ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w11 ৭/১ পৃষ্ঠা ১১-১৩
  • আদম ও হবা যে পাপ করবে ঈশ্বর কি তা জানতেন?

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • আদম ও হবা যে পাপ করবে ঈশ্বর কি তা জানতেন?
  • ২০১১ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • “সে সকলই অতি উত্তম”
  • ধার্মিক, ন্যায্য এবং উত্তম
  • “একমাত্র প্রজ্ঞাবান্‌”
  • “ঈশ্বর প্রেম”
  • প্রথম মানব দম্পতির কাছ থেকে আমরা যা শিখতে পারি
    ২০০০ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • যিহোবা “শেষের বিষয় আদি অবধি” জানান
    ২০০৬ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • যিহোবার উদ্দেশ্য পরিপূর্ণ হবেই!
    প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে (অধ্যয়ন)—২০১৭
  • যেকারণে এখনও দুষ্টতা রয়েছে
    ২০০৭ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
আরও দেখুন
২০১১ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w11 ৭/১ পৃষ্ঠা ১১-১৩

আদম ও হবা যে পাপ করবে ঈশ্বর কি তা জানতেন?

অনেক লোকই আন্তরিকভাবে এই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে থাকে। যখনই দুষ্টতা থাকতে ঈশ্বরের অনুমতি দেওয়ার বিষয়টা উত্থাপিত হয়, তখনই এদন উদ্যানে প্রথম মানব দম্পতির পাপ করার বিষয়টা সঙ্গেসঙ্গে চলে আসে। ‘ঈশ্বর সমস্তকিছুই জানেন’ এই চিন্তাধারা হয়তো কাউকে কাউকে সহজেই এই উপসংহারে আসতে পরিচালিত করতে পারে যে, ঈশ্বর অবশ্যই আগে থেকেই জানতেন যে, আদম ও হবা তাঁর অবাধ্য হবে।

ঈশ্বর যদি সত্যিই আগে থেকে জানতেন যে, এই সিদ্ধ দম্পতি পাপ করবে, তাহলে এটা কী ইঙ্গিত করবে? এই ধরনের এক ধারণা ইঙ্গিত করবে যে, ঈশ্বরের অনেক নেতিবাচক গুণ রয়েছে। তাঁকে নির্দয়, অন্যায্য ও আন্তরিকতাহীন ব্যক্তি বলে মনে হবে। কেউ কেউ হয়তো প্রথম মানব-মানবীকে এমন পরিস্থিতিতে রাখা নিষ্ঠুরতা বলে মনে করতে পারে, যেটার পরিণতি খারাপ হবে বলে আগে থেকেই জানা ছিল। আর এরপর ইতিহাসজুড়ে চলতে থাকা সমস্ত মন্দতা ও দুঃখকষ্টের জন্য হয়তো ঈশ্বরকেই—অন্ততপক্ষে আংশিকভাবে—দায়ী করা যেতে পারে বলে মনে হতে পারে। কারো কারো কাছে হয়তো আমাদের সৃষ্টিকর্তা এমনকী বিচারবুদ্ধিহীন বলে মনে হবে।

শাস্ত্রে যেভাবে প্রকাশ করা হয়েছে, যিহোবা ঈশ্বরের কি এই ধরনের এক নেতিবাচক বর্ণনার সঙ্গে মিল রয়েছে? এর উত্তর পাওয়ার জন্য, আসুন আমরা যিহোবার সৃজনশীল কাজগুলো এবং ব্যক্তিত্ব সম্বন্ধে বাইবেল যা বলে, তা পরীক্ষা করে দেখি।

“সে সকলই অতি উত্তম”

পৃথিবীতে প্রথম মানব-মানবীসহ ঈশ্বরের সৃষ্টি সম্বন্ধে আদিপুস্তকের বিবরণ বলে: “ঈশ্বর আপনার নির্ম্মিত বস্তু সকলের প্রতি দৃষ্টি করিলেন, আর দেখ, সে সকলই অতি উত্তম।” (আদিপুস্তক ১:৩১) আদম ও হবাকে সিদ্ধভাবে সৃষ্টি করা হয়েছিল, যেটা তাদের পার্থিব পরিবেশের জন্য একেবারে উপযুক্ত ছিল। তাদের গঠনে কোনোরকম খুঁত ছিল না। “অতি উত্তম” হিসেবে সৃষ্ট হওয়ায়, তারা নিশ্চিতভাবে সেই উত্তম আচরণ প্রদর্শন করতে সমর্থ ছিল যেটা তাদের কাছ থেকে আশা করা হয়েছিল। তারা “ঈশ্বরের প্রতিমূর্ত্তিতেই” সৃষ্ট হয়েছিল। (আদিপুস্তক ১:২৭) তাই তারা প্রজ্ঞা, অনুগত প্রেম, ন্যায়বিচার ও মঙ্গলভাবের মতো ঈশ্বরীয় গুণগুলোকে কিছুটা মাত্রায় প্রদর্শন করতে সমর্থ ছিল। এই ধরনের গুণগুলোকে প্রতিফলিত করা তাদেরকে সেই সিদ্ধান্তগুলো নিতে সাহায্য করত, যেগুলো তাদেরকে উপকৃত করত ও তাদের স্বর্গীয় পিতার জন্য আনন্দ নিয়ে আসত।

যিহোবা এই সিদ্ধ, বুদ্ধিবিশিষ্ট প্রাণীদের স্বাধীন ইচ্ছা প্রদান করেছিলেন। তাই ঈশ্বরকে খুশি করার জন্য তাদেরকে কোনোভাবেই কোনো রোবটের মতো আগে থেকে প্রোগ্রাম করে রাখা হয়নি। এই বিষয়টা চিন্তা করুন। কোনটা আপনার কাছে বেশি অর্থ রাখে—যান্ত্রিকভাবে দেওয়া নাকি হৃদয় থেকে আসা কোনো উপহার? উত্তরটা স্পষ্ট। একইভাবে, আদম ও হবা যদি স্বাধীনভাবে ঈশ্বরের বাধ্য থাকা বেছে নিত, তাহলে তাদের বাধ্যতা তাঁর কাছে আরও বেশি অর্থ রাখত। বেছে নিতে পারার ক্ষমতা প্রথম মানব দম্পতিকে প্রেমবশত যিহোবার বাধ্য হতে সমর্থ করত।—দ্বিতীয় বিবরণ ৩০:১৯, ২০.

ধার্মিক, ন্যায্য এবং উত্তম

বাইবেল আমাদের কাছে যিহোবার গুণগুলোকে প্রকাশ করে। এই গুণগুলোর কারণে পাপের সঙ্গে জড়িত কোনো কিছু করা তাঁর পক্ষে অসম্ভব। যিহোবা “ধার্ম্মিকতা ও ন্যায়বিচার ভালবাসেন,” গীতসংহিতা ৩৩:৫ পদ বলে। তাই যাকোব ১:১৩ পদ বলে: “মন্দ বিষয়ের দ্বারা ঈশ্বরের পরীক্ষা করা যাইতে পারে না, আর তিনি কাহারও পরীক্ষা করেন না।” ন্যায্যতার কারণে এবং বিবেচনা দেখিয়ে ঈশ্বর আদমকে সাবধান করেছিলেন: “তুমি এই উদ্যানের সমস্ত বৃক্ষের ফল স্বচ্ছন্দে ভোজন করিও; কিন্তু সদসদ্‌-জ্ঞানদায়ক যে বৃক্ষ, তাহার ফল ভোজন করিও না, কেননা যে দিন তাহার ফল খাইবে, সেই দিন মরিবেই মরিবে।” (আদিপুস্তক ২:১৬, ১৭) প্রথম দম্পতিকে অন্তহীন জীবন ও মৃত্যুর মধ্যে কোনো একটা বেছে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। যদি ইতিমধ্যেই তিনি খারাপ পরিণতি সম্বন্ধে জেনে তাদেরকে নির্দিষ্ট পাপের বিষয়ে সাবধান করতেন, তাহলে সেটা কি ঈশ্বরের পক্ষে কপটতা হতো না? “ধার্ম্মিকতা ও ন্যায়বিচার ভালবাসেন” এমন একজন ব্যক্তি হিসেবে যিহোবা সেই বাছাইয়ের বিষয়ে প্রস্তাব দিতেন না যেটা কিনা বাস্তবে বিদ্যমান ছিল না।

এ ছাড়া, যিহোবার মঙ্গলভাবও মহৎ। (গীতসংহিতা ৩১:১৯) ঈশ্বরের মঙ্গলভাবকে বর্ণনা করতে গিয়ে যিশু বলেছিলেন: “তোমাদের মধ্যে এমন লোক কে যে, আপনার পুত্ত্র রুটী চাহিলে তাহাকে পাথর দিবে, কিম্বা মাছ চাহিলে তাহাকে সাপ দিবে? অতএব তোমরা মন্দ হইয়াও যদি তোমাদের সন্তানদিগকে উত্তম উত্তম দ্রব্য দান করিতে জান, তবে ইহা কত অধিক নিশ্চয় যে, তোমাদের স্বর্গস্থ পিতা, যাহারা তাঁহার কাছে যাচ্ঞা করে, তাহাদিগকে উত্তম উত্তম দ্রব্য দান করিবেন।” (মথি ৭:৯-১১) ঈশ্বর তাঁর সৃষ্ট মানুষদের “উত্তম উত্তম দ্রব্য” দান করেন। মানুষদের সৃষ্টি ও তাদের জন্য পরমদেশ গৃহ যেভাবে প্রস্তুত করা হয়েছিল, তা ঈশ্বরের মঙ্গলভাবের প্রমাণ দেয়। এই ধরনের একজন উত্তম সার্বভৌম কি এতই নিষ্ঠুর হবেন যে, এক সুন্দর গৃহ যেটা কেড়ে নেওয়া হবে এমনটা আগে থেকে জেনেও সেটা প্রদান করবেন? না। আমাদের ধার্মিক ও উত্তম নির্মাতাকে মানুষের বিদ্রোহের জন্য দোষ দেওয়া যায় না।

“একমাত্র প্রজ্ঞাবান্‌”

এ ছাড়া শাস্ত্র দেখায় যে, যিহোবা হলেন “একমাত্র প্রজ্ঞাবান্‌।” (রোমীয় ১৬:২৭) ঈশ্বরের স্বর্গীয় দূতেরা এই অসীম প্রজ্ঞার অনেক প্রকাশ প্রত্যক্ষ করেছে। যিহোবা যখন তাঁর পার্থিব সৃষ্টিগুলোকে অস্তিত্বে নিয়ে এসেছিলেন, তখন তারা “জয়ধ্বনি” করতে শুরু করেছিল। (ইয়োব ৩৮:৪-৭) নিঃসন্দেহে এই বুদ্ধিবিশিষ্ট আত্মিক প্রাণীরা অনেক আগ্রহ সহকারে এদন উদ্যানের ঘটনাগুলোকে লক্ষ করেছিল। তাহলে, এক বিস্ময়কর নিখিলবিশ্ব এবং অপূর্ব পার্থিব কাজগুলো সৃষ্টি করার পর, তাঁর স্বর্গীয় সন্তানদের চোখের সামনে দুই অদ্বিতীয় প্রাণীকে, যারা ব্যর্থ হবেই বলে তিনি জানতেন, সৃষ্টি করা একজন প্রজ্ঞাবান ঈশ্বরের কাছে কি কোনো অর্থ রাখত? স্পষ্টতই, এই ধরনের এক বিপর্যয়ের পরিকল্পনা করা অযৌক্তিক হতো।

তবুও, কেউ কেউ হয়তো আপত্তি করে বলতে পারে যে, ‘কিন্তু কীভাবে একজন সর্ববিজ্ঞ ঈশ্বর তা না জেনে থাকতে পারেন?’ এটা ঠিক যে, যিহোবার মহান প্রজ্ঞার একটা দিক হল “শেষের বিষয় আদি অবধি” তাঁর জানার ক্ষমতা। (যিশাইয় ৪৬:৯, ১০) কিন্তু, তাঁকে এই ক্ষমতা ব্যবহার করতে হয় না, ঠিক যেমন সবসময় তাঁকে তাঁর অসীম শক্তিকে পূর্ণমাত্রায় ব্যবহার করতে হয় না। যিহোবা কখন তাঁর পূর্বজ্ঞানকে ব্যবহার করবেন, তা তিনি বিজ্ঞতার সঙ্গে বেছে নেন। যখন তা করা অর্থ রাখে এবং পরিস্থিতিগুলোর সঙ্গে খাপ খায়, তখন তিনি তা ব্যবহার করেন।

পূর্বজ্ঞানকে ব্যবহার করা থেকে বিরত হওয়ার ক্ষমতাকে আধুনিক দিনের প্রযুক্তির একটা দিকের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। একজন ব্যক্তি যিনি রেকর্ডকৃত কোনো খেলা দেখছেন, তিনি ফলাফল জানার জন্য শেষ মুহূর্তের অংশটা প্রথমে দেখা বেছে নিতে পারেন। কিন্তু, তার সেভাবে শুরু করার প্রয়োজন নেই। তিনি যদি পুরো খেলাটা শুরু থেকে দেখা বেছে নেন, তাহলে কে তার সমালোচনা করবে? একইভাবে, সৃষ্টিকর্তাও স্পষ্টতই বিষয়গুলো কীভাবে ঘটবে, তা না দেখা বেছে নেন। এর পরিবর্তে, তিনি অপেক্ষা করা এবং ঘটনাগুলো ঘটতে থাকার সময়, তাঁর পার্থিব সন্তানেরা কেমন আচরণ করবে, তা দেখা বেছে নেন।

আগে যেমন উল্লেখ করা হয়েছে, যিহোবা তাঁর প্রজ্ঞা অনুসারে প্রথম মানব-মানবীকে কোনো নির্দিষ্ট কাজের জন্য প্রোগ্রাম করা রোবট হিসেবে সৃষ্টি করেননি। এর পরিবর্তে, তিনি প্রেমের সঙ্গে তাদেরকে স্বাধীন ইচ্ছা দিয়েছিলেন। সঠিক পথ বেছে নেওয়ার দ্বারা তারা তাদের প্রেম, কৃতজ্ঞতা এবং বাধ্যতা প্রদর্শন করতে পারত আর এভাবে তারা তাদের নিজেদের এবং তাদের স্বর্গীয় পিতা হিসেবে যিহোবার জন্য অনেক আনন্দ নিয়ে আসত।—হিতোপদেশ ২৭:১১; যিশাইয় ৪৮:১৮.

শাস্ত্র দেখায় যে, অনেক উপলক্ষ্যে ঈশ্বর পূর্বজ্ঞান সম্বন্ধীয় তাঁর ক্ষমতাকে ব্যবহার করেননি। উদাহরণস্বরূপ, যখন বিশ্বস্ত অব্রাহাম তার ছেলেকে বলি দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন, তখন যিহোবা বলতে পেরেছিলেন: “এখন আমি বুঝিলাম, তুমি ঈশ্বরকে ভয় কর, আমাকে আপনার অদ্বিতীয় পুত্ত্র দিতেও অসম্মত নও।” (আদিপুস্তক ২২:১২) অন্য দিকে, এমন উপলক্ষ্যগুলোও ছিল যখন কিছু ব্যক্তির মন্দ আচরণ ঈশ্বরের ‘মনঃপীড়ার’ কারণ হয়েছিল। তিনি যদি অনেক আগে থেকেই জানতেন যে, তারা কী করবে, তাহলে তিনি কি এরকম কষ্ট পেতেন?—গীতসংহিতা ৭৮:৪০, ৪১; ১ রাজাবলি ১১:৯, ১০.

তাই, কেবল এই উপসংহারে আসাই যুক্তিসংগত যে, সর্ববিজ্ঞ ঈশ্বর পূর্বজ্ঞান সম্বন্ধীয় তাঁর ক্ষমতাকে আমাদের প্রথম পিতামাতা পাপ করবে, তা জানার জন্য ব্যবহার করেননি। তিনি এতটাই বিচারবুদ্ধিহীন ছিলেন না যে, তিনি মানুষকে কেবল অস্বাভাবিক কিছু ধারাবাহিক ঘটনার জন্য সৃষ্টি করবেন, যে-ঘটনাগুলো তাঁর পূর্বজ্ঞান থাকায় ঘটবে বলে ইতিমধ্যেই জানতেন।

“ঈশ্বর প্রেম”

ঈশ্বরের বিপক্ষ শয়তান এদনে বিদ্রোহের সূত্রপাত করেছিল, যেটার ফলে বিভিন্ন নেতিবাচক পরিণতি হয়েছিল, যেগুলোর অন্তর্ভুক্ত ছিল পাপ ও মৃত্যু। তাই শয়তান ছিল একজন “নরঘাতক।” এ ছাড়া, সে নিজেকে একজন “মিথ্যাবাদী ও তাহার পিতা” বলেও প্রমাণ করেছিল। (যোহন ৮:৪৪) নিজেই মন্দ উদ্দেশ্যগুলোর দ্বারা পরিচালিত হয়ে সে আমাদের প্রেমময় সৃষ্টিকর্তার মধ্যে মন্দ উদ্দেশ্যগুলো রয়েছে বলে বলার চেষ্টা করে। সে মানুষের পাপের জন্য যিহোবারই ওপর দোষ চাপাতে চায়।

আদম ও হবা পাপ করবে এই বিষয়টা যিহোবার আগে থেকে না জানা বেছে নেওয়ার জোরোলো কারণ হল প্রেম গুণটি। প্রেম হল ঈশ্বরের প্রধান গুণ। ১ যোহন ৪:৮ পদ বলে, “ঈশ্বর প্রেম।” প্রেম নেতিবাচক নয় কিন্তু ইতিবাচক। এটি অন্যদের মধ্যে ভালো কিছু খোঁজে। হ্যাঁ, প্রেমের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে যিহোবা ঈশ্বর প্রথম মানব দম্পতির জন্য সবচেয়ে ভালোটাই চেয়েছিলেন।

এমনকী যদিও ঈশ্বরের পার্থিব সন্তানেরা এক অবিবেচনাপূর্ণ বাছাই করতে পারত, কিন্তু আমাদের প্রেমময় ঈশ্বরের তাঁর সিদ্ধ মানুষদের বিষয়ে নিরাশ অথবা সন্দেহপ্রবণ হওয়ার প্রবণতা ছিল না। তিনি তাদেরকে জীবনের প্রয়োজনীয় সবকিছু প্রদান করেছিলেন ও তাদের যে-বিষয়গুলো জানার প্রয়োজন ছিল, সেগুলোর সমস্তই তাদেরকে জানিয়েছিলেন। তাই এর প্রতিদানে, ঈশ্বরের বিদ্রোহ নয় বরং প্রেমময় বাধ্যতাই আশা করা উপযুক্ত ছিল। তিনি জানতেন যে, আদম ও হবার অনুগতভাবে আচরণ করার ক্ষমতা ছিল, যেটা পরে এমনকী অব্রাহাম, ইয়োব, দানিয়েল এবং আরও অনেক অসিদ্ধ মানুষের মতো ব্যক্তিরা প্রমাণ করেছিল।

যিশু বলেছিলেন যে, “ঈশ্বরের সকলই সাধ্য।” (মথি ১৯:২৬) এটা এক সান্ত্বনাদায়ক চিন্তাধারা। যিহোবার প্রেম এবং সেইসঙ্গে তাঁর অন্যান্য প্রধান গুণ ন্যায়বিচার, প্রজ্ঞা এবং শক্তি এই নিশ্চয়তা দেয় যে, নিরূপিত সময়ে তিনি পাপ ও মৃত্যুর সমস্ত প্রভাবকে দূর করতে পারেন এবং তিনি তা করবেন।—প্রকাশিত বাক্য ২১:৩-৫.

স্পষ্টতই, যিহোবা আগে থেকে জানতেন না যে, প্রথম দম্পতি পাপ করবে। মানুষের অবাধ্যতা এবং এর ফলে যে-দুঃখকষ্ট এসেছিল সেটার কারণে যদিও তিনি কষ্ট পেয়েছিলেন, কিন্তু ঈশ্বর জানতেন যে, ক্ষণিকের এই পরিস্থিতি পৃথিবী এবং এতে বসবাসকারী মানুষের জন্য তাঁর অনন্তকালীন উদ্দেশ্য পরিপূর্ণ হওয়াকে ব্যাহত করবে না। সেই উদ্দেশ্য এবং এটার গৌরবান্বিত পরিপূর্ণতা থেকে আপনি কীভাবে উপকৃত হতে পারেন, সেই বিষয়ে আরও বেশি জানুন না কেন?a (w১১-E ০১/০১)

[পাদটীকা]

a পৃথিবীতে ঈশ্বরের উদ্দেশ্য সম্বন্ধে আরও তথ্যের জন্য যিহোবার সাক্ষিদের দ্বারা প্রকাশিত বাইবেল প্রকৃতপক্ষে কী শিক্ষা দেয়? বইয়ের ৩ অধ্যায় দেখুন।

[১২ পৃষ্ঠার ব্লার্ব]

যিহোবা প্রথম মানব-মানবীকে কোনো নির্দিষ্ট কাজের জন্য প্রোগ্রাম করা রোবট হিসেবে সৃষ্টি করেননি

[১৩ পৃষ্ঠার ব্লার্ব]

ঈশ্বর জানতেন যে, আদম ও হবার অনুগতভাবে আচরণ করার ক্ষমতা ছিল

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার