লক্ষ লক্ষ বর্তমানে মৃত ব্যক্তিরা পুনরায় জীবিত হবে
বর্তমানের লক্ষ লক্ষ মৃত ব্যক্তিরা পুনরায় জীবিত হবে—কি হৃদয় আলোড়নকারী আশা! কিন্তু এটি কি বাস্তব? ইহা বিশ্বাস করতে আপনার কিসের প্রয়োজন? এক প্রতিজ্ঞাতে বিশ্বাস করতে, আপনার নিশ্চিত হওয়া দরকার যে যিনি প্রতিজ্ঞা করেছেন তিনি পরিপূর্ণ করতে ইচ্ছুক ও সমর্থ। তাহলে, কে, এই প্রতিজ্ঞা করেছেন যে বর্তমানের লক্ষ লক্ষ মৃত ব্যক্তিরা পুনরায় জীবিত হবে?
৩১ খ্রীষ্টাব্দের বসন্তকালে, যীশু খ্রীষ্ট সাহসের সাথে বলেন যিহোবা ঈশ্বর তাকে শক্তি দিয়েছেন মৃতদের জীবিত করতে। যীশু প্রতিজ্ঞা করেন: “কেননা পিতা যেমন মৃতদিগকে উঠান ও জীবন দান করেন, তদ্রুপ পুত্রও যাহাদিগকে ইচ্ছা জীবন দান করেন। ইহাতে আশ্চর্য্য মনে করিও না; কেননা এমন সময় আসিতেছে, যখন কবরস্থ সকলে তাহার [যীশুর] রব শুনিবে এবং বাহির হইয়া আসিবে।” (যোহন ৫:২১, ২৮, ২৯) হ্যাঁ, যীশু খ্রীষ্ট প্রতিজ্ঞা করেন যে লক্ষ লক্ষ মৃত ব্যক্তিরা এই পৃথিবীতে পুনরায় জীবিত হবে ও এইখানে তাদের চিরকালের থাকার আশা আছে। (যোহন ৩:১৬; ১৭:৩; তুলনা করুন গীতসংহিতা ৩৭:২৯ এবং মথি ৫:৫) যেহেতু যীশু প্রতিজ্ঞা করেন, ইহা ধরে নেওয়া নিরাপদ যে তিনি তাহা পরিপূর্ণ করতে ইচ্ছুক। কিন্তু তিনি কি তা করতে সমর্থ?
“লাসার, বাইরে আইস!”
এটি ছিল মর্মস্পর্শী দৃশ্য। লাসার খুবই অসুস্থ। তার দুই বোন, মরিয়ম ও মার্থা, যীশুকে খবর পাঠায়, যিনি যর্দ্দন নদীর অপর পারে ছিলেন: “প্রভু, দেখুন! আপনি যাহাকে ভালবাসেন তাহার পীড়া হইয়াছে।” (যোহন ১১:৩) হ্যাঁ, যীশু এই পরিবারকে খুব ভালবাসতেন। হয়তো অনেকবার বৈথনিয়াতে, তিনি তাদের ঘরে অতিথিরূপে ছিলেন। (লূক ১০:৩৮-৪২; তুলনা করুন লূক ৯:৫৮) কিন্তু এখন যীশুর প্রিয় বন্ধু ভীষণ অসুস্থ।
কিন্তু, মরিয়ম ও মার্থা যীশু কি করবেন আশা করে? তারা তাকে বৈথনিয়াতে আসতে বলে নি। কিন্তু তারা জানত যে যীশু লাসারকে ভালবাসেন। যীশু কি তার অসুস্থ বন্ধুকে দেখতে চাইবেন না? কোন সন্দেহ নেই যে তারা আশা করেছিল যীশু তাকে আশ্চর্য্যরূপে সুস্থ করবেন। কেননা, ইতিমধ্যে যীশু তার পরিচর্য্যায়, বহুজনকে আশ্চর্য্যরূপে সুস্থ করেন, এমন কি দূরত্ব তার কাছে কোন বাধা ছিল না। (তুলনা করুন মথি ৮:৫-১৩) তিনি কি তার প্রিয় বন্ধুর জন্য কিছু কম করবেন? কৌতূহলের বিষয় যে, বৈথনিয়াতে তৎক্ষণাৎ যাবার পরিবর্তে, যীশু পরবর্তী দুইদিন যেখানে ছিলেন সেইখানেই থেকে গেলেন।—যোহন ১১:৫, ৬.
খবর পাঠাবার কিছু পরে লাসার মারা যায়, হয়তো যীশু যখন খবর পান সেই সময়ের মধ্যে। (তুলনা করুন যোহন ১১:৩, ৬, ১৭) কিন্তু অধিক কোন সংবাদের প্রয়োজন ছিল না। যীশু জানতেন লাসার মারা যায়, এবং তিনি এই সম্বন্ধে কিছু করতে মনস্থ করেন। লাসারের মৃত্যু সম্বন্ধে বলতে গিয়ে তিনি তার শিষ্যদের বলেন: “আমাদের বন্ধু লাসার, নিদ্রা গিয়াছে। কিন্তু আমি নিদ্রা হইতে তাহাকে জাগাইতে যাইতেছি।” (যোহন ১১:১১) যীশু এর পূর্বে দুইজনকে মৃত্যু থেকে উত্থিত করেন, প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যক্তি মারা যাওয়ার সামান্য পরে।a যাইহোক, এই সময়, বিষয়টি ভিন্ন প্রকার। অবশেষে, যতক্ষণে যীশু বৈথনিয়াতে এসে উপস্থিত হন, চারদিন অতিবাহিত হয়ে যায় তার প্রিয় বন্ধু মারা গেছে। (যোহন ১১:১৭, ৩৯) যে ব্যক্তি বহুদিন মারা গেছে ও যার দেহ বিনষ্ট হয়ে গেছে তাকে কি যীশু জীবন্ত ফিরিয়ে দেবেন?
যীশু আসদুছন শুনতে পেয়ে, মার্থা, এক কর্ম্মশীল স্ত্রীলোক, দৌড়ে আসে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে। (তুলনা করুন লূক ১০:৩৮-৪২) যীশুর সাথে তার সাক্ষাৎ হওয়া মাত্রই, তার হৃদয় তাকে বলতে পরিচালিত করে: “প্রভু, আপনি যদি এখানে থাকিতেন, আমার ভাই মরিত না।” তবুও, সে তার বিশ্বাস প্রকাশ করল: “আমি জানি, আপনি ঈশ্বরের কাছে যে কিছু যাচ্ঞা করিবেন, তাহা ঈশ্বর আপনাকে দিবেন।” তার দুঃখে মর্মস্পর্শী যীশু তাকে আশ্বাস দেন: “তোমার ভাই আবার উঠিবে।” যখন সে ভবিষ্যতের পুনরুত্থানে তার বিশ্বাস প্রকাশ করে, যীশু স্পষ্টরূপে তাকে বলেন: “আমি পুনরুত্থান ও জীবন, যে আমাতে বিশ্বাস করে, সে মরিলেও জীবিত হইবে।”—যোহন ১১:২০-২৫।
কবরের কাছে উপস্থিত হয়ে, যীশু কবরের মুখের পাথরটি সরিয়ে দিতে নির্দেশ দেন। প্রথমে মার্থা আপত্তি করল: “প্রভু, এখন উহাতে দুর্গন্ধ হইয়াছে, কেননা আজ চার দিন।” কিন্তু যীশু তাকে আশ্বাস দেন: “আমি কি তোমাকে বলি নাই যে, যদি বিশ্বাস কর, তবে ঈশ্বরের মহিমা দেখিতে পাইবে?” তারপর, উচ্চস্বরে প্রার্থণা করে, তিনি আদেশ দেন: “লাসার, বাহিরে আইস!” যীশুর আদেশে লাসার বাইরে আসে, যদিও সে গত চার দিন মৃত ছিল!—যোহন ১১:৩৮-৪৪।
ইহা কি সত্য ঘটেছিল?
ঐতিহাসিক ঘটনারূপে, যোহনের সুসমাচারে লাসারের উত্থিত হওয়ার বিবরণ দেওয়া আছে। পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনাটি এত স্পষ্ট যে তা কেবলমাত্র রূপক বর্ণনা নয়। এর ঐতিহাসিক সত্যতার প্রশ্ন করতে হলে বাইবেলের প্রত্যেকটি আশ্চর্য্য কাজগুলি সম্পর্কে প্রশ্ন উঠাতে হয়, যীশু খ্রীষ্টের পুনরুত্থানও এর মধ্যে পড়ে।b এবং যীশুর পুনরুত্থান অস্বীকার করলে সম্পূর্ণ খ্রীষ্টীয় বিশ্বাসকে অস্বীকার করা হয়।—১ করিন্থীয় ১৫:১৩-১৫.
প্রকৃতপক্ষে, আপনি যদি ঈশ্বরের অস্তিত্বকে স্বীকার করেন, আপনার কোন সমস্যাই থাকতে পারে না পুনরুত্থানে বিশ্বাস করতে। উদাহরণস্বরূপ: এক ব্যক্তি তার শেষ ইচ্ছা এবং সাক্ষ্য ভিডিও টেপ করতে পারে, এবং সেই ব্যক্তি মারা যাওয়ার পর টেপের মাধ্যমে তার আত্মীয় ও বন্ধুরা তাকে দেখতে পারে ও শুনতে পারে, বস্তুত, যখন সে বর্ণনা করে তার সম্পত্তি কিরূপে ব্যবহার করা হবে। একশত বৎসর পূর্বে, এই বিষয়টি ছিল চিন্তাতীত। আর কিছু ব্যক্তিদের কাছে যারা পৃথিবীর বহু দূরবর্তী অংশে এখন বাস করে ভিডিও রেকর্ড করার “আশ্চর্য্য ঘটনা” বোধগম্যের বাইরে। স্রষ্টার দ্বারা স্থাপিত বৈজ্ঞানিক নীতিগুলি যদি ব্যবহার করে মানুষ দর্শন ও শ্রবণসাধ্য দৃশ্য পুনর্গঠন করে, স্রষ্টা কি এর থেকেও অধিক করতে সমর্থ হবেন না? ইহা কি যুক্তিযুক্ত নয়, তাহলে, যে যিনি জীবন সৃষ্টি করেছেন তিনি এক ব্যক্তিকে পুনরুত্থিত করতে সমর্থ, সেই ব্যক্তির নবগঠিত দেহে তার ব্যক্তিত্ব পুনরায় গঠন করে?
লাসারকে জীবনে পুনরায় নিয়ে আসার বিষ্ময়কর ঘটনা যীশুর ও পুনরুত্থানের প্রতি বিশ্বাস বৃদ্ধি করে। (যোহন ১১:৪১, ৪২; ১২:৯-১১, ১৭-১৯) মর্ম্মস্পর্শীরূপে, ইহা যিহোবা ও তার পুত্রের পুনরুত্থান করার ইচ্ছা ও আকাঙ্খাকে প্রকাশ করে।
‘ঈশ্বর মমতা করিবেন’
লাসারের মৃত্যুতে যীশুর প্রতিক্রিয়াতে ঈশ্বরের পুত্রের অতি কোমল দিকটি প্রকাশ পায়। এই সময়ে তার গভীর অনুভূতি স্পষ্টরূপে বোঝায় মৃতদের পুনর্জীবিত করার তার তীব্র আকাঙ্খা রয়েছে। আমরা পড়ি: “মরিয়ম যখন সেখানে আসিলেন, তখন তাহাকে দেখিয়া তাহার চরণে পড়িয়া বলিলেন, ‘প্রভু, আপনি যদি এখানে থাকিতেন, আমার ভাই মরিত না।’ যীশু যখন দেখিলেন তিনি রোদন করিতেছেন, ও তাহার সঙ্গে সঙ্গে যে যিহূদীরা আসিয়াছিল, তাহারাও রোদন করিতেছে, তখন আত্মাতে উত্তেজিত হইলেন ও উদ্বিগ্ন হইলেন আর কহিলেন, ‘তাহাকে কোথায় রাখিয়াছ?’ তাহারা কহিলেন, ‘প্রভু, আসিয়া দেখুন।’ যীশু কাঁদিলেন। তাহাতে যিহূদীরা কহিল, ‘দেখ, ইনি তাহাকে কেমন ভালবাসিতেন!’”—যোহন ১১:৩২-৩৬.
যীশুর গভীর করুণা এখানে প্রকাশ পায় তিনটি অভিব্যক্তির দ্বারা: “উত্তেজিত,” “উদ্বিগ্ন হইলেন” এবং “কাঁদিলেন।” এই মর্ম্মস্পর্শী দৃশ্যটি মূল ভাষায় লিপিবদ্ধ করার সময় প্রেরিত যোহন যে শব্দগুলি ব্যবহার করেন তা দেখায় যে যীশু কতটা আবেগপূর্ণ হয়েছিলেন।
গ্রীক শব্দ “উত্তেজিত” ক্রিয়াপদ (এম·ব্রি·মে‘ও·মাই) থেকে নেওয়া হয়েছে যার অর্থ হল বেদনাপূর্ণরূপে, অথবা গভীররূপে, অনুভূত হওয়া। বাইবেল সম্পর্কে মন্তব্যকারী উইলিয়াম বার্কলে বলেন: “সাধারণ সংযত গ্রীক ভাষায় [এম·ব্রি·মে‘ও·মাই] এর প্রচলিত প্রয়োগটি হল ঘোড়ার হ্রেষাধ্বনি। এখানে এর একমাত্র অর্থ এমন এক গভীর আবেগ যীশুকে ঘিরে ধরে যে তার হৃদয়ে থেকে অনৈচ্ছিক আর্তনাদ বার হয়ে আসে।”
“উদ্বিগ্ন” শব্দটির অনুবাদ গ্রীক শব্দ (টা·রাস‘সো) থেকে আসে যার অর্থ বিক্ষুব্ধ হওয়া। দ্যা নিউ থেয়ারস্ গ্রীক-ইংলিশ লেক্সিকন অফ দ্যা নিউ টেস্টামেন্ট অনুসারে, এর অর্থ “এক ব্যক্তির আভ্যন্তরিক আলোড়ন, . . . ভীষণ দুঃখ ও বেদনায় প্রভাবিত হয়ে।” “কাঁদিলেন” শব্দটি গ্রীক ক্রিয়াপদ (ডা·ক্রাই‘ও) থেকে নেওয়া হয়েছে যার অর্থ “অশ্রুপাত করা, নীরবে কাঁদা।” এটি মরিয়ম ও তার সাথে যিহূদীদের “রোদন করা” যা যোহন ১১:৩৩ পদে উদ্ধৃত আছে তার বিপরীত। সেখানে গ্রীক শব্দ (ক্লাই‘ও) ব্যবহার করা হয়েছে যার অর্থ শ্রবণযোগ্যরূপে অথবা উচ্চস্বরে কাঁদা।c
যীশু, তখন, তার প্রিয় বন্ধু লাসারের মৃত্যুতে ও লাসারের ভগ্নীকে কাঁদতে দেখে গভীররূপে দুঃখিত হলেন। যীশুর হৃদয় এত আবেগপূর্ণ হয় যে তার চক্ষু অশ্রুতে ভরে ওঠে। লক্ষণীয় বিষয়, যীশু এর আগে দুইজনকে পুনর্জীবিত করেন। আর এই সময়ে লাসারের ক্ষেত্রে সেইরূপ করতে যীশু সম্পূর্ণ ইচ্ছুক। (যোহন ১১:১১, ২৩, ২৫) তবুও, “তিনি কাঁদিলেন।” মানুষকে পুনর্জীবিত করা, যীশুর কাছে শুধুমাত্র নিয়ম-মাফিক কাজ ছিল না। এই ক্ষেত্রে তার কোমল ও গভীর অনুভূতি যা প্রকাশ পায় মৃত্যুর গ্রাস থেকে বন্ধন মুক্ত করতে তার গভীর আকাঙ্খা স্পষ্ট ইঙ্গিত করে।
যেহেতু যীশু ‘যিহোবা ঈশ্বরের তত্ত্বের মুদ্রাঙ্ক,’ আমরা সঠিকরূপে আমাদের স্বর্গীয় পিতার কাছ থেকে এর থেকে কিছু কম আশা করি না। (ইব্রীয় ১:৩) পুনরুত্থান দানের যিহোবার নিজস্ব ইচ্ছা সম্বন্ধে, বিশ্বস্ত ব্যক্তি ইয়োব বলেন: “মনুষ্য মরিয়া কি পুনর্জীবিত হইবে? . . . তুমি আহ্বান করিবে, ও আমি উত্তর দিব। তুমি আপন হস্তকৃতের প্রতি মমতা করিবে।” (ইয়োব ১৪:১৪, ১৫) “তুমি মমতা করিবে” মূল ভাষায় ইহার অর্থ আন্তরিক ইচ্ছা। (আদিপুস্তক ৩১:৩০; গীতসংহিতা ৮৪:২) স্পষ্টরূপে, যিহোবা অবশ্যই সাগ্রহে পুনরুত্থান আশা করেন।
প্রতিজ্ঞাত পুনরুত্থানের প্রতি কি আমরা প্রকৃতই বিশ্বাস রাখতে পারি? যিহোবা ও তার পুত্র ইহা করতে ইচ্ছুক ও সম্পন্ন করতে সমর্থ কোন সন্দেহ নেই। আপনার জন্য ইহার অর্থ কি? এই পৃথিবীতেই শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতির অধীনে প্রিয় মৃত ব্যক্তিদের সাথে আপনার পুণর্মিলিত হওয়ার আশা আছে!
বর্তমানে ইহা রবার্টার আশা (পূর্বের প্রবন্ধে উল্লিখিত)। তার মায়ের মৃত্যুর কয়েক বৎসর পরে, যিহোবার সাক্ষীরা তাকে মনোযোগের সাথে বাইবেল অধ্যয়ন করতে সাহায্য করে। সে বলে: “পুনরুত্থানের আশা সম্বন্ধে জানতে পেরে, আমি কাঁদি। ইহা জানতে পারা চমৎকার যে আমি আমার মাকে আবার দেখবো।” অনুরূপে যদি আপনার হৃদয় আপনার প্রিয়জনকে আবার দেখার জন্য আকাঙ্খিত, কোন সন্দেহ নেই আপনি এই অপূর্ব আশা সম্বন্ধে অধিক জানতে ইচ্ছুক হবেন।(W90 5/1)
[পাদটীকাগুলো]
a See the article “Exercise Faith for Everlasting Life,” pages 23-8.
b যোহন ৫:২৮, ২৯ পদে লিপিবদ্ধ যীশুর প্রতিজ্ঞার পর থেকে লাসারের মৃত্যু পর্য্যন্ত যে সময় অতিবাহিত হয়, যীশু নায়িন নগরের বিধবার পুত্র ও যায়ীরের কণ্যাকে উঠান।—লূক ৭:১১-১৭; ৮:৪০-৫৬.
c দ্যা বাইবেল—গডস্ ওয়ার্ড অর ম্যানস্? বইয়ের ৬ অধ্যায়, “দ্যা মিরাকেলস্—ডিড দে রিয়েলি হ্যাপেন?” দেখুন, দ্যা ওয়াচটাওয়ার বাইবেল অ্যাণ্ড ট্র্যাক্ট সোসাইটী দ্বারা প্রকাশিত।
আগ্রহজনকরূপে, উচ্চস্বরে কাঁদবার জন্য গ্রীক শব্দ (ক্লাই‘ও) যীশুর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় যখন তিনি যিরূশালেমের আগত ধ্বংস সম্বন্ধে ভাববাণী করেন। লূকের বিবরণ বলে: “যখন তিনি নিকটে আসিলেন, তখন নগরটি [যিরূশালেম] দেখিয়া তাহার জন্য রোদন করিলেন।”—লূক ১৯:৪১.
[Pictures on page 5]
যীশুর দ্বারা যায়ীরের মেয়েকে উত্থিত করা মৃতদের ভবিষ্যৎ পুনরুত্থানের জন্য বিশ্বাসের ভিত্তি প্রদান করে
[Pictures on page 6]
লাসারের মৃত্যুতে যীশু গভীরভাবে প্রভাবিত হন
[Pictures on page 7]
যারা পুনরুত্থান প্রত্যক্ষ করবে তাদের আনন্দ নায়িন নগরের বিধবা স্ত্রীলোকটির মত হবে যখন যীশু তার মৃত পুত্রকে পুনরুত্থিত করেন