ব্যক্তিগত আগ্রহ দেখান—কার্যকারীভাবে চোখের দিকে তাকিয়ে
১ জনসাধারণ্যে এবং ঘরে ঘরে সাক্ষ্য দেওয়ার সময়, আমরা প্রায়ই কথা শুরু করার আগে লোকেদের চোখের দিকে তাকাই। সেই ক্ষণিকের দৃষ্টিতেই, আমরা হয়তো তাদের মৌখিক অভিব্যক্তি দেখে বুঝতে পারি যে, আমাদের উপস্থিতিতে তারা কেমন বোধ করে আর এমনকি তাদের মেজাজ কেমন আছে। একইভাবে, তারাও আমাদের সম্বন্ধে অনেক কিছু বুঝতে পারে। একজন সাক্ষির সাক্ষাৎ সম্বন্ধে এক ভদ্রমহিলা এই কথাগুলো বলেছিলেন: “তার হাসিমুখ দেখে যে-বিষয়টা আমার মনে পড়ে, তা হল মনের শান্তি। আমি কৌতূহলী হয়ে পড়েছিলাম।” এটাই ভদ্রমহিলার জন্য সুসমাচার শোনার পথ খুলে দিয়েছিল।
২ রাস্তায় কাজ করার সময় অথবা সর্বসাধারণের অন্যান্য স্থানে সাক্ষ্য দেওয়ার সময়, অন্যদের চোখের দিকে তাকানো, সাক্ষ্যদান শুরু করার এক কার্যকারী উপায়। একজন ভাই, তার দিকে এগিয়ে আসা, ব্যক্তিদের চোখের দিকে তাকিয়ে পর্যবেক্ষণ করেন। চোখের দিকে তাকানোর সময়, তিনি প্রথমে হাসেন আর তারপর পত্রিকাগুলো তুলে ধরেন। এই উপস্থাপনা ব্যবহার করে, তিনি অনেক আনন্দদায়ক কথোপকথন উপভোগ করেন এবং অনেক পত্রিকা অর্পণ করেন।
৩ অন্যদের অনুভূতিকে বুঝুন: চোখের দিকে তাকানো আমাদেরকে অন্যদের অনুভূতি বুঝতে সাহায্য করবে। উদাহরণস্বরূপ, কেউ যদি আমাদেরকে সহজে বুঝতে না পারেন অথবা আমাদের কথায় যদি দ্বিমত পোষণ করেন, তা হলে তা সাধারণত তার মুখে ফুটে উঠবে। তিনি যদি ব্যস্ত থাকেন অথবা অধৈর্য হয়ে পড়েন, তা হলে তার মৌখিক অভিব্যক্তি দেখে আমরা সেটা বুঝতে পারব। তখন আমরা আমাদের উপস্থাপনাকে সেইমতো রদবদল করতে অথবা সংক্ষিপ্ত করতে পারি। অন্যদের অনুভূতি সম্বন্ধে অবগত হওয়া হচ্ছে, তাদের প্রতি আমাদের ব্যক্তিগত আগ্রহ দেখানোর এক উত্তম উপায়।
৪ আন্তরিকতা ও দৃঢ়প্রত্যয়: অনেক সংস্কৃতিতে, একজন ব্যক্তির চোখের দিকে তাকানোকে, তিনি যে একজন আন্তরিক ব্যক্তি তার প্রমাণ হিসেবে দেখা হয়। লক্ষ করুন, যিশু কীভাবে উত্তর দিয়েছিলেন যখন তাঁর শিষ্যরা জিজ্ঞেস করেছিল: “তবে কাহার পরিত্রাণ হইতে পারে?” বাইবেল জানায়: “যীশু তাঁহাদের প্রতি দৃষ্টি করিয়া কহিলেন, তাহা মনুষ্যের অসাধ্য বটে, কিন্তু ঈশ্বরের সকলই সাধ্য।” (মথি ১৯:২৫, ২৬) নিঃসন্দেহে, যিশুর চোখের ভাষার দৃঢ়প্রত্যয় তাঁর কথাগুলোকে আরও জোরালো করে তুলেছিল। একইভাবে, কার্যকারীভাবে চোখের দিকে তাকানো আমাদের আন্তরিকতা ও দৃঢ়প্রত্যয়ের সঙ্গে রাজ্যের বার্তাকে জানাতে সাহায্য করবে।—২ করি. ২:১৭; ১ থিষল. ১:৫.