ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w৯৪ ৬/১ পৃষ্ঠা ২৪-২৯
  • স্বাস্থ্যকর শিক্ষাকে আপনার জীবনের পথ হিসাবে বেছে নিন

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • স্বাস্থ্যকর শিক্ষাকে আপনার জীবনের পথ হিসাবে বেছে নিন
  • ১৯৯৪ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • একটি স্বাস্থ্যকর জীবনের পথ
  • বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য উপদেশ
  • বয়স্ক স্ত্রীদের জন্য
  • যুবতীদের জন্য
  • যুবকদের জন্য
  • ক্রীতদাস ও ভৃত্যদের জন্য
  • এক বিশুদ্ধ জাতি
  • সত্যের বাক্য যথার্থরূপে ব্যবহার করতে কী আমাদের সাহায্য করতে পারে?
    ২০০৩ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • ঈশ্বর চান যেন নারীদের সম্মান করা হয়
    প্রহরীদুর্গ: ঈশ্বর চান যেন নারীদের সম্মান করা হয়
১৯৯৪ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w৯৪ ৬/১ পৃষ্ঠা ২৪-২৯

স্বাস্থ্যকর শিক্ষাকে আপনার জীবনের পথ হিসাবে বেছে নিন

“ভক্তি সর্ব্ববিষয়ে সুফলদায়িকা।”—১ তীমথিয় ৪:৮.

১, ২. লোকেরা স্বাস্থ্যের প্রতি কতটা সচেতন থাকে, আর তার ফল কী হয়েছে?

অধিকাংশ লোকে একমত হবে যে ভাল স্বাস্থ্য হল জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান বিষয়গুলির মধ্যে একটি। নিজেদের দৈহিকভাবে সুস্থ রাখতে তারা অনেক অর্থ ও সময় ব্যয় করে এবং যখন প্রয়োজন হয় তখন উপযুক্ত চিকিৎসা পাওয়ার ব্যবস্থা করে। উদাহরণস্বরূপ, যুক্তরাষ্ট্রে সাম্প্রতিক একটি বছরে স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার বাৎসরিক ব্যয় প্রায় ৯০০ বিলিয়ান ডলার ছিল। তার অর্থ সেই দেশে প্রত্যেকটি পুরুষ, স্ত্রী ও শিশুর জন্য প্রায় ৩,০০০ ডলার, আর অন্যান্য উন্নত দেশেও প্রত্যেক জনের জন্য ব্যয় খুব কম নয়।

২ এত সময়, শক্তি, টাকাপয়সা ব্যয় করার ফল কী হয়েছে? কেউ অস্বীকার করবে না যে বর্তমানে ইতিহাসের যে কোন সময়ের থেকে অনেক বেশি উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা বর্তমানে আমাদের কাছে রয়েছে। কিন্তু এইজন্য সাধারণভাবেই আমাদের জীবন স্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে না। এমনকি, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি প্রস্তাবিত স্বাস্থ্য কার্যসূচী প্রস্তুত করবার সময়ে বক্তৃতা দিতে গিয়ে সেই দেশের রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন যে “এই দেশে অপরাধের হার অত্যন্ত বেশি হলেও,” অন্য যে কোন উন্নত দেশের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দাদের মধ্যে “এইডস্‌, অত্যধিক সিগারেট বা মদ খাওয়া, অল্প বয়সে গর্ভবতী হওয়া, নবজাত শিশুদের ওজন কম হওয়া ইত্যাদি আরও বেশি।” তার সিদ্ধান্ত কী ছিল? “জাতি হিসাবে আমাদের যদি স্বাস্থ্যবান হতে হয়, তাহলে নিজেদের জীবনধারা আমাদের পাল্টাতে হবে।”​—⁠গালাতীয় ৬:​৭, ৮.

একটি স্বাস্থ্যকর জীবনের পথ

৩. প্রাচীন গ্রীক সংস্কৃতির পরিপ্রেক্ষিতে, পৌল কী উপদেশ দিয়েছিলেন?

৩ প্রথম শতাব্দীতে, গ্রীকরা যোগব্যায়াম, শরীরচর্চা এবং ক্রীড়া-প্রতিযোগিতার জন্য পরিচিত ছিল। এই পটভূমিকার মধ্যে প্রেরিত পৌল যুবক তীমথিয়কে লিখতে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন: “শারীরিক দক্ষতার অভ্যাস অল্প বিষয়ে সুফলদায়ক হয়; কিন্তু ভক্তি সর্ব্ববিষয়ে সুফলদায়িকা, তাহা বর্ত্তমান ও ভবিষ্যৎ জীবনের প্রতিজ্ঞাযুক্ত।” (১ তীমথিয় ৪:⁠৮) এইভাবে, লোকে বর্তমানে যা উপলব্ধি করছে, অর্থাৎ চিকিৎসাবিজ্ঞান বা শরী- রচর্চা যে স্বাস্থ্যকর জীবনের প্রতিশ্রুতি দেয় না, তা পৌল উল্লেখ করছিলেন। কিন্তু পৌল আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন যে আধ্যাত্মিক সুস্থতা এবং ঈশ্বরীয় ভক্তি হল অপরিহার্য।

৪. ঈশ্বরীয় ভক্তির কী কী উপকার আছে?

৪ এই ধরনের পথ “বর্ত্তমান জীবনের” জন্যেও উপকারী কারণ অবিশ্বাসী লোকেরা, বা যারা শুধুমাত্র “ভক্তির অবয়বধারী [অথবা, রূপধারী],” তারা নিজেদের উপরে যে ক্ষতিকর বিষয় নিয়ে আসে, তার বিরুদ্ধে সুরক্ষা করে। (২ তীমথিয় ৩:৫; হিতোপদেশ ২৩:​২৯, ৩০; লূক ১৫:​১১-১৬; ১ করিন্থীয় ৬:১৮; ১ তীমথিয় ৬:​৯, ১০) যারা তাদের জীবনকে ঈশ্বরীয় ভক্তির দ্বারা গড়ে উঠতে দেয়, তারা ঈশ্বরের নিয়ম ও চাহিদাগুলির প্রতি শ্রদ্ধা রাখে আর এইজন্যই তারা স্বাস্থ্যকর শিক্ষাকে তাদের জীবনের পথ হিসাবে বেছে নিতে প্রেরণা পায়। এই ধরনের পথ তাদের জন্য আধ্যাত্মিক ও দৈহিক স্বাস্থ্য, সন্তুষ্টি এবং আনন্দ নিয়ে আসে। আর তারা ‘আপনাদের নিমিত্ত ভাবীকালের জন্য উত্তম ভিত্তিমূলস্বরূপ নিধি প্রস্তুত করিতেছে, যেন, যাহা প্রকৃতরূপে জীবন, তাহাই ধরিয়া রাখিতে পারে।’​—⁠১ তীমথিয় ৬:১৯.

৫. তীতের প্রতি লেখা চিঠির দ্বিতীয় অধ্যায়ে পৌল কী নির্দেশ দিয়েছেন?

৫ ঈশ্বরের স্বাস্থ্যকর শিক্ষার দ্বারা পরিবেষ্টিত জীবন যেহেতু এখন এবং ভবিষ্যতে এইরকম আশীর্বাদ নিয়ে আসে, সুতরাং আমাদের জানতে হবে কিভাবে বাস্তবিক উপায়ে আমরা স্বাস্থ্যকর শিক্ষা আমাদের জীবনের পথ করে নিতে পারি। তীতের প্রতি লেখা তার চিঠিতে প্রেরিত পৌল উত্তরটি দিয়েছেন। আমরা সেই বইটির দ্বিতীয় অধ্যায়ের উপরে বিশেষ মনোযোগ দেব, যেখানে তিনি তীতকে উপদেশ দিয়েছিলেন “স্বাস্থ্যকর শিক্ষার উপযুক্ত কথা” বলতে। অবশ্যই, আমাদের মধ্যে সকলে, যুবক অথবা বয়স্ক, পুরুষ অথবা নারী, আজ এই “স্বাস্থ্যকর শিক্ষা” থেকে উপকৃত হতে পারি।​—⁠তীত ১:​৪, ৫; ২:⁠১.

বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য উপদেশ

৬. “বৃদ্ধ লোকদের” পৌল কী উপদেশ দিয়েছেন এবং তার পক্ষে এটি সৌজন্যের প্রকাশ কেন?

৬ প্রথমে, মণ্ডলীর বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য পৌল কিছু উপদেশ দিয়েছিলেন। দয়া করে তীত ২:২ পড়ুন। “বৃদ্ধ লোকদের” সাধারণত সম্মান করা হয় এবং বিশ্বাস ও বিশ্বস্ততার উদাহরণ হিসাবে দেখা হয়। (লেবীয়পুস্তক ১৯:​৩২; উপদেশক ১৬:৩১) এইজন্য, অত্যন্ত গুরুতর না হলে, কোন বিষয়ে অন্যেরা বয়স্ক ব্যক্তিদের উপদেশ বা প্রস্তাব দিতে চায় না। (ইয়োব ৩২:​৬, ৭; ১ তীমথিয় ৫:⁠১) সুতরাং, প্রথমে বয়স্ক ব্যক্তিদের উদ্দেশ্য করা পৌলের পক্ষে সৌজন্যের প্রকাশ এবং তাদের উচিত পৌলের বাক্য হৃদয়ে গ্রহণ করা ও পৌলের মতে অনুকরণযোগ্য হওয়া।​—⁠১ করিন্থীয় ১১:১; ফিলিপীয় ৩:১৭.

৭, ৮. (ক) “মিতাচারী” হওয়ার সঙ্গে কী জড়িত আছে (খ) “ধীর” হওয়ার সাথে সাথে “সংযত” হওয়াতেও কেন সমতা রাখতে হবে?

৭ প্রথমে, বয়স্ক খ্রীষ্টীয় ব্যক্তিদের “মিতাচারী” হতে হবে। প্রাথমিক শব্দটি যদিও মদ্যপানের অভ্যাসের প্রতি ইঙ্গিত করতে পারে। (“পরিমিত,” কিংডম ইন্টারলিনিয়ার), এর সাথে সতর্ক, বিবেচক হওয়া এবং সজ্ঞানে থাকাও জড়িত আছে। (২ তীমথিয় ৪:৫; ১ পিতর ১:১৩) সুতরাং, মদ্যপান অথবা অন্য বিষয়েও বয়স্ক ব্যক্তিদের মিতাচারী হতে হবে, অত্যধিক বা অতিমাত্রায় যাওয়া চলবে না।

৮ তারপরে, তাদের “ধীর” ও “সংযত” হতে হবে। বয়সের সাথে সাথে সাধারণত ধীরতা, গম্ভীরভাব, শ্রদ্ধা ও সম্মানের যোগ্যতা আসে। কিন্তু কেউ কেউ অত্যন্ত গম্ভীর হয়ে যান, যৌবনের প্রাণবন্ত স্বভাব সহ্য করতে পারেন।। (হিতোপদেশ ২০:২৯) এইজন্য “ধীরতার” সাথে সাথে “সংযম” সামঞ্জস্য নিয়ে এসেছে। বয়স্ক ব্যক্তিদের বয়সসুলভ ধীরতা দেখাতে হবে, কিন্তু একই সঙ্গে তাদের ভারসাম্য রাখতে হবে, তাদের অনুভূতি ও ইচ্ছার উপরে নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে।

৯. বয়স্ক ব্যক্তিদের কেন বিশ্বাস, প্রেম ও বিশেষত ধৈর্যে স্বাস্থ্যবান হতে হবে?

৯ শেষে, বয়স্ক ব্যক্তিদের “বিশ্বাসে, প্রেমে, ধৈর্য্যে নিরাময়” হতে হবে। পৌল তার লেখাগুলিতে বহুবার আশার সাথে বিশ্বাস ও প্রেম উল্লেখ করেছেন। (১ করিন্থীয় ১৩:১৩; ১ থিষলনীকীয় ১:৩;৫:⁠৮) এইখানে তিনি “আশার” পরিবর্তে “ধৈর্য্য” লিখেছেন। হয়ত এইজন্য যে বয়সের সাথে সাথে হাল ছেড়ে দেওয়ার মনোভাব সহজেই এসে পড়তে পারে। (উপদেশক ১২:⁠১) কিন্তু, যীশু যেমন উল্লেখ করেছিলেন “যে কেহ শেষ পর্য্যন্ত স্থির থাকিবে, সেই পরিত্রাণ পাইবে।” (মথি ২৪:১৩) এছাড়াও, শুধুমাত্র বয়স ও অভিজ্ঞতার জন্যই বয়স্ক ব্যক্তিরা অন্যদের কাছে উদাহরণস্বরূপ নয়, কিন্তু তাদের দৃঢ় আধ্যাত্মিক গুণাবলী​—⁠বিশ্বাস, প্রেম এবং ধৈর্যের জন্যও।

বয়স্ক স্ত্রীদের জন্য

১০. মণ্ডলীর ‘প্রাচীনাদের’ জন্য পৌল কী উপদেশ দিয়েছেন?

১০ এরপরে, মণ্ডলীর বয়স্ক মহিলাদের প্রতি পৌল মনোযোগ দেন। দয়া করে তীত ২:৩ পড়ুন। “প্রাচীনারা” হলেন মণ্ডলীর মহিলাদের মধ্যে বয়োঃজেষ্ঠারা, যাদের মধ্যে “বৃদ্ধ লোকদের” স্ত্রীরা এবং অন্যান্য সদস্যদের মা, পিতামহী ও মাতামহীরা। সুতরাং, তারা যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করতে পারে, ভাল অথবা মন্দ বিষয়ে। এইজন্য, পৌল তার বক্তব্য “সেইরূপে” দিয়ে শুরু করেছেন, অর্থাৎ ‘প্রাচীনাদেরও’ কিছু দায়িত্ব আছে যাতে তারা মণ্ডলীতে তাদের ভূমিকা পালন করতে পারে।

১১. ভয়শীল ব্যবহার কী?

১১ প্রথমত, “প্রাচীনাদিগকে বল, যেন তাঁহারা আচার ব্যবহারে ভয়শীলা হন,” পৌল বলেছিলেন। “আচার ব্যবহার” হল একজনের অন্তরের মনোভাব ও ব্যক্তিত্বের বাহ্যিক প্রকাশ, যা আচরণ এবং চেহারা উভয়ের মাধ্যমেই বোঝা যায়। (মথি ১২:​৩৪, ৩৫) তাহলে, একজন বয়স্ক খ্রীষ্টান মহিলার মনোভাব বা ব্যক্তিত্ব কিরকম হওয়া উচিত? এক কথায়, “ভয়শীলা।” শব্দটি একটি গ্রীক কথা থেকে অনুবাদ করা হয়েছে যার অর্থ “ঈশ্বরের প্রতি উৎসর্গীকৃত ব্যক্তি, কাজ বা বস্তুর কাছ থেকে যা আশা করা হয়।” মণ্ডলীর অন্যদের উপরে, বিশেষত যুবতীদের উপরে তাদের যে প্রভাব আসতে পারে সেই পরিপ্রেক্ষিতে এটি অবশ্যই উপযুক্ত উপদেশ।​—⁠১ তীমথিয় ২:​৯, ১০.

১২. জিহ্বার কোন্‌ অপব্যবহার আমাদের সকলের এড়িয়ে চলা উচিত?

১২ এরপর দুটি নেতিবাচক বিষয় এসেছে: “অপবাদিকা কি বহুমদ্যের দাসী না হন।” এই দুটিকে যে একসঙ্গে রাখা হয়েছে তা আগ্রহজনক। “প্রাচীনকালে, যখন দ্রাক্ষারসই একমাত্র মদ্য ছিল,” অধ্যাপক ই. এফ্‌. স্কট বলেছেন, “তখন দ্রাক্ষারসসহ মেলামেশার আসরগুলিতেই বয়স্ক মহিলারা তাদের প্রতিবেশিদের চরিত্র ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করত।” পুরুষদের তুলনায় মহিলারা সাধারণত লোকেদের জন্য বেশি চিন্তা করে, যা প্রশংসনীয়। তবুও চিন্তা, গুজব এবং এমনকি ক্ষতিকারক অপবাদে পরিণত হতে পারে, বিশেষত যখন মদ্যপানের জন্য কথাবার্তার উপরে নিয়ন্ত্রণ থাকে না। (হিতোপদেশ ২৩:৩৩) যারা স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করছে, পুরুষ এবং নারী, তাদের সকলেই এই ফাঁদ থেকে অবশ্যই সাবধান থাকতে হবে।

১৩. প্রাচীনারা কিভাবে সুশিক্ষাদায়িনী হতে পারে?

১৩ সময় থাকলে তা গঠনমূলকভাবে ব্যবহার করবার জন্য, বয়স্ক মহিলাদের উৎসাহ দেওয়া হয়েছে “সুশিক্ষাদায়িনী” হতে। অন্য জায়গায়, পৌল স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিলেন যে মহিলারা মণ্ডলীতে শিক্ষাদায়িনী হতে পারবে না। (১ করিন্থীয় ১৪:৩৪; ১ তীমথিয় ২:১২) অবশ্য, এইজন্য তাদের পরিবার এবং জনসাধারণের কাছে ঈশ্বরের মূল্যবান জ্ঞান বিতরণ করায় তাদের বাধা দেওয়া যায় না। (২ তীমথিয় ১:৫;৩:​১৪, ১৫) মণ্ডলীর যুবতীদের কাছে খ্রীষ্টীয় উদাহরণ হয়েও তারা অনেক কিছু সম্পাদন করতে পারে, পরবর্তী পদগুলিতে যেমন দেখানো হয়েছে।

যুবতীদের জন্য

১৪. খ্রীষ্টীয় যুবতীরা কিভাবে তাদের কাজে ভারসাম্য দেখাতে পারে?

১৪ বয়স্ক মহিলাদের “সুশিক্ষাদায়িনী” হতে উৎসাহ দেওয়ার সময়ে পৌল বিশেষভাবে যুবতীদের উল্লেখ করেছিলেন। দয়া করে তীত ২:​৪, ৫ পদ পড়ুন। অধিকাংশ উপদেশই সংসারের কাজের প্রতি হলেও, খ্রীষ্টান যুবতীদের যাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়া, তাদের জীবনকে বস্তুবাদিতার দ্বারা পরিচালিত করতে দেওয়া উচিত নয়। বরং, তাদের “সংযতা, সতী, . . . সুশীলা,” হতে হবে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তাদের খ্রীষ্টীয় মস্তকব্যবস্থাকে সম্মান দেখাতে হবে, “এইরূপে যেন ঈশ্বরের বাক্য নিন্দিত না হয়।”

১৫. মণ্ডলীর বহু যুবতীদের কেন প্রশংসা করা উচিত?

১৫ পৌলের দিনে পরিবার যেমন ছিল, বর্তমানে তাতে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। বিশ্বাসের দিক দিয়ে অনেক পরিবার বিভক্ত এবং অনেকগুলিতে মাত্র একজন অভিভাবক আছে। এমনকি যেগুলিকে পরম্পরাগত পরিবার বলা হয়, সেগুলিতেও সম্পূর্ণরূপে গৃহিনী হিসাবে স্ত্রী অথবা মায়ের ভূমিকা ক্রমশ কমে যাচ্ছে। এই সবকিছু খ্রীষ্টান যুবতীদের উপরে প্রবল চাপ ও দায়িত্ব নিয়ে আসে, কিন্তু সেইজন্য তারা শাস্ত্রীয় বাধ্যতা থেকে মুক্তি পায় না। সুতরাং, বহু বিশ্বস্ত যুবতীরা যে তাদের অনেক কাজের সাথে তাল রাখতে কঠিন পরিশ্রম করছে এবং রাজ্যের আগ্রহকেও সামনে রাখতে সমর্থ হচ্ছে, এমনকি তাদের মধ্যে কয়েকজন সহায়ক বা নিয়মিত অগ্রগামী হিসাবে পূর্ণ-সময় পরিচর্যা করছে, তা লক্ষ্য করা খুবই আনন্দের বিষয়। (মথি ৬:৩৩) তাদের সত্যিই প্রশংসা করা উচিত!

যুবকদের জন্য

১৬. যুবকদের জন্য পৌল কী উপদেশ দিয়েছেন এবং তা সময়োপযোগী কেন?

১৬ এরপরে পৌল যুবকদের প্রসঙ্গে আসেন, যাদের মধ্যে তীতও অন্তর্ভুক্ত। দয়া করে তীত ২:​৬-৮ পড়ুন। বর্তমানে বহু যুবকদের দায়িত্বহীন ও ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ​—⁠ধূমপান, ড্রাগ ও মদের অপব্যবহার, অবৈধ যৌন আচরণ এবং অন্যান্য জাগতিক বিষয়ের অনুধাবন, যেমন উন্মাদ খেলাধূলা, অধঃপতিত সঙ্গীত ও আমোদপ্রমোদ​—⁠এই সবকিছু দৃষ্টিতে রাখলে, যে খ্রীষ্টীয় যুবকেরা স্বাস্থ্যকর ও সন্তুষ্টিজনক জীবন যাপন করতে চায় তাদের জন্য এটি খুবই সময়োপযোগী উপদেশ।

১৭. একজন যুবক কিভাবে “সংযত” এবং “সৎক্রিয়ার আদর্শ” হতে পারে?

১৭ জগতের যুবকদের পরিবর্তে, একজন খ্রীষ্টান যুবককে “সংযত” এবং “সৎক্রিয়ার আদর্শ” হতে হবে। পৌল ব্যাখ্যা করেছিলেন যে সংযত ও পরিপক্ক মন শুধুমাত্র যারা অধ্যয়ন করে তারা নয়, কিন্তু যাদের “জ্ঞানেন্দ্রিয় সকল অভ্যাস প্রযুক্ত সদসৎ বিষয়ের বিচারণে পটু হইয়াছে” তারাই লাভ করতে পারে। (ইব্রীয় ৫:১৪) স্বার্থপর জাগতিক বিষয়ের প্রচেষ্টা না করে, যুবকেরা যে তাদের সময় ও শক্তি স্বেচ্ছায় খ্রীষ্টীয় মণ্ডলীর বহু কাজে ব্যয় করেছে তা লক্ষ্য করা কত অপূর্ব! তা করলে, তারাও তীতের মত, খ্রীষ্টীয় মণ্ডলীতে “সৎক্রিয়ার” আদর্শ হয়ে উঠবে।​—⁠১ তীমথিয় ৪:১২.

১৮. শিক্ষাতে অবিকার্য, ধীর এবং অদূষ্যবাদী হওয়ার অর্থ কী?

১৮ যুবকদের মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে যে তাদের “শিক্ষাতে অবিকার্য্যতা, ধীরতা, এবং অদূষ্য নিরাময় বাক্য প্রদর্শন” করতে হবে। যে শিক্ষা ‘অবিকার্য’ তার ভিত্তি দৃঢ়ভাবে ঈশ্বরের বাক্যের উপরে হতে হবে; সুতরাং, যুবকদের বাইবেলের পরিশ্রমী ছাত্র হতে হবে। বয়স্ক ব্যক্তিদের মত, যুবকদেরও ধীর হতে হবে। তাদের উপলব্ধি করতে হবে যে ঈশ্বরের বাক্যের পরিচারক হওয়া একটি গুরুতর দায়িত্ব, আর সেইজন্য তাদের “সুসমাচারের যোগ্যরূপে” আচরণ করতে হবে। (ফিলিপীয় ১:২৭) একইভাবে তাদের কথাবার্তা “নিরাময়” ও “অদূষ্য” হতে হবে যাতে বিরোধীরা তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার কোন সুযোগ না পায়।​—⁠২ করিন্থীয় ৬:৩; ১ পিতর ২:​১২, ১৫.

ক্রীতদাস ও ভৃত্যদের জন্য

১৯, ২০. যারা অন্যদের কাছে কাজ করে, তারা কিভাবে “আমাদের ত্রাণকর্ত্তা ঈশ্বরের শিক্ষা সর্ব্ববিষয়ে ভূষিত” করতে পারে?

১৯ অবশেষে, যারা অন্যদের কাছে কাজ করে পৌল তাদের প্রতি দৃষ্টি দেন। দয়া করে তীত ২:​৯, ১০ পড়ুন। বর্তমানে, আমাদের মধ্যে কেউ ক্রীতদাস বা ভৃত্য না হলেও, আমরা কর্মী বা কর্মচারী হিসাবে অন্যদের কাজ করি। তাই পৌলের নীতি আজকেও প্রযোজ্য।

২০ “আপন আপন স্বামীর বশীভূত” থাকার অর্থ যে খ্রীষ্টীয় কর্মচারীরা তাদের কর্তা বা তত্ত্বাবধায়কদের প্রতি প্রকৃত সম্মান প্রদর্শন করবে। (কলসীয় ৩:২২) তাদের সৎ কর্মী হিসাবে সুনাম থাকা চাই, তাদের কর্তার প্রাপ্য সম্পূর্ণ দিনের কাজ যেন তারা দেয়। আর অন্যদের আচরণ যাই হোক না কেন, কর্মস্থলে তাদের খ্রীষ্টীয় ব্যবহারের উচ্চ মান বজায় রাখতে হবে। এই সবকিছু করতে হবে যাতে তারা “আমাদের ত্রাণকর্ত্তা ঈশ্বরের শিক্ষা সর্ব্ববিষয়ে ভূষিত করে।” আমরা প্রায়ই শুনি যে একজন সাক্ষী সহকর্মী বা কর্মচারীর ভাল ব্যবহারের লক্ষ্য করে অনেকে সত্যের প্রতি সাড়া দিয়েছে! যারা এমনকি তাদের কর্মক্ষেত্রেও যিহোবার স্বাস্থ্যকর শিক্ষা মেনে চলে, তারা এই আশীর্বাদ পায়।​—⁠ইফিষীয় ৬:​৭, ৮.

এক বিশুদ্ধ জাতি

২১. যিহোবা কেন স্বাস্থ্যকর শিক্ষা দিয়েছেন এবং আমাদের কিভাবে দেওয়া উচিত?

২১ পৌল যে স্বাস্থ্যকর শিক্ষা দিয়েছিলেন, তা শুধুমাত্র কোন নীতিশাস্ত্র বা নৈতিক মান নয় যা আমাদের ইচ্ছা হলে আমরা পালন করতে পারি। পৌল এর উদ্দেশ্য সম্বন্ধে আরও কিছু বলেছিলেন। দয়া করে তীত ২:​১১, ১২ পদ পড়ুন। আমাদের জন্য প্রেম ও করুণাবশত, যিহোবা ঈশ্বর স্বাস্থ্যকর শিক্ষা দিয়েছেন যাতে আমরা এই বিষম ও বিপজ্জনক সময়ে উদ্দেশ্যপূর্ণ ও সন্তুষ্টিজনক জীবন যাপন করতে শিখতে পারি। স্বাস্থ্যকর শিক্ষাকে গ্রহণ করতে এবং আপনার জীবনের পথ করে নিতে আপনি কি ইচ্ছুক? তা করলে আপনি পরিত্রাণ পেতে পারেন।

২২, ২৩. স্বাস্থ্যকর শিক্ষাকে আমাদের জীবনের পথ করে নিয়ে আমরা কী আশীর্বাদ পেতে পারি?

২২ এছাড়াও, স্বাস্থ্যকর শিক্ষাকে আমাদের জীবনের পথ করে নিলে আমরা এখন একটি অনুপম সুযোগ পেতে পারি এবং ভবিষ্যতের জন্য একটি আনন্দময় আশা রাখতে পারি। দয়া করে তীত ২:​১৩, ১৪ পড়ুন। বাস্তবিকই, স্বাস্থ্যকর শিক্ষাকে আমাদের জীবনের পথ করে নিলে, অধঃপতিত মৃত্যুগামী জগৎ থেকে আমরা একটি বিশুদ্ধ জাতি হিসাবে পৃথক হতে পারি। পৌলের কথাগুলির সঙ্গে সীনয় পর্বতে ইস্রায়েলের প্রতি মোশির দেওয়া অনুস্মারকের সম্পর্ক আছে: “সদাপ্রভুও এই অঙ্গীকার করিয়াছেন যে, . . . আপনার রচিত সমস্ত জাতি অপেক্ষা তোমাকে শ্রেষ্ঠ করিয়া প্রশংসা, কীর্ত্তি ও মর্য্যাদাস্বরূপ করিবেন, এবং তিনি যেমন বলিয়াছেন, তদনুসারে তুমি আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশে পবিত্র প্রজা হইবে।”​—⁠দ্বিতীয় বিবরণ ২৬:​১৮, ১৯.

২৩ স্বাস্থ্যকর শিক্ষাকে আমাদের জীবনের পথ করে নিয়ে আমরা যেন সর্বদা যিহোবার বিশুদ্ধ জাতি হওয়ার মহান সুযোগ উপলব্ধি করি! সবসময়ে ভক্তিহীনতা ও সাংসারিক অভিলাষ অস্বীকার করতে সতর্ক থাকুন, আর এইভাবে বিশুদ্ধ ও যিহোবা আজ যে মহান কাজ করছেন তার উপযোগী হোন।​—⁠কলসীয় ১:১০.

আপনার কী মনে আছে?

▫ ঈশ্বরীয় ভক্তি কেন সর্ববিষয়ে সুফলদায়ক?

▫ বয়স্ক খ্রীষ্টীয় পুরুষ ও মহিলারা কিভাবে স্বাস্থ্যকর শিক্ষাকে তাদের জীবনের পথ করে নিতে পারে?

▫ মণ্ডলীর যুবক-যুবতীদের জন্য পৌল কী উপদেশ দিয়েছেন?

▫ স্বাস্থ্যকর শিক্ষাকে যদি আমরা আমাদের জীবনের পথ করে নিই, তাহলে আমরা কী আশীর্বাদ পেতে পারি?

[Pictures on page 25]

আজ অনেকে তীত ২:২-৪ পদের উপদেশ পালন করছে

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার