বিশ্বব্যাপী ভয়াবহ বন্দুক হামলাগুলো—এই সম্বন্ধে বাইবেল কী বলে?

২০২২ সালের জুলাই মাসে সারা বিশ্বে ভয়াবহ বন্দুক হামলাগুলো ঘটেছে:

• “জাপানের জনপ্রিয় রাজনীতিবিদের [প্রাক্তন প্রধান মন্ত্রী শিনজো আবে] হত্যা, দেশ ও পৃথিবীকে তোলপাড় করে দিয়েছে। কারণ জাপানে অপরাধমূলক কাজ প্রায় নেই বললেই চলে আর এখানকার অস্ত্র সংক্রান্ত আইন ভীষণ কড়া।”—জুলাই, ১০, ২০২২, দ্যা জাপান টাইস।

• “কোপেনহেগেনের একটা শপিং মলে এক জন বন্দুকধারী তিন জনকে হত্যা করেছে আর এই ঘটনা ডেনমার্ককে নাড়িয়ে দিয়েছে।”—জুলাই ৪, ২০২২, রয়টার্স।

• “দক্ষিণ আফ্রিকা: সোয়েটো টাউনশিপ এলাকার একটা বারে এক জন বন্দুকধারী ১৫ জনকে গুলি করে মেরে ফেলেছে।”—জুলাই ১০, ২০২২, দ্যা গার্ডিয়ান।

• “জুলাই ৪-এর সপ্তাহ শেষের ছুটিতে যুক্তরাষ্ট্রে ২২০ জনেরও বেশি লোক গুলিতে মারা গিয়েছে।”—জুলাই ৫, ২০২২, সিবিএস নিউজ।

এইরকম হিংসাত্মক ঘটনাগুলো কি কোনোদিন শেষ হবে বলে আশা করা যায়? এই সম্বন্ধে বাইবেল কী বলে?

হিংসার শেষ

বাইবেল আমাদের সময়কে “শেষকাল” বলে বর্ণনা করে, যেটা এমন এক সময় যখন লোকেরা হিংস্র, নৃশংস এবং বর্বর আচরণ করবে। (২ তীম. ৩:১, ৩) এইরকম হিংস্র আচরণের ফলে লোকেরা ভয়ে ভয়ে থাকবে। (লূক ২১:১১) কিন্তু, বাইবেল প্রতিজ্ঞা করে যে, হিংস্রতার শেষ হবে আর লোকেরা “শান্তির আশ্রমে, নিঃশঙ্কতার আবাসে ও নিশ্চিন্ততার বিশ্রাম-স্থানে বাস করিবে।” (যিশাইয় ৩২:১৮) কীভাবে হিংস্রতার শেষ হবে?

ঈশ্বর সমস্ত মন্দতাকে সরিয়ে দেবেন আর সমস্ত অস্ত্র ধ্বংস করবেন।

• “কিন্তু দুষ্টগণ দেশ হইতে উচ্ছিন্ন হইবে।”—হিতোপদেশ ২:২২.

• “তিনি পৃথিবীর প্রান্ত পর্য্যন্ত যুদ্ধ নিবৃত্ত করেন; তিনি ধনু ভগ্ন করেন, বড়শা খণ্ড খণ্ড করেন, তিনি রথ সকল আগুনে পোড়াইয়া দেন।”—গীতসংহিতা ৪৬:৯.

ঈশ্বর হিংস্র লোকদের এক জনকেও থাকতে দেবেন না।

• “সে সকল আমার পবিত্র পর্ব্বতের কোন স্থানে হিংসা কিম্বা বিনাশ করিবে না; কারণ সমুদ্র যেমন জলে আচ্ছন্ন, তেমনি পৃথিবী সদাপ্রভু-বিষয়ক জ্ঞানে পরিপূর্ণ হইবে।”—যিশাইয় ১১:৯.

• এমনকি ঈশ্বর এখনও বিশ্বব্যাপী তাঁর লোকদের হিংস্রতা ত্যাগ করতে ও অস্ত্র ‘ভাঙ্গিয়া লাঙ্গলের ফাল গড়িতে, ও আপন আপন বড়শা ভাঙ্গিয়া কাস্ত্যা গড়িতে’ শেখাচ্ছেন।—মীখা ৪:৩.

ভয়হীন এক পৃথিবী সম্বন্ধে আরও জানার জন্য “ভয় থেকে মুক্তি—এটা কি সম্ভব?” (ইংরেজি) শিরোনামের প্রবন্ধটা দেখুন।

হিংস্রতার স্থায়ী সমাধান সম্বন্ধে আরও জানার জন্য “অবশেষে পৃথিবীতে শান্তি!” শিরোনামের প্রবন্ধটা দেখুন।