ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w০৩ ১১/১৫ পৃষ্ঠা ৪-৭
  • আপনি এক পরমদেশ পৃথিবীর বিষয়ে বিশ্বাস করতে পারেন

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • আপনি এক পরমদেশ পৃথিবীর বিষয়ে বিশ্বাস করতে পারেন
  • ২০০৩ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • কেন এই বিভ্রান্তি?
  • বাইবেল কী বলে?
  • ভৌত বিষয়গুলোর বৈশিষ্ট্য কি মন্দ?
  • কেন কিছু ব্যক্তি স্বর্গে যায়?
  • ঈশ্বরের আদি উদ্দেশ্য পূর্ণ হবে
  • পৃথিবীর জন্য ঈশ্বরের উদ্দেশ্য কী?
    ঈশ্বর আমাদের কাছ থেকে কী চান?
  • পৃথিবীর জন্য ঈশ্বরের উদ্দেশ্য কী?
    ঈশ্বরের কাছ থেকে সুসমাচার!
  • প্রাণের জন্য এক উত্তম আশা
    ১৯৯৬ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • “যেমন স্বর্গে তেমনি পৃথিবীতেও”
    ২০০৬ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
আরও দেখুন
২০০৩ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w০৩ ১১/১৫ পৃষ্ঠা ৪-৭

আপনি এক পরমদেশ পৃথিবীর বিষয়ে বিশ্বাস করতে পারেন

ইতিহাস জুড়ে অগণিত লোক বিশ্বাস করে এসেছে যে, তারা অবশেষে পৃথিবী ত্যাগ করবে এবং স্বর্গে চলে যাবে। কেউ কেউ এইরকম মনে করেছে যে, আমাদের সৃষ্টিকর্তার কখনোই এটা ইচ্ছা ছিল না যে, পৃথিবী আমাদের জন্য স্থায়ী বসবাসের স্থান হওয়া উচিত। এই বিষয়ে সন্ন্যাসীদের ধারণা আরও চরম। তাদের অনেকের কাছে, পৃথিবী এবং সমস্ত ভৌত বিষয় হচ্ছে মন্দ—প্রকৃত আধ্যাত্মিক পরিপূর্ণতা ও ঈশ্বরের নিকটবর্তী হওয়ার ক্ষেত্রে এক বাধাস্বরূপ।

যারা পূর্বে উল্লেখিত ধারণাগুলো গড়ে তুলেছে তারা হয় পরমদেশ পৃথিবীর বিষয়ে ঈশ্বর যা বলেছেন, সেই বিষয়ে জানে না অথবা জানতে চায় না। আসলে আজকে, অনেকেই ঈশ্বর তাঁর বাক্য বাইবেলে এই বিষয়ে মানুষদের যা লিখতে অনুপ্রাণিত করেছিলেন, সেই বিষয়ে পরীক্ষা করে দেখতে আগ্রহ দেখায় না। (২ তীমথিয় ৩:১৬, ১৭) কিন্তু, মানুষের মতবাদগুলো গ্রহণ করার চাইতে ঈশ্বরের বাক্যে নির্ভর করা কি আরও বেশি বিজ্ঞতার পরিচয় নয়? (রোমীয় ৩:৪) আসলে, আমাদের জন্য তা করা জরুরি কারণ বাইবেল আমাদের সতর্ক করে যে, এক শক্তিশালী অথচ অদৃশ্য মন্দ প্রাণী আধ্যাত্মিকভাবে লোকেদের অন্ধ করে রেখেছে এবং এখন ‘সমস্ত নরলোকের ভ্রান্তি জন্মাচ্ছে।’—প্রকাশিত বাক্য ১২:৯; ২ করিন্থীয় ৪:৪.

কেন এই বিভ্রান্তি?

জীবন ও মৃত্যু সম্বন্ধে পরস্পরবিরোধী ধারণাগুলো পৃথিবীর জন্য ঈশ্বরের উদ্দেশ্যের বিষয়ে লোকেদের মধ্যে বিভ্রান্তি জন্মিয়েছে। অনেকে বিশ্বাস করে যে, আমাদের মধ্যে এমন কিছু রয়েছে যেটা দেহ থেকে আলাদা আর সেটা মৃত্যুর পর বেঁচে থাকে। অন্যেরা বিশ্বাস করে যে, একজন ব্যক্তির এই অদৃশ্য অংশ মানব দেহ সৃষ্টি হওয়ার আগেই অস্তিত্বে ছিল। একটা বই অনুসারে, গ্রিক দার্শনিক প্লেটো মনে করতেন যে, মানুষের এই অদৃশ্য অংশ “স্বর্গে থাকার সময়ে যে-পাপগুলো করেছে সেগুলোর শাস্তিস্বরূপ এটাকে দেহের মধ্যে অবরুদ্ধ রাখা হয়েছে।” একইভাবে, তৃতীয় শতাব্দীর ধর্মতত্ত্ববিদ ওরিজেন বলেছিলেন যে, একজন ব্যক্তির অদৃশ্য অংশ একটা দেহের সংলগ্ন হওয়ার আগে স্বর্গে পাপ করেছিল আর তাই সেটা তার পাপের শাস্তির জন্য পৃথিবীতে সেই দেহের মধ্যে বন্দি ছিল। আর লক্ষ লক্ষ লোক বিশ্বাস করে যে, মানুষের স্বর্গে যাত্রার ক্ষেত্রে পৃথিবী এক প্রকারের পরীক্ষার জায়গা মাত্র।

এ ছাড়া একজনের মৃত্যু হলে কী হয়, সেই বিষয়েও বিভিন্ন ধারণা রয়েছে। পাশ্চাত্য দর্শনের ইতিহাস (ইংরেজি) বই অনুযায়ী, মিশরীয়রা এই ধারণা গড়ে তুলেছিল যে, মৃতেরা কবরে যায়। দার্শনিকরা পরে তর্ক করেছিল যে, মৃতেরা কোনো অন্ধকার কবরে নেমে যায়নি বরং প্রকৃতপক্ষে এক উচ্চ আত্মিক স্থানে উঠে গিয়েছে। কথিত আছে, গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিস মনে করতেন যে, মৃত্যুতে একজন ব্যক্তি “[এক] অদৃশ্য জায়গায় প্রস্থান করে . . . এবং তার অস্তিত্বের অবশিষ্ট কাল ঈশ্বরের সঙ্গে কাটায়।”

বাইবেল কী বলে?

ঈশ্বরের অনুপ্রাণিত বাক্য, বাইবেলে কোথাও বলা নেই যে, মানুষের মধ্যে কোনো এক অদৃশ্য অংশ রয়েছে যা অমর। আদিপুস্তক ২:৭ পদের বিবরণটা আপনি নিজে পড়ে দেখুন। এটা বলে: “সদাপ্রভু ঈশ্বর মৃত্তিকার ধূলিতে আদমকে [অর্থাৎ মনুষ্যকে] নির্ম্মাণ করিলেন, এবং তাহার নাসিকায় ফুঁ দিয়া প্রাণবায়ু প্রবেশ করাইলেন; তাহাতে মনুষ্য সজীব প্রাণী [আক্ষরিক ইব্রীয় ভাষায়, একজন “শ্বাসগ্রহণকারী”] হইল।” এটা স্পষ্ট ও নির্ভুল। ঈশ্বর যখন প্রথম মানুষ আদমকে সৃষ্টি করেছিলেন, তখন তিনি অশরীরী কোনো ধরনের উপাদান তার মধ্যে দেননি। কারণ বাইবেল বলে যে, “প্রাণবায়ু” নির্জীব দেহে সঞ্চারিত করা হয়েছিল এবং তারপর এটা একজন মানুষ অথবা জীবিত ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছিল।

পৃথিবী এবং মানব পরিবার সৃষ্টি করার সময় যিহোবা কখনও চাননি যে, মানুষ মারা যাবে। ঈশ্বরের উদ্দেশ্য ছিল যে, মানুষ পৃথিবীতে পরমদেশতুল্য পরিবেশের মধ্যে চিরকাল বাস করবে। আদম কেবলমাত্র ঈশ্বরের নিয়মের অবাধ্য হয়েছিল বলে মারা গিয়েছে। (আদিপুস্তক ২:৮, ১৫-১৭; ৩:১-৬; যিশাইয় ৪৫:১৮) যখন প্রথম মানব মারা গিয়েছিল, সে কি কোনো আত্মিক স্থানে চলে গিয়েছিল? না! সে—ব্যক্তি আদম—সেই নির্জীব ধূলিতে অর্থাৎ যেটা থেকে সৃষ্ট হয়েছিল সেখানেই ফিরে গিয়েছিল।—আদিপুস্তক ৩:১৭-১৯.

আমরা সবাই আমাদের পূর্বপূরুষ আদমের কাছ থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে পাপ ও মৃত্যু পেয়েছি। (রোমীয় ৫:১২) এই মৃত্যু হল অস্তিত্বের শেষ, ঠিক যেমন আদমের ক্ষেত্রে হয়েছিল। (গীতসংহিতা ১৪৬:৩, ৪) আসলে, বাইবেলের পুরো ৬৬টি বইয়ে এটা কখনও ইঙ্গিত দেয় না যে, মৃত্যুতে মানুষের ভিতর থেকে অমর কিছু বেরিয়ে যায়। এর বিপরীতে, শাস্ত্র অর্থাৎ বাইবেল স্পষ্টভাবে বলে যে, একজন ব্যক্তি যখন মারা যায় তখন তার জীবন পুরোপুরি শেষ হয়।—উপদেশক ৯:৫, ১০.

ভৌত বিষয়গুলোর বৈশিষ্ট্য কি মন্দ?

পৃথিবী সহ সমস্ত ভৌত বিষয় মন্দ, সেই ধারণা সম্বন্ধে কী বলা যেতে পারে? এই ধরনের এক দৃষ্টিভঙ্গির উদ্ভব ম্যানিকাইজমের অনুগামীদের দ্বারা হয়েছিল, যা ছিল এক ধর্মীয় আন্দোলন আর তা সা.কা. তৃতীয় শতাব্দীতে ম্যানি নামে একজন ব্যক্তির দ্বারা পারস্যে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল। দ্যা নিউ এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা বলে: “ম্যানিকাইজম মানব অবস্থার নিদারুণ যন্ত্রণা থেকে উদ্ভূত হয়েছিল।” ম্যানি বিশ্বাস করতেন যে মানুষ হওয়াটা ছিল “অস্বাভাবিক, অসহনীয় এবং পুরোপুরি মন্দ।” এ ছাড়া, তিনি এই ধারণাও পোষণ করতেন যে, এই “নিদারুণ যন্ত্রণা” থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় হল, দেহ থেকে মানুষের ভিতরের আধ্যাত্মিক অংশের মুক্তি পাওয়া, পৃথিবী ত্যাগ করা এবং এক আত্মিক জগতে আধ্যাত্মিক অস্তিত্বে পৌঁছানো।

এর বিপরীতে বাইবেল আমাদের বলে যে, পৃথিবী এবং মানবজাতির সৃষ্টির সময়ে ঈশ্বরের দৃষ্টিতে ‘আপনার নির্ম্মিত বস্তু সকল’ “অতি উত্তম” ছিল। (আদিপুস্তক ১:৩১) সেই সময়ে, মানুষ এবং ঈশ্বরের মধ্যে কোনো প্রতিবন্ধক ছিল না। আদম ও হবা যিহোবার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক উপভোগ করেছিল, এমনকি সিদ্ধ মানব যিশু খ্রিস্ট তাঁর স্বর্গীয় পিতার সঙ্গে এক অন্তরঙ্গ সম্পর্ক উপভোগ করেছিলেন।—মথি ৩:১৭.

যদি আমাদের প্রথম পিতামাতা আদম ও হবা পাপের পথ অনুধাবন না করত, তা হলে তারা যিহোবা ঈশ্বরের সঙ্গে এক পরমদেশ পৃথিবীতে চিরকাল ধরে এক ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখতে পারত। তাদের জীবন পরমদেশেই শুরু হয়েছিল, কারণ শাস্ত্র আমাদের বলে: “সদাপ্রভু ঈশ্বর পূর্ব্বদিকে, এদনে, এক উদ্যান প্রস্তুত করিলেন, এবং সেই স্থানে আপনার নির্ম্মিত ঐ মনুষ্যকে রাখিলেন।” (আদিপুস্তক ২:৮) এটা ছিল সেই পরমদেশীয় বাগান যেখানে হবাকে অস্তিত্বে আনা হয়েছিল। যদি আদম ও হবা পাপ না করত, তা হলে তারা এবং তাদের সিদ্ধ বংশধরেরা পুরো পৃথিবী এক পরমদেশে পরিণত না হওয়া পর্যন্ত একত্রে আনন্দের সঙ্গে কাজ করতে পারত। (আদিপুস্তক ২:২১; ৩:২৩, ২৪) পার্থিব পরমদেশ চিরকালের জন্য মানবজাতির গৃহ হয়ে থাকতে পারত।

কেন কিছু ব্যক্তি স্বর্গে যায়?

‘কিন্তু’ আপনি হয়তো বলতে পারন, ‘বাইবেল লোকেদের স্বর্গে যাওয়ার বিষয়ে বলে, তাই নয় কি?’ হ্যাঁ। আদম পাপ করার পর, যিহোবার এক স্বর্গীয় রাজ্য স্থাপন করার উদ্দেশ্য ছিল, যেখানে যিশু খ্রিস্টের সঙ্গে আদমের কিছু বংশধর “পৃথিবীর উপরে রাজত্ব” করবে। (প্রকাশিত বাক্য ৫:১০; রোমীয় ৮:১৭) তাদের স্বর্গে অমর জীবনে পুনরুত্থিত হওয়ার কথা ছিল। তাদের মোট সংখ্যা হল ১,৪৪,০০০ জন আর এদের মধ্যে প্রথম ছিল যিশুর প্রথম শতাব্দীর বিশ্বস্ত শিষ্যেরা।—লূক ১২:৩২; ১ করিন্থীয় ১৫:৪২-৪৪; প্রকাশিত বাক্য ১৪:১-৫.

কিন্তু ধার্মিক লোকেরা পৃথিবী ত্যাগ করবে এবং স্বর্গে যাবে, এটা ঈশ্বরের আদি উদ্দেশ্য ছিল না। বস্তুত, যিশু পৃথিবীতে থাকাকালীন বলেছিলেন: “স্বর্গে কেহ উঠে নাই; কেবল যিনি স্বর্গ হইতে নামিয়াছেন, সেই মনুষ্যপুত্ত্র যিনি স্বর্গে থাকেন।” (যোহন ৩:১৩) “মনুষ্যপুত্ত্র” যিশু খ্রিস্টের মাধ্যমে ঈশ্বর মুক্তির মূল্যের ব্যবস্থা করেছেন, যা যিশুর বলিদানে বিশ্বাস অনুশীলনকারীদের জন্য অনন্তজীবন পাওয়া সম্ভবপর করে। (রোমীয় ৫:৮) কিন্তু এই ধরনের লক্ষ লক্ষ লোক কোথায় চিরকাল বাস করবে?

ঈশ্বরের আদি উদ্দেশ্য পূর্ণ হবে

যদিও ঈশ্বরের উদ্দেশ্য ছিল যে, মানব পরিবার থেকে কিছু লোককে যিশুর সঙ্গে স্বর্গীয় রাজ্যে সহশাসক হিসেবে কাজ করার জন্য নিয়ে যাওয়া কিন্তু এর মানে নয় যে, সব ভাল লোক স্বর্গে যায়। যিহোবা পৃথিবী সৃষ্টি করেছিলেন, যাতে তা মানব পরিবারের জন্য পরমদেশ গৃহ হয়। খুব শীঘ্রই ঈশ্বর সেই আদি উদ্দেশ্য পূর্ণ করবেন।—মথি ৬:৯, ১০.

যিশু খ্রিস্ট এবং তাঁর স্বর্গীয় সহশাসকদের শাসনে পুরো পৃথিবীতে শান্তি ও সুখ বজায় থাকবে। (গীতসংহিতা ৩৭:৯-১১) যারা ঈশ্বরের স্মৃতিতে রয়েছে তারা পুনরুত্থিত হবে এবং নিখুঁত স্বাস্থ্য উপভোগ করবে। (প্রেরিত ২৪:১৫) বাধ্য মানবজাতি ঈশ্বরের প্রতি তাদের বিশ্বস্তার মাধ্যমে সেটা পাবে, যেটা আমাদের আদি পিতামাতা হারিয়েছিল—এক পরমদেশ পৃথিবীতে মানব সিদ্ধতায় অনন্তজীবন।—প্রকাশিত বাক্য ২১:৩, ৪.

যিহোবা যা উদ্দেশ্য করেন, তা সম্পন্ন করায় তিনি কখনও ব্যর্থ হন না। তাঁর ভাববাদী যিশাইয়ের মাধ্যমে তিনি ঘোষণা করেছিলেন: “বাস্তবিক যেমন বৃষ্টি বা হিম আকাশ হইতে নামিয়া আইসে, আর সেখানে ফিরিয়া যায় না, কিন্তু ভূমিকে আর্দ্র করিয়া ফলবতী ও অঙ্কুরিত করে, এবং বপনকারীকে বীজ ও ভক্ষককে ভক্ষ্য দেয়, আমার মুখনির্গত বাক্য তেমনি হইবে; তাহা নিষ্ফল হইয়া আমার কাছে ফিরিয়া আসিবে না, কিন্তু আমি যাহা ইচ্ছা করি, তাহা সম্পন্ন করিবে, এবং যে জন্য তাহা প্রেরণ করি, সে বিষয়ে সিদ্ধার্থ হইবে।”—যিশাইয় ৫৫:১০, ১১.

পরমদেশ পৃথিবীতে জীবন কেমন হবে, সেই বিষয়ে বাইবেলের যিশাইয় বইয়ে আমরা এক পূর্বাভাস পাই। পরমদেশের কোনো বাসিন্দা বলবে না, “আমি পীড়িত।” (যিশাইয় ৩৩:২৪) পশুরা মানুষের কোনো ক্ষতি করবে না। (যিশাইয় ১১:৬-৯) লোকেরা সুন্দর গৃহ নির্মাণ করবে ও সেগুলোতে বাস করবে এবং শস্য রোপণ করবে ও পরিতৃপ্তির সঙ্গে তা ভোজন করবে। (যিশাইয় ৬৫:২১-২৫) এ ছাড়া, ঈশ্বর “মৃত্যুকে অনন্তকালের জন্য বিনষ্ট করিয়াছেন, [“করবেন,” NW] ও প্রভু সদাপ্রভু সকলের মুখ হইতে চক্ষুর জল মুছিয়া দিবেন।”—যিশাইয় ২৫:৮.

শীঘ্রই, বাধ্য মানবজাতি এইরকম চমৎকার পরিস্থিতিতে বাস করবে। তারা “ক্ষয়ের দাসত্ব হইতে মুক্ত হইয়া ঈশ্বরের সন্তানগণের প্রতাপের স্বাধীনতা পাইবে।” (রোমীয় ৮:২১) প্রতিজ্ঞাত পার্থিব পরমদেশে চিরকাল বাস করা কতই না অপূর্ব হবে! (লূক ২৩:৪৩) আপনি যদি এখনই শাস্ত্রের যথার্থ জ্ঞানের সঙ্গে মিল রেখে কাজ করেন এবং যিহোবা ঈশ্বর ও যিশু খ্রিস্টে বিশ্বাস অনুশীলন করেন, তা হলে আপনি সেখানে থাকতে পারবেন। আর আপনি এখন আস্থা রাখতে পারেন যে, এক পরমদেশ পৃথিবীর বিষয়ে বিশ্বাস করা যায়।

[৫ পৃষ্ঠার চিত্রগুলো]

আদম ও হবাকে এক পরমদেশ পৃথিবীতে চিরকাল বেঁচে থাকার জন্য তৈরি করা হয়েছিল

[৭ পৃষ্ঠার চিত্রগুলো]

পরমদেশ পৃথিবীতে . . .

তারা গৃহ নির্মাণ করবে

তারা দ্রাক্ষাক্ষেত্র প্রস্তুত করবে

তারা যিহোবার দ্বারা আশীর্বাদপ্রাপ্ত হবে

[৪ পৃষ্ঠার চিত্র]

U.S. Fish & Wildlife Service, Washington, D.C./NASA

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার