ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w৯২ ৫/১ পৃষ্ঠা ৪-৭
  • আপনার পারিবারিক জীবনে ঈশ্বরকে প্রথম স্থান দিন!

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • আপনার পারিবারিক জীবনে ঈশ্বরকে প্রথম স্থান দিন!
  • ১৯৯২ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • ঈশ্বরকে প্রথম স্থান দেওয়ায় কি জড়িত আছে
  • স্বামী হিসাবে ঈশ্বরকে প্রথম স্থান দেওয়া
  • স্ত্রী হিসাবে ঈশ্বরকে প্রথম স্থান দেওয়া
  • যুবক হিসাবে ঈশ্বরকে প্রথম স্থান দেওয়া
  • ঈশ্বরকে প্রথমে রাখুন!
  • আপনার পারিবারিক জীবনকে যেভাবে সুখী করা যায়
    বাইবেল প্রকৃতপক্ষে কী শিক্ষা দেয়?
  • যিহোবার প্রেমময় পারিবারিক ব্যবস্থা
    ১৯৯৩ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • আপনার পরিবারে কি ঈশ্বর প্রথম স্থান গ্রহণ করেন?
    ১৯৯৫ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • ঈশ্বর যা যোগ করে দিয়েছেন, তা বিয়োগ করবেন না
    ২০০৭ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
আরও দেখুন
১৯৯২ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w৯২ ৫/১ পৃষ্ঠা ৪-৭

আপনার পারিবারিক জীবনে ঈশ্বরকে প্রথম স্থান দিন!

বব এবং জীন—যে বিবাহিত দম্পতির সাথে পূর্বের প্রবন্ধে পরিচয় করানো হয়েছে—বিবাহবিচ্ছেদ বেছে নেয়নি। বরঞ্চ, তারা তাদের সমস্যা একজন খ্রীষ্টীয় পরিচারকের সাথে আলোচনা করে। তিনি শীঘ্রই বুঝতে পারেন যে তাদের সমস্যার মূল কারণ তাদের বিপরীত পটভূমিকা।

উদাহরণস্বরূপ, যেহেতু বব ব্যবসায়ী এবং শ্রমিক পরিবার থেকে আসে আর সে নিজেও দৈহিক পরিশ্রমের কাজ করে, সে প্রত্যেক সকালে এক পরিতোষজনক প্রাতঃরাশ চায়। জীন, যে অফিসে কাজ করে এমন পরিবারের সদস্য ছিল, তাকে শুধুমাত্র কফি ও টোস্ট দেয়। তাই প্রাতঃরাশ নিয়ে মতবিরোধ রীতিমত যুদ্ধে পরিণত হয়!

বব এবং জীনের প্রয়োজন ছিল তাদের মনোভাব সম্বন্ধে কথা বলা। যাইহোক, তাদের সংকটের প্রকৃত কারণ আরও অনেক গভীর ছিল। “১ করিন্থীয় ১৩:৪ পদের পরিপ্রেক্ষিতে আপনারা কি একে অপরকে দেখেন?” সেই পরিচারক জিজ্ঞাসা করে। সেই বাইবেলের শাস্ত্রে পড়া হয়: “প্রেম চিরসহিষ্ণু, প্রেম মধুর, ঈর্ষা করে না, প্রেম আত্মশ্লাঘা করে না, গর্ব্ব করে না।” পরের পদটি বলে যে প্রেম “অশিষ্টাচরণ করে না, স্বার্থ চেষ্টা করে না, রাগিয়া উঠে না, অপকার গণনা করে না।” জীন এবং বব উভয়েই এই কথাগুলি তাদের জীবনে প্রয়োগ করতে ইচ্ছুক ছিল।

এই দম্পতির সমস্যার প্রধাণত আত্মিক সমাধানের প্রয়োজন ছিল। যেহেতু বব এবং জীন ঈশ্বরের সাথে উত্তম সম্পর্ক বজায় রাখতে চেয়েছিল, সর্বপ্রথম তাদের প্রয়োজন ছিল বাইবেলের নীতি প্রয়োগ করা এবং উপলব্ধি করা যে “যদি যিহোবা গৃহ নির্ম্মাণ না করেন, তবে নির্ম্মাতারা বৃথাই পরিশ্রম করে।” (গীতসংহিতা ১২৭:১) ৩ থেকে ৫ পদ একটি পরিবার গড়ে তোলার সঙ্গে জড়িত। আর পারিবারিক আনন্দ গড়ে তোলায় সর্বাধিক সাফল্য আসে ঈশ্বরকে পারিবারিক জীবনে প্রথম স্থান দেওয়ার মাধ্যমে।—ইফিষীয় ৩:১৪, ১৫.

ঈশ্বরকে প্রথম স্থান দেওয়ায় কি জড়িত আছে

ঈশ্বরকে আপনার পারিবারিক জীবনে প্রথম স্থান দেওয়ায় এই প্রবাদের থেকেও অনেক বেশী কিছু জড়িত, “যে পরিবার একত্রে প্রার্থনা করে তারা একত্রে বাস করে।” ফ্যামিলি রিলেশনস্‌ জানার্ল অনুযায়ী, অনেকে বিশ্বাস করে যে “ধর্ম পরিবারের মধ্যে ইতিবাচক ও স্বাস্থ্যকর আদান-প্রদান সহজসাধ্য করে এবং তার সদস্যদের জীবনে পরিতৃপ্তি লাভ করার সুযোগ বাড়িয়ে তোলে।” কিন্তু শুধুমাত্র একটি ধর্ম পালন করা ঈশ্বরকে প্রথম স্থান দেওয়ার সমান নয়। অনেকে বাহ্যিকভাবে কোন একটি ধর্মের সাথে জড়িত থাকে শুধুমাত্র অভ্যাস, পরিবারগত পরম্পরার জন্য, অথবা সমাজে সুবিধাজনক অবস্থায় থাকার জন্য। তাদের দৈনন্দিন জীবনে ঈশ্বরের খুব অল্পই অবদান আছে। আরও গুরুত্বপূর্ণ, সব ধর্মই “আমাদের ঈশ্বরের দৃষ্টিতে শুচি ও বিমল নয়।”—যাকোব ১:২৭, NW.

ঈশ্বরকে আমাদের পারিবারিক জীবনে প্রথম স্থান দিতে, আমরা এবং আমাদের প্রিয়জনদের অবশ্য প্রয়োজন যিহোবার উপাসনা করা, যিনি “সমস্ত পৃথিবীর উপরে পরাৎপর,” তাঁর ইচ্ছানুযায়ী উপাসনা করা। (গীতসংহিতা ৮৩:১৮) ঈশ্বরের পুত্র, যীশু খ্রীষ্ট, বলেন: “এমন সময় আসিতেছে, বরং এখনই উপস্থিত, যখন প্রকৃত ভজনাকারীরা আত্মায় ও সত্যে পিতার ভজনা করিবে; কারণ বাস্তবিক পিতা এইরূপ ভজনাকারীদেরই অন্বেষণ করেন। ঈশ্বর আত্মা; আর যাহারা তাঁহার ভজনা করে, তাহাদিগকে আত্মায় ও সত্যে ভজনা করিতে হইবে।” (যোহন ৪:২৩, ২৪) যিহোবা ঈশ্বরকে “আত্মায়” উপাসনা করার জন্য, তাঁর প্রতি আমাদের পবিত্র পরিচর্য্যা, এক প্রেম এবং বিশ্বাসে পূর্ণ হৃদয় থেকে উদ্ভূত হওয়া উচিত। (মার্ক ১২:২৮-৩১; গালাতীয় ২:১৬) যিহোবাকে “সত্যে” উপাসনা করায় প্রয়োজন রয়েছে যে আমরা ধর্মীয় মিথ্যা শিক্ষা পরিত্যাগ করি এবং বাইবেলে প্রকাশিত তাঁর ইচ্ছানুযায়ী কাজ করি। আমরা যিহোবা ঈশ্বরকে প্রথম স্থান দিতে পারি না যদি না আমাদের ধর্ম তাঁর মানের সাথে সমতা রাখে।a এর মধ্যে কতকগুলি কি? আর তা প্রয়োগ করার মাধ্যমে আপনার পরিবার কিভাবে উপকৃত হবে?

স্বামী হিসাবে ঈশ্বরকে প্রথম স্থান দেওয়া

১ করিন্থীয় ১১:৩ পদে, বাইবেল বলে: “প্রত্যেক পুরুষের মস্তকস্বরূপ খ্রীষ্ট, এবং স্ত্রীর মস্তকস্বরূপ পুরুষ, আর খ্রীষ্টের মস্তকস্বরূপ ঈশ্বর।” যদি আপনি একজন স্বামী হন তাহলে আপনার ওপর ঈশ্বর-দত্ত দায়িত্বভার রয়েছে আপনার পরিবারে প্রধাণ সিদ্ধান্তগ্রহণকারী হওয়া। কিন্তু এর জন্য কোন স্বামীকে উৎপীড়ক অথবা স্বেচ্ছাচারী হওয়ার অধিকার দেওয়া হয়নি।

বাইবেল স্বামীদের উৎসাহ দেয় তাদের স্ত্রীদের মনোভাব বিবেচনা করতে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়, যা হয়তো তাদের প্রভাবিত করতে পারে। (তুলনা করুন আদিপুস্তক ২১:৯-১৪) বাস্তবিকই, শাস্ত্র আমাদের সকলকে উৎসাহ দেয় ‘কেবল আপনার বিষয়ে নয়, কিন্তু পরের বিষয়েও ব্যক্তিগত আগ্রহ রাখ।’ (ফিলিপীয় ২:২-৪, NW) যেখানে কোন বাইবেলের নীতি জড়িত নেই, একজন খ্রীষ্টীয় স্বামীর উচিৎ প্রায়ই তার স্ত্রীর পছন্দকে প্রাধাণ্য দেওয়া। তার প্রতি ব্যক্তিগত আগ্রহের কারণে, তিনি এও দেখবেন যে সে যেন অতিরিক্ত দায়িত্বভারের দ্বারা ভারাক্রান্ত না হয়। উদাহরণস্বরূপ, ঘরের কাজে তিনি তাকে সাহায্য করতে পারেন, বিশেষ করে যদি সে জাগতিক কাজ করে।

প্রেরিত পৌল লেখেন: “স্বামীরাও আপন আপন স্ত্রীকে আপন আপন দেহ বলিয়া প্রেম করিতে বাধ্য। আপন স্ত্রীকে যে প্রেম করে, সে আপনাকেই প্রেম করে। কেহ ত কখনও নিজ মাংসের প্রতি দ্বেষ করে নাই, বরং সকলে তাহার ভরণ পোষণ ও লালন পালন করে, যেমন খ্রীষ্টও মণ্ডলীর প্রতি করিতেছেন।” (ইফিষীয় ৫:২৮, ২৯) যীশু খ্রীষ্ট মণ্ডলীর সদস্যদের সাথে প্রেমপূর্ণ আচরণ করেন।

প্রেরিত পিতরের উপদেশও উল্লেখযোগ্য: “হে স্বামীগণ, স্ত্রীলোক অপেক্ষাকৃত দুর্ব্বল পাত্র বলিয়া [তোমাদের স্ত্রীদের] সহিত জ্ঞানপূর্ব্বক বাস কর, তাহাদিগকে আপনাদের সহিত জীবনের অনুগ্রহের সহাধিকারিণী জানিয়া সমাদর কর; যেন তোমাদের প্রার্থনা রুদ্ধ না হয়।” (১ পিতর ৩:৭) ইহা উপলব্ধি করা কি গুরুতর বিষয় নয় যে নিজের স্ত্রীর সাথে প্রেমপূর্ণ ব্যবহার না করা একজন স্বামীর প্রার্থনা রুদ্ধ করতে পারে? হ্যাঁ, একজন ব্যক্তির অবশ্যই উচিত তার স্ত্রীর সাথে প্রেম সহকারে ব্যবহার করা যদি সে চায় ঈশ্বর তার প্রার্থনা শোনেন ও উত্তর দেন।

ঈশ্বরকে প্রথম স্থান দেওয়া একজন পিতার সম্পর্ককেও প্রভাবিত করে তার ছেলেমেয়েদের সাথে। তার উচিৎ তাদের আত্মিক উন্নতি সম্বন্ধে একান্ত ভাবে চিন্তিত থাকা। হ্যাঁ, যুক্তরাষ্ট্রে একটি প্রধাণ নিরীক্ষণে দেখা যায় যে শুধুমাত্র অর্ধেকসংখ্যক পুরুষ জানায় যে “শাস্ত্র অধ্যয়নে অথবা দলগত আলোচনায় অংশ নেওয়া” হল ‘তাদের পরিবারের আত্মিক উন্নতির সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ অংশ।’ অন্যরা উল্লেখ করে “ধর্মীয় অনুষ্ঠান প্রচার শোনা অথবা দেখা” অথবা ‘জীবনের অর্থ সম্বন্ধে চিন্তা করা।’

যাইহোক, বাইবেল পিতাদের বলে: “আপন আপন সন্তানদিগকে ক্রুদ্ধ করিও না, বরং প্রভুর শাসনে ও চেতনা প্রদানে তাহাদিগকে মানুষ করিয়া তুল।” (ইফিষীয় ৬:৪) যিহোবার সাক্ষীদের মধ্যে পিতাদের কাছে আশা করা হয় যে তারা পরিবারগত উপাসনায় নেতৃত্ব নেবে। নিয়মিত ভাবে পারিবারিক বাইবেল অধ্যয়ন করে, খ্রীষ্টীয় সভায় উপস্থিত থেকে, এবং অন্যান্য শাস্ত্রীয় প্রয়োজন পূর্ণ করে, এই রকম ব্যক্তিরা তাদের পারিবারিক জীবনে ঈশ্বরকে প্রথম স্থান দেয়।

স্ত্রী হিসাবে ঈশ্বরকে প্রথম স্থান দেওয়া

যদি আপনি স্ত্রী হন, আপনি ঈশ্বরকে প্রথম স্থান দিতে পারেন আপনার স্বামীকে পরিবারের মস্তক হিসাবে তার ভূমিকা পালন করতে সাহায্য করে। বাইবেল বলে: “স্ত্রীগণ, তোমরা আপন আপন স্বামীর বশীভূতা হও, যেমন প্রভুতে উপযুক্ত।” (কলসীয় ৩:১৮) ইহা কঠিন হতে পারে যদি একজন ব্যক্তি কথাবার্তা কম বলে অথবা পরিবারগত ভাবে উপাসনায় নেতৃত্ব নিতে উদাসীনতা দেখায়। যে কোন ক্ষেত্রে, ক্রমাগত তার ভুল দেখিয়ে দেওয়া অথবা, তার থেকেও খারাপ, যদি তাকে অমান্য করা হয় তাহলে পরিবারে চাপ সৃষ্টি হতে পারে।

হিতোপদেশ ১৪:১ বলে: “স্ত্রীলোকদের বিজ্ঞতা তাহাদের গৃহ গাঁথে; কিন্তু অজ্ঞানতা স্বহস্তে তাহা ভাঙ্গিয়া ফেলে।” একটি উপায়ে একজন সত্যই বিজ্ঞ বিবাহিতা স্ত্রীলোক ঈশ্বরকে প্রথম স্থান দিয়ে ‘তার গৃহ গেঁথে তোলে’ তা হল তার স্বামীর বশ্যতা স্বীকার করে। (১ করিন্থীয় ১১:৩) তার ‘জিহ্বাগ্রে দয়ার ব্যবস্থা’ নিয়ে, তার স্বামীর অযথা সমালোচনা তিনি করেন না। (হিতোপদেশ ৩১:২৬) আরও তিনি কঠোর পরিশ্রম করেন যাতে তার সিদ্ধান্ত সফল হয়।

আরেকটি উপায়ে একজন বিবাহিত স্ত্রীলোক ঈশ্বরকে প্রথম স্থান দিতে পারেন পরিশ্রমী স্ত্রী হওয়ার দ্বারা। অবশ্য, যদি তাকে জাগতিক কাজ করতেই হয়, তার হয়তো যেভাবে তিনি চান ঘর সাজাতে তার জন্য সময় অথবা শক্তি নাও থাকতে পারে। তবুও তিনি সেই “গুণবতী ভার্য্যা” হওয়ার চেষ্টা করতে পারেন যার সম্বন্ধে বাইবেল বলে: “তিনি আপন পরিবারের আচরণের প্রতি লক্ষ্য রাখেন, তিনি আলস্যের খাদ্য খান না।”—হিতোপদেশ ৩১:১০, ২৭.

সর্বোপরি, একজন স্ত্রীর উচিৎ ঈশ্বরের উপাসনা তার জীবনে প্রথমে রাখা। অনেকে যারা প্রথমবার কিংডম হলে আসেন ছোটদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পোষাক সম্বন্ধে মন্তব্য করেন। এই বিষয়ে একজন স্ত্রীর কাজ অপরিহার্য্য। কিন্তু প্রার্থনা, অধ্যয়ন এবং ঈশ্বরের প্রতি পরিচর্য্যার মাধ্যমেও তাকে তার আত্মিকতা বজায় রাখতে হবে।

যুবক হিসাবে ঈশ্বরকে প্রথম স্থান দেওয়া

অ্যাডোলেসেন্ট কাউন্সেলর-এ একটি প্রবন্ধ জানায়: “কিশোর-কিশোরীরা এমন মনোভাব এবং আচরণ গড়ে তুলেছে যা তাদের পিতা-মাতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে তাদের সুযোগ দিয়েছে। . . . একটি সমাজের প্রতি উন্মুক্ত থাকার জন্য যা অবিলম্বে আকাঙ্ক্ষা চরিতার্থ করা এবং জাগতিক ধনসম্পদের প্রতি জোর দেয় ও মহিমান্বিত করে, কিশোর-কিশোরীদের ‘আমার এখনই চাই’ এই রকম মনোভাব গড়ে ওঠে।” যদি তুমি একজন তরুণ বা তরুণী হও, তোমার মনোভাব কি এইরকম?

কলসীয় ৩:২০ বলে: “সন্তানেরা, তোমরা সর্ব্ববিষয়ে পিতামাতার আজ্ঞাবহ হও, কেননা তাহাই প্রভুতে তুষ্টিজনক।” একজন অল্পবয়স্ক ব্যক্তি যে এইরকম বাধ্যতাকে ঐশ্বরিক প্রয়োজনীয়তা হিসাবে দেখে তার পিতামাতার সঙ্গে সহযোগিতা করবে। উদাহরণস্বরূপ, সে গোপনে তাদের অবাধ্য হবে না যে স্কুলের সঙ্গীদের তারা অনুমোদন করেন না তাদের সাথে মেলামেশা করে; কিম্বা বাবা অথবা মাকে নিজের পথ অনুযায়ী চলার জন্য প্রতারণাপূর্বক নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করবে না। (হিতোপদেশ ৩:৩২) বরঞ্চ, যে কোন যুবক-যুবতী যে ঈশ্বরকে জীবনে প্রথম স্থান দেয় পিতামাতার প্রেমপূর্ণ নির্দেশের প্রতি বাধ্য হবে।

ঈশ্বরকে প্রথমে রাখুন!

পরিবারে আমাদের যে স্থানই থাকুক না কেন, আমাদের উচিৎ ঈশ্বরকে জীবনে প্রথম স্থান দেওয়া এবং তাঁর সাথে এক ঘনিষ্ট সম্পর্ক গড়ে তোলা। আপনি এবং আপনার পরিবার কি তাই করছেন?

“শেষ কালে” আমরা সকলে “বিষম সময়ের” সম্মুখীন হচ্ছি। (২ তীমথিয় ৩:১-৫) যাইহোক, আত্মিক ভাবে সতেজ হওয়া এবং এই বিধিব্যবস্থার শেষ পার হয়ে যাওয়া সবে। (মথি ২৪:৩-১৪) বাইবেলের যথাযথ জ্ঞান অনুযায়ী কাজ করলে, আপনি এবং আপনার পরিবার পরমদেশ পৃথিবীতে অনন্ত জীবন লাভের আশা রাখতে পারেন। (লূক ২৩:৪৩; যোহন ১৭:৩; প্রকাশিত বাক্য ২১:৩, ৪) হ্যাঁ, তা হতে পারে যদি আপনি আপনার পারিবারিক জীবনে ঈশ্বরকে প্রথম স্থান দেন। (w91 5/15)

[পাদটীকাগুলো]

a ইউ ক্যান লিভ ফরএভার ইন প্যারাডাইস অন আর্থ বইয়ের ২২ অধ্যায় দেখুন, যা প্রকাশিত হয়েছে ওয়াচটাওয়ার বাইবেল অ্যাণ্ড ট্র্যাক্ট সোসাইটি অফ নিউ ইয়র্ক, আই. এন. সি. দ্বারা

[Pictures on page 5]

একজন গুণবতী ভার্য্যাকে গভীরভাবে উপলব্ধি করা হয়

[Pictures on page 7]

বাইবেল স্বামীদের উৎসাহ দেয় পারিবারিক উপাসনায় নেতৃত্ব নিতে

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার