ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • g৯৭ ১০/৮ পৃষ্ঠা ৮-১০
  • পরমদেশে প্রত্যাবর্তনের পথ

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • পরমদেশে প্রত্যাবর্তনের পথ
  • ১৯৯৭ সচেতন থাক!
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • পরমদেশ—স্বর্গে অথবা পৃথিবীতে?
  • পরমদেশ পুনঃস্থাপিত
  • কেন কিছুজন স্বর্গে যান
  • এক আধ্যাত্মিক পরমদেশ পথ প্রস্তুত করে
  • আপনার এক সুখী ভবিষ্যৎ হতে পারে!
    জ্ঞান যা অনন্ত জীবনে পরিচালিত করে
  • পৃথিবীর জন্য ঈশ্বরের উদ্দেশ্য কী?
    ঈশ্বর আমাদের কাছ থেকে কী চান?
  • “পরমদেশে দেখা হবে!”
    প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে (অধ্যয়ন)—২০১৮
  • পৃথিবীর জন্য ঈশ্বরের উদ্দেশ্য কী?
    ঈশ্বরের কাছ থেকে সুসমাচার!
আরও দেখুন
১৯৯৭ সচেতন থাক!
g৯৭ ১০/৮ পৃষ্ঠা ৮-১০

পরমদেশে প্রত্যাবর্তনের পথ

পরমদেশের প্রতি মানুষের আকাঙ্ক্ষা এবং একে পুনরায় সৃষ্টি করার জন্য ক্ষুদ্র ও বৃহৎ উভয় প্রচেষ্টা দেখে, একজন হয়ত মনে করবে যে ইতিমধ্যে পৃথিবী এক প্রকৃত পরমদেশে পরিণত হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তা হয়নি।

পরিবর্তে, মানবজাতি লোভকে প্রাধান্য দিয়েছে, যা প্রায়ই পরিবেশ এবং এর সজীব বস্তুগুলির বৈচিত্র্যকে ক্ষতির দিকে পরিচালিত করে। বস্তুগত ধনসম্পদ প্রাধান্য পাবে মনে করে, অনেক লোকেরা এই পৃথিবী যে কখনও এদনের মত এক পরমদেশে রূপান্তরিত হবে সেই সম্বন্ধে সমস্ত আশা হারিয়ে ফেলেছে। বরঞ্চ, পরমদেশের প্রতি তাদের একমাত্র আশা হিসাবে, তারা ভবিষ্যতে স্বর্গে জীবন লাভের প্রতি দৃষ্টি রাখে। এই দৃষ্টিভঙ্গি ইঙ্গিত করে, প্রথমত, এদনের প্রতি আমাদের মানব আকাঙ্ক্ষা চিরকাল হতাশাগ্রস্ত হবে এবং দ্বিতীয়ত, ঈশ্বর এই গ্রহকে মানুষের মূর্খতা এবং লোভের মাঝে পরিত্যাগ করেছেন। তাই কি? ভবিষ্যতে কী রয়েছে? আর সেই ভবিষ্যৎ কোথায়?

পরমদেশ—স্বর্গে অথবা পৃথিবীতে?

প্রায় ২,০০০ বছর পূর্বে, তাঁর পাশে বিদ্ধ এক অনুতপ্ত চোরের সাথে কথা বলার সময়ে, যীশু খ্রীষ্ট বলেছিলেন: “তুমি পরমদেশে আমার সঙ্গে উপস্থিত হইবে।” (লূক ২৩:৪৩) যীশু কি বুঝিয়েছিলেন যে সেই চোর তাঁর সাথে স্বর্গে যাবে? না।

এমনকি সেই দুষ্কর্মকারী সেই ধারণা পর্যন্ত পোষণ করতে পারত না। কেন করেনি? কারণ, সে সম্ভবত তার দিনে বিদ্যমান ইব্রীয় শাস্ত্রের বাক্যগুলির সাথে পরিচিত ছিল, যেমন গীতসংহিতা ৩৭:২৯ পদের প্রথম অংশটি: “ধার্ম্মিকেরা দেশের [“পৃথিবীর,” NW] অধিকারী হইবে।” (বাঁকা অক্ষরে মুদ্রণ আমাদের) যীশু সেই একই সত্য শিখিয়েছিলেন, এই ঘোষণা করে: “ধন্য যাহারা মৃদুশীল, কারণ তাহারা দেশের [“পৃথিবীর,” NW] অধিকারী হইবে।” (বাঁকা অক্ষরে মুদ্রণ আমাদের।) (মথি ৫:৫) এই শাস্ত্র পদটি সাধারণত যেটিকে প্রভুর প্রার্থনা বলা হয়, তার সাথে মিল রাখে, যা বলে: “তোমার ইচ্ছা সিদ্ধ হউক, যেমন স্বর্গে তেমনি পৃথিবীতেও হউক।”—মথি ৬:৯, ১০.

বাইবেল শিক্ষা দেয় যে ঈশ্বর মানব পরিবারের গৃহ হিসাবে পৃথিবী সৃষ্টি করেছিলেন, স্বর্গ নয়। তাঁর বাক্য বলে যে তিনি “[পৃথিবীকে] অনর্থক সৃষ্টি না করিয়া” বরং “বাসস্থানার্থে নির্ম্মাণ করিয়াছেন।” (যিশাইয় ৪৫:১৮) কত কালের জন্য? “তিনি পৃথিবীকে তাহার ভিত্তিমূলের উপরে স্থাপন করিয়াছেন; তাহা অনন্তকালেও বিচলিত হইবে না।” (গীতসংহিতা ১০৪:৫) হ্যাঁ, “পৃথিবী নিত্যস্থায়ী।”—উপদেশক ১:৪.

বিশাল জনসংখ্যা, যারা তাঁকে সেবা করে, তাদের জন্য ঈশ্বরের উদ্দেশ্য হল এই পৃথিবীকে চিরকালের জন্য তাদের গৃহ হিসাবে পরিণত করা। লক্ষ্য করুন, ঈশ্বরের বাক্য, বাইবেল, এই বিষয়ের উপর কিভাবে মন্তব্য করে। গীতসংহিতা ৩৭:১১ পদ ভবিষ্যৎবাণী করে: “মৃদুশীলেরা দেশের [“পৃথিবীর,” NW] অধিকারী হইবে, এবং শান্তির বাহুল্যে আমোদ করিবে।” কত কালের জন্য? গীতসংহিতা ৩৭:২৯ পদ বলে: “ধার্ম্মিকেরা দেশের [“পৃথিবীর,” NW] অধিকারী হইবে, তাহারা নিয়ত তথায় বাস করিবে।” (বাঁকা অক্ষরে মুদ্রণ আমাদের।) সেই সময়ে এই শাস্ত্রপদটি বাস্তবে পরিণত হবে, যা ঘোষণা করে: “তুমিই [ঈশ্বর] আপন হস্ত মুক্ত করিয়া থাক, সমুদয় প্রাণীর বাঞ্ছা পূর্ণ করিয়া থাক,” তা হল, সেই বাঞ্ছা যা ঈশ্বরের ইচ্ছার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।—গীতসংহিতা ১৪৫:১৬.

তাদের সম্বন্ধে কী, যাদের ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করার কোন আকাঙ্ক্ষা নেই? হিতোপদেশ ২:২১, ২২ পদ ঘোষণা করে: “সরলগণ দেশে [“পৃথিবীতে,” NW] বাস করিবে, সিদ্ধেরা তথায় অবশিষ্ট থাকিবে। কিন্তু দুষ্টগণ দেশ [“পৃথিবী,” NW] হইতে উচ্ছিন্ন হইবে, বিশ্বাসঘাতকেরা তথা হইতে উন্মূলিত হইবে।”

পরমদেশ পুনঃস্থাপিত

শীঘ্রই, এই দুষ্ট জগতের বিরুদ্ধে ঈশ্বরের বিচার সম্পন্ন হবে। (মথি ২৪:৩-১৪; ২তীমথিয় ৩:১-৫, ১৩) কিন্তু ঈশ্বর সেই আগত ধ্বংস থেকে “বিস্তর লোক” এর এক জাতিকে তাঁর তৈরি এক নতুন জগতে সংরক্ষণ করবেন।—প্রকাশিত বাক্য ৭:৯-১৭.

তারপর, ঈশ্বর তাঁর মানব প্রজাদের সমগ্র পৃথিবীকে মানবজাতির জন্য একটি পরমদেশ গৃহে পরিণত করার আনন্দপূর্ণ কাজে পরিচালনা করবেন। বাইবেল প্রতিজ্ঞা করে: “প্রান্তর ও জলশূন্য স্থান আমোদ করিবে, মরুভূমি উল্লাসিত হইবে, গোলাপের ন্যায় উৎফুল্ল হইবে। . . . কেননা প্রান্তরে জল উৎসারিত হইবে, ও মরুভূমির নানা স্থানে প্রবাহ হইবে।”—যিশাইয় ৩৫:১, ৬.

সেই বিস্তৃত পরমদেশে, ক্ষুধা, দরিদ্রতা, বস্তি, গৃহহীন লোকেরা অথবা অপরাধে-জর্জরিত এলাকাগুলি আর থাকবে না। “দেশমধ্যে পর্ব্বত-শিখরে প্রচুর শস্য হইবে।” (গীতসংহিতা ৭২:১৬) “ক্ষেত্রের বৃক্ষ ফল উৎপন্ন করিবে, ও ভূমি নিজ শস্য দিবে।” (যিহিষ্কেল ৩৪:২৭) “লোকেরা গৃহ নির্ম্মাণ করিয়া তাহার মধ্যে বসতি করিবে, দ্রাক্ষাক্ষেত্র প্রস্তুত করিয়া তাহার ফল ভোগ করিবে। তাহারা গৃহ নির্ম্মাণ করিলে অন্যে বাস করিবে না, তাহারা রোপণ করিলে অন্যে ভোগ করিবে না।” (যিশাইয় ৬৫:২১, ২২) “প্রত্যেকে আপন আপন দ্রাক্ষালতার ও আপন আপন ডুমুরবৃক্ষের তলে বসিবে; কেহ তাহাদিগকে ভয় দেখাইবে না।”—মীখা ৪:৪.

কেন কিছুজন স্বর্গে যান

অধিকাংশ লোকই সম্ভবত স্বীকার করবে যে, এক পার্থিব পরমদেশের প্রতি তাদের আকাঙ্ক্ষা রয়েছে। সেটি স্বাভাবিক, কারণ ঈশ্বর তাদের মধ্যে কখনও স্বর্গে যাবার আকাঙ্ক্ষা স্থাপন করেননি; এমনকি তারা ধারণাও করতে পারে না যে, স্বর্গে কিধরনের জীবন। উদাহরণস্বরূপ, যদিও প্যাট গির্জার একজন উৎসর্গীকৃত সদস্যা, তবুও চার্চ অফ ইংল্যাণ্ডের পরিচারকের সাথে আলোচনায় বলেছিলেন: “স্বর্গে যাওয়ার ব্যাপারে কখনও কোন চিন্তাই আমার ছিল না। আমি যেতে চাই না আর তাছাড়া, সেখানে গিয়ে আমি কী করব?”—তুলনা করুন গীতসংহিতা ১১৫:১৬.

এটি সত্য যে, বাইবেল শিক্ষা দেয় ১,৪৪,০০০ জনের এক সীমিত সংখ্যক লোক স্বর্গে যাবে। (প্রকাশিত বাক্য ১৪:১, ৪) কেন যাবে, এটি তাও ব্যাখ্যা করে: “আমাদের ঈশ্বরের উদ্দেশে তাহাদিগকে রাজ্য ও যাজক করিয়াছ; আর তাহারা পৃথিবীর উপরে রাজত্ব করিবে।” (বাঁকা অক্ষরে মুদ্রণ আমাদের।) (প্রকাশিত বাক্য ৫:৯, ১০) তাদের রাজা যীশু খ্রীষ্টের সাথে তারা পৃথিবীর নতুন স্বর্গীয় সরকার, “রাজ্য,” গঠন করেন, খ্রীষ্টানেরা যার জন্য প্রার্থনা করে। এই সরকার পৃথিবী এবং মানবজাতির সমস্ত পুনর্বাসনকে তত্ত্বাবধান করবে।—দানিয়েল ২:৪৪; ২ পিতর ৩:১৩.

যাইহোক, যেহেতু স্বর্গে বাস করার আকাঙ্ক্ষা সাধারণত মানুষের মধ্যে নেই, তাই ঈশ্বরের আত্মার এক অদ্বিতীয় কার্যকারিতা ১,৪৪,০০০ জনের পক্ষে “সাক্ষ্য দিতেছেন,” যাতে করে তারা এই বিশেষ ‘ঊর্দ্ধ্বদিক্‌স্থ আহ্বান’ উপলব্ধি করতে পারেন। (রোমীয় ৮:১৬, ১৭; ফিলিপীয় ৩:১৪) অতএব, এটি সুস্পষ্ট যে সাধারণ মানবজাতির জন্য পবিত্র আত্মার এইধরনের কার্যকারিতা প্রয়োজন নেই, কারণ তাদের চিরস্থায়ী গৃহ এক পরমদেশ পৃথিবীতে হবে।

এক আধ্যাত্মিক পরমদেশ পথ প্রস্তুত করে

পরমদেশ পৃথিবীতে অনন্ত জীবনের জন্য একজন কিভাবে যোগ্য হন? যীশু বলেছিলেন, “আর ইহাই অনন্ত জীবন যে, তাহারা তোমাকে, একমাত্র সত্যময় ঈশ্বরকে, এবং তুমি যাঁহাকে পাঠাইয়াছ, তাঁহাকে, যীশু খ্রীষ্টকে, জানিতে পায়।” (যোহন ১৭:৩) শান্তিপূর্ণ মানব সম্পর্ককে ঈশ্বরবিষয়ক জ্ঞানের সাথে সংযুক্ত করে, যিশাইয় ১১:৯ পদ জানায়: “সে সকল আমার পবিত্র পর্ব্বতের কোন স্থানে হিংসা কিম্বা বিনাশ করিবে না; কারণ সমুদ্র যেমন জলে আচ্ছন্ন, তেমনি পৃথিবী সদাপ্রভু-বিষয়ক জ্ঞানে পরিপূর্ণ হইবে।”—তুলনা করুন যিশাইয় ৪৮:১৮.

অবশ্যই, এই জ্ঞান শুধুমাত্র মস্তিষ্কের জ্ঞান নয়। এটি একজনের ব্যক্তিত্বকে প্রভাবিত করে এবং ঈশ্বরীয় গুণাবলি যেমন “প্রেম, আনন্দ, শান্তি, দীর্ঘসহিষ্ণুতা, মাধুর্য্য, মঙ্গলভাব, বিশ্বস্ততা, মৃদুতা, ইন্দ্রিয়দমন” উৎপন্ন করে। (গালাতীয় ৫:২২, ২৩) যিহোবার সাক্ষীরা এই গুণাবলিকে উৎপন্ন করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে এবং এর ফলে, এমনকি এখনই তারা এক স্বাস্থ্যকর আধ্যাত্মিক পরমদেশ দ্বারা আশীর্বাদপ্রাপ্ত।—যিশাইয় ৬৫:১৩, ১৪.

তাদের আধ্যাত্মিক অবস্থা জগতের চেয়ে কতই না বৈসাদৃশ্যপূর্ণ, যা অধিকতর ঈশ্বরভক্তিহীনতা এবং দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হচ্ছে! যাইহোক, শীঘ্রই এই দুষ্ট জগৎ ঈশ্বরের দ্বারা ধ্বংস হবে। ইত্যবসরে, যিহোবার সাক্ষীরা আপনাকে পরিদর্শন করতে আমন্ত্রণ জানায়—হ্যাঁ, পরীক্ষা করতে—সেই আধ্যাত্মিক পরমদেশ যা তারা উপভোগ করে। নিজে দেখুন যে এখনই অদৃশ্য স্বর্গীয় রাজা, যীশু, শান্তভাবে সেই নতুন জগতের ভবিষ্যৎ বসবাসকারীদের সংকীর্ণ পথের মধ্য দিয়ে পার্থিব পরমদেশ এবং অনন্ত জীবনের দিকে পরিচালনা দিচ্ছেন!—মথি ৭:১৩, ১৪; প্রকাশিত বাক্য ৭:১৭; ২১:৩, ৪.

[৭ পৃষ্ঠার চিত্র]

এই জগতের ধ্বংসে রক্ষাপ্রাপ্তেরা, পৃথিবীকে পরমদেশে রূপান্তরিত করার কাজে অংশগ্রহণ করা উপভোগ করবে

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার