ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w৯৯ ১০/১৫ পৃষ্ঠা ২৮-৩১
  • ঈশ্বরের বাক্যের প্রেমিকদের জন্য এক উল্লেখযোগ্য ঘটনা

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • ঈশ্বরের বাক্যের প্রেমিকদের জন্য এক উল্লেখযোগ্য ঘটনা
  • ১৯৯৯ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • নতুন অনুবাদ কেন?
  • অদ্বিতীয় বৈশিষ্ট্যগুলো
  • ঈশ্বরের নামকে পুনরুদ্ধার করা
  • যাদের ভাষা ইংরেজি নয় এমন লোকেদের কাছে পৌঁছে দেওয়া
  • নতুন জগৎ অনুবাদ এর প্রতি সারা পৃথিবীর লক্ষ লক্ষ ব্যক্তি উপলব্ধি দেখিয়েছেন
    ২০০১ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • ঈশ্বরের বাক্যের এক সমসাময়িক অনুবাদ
    ২০১৫ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • যিহোবা হলেন ভাববিনিময়কারী ঈশ্বর
    ২০১৫ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • কেন আমরা বাইবেলের অন্য একটা অনুবাদ প্রকাশ করেছি?
    আজকে কারা যিহোবার ইচ্ছা পালন করছে?
আরও দেখুন
১৯৯৯ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w৯৯ ১০/১৫ পৃষ্ঠা ২৮-৩১

ঈশ্বরের বাক্যের প্রেমিকদের জন্য এক উল্লেখযোগ্য ঘটনা

ঈশ্বরের বাক্যকে ভালবাসেন এমন সকলের জন্য ১৯৯৮ সাল খুবই উল্লেখযোগ্য ছিল। ওই বছর পবিত্র শাস্ত্রের নতুন জগৎ অনুবাদ (ইংরেজি) এর ১০,০০,০০,০০০ কপি ছাপানো পূর্ণ হয়েছে। আর এর ফলে এই পর্যন্ত যত বাইবেল ছাপা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে এটাই হল সবচেয়ে বেশি বিতরিত বাইবেল!

এই ঘটনাটা বিশেষভাবে স্মরণীয়, কারণ এই বাইবেল ছাপানোর একেবারে শুরু থেকেই বিভিন্ন সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছিল। তারপরও এই অনুবাদ শুধু টিকেই থাকেনি কিন্তু সফলও হয়েছে, সারা পৃথিবীর লাখ লাখ লোকেদের গৃহে ও হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে! এই অদ্বিতীয় অনুবাদের মূলে কী রয়েছে? এর পিছনে কার হাত আছে? আর এটা ব্যবহার করে আপনি কীভাবে উপকার পেতে পারেন?

নতুন অনুবাদ কেন?

একশ বছরেরও বেশি সময় ধরে যিহোবার সাক্ষিদের বৈধ সংস্থা, ওয়াচ টাওয়ার বাইবেল অ্যান্ড ট্র্যাক্ট সোসাইটি বাইবেল বিতরণ করে আসছে। কিন্তু, কেন যিহোবার সাক্ষিরা ঈশ্বরের বাক্যকে নতুন করে অনুবাদ করা দরকার বলে মনে করেছিলেন? সাকায়ে কুবো এবং ওয়াল্টার স্পেক্টের এত এত সংস্করণ? (ইংরেজি) বইটা বলে: “বাইবেলের কোন অনুবাদকেই শেষ অনুবাদ বলে ধরে নেওয়া যায় না। বাইবেলের ওপর জ্ঞান বাড়ার ও ভাষার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে অনুবাদের ধারাও পরিবর্তন হয়।”

এই শতাব্দীর লোকেদের ইব্রীয়, গ্রিক ও অরামীয় ভাষায় জ্ঞান অনেকটা বেড়েছে। আর এই তিনটে ভাষাতেই প্রথমে বাইবেল লেখা হয়েছিল। এছাড়াও বাইবেলের পুরনো পাণ্ডুলিপিগুলোকে আবিষ্কার করা হয়েছে যা আগের যুগের বাইবেলের অনুবাদকেরা যে বাইবেল ব্যবহার করতেন সেগুলোর চেয়ে বেশি সঠিক। অতএব, আজকে ঈশ্বরের বাক্যকে আগের চেয়ে আরও বেশি সঠিকভাবে অনুবাদ করা যেতে পারে! তাই, উপযুক্ত কারণেই আজকের দিনের প্রচলিত ভাষাগুলোতে বাইবেল অনুবাদ করার জন্য নতুন জগৎ বাইবেল অনুবাদ কমিটি গঠন করা হয়েছিল।

১৯৫০ সালে ইংরেজি ভাষায় খ্রীষ্টান গ্রিক শাস্ত্রের নতুন জগৎ অনুবাদ (ইংরেজি) ছাপা হয়েছিল। এটা ছিল একটা সাহসী পদক্ষেপ কারণ এই অনুবাদের নাম ঐতিহ্য অনুযায়ী “নতুন” ও “পুরাতন” নিয়মে ভাগ করে রাখা হয়নি। পরের দশ বছরে ইব্রীয় শাস্ত্রের কিছু কিছু অংশ বেশ কিছুদিন পর পর ছাপানো হয়েছিল। পরে ১৯৬১ সালে পুরো বাইবেল একটা খণ্ডে ইংরেজি ভাষায় ছাপা হয়েছিল।

কিন্তু এই অসাধারণ বাইবেল কারা ছাপিয়েছিলেন? ১৯৫০ সালের ১৫ই সেপ্টেম্বর সংখ্যার প্রহরীদুর্গ (ইংরেজি) বলেছিল: “যে লোকেদের নিয়ে অনুবাদ কমিটি গঠন করা হয়েছিল তারা তাদের ইচ্ছা জানিয়েছিলেন . . . যেন তাদের নাম প্রকাশ করা না হয় এবং বিশেষভাবে তারা জীবিত থাকতে কিংবা তাদের মৃত্যুর পরও যেন তাদের নাম কেউ না জানে। এই অনুবাদের পিছনে উদ্দেশ্য হল জীবন্ত, সত্য ঈশ্বরের নামকে মহিমান্বিত করা।” কিছু সমালোচকেরা অভিযোগ করেছিলেন যে এই কাজটাকে সঙ্গে সঙ্গেই বন্ধ করে দেওয়া উচিত কারণ এটা কিছু অপেশাদার লোকেদের কাজ, তবে সকলেই এইরকম অযৌক্তিক মনোভাব দেখাননি। অ্যালেন এস. ডেইথ্‌ লেখেন: “কোন বাইবেল কারা অনুবাদ করেছেন বা ছাপিয়েছেন তা যদি আমরা জানি, তাহলেই কি আমরা বুঝতে পারব যে সেই অনুবাদটা ভাল না খারাপ? আমরা বুঝতে পারব না। প্রতিটা অনুবাদের বৈশিষ্ট্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার কোন বিকল্প নেই।”a

অদ্বিতীয় বৈশিষ্ট্যগুলো

লাখ লাখ নিরপেক্ষ পাঠকেরা নতুন জগৎ অনুবাদ পড়েছেন এবং বলেছেন যে এই অনুবাদ শুধু সহজই নয় কিন্তু পুরোপুরি সঠিকও। এর অনুবাদকেরা মূল ইব্রীয়, অরামীয় ও গ্রিক ভাষা থেকে অনুবাদ করেছেন, এই ভাষাগুলোতে যে ভাল ভাল বই রয়েছে সেগুলোর সাহায্য নিয়েছেন।b প্রাচীন পাঠ্যাংশে যেমন ছিল ঠিক সেভাবেই অনুবাদ করার চেষ্টা করা হয়েছে, তবে তা যেন সহজেই সবাই বুঝতে পারে সেই দিকেও নজর দেওয়া হয়েছে। তাই কিছু পণ্ডিত ব্যক্তি এই অনুবাদকে এর আনুগত্য ও যথার্থতার জন্য প্রশংসা করেছেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ১৯৬৩ সালের এনডোভার নিউটন কোয়াটারলি বলেছিল: “নতুন নিয়মের অনুবাদ প্রমাণ করে যে বাইবেল অনুবাদ করার সময় যে সমস্ত সমস্যা আসে সেগুলোকে মোকাবিলা করার মতো পণ্ডিত ব্যক্তিরা আছেন, যারা বেশ বুদ্ধির সঙ্গে সেগুলো সমাধান করেছেন।”

বাইবেলকে বোঝার জন্য অনুবাদকেরা এক নতুন পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। বাইবেলের কিছু কিছু বিষয় যা আগে খুব বেশি পরিষ্কার বোঝা যেত না সেগুলো বেশ স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, মথি ৫:৩ পদের দুর্বোধ্য কথাগুলো, “ধন্য যাহারা আত্মাতে দরিদ্র” (কিং জেমস সংস্করণ) কথাগুলোকে এভাবে অনুবাদ করা হয়েছে: “সুখী তারাই যারা তাদের আধ্যাত্মিক প্রয়োজনগুলো সম্বন্ধে সচেতন।” মূল শব্দগুলো অনুবাদ করার ক্ষেত্রে নতুন জগৎ অনুবাদ বেশ সংগতিপূর্ণ এবং মিল বজায় রেখেছে। গ্রিক শব্দ সাইকি-কে প্রতিবার “প্রাণ” অনুবাদ করা হয়েছে। ফলে, পাঠকেরা তাড়াতাড়ি বুঝতে পারেন যে বিভিন্ন ধর্মে যে মতবাদ আছে তা ভুল এবং প্রাণ অমর নয়!—মথি ২:২০; মার্ক ৩:৪; লূক ৬:৯; ১৭:৩৩.

ঈশ্বরের নামকে পুনরুদ্ধার করা

নতুন জগৎ অনুবাদ (ইংরেজি) এর এক উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল ঈশ্বরের নামকে পুনরুদ্ধার করা যা হল যিহোবা। প্রাচীন ইব্রীয় বাইবেলগুলোতে ঈশ্বরের নামকে চারটে ব্যঞ্জনবর্ণ দিয়ে লেখা হতো যা ইংরেজিতে YHWH অথবা JHVH. এই বিশেষ নামটা শুধু পুরনো নিয়মেই প্রায় ৭,০০০ বারের মতো রয়েছে। (যাত্রাপুস্তক ৩:১৫; গীতসংহিতা ৮৩:১৮, NW) এটা পরিষ্কার যে আমাদের স্রষ্টা চেয়েছিলেন তাঁর উপাসকেরা তাঁর নাম জানুক ও তাঁকে সেই নামে ডাকুক!

কিন্তু, কুসংস্কারের ভয়ে যিহূদী লোকেরা ঈশ্বরের নামকে ব্যবহার করেনি। যীশুর প্রেরিতদের মৃত্যুর পর, গ্রিক শাস্ত্রের প্রতিলিপিকারীরা ঈশ্বরের নামের জায়গায় গ্রিক শব্দ কাইরিয়োস (প্রভু) অথবা থিওস (ঈশ্বর) ব্যবহার করতে শুরু করেছিলেন। দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় যে আজকের অনুবাদকেরাও ঈশ্বরকে অসম্মান করে এমন কাজ করেছেন, বেশির ভাগ বাইবেল থেকে ঈশ্বরের নামকে মুছে ফেলেছেন, এমনকি ঈশ্বরের যে একটা নাম আছে তাও গোপন করেছেন। উদাহরণ হিসেবে যোহন ১৭:৬ পদে বলা যীশুর কথাগুলোই ধরুন: “আমি তাহাদের কাছে তোমার নাম প্রকাশ করিয়াছি।” কিন্তু, টুডেজ ইংলিশ ভারসান এই পদকে এভাবে অনুবাদ করে: “আমি তোমাকে জানিয়েছি।”

ঈশ্বরের নামকে বাদ দেওয়ার পিছনে পণ্ডিত ব্যক্তিরা এই অজুহাত দেখান যে ঈশ্বরের নামের সঠিক উচ্চারণ তাদের জানা নেই। কিন্তু, বাইবেলের কিছু সুপরিচিত চরিত্র যেমন যিরমিয়, যিশাইয় এবং যীশু এই নামগুলোকে ঠিকই অনুবাদ করা হয়েছে, যেগুলো মূল ইব্রীয় উচ্চারণের সঙ্গে খুব কমই মেলে। যেহেতু যিহোবা হল ঈশ্বরের নামের সঠিক উচ্চারণ এবং এই শব্দটা অনেকেই জানেন তাই এই নাম সম্বন্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা একবারেই যুক্তিযুক্ত নয়।

নতুন জগৎ বাইবেল অনুবাদ কমিটি, ইব্রীয় এবং গ্রিক দুই শাস্ত্রেই যিহোবার নাম ব্যবহার করে এক সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছে। সেন্ট্রাল আমেরিকা, দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল ও প্রাচ্যের লোকেদের জন্য প্রাচীন মিশনারিরা যে অনুবাদ করেছিলেন তাতেও ঈশ্বরের নাম ছিল। কিন্তু, তারা শুধু তাদের জানার আগ্রহকে মেটানোর জন্যই ঈশ্বরের নাম ব্যবহার করেননি। ঈশ্বরের নাম জানার ক্ষেত্রে সবচেয়ে জরুরি বিষয় হল তাঁকে একজন ব্যক্তি হিসেবে জানা। (যাত্রাপুস্তক ৩৪:৬, ৭) নতুন জগৎ অনুবাদ লাখ লাখ পাঠকদেরকে তাঁর নাম ব্যবহার করার জন্য উৎসাহ দিয়েছে!

যাদের ভাষা ইংরেজি নয় এমন লোকেদের কাছে পৌঁছে দেওয়া

১৯৬৩ সাল থেকে ১৯৮৯ সালের মধ্যে নতুন জগৎ অনুবাদ পুরো বা আংশিকভাবে দশটা ভাষায় অনুবাদ করা হয়। কিন্তু অনুবাদের কাজ খুবই কঠিন ছিল কারণ কিছু কিছু কাজে ২০ বছর বা তারও বেশি সময় লেগেছিল। তারপর, ১৯৮৯ সালে যিহোবার সাক্ষিদের প্রধান কার্যালয়ে ট্রান্সেলেশন সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্ট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। পরিচালক গোষ্ঠীর রচনা কমিটির নির্দেশে এই বিভাগ বাইবেলের অনুবাদকে আরও দ্রুত করে তুলেছে। বাইবেলের বিভিন্ন শব্দ গবেষণা করে এবং সেইসঙ্গে কমপিউটার প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে অনুবাদ করার জন্য একটা পদ্ধতি তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু এই পদ্ধতি কীভাবে কাজ করে?

রচনা কমিটি যখন কোন নতুন ভাষায় বাইবেল অনুবাদ করার অনুমতি দেয় তখন কয়েকজন উৎসর্গীকৃত খ্রীষ্টানদের নিয়ে অনুবাদের দল গঠন করা হয়। একা একা অনুবাদ করার চেয়ে দলগতভাবে অনুবাদ করলে অনুবাদের কাজ আরও ভাল ও সঠিক হয়। (হিতোপদেশ ১১:১৪ পদের সঙ্গে তুলনা করুন।) সাধারণত দলের প্রত্যেকের সোসাইটির বিভিন্ন বইপত্রিকা অনুবাদ করার অভিজ্ঞতা থাকে। তারপর সেই দলকে বাইবেল অনুবাদের পুঙ্খানুপুঙ্খ নীতির ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এবং বিশেষভাবে তৈরি কমপিউটার প্রোগ্রাম কীভাবে ব্যবহার করতে হবে সেই বিষয়ে শেখানো হয়। আসলে, কমপিউটার কোন অনুবাদ করে দেয় না কিন্তু এটা দলকে জরুরি তথ্য দিয়ে সাহায্য করতে পারে এবং তারা যে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেন তার রেকর্ড রাখতে সাহায্য করে।

বাইবেল অনুবাদের দুটো ধাপ আছে। প্রথম ধাপে অনুবাদকদের ইংরেজি নতুন জগৎ অনুবাদ-এ যে সমস্ত শব্দ ও বাক্যাংশ ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলোর একটা তালিকা দেওয়া হয়। যে ইংরেজি শব্দগুলোর মানে প্রায় একইরকম, যেমন “এটোন” “এটোনমেন্ট” ও “প্রপিশিয়েশন” এর মতো শব্দগুলোকে একই তালিকায় ভাগ করা হয় যাতে করে অনুবাদকেরা এই শব্দগুলোর যে সূক্ষ্ণ অর্থ রয়েছে তা বুঝতে পারেন। তারা মাতৃভাষার যে সমার্থ শব্দগুলো আছে তার একটা তালিকা তৈরি করেন। মাঝে মধ্যে কোন অনুবাদকের হয়তো কোন পদ অনুবাদ করতে সমস্যা হতে পারে। তখন কমপিউটার রিসার্চ সিস্টেম অনুবাদককে গ্রিক ও ইব্রীয় শব্দ সম্বন্ধে অনেক তথ্য জোগায় এবং ওয়াচ টাওয়ার প্রকাশনাগুলোও অনেক সাহায্য করে।

দ্বিতীয় ধাপে, যে ভাষায় অনুবাদ করা হচ্ছে সেই ভাষার নির্বাচিত শব্দগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাইবেলের পদের জায়গায় চলে আসে। এর ফলে অনুবাদ অনেক সঠিক এবং সংগতিপূর্ণ হয়। কিন্তু, তা যদি “সার্চ অ্যান্ড রিপ্লেস” করে করা হয়, তাহলে তা সহজে পড়া যায় না। বাইবেলের পদগুলো যেন সহজে পড়া যায় সেজন্য তাদেরকে যথেষ্ট কাজ করতে হয়।

অনুবাদের এই পদ্ধতি খুবই কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। একটা দল মাত্র দুবছরে ইব্রীয় শাস্ত্র অনুবাদ করতে পেরেছিল। অথচ কমপিউটারের সাহায্য ছাড়া আরেকটা দলের কাজ করতে প্রায় ১৬ বছর লেগেছিল। ১৯৮৯ সাল থেকে এই পর্যন্ত খ্রীষ্টান গ্রিক শাস্ত্র প্রায় ১৮টা ভাষায় ছাপা হয়েছে। নতুন জগৎ অনুবাদ হয় পুরো বা আংশিকভাবে এখন প্রায় ৩৪টা ভাষায় পাওয়া যায়। তাই প্রায় ৮০ শতাংশ যিহোবার সাক্ষিদের অন্তত খ্রীষ্টান গ্রিক শাস্ত্র তাদের নিজেদের ভাষায় আছে।

দি ইউনাইটেড বাইবেল সোসাইটি রিপোর্ট করে যে বিশ্বে ৬,৫০০টারও বেশি ভাষা আছে কিন্তু মাত্র ২,২১২টা ভাষায় বাইবেলের কিছু কিছু অংশ পাওয়া যায়।c তাই নতুন জগৎ অনুবাদ এর ইব্রীয় ও গ্রিক শাস্ত্র যথাক্রমে ১১ এবং ৮টা ভাষায় ছাপানোর জন্য প্রায় ১০০ জন অনুবাদক কাজ করে চলেছেন। ঈশ্বর চান “যেন সমুদয় মনুষ্য [সবধরনের লোকেরা] পরিত্রাণ পায়, ও সত্যের তত্ত্বজ্ঞান পর্য্যন্ত পঁহুছিতে পারে।” (১ তীমথিয় ২:৪) কোন সন্দেহ নেই যে এক্ষেত্রে নতুন জগৎ অনুবাদ এক বড় ভূমিকা পালন করবে।

তাই আমরা খুবই খুশি যে এই অনুবাদ ১০,০০,০০,০০০ কপি ছাপা হয়ে গেছে যা সত্যিই একটা উল্লেখযোগ্য ঘটনা এবং আমরা প্রার্থনা করি যেন ভবিষ্যতে আরও অনেক অনেক সংখ্যায় এটা ছাপা হয়। আমরা আপনাকে এটা পড়ার জন্য উৎসাহিত করছি। এর অনেক অসাধারণ বৈশিষ্ট্য দেখে আপনি খুশি হবেন: স্পষ্ট অক্ষর, পৃষ্ঠার শিরোনাম, সূচিপত্র যা আপনাকে জানা পদগুলো খুঁজে পেতে সাহায্য করবে, পুঙ্খানুপুঙ্খ মানচিত্র এবং আকর্ষণীয় অতিরিক্ত বিষয়বস্তু। এর চেয়েও বড় বিষয় হল আপনি পুরোপুরি আস্থা রাখতে পারেন যে আপনি নিজের ভাষায় ঈশ্বরের কথাগুলোর একেবারে সঠিক অনুবাদ পড়ছেন।

[পাদটীকাগুলো]

a আগ্রহের বিষয় হল, অ্যামেরিকান স্ট্যান্ডার্ড বাইবেল এর ১৯৭১ সালের সংস্করণের প্রচ্ছদেও একই কথা বলা হয়েছিল: “কোন রেফারেন্স ও প্রশংসা করার জন্য আমরা কোন পণ্ডিত ব্যক্তির নাম দিইনি, কারণ আমরা বিশ্বাস করি যে ঈশ্বরের বাক্য নিজের গুণেই সফল হবে।”

b ওয়েস্টকট ও হর্টের দ্বারা রচিত মূল গ্রিক ভাষায় নতুন নিয়ম (ইংরেজি), প্রধান গ্রিক পাঠ্যপুস্তক হিসেবে কাজ করেছিল। আর. কিটেলের বিবলিয়া হিবরেইকা ছিল ইব্রীয় শাস্ত্রের মূল পাঠ্যপুস্তক।

c যেহেতু অনেক লোকেরা দুটো ভাষায় কথা বলতে পারেন, পুরো বা আংশিকভাবে যতগুলো ভাষায় বাইবেল অনুবাদ করা হয়ছে, তাতে সারা পৃথিবীর প্রায় ৯০ শতাংশ লোক বাইবেল পড়তে পারবেন।

[২৯ পৃষ্ঠার ব্লার্ব]

“নতুন নিয়মের অনুবাদ প্রমাণ করে যে বাইবেল অনুবাদ করার সময় যে সমস্ত সমস্যা আসে সেগুলোকে মোকাবিলা করার মতো পণ্ডিত ব্যক্তিরা আছেন, যারা বেশ বুদ্ধির সঙ্গে সেগুলো সমাধান করেছেন।”—এনডোভার নিউটন কোয়াটারলি, জানুয়ারি ১৯৬৩

[৩০ পৃষ্ঠার ব্লার্ব]

“বাইবেলের ওপর জ্ঞান বাড়ার ও ভাষার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে অনুবাদের ধারাও পরিবর্তন হয়”

[৩১ পৃষ্ঠার বাক্স//চিত্র]

পণ্ডিত ব্যক্তিরা নতুন জগৎ অনুবাদ এর প্রশংসা করেন

খ্রীষ্টান গ্রিক শাস্ত্রের নতুন জগৎ অনুবাদ সম্বন্ধে অ্যান অ্যামেরিকান ট্রান্সলেশন-এ গ্রিক “নতুন নিয়ম” এর অনুবাদক, জে. গুডস্পিড ১৯৫০ সালের ৮ই ডিসেম্বর এর একটা চিঠিতে লিখেছিলেন: “আপনাদের লোকেদের পরিশ্রম এবং সারা পৃথিবীতে এই কাজের পরিধি দেখে আমি অনেক খুশি হয়েছি আর সঠিক, স্পষ্ট ও প্রাণবন্ত অনুবাদ পড়েও আমি খুবই খুশি। আমি হলফ করে বলতে পারি যে এখান থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।”

ইব্রীয় এবং গ্রিক পণ্ডিত আলেকজান্ডার থমসন লিখেছিলেন: “এটা খুবই পরিষ্কার যে এটা যারা অনুবাদ করেছেন তারা খুবই দক্ষ ও বুদ্ধিমান, গ্রিক ভাষায় কোন শব্দের প্রকৃত অর্থকে ইংরেজিতে যতটা পরিষ্কারভাবে প্রকাশ করা যায় তার জন্য তারা অনেক চেষ্টা করেছেন।”—দ্যা ডিফারেনসিয়েটার, এপ্রিল ১৯৫২, পৃষ্ঠা ৫২-৭.

ইস্রায়েলের একজন ইব্রীয় অধ্যাপক, বেঞ্জামিন কাদের ১৯৮৯ সালে বলেছিলেন: “ইব্রীয় বাইবেল ও বিভিন্ন অনুবাদের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কোন শব্দ নিয়ে গবেষণা করার সময় আমি প্রায়ই নতুন জগৎ অনুবাদ এর ইংরেজি সংস্করণ দেখে থাকি। তা করার সময় আমি সবসময়ই নিশ্চিত থাকি যে অনুবাদকে যথাসম্ভব যথার্থ ও বোধগম্য করার জন্য এই কাজের পিছনে আন্তরিক প্রচেষ্টা রয়েছে।”

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার