ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w০৩ ১/১ পৃষ্ঠা ৩
  • ‘ঈশ্বর, এটা তুমি কেন ঘটতে দিলে?’

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • ‘ঈশ্বর, এটা তুমি কেন ঘটতে দিলে?’
  • ২০০৩ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • কোনো দুঃখজনক ঘটনা অনেক প্রশ্নের উত্থাপন করে
  • যারা কষ্ট ভোগ করছে তাদের জন্য সান্ত্বনা
    ২০০৩ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • পরীক্ষার মধ্যে ধৈর্য বজায় রাখা আশীর্বাদ নিয়ে আসে
    প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে (অধ্যয়ন)—২০১৭
  • সূচিপত্র
    ২০১৯ সজাগ হোন!
  • এত বেশি দুঃখকষ্ট
    ১৯৯৭ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
আরও দেখুন
২০০৩ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w০৩ ১/১ পৃষ্ঠা ৩

‘ঈশ্বর, এটা তুমি কেন ঘটতে দিলে?’

রিকার্ডুর এখনও মনে আছে যে তিনি তার স্ত্রী মারিয়াকে নিয়ে ডাক্তারের ওয়েটিং রুমে বসে ছিলেন।a তাদের কারোরই সবেমাত্র করা মারিয়ার ডাক্তারি পরীক্ষার ফলাফল পড়ার মতো সাহস ছিল না। পরে, রিকার্ডুই খামটা খোলেন এবং তারা খুব দ্রুত সেই রিপোর্টের ডাক্তারি পরিভাষার ওপর চোখ বুলায়। তারা “ক্যানসার,” শব্দটা দেখতে পায় আর শব্দটার অর্থ বুঝতে পেরে দুজনেই কান্নায় ভেঙে পড়ে।

“ডাক্তার খুবই দয়ালু ছিলেন,” রিকার্ডু মনে করে বলেন, “তবে তিনি পরিস্থিতির ভয়াবহতা স্পষ্ট বুঝতে পেরেছিলেন কারণ বার বার আমাদের বলতে থাকেন আমরা যেন ঈশ্বরের ওপর আস্থা রাখি।”

রেডিয়েশন চিকিৎসা শুরু হওয়ার আগেই ডাক্তার লক্ষ করেছিলেন যে, মারিয়া ডান পায়ের পাতায় কোনো অনুভূতি বোধ করছেন না। আরও কয়েকটা পরীক্ষা করার পর দেখা গেল, ক্যানসার তার মস্তিষ্কেও ছড়িয়ে পড়েছে। ঠিক এক সপ্তাহ চিকিৎসার পর রেডিয়েশন দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর মারিয়ার পরিস্থিতি কোমায় চলে যায় আর এর দুমাস পর তিনি মারা যান। রিকার্ডু বলেন, “তার কষ্ট শেষ হয়েছিল বলে আমি খুশিই হয়েছিলাম কিন্তু তার অভাব আমি এতটাই বোধ করেছিলাম যে আমার আর বেঁচে থাকার ইচ্ছা ছিল না। আমি প্রায়ই কেঁদে কেঁদে ঈশ্বরকে জিজ্ঞেস করতাম: ‘এটা তুমি কেন ঘটতে দিলে?’”

কোনো দুঃখজনক ঘটনা অনেক প্রশ্নের উত্থাপন করে

রিকার্ডুর মতো সারা পৃথিবীতে অগণিত লোক দুঃখকষ্ট ভোগ করতে বাধ্য হচ্ছে। অনেক সময়ে নির্দোষ ব্যক্তিরাই এই কষ্ট ভোগের শিকার হয়। সশস্ত্র যুদ্ধের হৃদয়বিদারক দুঃখের কথা ভেবে দেখুন, যা মানবজাতিকে জর্জরিত করে। অথবা ধর্ষণ, শিশুদের ওপর যৌন নিপীড়ন, ঘরোয়া যুদ্ধ এবং মানব সৃষ্ট অন্যান্য মন্দতার শিকার হয়ে অনেকে যে-কষ্ট অনুভব করেছে সেটাও বিবেচনা করুন। সমগ্র ইতিহাস জুড়ে নারী-পুরুষেরা একে অন্যের ওপর যে-অবিচার ও কষ্ট চাপিয়ে দিয়েছে, সেটার কোনো সীমা নেই। (উপদেশক ৪:১-৩) তারপর রয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ অথবা আবেগগত, মানসিক ও দৈহিক অসুস্থতার শিকার হওয়ার যন্ত্রণা। তাই এটা খুবই স্বাভাবিক যে, অনেকে প্রশ্ন করে, “কেন ঈশ্বর এইধরনের দুঃখকষ্ট থাকতে দিয়েছেন?”

এমনকি ধর্মে বিশ্বাসী ব্যক্তিদেরও দুঃখকষ্টের সঙ্গে মোকাবিলা করা সহজ বিষয় নয়। আপনিও হয়তো ভাবতে পারেন যে, কী কারণে একজন প্রেমময়, সর্বশক্তিমান ঈশ্বর মানুষের দুঃখকষ্টকে অনুমোদন করছেন। এই বিভ্রান্তিকর প্রশ্নের একটা সন্তোষজনক ও সত্যনিষ্ঠ উত্তর পাওয়া আমাদের মনের শান্তি ও ঈশ্বরের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর বাইবেলে এই প্রশ্নের উত্তর রয়েছে। দয়া করে বাইবেল কী বলে তা বিবেচনা করুন, যা পরের প্রবন্ধে আলোচনা করা হয়েছে।

[পাদটীকা]

a নামগুলো পরিবর্তন করা হয়েছে।

[৩ পৃষ্ঠার চিত্রগুলো]

ডাক্তার বার বার আমাদের বলতে থাকেন আমরা যেন ঈশ্বরের ওপর আস্থা রাখি

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার