ঈশ্বরের বাক্য শিক্ষার নিমিত্ত উপকারী
১. দু-হাজার চোদ্দো সালের পরিচর্যা বছরের সীমা সম্মেলনের মূলভাব কী আর সেই কার্যক্রমে কোন প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে?
১ আমাদের ‘শিক্ষক’ যিহোবা হলেন নিখিলবিশ্বের সর্বোত্তম শিক্ষক। (যিশা. ৩০:২০, ২১) কিন্তু, যিহোবা কীভাবে আমাদের শিক্ষা দেন? তিনি এমন একটি পুস্তক জুগিয়েছেন, যেটি অন্য সমস্ত পুস্তকের চেয়ে শ্রেষ্ঠ আর সেটি হল তাঁর অনুপ্রাণিত বাক্য বাইবেল। কীভাবে ঐশিক শিক্ষা আমাদেরকে শারীরিক, মানসিক, আবেগগত ও আধ্যাত্মিকভাবে উপকৃত করতে পারে? ২০১৪ সালের পরিচর্যা বছরের আমাদের সীমা সম্মেলন কার্যক্রমে এই প্রশ্নের উত্তর বিবেচনা করা হবে। এই কার্যক্রমের মূলভাব হল, “ঈশ্বরের বাক্য শিক্ষার নিমিত্ত উপকারী,” যা ২ তীমথিয় ৩:১৬ পদের ওপর ভিত্তি করে নেওয়া হয়েছে।
২. কোন প্রশ্নগুলোর উত্তরের মাধ্যমে কার্যক্রমের মুখ্য বিষয়গুলোকে তুলে ধরা হবে?
২ এই মুখ্য বিষয়গুলো খোঁজার চেষ্টা করুন: নীচের প্রশ্নগুলোর উত্তরের মাধ্যমে কার্যক্রমের মুখ্য বিষয়গুলোকে তুলে ধরা হবে:
• আমাদের জীবনের ওপর ঐশিক শিক্ষার কোন প্রভাব রয়েছে? (যিশা. ৪৮:১৭, ১৮)
• পূর্ণসময়ের পরিচারক হিসেবে, যিহোবাকে সেবা করার জন্য আমরা যদি আমাদের পরিস্থিতির রদবদল করার চেষ্টা করি, তাহলে কোন বিষয়ে আমরা নিশ্চিত থাকতে পারি? (মালাখি ৩:১০)
• আমরা যখন ‘বিজাতীয় শিক্ষার’ মুখোমুখি হই, তখন আমাদের কেমন প্রতিক্রিয়া দেখানো উচিত? (ইব্রীয় ১৩:৯)
• কীভাবে আমরা যিশুর ‘উপদেশ দেওয়াকে’ অনুকরণ করতে পারি? (মথি ৭:২৮, ২৯)
• কেন মণ্ডলীর শিক্ষকদেরই নিজেদেরকে প্রশিক্ষিত করা উচিত? (রোমীয় ২:২১)
• ঈশ্বরের বাক্য কীসের জন্য উপকারী? (২ তীম. ৩:১৬)
• জাতিগণকে “কম্পান্বিত” করার ফলে লোকেরা কীভাবে প্রভাবিত হচ্ছে? (হগয় ২:৬, ৭)
• আমাদের ওপর যিহোবার কোন আস্থা রয়েছে? (ইফি. ৫:১)
• যিহোবার শিক্ষায় অবস্থিতি করার জন্য কেন আমাদের অবশ্যই কঠোর পরিশ্রম করতে হবে? (লূক ১৩:২৪)
৩. সময়োপযোগী এই কার্যক্রমে যোগদান করা ও তাতে মনোযোগ দেওয়া কেন আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ?
৩ দ্বিতীয় তীমথিয় ৩ অধ্যায়ের যে-কথাগুলোর ওপর ভিত্তি করে এই কার্যক্রমের মূলভাব নেওয়া হয়েছে, সেই কথাগুলো লেখার আগে, পৌল বিষম সময় সম্বন্ধে বর্ণনা করেছিলেন, যা শেষকালকে চিহ্নিত করবে। তিনি লিখেছিলেন: “দুষ্ট লোকেরা ও বঞ্চকেরা, পরের ভ্রান্তি জন্মাইয়া ও আপনারা ভ্রান্ত হইয়া, উত্তর উত্তর কুপথে অগ্রসর হইবে।” (২ তীম. ৩:১৩) আমরা যাতে ভ্রান্ত না হই, সেইজন্য ঐশিক শিক্ষাগুলো মন দিয়ে শোনা ও সেগুলো কাজে লাগানো আমাদের জন্য কতই না গুরুত্বপূর্ণ! তাই, সময়োপযোগী এই কার্যক্রমে যোগদান করার ও তাতে মনোযোগ দেওয়ার জন্য আমরা যেন সংকল্পবদ্ধ হই।