ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w০৫ ১০/১৫ পৃষ্ঠা ৪-৭
  • প্রাপ্তিসাধ্য সর্বোত্তম শিক্ষা থেকে উপকার লাভ করুন!

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • প্রাপ্তিসাধ্য সর্বোত্তম শিক্ষা থেকে উপকার লাভ করুন!
  • ২০০৫ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • সত্য খ্রিস্টধর্ম—এক শিক্ষা
  • পরিবর্তন করতে প্রণোদিত
  • আপনি সর্বোত্তম শিক্ষা খুঁজে পেতে পারেন
  • শিক্ষা—তা যিহোবাকে প্রশংসা করতে ব্যবহার করুন
    ১৯৯৬ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • ঐশিক শিক্ষার শ্রেষ্ঠতা
    ২০০৯ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • কোন ধরনের শিক্ষা আপনার জীবনকে সফল করতে পারে?
    ২০০৫ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • বাইবেলের সময়ে শিক্ষা
    ১৯৯৩ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
আরও দেখুন
২০০৫ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w০৫ ১০/১৫ পৃষ্ঠা ৪-৭

প্রাপ্তিসাধ্য সর্বোত্তম শিক্ষা থেকে উপকার লাভ করুন!

বাইবেল যিহোবা ঈশ্বরকে মানুষসহ সমস্তকিছুর সৃষ্টিকর্তা হিসেবে শনাক্ত করে। (আদিপুস্তক ১:২৭; প্রকাশিত বাক্য ৪:১১) সর্বমহান শিক্ষক হিসেবে তিনি প্রথম মানব দম্পতি আদম ও হবাকে শিক্ষা দিয়েছিলেন এবং তাদেরকে চমৎকার এদন বাগানে বাস করার জন্য প্রস্তুত করেছিলেন। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল যে, তিনি তাদের ক্রমাগত শিক্ষা দিয়ে যাবেন এবং চিরকাল তাদের যত্ন নেবেন। (আদিপুস্তক ১:২৮, ২৯; ২:১৫-১৭; যিশাইয় ৩০:২০, ২১, পাদটীকা) সেই প্রত্যাশার বিষয়ে একটু ভেবে দেখুন!

কিন্তু, দুঃখের বিষয় যে প্রথম দম্পতি সবকিছু প্রত্যাখ্যান করেছিল। তাদের অবাধ্যতার পথ মানবজাতির জন্য নৈতিক ও শারীরিক অধঃপতন ডেকে এনেছিল। (আদিপুস্তক ৩:১৭-১৯; রোমীয় ৫:১২) মানুষকে সৃষ্টি করার মাত্র কয়েক প্রজন্ম পরে যারা জীবিত ছিল তাদের সম্বন্ধে বাইবেল বলে: “সদাপ্রভু দেখিলেন, পৃথিবীতে মনুষ্যের দুষ্টতা বড়, এবং তাহার অন্তঃকরণের চিন্তার সমস্ত কল্পনা নিরন্তর কেবল মন্দ।”—আদিপুস্তক ৬:৫.

যিহোবা যখন এই উপসংহারে এসেছিলেন যে মানুষের ক্রমাগত মন্দ বিষয়ের প্রতি প্রবণতা রয়েছে, তখন থেকে প্রায় ৪,৫০০ বছর পার হয়ে গিয়েছে আর এখন মানবজাতির পরিস্থিতি অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে আরও বেশি খারাপ। অনেকে নির্লজ্জভাবে মিথ্যা বলে, চুরি করে অথবা অন্যদের আক্রমণ করে। প্রতিদিন সমস্যা কেবল বেড়েই চলেছে অথচ সহমানবের প্রতি চিন্তা কমে যাচ্ছে। পরিবারের মধ্যে যে-সম্পর্কগুলো রয়েছে সেগুলোসহ বেশির ভাগ ব্যক্তিগত সম্পর্ক কি আসলেই সংকটের মধ্যে নেই? তা সত্ত্বেও, বর্তমান পরিস্থিতির জন্য ঈশ্বরকে দোষ দেওয়া যায় না কিংবা তিনি বর্তমান সমস্যাগুলো সম্বন্ধে চিন্তা করাও বন্ধ করে দেননি। যিহোবা সবসময়ই মানুষের মঙ্গলের ব্যাপারে আগ্রহী এবং যারা এক সুখী জীবন অর্জন করতে নির্দেশনার জন্য তাঁর ওপর নির্ভর করে তাদেরকে শিক্ষা দিতে তিনি প্রস্তুত আছেন। প্রায় ২,০০০ বছর আগে তিনি তাঁর পুত্র যিশু খ্রিস্টকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছিলেন এবং যে-ব্যক্তিরা জীবনকে সফল করতে চায় তাদের শিক্ষা দিতে তাঁর আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। যিশু এক নিখুঁত শিক্ষার আদর্শ রেখে গিয়েছেন কারণ তিনি অগণিত বছর ধরে সর্বমহান শিক্ষকের কাছ থেকে শিক্ষা পেয়েছিলেন।

সত্য খ্রিস্টধর্ম—এক শিক্ষা

যিশু খ্রিস্ট সত্য খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তন করেছিলেন যা প্রেমের ওপর ভিত্তি করে জীবনের এক পথ। এর মধ্যে ঈশ্বরের নামের প্রতি সম্মান ও গৌরব নিয়ে আসার উদ্দেশ্যে সমস্ত চিন্তাভাবনা ও কাজ তাঁর ইচ্ছার সঙ্গে মিল রেখে হতে হবে। (মথি ২২:৩৭-৩৯; ইব্রীয় ১০:৭) জীবনের এই পথ সম্বন্ধে যিশুর শিক্ষাগুলোর পিছনে ছিলেন তাঁর পিতা যিহোবা। ঈশ্বরের কাছ থেকে যিশু যে-সমর্থন পেয়েছিলেন, সেই বিষয়ে আমরা যোহন ৮:২৯ পদে পড়ি: “যিনি আমাকে পাঠাইয়াছেন, তিনি আমার সঙ্গে আছেন; তিনি আমাকে একা ছাড়িয়া দেন নাই, কেননা আমি সর্ব্বদা তাঁহার সন্তোষজনক কার্য্য করি।” হ্যাঁ, যিশুর পরিচর্যার সকল ক্ষেত্রে তাঁর পিতার সমর্থন ও নির্দেশনা ছিল। যিশুর প্রাথমিক অনুসারীদেরকে কোনো নির্দেশনা ছাড়া জীবনের প্রতিদ্বন্দ্বিতাগুলোর মুখোমুখি হতে হয়নি। যিহোবা তাঁর পুত্রের মাধ্যমে তাদের শিক্ষা দিয়েছিলেন। যিশুর শিক্ষাগুলো ও উদাহরণ অনুসরণ করা তাদেরকে আরও ভাল ব্যক্তিতে পরিণত করেছিল। তাঁর বর্তমান শিষ্যদের ক্ষেত্রেও তা সত্য।—৬ পৃষ্ঠায় দেওয়া “যিশু এবং তাঁর শিক্ষাগুলোর প্রভাব” শিরোনামের বাক্সটা দেখুন।

সত্য খ্রিস্টধর্মের একটা স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য হল যে, এটা সেই শিক্ষাকে অন্তর্ভুক্ত করে যা লোকেদের ভিতর থেকে পরিবর্তন করতে মন ও হৃদয়কে প্রভাবিত করে। (ইফিষীয় ৪:২৩, ২৪) যিশু একজন ব্যক্তির সাথির প্রতি বিশ্বস্ত থাকা সম্বন্ধে যা শিক্ষা দিয়েছিলেন সেই বিষয়ে কেবল একটা উদাহরণ বিবেচনা করুন: “তোমরা শুনিয়াছ, উক্ত হইয়াছিল, ‘তুমি ব্যভিচার করিও না’। কিন্তু আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, যে কেহ কোন স্ত্রীলোকের প্রতি কামভাবে দৃষ্টিপাত করে, সে তখনই মনে মনে তাহার সহিত ব্যভিচার করিল।” (মথি ৫:২৭, ২৮) এই কথাগুলোর দ্বারা যিশু তাঁর শিষ্যদেরকে শিক্ষা দিচ্ছিলেন যে, হৃদয়কে শুদ্ধ রাখা উচিত এবং অনুপযুক্ত চিন্তাভাবনা ও আকাঙ্ক্ষাগুলোকে চরিতার্থ করা না হলেও সেগুলোর পরিণতি হয়তো গুরুতর হতে পারে। এটা কি সত্য নয় যে, মন্দ চিন্তাভাবনা সেই কাজগুলো করার দিকে পরিচালিত করতে পারে, যা ঈশ্বরকে অসন্তুষ্ট ও অন্যদের আঘাত করে?

তাই, বাইবেল এই পরামর্শ দেয়: “এই যুগের অনুরূপ হইও না, কিন্তু মনের নূতনীকরণ দ্বারা স্বরূপান্তরিত হও; যেন তোমরা পরীক্ষা করিয়া জানিতে পার, ঈশ্বরের ইচ্ছা কি, যাহা উত্তম ও প্রীতিজনক ও সিদ্ধ।” (রোমীয় ১২:২) ‘শিক্ষার মাধ্যমে কি মনের নতুনীকরণ করা আসলেই সম্ভব?’ আপনি হয়তো জিজ্ঞেস করতে পারেন। মনের নতুনীকরণ, মনকে ঈশ্বরের বাক্যে দেওয়া বিভিন্ন নীতি ও নির্দেশনার দ্বারা পূর্ণ করার মাধ্যমে এক ভিন্ন দিকে প্রণোদিত করাকে অন্তর্ভুক্ত করে। ঈশ্বর তাঁর বাক্যের মাধ্যমে যে-শিক্ষা জুগিয়ে যাচ্ছেন, তা গ্রহণ করার মাধ্যমে এটা সম্পাদন করা যেতে পারে।

পরিবর্তন করতে প্রণোদিত

“ঈশ্বরের বাক্য জীবন্ত ও কার্য্যসাধক।” (ইব্রীয় ৪:১২) এটি এখনও লোকেদের ওপর এক শক্তিশালী প্রভাব ফেলছে আর এভাবে প্রমাণ করছে যে, এটি সেকেলে হয়ে যায়নি। এটি একজন ব্যক্তিকে তার জীবনধারা পরিবর্তন করতে, সত্য খ্রিস্টধর্মকে গ্রহণ করতে এবং আরও ভাল একজন ব্যক্তি হতে প্রেরণা দিতে পারে। নীচে দেওয়া উদাহরণগুলো বাইবেলের শিক্ষার মূল্যকে স্পষ্টভাবে তুলে ধরে।

আগের প্রবন্ধে উল্লেখিত এমিলিয়া বলেন: “আমার ঘরের পরিস্থিতিকে উন্নত করতে কেবল নিজের প্রচেষ্টাই যথেষ্ট ছিল না। যখন আমি যিহোবার সাক্ষিদের সঙ্গে বাইবেল অধ্যয়ন করতে শুরু করেছিলাম, তখন আমি উপলব্ধি করেছিলাম যে আশা রয়েছে এবং আমি আমার মনোভাব পরিবর্তন করতে শুরু করেছিলাম। আমি আরও বেশি ধৈর্য ধরতে এবং রাগকে নিয়ন্ত্রণ করতে শিখেছিলাম। পরবর্তী সময়ে আমার স্বামী আমার সঙ্গে অধ্যয়নে যোগ দেন। তার জন্য মদ খাওয়া বন্ধ করা সহজ কাজ ছিল না কিন্তু তিনি তা ছাড়তে সক্ষম হয়েছিলেন। এটা আমাদের বিয়েকে নতুনভাবে শুরু করার এক সুযোগ দিয়েছিল। এখন আমরা সুখী খ্রিস্টান আর আমাদের ছেলেমেয়েকে বাইবেলের চমৎকার নীতিগুলো যত্নপূর্বক শিক্ষা দিচ্ছি।”—দ্বিতীয় বিবরণ ৬:৭.

সত্য খ্রিস্টধর্ম যে-শিক্ষা দেয় তা একজন ব্যক্তিকে বিভিন্ন বদভ্যাস এবং এক অনৈতিক জীবনযাত্রা থেকে মুক্ত করতে পারে। মানুয়েলa এটা সত্য হতে দেখেছেন। তিনি ১৩ বছর বয়সে ঘর থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন এবং মারিজুয়ানা সেবন করতে শুরু করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে, তিনি হেরোইন সেবন করতে শুরু করেন। তিনি আশ্রয় ও পয়সার বিনিময়ে নারী-পুরুষদের সঙ্গে যৌনসম্পর্ক স্থাপন করতেন। মাঝে মাঝে, মানুয়েল লোকেদের কাছ থেকে ছিনতাই করার মাধ্যমেও নিজের ভরণপোষণ করতেন। অধিকাংশ সময়ই তিনি মাদকদ্রব্যে ডুবে থাকতেন। তার দৌরাত্ম্যমূলক আচরণের কারণে তাকে প্রায়ই জেলে যেতে হতো। একবার তিনি চার বছরের জন্য জেলে ছিলেন এবং সেখানে অস্ত্র চোরাচালানে জড়িত হয়ে পড়েছিলেন। বিয়ের পর, মানুয়েলের জীবনে একটার পর একটা দুর্ভোগ আসতেই থাকে। তিনি বলেন: “আমরা এমন একটা জায়গায় থাকতাম যেটা এক সময়ে মুরগির খোপ ছিল। আমার এখনও মনে আছে যে, আমার স্ত্রী কয়েকটা ইটের ওপর রান্না করত। আমাদের অবস্থা এতটাই অনিশ্চিত ছিল যে, আমার নিজের আত্মীয়স্বজন আমার স্ত্রীকে উৎসাহিত করেছিল যেন সে আমাকে ছেড়ে চলে যায়।”

কী তার জীবনকে পরিবর্তিত করেছিল? মানুয়েল উত্তর দেন: “একজন পরিচিত ব্যক্তি আমাদের বাড়িতে বাইবেল সম্বন্ধে কথা বলতে এসেছিলেন। আমি তার এই সাক্ষাৎগুলোকে মেনে নিয়েছিলাম কেবল এটা দেখাতে যে, লোকেদের প্রতি আগ্রহী একজন ঈশ্বরের কোনো অস্তিত্ব নেই। সেটার জ্বলন্ত প্রমাণ ছিলাম আমি নিজে। আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম যে সেই সাক্ষি ধৈর্য ধরেছিলেন এবং শান্ত ছিলেন আর তাই আমি কিংডম হলের সভাগুলোতে যোগ দিতে রাজি হয়েছিলাম। যদিও কেউ কেউ আমার আগের জীবন সম্বন্ধে জানত কিন্তু তারা আমাকে বন্ধুত্বপূর্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছিল। আমার মনে হয়েছিল যেন আমি তাদেরই একজন। এটা এক বিরাট সান্ত্বনা ছিল। আমি একটা সম্মানজনক চাকরি পাওয়ার জন্য মাদকদ্রব্যের জগৎ ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে প্রণোদিত হয়েছিলাম। বাইবেল অধ্যয়ন শুরু করার চার মাস পর, আমি প্রচারে যোগ দেওয়ার যোগ্য হয়েছিলাম এবং আরও চার মাস পর একজন যিহোবার সাক্ষি হিসেবে বাপ্তিস্ম নিয়েছিলাম।”

সত্য খ্রিস্টধর্ম মানুয়েল ও তার পরিবারের জন্য কী অর্থ রেখেছিল? “নিশ্চিতভাবেই বাইবেলের শিক্ষা ছাড়া আমি আরও অনেক আগেই মারা যেতাম। যিশু যেরকম জীবনযাপনের বিষয়ে শিক্ষা দিয়েছিলেন তা আমার পরিবারকে আমার কাছে ফিরিয়ে দিয়েছিল। আমার দুই ছেলেমেয়েকে, তরুণ বয়সে আমি যে-পথে গিয়েছিলাম সেই পথে যেতে হবে না। এখন আমার স্ত্রীর সঙ্গে আমার উত্তম সম্পর্কের জন্য আমি গর্বিত এবং যিহোবার কাছে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। পূর্বের কয়েকজন পরিচিত ব্যক্তি আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছিল এবং বলেছিল যে, তারা মনে করে এখন আমি যে-পথ অনুসরণ করছি সেটাই সর্বোত্তম পথ।”

খ্রিস্টীয় জীবনধারায় নৈতিক শুদ্ধতা শারীরিক শুদ্ধতার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। দক্ষিণ আফ্রিকার এক দারিদ্র-কবলিত এলাকায় বসবাসকারী জন তা বুঝতে পেরেছিলেন। তিনি ব্যাখ্যা করেন: “মাঝে মাঝে আমাদের মেয়ে এক সপ্তাহ স্নান করত না আর আমরা কেউই বিষয়টা খেয়াল করতাম না।” তার স্ত্রী স্বীকার করেন যে, তাদের ঘরের অবস্থা অত্যন্ত নোংরা ছিল। কিন্তু খ্রিস্টীয় শিক্ষার দ্বারা অবস্থার পরিবর্তন হয়েছিল। জন গাড়ি চুরি করে এমন একটা দলের সঙ্গে মেলামেশা করা বন্ধ করে দিয়েছিলেন এবং তার পরিবারের প্রতি আরও বেশি মনোযোগ দিতে শুরু করেছিলেন। “আমরা শিখেছিলাম যে, খ্রিস্টান হিসেবে আমাদের শরীর ও জামাকাপড় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা উচিত। ১ পিতর ১:১৬ পদের কথাগুলো আমার ভাল লাগে, যা আমাদেরকে পবিত্র হতে পরামর্শ দেয় কারণ যিহোবা হলেন পবিত্র। এখন আমরা আমাদের সাধাসিধে ঘরটাও যাতে সুন্দর দেখায় সেই চেষ্টা করছি।”

আপনি সর্বোত্তম শিক্ষা খুঁজে পেতে পারেন

ওপরে উল্লেখিত অভিজ্ঞতাগুলো কোনো অসাধারণ ঘটনা নয়। হাজার হাজার লোক বাইবেলভিত্তিক শিক্ষা গ্রহণের ফলে আরও ভালভাবে জীবনযাপন করতে শিখেছে। সৎ এবং পরিশ্রমী হওয়ায় তারা তাদের নিয়োগকর্তাদের দ্বারা প্রশংসিত হয়। তারা উত্তম প্রতিবেশী ও বন্ধু হয়েছে এবং তাদের সহমানবদের মঙ্গলের ব্যাপারে আগ্রহী। তারা বিভিন্ন বদভ্যাস ও মাংসিক প্রবণতা এড়াতে দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ, তাই তারা তাদের শারীরিক, মানসিক ও আবেগগত স্বাস্থ্যের আরও বেশি যত্ন নেয়। বিভিন্ন বদভ্যাসের পিছনে টাকাপয়সা নষ্ট করার পরিবর্তে তারা নিজেদের এবং তাদের পরিবারের উপকারের জন্য তা ব্যবহার করে। (১ করিন্থীয় ৬:৯-১১; কলসীয় ৩:১৮-২৩) নিঃসন্দেহে, যিহোবা বাইবেলে যা যা লিপিবদ্ধ করেছেন সেগুলো কাজে লাগানোর ফলগুলো দেখায় যে, সত্য খ্রিস্টধর্মের মাধ্যমে জীবনযাপন করাই হল জীবনের সর্বোত্তম পথ, যা প্রাপ্তিসাধ্য সর্বোত্তম শিক্ষা জুগিয়ে যাচ্ছে। যে-ব্যক্তি ঈশ্বরের আইনগুলোর সঙ্গে সংগতি রেখে জীবনযাপন করে তার সম্বন্ধে বাইবেল বলে: “সে যাহা কিছু করে, তাহাতেই কৃতকার্য্য হয়।”—গীতসংহিতা ১:৩.

সর্বশক্তিমান ঈশ্বর যিহোবা যে আমাদের শিক্ষা দিতে ইচ্ছুক তা জানা উৎসাহজনক। নিজের সম্বন্ধে তিনি বলেন: “আমি সদাপ্রভু [“যিহোবা,” NW] তোমার ঈশ্বর, আমি তোমার উপকারজনক শিক্ষা দান করি, ও তোমার গন্তব্য পথে তোমাকে গমন করাই।” (যিশাইয় ৪৮:১৭) হ্যাঁ, যিহোবা তাঁর পুত্র যিশু খ্রিস্টের উদাহরণ ও শিক্ষাগুলোর মাধ্যমে পথ দেখিয়েছেন। তাঁর শিক্ষাগুলো তিনি পৃথিবীতে থাকাকালীন যে-ব্যক্তিরা তাঁকে জানত তাদের অনেকের জীবনে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছিল এবং আজকে যারা তাঁর শিক্ষাগুলোর মাধ্যমে জীবনযাপন করে তাদের ক্ষেত্রেও একই বিষয় সত্য। এই শিক্ষাগুলো সম্বন্ধে আরও জানার জন্য সময় করে নিন না কেন? আপনার নিকটবর্তী এলাকার যিহোবার সাক্ষিরা আপনাকে এই ধরনের মূল্যবান শিক্ষা পেতে সাহায্য করে আনন্দিত হবে।

[পাদটীকা]

a কিছু নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।

[৬ পৃষ্ঠার বাক্স/চিত্র]

যিশু এবং তাঁর শিক্ষাগুলোর প্রভাব

সক্কেয় প্রধান করগ্রাহী হিসেবে তার পদমর্যাদাকে ব্যবহার করে, সাধারণ লোকেদের টাকাপয়সা অন্যায়পূর্বক কেড়ে নিয়ে ও লুট করে ধনী হয়েছিলেন। কিন্তু যিশুর শিক্ষাগুলো প্রয়োগ করার মাধ্যমে তিনি তার জীবনধারা পরিবর্তন করেছিলেন।—লূক ১৯:১-১০.

তার্ষ নগরের শৌল খ্রিস্টানদের তাড়না করা বন্ধ করেছিলেন এবং খিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত হয়ে প্রেরিত পৌল হয়েছিলেন।—প্রেরিত ২২:৬-২১; ফিলিপীয় ৩:৪-৯.

করিন্থের কিছু খ্রিস্টান আগে ‘ব্যভিচারী, প্রতিমাপূজক, পারদারিক, সমকামী, চোর, লোভী, মাতাল, কটুভাষী এবং পরধনগ্রাহী’ ছিলেন। কিন্তু সত্য খ্রিস্টধর্ম জানার পর তারা ‘প্রভু যীশু খ্রীষ্টের নামে আপনাদিগকে ধৌত করিয়াছে, পবিত্রীকৃত করিয়াছে ও ধার্ম্মিক গণিত হইয়াছে।’—১ করিন্থীয় ৬:৯-১১.

[৭ পৃষ্ঠার চিত্র]

কীভাবে সফল হওয়া যায়, বাইবেল আপনাকে তা দেখাতে পারে

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার