ঈশ্বর চান যেন নারীদের সম্মান করা হয়
পৃথিবীতে থাকার সময় যিশু তাঁর পিতাকে একেবারে নিখুঁতভাবে অনুকরণ করেছিলেন। পিতা কেমন ব্যক্তি এবং তিনি কীভাবে কাজ করেন, তা তিনি তুলে ধরেছিলেন। তিনি বলেছিলেন: “আমি নিজে থেকে কিছুই করি না; কিন্তু পিতা আমাকে যে-বিষয়গুলো শিক্ষা দিয়েছেন, আমি সেগুলোই বলি। ... আমি সবসময় সেই কাজগুলোই করি, যেগুলোতে তিনি খুশি হন।” (যোহন ৮:২৮, ২৯; কলসীয় ১:১৫) তাই, যিশু নারীদের সঙ্গে কেমন আচরণ করতেন, তা লক্ষ করার মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারব, ঈশ্বর নারীদের কীভাবে দেখেন এবং আমরা তাদের সঙ্গে কেমন আচরণ করি বলে তিনি চান।
সুসমাচারের বইগুলো থেকে জানা যায়, যিশুর দিনে লোকেরা নারীদের যেভাবে দেখত, যিশু তাদের সেভাবে দেখতেন না। আর এই বিষয়টা বেশ কয়েক জন পণ্ডিত ব্যক্তি স্বীকার করেছেন। কেন যিশু নারীদের আলাদাভাবে দেখতেন? আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, যিশুর শিক্ষা অনুযায়ী এখনও কি নারীদের স্বাধীনতা রয়েছে?
নারীদের সঙ্গে যিশু কেমন আচরণ করতেন?
যিশু এইরকমটা মনে করতেন না যে, নারীরা কেবল ভোগের সামগ্রী। যিহুদি ধর্মীয় নেতাদের মধ্যে কেউ কেউ মনে করত, একজন নারী এবং একজন পুরুষ যদি পরস্পরের কাছে আসে, তা হলে দু-জনের মধ্যে কামনা জেগে উঠতে পারে। তারা মনে করত, নারীরা প্রলোভন জাগিয়ে তোলে আর তাই সবার সামনে নারীরা পুরুষদের সঙ্গে কথা বলতে পারত না অথবা ঘোমটা না দিয়ে বাইরে বের হতে পারত না। অন্যদিকে, যিশু পুরুষদের উপদেশ দিয়েছিলেন যেন তারা নিজেদের শারীরিক আকাঙ্ক্ষাকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং নারীদের সঙ্গে সম্মান দেখিয়ে আচরণ করে। তারা যেন সমাজ থেকে নারীদের আলাদা করে না রাখে।—মথি ৫:২৮.
যিশু এও বলেছিলেন: “যে-কেউ তার স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ করে অন্য নারীকে বিয়ে করে, সে তার প্রথম স্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যভিচার করে।” (মার্ক ১০:১১, ১২) রব্বিদের শিক্ষা অনুযায়ী পুরুষেরা “যেকোনো কারণে” তাদের স্ত্রীদের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ করতে পারত। (মথি ১৯:৩, ৯) তাই, যিশু উপরের কথাগুলো বলে রব্বিদের শিক্ষাকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। প্রথম স্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যভিচার করার ধারণাটা বেশিরভাগ যিহুদির কাছে নতুন ছিল। কারণ তাদের রব্বিরা শিক্ষা দিত, একজন স্বামী কখনোই তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যভিচার করতে পারে না, বরং একজন নারী অবিশ্বস্ত হয়ে পড়তে পারে! বাইবেল সম্বন্ধে মন্তব্য করতে গিয়ে একটা বই এভাবে বলে, “স্ত্রীদের মতো স্বামীদের ক্ষেত্রেও একই বিষয় প্রযোজ্য, এটা বোঝানোর মাধ্যমে যিশু নারীদের গুরুত্ব ও সম্মান বাড়িয়ে দিয়েছিলেন।”
বর্তমানে তাঁর শিক্ষা যেভাবে কাজে লাগানো হয়: যিহোবার সাক্ষিদের খ্রিস্টীয় মণ্ডলীতে নারীরা নির্দ্বিধায় পুরুষদের সঙ্গে মেলামেশা করে। তবে, তাদের এইরকম ভয় পাওয়া উচিত নয়, পুরুষেরা তাদের খারাপ নজরে দেখবে অথবা অতিরিক্ত ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করবে। কারণ খ্রিস্টান পুরুষেরা “বয়স্ক নারীদের মায়ের মতো ... যুবতীদের নিজের বোনের মতো মনে করে সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ মনোভাব নিয়ে” আচরণ করে।—১ তীমথিয় ৫:২.
যিশু নারীদের শিক্ষা দেওয়ার জন্য সময় করে নিয়েছিলেন। যিশুর দিনের রব্বিরা নারীদের কোনো গুরুত্ব দিত না। কিন্তু, এর বিপরীতে যিশু নারীদের শিক্ষা দিয়েছিলেন এবং উৎসাহিত করেছিলেন যেন তারা নিজেদের মতামত খোলাখুলিভাবে প্রকাশ করে। যিশু যখন শিক্ষা দিচ্ছিলেন, তখন মরিয়ম খুব আনন্দের সঙ্গে এবং মনোযোগ দিয়ে তাঁর কথা শুনছিলেন। কিন্তু, মরিয়মের বোন মার্থা যখন যিশুকে বলেছিলেন, তিনি যেন মরিয়মকে তার কাজে সাহায্য করার জন্য বলেন, তখন যিশু তা করেননি। এভাবে যিশু দেখিয়েছিলেন, নারীদের স্থান কেবল রান্নাঘরেই নয়। (লূক ১০:৩৮-৪২) মরিয়মের বোন মার্থাও যে যিশুর শিক্ষা থেকে উপকার লাভ করেছিলেন, তা তার ভাই লাসার মারা যাওয়ার পর যিশুকে তিনি বুদ্ধির সঙ্গে যে-উত্তর দিয়েছিলেন, তা থেকে বোঝা যায়।—যোহন ১১:২১-২৭.
যিশু নারীদের চিন্তাভাবনাকেও মূল্য দিতেন। সেই সময়ে বেশিরভাগ যিহুদি নারী মনে করত, একটি যোগ্য ছেলেসন্তান থাকলেই তাদের জীবন ধন্য আর সে যদি একজন ভাববাদী হয়, তা হলে তো কথাই নেই। একজন মহিলা যখন চিৎকার করে বলেছিলেন: “সুখী সেই মহিলা, যে আপনাকে জন্ম দিয়েছে এবং দুধ পান করিয়েছে!” তখন যিশু এই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে তাকে তার এই চিন্তাভাবনার চেয়ে আরও ভালো বিষয় সম্বন্ধে বলেছিলেন। (লূক ১১:২৭, ২৮) যিশু বলেছিলেন, ঈশ্বরের বাধ্য হওয়া আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এভাবে যিশু তখনকার সময়ে নারীদের ভূমিকার প্রতি যে-দৃষ্টিভঙ্গি ছিল, সেটার চেয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বোঝার জন্য সেই মহিলাকে সাহায্য করেছিলেন।—যোহন ৪:৩২.
বর্তমানে তাঁর শিক্ষা যেভাবে কাজে লাগানো হয়: খ্রিস্টান মণ্ডলীতে যারা শিক্ষা দিয়ে থাকে, তারা মণ্ডলীর সভাগুলোতে নারীদের মন্তব্য করার সুযোগ দেয়। যে-নারীরা সঠিকভাবে ঈশ্বরের বাক্য মেনে চলে, তারা একা থাকার সময় এবং উদাহরণে মাধ্যমে যখন “ভালো বিষয়ের শিক্ষক” হয়, তখন খ্রিস্টান পুরুষেরা তাদের প্রতি সম্মান দেখায়। (তীত ২:৩) এ ছাড়া, তারা নারীদের জনসমক্ষে ঈশ্বরের রাজ্য সম্বন্ধে প্রচার করার সুযোগ দেওয়ার মাধ্যমে দেখায় যে, তারা নারীদের উপর নির্ভর করে।—গীতসংহিতা ৬৮:১১; ৯ পৃষ্ঠায় দেওয়া “প্রেরিত পৌল কি নারীদের কথা বলতে নিষেধ করেছিলেন?” শিরোনামের বাক্সটা দেখুন।
যিশু নারীদের প্রতি চিন্তা দেখিয়েছিলেন। বাইবেলের সময়ে ছেলেসন্তানকে যতটা মূল্য দেওয়া হত, মেয়েসন্তানকে ততটা মূল্য দেওয়া হত না। তালমুডে লেখা কথাগুলো থেকে এটা বোঝা যায়: “সুখী সেই পুরুষ, যার ছেলেসন্তান রয়েছে আর ধিক সেই পুরুষকে, যার মেয়েসন্তান রয়েছে।” কোনো কোনো বাবা-মা একটা মেয়েকে বিরাট বোঝা বলে মনে করত কারণ তাদের মেয়ের জন্য সাথি খুঁজতে হবে, মেয়ের বিয়ের সময় যৌতুক দিতে হবে আর বুড়ো বয়সে তাদের দেখাশোনা করার জন্য তারা তো আর মেয়ের উপর নির্ভর করতে পারবে না।
যিশু দেখিয়েছিলেন, একটা ছেলের জীবন যেমন মূল্যবান, তেমনই একটা মেয়ের জীবনও মূল্যবান। নায়িন্ নগরে তিনি যেমন বিধবার ছেলেকে পুনরুত্থিত করেছিলেন, তেমনই তিনি যায়ীরের মেয়েকেও পুনরুত্থিত করেছিলেন। (মার্ক ৫:৩৫, ৪১, ৪২; লূক ৭:১১-১৫) “মন্দ স্বর্গদূতের কারণে ১৮ বছর ধরে” অসুস্থ ছিল এমন একজন মহিলাকে সুস্থ করার পর যিশু তাকে “অব্রাহামের কন্যা” বলেছিলেন। যিহুদিদের লেখাগুলোতে এই ধরনের কথা বলতে গেলে প্রায় অপরিচিত ছিল। (লূক ১৩:১০-১৬) এই সম্মানজনক ও সদয় কথাগুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে তিনি সমাজের অন্যদের মতো সেই মহিলাকে কেবল মূল্যবান বলেই গণ্য করেননি, কিন্তু সেইসঙ্গে তার অগাধ বিশ্বাস রয়েছে বলেও স্বীকার করেছিলেন।—লূক ১৯:৯; গালাতীয় ৩:৭.
বর্তমানে তাঁর শিক্ষা যেভাবে কাজে লাগানো হয়: এশিয়ার একটা প্রবাদ বলে: “একটা মেয়েকে মানুষ করা মানে প্রতিবেশীর বাগানে জল দেওয়া।” প্রেমময় খ্রিস্টান বাবারা কখনোই এইরকম মনে করে না। তারা ছেলে ও মেয়ে সমস্ত সন্তানের ভালোভাবে যত্ন নেয়। খ্রিস্টান বাবা-মায়েরা তাদের সমস্ত সন্তানের স্বাস্থ্যের বিষয়ে খেয়াল রাখে এবং লক্ষ রাখে যেন তারা উপযুক্ত শিক্ষা লাভ করে।
যিশু মগ্দলীনী মরিয়মকে তাঁর পুনরুত্থানের বিষয়ে প্রেরিতদের জানানোর সুযোগ দেওয়ার মাধ্যমে তার প্রতি সম্মান দেখিয়েছিলেন
যিশু নারীদের প্রতি আস্থা দেখিয়েছিলেন। যিহুদি আদালতে একজন দাসের সাক্ষ্যকে কোনো মূল্যই দেওয়া হত না। আর একজন মহিলার সাক্ষ্যকে একজন দাসের সাক্ষ্যের মতোই মনে করা হত। প্রথম শতাব্দীর একজন ইতিহাসবিদ জোসিফাস পরামর্শ দেন: “মহিলাদের দেওয়া কোনো প্রমাণই যেন গ্রহণ করা না হয়, কারণ তাদের যে-স্বভাব, তাতে তাদের বিশ্বাস করা যায় না।”
এর একেবারে বিপরীতে, যিশু তাঁর পুনরুত্থানের বিষয়ে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য মহিলাদের বেছে নিয়েছিলেন। (মথি ২৮:১, ৮-১০) যদিও এই বিশ্বস্ত মহিলারা তাদের প্রভুকে নিজের চোখে মারা যেতে এবং তাকে কবর দিতে দেখেছিল, কিন্তু প্রেরিতদের জন্য সেই মহিলাদের কথা বিশ্বাস করা কঠিন ছিল। (মথি ২৭:৫৫, ৫৬, ৬১; লূক ২৪:১০, ১১) তবে, মহিলাদের কাছে প্রথম দেখা দিয়ে পুনরুত্থিত যিশু তাঁর অন্য শিষ্যদের মতো তাদেরও সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য যোগ্য বলে মনে করেছিলেন।—প্রেরিত ১:৮, ১৪.
বর্তমানে তাঁর শিক্ষা যেভাবে কাজে লাগানো হয়: যিহোবার সাক্ষিদের মণ্ডলীতে যে-পুরুষদের দায়িত্ব রয়েছে, তারা নারীদের মন্তব্যকে গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়ার মাধ্যমে তাদের প্রতি বিবেচনা দেখায়। আর খ্রিস্টান স্বামীরা তাদের স্ত্রীদের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনার মাধ্যমে তাদের ‘সমাদর করে।’—১ পিতর ৩:৭; আদিপুস্তক ২১:১২.
বাইবেলের নীতিগুলো নারীদের সুখী হতে সাহায্য করে
যারা বাইবেলের নীতিগুলো কাজে লাগায়, তারা নারীদের সম্মান করে এবং তাদের মর্যাদা দেয়
পুরুষেরা যখন খ্রিস্টকে অনুকরণ করে, তখন তারা নারীদের সম্মান করে এবং স্বাধীনতা দেয় আর সৃষ্টির শুরুতে এটাই ঈশ্বরের উদ্দেশ্য ছিল। (আদিপুস্তক ১:২৭, ২৮) পুরুষেরা নারীদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ এইরকম ধারণাকে সমর্থন করার পরিবর্তে খ্রিস্টান স্বামীরা বাইবেলের নীতি অনুযায়ী চলে আর এতে তাদের সাথিরা সুখী হয়।—ইফিষীয় ৫:২৮, ২৯.
ইলিনা নামে এখন মহিলার কথা চিন্তা করুন, যিনি সাক্ষিদের সঙ্গে বাইবেল অধ্যয়ন শুরু করেছিলেন। তার স্বামী তার সঙ্গে অনেক রূঢ় আচরণ করতেন। আসলে, তার স্বামী এমন একটা পরিবেশে বড়ো হয়েছিলেন, যেখানে মারামারি খুব সাধারণ ছিল আর একজন ছেলে একজন মেয়ের এবং তার বাবা-মায়ের সম্মতি না থাকা সত্ত্বেও সেই মেয়েকে অপহরণ করে বিয়ে করত। ইলিনা বলেন, “বাইবেলের শিক্ষা আমাকে শক্তি দিয়েছিল। আমি বুঝতে পেরেছিলাম, একজন আছেন, যিনি আমাকে খুব ভালোবাসেন এবং আমার জন্য চিন্তা করেন। আমি এও বুঝতে পেরেছিলাম, আমার স্বামী যদি বাইবেল অধ্যয়ন করেন, তা হলে আমার প্রতি তার আচরণ পরিবর্তন হতে পারে।” তার এই স্বপ্ন সত্যি হয়েছিল, যখন তার স্বামী একসময় বাইবেল অধ্যয়ন করতে রাজি হয়েছিলেন এবং পরে যিহোবার একজন সাক্ষি হিসেবে বাপ্তিস্ম নিয়েছিলেন। ইলিনা বলেন, “নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে তিনি অনেক ভালো উদাহরণ দেখিয়েছিলেন। আমরা একে অন্যকে পুরোপুরিভাবে ক্ষমা করতে শিখেছিলাম।” শেষে ইলিনা কী বলেন? “বাইবেলের নীতিগুলো সত্যিই আমাকে সাহায্য করেছিল। এগুলো আমাদের বিয়েকে টিকিয়ে রাখে এবং আমাকে বুঝতে সাহায্য করে যে, আমাকে মূল্যবান বলে মনে করা হয়।”—কলসীয় ৩:১৩, ১৮, ১৯.
কেবল ইলিনারই যে এই অভিজ্ঞতা হয়েছে এমন নয়। লক্ষ লক্ষ খ্রিস্টান স্ত্রী সুখী কারণ তারা এবং তাদের স্বামীরা তাদের বিয়েতে একসঙ্গে বাইবেলের নীতিগুলো কাজে লাগানোর চেষ্টা করে। সহখ্রিস্টানদের সঙ্গে মেলামেশা করে তারা সম্মান, স্বস্তি ও স্বাধীনতা লাভ করে।—যোহন ১৩:৩৪, ৩৫.
খ্রিস্টান পুরুষ ও নারী উভয়েই জানে যে, পাপী ও অসিদ্ধ মানুষ হিসেবে তারা ঈশ্বরের সৃষ্টির অংশ, যা “অসারতার বশীভূত।“ কিন্তু, তাদের প্রেমময় ঈশ্বর ও পিতা যিহোবার নিকটবর্তী হওয়ার মাধ্যমে তাদের “ক্ষয়ের দাসত্ব থেকে মুক্ত” হওয়ার এবং “ঈশ্বরের সন্তানদের মহিমাপূর্ণ স্বাধীনতা” উপভোগ করার প্রত্যাশা রয়েছে। ঈশ্বরের যত্নের অধীনে পুরুষ ও নারী উভয়েরই কী অপূর্ব প্রত্যাশাই না রয়েছে!—রোমীয় ৮:২০, ২১.