ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w০৭ ১২/১ পৃষ্ঠা ৪-৭
  • বিশ্বব্যাপী লোকেরা একতাবদ্ধ হচ্ছে—কীভাবে?

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • বিশ্বব্যাপী লোকেরা একতাবদ্ধ হচ্ছে—কীভাবে?
  • ২০০৭ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • পারমাণবিক অস্ত্রের ভীতি—একতার ক্ষেত্রে এক হুমকি
  • প্রকৃত একতার উৎস
  • ঈশ্বরের বাক্যের দ্বারা একতাবদ্ধ
  • “পরস্পর প্রেম রাখ”
  • একতা সত্য উপাসনাকে শনাক্ত করে
    ২০১০ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • আমাদের সময়ে একতাবদ্ধ উপাসনা—এর অর্থ কী?
    একমাত্র সত্য ঈশ্বরের উপাসনা করুন
  • যিহোবার পরিবার মহামূল্যবান একতা উপভোগ করে
    ১৯৯৬ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • এই শেষ কালে একতা রক্ষা করুন
    ১৯৯৬ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
আরও দেখুন
২০০৭ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w০৭ ১২/১ পৃষ্ঠা ৪-৭

বিশ্বব্যাপী লোকেরা একতাবদ্ধ হচ্ছে—কীভাবে?

“একতা” শব্দটিকে আপনি কীভাবে সংজ্ঞায়িত করবেন? কারো কারো কাছে, সাধারণভাবে এই শব্দটির অর্থ হচ্ছে, বিরোধ বা শত্রুতা না থাকা। উদাহরণস্বরূপ, দুই বা ততোধিক দেশ যদি একটা চুক্তিতে স্বাক্ষর করে এবং শান্তি বজায় রাখার শর্তগুলোতে একমত হয়, তা হলে বলা যেতে পারে যে তাদের মধ্যে একতা রয়েছে। কিন্তু, আসলেই কি তা-ই? নিশ্চয়ই না।

এই বিষয়টা বিবেচনা করুন: ইতিহাস জুড়ে, হাজার হাজার শান্তিচুক্তি করা হয়েছে এবং সেগুলো ভঙ্গও করা হয়েছে। কেন? প্রায়ই এর কারণ হচ্ছে, বিশ্বের নেতারা শান্তি বা একতার চেয়ে তাদের নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের বিষয়ে আরও বেশি চিন্তিত। এ ছাড়া, কিছু দেশ এই ভেবে ভয় পায় যে, তাদের সামরিক শক্তি যদি অন্যদের চেয়ে পিছিয়ে পড়ে, তা হলে কী হতে পারে।

তাই, দুটো দেশ যুদ্ধে রত নয় বলতে বোঝায় না যে, তারা শান্তিতে একতাবদ্ধ রয়েছে। বাস্তবে, দুজন ব্যক্তি পরস্পরের দিকে গুলি না চালিয়ে পিস্তল তাক করে আছে, এর মানে কি এই যে তারা শান্তিতে রয়েছে? এমন চিন্তা করাটা অযৌক্তিক হবে! তা সত্ত্বেও, অনেক দেশই আজকে এমন এক পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। অবিশ্বাসের ক্রমাগত বৃদ্ধি এইরকম ভীতির কারণ হয়েছে যে, একদিন হয়তো অস্ত্রগুলোকে সবেগে নিক্ষেপ করা হবে। এইরকম এক দুর্দশাকে প্রতিরোধ করার জন্য কী করা হয়েছে?

পারমাণবিক অস্ত্রের ভীতি—একতার ক্ষেত্রে এক হুমকি

অনেকে নন প্রলিফিরেশন ট্রিটি (এনপিটি) এর ওপর আস্থা স্থাপন করে। ১৯৬৮ সালে অনুমোদিত এই চুক্তিটি, যে-দেশগুলোতে পারমাণবিক অস্ত্র নেই, সেই দেশগুলোতে এর উৎপাদনকে নিষিদ্ধ করে এবং যে-দেশগুলোতে পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে, সেই দেশগুলোতে এগুলোর বিস্তারকে সীমিত করে। এনপিটি, যেটা এখন ১৮০টিরও বেশি দেশে অনুমোদিত হয়ে গিয়েছে, সেটার লক্ষ্য হল শেষপর্যন্ত সম্পূর্ণরূপে নিরস্ত্রীকরণ করা।

এই উদ্দেশ্যটা যত মহৎ-ই শোনাক না কেন, কিছু সমালোচক এনপিটি-কে নির্দিষ্ট কয়েকটা দেশকে “নিউক্লিয়ার ক্লাবের” আওতার বাইরে রাখার নিছক এক প্রচেষ্টা হিসেবে দেখে থাকে—যে-দেশগুলোর কাছে অস্ত্র নেই, সেই দেশগুলোকে পারমাণবিক অস্ত্র উৎপাদন করতে রোধ করা। তাই, এইরকম আশঙ্কা করা হচ্ছে যে, যারা ওই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে, তারা হয়তো বিষয়টা নিয়ে আরেকবার ভেবে দেখবে। বস্তুতপক্ষে, কিছু দেশ অস্ত্র উৎপাদন করার নিষেধাজ্ঞাকে বেশ অন্যায্য বলে মনে করে কারণ তাদের মতে অস্ত্র উৎপাদন করা তাদের আত্মরক্ষা করতে সমর্থ করবে।

এই বিচার্য বিষয়টাকে, যেটা আরও জটিল করে তোলে—সম্ভবত এমনকি বিপদের ঝুঁকিকে বাড়িয়ে তোলে—তা হল যে, কোনো দেশকেই পারমাণবিক শক্তি উৎপন্ন করার নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। এই বিষয়টা কিছু ব্যক্তির মধ্যে এই ভীতি সৃষ্টি করেছে যে, যে-দেশগুলো শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পারমাণবিক শক্তিকে ব্যবহার করছে বলে মনে হয়, তারা হয়তো গোপনে পারমাণবিক অস্ত্রও উৎপাদন করছে।

যে-দেশগুলোর কাছে ইতিমধ্যেই পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে, তারা হয়তো এনপিটি-র কথাকে উপেক্ষা করতে পারে। সমালোচকদের মতে, যে-দেশগুলোর কাছে প্রচুর পরিমাণে পারমাণবিক অস্ত্র মজুত রয়েছে, তারা তাদের অস্ত্রগুলো নির্মূল করবে বা এমনকি সেগুলোর হ্রাস ঘটাবে এমনটা ভাবা হাস্যকর। একটি উৎস অনুসারে, “এটা সম্পাদন করার জন্য . . . যে-দেশগুলো বর্তমানে পরস্পরের বিরোধিতা করে থাকে, তাদের মধ্যে এতটা দৃঢ় বন্ধুত্ব ও বিশ্বাসের প্রয়োজন যে, এইরকমটা কখনো ঘটতে পারে, [তা বিশ্বাস করা কঠিন]।”

একতা অর্জন করার জন্য মানব প্রচেষ্টা—সেগুলো যতটাই আন্তরিকই হোক না কেন—নিষ্ফল বলে প্রমাণিত হয়েছে। বাইবেল ছাত্রদের কাছে এটা কোনো আশ্চর্যের বিষয় বলে মনে হয় না, কারণ ঈশ্বরের বাক্য বলে: “মনুষ্য চলিতে চলিতে আপন পাদবিক্ষেপ স্থির করিতে পারে না।” (যিরমিয় ১০:২৩) এ ছাড়া, বাইবেল খোলাখুলিভাবে বলে: “একটী পথ আছে, যাহা মানুষের দৃষ্টিতে সরল, কিন্তু তাহার পরিণাম মৃত্যুর পথ।” (হিতোপদেশ ১৬:২৫) একতা অর্জন করার ক্ষেত্রে মনুষ্য সরকারগুলোর প্রচেষ্টা সীমিত। তা সত্ত্বেও, আমরা আশাহীন নই।

প্রকৃত একতার উৎস

বাইবেলে ঈশ্বর প্রতিজ্ঞা করেছেন যে, বিশ্ব একতাবদ্ধ হবে কিন্তু তা মানুষের প্রচেষ্টার দ্বারা নয়। সৃষ্টিকর্তা যাঁর উদ্দেশ্য ছিল যে, বিশ্বব্যাপী মানবজাতি শান্তিতে বসবাস করবে তা সম্পাদন করবেন, যা মানুষ করতে পারে না। কিছু ব্যক্তির কাছে, এই সমস্তকিছুকেই অবিশ্বাস্য বলে মনে হতে পারে। তা সত্ত্বেও, একেবারে আদি থেকেই ঈশ্বরের উদ্দেশ্য হচ্ছে যে, মানবজাতি শান্তি ও একতায় বসবাস করবে।a বাইবেলের অনেক শাস্ত্রপদ প্রমাণ দেয় যে, মানবজাতিকে একতাবদ্ধ অবস্থায় নিয়ে আসা এখনও ঈশ্বরের উদ্দেশ্য। কয়েকটা উদাহরণ বিবেচনা করুন:

• “চল, সদাপ্রভুর কার্য্যকলাপ সন্দর্শন কর, যিনি পৃথিবীতে ধ্বংস সাধন করিলেন। তিনি পৃথিবীর প্রান্ত পর্য্যন্ত যুদ্ধ নিবৃত্ত করেন; তিনি ধনু ভগ্ন করেন, বড়শা খণ্ড খণ্ড করেন, তিনি রথ সকল আগুনে পোড়াইয়া দেন।”—গীতসংহিতা ৪৬:৮, ৯.

• “সে সকল আমার পবিত্র পর্ব্বতের কোন স্থানে হিংসা কিম্বা বিনাশ করিবে না; কারণ সমুদ্র যেমন জলে আচ্ছন্ন, তেমনি পৃথিবী সদাপ্রভু-বিষয়ক জ্ঞানে পরিপূর্ণ হইবে।”—যিশাইয় ১১:৯.

• “তিনি মৃত্যুকে অনন্তকালের জন্য বিনষ্ট করিয়াছেন, ও প্রভু সদাপ্রভু সকলের মুখ হইতে চক্ষুর জল মুছিয়া দিবেন; এবং সমস্ত পৃথিবী হইতে আপন প্রজাদের দুর্নাম দূর করিবেন; কারণ সদাপ্রভুই এই কথা কহিয়াছেন।”—যিশাইয় ২৫:৮.

• “তাঁহার প্রতিজ্ঞা অনুসারে আমরা এমন নূতন আকাশমণ্ডলের ও নূতন পৃথিবীর অপেক্ষায় আছি, যাহার মধ্যে ধার্ম্মিকতা বসতি করে।”—২ পিতর ৩:১৩.

• “[ঈশ্বর] তাহাদের সমস্ত নেত্রজল মুছাইয়া দিবেন; এবং মৃত্যু আর হইবে না; শোক বা আর্ত্তনাদ বা ব্যথাও আর হইবে না; কারণ প্রথম বিষয় সকল লুপ্ত হইল।”—প্রকাশিত বাক্য ২১:৪.

এই প্রতিজ্ঞাগুলো নির্ভরযোগ্য। কেন? কারণ সৃষ্টিকর্তা হিসেবে, মানবজাতিকে একতাবদ্ধ করতে যিহোবা ঈশ্বরের শক্তি এবং সামর্থ্য রয়েছে। (লূক ১৮:২৭) তা করার জন্য তাঁর আকাঙ্ক্ষাও রয়েছে। বাস্তবে, বাইবেল এটাকে ঈশ্বরের “সেই হিতসঙ্কল্প” বলে উল্লেখ করে “তাহা এই, স্বর্গস্থ ও পৃথিবীস্থ সমস্তই খ্রীষ্টেই সংগ্রহ করা।”—ইফিষীয় ১:৮-১০.

যেখানে “ধার্ম্মিকতা বসতি করে,” সেই “নূতন পৃথিবীর” বিষয়ে ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞা কোনো স্বপ্নচারিতা নয়। (২ পিতর ৩:১৩) তিনি যা প্রতিজ্ঞা করেছেন সেই বিষয়ে, যিহোবা ঈশ্বর বলেন: “তাহা নিষ্ফল হইয়া আমার কাছে ফিরিয়া আসিবে না, কিন্তু আমি যাহা ইচ্ছা করি, তাহা সম্পন্ন করিবে, এবং যে জন্য তাহা প্রেরণ করি, সে বিষয়ে সিদ্ধার্থ হইবে।”—যিশাইয় ৫৫:১০, ১১.

ঈশ্বরের বাক্যের দ্বারা একতাবদ্ধ

আগের প্রবন্ধে যেমন বলা হয়েছে, ধর্ম প্রায়ই মানবজাতিকে একতাবদ্ধ করার পরিবর্তে তাদের বিভক্ত করার ক্ষেত্রে আরও ভূমিকা রেখেছে। এই বিষয়টা আমাদের গুরুগম্ভীর মনোযোগ পাওয়ার যোগ্য কারণ যদি আমরা স্বীকার করি যে, একজন সৃষ্টিকর্তা আছেন, তা হলে এটা আশা করা কি যুক্তিযুক্ত নয় যে, তাঁর উপাসকেরা পরস্পরের সঙ্গে শান্তিতে ও একতায় বাস করবে? অবশ্যই!

মানবজাতির ওপর ধর্মের বিভেদকারী প্রভাব যিহোবা ঈশ্বর ও তাঁর বাক্যকে প্রতিফলিত করে না। এর পরিবর্তে, এটা সেই ধর্মগুলোর ওপর এক নিন্দা আনে যেগুলো একতা নিয়ে আসার জন্য ঈশ্বরের উদ্দেশ্যকে সমর্থন করার পরিবর্তে মনুষ্যনির্মিত পরিকল্পনাগুলোর প্রসার ঘটায়। যিশু তাঁর দিনের ধর্মীয় নেতাদের ‘কপটী’ বলে অভিহিত করেছিলেন আর তাদেরকে বলেছিলেন: “যিশাইয় তোমাদের বিষয়ে বিলক্ষণ ভাববাণী বলিয়াছেন, ‘এই লোকেরা ওষ্ঠাধরে আমার সমাদর করে, কিন্তু ইহাদের অন্তঃকরণ আমা হইতে দূরে থাকে; এবং ইহারা অনর্থক আমার আরাধনা করে, মনুষ্যদের আদেশ ধর্ম্মসূত্র বলিয়া শিক্ষা দেয়।’”—মথি ১৫:৭-৯.

এর বিপরীতে, সত্য উপাসনা লোকেদের ওপর এক একতাসাধনকারী প্রভাব ফেলে। ভাববাদী যিশাইয় ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন: “শেষকালে এইরূপ ঘটিবে; সদাপ্রভুর গৃহের পর্ব্বত পর্ব্বতগণের মস্তকরূপে স্থাপিত হইবে, উপপর্ব্বতগণ হইতে উচ্চীকৃত হইবে; এবং সমস্ত জাতি তাহার দিকে স্রোতের ন্যায় প্রবাহিত হইবে। আর তিনি জাতিগণের মধ্যে বিচার করিবেন, এবং অনেক দেশের লোক সম্বন্ধে নিষ্পত্তি করিবেন; আর তাহারা আপন আপন খড়্গ ভাঙ্গিয়া লাঙ্গলের ফাল গড়িবে, ও আপন আপন বড়শা ভাঙ্গিয়া কাস্তা গড়িবে; এক জাতি অন্য জাতির বিপরীতে আর খড়্গ তুলিবে না, তাহারা আর যুদ্ধ শিখিবে না।”—যিশাইয় ২:২, ৪.

যিহোবার সাক্ষিরা বর্তমানে দ্বীপ ও দেশ মিলিয়ে ২৩০টিরও বেশি জায়গায় একতার উপায়গুলো সম্বন্ধীয় যিহোবা ঈশ্বরের জোগানো নির্দেশনাগুলোর প্রতি সাড়া দিচ্ছে। তাদের একতার ভিত্তি কী? প্রেরিত পৌল লিখেছিলেন: “এই সকলের উপরে প্রেম পরিধান কর; তাহাই সিদ্ধির যোগবন্ধন।” (কলসীয় ৩:১৪) ‘বন্ধন’ শব্দটির জন্য পৌল মূল ভাষায় যে-শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন, সেটি মানবদেহের শিরাগুচ্ছকে বোঝাতে পারে। এই ধরনের শিরাগুচ্ছ দড়ির মতোই শক্ত আর এগুলো দুটো অতি গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পাদন করে থাকে। এগুলো দেহের অঙ্গগুলোকে যথাস্থানে রাখে এবং হাড়গুলোকে একসঙ্গে দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ রাখে।

প্রেমের ক্ষেত্রেও বিষয়টা অনেকটা একইরকম। এই গুণটি লোকেদের একে অন্যকে হত্যা করতে বাধা দেওয়ার চেয়েও আরও বেশি কিছু করে থাকে। খ্রিস্টতুল্য প্রেম বিভিন্ন পটভূমির লোকেদেরকে শান্তিতে একসঙ্গে কাজ করতে সাহায্য করে। উদাহরণস্বরূপ, এটা লোকেদের সুবর্ণ নিয়ম হিসেবে পরিচিত নীতির সঙ্গে মিল রেখে জীবনযাপন করতে সমর্থ করে। মথি ৭:১২ পদে যেমন লিপিবদ্ধ রয়েছে, যিশু খ্রিস্ট বলেছিলেন: “অতএব সর্ব্ববিষয়ে তোমরা যাহা যাহা ইচ্ছা কর যে, লোকে তোমাদের প্রতি করে, তোমরাও তাহাদের প্রতি সেইরূপ করিও।” এই নির্দেশনা মেনে চলা অনেক ব্যক্তিকে ভেদাভেদের মনোভাব কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করেছে।

“পরস্পর প্রেম রাখ”

যিহোবার সাক্ষিরা যিশুর বলা এই কথাগুলো পালন করার দ্বারা নিজেদেরকে খ্রিস্টের শিষ্য হিসেবে প্রমাণিত করার বিষয়ে সংকল্পবদ্ধ: “তোমরা যদি আপনাদের মধ্যে পরস্পর প্রেম রাখ, তবে তাহাতেই সকলে জানিবে যে, তোমরা আমার শিষ্য।” (যোহন ১৩:৩৫) এই ধরনের প্রেম বর্ণগত কলহ এবং রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার সময় লক্ষণীয় উপায়ে প্রদর্শিত হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ১৯৯৪ সালে রুয়ান্ডাতে সম্প্রদায়ের বিলোপসাধনের সময় যিহোবার সাক্ষিরা একে অন্যের প্রতি তাদের প্রেম প্রদর্শন করেছে। হুটু উপজাতির সাক্ষিরা তাদের টুটসি ভাইদের প্রাণ রক্ষার জন্য নিজেদের জীবনকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছিল!

অবশ্য, এটা আশা করা অবাস্তব যে, বিশ্বের দেশগুলো এত দূর পর্যন্ত প্রতিবেশীসুলভ প্রেম গড়ে তুলবে যে, তা বিশ্ব একতা নিয়ে আসবে। বাইবেল অনুসারে, ঈশ্বরই তাঁর নিরূপিত সময়ে তা নিয়ে আসবেন। কিন্তু, এমনকি এখনই ব্যক্তি বিশেষরা প্রেম পরিধান করতে এবং একতা অর্জন করতে পারে।

বিগত বছরে, যিহোবার সাক্ষিরা লোকেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার এবং তাদের সঙ্গে বাইবেল ও আধুনিক জীবনে এটির মূল্য সম্পর্কে কথা বলার জন্য একশো কোটিরও বেশি ঘন্টা ব্যয় করেছে। ঈশ্বরের বাক্যের সঠিক জ্ঞান লক্ষ লক্ষ লোককে একতাবদ্ধ করেছে, যাদের মধ্যে কিছু ব্যক্তি একসময় একে অন্যের প্রতি ঘৃণা পুষে রেখেছিল। এর মধ্যে আরবি এবং যিহুদি, আর্মেনীয় এবং তুর্কি, জার্মান এবং রুশ লোকেরা হল মাত্র কয়েকটা উদাহরণ।

আপনি কি একতাবদ্ধ করার ক্ষেত্রে ঈশ্বরের বাক্য বাইবেলের প্রভাবগুলো সম্বন্ধে আরও জানতে চান? যদি চান, তা হলে দয়া করে স্থানীয় যিহোবার সাক্ষিদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন অথবা ২ পৃষ্ঠায় দেওয়া উপযুক্ত ঠিকানায় লিখুন।

[পাদটীকা]

a মানবজাতির জন্য ঈশ্বরের উদ্দেশ্য সম্বন্ধে আরও তথ্যের জন্য যিহোবার সাক্ষিদের দ্বারা প্রকাশিত বাইবেল প্রকৃতপক্ষে কী শিক্ষা দেয়? বইয়ের ৩ অধ্যায় দেখুন।

[৪ পৃষ্ঠার ব্লার্ব]

হাজার হাজার শান্তিচুক্তি করা হয়েছে এবং সেগুলো ভঙ্গও করা হয়েছে

[৭ পৃষ্ঠার ব্লার্ব]

বাইবেলের নীতিগুলোর প্রয়োগ মনুষ্য সরকারগুলো যা পারে না, তা সম্পাদন করেছে

[৫ পৃষ্ঠার চিত্র]

ঈশ্বরের বাক্য প্রকৃত একতার উৎসকে চিহ্নিত করে

[৭ পৃষ্ঠার চিত্র]

হুটু ও টুটসি পটভূমির যিহোবার সাক্ষিরা একসঙ্গে একটা উপাসনাস্থল নির্মাণ করছে

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার