্বাণীগুলো আমাদের দিনের জন্য এবং আমাদের ভবিষ্যৎকে জড়িত করে, তাই সেগুলোকে আমাদের গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া ভাল।

বাইবেলের যিশাইয় ২:২, ৩ পদে যে ভবিষ্যদ্বাণী পাওয়া যায় সেটাকে আপনি পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারেন: “শেষকালে এইরূপ ঘটিবে; সদাপ্রভুর গৃহের পর্ব্বত পর্ব্বতগণের মস্তকরূপে স্থাপিত হইবে, . . . আর অনেক দেশের লোক যাইবে, বলিবে, চল, আমরা সদাপ্রভুর পর্ব্বতে, . . . গিয়া উঠি; তিনি আমাদিগকে আপন পথের বিষয়ে শিক্ষা দিবেন।” আজ লাখ লাখ লোকেরা যিহোবার উচ্চীকৃত উপাসনাকে গ্রহণ করছেন এবং তাঁর পথে চলতে শিখছেন। আপনি কি এই সুযোগে ঈশ্বরের পথ সম্বন্ধে আরও বেশি শিখতে চান এবং তাঁর পথে চলার জন্য, তাঁর ও তাঁর উদ্দেশ্যগুলোর বিষয়ে সঠিক জ্ঞান নিতে চান?—যোহন ১৭:৩.

বাইবেলের আরেকটা ভবিষ্যদ্বাণীর পরিপূর্ণতা আমাদেরকে তাড়াতাড়ি পদক্ষেপ নিতে উৎসাহ দেয়। অদূর ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে গীতরচক গেয়েছিলেন: “দুরাচারগণ উচ্ছিন্ন হইবে, . . . ক্ষণকাল, পরে দুষ্ট লোক আর নাই।” (গীতসংহিতা ৩৭:৯, ১০) দুষ্টদের অর্থাৎ বাইবেলের ভবিষ্যদ্বাণীকে যারা তুচ্ছ করে, তাদেরকে ধ্বংস করার সময় রক্ষা পেতে হলে আমাদের কী করা দরকার বলে আপনি মনে করেন? ওই একই গীত উত্তর দেয়: “যাহারা সদাপ্রভুর অপেক্ষা করে, তাহারাই দেশের অধিকারী হইবে।” (গীতসংহিতা ৩৭:৯) যিহোবার অপেক্ষা করার অর্থ হল, যিহোবার প্রতিজ্ঞাগুলোতে পুরোপুরি বিশ্বাস করা এবং তাঁর মানগুলোর সঙ্গে মিল রেখে জীবনযাপন করা।—হিতোপদেশ ২:২১, ২২.

সেইসময় জীবন কেমন হবে যখন যারা যিহোবার অপেক্ষা করেন তারা পৃথিবীর অধিকারী হবেন? বাইবেলের ভবিষ্যদ্বাণীগুলো বলে যে বাধ্য মানুষদের জন্য সুন্দর এক ভবিষ্যৎ রয়েছে। ভাববাদী যিশাইয় লিখেছিলেন: “তৎকালে অন্ধদের চক্ষু খোলা যাইবে, আর বধিরদের কর্ণ মুক্ত হইবে। তৎকালে খঞ্জ হরিণের ন্যায় লম্ফ দিবে, ও গোঙ্গাদের জিহ্বা আনন্দগান করিবে; কেননা প্রান্তরে জল উৎসারিত হইবে, ও মরুভূমির নানা স্থানে প্রবাহ হইবে।” (যিশাইয় ৩৫:৫, ৬) প্রেরিত যোহন এই আশ্বাসজনক বাক্যগুলো লিখেছিলেন: “তিনি [যিহোবা] তাহাদের সমস্ত নেত্রজল মুছাইয়া দিবেন; এবং মৃত্যু আর হইবে না; শোক বা আর্ত্তনাদ বা ব্যথাও আর হইবে না; কারণ প্রথম বিষয় সকল লুপ্ত হইল। আর যিনি সিংহাসনে বসিয়া আছেন, তিনি কহিলেন, . . . লিখ, কেননা এ সকল কথা বিশ্বসনীয় ও সত্য।”—প্রকাশিত বাক্য ২১:৪, ৫.

যিহোবার সাক্ষিরা জানেন যে বাইবেল হল বিশ্বাসযোগ্য ভবিষ্যদ্বাণীর বই। আর তারা প্রেরিত পৌলের কথাগুলোর সঙ্গেও পুরোপুরি একমত: “ভাববাণীর বাক্য দৃঢ়তর হইয়া আমাদের নিকটে রহিয়াছে; তোমরা যে সেই বাণীর প্রতি মনোযোগ করিতেছ, তাহা ভালই করিতেছ; তাহা এমন প্রদীপের তুল্য, যাহা যে পর্য্যন্ত দিনের আরম্ভ না হয় এবং প্রভাতীয় তারা তোমাদের হৃদয়ে উদিত না হয়, সেই পর্য্যন্ত অন্ধকারময় স্থানে দীপ্তি দেয়।” (২ পিতর ১:১৯) আমরা মনেপ্রাণে চাই, বাইবেল ভবিষ্যতের জন্য যে চমৎকার আশাগুলো তুলে ধরে সেগুলো জেনে আপনি খুশি হন।

[Box/Pictures on page 6]

ডেলফির দেবমন্দির প্রাচীন গ্রিসের সবচেয়ে প্রসিদ্ধ জায়গা ছিল।

উন্মাদনার ধোঁয়া এই দেবদাসীর মধ্যে একরকম ভাব জাগিয়ে তুলত

[Pictures]

দেবদাসী এই বেদীর ওপর বসে তার দৈববাণীগুলো বলতেন

তিনি যে বাণীগুলো বলতেন সেগুলোকে এপোলো দেবতার বাণী বলে মনে করা হতো

[Credit Lines]

তেপায়া: From the book Dictionary of Greek and Roman Antiquities; অ্যাপোলো: The Complete Encyclopedia of Illustration/J. G. Heck

[৭ পৃষ্ঠার চিত্র]

ডেলফির দেবমন্দিরে যে সব ভবিষ্যদ্বাণী করা হতো সেগুলো একেবারেই নির্ভরযোগ্য ছিল না

[সজন্যে]

Delphi, Greece

[৮ পৃষ্ঠার চিত্র]

নতুন জগৎ সম্বন্ধে বাইবেলের ভবিষ্যদ্বাণীতে আপনি পুরোপুরি বিশ্বাস রাখতে পারেন

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার