-
“আমি কৈসরের নিকটে আপীল করি”২০০১ প্রহরীদুর্গ | ডিসেম্বর ১৫
-
-
উত্তেজিত জনতা এক অরক্ষিত ব্যক্তিকে ধরে পেটাতে শুরু করে। তারা মনে করে যে, তিনি মৃত্যুদণ্ডের যোগ্য। যখন মনে হচ্ছিল যে তিনি হয়তো জনতার হাতেই মারা যাবেন, ঠিক সেই মুহূর্তে সেখানে সৈন্যরা এসে উপস্থিত হয় ও অনেক কষ্টে ওই উদ্ধত জনতার হাত থেকে তাকে কেড়ে নিয়ে যায়। এই লোকটা হলেন প্রেরিত পৌল। তাকে যারা আক্রমণ করে তারা ছিল যিহুদি, যারা পৌলের প্রচার কাজের প্রচণ্ড বিরোধিতা করে এবং তার বিরুদ্ধে মন্দির অপবিত্র করার দোষ চাপায়। তাকে যারা উদ্ধার করতে আসে তারা রোমীয় আর তাদের সহস্রপতি ক্লৌদিয় লুষিয়ের নেতৃত্বে তারা সেখানে আসে। এই বিভ্রান্তির মধ্যে পৌলকে একজন অপরাধী হিসেবে সন্দেহ করে গ্রেপ্তার করা হয়।
এই গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে যে মামলা মকদ্দমা শুরু হয়, প্রেরিত বইয়ের শেষের সাতটা অধ্যায়ে তা তুলে ধরা হয়েছে। এই অধ্যায়গুলো আমাদেরকে পৌলের বৈধ ইতিহাস, তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগগুলো, তার প্রতিবাদ ও রোমীয় ফৌজদারি প্রক্রিয়া সম্বন্ধে বুঝতে সাহায্য করে।
-
-
“আমি কৈসরের নিকটে আপীল করি”২০০১ প্রহরীদুর্গ | ডিসেম্বর ১৫
-
-
ক্লৌদিয় লুষিয়ের কাজগুলোর মধ্যে যিরূশালেমের শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্বও ছিল। তার উচ্চ কর্তৃপক্ষ অর্থাৎ যিহূদিয়ার রোমীয় দেশাধ্যক্ষ কৈসরিয়ায় থাকতেন। পৌলের মামলায় লুষিয়ের হস্তক্ষেপ করাকে, হিংস্রতা থেকে একজন লোককে রক্ষা করা ও শান্তি বিপন্নকারীকে বন্দি করা হিসেবে বর্ণনা করা যায়। যিহুদিদের প্রতিক্রিয়া দেখে লুষিয় তার কয়েদিকে সেনাদের শিবির, আ্যন্টোনিয়া দুর্গে নিয়ে গিয়েছিলেন।—প্রেরিত ২১:২৭–২২:২৪.
-