আপনার কি মনে আছে?
আপনি কি গত কয়েক মাসের প্রহরীদুর্গ পত্রিকা মন দিয়ে পড়েছেন? যদি পড়ে থাকেন, তা হলে দেখুন আপনি নীচের এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে পারেন কি না:
যখন ঈশ্বরের সংগঠনের কাছ থেকে কোনো নির্দেশনা আসে, তখন ভাইদের যেমন, সীমা অধ্যক্ষ ও মণ্ডলীর প্রাচীনদের কেমন মনোভাব দেখানো উচিত?
তাদের দ্রুত সেটার বাধ্য হওয়া উচিত। তারা নিজেদের জিজ্ঞেস করতে পারেন: “আমি কি আমার ভাই-বোনদেরকে যিহোবার প্রতি অনুগত থাকতে উৎসাহিত করি? ঈশ্বরের সংগঠনের কাছ থেকে পাওয়া নির্দেশনা কি আমি দ্রুত অনুসরণ করি?”—প্রহরীদুর্গ ১৬.১১, পৃষ্ঠা ১১.
কখন সত্য খ্রিস্টানরা বাবিলের বন্দিত্বে চলে গিয়েছিল?
এটা প্রেরিতদের মৃত্যুর কিছুসময় পর পরই ঘটেছিল। সেই সময়, একটা পাদরি শ্রেণি গঠিত হতে শুরু করেছিল। গির্জা এবং রোমীয় সরকার ধর্মভ্রষ্ট খ্রিস্ট ধর্মকে সমর্থন করেছিল। গমতুল্য খ্রিস্টানরা যা বলতে চেয়েছিলেন, সেটা খুব অল্প লোকই শুনেছিল। তবে, ১৯১৪ সালের আগের দশকগুলোতে অভিষিক্ত ব্যক্তিরা স্বাধীন হতে শুরু করেছিলেন।—প্রহরীদুর্গ ১৬.১১, পৃষ্ঠা ২৩-২৫.
“মাংসের ভাব” বজায় রাখা এবং “আত্মার ভাব” বজায় রাখার মধ্যে কী পার্থক্য রয়েছে? (রোমীয় ৮:৬)
যে-ব্যক্তি মাংসের ভাব বজায় রাখেন, তিনি নিজের পাপপূর্ণ আকাঙ্ক্ষার উপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করেন এবং স্বার্থপর আকাঙ্ক্ষাগুলো নিয়ে অনবরত কথা বলেন। যে-ব্যক্তি আত্মার ভাব বজায় রাখেন, তিনি তার মনকে যিহোবার পবিত্র আত্মা দ্বারা নির্দেশিত হতে দেন এবং ঈশ্বর যেভাবে চিন্তা করেন, সেভাবে চিন্তা করতে শেখেন। মাংসের ভাব বজায় রাখা মৃত্যুর দিকে পরিচালিত করে এবং আত্মার ভাব বজায় রাখা জীবন ও শান্তির দিকে পরিচালিত করে।—প্রহরীদুর্গ ১৬.১২, পৃষ্ঠা ১৫-১৭.
উদ্বিগ্নতা কমানোর কিছু ব্যাবহারিক উপায় কী?
শ্রেয় বা আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো প্রথমে রাখুন, যুক্তিবাদী হোন, মানসিক চাপ হালকা করার জন্য প্রতিদিন সময় করে নিন, যিহোবার সৃষ্টি উপভোগ করুন, রসিকতাবোধ বজায় রাখুন এবং নিয়মিতভাবে ব্যায়াম করুন ও পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান।—প্রহরীদুর্গ ১৬.১২, পৃষ্ঠা ২২-২৩.
“হনোক লোকান্তরে নীত হইলেন, যেন মৃত্যু না দেখিতে পান।” (ইব্রীয় ১১:৫) কীভাবে?
হতে পারে, যিহোবা হনোকের অজান্তেই অর্থাৎ তিনি যে মারা যাচ্ছেন, এই বিষয়টা হনোককে না জানিয়েই, তাকে মৃত্যুতে ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছিলেন।—প্রহরীদুর্গ (জনসাধারণের সংস্করণ) ১৭.১, পৃষ্ঠা ১২-১৩.
কেন বিনয়ী হওয়া এখনও গুরুত্বপূর্ণ?
একজন বিনয়ী ব্যক্তি নিজের সম্বন্ধে ভালোভাবে জানেন এবং স্বীকার করেন যে, এমন কিছু কাজ রয়েছে, যেগুলো করার সামর্থ্য বা অনুমতি তার নেই। আমাদের এই বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে যে, আমাদের আচরণ কীভাবে অন্যদের প্রভাবিত করতে পারে এবং নিজেদেরকে অন্যদের চেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।—প্রহরীদুর্গ ১৭.০১, পৃষ্ঠা ১৮.
কোন কোন প্রমাণ দেখায় যে, ঈশ্বর প্রথম শতাব্দীর পরিচালকগোষ্ঠীকে নির্দেশনা দিয়েছিলেন, ঠিক যেমন তিনি বর্তমানে পরিচালকগোষ্ঠীকে নির্দেশ দিচ্ছেন?
পবিত্র আত্মার সাহায্যে তারা শাস্ত্রীয় সত্যগুলো বুঝতে পেরেছিল। স্বর্গদূতদের সাহায্যে তারা প্রচার কাজে তত্ত্বাবধান করতে পেরেছিল এবং নির্দেশনা দেওয়ার সময় তারা ঈশ্বরের বাক্যের উপর নির্ভর করেছিল। বর্তমানেও এই বিষয়গুলো সত্য।—প্রহরীদুর্গ ১৭.০২, পৃষ্ঠা ২৬-২৮.
কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া পর, একজন খ্রিস্টান কি সেটা পরিবর্তন করতে পারেন?
আমাদের অবশ্যই নিজেদের কথা অনুযায়ী কাজ করা উচিত। তবে, কখনো কখনো আমাদের কোনো সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার প্রয়োজন হয়। নীনবীর লোকেরা যখন অনুতপ্ত হয়েছিল, তখন ঈশ্বর তাদের বিষয়ে নেওয়া তাঁর সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছিলেন। মাঝে মাঝে, নতুন পরিস্থিতি অথবা তথ্যের কারণে আমাদেরও হয়তো একইরকম কাজ করতে হতে পারে।—প্রহরীদুর্গ ১৭.০৩, পৃষ্ঠা ১৬-১৭.
কেন সমালোচনা করা খুবই বিপদজনক?
এটা একটা পরিস্থিতিকে আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে নিয়ে যেতে এবং আরও খারাপ করে তুলতে পারে। আমরা সঠিক বা ভুল, যা-ই হই না কেন, আঘাত দেওয়ার মতো কিছু বলার মাধ্যমে আমরা কখনোই কোনো পরিস্থিতির উন্নতি করতে পারব না।—প্রহরীদুর্গ ১৭.০৪, পৃষ্ঠা ২১.