ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w০০ ১২/১ পৃষ্ঠা ২৯-৩১
  • আপনার কি এটা বিশ্বাস করতেই হবে?

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • আপনার কি এটা বিশ্বাস করতেই হবে?
  • ২০০০ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • দক্ষ লোকেরা কি সবসময়ই ঠিক?
  • “অযথারূপে বিদ্যা নামে আখ্যাত”
  • বাইবেল ঈশ্বরের কাছ থেকে পাওয়া এক নির্দেশিকা
  • “যুক্তি করার ক্ষমতা”
  • বিজ্ঞান এবং বাইবেল এগুলো কি আসলে পরস্পরবিরোধী?
    ২০০৫ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • সঠিক কারণটি চিন্তা করুন জ্ঞানবানের ন্যায় কাজ করুন
    ২০০৩ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • আপনি যেভাবে ‘শিক্ষাদান’ করেন, তাতে মনোযোগ দিন
    ২০০৮ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • আপনি যা বিশ্বাস করেন তা কেন করেন?
    ২০০১ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
আরও দেখুন
২০০০ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w০০ ১২/১ পৃষ্ঠা ২৯-৩১

আপনার কি এটা বিশ্বাস করতেই হবে?

বারো বছরের এক ছাত্র বীজগণিতের মূল নীতিগুলো বোঝার চেষ্টা করছে। মাস্টারমশাই ক্লাসে বীজগণিতের একটা ফরমূলা এমনভাবে শেখাচ্ছিলেন যা মনে হচ্ছিল যে ঠিক আর খুবই সোজা।

মাস্টারমশাই শুরু করেন, মনে করো x=y আর দুটো রাশির মান ১.

ছাত্র ভাবে এই পর্যন্ত ঠিকই আছে।

কিন্তু এই ঠিক মনে হওয়া অঙ্কেরই ফল চার লাইন পরে যা হয় তা দেখে ছাত্ররা একেবারে অবাক হয়ে যায়। মাস্টারমশাই বলেন: “সুতরাং ২=১!”

এরপর মাস্টারমশাই তার হতবাক ছাত্রদের বলেন, “এবার এটাকে ভুল প্রমাণ কর।”

বীজগণিত ভাল করে না জানায় কমবয়সী ছাত্র বুঝতেই পারে না যে কী করে সে এটাকে ভুল প্রমাণ করবে। প্রত্যেকটা লাইনই মনে হচ্ছে যেন ঠিক আছে। তাহলে এই ছাত্র কি বিশ্বাস করবে যে অঙ্কটা ঠিক আছে? কারণ মাস্টারমশাই ছাত্রের চেয়ে অনেক ভাল অঙ্ক জানেন। কিন্তু ছাত্রের তা বিশ্বাস করা উচিত নয়! সে মনে মনে ভাবে, ‘এটা ভুল প্রমাণ করার কোন দরকারই পড়ে না। সাধারণ জ্ঞান থেকেই বোঝা যায় যে এটা হতেই পারে না।’ (হিতোপদেশ ১৪:১৫, ১৮) সে জানত যে তার মাস্টারমশাই বা তার ক্লাসের ছাত্রদের কেউই দুটাকার বদলে এক টাকা নেবে না!

কিছু সময় পরে এই ছাত্র বুঝতে পারে যে এই অঙ্কে কী ভুল ছিল। কিন্তু এই ঘটনা তাকে অনেক কিছু শিখিয়েছিল। সে বুঝেছিল যে এমনকি যদি খুব জ্ঞানী ব্যক্তিও খুব জোরের সঙ্গে এমনকিছু বলেন যা ওপর থেকে হয়তো ঠিক বলে মনে হচ্ছে কিন্তু যাকে এটা ভুল বলে প্রমাণ করতে বলা হচ্ছে সে পারছে না বলেই যে সে এটা বিশ্বাস করে নেবে, তা নয়। সেই ছাত্র আসলে বাইবেলের একটা ব্যবহারিক নীতি মেনেছিল যা ১ যোহন ৪:১ পদে পাওয়া যায়, যেখানে বলা হয়েছে যা কিছুই শোনা যায় এমনকি তা যদি কোনও জ্ঞানী লোকের কাছ থেকেও হয় তা খুব তাড়াতাড়ি বিশ্বাস করা উচিত নয়।

কিন্তু তার মানে এই নয় যে, আপনি আপনার বদ্ধমূল ধারণাতেই আটকে থাকবেন। নতুন তথ্যকে মেনে না নেওয়াটা বোকামি যেহেতু তা ভুল ধারণাকে শুধরে দিতে পারে। কিন্তু আবার খুব তাড়াতাড়ি ‘মনের স্থিরতা থেকে বিচলিত হওয়াও’ ঠিক নয়, এমনকি যার অনেক জ্ঞান বা ক্ষমতা আছে তিনি যদি জোরের সঙ্গেও কিছু বলেন। (২ থিষলনীকীয় ২:২) মাস্টারমশাই হয়তো তার ছাত্রদের সঙ্গে একটু দুষ্টুমি করছিলেন কিন্তু সবসময়ই এমন হয় না। লোকেরা অত্যন্ত ‘ধূর্ত্ত’ ও ‘চতুর’ হতে পারে।—ইফিষীয় ৪:১৪; ২ তীমথিয় ২:১৪, ২৩, ২৪.

দক্ষ লোকেরা কি সবসময়ই ঠিক?

দক্ষ লোকেরা যত জ্ঞানীই হোন না কেন, কোন না কোন বিষয়ে তাদের মধ্যে মতের অমিল থাকে আর তাদের ধারণা বদলাতেই থাকে। উদাহরণ হিসেবে চিকিৎসা বিজ্ঞানে চলতে থাকা বিতর্কের কথাই ধরুন। তারা অনেকদিন ধরে আলোচনা করে চলেছেন যে, রোগের কারণ কী। হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিনের একজন অধ্যাপক লেখেন, “বিজ্ঞানীরা এই নিয়ে তর্ক করেন যে, আমাদের রোগের ওপর বংশগত বৈশিষ্ট্যগুলোর প্রভাব বেশি নাকি পরিবেশ ও আশেপাশের অবস্থা বেশি প্রভাব ফেলে।” যে বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে, রোগ বংশগতভাবে আসে তারা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে আমাদের জিন ঠিক করে যে নানারকম রোগগুলোর ব্যাপারে আমরা কতটা কমজোরি বা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কতটা। অন্যেরা আবার দাবি করেন যে, পরিবেশ ও আমাদের জীবনধারা ঠিক করে দেয় যে আমাদের শরীর-স্বাস্থ্য কেমন হবে। দুদলই তাদের ধারণাকে ঠিক প্রমাণ করার জন্য গবেষণা করে পাওয়া ফল ও তথ্য দেখায়। কিন্তু তারপরও তর্ক-বিতর্কের শেষ নেই।

অনেক নামকরা জ্ঞানী লোকেদের যুক্তিকে বার বার ভুল প্রমাণ করা হয়েছে যদিও তারা যা শিখিয়েছিলেন একটা সময়ে তা অকাট্য বলে মনে হয়েছিল। দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেল আ্যরিস্টটলকে “সব দার্শনিকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রভাবশালী” বলে বলেছিলেন। সেইসঙ্গে রাসেল এও বলেছিলেন যে, আ্যরিস্টটলের অনেক শিক্ষা ছিল “একেবারে ভুল।” তিনি লিখেছিলেন, “বিজ্ঞান, নীতিশাস্ত্র ও দর্শনে আজ যত উন্নতি হয়েছে তার প্রায় সবটাতেই আ্যরিস্টটলের শিষ্যরা বিরোধিতা করেছিলেন।”—পাশ্চাত্য দর্শনের ইতিহাস। (ইংরেজি)

“অযথারূপে বিদ্যা নামে আখ্যাত”

প্রথম শতাব্দীর খ্রীষ্টানরা সম্ভবত এমন অনেক লোকেদের চিনতেন যারা গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিস, প্লেটো ও আ্যরিস্টটলের শিষ্য ছিলেন। সেই সময়কার শিক্ষিত লোকেরা মনে করতেন যে, তারা খ্রীষ্টানদের থেকে অনেক বেশি জ্ঞানী। যীশুর খুব অল্প শিষ্যদেরই “মাংস অনুসারে জ্ঞানবান্‌” বলে ধরা হতো। (১ করিন্থীয় ১:২৬) আসলে সেই সময়কার যে লোকেরা দর্শনশাস্ত্র নিয়ে পড়াশুনা করেছিলেন তারা মনে করতেন যে খ্রীষ্টানেরা যা বিশ্বাস করেন তা ছিল “মূর্খতাপূর্ণ” বা “একেবারেই অর্থহীন।”—১ করিন্থীয় ১:২৩; ফিলিপস্‌।

আপনি যদি প্রথম শতাব্দীর একজন খ্রীষ্টান হতেন, তাহলে আপনি কি সেই সময়কার প্রভাবশালী পণ্ডিত ব্যক্তিদের যুক্তি তর্ক শুনে বা তাদের জ্ঞানের বহর দেখে মুগ্ধ হতেন? (কলসীয় ২:৪) পৌলের কথা মতো এই শিক্ষিত লোকেদের কথায় মুগ্ধ হওয়ার কোন কারণ ছিল না। তিনি খ্রীষ্টানদের মনে করিয়ে দিয়েছিলেন যে যিহোবা এই দিনের “জ্ঞানবান্‌দের জ্ঞান” ও ‘বিবেচক লোকদের বিবেচনাকে’ মূর্খতা বলে মনে করেন। (১ করিন্থীয় ১:১৯) পৌল প্রশ্ন করেছিলেন, “এই জগতের দার্শনিক, লেখক ও সমালোচকরা তাদের পাণ্ডিত্য দেখানোর জন্য কী করেছেন?” (১ করিন্থীয় ১:২০, ফিলিপস্‌) পৌলের দিনের দার্শনিক, লেখক ও সমালোচকরা নিজেদের জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে মানুষের কোন সমস্যার সমাধান করতে পারেননি।

এইজন্য খ্রীষ্টানরা এই জ্ঞান নেননি যেটাকে পৌল “অযথারূপে বিদ্যা নামে আখ্যাত” বলে বলেছিলেন। (১ তীমথিয় ৬:২০) পৌল এই জ্ঞানকে ‘অযথা’ বলেছিলেন তার কারণ এটাতে এক বিশেষ বিষয়ের অভাব ছিল। আর তা ছিল ঈশ্বরের জ্ঞানের অভাব, যে জ্ঞান তাদের শিক্ষাকে পরীক্ষা করে দেখতে তাদেরকে সাহায্য করত। (ইয়োব ২৮:১২; হিতোপদেশ ১:৭) যারা এই শিক্ষা দ্বারা চলছিলেন তাদের শুধু যে ঈশ্বরের জ্ঞানের অভাব ছিল তাই নয় কিন্তু সেইসঙ্গে শয়তান তাদের মন ও হৃদয় অন্ধ করে রেখেছিল। আর সেইজন্য তারা কখনোই আশা করতে পারতেন না যে তারা সত্য জানতে পারবেন।—১ করিন্থীয় ২:৬-৮, ১৪; ৩:১৮-২০; ২ করিন্থীয় ৪:৪; ১১:১৪; প্রকাশিত বাক্য ১২:৯.

বাইবেল ঈশ্বরের কাছ থেকে পাওয়া এক নির্দেশিকা

শাস্ত্রে যে ঈশ্বর তাঁর ইচ্ছা, উদ্দেশ্য ও নীতি জানিয়েছেন সেই বিষয়ে প্রথম শতাব্দীর খ্রীষ্টানদের কোন সন্দেহ ছিল না। (২ তীমথিয় ৩:১৬, ১৭) আর বাইবেলের নীতি তাদেরকে ‘মনুষ্যদের শিক্ষার অনুরূপ দর্শনবিদ্যা ও অনর্থক প্রতারণা দ্বারা বন্দি হওয়ার থেকে’ রক্ষা করেছিল। (কলসীয় ২:৮) আজকের অবস্থাও ঠিক একইরকম। আজ মানুষের নানাধরনের শিক্ষা আমাদের শুধু বিভ্রান্ত করতে ও দ্বন্দ্বে ফেলতে পারে। কিন্তু ঈশ্বরের বাক্য বাইবেল দৃঢ় ভিত্তি জোগায় যার ওপর আমরা আমাদের বিশ্বাস গড়ে তুলতে পারি। (যোহন ১৭:১৭; ১ থিষলনীকীয় ২:১৩; ২ পিতর ১:২১) বাইবেলের শিক্ষা ছাড়া যদি আমরা মানুষের শিক্ষা ও দর্শনের ওপর নিজেদের বিশ্বাসের ভিত্তি স্থাপন করার চেষ্টা করি, তাহলে তা ঠিক বালির ওপর গৃহ বানানোর সমান।—মথি ৭:২৪-২৭.

কেউ হয়তো বলতে পারেন ‘এই কথা বিশ্বাস করার আগে, একটু ভাবুন। বিজ্ঞান কি এমন অনেক প্রমাণ দেয়নি যা দেখায় যে বাইবেল ভুল আর মানুষের দর্শনবিদ্যা যা ক্ষণে ক্ষণে পালটাচ্ছে তার মতোই এটাও আর নির্ভরযোগ্য নয়?’ উদাহরণ হিসেবে যেমন বারট্রান্ড রাসেল দাবি করেছিলেন, “পৃথিবী মহাবিশ্বের ঠিক মাঝামাঝিতে অবস্থিত নয় এই বিষয়টা প্রমাণ করার জন্য কপারনিকাস, কেপলার ও গ্যালিলিওকে আ্যরিস্টটল ও এমনকি বাইবেলের শিক্ষার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়েছিল।” (বাঁকা অক্ষরে মুদ্রণ আমাদের।) যেমন আজকে যারা সৃষ্টিতে বিশ্বাস করেন তারা কি জোর গলায় বলেন না যে, পৃথিবী আক্ষরিক ছদিনে সৃষ্টি হয়েছিল অথচ অনেক প্রমাণ রয়েছে যে পৃথিবী কোটি কোটি বছরের পুরনো?

কিন্তু পৃথিবী মহাকাশের ঠিক মাঝামাঝিতে রয়েছে এই কথা আসলে বাইবেল বলে না। এই শিক্ষা গির্জার পাদ্রিরা দিয়েছিল, যারা নিজেরাই ঈশ্বরের বাক্য বাইবেলের কথা মতো চলত না। বাইবেলে আদিপুস্তকের বিবরণ সৃষ্টির কথা বলতে গিয়ে জানায় যে পৃথিবী কোটি কোটি বছরের পুরনো আর সৃষ্টির প্রত্যেকটা দিন ২৪ ঘন্টার নয়। (আদিপুস্তক ১:১, ৫, ৮, ১৩, ১৯, ২৩, ৩১; ২:৩, ৪) তাই যদি আমরা খোলা মন নিয়ে বাইবেল পড়ি, তাহলে জানতে পারব যে বাইবেল বিজ্ঞানের বই না হলেও ‘একেবারে অর্থহীনও’ নয়। কিন্তু প্রমাণিত বিজ্ঞানের সঙ্গে এটার সম্পূর্ণ মিল রয়েছে।a

“যুক্তি করার ক্ষমতা”

যীশুর শিষ্যরা যদিও খুবই সাধারণ লোক ছিলেন, বেশি লেখাপড়া জানতেন না কিন্তু তবুও তাদের কাছে এমন কিছু ছিল যা ঈশ্বর থেকে পাওয়া। তারা বেশি লেখাপড়া না জানলেও তাদের প্রত্যেকের যুক্তি করার ক্ষমতা ও বিচার বুদ্ধি ছিল। প্রেরিত পৌল তার খ্রীষ্টীয় ভাইবোনদের ‘চিত্তকে [‘যুক্তি করার ক্ষমতাকে,’ NW]’ কাজে লাগানোর কথা বলেছিলেন যেন ‘[তারা] পরীক্ষা করিয়া জানিতে পারে, ঈশ্বরের ইচ্ছা কি, যাহা উত্তম ও প্রীতিজনক ও সিদ্ধ।’—রোমীয় ১২:১, ২

প্রথম শতাব্দীর খ্রীষ্টানরা ঈশ্বরের কাছ থেকে পাওয়া “যুক্তি করার ক্ষমতা” কাজে লাগিয়ে স্পষ্টভাবে বুঝতে পেরেছিলেন যে, কোন দর্শন বা শিক্ষা যার ঈশ্বরের শিক্ষার সঙ্গে মিল নেই তা কোন কাজের নয়। কখনও কখনও সেই সময়কার জ্ঞানী লোকেরা ‘সত্যের প্রতিরোধ করেছিলেন’ ও সেই সকল প্রমাণগুলো মানতে চাননি যা দেখায় যে ঈশ্বর আছেন। তাই পৌল লিখেছিলেন “আপনাদিগকে বিজ্ঞ বলিয়া তাহারা মূর্খ হইয়াছে।” আর যেহেতু তারা ঈশ্বর ও তাঁর উদ্দেশ্যর বিষয়ে যা সত্য তা মানতে চাননি, তাই তারা “আপনাদের তর্কবিতর্কে অসার হইয়া পড়িয়াছে, এবং তাহাদের অবোধ হৃদয় অন্ধকার হইয়া গিয়াছে।”—রোমীয় ১:১৮-২২; যিরমিয় ৮:৮, ৯.

যারা নিজেদের জ্ঞানী বলে দাবি করেন তারাই এইধরনের কথা বলে থাকেন যে “ঈশ্বর নেই” বা “বাইবেল বিশ্বাস করার মতো নয়” বা “এটা ‘শেষ কাল’ নয়।” আর এই ধরনের কথা ঈশ্বরের নজরে শুধু মূর্খতা ছাড়া আর কিছুই নয় যেমন “২=১” অঙ্কের এই ফলাফলকে বিশ্বাস করা মূর্খতা। (১ করিন্থীয় ৩:১৯) তাই লোকেরা নিজেদের যত জ্ঞানী বলেই দাবি করুক না কেন, তাদের বলা কথায় আপনার বিশ্বাস করার কোন প্রয়োজন নেই যদি ঈশ্বরের শিক্ষার ও তাঁর বাক্যের সঙ্গে সেই কথার কোন মিল না থাকে এবং সেটা যদি আমাদের সাধারণ বোঝার ক্ষমতার বাইরে হয়। তাই শেষ কথা এই যে, বিজ্ঞতার কাজ হল সবসময় “ঈশ্বরকে সত্য বলিয়া স্বীকার করা যাউক, মনুষ্যমাত্র মিথ্যাবাদী হয়, হউক।”—রোমীয় ৩:৪.

[পাদটীকা]

a আরও জানার জন্য ওয়াচটাওয়ার বাইবেল আ্যন্ড ট্র্যাক্ট সোসাইটির বাইবেল—ঈশ্বরের বাক্য অথবা মানুষের? (ইংরেজি) ও এমন একজন সৃষ্টিকর্তা কি আছেন যিনি আপনার জন্য চিন্তা করেন? (ইংরেজি) বইগুলো দেখুন।

[৩১ পৃষ্ঠার চিত্রগুলো]

আজ মানুষের শিক্ষা ক্ষণে ক্ষণে পালটায় কিন্তু বাইবেলের শিক্ষা আমাদের বিশ্বাসের জন্য এক দৃঢ় ভিত্তি জোগায়

[সৌজন্যে]

বাঁয়ে, ইপিকুরাস: Photograph taken by courtesy of the British Museum; উপরে মাঝখানে, প্লেটো: National Archaeological Museum, Athens, Greece; ডাইনে, সক্রেটিস: Roma, Musei Capitolini

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার