ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • প্রেমের পথ কখনও শেষ হয় না
    ১৯৯৯ প্রহরীদুর্গ | ফেব্রুয়ারি ১৫
    • ৯. যে লোকেরা তাদের নিজেদের স্বার্থচেষ্টা করছিলেন তাদের জন্য বাইবেলে কোন্‌ সতর্কতামূলক উদাহরণগুলো আছে?

      ৯ প্রেম “স্বার্থ চেষ্টা করে না।” (১ করিন্থীয় ১৩:৫) অন্যের প্রতি প্রেম আছে এমন এক ব্যক্তি কখনও নিজের স্বার্থে অন্যদেরকে কাজে লাগান না, তাদের কাছ থেকে সুযোগ নেন না। এই সম্বন্ধে সতর্ক করার জন্য বাইবেল আমাদের কিছু উদাহরণ দেয় যা থেকে আমরা শিখতে পারি। যেমন: আমরা দলিলা, ঈষেবল এবং অথলিয়া—এই মহিলাদের জানি, যারা নিজেদের স্বার্থের জন্য অন্যদেরকে কাজে লাগিয়েছিলেন। (বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ ১৬:১৬; ১ রাজাবলি ২১:২৫; ২ বংশাবলি ২২:১০-১২) রাজা দায়ূদের পুত্র অবশালেমও এদের দলেরই একজন ছিলেন। তিনি রাজদ্বারের পথের পাশে দাঁড়াতেন আর যারা বিচারের জন্য যিরূশালেমে আসতেন তাদের কাছে গোপনে যেতেন এবং বলতেন যে রাজদরবারে তাদের সমস্যাগুলো নিয়ে কেউই সত্যিকারের চিন্তা করেন না। তারপর তিনি সরাসরি বলতেন যে রাজদরবারে তার মতো একজন সমব্যথী মানুষের সত্যিই প্রয়োজন! (২ শমূয়েল ১৫:২-৪) আসলে দুঃখীদের জন্য কোন দয়ামায়া অবশালেমের ছিল না, তিনি তার নিজের বিষয়ে চিন্তিত ছিলেন। নিজেকে রাজার মতো দেখিয়ে তিনি অনেকের হৃদয় জয় করেছিলেন। কিন্তু পরে, অবশালেম চরমভাবে পরাজিত হয়েছিলেন। তার মৃত্যুর পরে তাকে উপযুক্তভাবে কবর দেওয়ার যোগ্য বলেও মনে করা হয়নি।—২ শমূয়েল ১৮:৬-১৭.

      ১০. আমরা কিভাবে দেখাতে পারি যে আমরা অন্যের ভালমন্দের প্রতি নজর দিই?

      ১০ আজকে, এটা খ্রীষ্টানদেরকে সতর্ক করে। আমরা ভাই বা বোন যাই হই না কেন, আমরা হয়ত ছোট থেকে আমার কথা অন্যেরা মেনে নেবে এমন মনোভাব পোষণ করে এসেছি। তাই কোন আলোচনায় আমার কথাই সবকিছু বা যাদের আলাদা মতামত রয়েছে তাদেরকে ছোট করা আমাদের জন্য হয়ত কোন ব্যাপারই না। কিন্তু আমাদের মধ্যে যদি সত্যিই প্রেম থাকে, তাহলে আমরা অন্যদের ভালমন্দের দিকে নজর দেব। (ফিলিপীয় ২:২-৪) আমাদের অভিজ্ঞতা বেশি বলে বা ঈশ্বরের সংগঠনে আমরা কোন দায়িত্বে আছি বলে, অস্পষ্ট বিষয়গুলো আমরা নিজেদের ইচ্ছামত ব্যাখ্যা করে আমাদের মতামত অন্যের ওপর চাপিয়ে দিয়ে আমরা সুযোগ নেব না কিংবা এমন দেখাব না যে আমাদের মতামতই হল ঠিক। আমরা বরং বাইবেলের এই প্রবাদ বাক্য মনে রাখব: “বিনাশের পূর্ব্বে অহঙ্কার, পতনের পূর্ব্বে মনের গর্ব্ব।”—হিতোপদেশ ১৬:১৮.

  • প্রেমের পথ কখনও শেষ হয় না
    ১৯৯৯ প্রহরীদুর্গ | ফেব্রুয়ারি ১৫
    • ১১. (ক) কোন্‌ কোন্‌ উপায়ে আমরা দেখাতে পারি যে প্রেম মধুর ও শিষ্ট? (খ) আমরা কিভাবে দেখতে পারি যে আমরা অধার্মিকতায় আনন্দ করি না?

      ১১ পৌল আরও লিখেছিলেন যে প্রেম “মধুর” এবং “অশিষ্টাচরণ করে না।” (১ করিন্থীয় ১৩:৪, ৫) প্রেম থাকলে আমরা রূঢ়, অমার্জিত এবং অসম্মাজনক আচরণ করব না। পরিবর্তে, আমরা অন্যদের অনুভূতিকে বুঝব। যেমন, একজন ব্যক্তি যার অন্যের প্রতি প্রেম আছে তিনি অন্যের বিবেককে জ্বালাতন করে এমন বিষয়গুলো এড়িয়ে চলবেন। (১ করিন্থীয় ৮:১৩ পদের সঙ্গে তুলনা করুন।) প্রেম “অধার্ম্মিকতায় আনন্দ করে না, কিন্তু সত্যের সহিত আনন্দ করে।” (১ করিন্থীয় ১৩:৬) আমরা যদি যিহোবার ব্যবস্থা ভালবাসি, তাহলে আমরা অনৈতিক কাজ দেখেও না দেখার ভান করব না কিংবা এমন আমোদপ্রমোদে অংশ নেব না যা ঈশ্বর ঘৃণা করেন। (গীতসংহিতা ১১৯:৯৭) প্রেম আমাদেরকে সেই বিষয়গুলোতে আনন্দ খুঁজে পেতে সাহায্য করবে যেগুলো অন্যদের ছোট করে না বরং গেঁথে তোলে।—রোমীয় ১৫:২; ১ করিন্থীয় ১০:২৩, ২৪; ১৪:২৬.

      ১২, ১৩. (ক) কেউ যখন আমাদের বিরক্ত করেন তখন আমাদের কীরকম প্রতিক্রিয়া দেখানো উচিত? (খ) উপযুক্ত ক্রোধও যে অবিবেচকের মতো কাজ করার কারণ হতে পারে তা দেখানোর জন্য বাইবেলের কিছু উদাহরণ বর্ণনা করুন।

      ১২ পৌল লেখেন যে প্রেম “রাগিয়া উঠে না” (“একটুতেই রেগে যায় না,” ফিলিপস্‌)। (১ করিন্থীয় ১৩:৫) এটা মানতেই হবে যে আমাদের অর্থাৎ অসিদ্ধ মানুষদের পক্ষে উত্তেজিত হয়ে ওঠা কিংবা কেউ আমাদের বিরক্ত করলে রেগে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু অনেক দিন ধরে রেগে থাকা বা অনেক দিন পর্যন্ত তা পুষে রাখা ভুল হবে। (গীতসংহিতা ৪:৪; ইফিষীয় ৪:২৬) রাগকে নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে, এমনকি উপযুক্ত রাগও আমাদেরকে দিয়ে অবিবেচকের মতো কাজ করাতে পারে এবং এর জন্য যিহোবা আমাদেরকে দায়ী করতে পারেন।—আদিপুস্তক ৩৪:১-৩১; ৪৯:৫-৭; গণনাপুস্তক ১২:৩; ২০:১০-১২; গীতসংহিতা ১০৬:৩২, ৩৩.

      ১৩ আমরা সবাই অসিদ্ধ আর তাই আমাদের দুর্বলতা আছে কিন্তু কেউ কেউ ভাইদের দুর্বলতাকে খ্রীষ্টীয় সভাগুলোতে না আসার ও প্রচারে না যাওয়ার জন্য অজুহাত হিসাবে খাড়া করেন। কিন্তু আগে এই ভাইবোনেরাই হয়তো পারিবারিক বিরোধিতা, সহকর্মীদের উপহাস এবং এইরকম আরও বিরোধিতার মাঝে বিশ্বাসের পক্ষে প্রাণপণ লড়াই করেছিলেন। এই বাধাগুলোকে তারা সহ্য করেছিলেন কারণ তারা এগুলোকে তাদের বিশ্বস্ততা রক্ষার পরীক্ষা হিসাবে দেখেছিলেন আর আসলে সেগুলো তাই-ই। কিন্তু কোন খ্রীষ্টান ভাই বা বোন যদি এমন কিছু বলেন বা করেন যাতে প্রেমের অভাব দেখা যায়, তাহলে কী বলা যায়? সেটাও কি বিশ্বস্ততা রক্ষার পরীক্ষা নয়? প্রকৃতই, সেটাও পরীক্ষা কারণ আমরা যদি রাগ পুষে রাখি তবে আমরা “দিয়াবলকে স্থান” করে দিচ্ছি।—ইফিষীয় ৪:২৭.

      ১৪, ১৫. (ক) “অপকার গণনা” করার মানে কী? (খ) ক্ষমা করার ক্ষেত্রে আমরা কিভাবে যিহোবাকে অনুকরণ করতে পারি?

      ১৪ উপযুক্ত কারণেই পৌল আরও বলেন যে প্রেম “অপকার গণনা করে না।” (১ করিন্থীয় ১৩:৫) এখানে তিনি হিসাবশাস্ত্রের একটা শব্দ ব্যবহার করেছিলেন কারণ ভুল এড়ানোর জন্য জমাখরচের খাতায় হিসাব তুলে রাখা হয়। কিন্তু আমরা যে কথায় বা কাজে কষ্ট পাই তা মনে রাখা কি প্রেমপূর্ণ হবে যাতে ভবিষ্যতে দরকার হলে তা ব্যবহার করা যায়? আমরা কত আনন্দিতই না হতে পারি যে যিহোবা এমন করুণাহীন ব্যক্তির মতো আমাদের প্রত্যেকটা বিষয় পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিচার করেন না! (গীতসংহিতা ১৩০:৩) হ্যাঁ, আমরা যখন অনুতপ্ত হই তখন তিনি আমাদের ভুলগুলোকে মুছে ফেলেন।—প্রেরিত ৩:১৯.

      ১৫ এই ক্ষেত্রে আমরা যিহোবাকে অনুকরণ করতে পারি। কেউ আমাদেরকে উপেক্ষা করছেন বলে মনে হলেও আমাদের খুব বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়া উচিত নয়। আমরা যদি এত তাড়াতাড়ি বিঘ্ন পাই, তবে যিনি আমাদের বিঘ্ন জন্মাচ্ছেন তার চেয়ে বরং আমরাই নিজেদেরকে আরও বেশি কষ্ট দিই। (উপদেশক ৭:৯, ২২) এর বদলে আমাদের মনে রাখা দরকার যে প্রেম “সকলই বিশ্বাস করে।” (১ করিন্থীয় ১৩:৭) অবশ্য, আমরা কেউই ঠকতে চাই না কিন্তু তাই বলে আমাদের কখনই ভাইদের উদ্দেশ্য নিয়ে অকারণে সন্দেহ করা উচিত নয়। যাই হোক, আসুন আমরা অন্যের উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ করা এড়িয়ে চলি।—কলসীয় ৩:১৩.

বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
লগ আউট
লগ ইন
  • বাংলা
  • শেয়ার
  • পছন্দসমূহ
  • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
  • ব্যবহারের শর্ত
  • গোপনীয়তার নীতি
  • গোপনীয়তার সেটিং
  • JW.ORG
  • লগ ইন
শেয়ার