আমাদের পূর্বপুরুষদের জন্য এক নতুন জীবন
ঈশ্বরের বাক্য, বাইবেল কি শিক্ষা দেয় যে মৃত্যুর পর সকল মানুষই সাধারণ নিয়ম অনুসারে আত্মিক জগতে জীবিত থাকে? না, থাকে না। মৃত্যুর পরে জীবন সম্পর্কে বাইবেল এক অভূতপূর্ব আশা দেয়, কিন্তু অনেকে যেভাবে কল্পনা করে, ঠিক সেইভাবে নয়।
ভেবে দেখুন, আমাদের প্রথম পিতৃপুরুষ আদমের বিষয়ে বাইবেল কী বলে। যিহোবা তাকে “মৃত্তিকার ধূলিতে” তৈরি করেছিলেন। (আদিপুস্তক ২:৭) পৃথিবীতে সুখে অনন্তকাল বেঁচে থাকার সুযোগ আদমের ছিল। (আদিপুস্তক ২:১৬, ১৭) কিন্তু, সে তার প্রেমময় সৃষ্টিকর্তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে এবং তার পরিণাম হয় মৃত্যু।
মৃত্যুতে আদম কোথায় গিয়েছিল? ঈশ্বর তাকে বলেছিলেন: “তুমি মৃত্তিকায় প্রতিগমন . . . করিবে, তুমি ত তাহা হইতেই গৃহীত হইয়াছ; কেননা তুমি ধূলি, এবং ধূলিতে প্রতিগমন করিবে।”—আদিপুস্তক ৩:১৯.
ধূলি থেকে যিহোবা আদমকে তৈরি করার আগে সে কোথায় ছিল? কোথাও না। তার কোন অস্তিত্ব ছিল না। তাই যখন যিহোবা আদমকে বলেছিলেন যে “মৃত্তিকায় প্রতিগমন . . . করিবে,” তখন তিনি কেবলমাত্র বুঝাতে চেয়েছিলেন যে ঠিক ধূলির মত আদম আবার জীবনহীন হবে। আদম আত্মিক জগতের উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য তার পূর্বপুরুষদের ‘অতিক্রম করেনি।’ সে স্বর্গে পরম সুখ উপভোগ করার জন্য অথবা কোন এক যাতনার স্থানে অনন্ত যন্ত্রণা ভোগ করতে যায়নি। শুধুমাত্র পরিবর্তন যেটুকু হয়েছিল, তা হল জীবন থেকে জীবনহীনতা, অস্তিত্ব থেকে অস্তিত্বহীনতায়।
কিন্তু মানবসমাজের আর বাদবাকি অংশের বিষয় কী বলা যায়? আদমের বংশধরেরাও কি মৃত্যুতে অস্তিত্বহীন হয়ে যায়? বাইবেল উত্তরে জানায়: “সকলেই [মানুষ এবং জন্তু উভয়] এক স্থানে গমন করে, সকলেই ধূলি হইতে উৎপন্ন, এবং সকলেই ধূলিতে প্রতিগমন করে।”—উপদেশক ৩:১৯, ২০.
মৃতদের অবস্থা
হ্যাঁ, মৃতেরা জীবনহীন, শ্রবণে, দর্শনে কথনে অথবা চিন্তাতে অক্ষম। উদাহরণস্বরূপ, বাইবেল জানায়: “জীবিত লোকেরা জানে যে, তাহারা মরিবে; কিন্তু মৃতেরা কিছুই জানে না . . . তাহাদের প্রেম, তাহাদের দ্বেষ ও তাহাদের ঈর্ষা সকলই বিনষ্ট হইয়া গিয়াছে।” বাইবেল আরও জানায়: “তুমি যে স্থানে যাইতেছ, সেই পাতালে [কবর] কোন কার্য্য, কি সঙ্কল্প, কি বিদ্যা কি প্রজ্ঞা, কিছুই নাই।”—উপদেশক ৯:৫, ৬, ১০.
সুতরাং, ঈশ্বরের বাক্য অনুসারে, জীবিত অবস্থায় লোকেরা জানে যে তাদের মরতে হবে। যাইহোক, মৃত্যু ঘটলে পর তারা আর কোন কিছুই অবগত থাকে না। তারা তাদের নিজেদের মৃতদেহের পাশে এসে দাঁড়িয়ে সেই দেহের প্রতি কী করা হচ্ছে তা দেখে না। অচেতন অবস্থায় আনন্দ অথবা ব্যথা অথবা উল্লাস বা দুঃখের কোন অনুভূতি থাকে না। সময় কিভাবে বয়ে যায়, তাও মৃতদের অজানা। তাদের এই অচৈতন্য অবস্থা গভীর নিদ্রায় আচ্ছন্ন পরিস্থিতির চেয়েও গভীরতর।
প্রাচীনকালের ঈশ্বরের একজন দাস, ইয়োব, জানতেন যে মৃত্যুর পরে লোকেরা বেঁচে থাকে না। তিনি এও উপলব্ধি করতেন যে ঈশ্বরের হস্তক্ষেপ ছাড়া জীবনে প্রত্যাবর্তনের কোন আশাই থাকতে পারে না। ইয়োব বলেছিলেন: “মানুষ মরিলে ক্ষয় পায়; মনুষ্য প্রাণত্যাগ করিয়া কোথায় থাকে? [সে] শয়ন করিলে আর উঠে না।” (ইয়োব ১৪:১০, ১২) ইয়োব অবশ্যই আশা করেননি যে তার মৃত্যুর পর তিনি তার পূর্বপুরুষদের সাথে আত্মিক জগতে যোগ দেবেন।
পুনরুত্থানের আশা
যেহেতু জীবিতেরা মৃত্যুতে অচৈতন্য হয়ে পড়ে, তাই একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ইয়োব তুলেছিলেন, যখন তিনি বলেছিলেন: “মনুষ্য মরিয়া কি পুনর্জীবিত হইবে?” ইয়োব নিজেই এই উত্তর দেন: “আমি আপন সৈন্যবৃত্তির সমস্ত দিন [কবরে থাকার সময়ে] প্রতীক্ষা করিব, যে পর্য্যন্ত আমার দশান্তর না হয়। পরে তুমি [যিহোবা] আহ্বান করিবে, ও আমি উত্তর দিব। তুমি আপন হস্তকৃতের প্রতি মমতা করিবে।”—ইয়োব ১৪:১৪, ১৫.
অন্যভাবে বলতে গেলে, যদিও ইয়োব অস্তিত্বহীন হয়ে পড়বেন, তথাপি ঈশ্বর তাকে ভুলে যাবেন না। ইয়োবের বিশ্বাস ছিল যে, এমন সময় আসবে যখন যিহোবা তাকে পুনরুত্থানের মাধ্যমে জীবন ফিরে পেতে “আহ্বান” করবেন।
ঈশ্বরের পুত্র যীশু খ্রীষ্ট দেখিয়েছিলেন যে পুনরুত্থানে ইয়োবের যে আশা ছিল, তা বাস্তবিকভাবে সত্য। যীশু প্রমাণ করে দিয়েছিলেন যে মৃত ব্যক্তিকে জীবিত করা যায়। কিভাবে? তা করার দ্বারা! যদিও ইয়োবকে পুনরুত্থিত করার জন্য তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন না, কিন্তু পৃথিবীতে থাকাকালীন তিনি নায়িন নগরের একটি বিধবার পুত্রকে পুনরুত্থিত করেন। যীশু যায়ীরের ১২ বছরের মেয়েকেও পুনরুত্থিত করেন। আর তিনি তাঁর বন্ধু লাসারকে পুনরুত্থিত করেন যে চার দিন যাবৎ মৃত ছিল।—লূক ৭:১১-১৫; ৮:৪১, ৪২; ৪৯-৫৬; যোহন ১১:৩৮-৪৪.
এই অলৌকিক কাজগুলি করা ছাড়াও যীশু ভবিষ্যতের এক ব্যাপক আকারে পুনরুত্থানের বিষয়ে উল্লেখ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন: “এমন সময় আসিতেছে, যখন কবরস্থ সকলে তাঁহার রব শুনিবে, এবং . . . বাহির হইয়া আসিবে।” (যোহন ৫:২৮, ২৯) পরবর্তীকালে, প্রেরিত পৌল, যাকে যিহোবা এক যুবক ব্যক্তিকে পুনরুত্থিত করার জন্য ব্যবহার করেছিলেন, তিনিও ভবিষ্যৎ পুনরুত্থানের উপর বিশ্বাস প্রদর্শন করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন: “আমি ঈশ্বরে এই প্রত্যাশা করিতেছি যে, ধার্ম্মিক অধার্ম্মিক উভয় প্রকার লোকের পুনরুত্থান হইবে।”—প্রেরিত ২০:৭-১২; ২৪:১৫.
ভবিষ্যৎ পুনরুত্থান সম্বন্ধে শাস্ত্রীয় এই প্রসঙ্গগুলির সাথে আত্মিক জগতে ক্রমাগতভাবে বেঁচে থাকার কোন সম্পর্ক নেই। এগুলি সেই সময়ের প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করায় যখন লক্ষ লক্ষ ব্যক্তিরা সশরীরে এই পৃথিবীতে জীবন ফিরে পাবে। এই পুনরুত্থিত ব্যক্তিরা এমন ব্যক্তি হবে না যাদের পৃথিবীতে অতীত জীবনের কথা স্মরণে থাকবে না। শিশুর মত তাদের পুনর্জন্ম হবে না। তার পরিবর্তে, মৃত্যুর সময় তারা যেমন ব্যক্তি ছিল, স্মৃতি ও ব্যক্তিত্ব যেমন ছিল, তারা ঠিক তেমনি মানুষ হবে। নিজেরা নিজেদের এবং অপরেরাও তাদের চিনতে পারবে। কত আনন্দই না হবে, যখন এইসব লোকেরা তাদের বন্ধুবান্ধব ও পরিবারগুলির সাথে পুনর্বার মিলিত হবে! আর আমাদের পূর্বপুরুষদের সাথে মিলিত হওয়া কত রোমাঞ্চকরই না হবে!
স্বর্গীয় জীবনের জন্য পুনরুত্থান
যীশু কি বলেননি যে কিছু লোক স্বর্গে যাবে? হ্যাঁ, তিনি বলেছিলেন। তাঁকে হত্যা করার আগের সন্ধ্যায় তিনি বলেছিলেন: “আমার পিতার বাটীতে অনেক বাসস্থান আছে, . . . আমি তোমাদের জন্য স্থান প্রস্তুত করিতে যাইতেছি। আর আমি যখন যাই ও তোমাদের জন্য স্থান প্রস্তুত করি, তখন পুনর্ব্বার আসিব, এবং আমার নিকটে তোমাদিগকে লইয়া যাইব; যেন, আমি যেখানে থাকি, তোমরাও সেই খানে থাক।” (যোহন ১৪:২, ৩) যীশু তাঁর বিশ্বস্ত প্রেরিতদের সাথে কথা বলছিলেন, কিন্তু তাঁর কথার অর্থ এই নয় যে সব ভাল মানুষই স্বর্গে যাবে।
যীশু দেখিয়েছিলেন যে যারা স্বর্গে পুনরুত্থিত হবে, তাদের শুধু উত্তম জীবনযাপন করাই নয়, কিন্তু সেইসঙ্গে অন্যান্য চাহিদাগুলিও মেটাতে হবে। একটি চাহিদা হল যিহোবা ও তাঁর উদ্দেশ্যগুলির বিষয়ে যথার্থ জ্ঞান অর্জন করা। (যোহন ১৭:৩) অন্যান্য চাহিদাগুলি হল যীশু খ্রীষ্টের প্রায়শ্চিত্তমূলক বলিদানের উপর বিশ্বাস করা ও ঈশ্বরের বাধ্য হওয়া। (যোহন ৩:১৬; ১ যোহন ৫:৩) তবুও, আর একটি প্রয়োজনীয় বিষয় হল ঈশ্বরের পবিত্র আত্মা দ্বারা জাত একজন বাপ্তিস্মিত খ্রীষ্টান হিসাবে “নূতন জন্ম” নেওয়া। (যোহন ১:১২, ১৩; ৩:৩-৬) স্বর্গীয় জীবনের আরেকটি প্রয়োজনীয় বিষয় হল যীশুর মত সহ্য করা, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঈশ্বরের কাছে বিশ্বস্ত থেকে তা প্রমাণ করা।—লূক ২২:২৯; প্রকাশিত বাক্য ২:১০.
এমন মহৎ প্রয়োজনীয়তাগুলি রাখার পিছনে একটি কারণ আছে। স্বর্গে যারা পুনরুত্থিত হবে, তাদের এক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে হবে। যিহোবা জানতেন যে মানব সরকারগুলি কখনও সফলতার সাথে পৃথিবীর বিষয়গুলির সুরাহা করতে পারবে না। আর তাই তিনি এক স্বর্গীয় সরকার বা রাজ্যের আয়োজন করেন, যেটি মানবজাতির উপর শাসন করবে। (মথি ৬:৯, ১০) যীশু হবেন সেই রাজ্যের রাজা। (দানিয়েল ৭:১৩, ১৪) পৃথিবী থেকে নির্বাচিত কিছু ব্যক্তি স্বর্গে পুনরুত্থিত হবে এবং তাঁর সাথে শাসন করবে। বাইবেলে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল যে এই পুনরুত্থিত ব্যক্তিদের ‘ঈশ্বরের উদ্দেশে রাজ্য ও যাজক করা হয়েছে, আর তারা [অবশ্যই] পৃথিবীর উপরে রাজত্ব করবে।’—প্রকাশিত বাক্য ৫:১০.
স্বর্গীয় পুনরুত্থানের জন্য কি বিপুল সংখ্যক ব্যক্তিরা যোগ্য বলে প্রমাণিত হবে? না। নিজেদের দোষে না হলেও, মৃত্যুরূপ নিদ্রায় যারা আচ্ছন্ন, তাদের অধিকাংশেরই যোগ্যতা নেই। অনেকের স্বল্প বা এতটুকুও যিহোবা এবং তাঁর উদ্দেশ্যগুলি সম্বন্ধে সত্য শেখার সুযোগ হয়নি। যীশু খ্রীষ্ট অথবা ঈশ্বরের রাজ্য সম্পর্কে কিছু না জেনেই তারা জীবনযাপন করেছে ও মারাও গেছে।
যারা স্বর্গে যাবে তাদের যীশু “ক্ষুদ্র মেষপাল” বলে সম্বোধন করেছেন। (লূক ১২:৩২) পরবর্তীকালে প্রকাশ করা হয় যে, যে সব ব্যক্তিরা স্বর্গে যীশুর সঙ্গে শাসন করবে, তাদের সংখ্যা হবে ১৪৪,০০০ জন “পৃথিবী হইতে ক্রীত।” (প্রকাশিত বাক্য ১৪:১-৩; ২০:৬) যীশুর দ্বারা উল্লেখিত “অনেক বাসস্থান” এর পরিপ্রেক্ষিতে যদিও ১৪৪,০০০ জন হল যথেষ্ট বড় সংখ্যা, তথাপি আদম হতে জাত কোটি কোটি জনসংখ্যার তুলনায় তা ছোট।—যোহন ১৪:২.
পার্থিব পুনরুত্থানের আগের ঘটনাগুলি
আসুন পুনরালোচনা করে দেখা যাক এই পর্যন্ত আমরা কী আলোচনা করেছি। বাইবেল অনুসারে, যারা মারা যায়, তারা মৃত্যুতে নিষ্প্রাণ হয়ে থাকে, যতক্ষণ না যিহোবা ঈশ্বর তাদের পুনরুত্থিত করেন। কিছু লোককে স্বর্গীয় জীবনে পুনরুত্থিত করা হয়েছে, যেখানে তারা যীশু খ্রীষ্টের সঙ্গে রাজ্য সরকারের মাধ্যমে শাসন করবে। রাজ্যের প্রজা হবার জন্য সেই অধিকাংশ লোকেদের পুনরুত্থান পৃথিবীতে হবে।
পৃথিবীর জন্য যিহোবা ঈশ্বরের উদ্দেশ্য খানিকটা পার্থিব পুনরুত্থানের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে। যিহোবা এটিকে “বাসস্থানার্থে” সৃষ্টি করেছিলেন। (যিশাইয় ৪৫:১৮) এটি মানবজাতির স্থায়ী বাসগৃহ হওয়ার কথা ছিল। আর সেইজন্য গীতরচক গেয়েছিলেন: “স্বর্গ সদাপ্রভুরই স্বর্গ, কিন্তু তিনি পৃথিবী মনুষ্য-সন্তানদিগকে দিয়াছেন।”—গীতসংহিতা ১১৫:১৬.
পৃথিবীতে জীবনে পুনরুত্থান শুরু হওয়ার আগে অবশ্যই বড় কিছু পরিবর্তন ঘটবে। সম্ভবত আপনিও একমত হবেন যে পৃথিবী যুদ্ধ, দূষণ, অপরাধ এবং দৌরাত্ম্যে পরিপূর্ণ হোক, সেটা ঈশ্বর কখনও চাননি। এই সমস্যাগুলির উদ্ভব হয়েছে সেই সব লোকেদের দ্বারা যাদের ঈশ্বর ও তাঁর ধার্মিক মানগুলির প্রতি কোন সম্মান নেই। সুতরাং, পৃথিবীতে ঈশ্বরের ইচ্ছা সম্পাদন করার প্রধান পদক্ষেপ হিসাবে ঈশ্বরের রাজ্য “পৃথিবীনাশকদিগকে নাশ” করবে। (প্রকাশিত বাক্য ১১:১৮) এই রাজ্য, সকল দুষ্ট লোকেদের ধ্বংস করবে, যাতে ধার্মিক লোকেরা এই পৃথিবীতে চিরকাল বাস করতে পারে।—গীতসংহিতা ৩৭:৯, ২৯.
পৃথিবীতে পরমদেশ
পরিষ্কৃত পৃথিবীতে যাদের পুনরুত্থান হবে, তারা হবে নম্রমনা, যত্নবান ব্যক্তি, যারা সৎ কাজ করে। (তুলনা করুন মথি ৫:৫.) ঈশ্বরের রাজ্যের প্রেমপূর্ণ তত্ত্বাবধানের অধীনে তারা নিরাপত্তায় সুখে জীবন-যাপন করবে। সেই সময়ে যে পরিস্থিতি বিরাজ করবে, সেই বিষয়ে বাইবেল এক অত্যুত্তম পূর্বাভাষ দেয়: “[ঈশ্বর] তাহাদের সমস্ত নেত্রজল মুছাইয়া দিবেন; এবং মৃত্যু আর হইবে না; শোক বা আর্ত্তনাদ বা ব্যথাও আর হইবে না; কারণ প্রথম বিষয় সকল লুপ্ত হইল।”—প্রকাশিত বাক্য ২১:৪.
হ্যাঁ, পৃথিবী পরমদেশে পরিণত হবে। (লূক ২৩:৪৩) ভেবে দেখুন তার অর্থ কী হবে! হাসপাতাল এবং নার্সিং হোমগুলি হবে অপ্রয়োজনীয়। এখন যারা বৃদ্ধাবস্থার জন্য নিদারুণ যন্ত্রণা পাচ্ছে, পরমদেশে তারা আবার বলবান এবং সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হবে। (ইয়োব ৩৩:২৫; যিশাইয় ৩৫:৫, ৬) সেখানে কোন অন্ত্যেষ্টিগৃহ, কবরখানা এবং কোন স্মৃতিপ্রস্তর থাকবে না। তাঁর রাজ্যের মাধ্যমে, যিহোবা “মৃত্যুকে অনন্তকালের জন্য বিনষ্ট” করবেন। (যিশাইয় ২৫:৮) অবশ্যই, এই আশীর্বাদগুলির অর্থ হবে আমাদের এবং পিতৃপুরুষদের জন্য এক নতুন জীবন।
[৭ পৃষ্ঠার চিত্র]
পৃথিবীতে যারা পুনরুত্থিত হবে, তারা হবে ঈশ্বরের রাজ্যের প্রজা