১৯৯৯ সালের ঐশিক পরিচর্যা বিদ্যালয় কার্যক্রম থেকে উপকার লাভ করুন
১ যীশু ছিলেন মহান শিক্ষক। লোকেরা “তাঁহার উপদেশে চমৎকৃত” হত। (মার্ক ১:২২) যদিও আমাদের কেউই যীশুর মতো করে কথা বলতে বা শেখাতে পারি না, তবুও আমরা তাঁকে নকল করার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করতে পারি। (প্রেরিত ৪:১৩) তাই ঐশিক পরিচর্যা বিদ্যালয় কার্যক্রমে অংশ নিয়ে আমরা আমাদের কথা বলা ও শেখানোর ক্ষমতাকে বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করে চলতে পারি।
২ উনিশশো নিরানব্বই সালে ১ নম্বর পাঠটা প্রধানত ১৯৯৭ সালের প্রহরীদুর্গ ও সচেতন থাক! (ইংরাজি) পত্রিকার প্রবন্ধগুলো থেকে নেওয়া হয়েছে। বিষয়গুলো যদি আমরা আগে থেকে পড়ে আসি আর তারপর বিদ্যালয় কার্যক্রমে তা শুনি, তাহলে আধ্যাত্মিক বিষয়গুলোকে আমরা আরও অনেক ভালভাবে বুঝতে পারব। যারা এই উপদেশমূলক বক্তৃতাগুলো দেবেন তাদের দেখানো উচিত যে কিভাবে এই বিষয়টাকে আমরা আমাদের জীবনে কাজে লাগাতে পারি। তাদের বক্তৃতাকে আকর্ষণীয় ও জীবন্তভাবে দেওয়া উচিত। ৩ নম্বর পাঠ পারিবারিক সুখের রহস্য (ইংরাজি) বই থেকে হবে ও ৪ নম্বর পাঠে বাইবেলের চরিত্রগুলো আলোচনা করা হবে আর এই দুটা বক্তৃতার জন্য বই অদল-বদল করা হবে। বিদ্যালয় অধ্যক্ষ পাঠ দেওয়ার আগে বিষয়বস্তুটাকে ভালভাবে পড়বেন। পারিবারিক সুখ বই থেকে যে ছাত্রেরা বক্তৃতা দেবেন তাদের সকলকে তাদের নিজেদের পারিবারিক জীবনে উদাহরণযোগ্য হতে হবে।
৩ পরামর্শের উপর কাজ করুন ও ভালভাবে তৈরি হয়ে আসুন: সকলেই তাদের কথা বলা ও শিক্ষা দেওয়ার ক্ষমতাকে আরও বাড়াতে পারেন। (১ তীম. ৪:১৩) তাই, আমাদের পরামর্শ চাওয়া উচিত আর কখনও এটাকে এড়িয়ে চলা উচিত নয়। (হিতো. ১২:১৫; ১৯:২০) সভাগুলোতে ও ক্ষেত্রের পরিচর্যায় সত্যকে কার্যকারীভাবে উপস্থিত করতে হলে শুধুমাত্র কিছু ঘটনা সম্বন্ধে বলা বা কিছু পদ পড়ে শোনানোই সব কিছু নয়। যারা আমাদের কথা শোনেন আমাদের তাদের হৃদয়ে পৌঁছানো ও কাজ করার জন্য প্রেরণা যোগান দরকার। আমরা নিজেরা যদি হৃদয় থেকে খুব দৃঢ়তার সঙ্গে সত্য সম্বন্ধে কথা বলি, তাহলে আমরা তা করতে পারব। (প্রেরিত ২:৩৭ পদের সঙ্গে তুলনা করুন।) ঐশিক বিদ্যালয়ে আমরা যে পরামর্শ পাই তা আমাদেরকে এটা করতে সাহায্য করবে।
৪ পাঠ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আপনি বিদ্যালয় নির্দেশ পুস্তক (ইংরাজি)-এ যেমন ব্যাখ্যা করা রয়েছে, বক্তৃতার সেই গুণটার বিষয়ে ভাবতে থাকুন যার উপর আপনাকে কাজ করতে দেওয়া হয়েছে। চিন্তা করুন যে গতবার আপনাকে যে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল সেটাও কি করে মেনে চলার যায় আর তারজন্য আপনাকে কী করতে হবে। বক্তৃতার প্রধান বিষয়বস্তু, যদি কোন সেটিং ব্যবহার করতে হয় তবে সেটা ও আপনার পাঠের শাস্ত্রপদগুলোকে আপনি কিভাবে ব্যবহার করবেন সেই বিষয়ে ভাল করে চিন্তা করুন। এই বিষয়টাও মাথায় রাখুন যে অন্যদের শেখানো ও প্রেরণা দেওয়ার জন্য কিভাবে বিষয়টাকে সবচেয়ে ভালভাবে উপস্থিত করা যায়।—১ তীম. ৪:১৫, ১৬.
৫ যদি এই বিদ্যালয়ে নাম লেখাতে আপনি ভয় পান, তাহলে প্রার্থনা করুন ও বিদ্যালয় অধ্যক্ষের কাছে আপনার সমস্যা নিয়ে কথা বলুন। ১৯৯৯ সালে ঐশিক পরিচর্যা বিদ্যালয়ে অংশ নিয়ে এই কার্যক্রম থেকে সকলে উপকার লাভ করতে পারেন।