ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • wp17 নং ২ পৃষ্ঠা ৯
  • আরেকটা প্রমাণ

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • আরেকটা প্রমাণ
  • প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে (জনসাধারণের সংস্করণ)—২০১৭
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • ঈশ্বরের সাহায্যের ওপর নির্ভর করা
    আমার বাইবেলের গল্পের বই
  • ইষ্রা বইয়ের প্রধান বিষয়গুলো
    ২০০৬ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে (জনসাধারণের সংস্করণ)—২০১৭
wp17 নং ২ পৃষ্ঠা ৯
একটা কীলকাকার ফলকে তত্তনুর নাম লেখা রয়েছ

এই কীলকাকার ফলকের এক দিকের প্রান্তভাগে তত্তনুর নাম রয়েছে

আরেকটা প্রমাণ

এমন কোনো প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণ কি রয়েছে, যা বাইবেলের বিবরণকে সমর্থন করে? ২০১৪ সালে বিবলিক্যাল আর্কিওলজি রিভিউ পত্রিকার একটা প্রবন্ধে এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছিল: “ইব্রীয় বাইবেলে উল্লেখিত কত জন ব্যক্তির পরিচয় সম্বন্ধে প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণ রয়েছে?” উত্তর হল: “অন্ততপক্ষে ৫০ জন!” কিন্তু, এই প্রবন্ধে এক জন ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা হয়নি আর তিনি হলেন তত্তনয়। এই তত্তনয় কে ছিলেন? আসুন, আমরা বাইবেলের বিবরণে তার সংক্ষিপ্ত ভূমিকা পরীক্ষা করে দেখি।

যিরূশালেম একসময় বিশাল পারস্য সাম্রাজ্যের অংশ ছিল। ফরাৎ নদীর পশ্চিম দিকে অবস্থিত হওয়ায় পারসিকরা এটাকে নদী-পারস্থ প্রদেশ বলত। বাবিল জয় করার পর পারসিকরা যিহুদি বন্দিদের মুক্ত করেছিল আর তাদের যিরূশালেমে যিহোবার মন্দির পুনর্নির্মাণ করার অনুমতি দিয়েছিল। (ইষ্রা ১:১-৪) কিন্তু, যিহুদিদের শত্রুরা এই নির্মাণকাজের বিরোধিতা করেছিল আর মিথ্যাভাবে দোষারোপ করেছিল যে, যিহুদিরা পারসিকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করছে। (ইষ্রা ৪:৪-১৬) দারিয়াবস ১ম-এর (খ্রিস্টপূর্ব ৫২২-৪৮৬ সাল) রাজত্বকালে তত্তনয় নামে একজন পারসিক অধ্যক্ষ এই বিষয়ে তদন্ত করেছিলেন। বাইবেলে তাকে “নদী-পারস্থ দেশাধ্যক্ষ” হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।—ইষ্রা ৫:৩-৭.

তত্তনয়ের বিষয়ে উল্লেখিত অনেক কীলকাকার ফলক এখনও রয়েছে, যেগুলো হয়তো কোনো একটা পরিবারের বংশতালিকা লেখার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল। যে-ফলকটা এই পরিবারের একজন সদস্যের সঙ্গে তত্তনয়ের সম্পর্কের বিষয়টা প্রমাণ করে, সেটা হল একটা দলিল, যেটা খ্রিস্টপূর্ব ৫০২ সালে দারিয়াবস ১ম-এর রাজত্বের ২০তম বছরে লেখা হয়েছিল। এই ফলকে লেখা ছিল, দলিলের একজন সাক্ষি হলেন, “নদী-পারস্থ দেশাধ্যক্ষ, তত্তনুর” দাস। এই তত্তনু হলেন বাইবেলের ইষ্রা বইয়ে উল্লেখিত তত্তনয়।

তার ভূমিকা কী ছিল? খ্রিস্টপূর্ব ৫৩৫ সালে মহান কোরস তার সাম্রাজ্যকে বিভিন্ন প্রদেশে ভাগ করেছিলেন, যেগুলোর মধ্যে একটা “বাবিল ও নদী-পারস্থ” প্রদেশ নামে পরিচিত ছিল। পরে এই প্রদেশ দু-ভাগে বিভক্ত হয় আর একটা অংশের নাম হয়, নদী-পারস্থ প্রদেশ। এর অন্তর্ভুক্ত ছিল, কইলি-অরাম, ফৈনিকীয়া, শমরীয়া ও যিহুদা। দম্মেশক থেকে এই প্রদেশকে শাসন করা হতো। তত্তনয় খ্রিস্টপূর্ব ৫২০ থেকে ৫০২ সাল পর্যন্ত এখানকার অধ্যক্ষ ছিলেন।

তত্তনয় বিদ্রোহের অভিযোগ সম্বন্ধে তদন্ত করার জন্য যিরূশালেমে যান। সেখানে যাওয়ার পর তিনি দারিয়াবসকে জানান, যিহুদিদের দাবি হল, যিহোবার মন্দির পুনর্নির্মাণ করার জন্য তারা কোরসের কাছ থেকে অনুমতি পেয়েছে। রাজার সংরক্ষণাগারে তদন্ত করে দেখা যায়, তাদের দাবি সত্য। (ইষ্রা ৫:৬, ৭, ১১-১৩; ৬:১-৩) তাই, তত্তনয়কে যিহুদিদের কাজে বাধা না দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছিল আর তিনি সেই অনুসারে কাজ করেছিলেন।—ইষ্রা ৬:৬, ৭, ১৩.

এটা ঠিক যে, “নদী-পারস্থ প্রদেশের অধ্যক্ষ, তত্তনয়” ইতিহাসে তেমন কোনো ছাপ রেখে যাননি। কিন্তু লক্ষ করুন, শাস্ত্র তার বিষয়ে উল্লেখ করে আর একেবারে সঠিক উপাধি সম্বন্ধে জানায়। এই তথ্য আবারও প্রমাণ করে যে, প্রত্নতত্ত্ব বার বার বাইবেলের ঐতিহাসিক সঠিকতা সমর্থন করে। ▪

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার