ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w09 ১/১ পৃষ্ঠা ৩
  • ব্যাপক প্রচলিত এক বিশ্বাস

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • ব্যাপক প্রচলিত এক বিশ্বাস
  • ২০০৯ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • পাদরিরা যা শিক্ষা দেয়
  • আপনি যা বিশ্বাস করেন, তা কেন গুরুত্বপূর্ণ?
  • নরকাগ্নির শিক্ষা কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে?
    ২০০২ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • নরক আসলে কী?
    ২০০২ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • নরক সম্বন্ধে সত্য জানা আপনাকে কীভাবে প্রভাবিত করে?
    ২০০৯ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
২০০৯ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w09 ১/১ পৃষ্ঠা ৩

ব্যাপক প্রচলিত এক বিশ্বাস

“নরকের আগুনে পোড়ার দুঃস্বপ্ন আমাকে তাড়া করত! আমি স্বপ্ন দেখতাম যে, আমাকে একটা অগ্নিময় স্থানে ফেলে দেওয়া হচ্ছে আর আমি চিৎকার করে জেগে উঠতাম। এটা বলা বাহুল্য যে, আমি পাপ না করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করতাম।”—আর্লিন।

আপনি কি বিশ্বাস করেন যে, নরক হল পাপীদের জন্য সংরক্ষিত এক যাতনাময় স্থান? অনেক লোকই তা বিশ্বাস করে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, ২০০৫ সালে স্কটল্যান্ডের সেন্ট আ্যন্ড্রুস বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন পণ্ডিত ব্যক্তি জরিপের মাধ্যমে জেনেছিলেন, এক-তৃতীয়াংশ স্কটিশ পাদরি বিশ্বাস করে যে, ঈশ্বরের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন লোকেরা “নরকে অনন্তকাল মানসিক কষ্ট” ভোগ করবে। আর তাদের এক-পঞ্চমাংশ বিশ্বাস করে যে, যারা নরকে রয়েছে, তারা শারীরিক যাতনা ভোগ করবে।

অনেক দেশে নরকের বিশ্বাস ব্যাপকভাবে প্রচলিত। উদাহরণস্বরূপ, ২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পরিচালিত একটা জনমত সমীক্ষায় জানা গিয়েছিল যে, জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ নরকে বিশ্বাস করে। এমনকী যে-দেশগুলোতে অধিকাংশ লোক ধর্মপ্রাণ নয়, সেখানেও লোকেরা নরকে বিশ্বাস করে থাকে। ২০০৪ সালে পরিচালিত একটা জনমত সমীক্ষায় জানা গিয়েছিল যে, কানাডার ৪২ শতাংশ লোক নরকে বিশ্বাস করে। আর গ্রেট ব্রিটেনে ৩২ শতাংশ লোক নরকের অস্তিত্ব সম্বন্ধে নিশ্চিত।

পাদরিরা যা শিক্ষা দেয়

অনেক পাদরি এই শিক্ষা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে যে, নরক হল এক আক্ষরিক অগ্নিময় যাতনার স্থান। এর পরিবর্তে, তারা এমন এক ব্যাখ্যাকে সমর্থন করে, যা ১৯৯৪ সালে প্রকাশিত ক্যাটকিজম অভ্‌ দ্যা ক্যাথলিক চার্চ বইয়ে প্রকাশিত ব্যাখ্যার সদৃশ। সেই বইটি বলে, “নরকের মূল শাস্তি হল, ঈশ্বরের কাছ থেকে অনন্তকালের জন্য বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া।”

তা সত্ত্বেও, এই বিশ্বাসটা প্রচলিতই থেকে গিয়েছে যে, নরক হচ্ছে মানসিক অথবা শারীরিক কষ্টের এক স্থান। যে-ব্যক্তিরা এই মতবাদকে সমর্থন করে, তারা দাবি করে যে, এই শিক্ষার ভিত্তি হচ্ছে বাইবেল। সাউদার্ন ব্যাপটিস্ট থিওলজিক্যাল সেমিনারি-র প্রেসিডেন্ট আ্যলবার্ট মোলার দৃঢ়ভাবে দাবি করেন: “এটা শাস্ত্রে বর্ণিত একটা সত্য।”

আপনি যা বিশ্বাস করেন, তা কেন গুরুত্বপূর্ণ?

নরক যদি সত্যিই এক যাতনাময় স্থান হয়ে থাকে, তাহলে নিশ্চিতভাবেই সেটাকে আপনার ভয় পাওয়া উচিত। কিন্তু, যদি এই শিক্ষা সত্য না হয়ে থাকে, তাহলে যে-ধর্মীয় নেতারা এই মতবাদ শিক্ষা দিয়ে থাকে, তারা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে এবং সেই লোকেদের মধ্যে অযথা মানসিক কষ্ট জাগিয়ে তোলে, যারা তাদের বিশ্বাস করে। এ ছাড়া, তারা ঈশ্বরকে অপবাদ দেয়।

এই বিষয়ে ঈশ্বরের বাক্য বাইবেল কী বলে? পরবর্তী প্রবন্ধগুলো বাইবেল থেকে এই তিনটে প্রশ্নের উত্তর আলোচনা করবে: (১) একজন ব্যক্তি মারা গেলে আসলে কী হয়? (২) নরক সম্বন্ধে যিশু কী শিক্ষা দিয়েছিলেন? (৩) নরক সম্বন্ধে সত্য জানা আপনাকে কীভাবে প্রভাবিত করতে পারে? (w০৮ ১১/১)

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার