ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w০২ ৪/১ পৃষ্ঠা ২১-২৪
  • সমস্ত জাতিকে ঈশ্বর আমন্ত্রণ জানান

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • সমস্ত জাতিকে ঈশ্বর আমন্ত্রণ জানান
  • ২০০২ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • প্রাচীনকালের এক উদাহরণ
  • শমরীয় এবং ন-যিহুদিদেরকে আমন্ত্রণ জানানো
  • পৌল—জাতিগণের কাছে মনোনীত পাত্র
  • পৃথিবীর সমস্ত লোকেদেরকে সাহায্য করা
  • তিনি করুণা দেখানোর বিষয়ে এক শিক্ষা লাভ করেছিলেন
    তাদের বিশ্বাস অনুকরণ করুন
  • তিনি করুণার বিষয়ে এক শিক্ষা লাভ করেছিলেন
    ২০০৯ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • অন্যদের যিহোবার মতো করে দেখার চেষ্টা করুন
    ২০০৩ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • যিহোবার দয়া সম্বন্ধে যোনা শেখেন
    ১৯৯৬ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
আরও দেখুন
২০০২ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w০২ ৪/১ পৃষ্ঠা ২১-২৪

সমস্ত জাতিকে ঈশ্বর আমন্ত্রণ জানান

জন যখন প্রথমবার মালিতে যান, তখন সেখানে মামাদু ও তার পরিবারের আন্তরিক আতিথেয়তা দেখে তিনি অভিভূত হয়ে গিয়েছিলেন। জন মেঝেতে বসে অনভ্যস্ত হাতে একই পাত্র থেকে খাবার খাওয়ার সময় ভাবছিলেন যে, তার নিমন্ত্রণকর্তাকে তিনি যদি সবচেয়ে মূল্যবান একটা উপহার দেন অর্থাৎ ঈশ্বরের বাক্য বাইবেল থেকে রাজ্যের সুসমাচার জানান, তা হলে কত ভাল হয়। যদিও জন ফ্রেঞ্চ ভাষা জানতেন, যে-ভাষায় মালির লোকেরা কথা বলে কিন্তু তিনি ভাবছিলেন যে, যে-পরিবারের ধর্ম এবং চিন্তাভাবনা একেবারে আলাদা, তাদের সঙ্গে তিনি কীভাবে আলোচনা করতে পারেন।

অবাক হওয়ার কিছু নেই যে, জন বাইবেলে দেওয়া বাবিল শহরের ঘটনার কথা মনে করেছিলেন। সেখানে বিদ্রোহী লোকেদের মধ্যে ঈশ্বর ভাষাভেদ করেছিলেন। (আদিপুস্তক ১১:১-৯) এর ফলে বিভিন্ন ভাষার, ধর্মের এবং চিন্তাধারার লোকেদেরকে পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। আজকে, ভ্রমণ করা এবং বিদেশে গিয়ে থাকা যত সাধারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে ততই অনেকে জনের মতো একই সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন, এমনকি তাদের প্রতিবেশী এলাকাতেও তারা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন: সম্পূর্ণ আলাদা পটভূমির লোকেদের কাছে কীভাবে বাইবেল-ভিত্তিক আশা সম্বন্ধে বলা যায়?

প্রাচীনকালের এক উদাহরণ

ইস্রায়েলের অন্যান্য ভাববাদীর মতো যোনাও মূলত ইস্রায়েলীয়দের কাছে ভবিষ্যদ্বাণী করতেন। ধর্মভ্রষ্ট দশ বংশের রাজ্য যখন ঈশ্বরের অসম্মান নিয়ে আসে এমন কাজগুলো প্রকাশ্যে করে চলেছিল, সেই সময়ে তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। (২ রাজাবলি ১৪:২৩-২৫) যোনাকে যখন নিজ দেশ ছেড়ে অশূরিয়ায় গিয়ে নীনবীর লোকেদের অর্থাৎ এক ভিন্ন ধর্ম ও সংস্কৃতির লোকেদের কাছে প্রচার করার বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তখন তিনি কেমন প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন, তা কল্পনা করুন। যোনা হয়তো এমনকি নীনবীয়দের ভাষায় কখনও কথাও বলেননি, অন্তত অনর্গলভাবে নয়। কারণ যা-ই হোক না কেন, দায়িত্বটা যোনার কাছে আপাতদৃষ্টিতে বেশ কঠিন মনে হয়েছিল বলে তিনি পালিয়ে গিয়েছিলেন।—যোনা ১:১-৩.

স্পষ্টতই যোনার শেখা দরকার ছিল যে, যিহোবা শুধু বাইরের চেহারা দেখেন না কিন্তু হৃদয় পরীক্ষা করেন। (১ শমূয়েল ১৬:৭) ডুবে যাওয়ার হাত থেকে যোনাকে অলৌকিকভাবে রক্ষা করার পর, যিহোবা তাকে নীনবীর লোকেদের কাছে প্রচার করার জন্য দ্বিতীয়বার আদেশ দেন। যোনা সেই আদেশ শুনেছিলেন আর এর ফলে নীনবীর সমস্ত লোক অনুতপ্ত হয়েছিল। তারপরও, যোনার সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি ছিল না। এক কার্যকারী শিক্ষার মাধ্যমে যিহোবা তাকে শিখিয়েছিলেন যে, তার দৃষ্টিভঙ্গি পালটানো দরকার। যিহোবা যোনাকে জিজ্ঞেস করেন: “আমি কি নীনবীর প্রতি, ঐ মহানগরের প্রতি, দয়ার্দ্র হইব না? তথায় এমন এক লক্ষ বিংশতি সহস্রের অধিক মনুষ্য আছে, যাহারা দক্ষিণ হস্ত হইতে বাম হস্তের প্রভেদ জানে না।” (যোনা ৪:৫-১১) আজকে, আমাদের সম্বন্ধে কী বলা যায়? বিভিন্ন পটভূমির লোকেদেরকে আমরা কীভাবে সাহায্য করতে পারি?

শমরীয় এবং ন-যিহুদিদেরকে আমন্ত্রণ জানানো

প্রথম শতাব্দীতে যীশু তাঁর অনুসারীদেরকে সমস্ত জাতির লোকেদের মধ্যে থেকে শিষ্য তৈরি করার আদেশ দিয়েছিলেন। (মথি ২৮:১৯) এই কাজ তাদের জন্য খুব সহজ ছিল না। যীশুর শিষ্যরা যিহুদি ছিলেন এবং যোনার মতো তারাও শুধু একই পটভূমি ও সংস্কৃতির লোকেদের সঙ্গে কথা বলতে অভ্যস্ত ছিলেন। এ ছাড়া, স্বাভাবিকভাবে তাদের সময়ে থাকা সাধারণ পক্ষপাতের মনোভাবের কারণে তারাও চাপ অনুভব করতেন। কিন্তু যিহোবা বিষয়গুলোকে পরিচালিত করেছিলেন, যাতে তাঁর দাসেরা তাদের জন্য তাঁর ইচ্ছা সম্বন্ধে ধীরে ধীরে বুঝতে পারেন।

প্রথম পদক্ষেপটা ছিল, যিহুদি এবং শমরীয়দের মধ্যে যে-পক্ষপাতের মনোভাব ছিল, তা দূর করা। শমরীয়দের সঙ্গে যিহুদিদের কোন ওঠাবসা ছিল না। কিন্তু, ভবিষ্যতে শমরীয়রা যাতে সুসমাচার গ্রহণ করতে পারে তার জন্য বেশ কয়েকবার যীশু পথ তৈরি করেছিলেন। একজন শমরীয় স্ত্রীলোকের সঙ্গে কথা বলে তিনি দেখিয়েছিলেন যে, তিনি পক্ষপাতী নন। (যোহন ৪:৭-২৬) আরেকবার প্রতিবেশীসুলভ শমরীয়ের উদাহরণের মাধ্যমে তিনি এক ধার্মিক যিহুদিকে দেখিয়েছিলেন যে, যিহুদি ছাড়া অন্যেরাও প্রতিবেশীসুলভ ভালাবাসা দেখানোর যোগ্য। (লূক ১০:২৫-৩৭) যিহোবার যখন খ্রীষ্টীয় মণ্ডলীতে শমরীয়দেরকে নিয়ে আসার সময় হয়, তখন ফিলিপ, পিতর এবং যোহন—যারা সবাই যিহুদি ছিলেন—শমরীয়দের কাছে প্রচার করেছিলেন। তাদের বার্তা সেই নগরে অনেক আনন্দ নিয়ে এসেছিল।—প্রেরিত ৮:৪-৮, ১৪-১৭.

দুঃসর্ম্পকের আত্মীয় হওয়া সত্ত্বেও, শমরীয়দের প্রতি ভালবাসা দেখানো যদি যিহুদি খ্রীষ্টানদের পক্ষে কঠিন হয়, তা হলে যে-ন-যিহুদি বা পরজাতীয়দেরকে যিহুদিরা অপছন্দ এবং প্রচণ্ড ঘৃণা করত, তাদের প্রতি প্রতিবেশীসুলভ প্রেম দেখানো আরও কঠিন ছিল। কিন্তু, যীশু মারা যাওয়ার পর যিহুদি খ্রীষ্টান এবং পরজাতীয়দের মধ্যে যে-বিচ্ছেদের দেওয়াল ছিল, তা ভেঙে ফেলা যেত। (ইফিষীয় ২:১৩, ১৪) পিতরকে এই নতুন ব্যবস্থা মেনে নেওয়ার জন্য সাহায্য করতে যিহোবা তাকে একটা দর্শন দেখান, যেখানে তিনি তাকে বলেছিলেন, “ঈশ্বর যাহা শুচি করিয়াছেন, তুমি তাহা অপবিত্র বলিও না।” এরপর যিহোবার আত্মা তাকে কর্ণীলিয় নামে একজন পরজাতির কাছে যাওয়ার জন্য পরিচালিত করে। পিতর যখন ঈশ্বরের দৃষ্টিভঙ্গি বুঝতে পারেন যে, ঈশ্বর যে-পরজাতীয় ব্যক্তিকে শুচি করেছেন তাকে তার অপবিত্র বলা উচিত নয়, তখন অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি বলেছিলেন: “আমি সত্যই বুঝিলাম, ঈশ্বর মুখাপেক্ষা [“পক্ষপাতিত্ব,” NW] করেন না; কিন্তু প্রত্যেক জাতির মধ্যে যে কেহ তাঁহাকে ভয় করে ও ধর্ম্মাচরণ করে, সে তাঁহার গ্রাহ্য হয়।” (প্রেরিত ১০:৯-৩৫) কর্ণীলিয় এবং তার পরিবারের ওপর পবিত্র আত্মা বর্ষণ করে ঈশ্বর তাদেরকে গ্রহণ করেছিলেন দেখে পিতর কত অবাকই না হয়েছিলেন!

পৌল—জাতিগণের কাছে মনোনীত পাত্র

সমস্ত জাতির লোকেদেরকে ভালবাসা দেখাতে এবং সাহায্য করতে যিহোবা কীভাবে তাঁর দাসদেরকে ধীরে ধীরে তৈরি করেন, সেটার এক আদর্শ উদাহরণ হল পৌলের পরিচর্যা। পৌলের ধর্মান্তরিত হওয়ার সময়ে যীশু বলেছিলেন যে, জাতিগণের কাছে তাঁর নাম জানাতে পৌল একজন মনোনীত পাত্র হিসেবে কাজ করবে। (প্রেরিত ৯:১৫) এরপর পৌল সম্ভবত জাতিগণের কাছে সুসমাচার প্রচার করার জন্য তাকে ব্যবহার করতে ঈশ্বরের যে-উদ্দেশ্য, সেই সম্বন্ধে ধ্যান করার জন্য আরবে যান।—গালাতীয় ১:১৫-১৭.

পৌল তার প্রথম মিশনারি যাত্রার সময় ন-যিহুদিদের কাছে প্রচার করার জন্য উদ্যোগ দেখিয়েছিলেন। (প্রেরিত ১৩:৪৬-৪৮) পৌলের কাজের ওপর যিহোবা আশীর্বাদ করেছিলেন আর তা প্রমাণ দিয়েছিল যে, এই প্রেরিত যিহোবার ব্যবস্থা অনুযায়ী কাজ করছিলেন। পিতর যখন ন-যিহুদি ভাইদের সঙ্গে মেলামেশা না করে পক্ষপাতিত্ব দেখিয়েছিলেন, তখন তাকে সাহসের সঙ্গে শুধরে দিয়ে পৌল দেখিয়েছিলেন যে, তিনি যিহোবার দৃষ্টিভঙ্গিকে পুরোপুরি উপলব্ধি করেন।—গালাতীয় ২:১১-১৪.

ঈশ্বর যে পৌলের চেষ্টায় নির্দেশনা দিচ্ছেন সেটার আরও প্রমাণ হল, তার দ্বিতীয় মিশনারি যাত্রার সময় পবিত্র আত্মা পৌলকে রোমীয় সাম্রাজ্যের বিথুনিয়াতে প্রচার করতে বাধা দিয়েছিল। (প্রেরিত ১৬:৭) স্পষ্টতই, তখন উপযুক্ত সময় ছিল না। তবে পরে বিথুনিয়ার কিছু লোক খ্রীষ্টান হয়েছিলেন। (১ পিতর ১:১) এক দর্শনে একজন মাকিদনীয় পুরুষ পৌলকে অনুরোধ করে বলেছিলেন: “পার হইয়া মাকিদনিয়াতে আসিয়া আমাদের উপকার করুন।” পৌল বুঝতে পারেন যে, রোমীয় সাম্রাজ্যে সুসমাচার প্রচার করার জন্য তার পথ পরিবর্তন করতে হবে।—প্রেরিত ১৬:৯, ১০.

এথেন্সের লোকেদের কাছে প্রচার করার সময় পৌলের মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা কঠিনভাবে পরীক্ষিত হয়েছিল। গ্রিক এবং রোমীয় আইন অনুসারে যে-কোন নতুন দেবতা এবং ধর্মীয় রীতিনীতিগুলো সম্বন্ধে শেখানো পুরোপুরি নিষেধ ছিল। লোকেদের প্রতি পৌলের ভালবাসা তাকে তাদের ধর্মীয় রীতিনীতি সম্বন্ধে মনোযোগ দিয়ে ও খুব ভালভাবে জানতে প্রেরণা দিয়েছিল। তিনি দেখেছিলেন এথেন্সের একটা বেদিতে এই কথাগুলো লেখা ছিল, “অপরিচিত দেবের উদ্দেশে।” তাই, সাক্ষ্য দেওয়ার সময় তিনি এই তথ্যের উল্লেখ করেছিলেন। (প্রেরিত ১৭:২২, ২৩) সদয় এবং সম্মানের সঙ্গে তার বার্তাকে জানানোর কতই না উত্তম উপায়!

জাতিগণের কাছে একজন প্রেরিত হিসেবে তার কাজের ফল দেখতে পেয়ে পৌল কত খুশিই না হয়েছিলেন! করিন্থ, ফিলিপী, থিষলনীকী এবং গালাতীয় শহরের অসংখ্য ন-যিহুদি খ্রীষ্টানদের নিয়ে মণ্ডলীগুলো গড়ে তুলতে তিনি সাহায্য করেছিলেন। তিনি দামারী, দিয়নুষিয়, সের্গিয় পৌল এবং তীত নামে বিশ্বাসী নারী-পুরুষদেরকে সাহায্য করেছিলেন। যে-লোকেরা যিহোবা বা বাইবেল সম্বন্ধে কিছুই জানতেন না, তাদেরকে সত্য খ্রীষ্টধর্ম গ্রহণ করতে দেখা কত বিরাট সুযোগ! ন-যিহুদিদেরকে সত্য শেখাতে সাহায্য করার জন্য পৌল তার ভূমিকা সম্বন্ধে বলেছিলেন: “আর আমার লক্ষ্য এই, খ্রীষ্টের নাম যে স্থানে কখনও উচ্চারিত হয় নাই, এমন স্থানে যেন সুসমাচার প্রচার করি, . . . কিন্তু যেমন লিখিত আছে, ‘তাঁহার সংবাদ যাহাদিগকে দেওয়া যায় নাই, তাহারা দেখিতে পাইবে; এবং যাহারা শুনে নাই, তাহারা বুঝিবে।’” (রোমীয় ১৫:২০, ২১) যে-লোকেরা আমাদের সংস্কৃতির নয়, তাদের কাছে আমরা কি সুসমাচার প্রচার করতে পারি?

পৃথিবীর সমস্ত লোকেদেরকে সাহায্য করা

যে-ন-ইস্রায়েলীয়রা উপাসনার জন্য যিরূশালেম মন্দিরে আসতেন, তাদের জন্য শলোমন প্রার্থনা করেছিলেন। তিনি অনুরোধ করেছিলেন: “তুমি তোমার নিবাস-স্থান স্বর্গে তাহা শুনিও; এবং সেই বিদেশী তোমার নিকটে যে কিছু প্রার্থনা করিবে, তদনুসারে করিও; যেন . . . পৃথিবীস্থ সমস্ত জাতি তোমার নাম জ্ঞাত হয়।” (বাঁকা অক্ষরে মুদ্রণ আমাদের।) (১ রাজাবলি ৮:৪১-৪৩) আজকে অনেক দেশের হাজার হাজার রাজ্য ঘোষণাকারীরা একই অনুভূতি প্রকাশ করছেন। নীনবীর অধিবাসীদের মতো লোকেদের সঙ্গে তাদের দেখা হয়, যারা আধ্যাত্মিক অর্থে ‘তাহাদের দক্ষিণ হস্ত হইতে বাম হস্তের প্রভেদ জানে না।’ আর বিভিন্ন জাতি থেকে সত্য উপাসকদের একত্রিত করার ব্যাপারে যে-ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে, সেটার পরিপূর্ণতায় অংশ নেওয়ার জন্য রাজ্যের প্রচারকরা অনেক আগ্রহী।—যিশাইয় ২:২, ৩; মীখা ৪:১-৩.

খ্রীষ্টীয়জগতের লোকেরা যেমন বাইবেলের আশার বার্তাকে নিজের করে নিয়েছেন, তেমনই অন্য আরও ভিন্ন পটভূমির লোকেরা তা-ই করছে। এটা আপনার ওপর কেমন ছাপ ফেলে? নিজেকে ভাল করে পরীক্ষা করুন। আপনি যদি মনে করেন যে আপনার মধ্যে পক্ষপাতের মনোভাব দৃঢ়ভাবে গেঁথে আছে, তা হলে প্রেমের মাধ্যমে তা দূর করে দিন।a যে-লোকেদেরকে ঈশ্বর গ্রহণ করতে চান, তাদেরকে এড়িয়ে চলবেন না।—যোহন ৩:১৬.

অন্য পটভূমির লোকেদের সঙ্গে কথা বলার আগে, গবেষণা করুন। তাদের বিশ্বাস, উদ্বিগ্নতা এবং চিন্তাভাবনা সম্বন্ধে ভালভাবে পরিচিত হোন আর তারপর উভয়ই যে-বিষয়গুলোতে একমত, সেগুলো খুঁজে বের করুন। অন্যদের প্রতি মঙ্গলভাব এবং করুণা দেখান। তর্ক করা এড়িয়ে চলুন এবং নমনীয় ও ইতিবাচক হোন। (লূক ৯:৫২-৫৬) তা করলে আপনি যিহোবাকে খুশি করবেন, “তাঁহার ইচ্ছা এই, যেন সমুদয় মনুষ্য পরিত্রাণ পায়, ও সত্যের তত্ত্বজ্ঞান পর্য্যন্ত পঁহুছিতে পারে।”—১ তীমথিয় ২:৪.

আমাদের মণ্ডলীতে বিভিন্ন পটভূমির লোকেরা রয়েছে বলে আমরা কতই না আনন্দিত! (যিশাইয় ৫৬:৬, ৭) এটা কত আনন্দের যে, আজকে শুধু মেরি, জন, স্টিফেন এবং টোনি নামই নয় কিন্তু, মামাদু, জিগেন, রেজা এবং চ্যান নামও শোনা যায়! সত্যিই আমাদের সামনে “এক দ্বার খোলা রহিয়াছে, তাহা বৃহৎ ও কার্য্যসাধক।” (১ করিন্থীয় ১৬:৯) আসুন আমরা পক্ষপাতহীন ঈশ্বর, যিহোবা সমস্ত জাতির লোকেদেরকে আমন্ত্রণ জানানোর যে-সুযোগগুলো আমাদের দিয়েছেন তার প্রতি সাড়া দিই!

[পাদটীকা]

a ১৯৯৬ সালের ৮ই জুলাই সচেতন থাক! (ইংরেজি) পত্রিকার ৫-৭ পৃষ্ঠায় দেওয়া “যে-দেওয়াল ভাববিনিময়ে বাধা হয়ে দাঁড়ায়” দেখুন।

[২৩ পৃষ্ঠার চিত্রগুলো]

মানিয়ে নিয়ে পৌল সমস্ত জায়গার লোকেদেরকে সুসমাচার জানিয়েছিলেন

. . . এথেন্সে

. . . ফিলিপীতে

. . . ভ্রমণ করার সময়

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার