ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w৯২ ৫/১ পৃষ্ঠা ৩১
  • পাঠকদের থেকে প্রশ্নসকল

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • পাঠকদের থেকে প্রশ্নসকল
  • ১৯৯২ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • যিহোবার নির্দেশিত পথে চলা
    ১৯৯২ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • রক্তের মাধ্যমে জীবন রক্ষা করা–কি করে?
    ১৯৯২ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
১৯৯২ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w৯২ ৫/১ পৃষ্ঠা ৩১

পাঠকদের থেকে প্রশ্নসকল

কত তীব্রতার সাথে একজন খ্রীষ্টান রক্ত গ্রহণ করার প্রতিরোধ করবে যা আদালত থেকে জারি অথবা আইনত অনুমতি দেওয়া হয়েছে?

প্রত্যেক পরিস্থিতি ভিন্ন, তাই এই বিষয় কোন সর্বক্ষেত্রে-প্রযোজ্য নিয়ম রাখা যায় না। ‘কৈসরের যাহা, তাহা কৈসরকে দেওয়ার’ জন্য, জাগতিক সরকারের আইন মেনে চলার জন্য খ্রীষ্টানরা পরিচিত। কিন্তু, তারা উপলব্ধি করে যে তাদের সর্বোপরি বাধ্যকতা “ঈশ্বরের যাহা যাহা, ঈশ্বরকে” দেওয়া, তাঁর নিয়ম লঙ্ঘন না করা।—মার্ক ১২:১৭.

রোমীয় ১৩:১-৭ খ্রীষ্টানদের সাথে সরকারী “প্রাধান্যপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের” সম্পর্ক সম্বন্ধে আলোচনা করে। এইরকম সরকারের অধিকার আছে আইন স্থাপন করতে এবং পরিচালনা দিতে, সাধারণত জনতার হিতসাধনের জন্য। এবং সরকার ‘খড়্গ ধারণ করে’ তাদের আইন প্রয়োগ করার জন্য এবং ‘যে মন্দ আচরণ করে, ক্রোধ সাধনের জন্য তাহার প্রতিশোধদাতা।’ প্রাধান্যপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের বশীভূত হয়ে, খ্রীষ্টানরা আইন এবং আদালতের নিয়ম মেনে চলতে ইচ্ছা করেন, কিন্তু এই বাধ্যতা আপেক্ষিক হতে হবে। যদি একজন খ্রীষ্টানকে কোন কিছুর বাধ্য হতে বলা হয় যা ঈশ্বরের উচ্চতর নিয়ম লঙ্ঘন করে, তাহলে ঐশ্বরিক নিয়ম প্রথম স্থান পাবে; ইহাকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।

কিছু আধুনিক আইন যা হয়তো মূলত হিতকারী হতে পারে তার অপপ্রয়োগ করে একজন খ্রীষ্টানকে জোরপূর্বক রক্ত গ্রহণ করানোর আদেশ জারি করানো যেতে পারে। এই ক্ষেত্রে খ্রীষ্টানদের একই পদক্ষেপ নিতে হবে যা প্রেরিত পিতর নিয়েছিলেন: “মনুষ্যদের অপেক্ষা বরং ঈশ্বরের আজ্ঞা পালন করিতে হইবে।”—প্রেরিত ৫:২৯.

যিহোবা ইস্রায়েলীয়দের আজ্ঞা দেন: “কেবল রক্তভোজন হইতে অতি সাবধান থাকিও, কেননা রক্তই প্রাণ; তুমি মাংসের সহিত প্রাণ ভোজন করিবে না।” (দ্বিতীয় বিবরণ ১২:২৩) ১৯১৭ সালের একটি যিহূদী বাইবেল অনুবাদে এইরকম পড়া হয়: “শুধুমাত্র রক্ত ভোজন না করিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হও।” এবং আইজাক লীসার শাস্ত্রীয় পদটিকে এইভাবে লেখেন: “কেবল রক্ত ভোজন না করিতে অটল হও।” এখান থেকে কি এই মনে হয় যে ঈশ্বরের সেবকরা এই আইন রক্ষা করবে কোন রকমে অথবা উদাসীনভাবে?

উত্তম কারণের সাথে খ্রীষ্টানরা ঈশ্বরকে মেনে চলতে সর্বান্তকরণে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়েছে, যদিও সরকার তাদের অন্যথা করতে বলে। প্রফেসর রবার্ট এল. উইল্‌কেন লেখেন: “খ্রীষ্টানরা কেবল [রোমীয়] সামরিক পরিচর্য্যা প্রত্যাখ্যান করে তাই নয়, কিন্তু তারা সরকারী দফ্‌তরে অথবা শহরের পরিচালনায় কোন দায়িত্ব নেয় না।” (দ্যা খ্রীশ্চানস্‌ অ্যাস্‌ দ্যা রোমানস্‌ স্য দেম) প্রত্যাখ্যান করার অর্থ হতে পারত আইনভঙ্গকারী রূপে চিহ্নিত হওয়া অথবা রোমীয় মল্লভূমিতে পতিত হওয়া।

বর্তমানেও খ্রীষ্টানদের দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হতে হবে, অটল সিদ্ধান্ত নিতে হবে ঐশ্বরিক আইন ভঙ্গ না করতে, যদিও তার জন্য তারা জাগতিক সরকারের সাথে বিপদে পড়ার সম্ভাবনা উদ্রেক করে। বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে সর্বোচ্চ আইন—ঈশ্বরের আইনের—প্রয়োজন যে রক্তের অপব্যবহার এড়িয়ে চলা হোক, যেমন খ্রীষ্টানরা ব্যভিচার (যৌন অনৈতিকতা) এড়িয়ে চলবে। বাইবেল এই নিষিদ্ধ বিষয়গুলিকে “প্রয়োজনীয় বিষয়” বলে। (প্রেরিত ১৫:১৯-২১, ২৮, ২৯) এইরকম ঐশ্বরিক নিয়ম হাল্কাভাবে নেওয়ার জন্য নয়, তা পালন করা হবে শুধুমাত্র সুবিধাজনক সময় অথবা যখন কোন সমস্যা উত্থাপিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই, এমন নয়। ঈশ্বরের নিয়ম মেনে চলতেই হবে!

আমরা, তাই, উপলব্ধি করতে পারি কেন যে অল্পবয়স্ক খ্রীষ্টানের কথা পৃষ্ঠা ১২-তে উল্লেখ করা হয়েছে, সে একটি আদালতকে বলে যে “রক্তগ্রহণকে সে তার শরীরের বিরুদ্ধে আক্রমণ হিসাবে দেখে এবং ধর্ষনের সাথে তা তুলনা করে।” কোন খ্রীষ্টীয় নারী, যুবতী অথবা বয়স্ক, কি বিনা বাধায় ধর্ষিত হওয়ার প্রতি বশ্যতা স্বীকার করবে, যদিও বা আইনত, জোরপূর্বক শালীনতাহানীর দ্বারা এই ব্যভিচারের প্রতি সম্মতি জানানো হয়?

একইভাবে, সেই একই পৃষ্ঠায় যে ১২-বছর বয়স্ক কিশোরীর কথা উদ্ধৃতি করা হয়েছে, সে কোন সন্দেহ রাখে না যে ‘সে যে কোন আদালত-থেকে-জারি-করা রক্তগ্রহণের আদেশের বিরুদ্ধে তার সমস্ত শক্তি দিয়ে লড়াই করবে, যে সে তার হাত থেকে ছুঁচ টেনে বার করে দেবে এবং তার বিছানার ওপরে ঝোলানো রক্তের বোতল ভাঙ্গবার চেষ্টা করবে।’ ঐশ্বরিক নিয়ম পালন করার জন্য সে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিল।

যখন জনতা তাকে রাজা করতে চেষ্টা করে তখন যীশু সেই জায়গা থেকে চলে আসেন। একইভাবে, যদি মনে হয় যে আদালত থেকে রক্তগ্রহণ করার আদেশ জারি করা হতে পারে তাহলে একজন খ্রীষ্টান ঈশ্বরের আইন লঙ্ঘন করতে হতে পারে এইরকম পরিস্থিতি এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবে। (মথি ১০:১৬; যোহন ৬:১৫) একই সময়ে, একজন খ্রীষ্টানের উচিৎ বুদ্ধিমত্তার সাথে চিকিৎসাশাস্ত্রগত কোন বিকল্প চিকিৎসাপ্রনালী গ্রহণ করা, এইভাবে জীবন রক্ষা করার এবং সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য প্রকৃত চেষ্টা করা।

যদি একজন খ্রীষ্টান রক্ত সম্বন্ধে ঈশ্বরের নিয়ম ভঙ্গ না করতে আপ্রাণ চেষ্টা করে, কর্তৃপক্ষ হয়তো তাকে একজন নিয়মভঙ্গকারী হিসাবে দেখতে পারে এবং তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ আনতে পারে। যদি কোন শাস্তি দেওয়া হয়, একজন খ্রীষ্টান তাকে ধার্মিকতার নিমিত্ত দুঃখভোগ হিসাবে দেখতে পারে। (তুলনা করুন ১ পিতর ২:১৮-২০.) কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে, খ্রীষ্টানরা রক্তগ্রহণ এড়িয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে এবং উপযুক্ত চিকিৎসাশাস্ত্রগত যত্নের সাথে আরোগ্য লাভ করেছে, যাতে কোন স্থায়ী আইনত সমস্যা উত্থাপিত হয়নি। এবং সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ, তারা তাদের স্বর্গীয় জীবনদাতা এবং বিচারকর্ত্তার প্রতি তাদের বিশ্বস্ততা বজায় রেখেছে। (w91 6/15)

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার