ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w25 সেপ্টেম্বর পৃষ্ঠা ২০-২৫
  • “সঠিক মনোভাব” রয়েছে এমন ব্যক্তিরা সাড়া দেবে

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • “সঠিক মনোভাব” রয়েছে এমন ব্যক্তিরা সাড়া দেবে
  • প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য সম্বন্ধে ঘোষণা করে (অধ্যয়ন)—২০২৫
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • লোকেরা যখন সুসমাচারের প্রতি সাড়া দেয়
  • যখন একটা বাইবেল অধ্যয়ন শুরু হয়
  • যখন নতুন ব্যক্তিরা সভায় যোগ দেয়
  • এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজুন
    ২০২৫-২০২৬ সালের সীমা সম্মেলনের বিষয়সূচি—সীমা অধ্যক্ষের সঙ্গে
  • কীভাবে প্রচার কাজে আরও বেশি আনন্দ লাভ করবেন?
    প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য সম্বন্ধে ঘোষণা করে (অধ্যয়ন)—২০২৪
  • যে-সিদ্ধান্তগুলো দেখায়, আমরা যিহোবার উপর নির্ভর করি
    আমাদের খ্রিস্টীয় জীবন ও পরিচর্যা—সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা ২০২৩
  • নম্র হোন এবং মেনে নিন যে, আপনি কিছু বিষয় জানেন না
    প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য সম্বন্ধে ঘোষণা করে (অধ্যয়ন)—২০২৫
আরও দেখুন
প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য সম্বন্ধে ঘোষণা করে (অধ্যয়ন)—২০২৫
w25 সেপ্টেম্বর পৃষ্ঠা ২০-২৫

অধ্যয়ন প্রবন্ধ ৩৯

গান ৫৪ এটাই সেই পথ

“সঠিক মনোভাব” রয়েছে এমন ব্যক্তিরা সাড়া দেবে

“যাদের অনন্তজীবন লাভ করার জন্য সঠিক মনোভাব ছিল, তারা সকলে যিশুর অনুসারী হয়ে উঠল।”—প্রেরিত ১৩:৪৮.

আমরা কী শিখব?

আমরা জানতে পারব যে, কখন আমরা লোকদের বাইবেল অধ্যয়নের প্রস্তাব দেব এবং তাদের সভাতে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানাব।

১. আমরা যখন লোকদের কাছে সুসমাচার প্রচার করি, তখন তারা কেমন প্রতিক্রিয়া দেখায়? (প্রেরিত ১৩:৪৭, ৪৮; ১৬:১৪, ১৫)

প্রথম শতাব্দীতে, অনেকে যখন রাজ্যের সুসমাচার শুনেছিল, তখন সঙ্গেসঙ্গে তারা সেটা গ্রহণ করেছিল। (পড়ুন, প্রেরিত ১৩:৪৭, ৪৮; ১৬:১৪, ১৫.) একইভাবে বর্তমানে, কিছু লোক যখন প্রথম বার সুসমাচার শোনে, তখন তারা খুব খুশি হয়। অনেকে আবার শুরুতেই রাজ্যের বার্তার প্রতি আগ্রহ না দেখালেও পরে হয়তো তারা হৃদয় থেকে সেটা গ্রহণ করে। প্রচার করার সময় আমরা যদি এমন ব্যক্তিদের খুঁজে পাই, যাদের “সঠিক মনোভাব” রয়েছে, তা হলে আমাদের কী করা উচিত?

২. কীভাবে আমাদের শিষ্য তৈরির কাজকে বাগানের একজন মালির কাজের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে?

২ একটা উদাহরণের কথা চিন্তা করুন। আমাদের এই শিষ্য তৈরির কাজকে বাগানের একজন মালির কাজের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। যদি কোনো গাছের ফল পেকে যায়, তখন সেই মালি হয়তো সঙ্গেসঙ্গে সেই ফল তুলে নেয়, কিন্তু এটা করার সময় সে বাগানের অন্যান্য জায়গায় মাটি খোঁড়া বা গাছ লাগানো বন্ধ করে দেয় না। ঠিক একইভাবে, যখন আমাদের এমন কোনো ব্যক্তির সঙ্গে দেখা হয়, যে সুসমাচার গ্রহণ করতে প্রস্তুত, তখন আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, তাকে যিশুর একজন শিষ্য হতে সাহায্য করতে চাইব। কিন্তু, একইসঙ্গে আমরা সেই ব্যক্তিদের অবহেলা করব না, যাদের হয়তো এই সুসমাচারের প্রতি সাড়া দিতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। (যোহন ৪:৩৫, ৩৬) তাই, একজন ব্যক্তি সুসমাচার গ্রহণ করবে, কি করবে না, সেটা বোঝার জন্য আমাদের বিচক্ষণতার প্রয়োজন। আসুন, এখন আমরা এটা বোঝার চেষ্টা করি যে, যখন কেউ সুসমাচার গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত থাকে, তখন আমরা প্রথম সাক্ষাতেই তাকে কীভাবে সাহায্য করতে পারি। এ ছাড়া, আমরা এটাও দেখব, কীভাবে সেই ব্যক্তিকে ক্রমাগত উন্নতি করার জন্য উৎসাহ দেওয়া যায়।

লোকেরা যখন সুসমাচারের প্রতি সাড়া দেয়

৩. প্রচারে আমরা যখন আগ্রহী ব্যক্তিদের খুঁজে পাই, তখন আমাদের কী করা উচিত? (১ করিন্থীয় ৯:২৬)

৩ আমরা যখন প্রচারে কোনো আগ্রহী ব্যক্তিকে খুঁজে পাই, তখন আমরা কোনোরকম দেরি না করে তাকে জীবনের পথে চলতে সাহায্য করতে চাই। এইরকম পরিস্থিতিতে প্রথম সাক্ষাতেই আমরা তার কাছে বাইবেল অধ্যয়নের প্রস্তাব দিতে এবং আমাদের সভাতে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানাতে দ্বিধাবোধ করব না।—পড়ুন, ১ করিন্থীয় ৯:২৬.

৪. একটা অভিজ্ঞতার কথা বলুন, যেখানে একজন ব্যক্তি বাইবেল অধ্যয়ন করতে প্রস্তুত ছিল।

৪ বাইবেল অধ্যয়নের প্রস্তাব। অনেকসময় প্রচারে আমাদের এমন কোনো ব্যক্তির সঙ্গে দেখা হয়, যে বাইবেল অধ্যয়ন করার জন্য একেবারে প্রস্তুত। উদাহরণ স্বরূপ, এক বৃহস্পতিবারে কানাডার একজন অল্পবয়সি মেয়ে আমাদের সাহিত্যাদি রাখার একটা ট্রলি থেকে চিরকাল জীবন উপভোগ করুন! ব্রোশারের একটা কপি তুলে নেয়। সেইসময় যে-বোন ট্রলির পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন, তিনি সেই মেয়েটিকে বাইবেল অধ্যয়নের প্রস্তাব দেন। মেয়েটি, এই বিষয়ে আগ্রহ দেখায় এবং তার ফোন নম্বর বোনকে দেয়। সেই দিনেই মেয়েটি বোনকে একটা মেসেজ পাঠিয়ে জিজ্ঞেস করে যে, বাইবেল অধ্যয়ন করার জন্য বোন কবে তার কাছে আসতে পারবেন। বোন যখন তাকে বলেন, শনিবার বা রবিবার তিনি মেয়েটির সঙ্গে দেখা করতে পারবেন, তখন তার উত্তরে মেয়েটি বলে: “আগামীকাল অর্থাৎ শুক্রবার আপনি আসতে পারবেন? আমি ফ্রি আছি।” এরপর সেই শুক্রবার থেকেই মেয়েটি বাইবেল অধ্যয়ন করতে শুরু করে। আর সপ্তাহের শেষে সে প্রথম বার আমাদের সভায় যোগ দেয় এবং তখন থেকে নিয়মিতভাবে উন্নতি করতে থাকে।

৫. আমরা কীভাবে বিচক্ষণতার সঙ্গে বাইবেল অধ্যয়নের প্রস্তাব দিতে পারি? (ছবিগুলোও দেখুন।)

৫ আমরা অবশ্য এটা কখনোই আশা করি না যে, এই মেয়েটির মতো সবাই শুরুতেই বাইবেল অধ্যয়ন করতে চাইবে। কারো কারো হয়তো বাইবেল অধ্যয়ন শুরু করার জন্য কিছুটা সময় লাগবে। শুরুতে আমরা হয়তো তার সঙ্গে এমন কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারি, যেটার প্রতি তার আগ্রহ রয়েছে। তবুও, আমরা যদি আমাদের লক্ষ্যে স্থির থাকি এবং প্রত্যেক ব্যক্তির প্রতি আমাদের ব্যক্তিগত আগ্রহ দেখাই, তা হলে হয়তো অল্পসময়ের মধ্যেই আমরা বাইবেল অধ্যয়ন শুরু করতে পারব। তাই, অধ্যয়নের জন্য প্রস্তাব দেওয়ার সময় আমরা কী বলতে পারি? এই প্রশ্নটা অনেক ভাই ও বোনকে করা হয়েছিল, যারা বাইবেল অধ্যয়ন শুরু করার ক্ষেত্রে খুবই পারদর্শী।

কোলাজ: ১. দু-জন ভাই একজন বয়স্ক ব্যক্তির সঙ্গে যিনি তার বাড়ির বাইরে বারান্দায় বসে আছেন, তার সঙ্গে কথা বলছেন। ২. একজন মা তার অ্যাপার্টমেন্টের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন এবং দু-জন বোন “চিরকাল জীবন উপভোগ করুন!” ব্রোশারটা তাকে দেখাচ্ছে। মহিলাটি তার ছোটো ছেলেকে কোলে নিয়ে আছেন এবং পাশে তার আরেকটা ছেলে দাঁড়িয়ে আছে।

কীভাবে আমরা এই ব্যক্তিদের কাছে বাইবেল অধ্যয়নকে আরও আগ্রহজনক করে তুলতে পারি? (৫ অনুচ্ছেদ দেখুন)a


৬. কীভাবে আমরা একজন আগ্রহী ব্যক্তির সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যেতে পারি?

৬ বাইবেল অধ্যয়ন শুরু করার বিষয়ে যখন প্রকাশক ও অগ্রগামীদের জিজ্ঞেস করা হয়, তখন তারা বলে, কোনো কোনো জায়গায় এমন কিছু শব্দ আছে, যেগুলো ব্যবহার না করাই ভালো। যেমন, “অধ্যয়ন,” “বাইবেল কোর্স” বা “শিক্ষা দেওয়া” ইত্যাদি। এর পরিবর্তে, তারা দেখেছে যে, কী বললে ভালো ফল পাওয়া যায়, যেমন “আমরা আপনার সঙ্গে কিছু বিষয়ে আলোচনা করতে চাই” বা “বাইবেল কী বলে, সেটা আপনাকে জানাতে চাই” অথবা “বাইবেল শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় বই নয়, এটি আমাদের অনেক দিক দিয়ে সাহায্য করতে পারে।” এ ছাড়া, আপনি বলতে পারেন, “এর জন্য আপনাকে বেশি সময় দিতে হবে না, ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যেই আপনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানতে পারবেন।” আপনাকে এটা বলার দরকার নেই যে, “আপনার সঙ্গে একটা অ্যাপয়েন্টমেন্ট করতে চাই” অথবা “আমি প্রতি সপ্তাহে আপনার সঙ্গে দেখা করতে আসব।” এমনটা বললে সেই ব্যক্তি হয়তো ভাবতে পারেন যে, তিনি আপনার সঙ্গে দেখা করতে বাধ্য।

৭. কীভাবে অনেকে প্রথম বার বাইবেলের সত্য উপলব্ধি করতে পেরেছে? (১ করিন্থীয় ১৪:২৩-২৫)

৭ সভাতে আসার জন্য তাদের আমন্ত্রণ জানান। প্রেরিত পৌলের সময়ে অনেকে খ্রিস্টীয় সভায় যোগ দেওয়ার পরই প্রথম বার বাইবেলের সত্য উপলব্ধি করতে পেরেছিল। (পড়ুন, ১ করিন্থীয় ১৪:২৩-২৫.) আজও এমনটাই হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটাই দেখা যায় যে, সভাতে যোগ দেওয়ার পরই একজন নতুন ব্যক্তি খুব তাড়াতাড়ি উন্নতি করতে শুরু করে। এখন প্রশ্ন হল, কখন আপনি তাকে সভাতে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানাবেন? চিরকাল জীবন উপভোগ করুন!বইয়ের পাঠ ১০-এ এই বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তবে, আপনাকে যে পাঠ ১০ অবধি অপেক্ষা করতে হবে, এমন নয়। আপনার যখন প্রথম বার সেই ব্যক্তির সঙ্গে কথা হবে, তখন থেকেই আপনি তাকে সপ্তাহের শেষে আমাদের যে-সভা হয়, সেখানে আমন্ত্রণ জানাতে পারেন। আপনি হয়তো তাকে জনসাধারণের উদ্দেশে বক্তৃতার শিরোনাম অথবা সেই সপ্তাহের প্রহরীদুর্গ অধ্যয়নের কোনো বিষয় সম্বন্ধে বলতে পারেন।

৮. আমরা যখন কাউকে আমাদের সভাতে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানাব, তখন আমরা তাকে কোন বিষয়গুলো আগে থেকে বলতে পারি? (যিশাইয় ৫৪:১৩)

৮ আপনি যখন কোনো আগ্রহী ব্যক্তিকে সভাতে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাবেন, তখন তাকে ভালোভাবে বুঝিয়ে দিন, অন্যান্য ধর্মীয় সভা, যেখানে তিনি হয়তো যেতেন, সেটার তুলনায় আমাদের সভা কতটা আলাদা। একজন বাইবেল ছাত্রী প্রথম বার প্রহরীদুর্গ অধ্যয়নে যোগ দেওয়ার পর তার বাইবেল শিক্ষিকাকে জিজ্ঞেস করেন, “যিনি সভা পরিচালনা করছিলেন, তিনি কি সবার নাম জানেন?” বোন তাকে বুঝিয়ে বলেন, আমরা আমাদের মণ্ডলীতে প্রত্যেকের নাম মনে রাখার চেষ্টা করি, ঠিক যেমন আমরা আমাদের পরিবারের সদস্যদের নাম মনে রাখি। এটা শুনে সেই বাইবেল ছাত্রী খুবই অবাক হয়েছিল কারণ সাধারণত গির্জাতে এমনটা হয় না। তাই, অনেকের কাছে আমাদের সভায় যোগ দেওয়ার অভিজ্ঞতা একেবারেই নতুন। (পড়ুন, যিশাইয় ৫৪:১৩.) আমরা যিহোবার উপাসনা করার, তাঁর কাছ থেকে শেখার এবং একে অন্যকে উৎসাহিত করার জন্য মিলিত হই। (ইব্রীয় ২:১২; ১০:২৪, ২৫) এর ফলে, আমাদের সভাগুলো সুসংগঠিত ও কার্যকরী এবং এর সঙ্গে কোনো ধরনের রীতিনীতি জড়িত নেই। (১ করি. ১৪:৪০) সাধারণত আমাদের কিংডম হলে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা থাকে, তাই আমরা সেখানে গিয়ে ভালোভাবে পড়তে ও শিখতে পারি। আমরা সেখানে কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করি না কারণ আমরা এই ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ। এ ছাড়া, আমরা সেখানে কোনোরকম তর্কবির্তক করি না। এটা ভালো হয়, যদি আমরা আমাদের ছাত্রকে আগে থেকে কিংডম হলে কী হয়? শিরোনামের ভিডিওটা দেখাই, তা হলে সে বুঝতে পারবে, আমাদের সভাগুলোকে কীভাবে পরিচালনা করা হয়।

৯-১০. সভাতে কাউকে আমন্ত্রণ জানানোর সময় কীভাবে আমরা তাকে এই নিশ্চয়তা দিতে পারি যে, কোনো কিছুতে অংশ নিতে আমরা তাকে জোর করব না? (ছবিও দেখুন।)

৯ অনেকে হয়তো এই ভেবে আমাদের সভায় আসতে ইতস্ততবোধ করে যে, আমরা হয়তো তাদের “যিহোবার সাক্ষি হতে বলব।” আপনি সেই ব্যক্তিকে এই নিশ্চয়তা দিতে পারেন, যখন কোনো অতিথি আমাদের সভায় আসে, তখন আমরা খুব খুশি হই এবং আমরা তাকে কোনো কিছুতে অংশ নিতে জোর করি না। আমরা পরিবার এবং সেইসঙ্গে বাচ্চাদেরও স্বাগত জানাই। আমাদের সভাগুলোতে বাচ্চাদের আলাদাভাবে কোনো শিক্ষা দেওয়া হয় না বরং বাবা-মায়েরা তাদের সন্তানদের নিয়ে একসঙ্গে বসতে পারে। এর ফলে, বাবা-মায়েরা লক্ষ রাখতে পারে যে, তাদের সন্তানেরা কোথায় আছে এবং তাদের কী শেখানো হচ্ছে। (দ্বিতীয়. ৩১:১২) আমাদের সভাতে কোনো চাঁদা তোলা হয় না বা সবার সামনে দিয়ে দানের থলি ঘোরানো হয় না। এর পরিবর্তে, আমরা যিশুর এই আজ্ঞা মেনে চলি: “তোমরা বিনা মূল্যে পেয়েছ, বিনা মূল্যেই দিয়ো।” (মথি ১০:৮) আপনি হয়তো সেই ব্যক্তিকে এটাও বলতে পারেন যে, সভায় আসার জন্য তার কোনো দামি পোশাক পরার প্রয়োজন নেই। কারণ ঈশ্বর কারো বাইরের চেহারা দেখেন না, কিন্তু তার হৃদয় দেখেন।—১ শমূ. ১৬:৭.

১০ যদি একজন ব্যক্তি সভাতে আসেন, তা হলে আপনি যতটা সম্ভব তার সঙ্গে বন্ধুর মতো ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। প্রাচীনদের সঙ্গে এবং ভাই-বোনদের সঙ্গে তার পরিচয় করিয়ে দিন। তিনি যখন দেখবেন, সবাই তার সঙ্গে বন্ধুর মতো ব্যবহার করছে, তখন তিনি হয়তো আবার সভায় আসতে চাইবেন। সভা চলাকালীন তার কাছে যদি বাইবেল না থাকে, তা হলে আপনি হয়তো আপনার বাইবেল থেকে তাকে দেখাতে পারেন, কীভাবে আমরা কোনো বক্তৃতা অথবা প্রবন্ধ বাইবেলের সাহায্যে বোঝার চেষ্টা করি।

আগের ছবিতে দেখানো সেই মা, কিংডম হলে এসেছেন আর ভাই-বোনেরা তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাচ্ছে। মহিলাটি তার ছোটো ছেলেকে কোলে নিয়ে আছেন এবং তার বড়ো ছেলে তার বয়সি আরেকটা বাচ্চা ছেলের সঙ্গে কথা বলছে।

যত তাড়াতাড়ি একজন ব্যক্তি সভায় আসবে, তত তাড়াতাড়ি সে উন্নতি করবে (৯-১০ অনুচ্ছেদ দেখুন)


যখন একটা বাইবেল অধ্যয়ন শুরু হয়

১১. কীভাবে আপনি গৃহকর্তার সময় ও তালিকার প্রতি সম্মান দেখাতে পারেন?

১১ আপনি যখন কোনো ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে বাইবেল অধ্যয়ন শুরু করবেন, তখন কোন বিষয়গুলো আপনার মনে রাখা দরকার? গৃহকর্তার সময় ও তালিকার বিষয়ে খেয়াল রাখুন। উদাহরণ স্বরূপ, আপনার এলাকার লোকেরা সময়ের গুরুত্ব না দিলেও, আপনি যদি একটা নির্দিষ্ট সময়ে কারো সঙ্গে অধ্যয়ন করবেন বলে কথা দেন, তা হলে ঠিক সেই সময়ে তার সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করুন। এ ছাড়া, এটা ভালো হয় যদি আপনি প্রথম অধ্যয়ন সংক্ষেপে করেন। কিছু অভিজ্ঞ ভাই-বোন বলে, একজন ব্যক্তি আরও বেশি সময় দিতে চাইলেও আপনি সংক্ষেপে অধ্যয়ন শেষ করার চেষ্টা করুন। অধ্যয়ন করার সময় বেশি কথা না বলে গৃহকর্তাকে কথা বলার সুযোগ দিন।—হিতো. ১০:১৯.

১২. কারো বাড়িতে গিয়ে বাইবেল অধ্যয়ন শুরু করার সময় প্রথম থেকেই আমাদের কোন লক্ষ্য রাখা উচিত?

১২ প্রথম থেকেই আপনার লক্ষ্য রাখা উচিত, আপনার বাইবেল ছাত্রকে সাহায্য করা, যেন সে যিহোবা ও যিশুকে জানতে পারে এবং তাঁদের প্রতি ভালোবাসা গড়ে তুলতে পারে। তাই, নিজের উপর এবং বাইবেল সম্বন্ধে আপনার যে-জ্ঞান রয়েছে, সেটার উপর দৃষ্টি আকর্ষণ না করিয়ে ঈশ্বরের বাক্যের প্রতি আপনার ছাত্রের মনোযোগ আকর্ষণ করুন। (প্রেরিত ১০:২৫, ২৬) প্রেরিত পৌল শিক্ষা দেওয়ার সময় প্রায়ই যিশুর প্রতি লোকদের মনোযোগ আকর্ষণ করাতেন। কেন? কারণ যিহোবা যিশুকে পাঠিয়েছিলেন যেন তিনি যিহোবাকে জানতে এবং তাঁকে ভালোবাসতে আমাদের সাহায্য করেন। (১ করি. ২:১, ২) এ ছাড়া, পৌল স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে, নতুন শিষ্যদের উত্তম গুণগুলো গড়ে তুলতে সাহায্য করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, যেগুলোকে সোনা, রুপো এবং মূল্যবান পাথরের সঙ্গে তুলনা করা যায়। (১ করি. ৩:১১-১৫) এই মূল্যবান গুণগুলোর অন্তর্ভুক্ত হল বিশ্বাস, প্রজ্ঞা, বিচক্ষণতা এবং যিহোবার প্রতি ভয়। (গীত. ১৯:৯, ১০; হিতো. ৩:১৩-১৫; ১ পিতর ১:৭) পৌলের শিক্ষা দেওয়ার এই পদ্ধতিটা অনুকরণ করার মাধ্যমে আপনার ছাত্রদের সাহায্য করুন। এর ফলে, তারা তাদের প্রেমময় স্বর্গীয় পিতার প্রতি এক দৃঢ় বিশ্বাস এবং তাঁর সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারবে।—২ করি. ১:২৪.

১৩. কীভাবে আমরা আগ্রহী ব্যক্তিদের সাহায্য করার সময় ধৈর্যশীল এবং যুক্তিবাদী হতে পারি? (২ করিন্থীয় ১০:৪, ৫) (ছবিও দেখুন।)

১৩ ধৈর্যশীল এবং যুক্তিবাদী হওয়ার মাধ্যমে যিশুর শিক্ষা দেওয়ার পদ্ধতি অনুসরণ করুন। আপনার ছাত্রকে এমন কোনো প্রশ্ন করবেন না, যার ফলে সে অস্বস্তিবোধ করতে পারে। যদি বাইবেলের কোনো বিষয় বুঝতে তার অসুবিধা হয়, তা হলে সেই বিষয়টা নিয়ে ক্রমাগত আলোচনা না করে, পরে অন্য কোনো সময়ে আপনি তাকে বিষয়টা বুঝিয়ে দিতে পারেন। আমাদের ছাত্র যদি প্রস্তুত না থাকে, তা হলে বাইবেলের কোনো শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য আমরা তাকে জোর করব না বরং আমরা সেই সময়ের অপেক্ষায় থাকব, যখন সত্য তার হৃদয় স্পর্শ করবে। (যোহন ১৬:১২; কল. ২:৬, ৭) বাইবেল মিথ্যা শিক্ষাগুলোকে একটা দুর্গের সঙ্গে তুলনা করে, যেটা আমরা ভেঙে ফেলার চেষ্টা করছি। (পড়ুন, ২ করিন্থীয় ১০:৪, ৫.) তাই, আমাদের এটা বুঝতে হবে যে, আমাদের ছাত্র যা-কিছু এতদিন ধরে বিশ্বাস করে এসেছে, সেটা ছেড়ে দেওয়া তার পক্ষে সহজ হবে না। তাই, তার বিশ্বাসে আঘাত না দিয়ে আমরা প্রথমে তাকে যিহোবার উপর বিশ্বাস গড়ে তুলতে সাহায্য করব।—গীত. ৯১:৯.

আগের ছবিতে দেখানো সেই বয়স্ক ব্যক্তি দু-জন ভাইয়ের সঙ্গে “চিরকাল জীবন উপভোগ করুন!” বই অধ্যয়ন করছেন। তার পাশে সেল্ফে রাখা মিলিটারির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কিছু ধাতুর জিনিস দেখা যাচ্ছে।

আপনার বাইবেল ছাত্রকে সময় দিন, যাতে সত্য তার হৃদয়ে গেঁথে যায় (১৩ অনুচ্ছেদ দেখুন)


যখন নতুন ব্যক্তিরা সভায় যোগ দেয়

১৪. নতুন ব্যক্তিরা সভাতে আসলে তাদের সঙ্গে আমাদের কেমন ব্যবহার করা উচিত?

১৪ যিহোবা চান আমরা যেন নতুন ব্যক্তিদের সঙ্গে মেলামেশা করার সময় কোনো ভেদাভেদ না করি, তা তাদের সংস্কৃতি, পটভূমি এবং আর্থিক অবস্থা, যা-ই হোক না কেন। (যাকোব ২:১-৪, ৯) তাই, নতুন ব্যক্তিরা সভাতে আসলে কীভাবে আমরা তাদের প্রতি ভালোবাসা দেখাতে পারি?

১৫-১৬. আমরা কী করতে পারি, যাতে নতুন ব্যক্তিরা সভাতে এসে স্বচ্ছন্দবোধ করতে পারে?

১৫ অনেক ব্যক্তি আমাদের সভাতে শুধুমাত্র তাদের কৌতূহল মেটাতে আসে অথবা অন্য কোনো এলাকায় থাকে এমন কেউ হয়তো তাদের সভাতে আসার জন্য উৎসাহ দিয়েছে। তাই, এই ধরনের ব্যক্তিরা যখন সভাতে আসে, তখন কোনোরকম দ্বিধা না করে আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলতে পারি। তাদের সঙ্গে বন্ধুর মতো আচরণ করুন, কিন্তু অতিরিক্ত কিছু করবেন না, যেটা তাদের অস্বস্তিতে ফেলতে পারে। আপনি তাদের আপনার পাশে বসার জন্য বলতে পারেন। আপনি আপনার নিজের বাইবেল এবং অধ্যয়নের পত্রিকা তাকে দেখাতে পারেন অথবা এর একটা কপি তাকে দিতে পারেন। এ ছাড়া চিন্তা করুন, আর কোন উপায়ে আপনি তাকে স্বচ্ছন্দবোধ করাতে পারেন। একজন ব্যক্তি, যিনি কিংডম হলে প্রথম বার এসেছিলেন, তিনি আমাদের একজন ভাইকে বলেন যে, সাধারণ জামাকাপড় পরে এসেছেন বলে তিনি খুবই লজ্জিত। তখন আমাদের ভাই তাকে বুঝিয়ে বলেন যে, তার লজ্জা পাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই কারণ যিহোবার সাক্ষিরা অন্যদের মতোই সাধারণ মানুষ। সেই ব্যক্তি, যিনি পরে বাপ্তিস্ম নেন, তিনি কখনো ভাইয়ের এই কথাটা ভোলেননি। তবে, একটা বিষয় খেয়াল রাখবেন, আপনি যখন কোনো ব্যক্তির সঙ্গে সভার আগে বা পরে কথা বলবেন, তখন তার প্রতি ব্যক্তিগত আগ্রহ দেখান, কিন্তু তার একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়ে কোনো প্রশ্ন করবেন না, যেটা তাকে লজ্জায় ফেলতে পারে।—১ পিতর ৪:১৫.

১৬ আমাদের কথাবার্তা, মন্তব্য এবং সভাতে অংশ নেওয়ার সময় আমরা যখন ন-সাক্ষি বা তাদের বিশ্বাস নিয়ে আলোচনা করব, তখন আমাদের খেয়াল রাখতে হবে, আমরা যেন তাদের অসম্মান না করি। এমন কোনো শব্দ ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন, যেটার ফলে কেউ হয়তো বিঘ্ন পেতে বা অপমানিত হতে পারে। (তীত ২:৮; ৩:২) উদাহরণ স্বরূপ, আমরা কখনো কারো বিশ্বাসে আঘাত দিয়ে কথা বলব না। (২ করি. ৬:৩) এই ক্ষেত্রে বিশেষ করে সেই সমস্ত ভাইকে সতর্ক থাকতে হবে, যারা জনসাধারণের উদ্দেশে বক্তৃতা দিয়ে থাকে। বক্তৃতা দেওয়ার সময় এই ভাইয়েরা সেই ব্যক্তিদের কথাও মনে রাখে, যারা যিহোবার সাক্ষি নয়। তাই, তারা এমন কিছু বলে না বা শব্দ ব্যবহার করে না, যেগুলো বুঝতে শ্রোতাদের অসুবিধা হতে পারে।

১৭. আমরা যখন প্রচারে “সঠিক মনোভাব” রয়েছে, এমন ব্যক্তিদের খুঁজে পাব, তখন আমাদের কোন লক্ষ্য রাখা উচিত?

১৭ দিন যত এগিয়ে যাচ্ছে, ততই আমাদের শিষ্য তৈরির কাজ আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে এবং আমরা ক্রমাগত সেই সমস্ত লোককে খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করছি, “যাদের অনন্তজীবন লাভ করার জন্য সঠিক মনোভাব” রয়েছে। (প্রেরিত ১৩:৪৮) তাই, এই কাজ করার সময় আমরা তাদের বাইবেল অধ্যয়নের প্রস্তাব দিতে অথবা আমাদের সভাতে আমন্ত্রণ জানাতে দ্বিধাবোধ করব না। এভাবে, আমরা ‘জীবনের দিকে নিয়ে যায় এমন রাস্তায়’ চলার জন্য তাদের সাহায্য করতে পারি।—মথি ৭:১৪.

আপনি কীভাবে উত্তর দেবেন?

  • প্রথম সাক্ষাতে আমরা কীভাবে সেইসমস্ত ব্যক্তিকে সাহায্য করতে পারি, যাদের “সঠিক মনোভাব” রয়েছে?

  • যখন একটা বাইবেল অধ্যয়ন শুরু হয়, তখন আমরা কোন পরামর্শগুলো কাজে লাগাতে পারি?

  • আমরা কী করতে পারি, যাতে নতুন ব্যক্তিরা সভাতে এসে স্বচ্ছন্দবোধ করতে পারে?

গান ৬৪ আনন্দের সঙ্গে শস্যচ্ছেদনে অংশ নিই

a ছবি সম্বন্ধে বর্ণনা: প্রাক্তন একজন মিলিটারি কর্মী বারান্দায় বসে বিশ্রাম নিচ্ছে আর দু-জন ভাই তার সঙ্গে কথা বলছেন। দু-জন বোন এক মায়ের সঙ্গে কথা বলছেন, যিনি খুব ব্যস্ত।

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার