ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w৯৮ ১০/১ পৃষ্ঠা ৮-১৩
  • “যিহোবা, করুণাময় ও কৃপাময় ঈশ্বর”

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • “যিহোবা, করুণাময় ও কৃপাময় ঈশ্বর”
  • ১৯৯৮ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • এক বিদ্রোহী পুত্র গৃহ ত্যাগ করে
  • দূরদেশে হতাশা
  • অপব্যয়ী চেতনা ফিরে পায়
  • এক আন্তরিক অভ্যর্থনা
  • যিহোবার করুণাকে অনুকরণ করুন
    ১৯৯৮ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • এক হারান পুত্রের গল্প
    সর্বমহান পুরুষ যিনি কখনও জীবিত ছিলেন
  • একজন “অপব্যয়ী” সন্তানকে আপনি কীভাবে সাহায্য করতে পারেন?
    ২০০১ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • আপনি কি “বুঝিতে পারেন”?
    ২০১৪ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
আরও দেখুন
১৯৯৮ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w৯৮ ১০/১ পৃষ্ঠা ৮-১৩

“যিহোবা, করুণাময় ও কৃপাময় ঈশ্বর”

“সদাপ্রভু, সদাপ্রভু [“যিহোবা,” “NW”], স্নেহশীল [“করুণাময়,” “NW”] ও কৃপাময় ঈশ্বর, ক্রোধে ধীর এবং দয়াতে ও সত্যে মহান্‌।”—যাত্রাপুস্তক ৩৪:৬.

১. (ক) যারা বিশুদ্ধ উপাসনা থেকে প্রিয়জনদের সরে যেতে দেখেছেন তাদের জন্য বাইবেল কোন্‌ সান্ত্বনা প্রদান করে? (খ) যিহোবা পথভ্রষ্ট ব্যক্তিদের কোন্‌ দৃষ্টিতে দেখেন?

“একজন খ্রীষ্টান পিতা বলেন, “আমার মেয়ে আমাকে বলেছিল যে সে আর খ্রীষ্টীয় মণ্ডলীতে থাকতে চায় না। এটা শোনার পর কয়েক মাস পর্যন্ত আমি ভিতরে ভিতরে এক অসহ্য যন্ত্রণা অনুভব করেছিলাম। মৃত্যুর চেয়েও তা নিদারুণ ছিল।” বিশুদ্ধ উপাসনার পথ থেকে এক প্রিয়জনের সরে যাওয়া সত্যই বেদনাদায়ক। আপনার কি এইরকম অভিজ্ঞতা রয়েছে? যদি থাকে, তাহলে আপনি এটি জেনে সান্ত্বনা পাবেন যে যিহোবা আপনার প্রতি সহানুভূতিপূর্ণ। (যাত্রাপুস্তক ৩:৭; যিশাইয় ৬৩:৯) কিন্তু এইধরনের পথভ্রষ্ট ব্যক্তিদের তিনি কোন্‌ দৃষ্টিতে দেখেন? বাইবেল দেখায়, যিহোবা তাদেরকে তাঁর অনুগ্রহ পাওয়ার জন্য ফিরে আসতে করুণাপূর্বক আমন্ত্রণ জানান। মালাখির দিনের বিদ্রোহী যিহূদীদের তিনি আহ্বান করেছিলেন: “আমার কাছে ফিরিয়া আইস, আমিও তোমাদের কাছে ফিরিয়া আসিব।”—মালাখি ৩:৭.

২. কিভাবে বাইবেল দেখায় যে করুণা যিহোবার ব্যক্তিত্বের একটি অপরিহার্য অংশ?

২ সীনয় পর্বতে মোশির কাছে ঈশ্বরের করুণাকে তুলে ধরা হয়েছিল। সেখানে যিহোবা নিজেকে “করুণাময় ও কৃপাময় ঈশ্বর, ক্রোধে ধীর এবং দয়াতে এবং সত্যে মহান্‌” হিসাবে প্রকাশ করেছিলেন। (যাত্রাপুস্তক ৩৪:৬) ঘোষণাটি এই বিষয়ের উপর জোর দিয়েছিল যে করুণা যিহোবার ব্যক্তিত্বের একটি অপরিহার্য অংশ। “সকলে যেন মনপরিবর্ত্তন পর্য্যন্ত পঁহুছিতে পায়, এই তাঁহার বাসনা,” খ্রীষ্টীয় প্রেরিত পিতর লিখেছিলেন। (২ পিতর ৩:৯) অবশ্য, ঈশ্বরের করুণা সীমাহীন নয়। “তিনি অবশ্য [পাপের] দণ্ড দেন,” মোশিকে বলা হয়েছিল। (যাত্রাপুস্তক ৩৪:৭; ২ পিতর ২:৯) তাসত্ত্বেও, “ঈশ্বর প্রেম” আর করুণা সেই গুণের একটি মহৎ দিক। (১ যোহন ৪:৮; যাকোব ৩:১৭) যিহোবা “চিরকাল ক্রোধ রাখেন না” এবং তিনি “দয়ায় প্রীত।”—মীখা ৭:১৮, ১৯.

৩. করুণার ক্ষেত্রে যীশুর দৃষ্টিভঙ্গি কিভাবে অধ্যাপক ও ফরীশীদের চেয়ে ভিন্ন ছিল?

৩ যীশু তাঁর স্বর্গীয় পিতার এক নিখুঁত প্রতিমূর্তি ছিলেন। (যোহন ৫:১৯) অপরাধীদের সঙ্গে তাঁর করুণাপূর্ণ আচরণের অর্থ ছিল না যে তিনি তাদের পাপকে উপেক্ষা করছেন বরং তা ছিল সেই একই কোমল অনুভূতিগুলির এক অভিব্যক্তি, যা তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থদের প্রতি দেখিয়েছিলেন। (মার্ক ১:৪০, ৪১ পদের সঙ্গে তুলনা করুন।) হ্যাঁ, যীশু ঈশ্বরের ব্যবস্থার ‘গুরুতর বিষয়ের’ মধ্যে করুণাকে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। (মথি ২৩:২৩) বিপরীতে, অধ্যাপক ও ফরীশীদের কথা বিবেচনা করুন, যাদের ন্যায়বিচার সম্বন্ধীয় বৈধ ধারণাগুলিতে সাধারণত করুণার কোন জায়গা ছিল না। তারা যখন যীশুকে পাপীদের সঙ্গে মেলামেশা করতে দেখেছিলেন, তারা অভিযোগ করেছিলেন: “এ ব্যক্তি পাপীদিগকে গ্রহণ করে, ও তাহাদের সহিত আহার ব্যবহার করে।” (লূক ১৫:১, ২) যীশু তার অভিযোগকারীদের তিনটি দৃষ্টান্তের মাধ্যমে উত্তর দিয়েছিলেন, যেগুলির প্রতিটি ঈশ্বরের করুণার উপর জোর দেয়।

৪. যীশু কোন্‌ দুটি দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছিলেন এবং সেগুলির বিষয়বস্তু কী ছিল?

৪ প্রথমত, যীশু এমন একজন ব্যক্তির কথা বলেছিলেন যিনি একটি হারানো মেষকে খোঁজার জন্য বাকি ৯৯টিকে ছেড়ে গিয়েছিলেন। তাঁর বিষয়বস্তুটি কী ছিল? “এক জন পাপী মন ফিরাইলে স্বর্গে আনন্দ হইবে; যাহাদের মন ফিরান অনাবশ্যক এমন নিরানব্বই জন ধার্ম্মিকের বিষয়ে তত আনন্দ হইবে না।” এরপর, যীশু একজন স্ত্রীলোকের বিষয়ে বলেছিলেন যিনি একটি হারানো সিকির সন্ধান করেন ও তা খুঁজে পাওয়ায় আনন্দিত হন। যীশু কিভাবে এটি প্রয়োগ করেছিলেন? “একজন পাপী মন ফিরাইলে ঈশ্বরের দূতগণের সাক্ষাতে আনন্দ হয়।” যীশু তাঁর তৃতীয় দৃষ্টান্তটি গল্পের আকারে বর্ণনা করেছিলেন।a অনেকেই এটিকে সর্বকালের সর্বোত্তম ছোট গল্প হিসাবে মনে করেছেন। এই গল্পটি বিবেচনা করা, ঈশ্বরের করুণাকে উপলব্ধি ও অনুকরণ করতে আমাদের সাহায্য করবে।—লূক ১৫:৩-১০.

এক বিদ্রোহী পুত্র গৃহ ত্যাগ করে

৫, ৬. কিভাবে যীশুর তৃতীয় দৃষ্টান্তের কনিষ্ঠ পুত্র উপলব্ধিবোধের প্রচণ্ড অভাব দেখিয়েছিল?

৫ “এক ব্যক্তির দুই পুত্ত্র ছিল; তাহাদের মধ্যে কনিষ্ঠ আপন পিতাকে কহিল, পিতঃ, সম্পত্তির যে অংশ আমার ভাগে পড়ে, তাহা আমাকে দেও। তাহাতে তিনি তাহাদের মধ্যে ধন বিভাগ করিয়া দিলেন। অল্প দিন পরে সেই কনিষ্ঠ পুত্ত্র সমস্ত একত্র করিয়া লইয়া দূরদেশে চলিয়া গেল, আর তথায় সে অনাচারে নিজ সম্পত্তি উড়াইয়া দিল।”—লূক ১৫:১১-১৩.b

৬ গল্পে কনিষ্ঠ পুত্র উপলব্ধিবোধের প্রচণ্ড অভাব দেখিয়েছিল। প্রথমত, সে তার উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া সম্পত্তি দাবি করেছিল এবং পরে তা “অনাচারে” উড়িয়ে দিয়েছিল। ‘অনাচার’ অভিব্যক্তিটি যে গ্রীক শব্দ থেকে অনূদিত হয়েছে তার অর্থ “উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপন।” একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, শব্দটি “নৈতিক গুণাবলি সম্পূর্ণরূপে ত্যাগ করাকে প্রকাশ করে।” তাই যুক্তিসংগতভাবেই, যীশুর গল্পের যুবক ব্যক্তিটিকে প্রায়ই একজন অপব্যয়ী বলে অভিহিত করা হয়েছে, যে শব্দটি এমন এক ব্যক্তিকে বর্ণনা করে যিনি অত্যধিক অমিতব্যয়ী ও অপচয়কারী।

৭. আজকে কারা একইরকম অপব্যয়ী এবং কেন এইধরনের ব্যক্তিরা “দূরদেশে” গিয়ে স্বাধীন হতে চান?

৭ আজকে এমন লোকেরা কি আছেন যারা এইরকমই অপব্যয়ী? হ্যাঁ। দুঃখের সঙ্গে বলা যায় যে, তুলনামূলকভাবে এক অল্প সংখ্যক লোকেরা আমাদের স্বর্গীয় পিতা যিহোবার নিরাপদ “গৃহ” ত্যাগ করেছেন। (১ তীমথিয় ৩:১৫) এদের কেউ কেউ মনে করেন, ঈশ্বরের গৃহের পরিবেশ অত্যন্ত কঠোর এবং যিহোবার সতর্ক দৃষ্টি যতখানি না সুরক্ষামূলক তার চেয়ে বেশি বাধাজনক। (গীতসংহিতা ৩২:৮ পদের সঙ্গে তুলনা করুন।) একজন খ্রীষ্টান মহিলার কথা বিবেচনা করুন যিনি বাইবেলের নীতি অনুযায়ী বড় হয়েছিলেন কিন্তু পরে মদ ও মাদকদ্রব্যে আসক্ত হয়ে পড়েন। তার জীবনের সেই অন্ধকারময় দিনগুলির কথা চিন্তা করে, তিনি বলেন: “আমি প্রমাণ করতে চেয়েছিলাম যে আমি নিজেই আমার জন্য এক উত্তম জীবন নিয়ে আসতে পারি। আমার যা খুশি আমি তাই করতে চেয়েছিলাম আর কেউ আমাকে এর বিপরীত কিছু বলুক তা আমি চাইনি।” অপব্যয়ীর মত, এই যুবতীও স্বাধীন হতে চেয়েছিলেন। দুঃখজনকভাবে, তার অশাস্ত্রীয় অভ্যাসগুলির জন্য তাকে খ্রীষ্টীয় মণ্ডলী থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।—১ করিন্থীয় ৫:১১-১৩.

৮. (ক) ঈশ্বরের মানদণ্ডগুলির বিপরীতে যারা জীবনযাপন করতে চান তাদের কীধরনের সাহায্য দেওয়া যেতে পারে? (খ) উপাসনার বিষয়টি মনোনয়নের ক্ষেত্রে কেন একজনের গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা উচিত?

৮ এটি সত্যই দুঃখের বিষয় হয় যখন একজন সহবিশ্বাসী ঈশ্বরের মানদণ্ডগুলির বিপরীতে জীবনযাপন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। (ফিলিপীয় ৩:১৮) এইরকম হলে, প্রাচীন ও আধ্যাত্মিক গুণাবলিসম্পন্ন অন্য ব্যক্তিরা পথভ্রষ্ট ব্যক্তিকে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করেন। (গালাতীয় ৬:১) তথাপি, কাউকেই খ্রীষ্টীয় শিষ্যত্বের যোঁয়ালি গ্রহণ করার জন্য জোর করা হয় না। (মথি ১১:২৮-৩০; ১৬:২৪) যখন তারা প্রাপ্তবয়স্ক হন, এমনকি অল্পবয়স্কদেরও উপাসনার বিষয়ে ব্যক্তিগত মনোনয়ন করতে হয়। মূলত, আমরা প্রত্যেকেই নৈতিক দিক দিয়ে স্বাধীন ব্যক্তি যাদের ঈশ্বরের কাছে আপন আপন নিকাশ দিতে হবে। (রোমীয় ১৪:১২) নিঃসন্দেহে, আমরা ‘যা কিছু বুনব তাই কাটব’—যে শিক্ষাটি যীশুর গল্পের অপব্যয়ী পুত্র খুব শীঘ্রই লাভ করেছিল।—গালাতীয় ৬:৭, ৮.

দূরদেশে হতাশা

৯, ১০. (ক) অপব্যয়ীর পরিস্থিতিতে কীধরনের পরিবর্তন এসেছিল এবং সে কিভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল? (খ) আজকে যারা সত্য উপাসনা ত্যাগ করেন তাদের কিছুজন কিভাবে অপব্যয়ীর মত একই অবস্থা অভিজ্ঞতা করে থাকেন তা ব্যাখ্যা করুন।

৯ “সে সমস্ত ব্যয় করিয়া ফেলিলে পর সেই দেশে ভারী আকাল হইল, তাহাতে সে কষ্টে পড়িতে লাগিল। তখন সে গিয়া সেই দেশের এক জন গৃহস্থের আশ্রয় লইল; আর সে তাহাকে শূকর চরাইবার জন্য আপনার মাঠে পাঠাইয়া দিল; তখন, শূকরে যে শুটী খাইত, তাহা দিয়া সে উদর পূর্ণ করিতে বাঞ্ছা করিত, আর কেহই তাহাকে দিত না।”—লূক ১৫:১৪-১৬.

১০ নিঃস্ব হওয়া সত্ত্বেও, অপব্যয়ী তখনও গৃহে ফিরে যাওয়ার কথা চিন্তা করেনি। পরিবর্তে, সে একজন গৃহস্থের আশ্রয় নিয়েছিল যিনি তাকে শূকর চরানোর কাজ দিয়েছিলেন। যেহেতু মোশির ব্যবস্থা শূকরকে অশুচি প্রাণী হিসাবে উল্লেখ করে, তাই এই কাজ সম্ভবত যিহূদীদের কাছে গ্রহণযোগ্য ছিল না। (লেবীয় পুস্তক ১১:৭, ৮) কিন্তু সেই অপব্যয়ী যদি কোন ধরনের বিবেকের দংশন অনুভব করেও থাকে, তবুও তাকে সেগুলি দমন করতে হয়েছিল। তার চেয়েও বড় বিষয় যে, সে আশা করতে পারত না তার মনিব যিনি একজন স্থানীয় নাগরিক, এক নিঃস্ব বিদেশীর অনুভূতির প্রতি মাথা ঘামাবেন। আজকে যারা বিশুদ্ধ উপাসনার সরল পথ ত্যাগ করেন তাদের অনেকের অভিজ্ঞতা এই অপব্যয়ীর মত। প্রায়ই এই ব্যক্তিরা এমন কাজগুলিতে জড়িয়ে পড়েন যেগুলিকে তারা পূর্বে নিম্ন মানের বলে গণ্য করতেন। উদাহরণস্বরূপ, ১৭ বছর বয়সে একজন কিশোর তার খ্রীষ্টীয় প্রশিক্ষণের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল। “অনৈতিকতা এবং মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার বেশ কয়েক বছরের বাইবেল-ভিত্তিক শিক্ষাগুলিকে অকার্যকর করে দিয়েছিল,” সে স্বীকার করে। শীঘ্রই, তাকে অস্ত্র চুরি এবং খুনের দায়ে জেলে যেতে হয়। যদিও সে পরবর্তী সময়ে আধ্যাত্মিক আরোগ্য লাভ করেছিল, কিন্তু ‘পাপজাত ক্ষণিক সুখভোগের’ জন্য তাকে কী এক দুঃখজনক মূল্যই না দিতে হয়েছিল!—ইব্রীয় ১১:২৪-২৬ পদের সঙ্গে তুলনা করুন।

১১. কিভাবে অপব্যয়ীর সংকটময় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছিল এবং আজকে কিভাবে কিছুজন জগতের প্রলোভনগুলিকে “অনর্থক প্রতারণা” হিসাবে দেখতে পেয়েছেন?

১১ অপব্যয়ীর সংকটময় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছিল এই কারণে যে “কেহই তাহাকে দিত না।” তার নতুন বন্ধুরা তখন কোথায় গিয়েছিল? যেহেতু তখন তার কাছে পয়সা ছিল না, তাই সে যেন তাদের কাছে “ঘৃণিত” ছিল। (হিতোপদেশ ১৪:২০) একইভাবে, আজকে অনেকে যারা বিশ্বাস থেকে ভ্রষ্ট হয়েছেন তারা দেখতে পান যে এই জগতের প্রলোভন এবং দৃষ্টিভঙ্গিগুলি “অনর্থক প্রতারণা”-র সমান। (কলসীয় ২:৮) “আমি যিহোবার নির্দেশনা ছাড়া অনেক মানসিক যন্ত্রণা এবং দুঃখ পেয়েছি,” একজন যুবতী বলেন যিনি কিছুদিনের জন্য ঈশ্বরের সংগঠন ছেড়ে দিয়েছিলেন। “আমি জগতের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে চেয়েছিলাম কিন্তু যেহেতু আমি প্রকৃতই অন্যদের মত ছিলাম না, তাই তারা আমাকে গ্রহণ করেনি। আমি নিজেকে এক হারানো সন্তানের মত মনে করেছিলাম যাকে পরিচালনার জন্য একজন পিতার প্রয়োজন ছিল। আর আমি তখনই উপলব্ধি করেছিলাম যে যিহোবাকে আমার প্রয়োজন। আমি আর কখনই তাঁকে ছেড়ে স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করতে চাইনি।” যীশুর গল্পের সেই অপব্যয়ী একই বিষয় উপলব্ধি করতে পেরেছিল।

অপব্যয়ী চেতনা ফিরে পায়

১২, ১৩. কোন্‌ বিষয়গুলি আজকে কিছুজনকে তাদের চেতনা ফিরে পেতে সাহায্য করেছে? (বাক্সটি দেখুন।)

১২ “কিন্তু চেতনা পাইলে সে বলিল, আমার পিতার কত মজুর বেশী বেশী খাদ্য পাইতেছে, কিন্তু আমি এখানে ক্ষুধায় মরিতেছি। আমি উঠিয়া আমার পিতার নিকটে যাইব, তাঁহাকে বলিব, পিতঃ, স্বর্গের বিরুদ্ধে এবং তোমার সাক্ষাতে আমি পাপ করিয়াছি; আমি আর তোমার পুত্ত্র নামের যোগ্য নই; তোমার এক জন মজুরের মত আমাকে রাখ। পরে সে উঠিয়া আপন পিতার নিকটে আসিল।”—লূক ১৫:১৭-২০.

১৩ অপব্যয়ী ‘চেতনা পাইল।’ কিছুদিনের জন্য, সে যেন এক স্বপ্নরাজ্যে ভোগসন্ধানে নিমগ্ন ছিল। কিন্তু পরে সে তার প্রকৃত আধ্যাত্মিক অবস্থা সম্বন্ধে অত্যন্ত সচেতন হয়ে উঠেছিল। হ্যাঁ, যদিও এই যুবক ব্যক্তি চেতনা হারিয়ে ফেলেছিল, তবুও তার জন্য আশা ছিল। তার মধ্যে কিছু উত্তম গুণাবলি পাওয়া গিয়েছিল। (হিতোপদেশ ২৪:১৬. ২ বংশাবলি ১৯:২, ৩ পদের সঙ্গে তুলনা করুন।) যারা আজকে ঈশ্বরের পাল ছেড়ে যান তাদের সম্বন্ধে কী বলা যায়? এই উপসংহারে আসা কি যুক্তিসংগত যে তাদের সকলের আর কোন আশা নেই, প্রতিটি ক্ষেত্রেই তাদের বিদ্রোহী আচরণ প্রমাণ করে যে তারা ঈশ্বরের পবিত্র আত্মার বিরুদ্ধে পাপ করেছেন? (মথি ১২:৩১, ৩২) অবশ্যই নয়। তাদের মধ্যে কিছুজন নিজেদের স্বেচ্ছাচারী আচরণের কারণে যাতনা ভোগ করেছেন এবং কালক্রমে এদের অনেকে চেতনা ফিরে পেয়েছেন। একজন বোন ঈশ্বরের সংগঠন থেকে পৃথক থাকার সময় সম্বন্ধে চিন্তা করে বলেন, “আমি কখনও, এমনকি একটি দিনের জন্যও যিহোবাকে ভুলিনি। আমি সবসময় প্রার্থনা করতাম যেন তিনি আমাকে যে কোন ভাবে, কোন এক সময় সত্যে ফিরিয়ে নেন।”—গীতসংহিতা ১১৯:১৭৬.

১৪. অপব্যয়ী কী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এবং কিভাবে তা করার ক্ষেত্রে সে নম্রতা দেখিয়েছিল?

১৪ কিন্তু যারা ভ্রষ্ট হয়েছেন তারা তাদের অবস্থা সম্বন্ধে কী করতে পারেন? যীশুর গল্পে অপব্যয়ী গৃহে ফিরে যাওয়ার এবং তার পিতার কাছে ক্ষমা ভিক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। “তোমার এক জন মজুরের মত আমাকে রাখ,” অপব্যয়ী এই কথা বলবে বলে স্থির করেছিল। একজন মজুর ছিল এমন একজন শ্রমিক যাকে এক দিনের জন্য কাজে নেওয়া হত, আবার এক দিনের বিজ্ঞপ্তিতেই বিদায় করে দেওয়া যেত। এটি একজন দাস, যে পরোক্ষ অর্থে পরিবারের এক সদস্যের মত, তার চেয়ে নিচু মর্যাদার ছিল। তাই পুত্র হিসাবে তার পূর্বের মর্যাদায় ফিরিয়ে নেওয়া সম্বন্ধে অনুরোধ করার বিষয়টি অপব্যয়ী চিন্তা করেনি। প্রতিদিন পিতার কাছে তার পুনর্গঠিত নিষ্ঠা প্রমাণ করার জন্য সে সর্বাপেক্ষা নিচু পদটি গ্রহণ করতে সম্পূর্ণরূপে ইচ্ছুক ছিল। কিন্তু অপব্যয়ীর জন্য এক বিস্ময় অপেক্ষা করছিল।

এক আন্তরিক অভ্যর্থনা

১৫-১৭. (ক) পুত্রকে দেখে পিতা কেমন প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন? (খ) পিতা তার পুত্রকে যে পোশাক, আংটি ও চটি দিয়েছিলেন তার দ্বারা কী বোঝায়? (গ) পিতার মহাভোজের আয়োজন কী দেখায়?

১৫ “সে দূরে থাকিতেই তাহার পিতা তাহাকে দেখিতে পাইলেন, ও করুণাবিষ্ট হইলেন, আর দৌড়িয়া গিয়া তাহার গলা ধরিয়া তাহাকে চুম্বন করিতে থাকিলেন। তখন পুত্ত্র তাঁহাকে কহিল, পিতঃ, স্বর্গের বিরুদ্ধে ও তোমার সাক্ষাতে আমি পাপ করিয়াছি, আমি আর তোমার পুত্ত্র নামের যোগ্য নই। [তোমার একজন মজুরের মত আমাকে রাখ] কিন্তু পিতা আপন দাসদিগকে বলিলেন, শীঘ্র করিয়া সব চেয়ে ভাল কাপড়খানি আন, আর ইহাকে পরাইয়া দেও, এবং ইহার হাতে অঙ্গুরী দেও ও পায়ে জুতা দেও; আর হৃষ্টপুষ্ট বাছুরটী আনিয়া মার; আমরা ভোজন করিয়া আমোদ প্রমোদ করি; কারণ আমার এই পুত্ত্র মরিয়া গিয়াছিল, এখন বাঁচিল; হারাইয়া গিয়াছিল, এখন পাওয়া গেল। তাহাতে তাহারা আমোদ প্রমোদ করিতে লাগিল।”—লূক ১৫:২০-২৪.

১৬ প্রত্যেক প্রেমময় পিতা কি মাতা সন্তানের আধ্যাত্মিক আরোগ্যের জন্য আকাঙ্ক্ষা করেন। অতএব, আমরা কল্পনা করতে পারি যে তার পুত্র ফিরে আসবে এই আশায়, অপব্যয়ীর পিতা প্রতিদিন তার ঘরের সামনের রাস্তার দিকে তাকিয়ে বসে থাকতেন। এখন তিনি তার পুত্রকে সেই রাস্তা দিয়ে আসতে দেখেন! যুবকের চেহারায় যে পরিবর্তন এসেছিল সেই বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। তবুও, সে “দূরে থাকিতেই” তার পিতা তাকে চিনতে পারেন। তিনি ছেঁড়া পোশাক ও মনমরা মনোভাবকে উপেক্ষা করেন; তিনি তার পুত্রকে দেখেন এবং তাকে কাছে পাওয়ার জন্য দৌড়ে যান!

১৭ পিতা পুত্রের কাছে পৌঁছেই পুত্রের গলা জড়িয়ে ধরে তাকে চুমু দিয়েছিলেন। তারপর তিনি তার পুত্রকে পোশাক, আংটি আর চটি দেওয়ার জন্য দাসেদের আদেশ করেছিলেন। এই পোশাকটি কেবল এক সাধারণ কাপড় ছিল না বরং “সব চেয়ে ভাল” ছিল—সম্ভবত জমকালো নকশা করা আঙরাখা যা একজন সম্মানিত অতিথিকে উপহার দেওয়া হত। যেহেতু আংটি ও চটি সাধারণত দাসেদের ব্যবহার করতে দেখা যেত না, তাই পিতা এই বিষয়টি স্পষ্ট করেছিলেন যে তার পুত্রকে একজন পূর্ণ মর্যাদাসম্পন্ন পরিবারের সদস্যরূপে ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু পিতা তার চেয়ে আরও বেশি কিছু করেছিলেন। তিনি তার পুত্রের ফিরে আসাকে উদ্‌যাপন করার জন্য এক মহাভোজের আয়োজন করতে আদেশ দিয়েছিলেন। স্পষ্টতই, এই ব্যক্তি অনিচ্ছুকভাবে তার পুত্রকে ক্ষমা করেননি কিংবা তার পুত্র ফিরে এসে তা করতে বাধ্য করেছিল বলে তা করেননি; তিনি ক্ষমা করতে চেয়েছিলেন। আর তা করতে পেরে তিনি আনন্দিত হয়েছিলেন।

১৮, ১৯. (ক) অপব্যয়ী পুত্রের গল্পটি যিহোবা সম্বন্ধে আপনাকে কী শিক্ষা দেয়? (খ) যিহূদা ও যিরূশালেমের সঙ্গে তাঁর ব্যবহারের ক্ষেত্রে যেমন দেখানো হয়েছে, তেমন কিভাবে যিহোবা একজন পাপীর ফিরে আসার জন্য “আকাঙ্ক্ষায় অপেক্ষা” করেন?

১৮ এই পর্যন্ত, অপব্যয়ী পুত্রের গল্পটি ঈশ্বর সম্বন্ধে আমাদের কী শিক্ষা দেয় যাঁর উপাসনা করার জন্য আমরা সুযোগ পেয়েছি? প্রথমত, যিহোবা “করুণাময় ও কৃপাময় ঈশ্বর, ক্রোধে ধীর এবং দয়াতে ও সত্যে মহান্‌।” (যাত্রাপুস্তক ৩৪:৬) বাস্তবিকই, করুণা ঈশ্বরের একটি উল্লেখযোগ্য গুণ। যারা সংকটের মধ্যে রয়েছেন তাদের প্রতি সাধারণত তিনি এভাবেই প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে থাকেন। এরপর, যীশুর গল্প আমাদের শিক্ষা দেয় যে যিহোবা “ক্ষমাবান্‌।” (গীতসংহিতা ৮৬:৫) ঠিক যেন, পাপী মানুষের হৃদয়ের পরিবর্তন লক্ষ্য করার জন্য তিনি সতর্ক দৃষ্টি রাখেন যা তাঁকে করুণা দেখানোর এক ভিত্তি যোগাবে।—২ বংশাবলি ১২:১২; ১৬:৯.

১৯ উদাহরণ হিসাবে, ইস্রায়েলের সঙ্গে ঈশ্বরের আচরণের কথা চিন্তা করুন। যিহোবা যিহূদা ও যিরূশালেমকে “পায়ের তালু অবধি মস্তক পর্য্যন্ত কোন স্থানে স্বাস্থ্য নাই” হিসাবে বর্ণনা করার জন্য ভাববাদী যিশাইয়কে অনুপ্রাণিত করেছিলেন। কিন্তু, তিনি এও বলেছিলেন: “সদাপ্রভু তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করিবার আকাঙ্ক্ষায় অপেক্ষা করিবেন, আর সেই জন্য তোমাদের প্রতি করুণা করিবার আকাঙ্ক্ষায় ঊর্দ্ধে থাকিবেন।” (বাঁকা অক্ষরে মুদ্রণ আমাদের।) (যিশাইয় ১:৫, ৬; ৩০:১৮; ৫৫:৭; যিহিষ্কেল ৩৩:১১) যীশুর গল্পের পিতার মত, যিহোবা ঠিক যেন ‘পথের দিকে তাকিয়ে থাকেন।’ যারা তাঁর গৃহ ছেড়ে গিয়েছেন তাদের যে কারও ফিরে আসার জন্য তিনি অধীর প্রত্যাশায় অপেক্ষা করেন। একজন প্রেমময় পিতার কাছ থেকে আমরা কি এটিই আশা করি না?—গীতসংহিতা ১০৩:১৩.

২০, ২১. (ক) কোন্‌ উপায়ে আজকে অনেকে ঈশ্বরের করুণার দ্বারা আকর্ষিত হচ্ছেন? (খ) পরবর্তী প্রবন্ধটিতে কী আলোচনা করা হবে?

২০ প্রতি বছর, যিহোবার করুণা অনেককে তাদের চেতনা ফিরে পাওয়ার এবং সত্য উপাসনায় ফিরে আসার জন্য আকর্ষণ করে। এটি তাদের প্রিয়জনদের জন্য কী এক আনন্দই না নিয়ে আসে! উদাহরণস্বরূপ, শুরুতে উল্লেখিত খ্রীষ্টান পিতার কথা ভাবুন। আনন্দের বিষয় যে, তার মেয়ে আধ্যাত্মিক সুস্থতা লাভ করেছিলেন এবং এখন তিনি একজন পূর্ণ-সময়ের পরিচারক হিসাবে সেবা করেন। “এই পুরনো বিধিব্যবস্থায় একজন ব্যক্তি যতটা সুখী হতে পারেন আমি ততটাই সুখী,” তিনি বলেন। “আমার দুঃখের অশ্রু আনন্দাশ্রুতে পরিণত হয়েছে।” নিশ্চয়ই, যিহোবাও একইরকম আনন্দিত হন!—হিতোপদেশ ২৭:১১.

২১ কিন্তু অপব্যয়ীর গল্পটিতে আরও বেশি কিছু রয়েছে। যীশু তাঁর গল্প বলা চালিয়ে গিয়েছিলেন যাতে তিনি যিহোবার করুণা এবং অধ্যাপক ও ফরীশীদের অনমনীয়, দোষী সাব্যস্ত করার মনোভাবের মধ্যে বৈসাদৃশ্য দেখাতে পারেন। তিনি কিভাবে তা করেছিলেন—আর আমাদের জন্য এর অর্থ কী—পরবর্তী প্রবন্ধটিতে তা আলোচনা করা হবে।

[পাদটীকাগুলো]

a বাইবেলে বর্ণিত গল্প ও অন্যান্য দৃষ্টান্তগুলি বেশিরভাগ সময়ই বাস্তব ঘটনা নয়। এছাড়াও, যেহেতু এই গল্পগুলির উদ্দেশ্য হল একটি নৈতিক শিক্ষা প্রদান করা, তাই প্রতিটি অংশের রূপক অর্থ খোঁজার প্রয়োজন নেই।

b এই গল্পটির ভবিষ্যদ্বাণীমূলক তাৎপর্য ১৯৮৯ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি সংখ্যার প্রহরীদুর্গ এর ১৬, ১৭ পৃষ্ঠায় আলোচিত হয়েছে।

পুনরালোচনা

◻ করুণার প্রতি যীশুর মনোভাব কিভাবে ফরীশীদের মনোভাবের বিপরীত?

◻ আজকে কারা অপব্যয়ীর মত এবং কিভাবে?

◻ কোন্‌ পরিস্থিতিগুলি অপব্যয়ীকে চেতনায় ফিরিয়ে এনেছিল?

◻ অনুতপ্ত পুত্রের প্রতি পিতা কিভাবে করুণা দেখিয়েছিলেন?

[১১ পৃষ্ঠার বাক্স]

তারা তাদের চেতনা ফিরে পেয়েছিলেন

কিছুজন যাদের এক সময় খ্রীষ্টীয় মণ্ডলী থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল, চেতনা ফিরে পাওয়ার জন্য কী তাদেরকে সাহায্য করেছে? নিচের মন্তব্যগুলি বিষয়টি জানায়।

“আমি মনে মনে তখনও জানতাম যে সত্য কোথায় ছিল। বেশ কয়েক বছরের বাইবেল অধ্যয়ন এবং খ্রীষ্টীয় সভাগুলিতে যোগ দেওয়া আমার উপর এক গভীর প্রভাব ফেলেছিল। আর কত দিন আমি যিহোবার কাছ থেকে দূরে সরে থাকতে পারি? তিনি আমাকে ছেড়ে দেননি; আমি তাঁকে ছেড়ে গিয়েছিলাম। অবশেষে, আমি স্বীকার করেছিলাম যে আমি কতটা ভুল ও একগুঁয়ে ছিলাম এবং যিহোবার বাক্যই সর্বদা সঠিক ছিল—‘যাহা কিছু বুনিবে তাহাই কাটিবে।’”—কে.ডব্লিউ.

“আমার শিশু কন্যা কথা বলতে শুরু করলে তা আমার হৃদয়কে স্পর্শ করে কারণ আমি তাকে যিহোবা কে এবং কিভাবে তাঁর কাছে প্রার্থনা করতে হয়, এইধরনের বিষয়গুলি শেখাতে চেয়েছিলাম। আমার ঘুম হত না ফলে একদিন গভীর রাতে আমি গাড়ি চালিয়ে একটি পার্কে গিয়েছিলাম আর কেঁদেছিলাম। আমি কেঁদেছিলাম এবং প্রথম বারের মত দীর্ঘ সময় ধরে যিহোবার কাছে প্রার্থনা করেছিলাম। আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে আমার জীবনে আবার যিহোবাকে প্রয়োজন ছিল এবং আমার আস্থা ছিল যে তিনি আমাকে ক্ষমা করতে পারেন।”—জি.এইচ.

“ধর্মের বিষয়ে কথা উঠলেই আমি লোকেদের বলতাম, আমাকে যদি সেই ধর্ম বাছাই করতে বলা হয় যা সত্য শিক্ষা দেয়, তবে আমি একজন যিহোবার সাক্ষীই হতে চাই। পরে আমি বলতাম, আমি তা ছিলাম কিন্তু এর সঙ্গে সংগতি রেখে চলতে পারিনি বলে ছেড়ে এসেছি। এটি উপলব্ধি করে প্রায়ই আমি অপরাধ এবং অসুখী বোধ করতাম। শেষ পর্যন্ত আমাকে স্বীকার করতে হয়েছিল, ‘আমি অত্যন্ত অসুখী। আমার কিছু গুরুতর পরিবর্তন করা দরকার।’”—কে.এন.

“পঁয়ত্রিশ বছর আগে আমি ও আমার স্বামী সমাজচ্যুত হয়েছি। এরপর, ১৯৯১ সালে দুজন প্রাচীন যখন আমাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তখন আমরা চমৎকৃত হয়েছিলাম। তারা আমাদের যিহোবার কাছে ফিরে আসার সম্ভাবনা সম্বন্ধে জানিয়েছিলেন। ছয় মাস পর পুনর্স্থাপিত হতে পেরে আমরা আরও বেশি আনন্দিত হয়েছিলাম। আমার স্বামী ও আমার যথাক্রমে ৭৯ ও ৬৩ বছর বয়স।”—কে.এ.

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার