ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w08 ১১/১৫ পৃষ্ঠা ১৭-১৯
  • ‘যে যে বিষয় শান্তিজনক, সেই সকলের অনুধাবন করুন’

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • ‘যে যে বিষয় শান্তিজনক, সেই সকলের অনুধাবন করুন’
  • ২০০৮ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • কেন শান্তির অনুধাবন করব?
  • শান্ত আলোচনা শান্তি পুনর্স্থাপন করে
  • বিজ্ঞতার সঙ্গে জিহ্বাকে ব্যবহার করুন
  • “একযোগে” ঈশ্বরের সেবা করুন
  • শান্তির অনুধাবন করুন
    ২০১১ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • “শান্তির চেষ্টা করুক ও তাহার অনুধাবন করুক”
    ১৯৯২ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • শান্তি—কীভাবে আপনি তা লাভ করতে পারেন?
    প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে (অধ্যয়ন)—২০১৮
  • প্রেমপূর্ণ মনোভাব নিয়ে মতভেদ মীমাংসা করুন
    প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে (অধ্যয়ন)—২০১৬
আরও দেখুন
২০০৮ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w08 ১১/১৫ পৃষ্ঠা ১৭-১৯

‘যে যে বিষয় শান্তিজনক, সেই সকলের অনুধাবন করুন’

একটা নতুন বাঁধানো রাস্তা দেখে সেটাকে মজবুত, সহজেই নষ্ট হবে না বলে মনে হয়। কিন্তু, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় অনেক ফাটল ধরতে এবং গর্ত তৈরি হতে পারে। রাস্তার নিরাপত্তা এবং সেটাকে টিকিয়ে রাখার বিষয়টাকে নিশ্চিত করার জন্য সেখানে মেরামত করা আবশ্যক।

একইভাবে, অন্যদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কে হয়তো মাঝেমধ্যে সমস্যার সৃষ্টি হয় আর এমনকি তাতে ফাটল ধরে। প্রেরিত পৌল স্বীকার করেছিলেন যে, রোমের খ্রিস্টানদের মধ্যে মতভেদ ছিল। তিনি সহখ্রিস্টানদের পরামর্শ দিয়েছিলেন: “যে যে বিষয় শান্তিজনক, ও যে যে বিষয়ের দ্বারা পরস্পরকে গাঁথিয়া তুলিতে পারি, আমরা সেই সকলের অনুধাবন করি।” (রোমীয় ১৪:১৩, ১৯) কেন ‘যে যে বিষয় শান্তিজনক, সেই সকলের অনুধাবন করা’ আবশ্যক? কীভাবে আমরা সাহসের সঙ্গে ও কার্যকারীভাবে শান্তির অনুধাবন করতে পারি?

কেন শান্তির অনুধাবন করব?

যদি ঠিক করা না হয়, তাহলে বাঁধানো রাস্তার ছোটো ছোটো ফাটল বড় বড় বিপদজনক গর্তে পরিণত হতে পারে। ব্যক্তিগত মতভেদগুলোর মীমাংসা না করে ফেলে রাখাও একইরকম ধ্বংসাত্মক হতে পারে। প্রেরিত যোহন লিখেছিলেন: “যদি কেহ বলে, আমি ঈশ্বরকে প্রেম করি, আর আপন ভ্রাতাকে ঘৃণা করে, সে মিথ্যাবাদী; কেননা যাহাকে দেখিয়াছে, আপনার সেই ভ্রাতাকে যে প্রেম না করে, সে যাঁহাকে দেখে নাই, সেই ঈশ্বরকে প্রেম করিতে পারে না।” (১ যোহন ৪:২০) অমীমাংসিত ব্যক্তিগত মতভেদ শেষপর্যন্ত একজন খ্রিস্টানকে তার ভাইকে ঘৃণা করতে পরিচালিত করতে পারে।

যিশু খ্রিস্ট দেখিয়েছিলেন যে, যদি আমরা অন্যদের সঙ্গে শান্তি স্থাপন না করি, তাহলে আমাদের উপাসনা যিহোবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। যিশু তাঁর শিষ্যদের এই নির্দেশনা দিয়েছিলেন: “অতএব তুমি যখন যজ্ঞবেদির নিকটে আপন নৈবেদ্য উৎসর্গ করিতেছ, তখন সেই স্থানে যদি মনে পড়ে যে, তোমার বিরুদ্ধে তোমার ভ্রাতার কোন কথা আছে, তবে সেই স্থানে বেদির সম্মুখে তোমার নৈবেদ্য রাখ, আর চলিয়া যাও, প্রথমে তোমার ভ্রাতার সহিত সম্মিলিত হও, পরে আসিয়া তোমার নৈবেদ্য উৎসর্গ করিও।” (মথি ৫:২৩, ২৪) হ্যাঁ, শান্তির অনুধাবন করার পিছনে একটা মূল কারণ হল, আমরা যিহোবা ঈশ্বরকে খুশি করতে চাই।a

ফিলিপীর মণ্ডলীতে বিদ্যমান একটা পরিস্থিতি শান্তির অনুধাবন করার আরেকটা কারণ তুলে ধরে। দুজন খ্রিস্টান বোন ইবদিয়া ও সুন্তুখীর মধ্যে এমন কোনো সমস্যা বিদ্যমান ছিল, যেটার কারণ জানা যায় না, তবে তা স্পষ্টতই পুরো মণ্ডলীর শান্তির জন্য হুমকিস্বরূপ ছিল। (ফিলি. ৪:২, ৩) অমীমাংসিত ব্যক্তিগত মতভেদ খুব শীঘ্রই প্রকাশ পেয়ে যেতে পারে। মণ্ডলীর প্রেম ও একতা অক্ষুণ্ণ রাখার এক আকাঙ্ক্ষা আমাদেরকে সহবিশ্বাসীদের সঙ্গে শান্তির অনুধাবন করতে পরিচালিত করে।

যিশু বলেন যে, “ধন্য যাহারা মিলন করিয়া দেয়” বা শান্তিস্থাপনকারী। (মথি ৫:৯) শান্তির অনুধাবন করা আনন্দদায়ক পরিতৃপ্তি নিয়ে আসে। অধিকন্তু, শান্তি উত্তম স্বাস্থ্য নিয়ে আসে, কারণ “শান্ত হৃদয় শরীরের জীবন।” (হিতো. ১৪:৩০) অন্যদিকে, ক্ষোভ পুষে রাখা শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি করতে পারে।

যদিও অধিকাংশ খ্রিস্টানই একমত যে, শান্তির অনুধাবন করা অত্যাবশ্যক কিন্তু আপনি হয়তো ভাবতে পারেন যে, কীভাবে এক ব্যক্তিগত মতভেদ মীমাংসা করা যায়। আসুন আমরা শাস্ত্রীয় নীতিগুলো পরীক্ষা করে দেখি, যেগুলো আমাদের নির্দেশনা দিতে পারে।

শান্ত আলোচনা শান্তি পুনর্স্থাপন করে

বাঁধানো রাস্তার ক্ষতিগ্রস্ত জায়গাকে ঢেকে দিয়ে প্রায়ই ছোটোখাটো ফাটলগুলোকে মেরামত করা যেতে পারে। আমাদের পক্ষে কি আমাদের ভাইবোনদের ছোটোখাটো ভুলগুলোকে ক্ষমা করে দেওয়া ও ঢেকে দেওয়া সম্ভব? সম্ভবত, এই ধরনের পদক্ষেপ ব্যক্তিগত মতভেদগুলোর ক্ষেত্রে কাজ করবে কারণ প্রেরিত পিতর লিখেছিলেন, “প্রেম পাপরাশি আচ্ছাদন করে” বা ঢেকে দেয়।—১ পিতর ৪:৮.

কিন্তু, মাঝে মাঝে কোনো সমস্যাকে হয়তো খুবই গুরুতর বলে মনে হতে পারে, যেটাকে আমরা সহজে উপেক্ষা করতে পারি না। ইস্রায়েলীয়রা প্রতিজ্ঞাত দেশ অধিকার করার পর পরই যে-ঘটনা ঘটেছিল, তা বিবেচনা করুন। “রূবেণ-সন্তানগণ, গাদ-সন্তানগণ ও মনঃশির অর্দ্ধ বংশ” যর্দন নদী পার হওয়ার আগে ‘দেখিতে বৃহৎ এক বেদি’ নির্মাণ করেছিল। ইস্রায়েলের অন্য বংশের লোকেরা মনে করেছিল যে, সেই বেদি প্রতিমাপূজায় ব্যবহৃত হয়েছে আর তাই সেই সমস্যাকে উপেক্ষা করা যায় না। এই কারণে, তারা যুদ্ধ করার জন্য প্রস্তুত হয়েছিল।—যিহো. ২২:৯-১২.

কিছু ইস্রায়েলীয় হয়তো ভেবেছিল যে, অন্যায় কাজের যথেষ্ট প্রমাণ ইতিমধ্যেই ছিল আর এক গুপ্ত আক্রমণের ফলে কিছু লোকের মৃত্যু হবে। কিন্তু, তাড়াহুড়ো করে কাজ করার পরিবর্তে যর্দনের পশ্চিম পারে যে-বংশের লোকেরা ছিল, তারা তাদের ভাইদের সঙ্গে সমস্যার বিষয়ে আলোচনা করার জন্য প্রতিনিধিদের পাঠিয়েছিল। তারা জিজ্ঞেস করেছিল: “তোমরা অদ্য সদাপ্রভুর অনুগমন হইতে ফিরিবার জন্য ইস্রায়েলের ঈশ্বরের বিরুদ্ধে এই যে সত্যলঙ্ঘন করিলে, এ কি?” আসলে, যে-বংশগুলো বেদি নির্মাণ করেছিল, তারা অবিশ্বস্তভাবে কাজ করেনি। কিন্তু, এই ধরনের এক অভিযোগের প্রতি তারা কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে? তারা কি অভিযোগকারীদের সঙ্গে রাগান্বিতভাবে কথা বলবে, নাকি তাদের সঙ্গে কোনোরকম কথা বলাই বাদ দেবে? অভিযুক্ত বংশগুলো কোমলভাবে উত্তর দিয়েছিল, স্পষ্টভাবে বলেছিল যে, যিহোবাকে সেবা করার বিষয়ে তাদের আকাঙ্ক্ষাই আসলে তাদেরকে এই কাজ করতে প্রেরণা দিয়েছিল। তাদের এই কোমল উত্তর ঈশ্বরের সঙ্গে তাদের সম্পর্ককে অক্ষুণ্ণ রেখেছিল এবং তাদের জীবন বাঁচিয়েছিল। শান্ত আলোচনা এই বিষয়টা মীমাংসা এবং পুনরায় শান্তি স্থাপন করেছিল।—যিহো. ২২:১৩-৩৪.

গুরুতর পদক্ষেপ নেওয়ার আগে অন্যান্য ইস্রায়েলীয় রূবেণ, গাদ এবং মনঃশির অর্ধ বংশের সঙ্গে তাদের সমস্যা নিয়ে বিজ্ঞতার সঙ্গে আলোচনা করেছিল। “তোমার আত্মাকে সত্বর বিরক্ত হইতে দিও না,” ঈশ্বরের বাক্য বলে, “কেননা হীনবুদ্ধি লোকদেরই বক্ষঃ বিরক্তির আশ্রয়।” (উপ. ৭:৯) গুরুতর ব্যক্তিগত মতভেদগুলো মীমাংসা করার শাস্ত্রীয় উপায় হচ্ছে শান্ত ও খোলাখুলিভাবে আলোচনা করা। যদি আমরা বিরক্তি পুষে রাখি এবং সেই ব্যক্তির কাছে যেতে ব্যর্থ হই, যিনি অন্যায় করেছেন বলে আমরা মনে করি, তাহলে আমরা কি আসলেই যিহোবার আশীর্বাদ আশা করতে পারি?

অন্যদিকে, একজন সহখ্রিস্টান যদি কোনো সমস্যা নিয়ে আমাদের মুখোমুখি হন, এমনকি হয়তো মিথ্যেভাবে আমাদেরই অভিযুক্ত করেন, তাহলে কী বলা যায়? “কোমল উত্তর ক্রোধ নিবারণ করে,” বাইবেল বলে। (হিতো. ১৫:১) অভিযুক্ত ইস্রায়েলীয় বংশগুলো কোমল অথচ স্পষ্টভাবে তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছিল আর নিঃসন্দেহে তাদের ভাইদের সঙ্গে অত্যন্ত আবেগপূর্ণ এক সমস্যাকে মিটমাট করতে পেরেছিল। আমরা কোনো একটা সমস্যা নিয়ে আমাদের ভাইয়ের কাছে যাওয়ার পদক্ষেপ নিই অথবা তিনি আমাদের কাছে আসেন, যা-ই হোক না কেন, আমরা হয়তো নিজেদের জিজ্ঞেস করতে পারি, ‘কোন শব্দগুলো, গলার স্বর এবং মৌখিক হাবভাব খুব সম্ভবত শান্তি বৃদ্ধি করবে?’

বিজ্ঞতার সঙ্গে জিহ্বাকে ব্যবহার করুন

যিহোবা বুঝতে পারেন যে, আমাদের চিন্তার বিষয়গুলো প্রকাশ করার প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু, আমরা যদি ব্যক্তিগত এক মতভেদ মীমাংসা করতে ব্যর্থ হই, তাহলে আমরা সম্ভবত অন্যদের কাছে ব্যাপারটা বলার জন্য প্রলুব্ধ হব। বিরক্তি পুষে রাখা সহজেই সমালোচনামূলক কথাবার্তার দিকে চালিত করতে পারে। জিহ্বার অসংগত ব্যবহারের বিষয়ে হিতোপদেশ ১১:১১ পদ বলে: “দুষ্টদের বাক্যে [নগর] উৎপাটিত হয়।” একইভাবে, একজন সহখ্রিস্টান সম্বন্ধে লাগামহীন কথাবার্তা নগরতুল্য একটা মণ্ডলীর শান্তিকে বিঘ্নিত করতে পারে।

কিন্তু, শান্তির অনুধাবন করার মানে এই নয় যে, আমাদের ভাইবোনদের সম্বন্ধে সব ধরনের কথাবার্তা বলাই পরিহার করতে হবে। প্রেরিত পৌল সহবিশ্বাসীদের পরামর্শ দিয়ে বলেছিলেন: “তোমাদের মুখ থেকে কোন বাজে কথা বের না হোক।” কিন্তু, তিনি আরও বলেছিলেন: ‘অন্যকে গড়ে তুলবার জন্য যা ভাল তেমন কথাই বের হোক, যেন যারা তা শোনে তাতে তাদের উপকার হয়। . . . তোমরা একে অন্যের প্রতি দয়ালু হও, অন্যের দুঃখে দুঃখী হও, একে অন্যকে ক্ষমা কর।’ (ইফি. ৪:২৯-৩২, বাংলা কমন ল্যাঙ্গুয়েজ ভারসন) আপনার কথা বা আচরণের কারণে আঘাত পেয়েছেন এমন একজন ভাই যদি আপনার কাছে আসেন, তাহলে ভুল স্বীকার করা এবং শান্তি স্থাপন করা কি সহজ হবে না, যদি তিনি অন্যদের কাছে আপনার বিষয়ে কখনো কোনো নেতিবাচক কিছু না বলে থাকেন? তাই, মতভেদ দেখা দিলে, সহখ্রিস্টানদের বিষয়ে কথা বলার সময় গঠনমূলক কথাবার্তার এক ধারা ব্যবহার করা আমাদের পক্ষে শান্তি পুনর্স্থাপন করাকে সহজতর করবে।—লূক ৬:৩১.

“একযোগে” ঈশ্বরের সেবা করুন

আমাদের পাপপূর্ণ মনুষ্য প্রবণতা হচ্ছে, আমাদেরকে যারা আঘাত দিয়েছে তাদের কাছ থেকে নিজেদেরকে পৃথক করা। কিন্তু, এটা করা বিজ্ঞতার কাজ নয়। (হিতো. ১৮:১) যিহোবার নামে ডাকে এমন ঐক্যবদ্ধ লোক হিসেবে, আমরা ‘একযোগে তাঁহার আরাধনা করিবার’ জন্য দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ।—সফ. ৩:৯.

অন্যদের অসংগত কথাবার্তা বা আচরণ, বিশুদ্ধ উপাসনার পক্ষে আমাদের উদ্যোগকে কখনো কমিয়ে দেওয়ার কারণ হওয়া উচিত নয়। মন্দিরে বিভিন্ন নৈবেদ্যের স্থলে যিশুর বলিদান প্রতিষ্ঠিত হওয়ার মাত্র কয়েকদিন আগে এবং অধ্যাপকদেরকে যিশু প্রকাশ্যে নিন্দা করার অল্প কিছুদিন পরে, তিনি একজন দরিদ্র বিধবাকে মন্দিরের ভাণ্ডারে “ইহার যাহা কিছু ছিল, সমুদয় জীবনোপায়” দান করতে দেখেছিলেন। যিশু কি তাকে বিরত করার চেষ্টা করেছিলেন? এর বিপরীতে, তিনি সেই সময়ে যিহোবার মণ্ডলীর জন্য বিধবার অনুগত সমর্থনের প্রশংসা করেছিলেন। (লূক ২১:১-৪) অন্যদের অধার্মিক কাজগুলো সেই বিধবাকে যিহোবার উপাসনাকে সমর্থন করার বিষয়ে তার বাধ্যবাধকতা পূরণ করা থেকে তাকে বিরত করেনি।

যদিও আমরা হয়তো মনে করতে পারি যে, একজন খ্রিস্টান ভাই বা বোন অসংগতভাবে, এমনকি অন্যায্যভাবে কাজ করছেন, তাহলে কীভাবে আমরা প্রতিক্রিয়া দেখাব? আমরা কি এই বিষয়টাকে যিহোবার প্রতি আমাদের সর্বান্তঃকরণের সেবাকে প্রভাবিত করার সুযোগ দেব? নাকি আমরা যেকোনো ব্যক্তিগত মতভেদগুলো মীমাংসা করার জন্য সাহসের সঙ্গে কাজ করব, যাতে আজকে ঈশ্বরের মণ্ডলীতে বিদ্যমান মূল্যবান শান্তি অক্ষুণ্ণ রাখতে পারি?

“যদি সাধ্য হয়,” শাস্ত্র আমাদের পরামর্শ দেয়, “তোমাদের যত দূর হাত থাকে, মনুষ্যমাত্রের সহিত শান্তিতে থাক।” (রোমীয় ১২:১৮) আমরা যেন তা করার জন্য সংকল্পবদ্ধ হই আর এভাবে নিরাপদে জীবনের পথে থাকি।

[পাদটীকা]

a মথি ১৮:১৫-১৭ পদে লিপিবদ্ধ যিশুর পরামর্শের বিষয়ে ১৯৯৯ সালের ১৫ অক্টোবর প্রহরীদুর্গ পত্রিকার ১৭-২২ পৃষ্ঠা দেখুন।

[১৭ পৃষ্ঠার চিত্র]

ইবদিয়া ও সুন্তুখীকে শান্তির অনুধাবন করতে হয়েছিল

[১৮ পৃষ্ঠার চিত্র]

কোন শব্দগুলো, গলার স্বর এবং মৌখিক হাবভাব খুব সম্ভবত শান্তি বৃদ্ধি করবে?

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার