ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • mwbr24 মে পৃষ্ঠা ১-১৪
  • “জীবন ও পরিচর্যা সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা”-র রেফারেন্স

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • “জীবন ও পরিচর্যা সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা”-র রেফারেন্স
  • জীবন ও পরিচর্যা—সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা-র রেফারেন্স—২০২৪
  • উপশিরোনাম
  • মে ৬-১২
  • মে ১৩-১৯
  • মে ২০-২৬
  • মে ২৭–জুন ২
  • জুন ৩-৯
  • জুন ১০-১৬
  • জুন ১৭-২৩
  • জুন ২৪-৩০
জীবন ও পরিচর্যা—সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা-র রেফারেন্স—২০২৪
mwbr24 মে পৃষ্ঠা ১-১৪

জীবন ও পরিচর্যা সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা-র রেফারেন্স

© 2024 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania

মে ৬-১২

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন গীতসংহিতা ৩৬-৩৭

“তুমি দুরাচারদের বিষয়ে রুষ্ট হইও না”

প্রহরীদুর্গ ১৭.০৪ ১০ অনু. ৪

ঈশ্বরের রাজ্য আসার পর কী দূর হয়ে যাবে?

৪ দুষ্ট লোকেরা এখন আমাদের কীভাবে প্রভাবিত করে? প্রেরিত পৌল বলেছিলেন, শেষকালে “বিষম সময়” উপস্থিত হবে। এরপর, তিনি আরও বলেছিলেন: “দুষ্ট লোকেরা ও বঞ্চকেরা . . . উত্তর উত্তর কুপথে অগ্রসর হইবে।” (২ তীম. ৩:১-৫, ১৩) আপনি কি এই ভবিষ্যদ্‌বাণীর পরিপূর্ণতা দেখতে পাচ্ছেন? আমাদের মধ্যে অনেকেই দুষ্ট লোকেদের, যেমন নিষ্ঠুর উত্ত্যক্তকারী, বর্ণবিদ্বেষী ও কুখ্যাত অপরাধীদের শিকার হয়েছে। এই দুষ্ট লোকেদের মধ্যে কেউ কেউ নিজেদের খারাপ কাজগুলো গোপন করার চেষ্টা করে না। আবার অন্যেরা লোকেদের সাহায্য করার ভান করে, তবে তারা আসলে দুষ্ট। কিন্তু, আমরা যদি কোনো অপরাধের শিকার না-ও হই, তবুও আমরা দুষ্ট লোকেদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে থাকি। আমরা যখন শুনি, শিশুরা, বয়স্ক লোকেরা ও অসহায় ব্যক্তিরা নিষ্ঠুর আচরণের শিকার হয়েছে, তখন আমরা প্রচণ্ড দুঃখ পাই। এই দুষ্ট লোকেদের আচরণ বলতে গেলে পশুর মতো ও পৈশাচিক। (যাকোব ৩:১৫) আনন্দের বিষয় হল, যিহোবার বাক্য আমাদের আশা প্রদান করে।

প্রহরীদুর্গ ২২.০৬ ১০ অনু. ১০

ক্ষমা করুন এবং যিহোবার কাছ থেকে আশীর্বাদ পান!

১০ রাগ পুষে রাখলে আমাদেরই ক্ষতি হয়। আমরা যদি কারো উপর রেগে থাকি, তা হলে এটা এমন হবে যেন আমরা একটা ভারি বোঝা বয়ে চলেছি। (পড়ুন, ইফিষীয় ৪:৩১, ৩২.) এই কারণে যিহোবা আমাদের বলেন: “ক্রোধ হইতে নিবৃত্ত হও, কোপ ত্যাগ কর।” (গীত. ৩৭:৮) এটা কতই-না উত্তম পরামর্শ! আমরা যদি ভিতরে ভিতরে রাগ পুষে রাখি, তা হলে এটা এমন হবে যেন আমরা বিষ খেয়ে চলেছি। এতে আমাদেরই ক্ষতি হবে। আমরা সবসময় দুশ্চিন্তার মধ্যে থাকব আর আমাদের স্বাস্থ্যও খারাপ হয়ে যেতে পারে। (হিতো. ১৪:৩০) কিন্তু, আমরা যদি অন্যদের ক্ষমা করে দিই, তা হলে এতে আমাদেরই ভালো হবে। (হিতো. ১১:১৭) আমরা মনের শান্তি পাব আর সেইসঙ্গে আমাদের স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে। এভাবে, আমরা আনন্দে থাকতে এবং ভালোভাবে যিহোবার সেবা করতে পারব।

প্রহরীদুর্গ ০৩ ১২/১ ১৩ অনু. ২০

“যিহোবাতে আমোদ কর”

২০ এরপর “মৃদুশীলেরা দেশের [“পৃথিবীর,” NW] অধিকারী হইবে।” (গীতসংহিতা ৩৭:১১ক) কিন্তু, এই “মৃদুশীলেরা” কারা? ‘মৃদু’ হিসেবে অনুবাদিত শব্দটা যে-মূল শব্দ থেকে এসেছে, সেটার অর্থ, “দুর্দশাগ্রস্ত, নম্র, অবনমিত।” হ্যাঁ, “মৃদুশীলেরা” হল তারা, যারা তাদের ওপর যেসকল অবিচার করা হচ্ছে, সেগুলোর সংশোধনের জন্য নম্রভাবে যিহোবার অপেক্ষা করে। তারা “শান্তির বাহুল্যে আমোদ করিবে।” (গীতসংহিতা ৩৭:১১খ) এমনকি এখনই আমরা সত্য খ্রিস্টীয় মণ্ডলীর সঙ্গে সংযুক্ত আধ্যাত্মিক পরমদেশে প্রচুর শান্তি খুঁজে পাই।

অমূল্য রত্ন

অন্তর্দৃষ্টি-২ ৪৪৫, ইংরেজি

পর্বত

দৃঢ়তা, স্থায়িত্ব অথবা খুব উঁচু। পর্বতকে দৃঢ় ও স্থায়ী বলে মনে করা হয়। (যিশা ৫৪:১০; হবক্‌ ৩:৬; তুলনা করুন, গীত ৪৬:২) তাই, গীতরচক যখন যিহোবার ধার্মিকতাকে “পর্ব্বতসমূহের তুল্য” বলে বর্ণনা করেছিলেন, তখন তিনি হয়তো বুঝিয়েছিলেন যে, তাঁর ধার্মিকতা অপরিবর্তনীয় ও অটল। অথবা এটা এই বিষয়কেও বোঝাতে পারে যে, ঈশ্বরের ধার্মিকতা মানুষের ধার্মিকতার চেয়ে আরও অনেক অনেক বেশি উঁচু। (তুলনা করুন, যিশা ৫৫:৮, ৯) ঈশ্বরের ক্রোধের সপ্তম বাটি ঢেলে দেওয়ার বিষয়ে উল্লেখ করার সময় প্রকাশিত বাক্য ১৬:২০ পদ বলে: “পর্বতগুলোকে আর খুঁজে পাওয়া গেল না।” এটা থেকে বোঝা যায়, এমনকী পর্বতের মতো উঁচু বিষয়গুলোও তাঁর ক্রোধ থেকে রক্ষা পাবে না।—তুলনা করুন, যির ৪:২৩-২৬.

মে ১৩-১৯

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন গীতসংহিতা ৩৮-৩৯

নিজেকে অতিরিক্ত দোষী বলে মনে করার বোঝা ফেলে দিন

প্রহরীদুর্গ ২০.১১ ২৭ অনু. ১২-১৩

সামনের বিষয়গুলোর প্রতি দৃষ্টি রাখুন

১২ প্রথম যোহন ৩:১৯, ২০ পদ পড়ুন। আমরা সবাই কখনো কখনো নিজেদের দোষী বলে মনে করি। উদাহরণ স্বরূপ, কেউ কেউ সত্য শেখার আগে যা করেছিল, সেটার কারণে নিজেদের দোষী বলে মনে করে। অন্যেরা আবার বাপ্তিস্মের পরে যে-ভুলগুলো করেছিল, সেটার কারণে নিজেদের দোষী বলে মনে করে। এইরকম অনুভূতি খুবই সাধারণ। (রোমীয় ৩:২৩) অবশ্য, আমরা সবাই সঠিক কাজ করতে চাই। কিন্তু, “আমরা সকলে বিভিন্ন সময় হোঁচট খাই।” (যাকোব ৩:২, পাদটীকা; রোমীয় ৭:২১-২৩) আমরা যখন নিজেদের দোষী বলে মনে করি, তখন আমরা দুঃখিত হই। কিন্তু, এর উপকারিতাও রয়েছে। আমাদের দোষী মনোভাব নিজেদের জীবনে পরিবর্তন করার জন্য এবং পুনরায় একই ভুল না করার বিষয়ে দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ হওয়ার জন্য আমাদের অনুপ্রাণিত করতে পারে।—ইব্রীয় ১২:১২, ১৩.

১৩ অন্যদিকে, আমরা হয়তো নিজেদের অতিরিক্ত দোষী বলে মনে করতে পারি অর্থাৎ অনুতপ্ত হওয়ার এবং যিহোবার কাছ থেকে ক্ষমা লাভ করার পরও ক্রমাগত নিজেদের দোষী বলে মনে করতে পারি। এই ধরনের দোষী মনোভাব ক্ষতিকর হতে পারে। (গীত. ৩১:১০; ৩৮:৩, ৪) কীভাবে? একজন বোনের উদাহরণ নিয়ে বিবেচনা করুন, যিনি অতীতের ভুলগুলোর কারণে নিজেকে ক্রমাগত দোষারোপ করছিলেন। তিনি বলেন: “আমি মনে করেছিলাম যে, যিহোবার সেবায় কঠোর পরিশ্রম করার কোনো মূল্য নেই কারণ আমি হয়তো রক্ষা পাব না।” আমাদের মধ্যে অনেকে হয়তো এইরকম মনে করতে পারে। তাই, আমাদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে যেন আমরা নিজেদের অতিরিক্ত দোষী বলে মনে না করি। কেন? কারণ যিহোবার কাছ থেকে ক্ষমা লাভ করার পরও আমরা তাঁর সেবা বন্ধ করে দিতে পারি আর এতে শয়তান খুবই আনন্দিত হবে।—তুলনা করুন, ২ করিন্থীয় ২:৫-৭, ১১.

প্রহরীদুর্গ ০২ ১১/১৫ ২০ অনু. ১-২

কীভাবে আমরা আমাদের দিনকে যিহোবার সামনে গণনা করতে পারি?

আমাদের জীবনের দিনগুলো অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত ও ক্ষণস্থায়ী বলে মনে হয়। গীতরচক দায়ূদ জীবনের এই ক্ষণস্থায়িত্ব নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করেছিলেন আর তিনি এই প্রার্থনা করতে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন: “সদাপ্রভু, আমার অন্তকাল আমাকে জানাও, আমার আয়ুর পরিমাণ কি, জানাও, আমি জানিতে চাহি, আমি কেমন ক্ষণিক। দেখ, তুমি আমার আয়ু কতিপয় মুষ্টি পরিমিত করিয়াছ, আমার জীবনকাল তোমার দৃষ্টিতে অবস্তুবৎ।” দায়ূদের উদ্দেশ্য ছিল যে তিনি তার মুখের বাক্য ও কাজের মাধ্যমে এমন এক জীবনযাপন করবেন, যা ঈশ্বরকে খুশি করবে। ঈশ্বরের ওপর তার নির্ভরতা প্রকাশ করতে গিয়ে, তিনি বলেছিলেন: “তোমাতেই আমার প্রত্যাশা।” (গীতসংহিতা ৩৯:৪, ৫, ৭) যিহোবা শুনেছিলেন। বস্তুত, তিনি দায়ূদের কার্যকলাপ পরিমাপ করেছিলেন এবং সেই অনুসারে তাকে পুরস্কৃত করেছিলেন।

দিনের প্রতিটি মুহূর্তে ব্যস্ত থাকা আর দ্রুতগতি ও কাজকর্মে ভরা জীবনধারার সঙ্গে ভেসে যাওয়া সহজ। এটা আমাদের মধ্যে এক উৎকণ্ঠামূলক উদ্বেগ জাগিয়ে তুলতে পারে, বিশেষ করে যখন দেখি যে অনেক কাজ করতেও অভিজ্ঞতা লাভ করতে হবে অথচ সময় খুবই অল্প। আমাদের উদ্দেশ্যও কি দায়ূদের মতো—এমনভাবে জীবনযাপন করা, যাতে ঈশ্বরের অনুমোদন পাওয়া যায়? এটা নিশ্চিত যে, যিহোবা আমাদের প্রত্যেকের প্রতি নজর রাখেন এবং সতর্কতার সঙ্গে আমাদের পরীক্ষা করেন। ঈশ্বর ভয়শীল ব্যক্তি ইয়োব প্রায় ৩,৬০০ বছর আগে স্বীকার করেছিলেন যে, যিহোবা তার পথের প্রতি দৃষ্টি রেখেছিলেন এবং তার পদক্ষেপগুলো গণনা করেছিলেন। ইয়োব অলংকারপূর্ণ ভাষায় জিজ্ঞেস করেছিলেন: “তিনি তত্ত্ব করিলে তাঁহাকে কি উত্তর দিব?” (ইয়োব ৩১:৪-৬, ১৪) আধ্যাত্মিক বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে, তাঁর আদেশগুলো পালন করে এবং নিজেদের সময়কে সঠিকভাবে ব্যবহার করার মাধ্যমে, ঈশ্বরের সামনে আমাদের দিনগুলো গণনা করা সম্ভব। আসুন এই বিষয়গুলো আমরা আরও নিবিড়ভাবে বিবেচনা করে দেখি।

প্রহরীদুর্গ ২১.১০ ১৫ অনু. ৪

যিহোবার সঙ্গে আপনার সম্পর্ক পুনরায় গড়ে তুলুন

যিহোবার সঙ্গে বার বার কথা বলুন। আপনার পিতা যিহোবা জানেন, আপনি যদি সবসময় নিজেকে দোষী বলে মনে করেন, তা হলে তাঁর কাছে প্রার্থনা করা আপনার পক্ষে সহজ হবে না। (রোমীয় ৮:২৬) তারপরও, “অবিরত প্রার্থনা” করুন আর যিহোবাকে বলুন যে, আপনি তাঁর সঙ্গে পুনরায় বন্ধুত্ব করতে চান। (রোমীয় ১২:১২) আন্দ্রে যখন এমনটা করেছিলেন, তখন তিনি অনেক উপকৃত হয়েছিলেন। তিনি বলেন: “আমি নিজেকে খুব দোষী বলে মনে করতাম এবং লজ্জা বোধ করতাম। কিন্তু, প্রার্থনা করার সঙ্গেসঙ্গে আমি মনের শান্তি লাভ করতাম।” অনেক সময় আপনি হয়তো বুঝতে পারেন না যে, প্রার্থনায় আপনি কী বলবেন। সেই সময়ে আপনি রাজা দায়ূদের করা প্রার্থনাগুলোর উপর মনোযোগ দিতে পারেন, যেগুলো তিনি অনুতপ্ত হওয়ার পর লিখেছিলেন। এগুলো গীতসংহিতা ৫১ ও ৬৫ গীতে লেখা রয়েছে।

অমূল্য রত্ন

প্রহরীদুর্গ ২২.০৯ ১৩ অনু. ১৬

ভাই-বোনেরা কি আপনার উপর আস্থা রাখতে পারে?

১৬ আত্মসংযম বজায় রাখুন। নির্ভরযোগ্য হওয়ার জন্য আত্মসংযম বজায় রাখাও জরুরি। আমরা যদি আত্মসংযম বজায় রাখি, তা হলে আমরা এমন কথা অন্যদের বলব না, যেটা গোপন রাখা উচিত। আর সেইসময়েও বলব না, যখন তা বলতে আমাদের খুব ইচ্ছা করে। (পড়ুন, হিতোপদেশ ১০:১৯.) আমাদের বিশেষভাবে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করার সময় এই বিষয়ে খেয়াল রাখা উচিত। আমরা যদি খেয়াল না রাখি, তা হলে আমরা হয়তো অজান্তেই এমন কোনো কথা অন্যদের কাছে বলে ফেলব, যেটা অন্যদের কাছে বলার কথা ছিল না। আর একবার ইন্টারনেটে কোনো কিছু পোস্ট করে দিলে সেটা কত লোকের কাছে ছড়িয়ে পড়বে, তারা সেটাকে কীভাবে ব্যবহার করবে আর এর ফলে কোন কোন সমস্যা দেখা দেবে, এই সমস্ত কিছুর উপর আমাদের নিয়ন্ত্রণ আর থাকে না। আমাদের সেইসময়েও আত্মসংযম বজায় রাখা উচিত এবং চুপ থাকা উচিত, যখন আমাদের কাজের উপর বিরোধিতা করে এমন লোকেরা আমাদের ভাই-বোনদের সম্বন্ধে কৌশলতার সঙ্গে তথ্য জানার চেষ্টা করে। আমরা হয়তো এমন কোনো দেশে থাকি, যেখানে আমাদের কাজের উপর বিধি-নিষেধ অথবা নিষেধাজ্ঞা রয়েছে আর হতে পারে, কিছু পুলিশ আমাদের কাজের বিষয়ে জিজ্ঞেস করে। যখন এমন কিছু হয়, তখন যেন আমরা নিজেদের ‘মুখে জাল্‌তি বাঁধিয়া রাখি’ আর তাদের এমন কোনো তথ্য না দিই, যেটার কারণে ভাই-বোনেরা বিপদের মুখে পড়তে পারে। (গীত. ৩৯:১) আমরা সবাই চাই যেন আমাদের পরিবারের সদস্য, আমাদের বন্ধুবান্ধব, ভাই-বোনেরা এবং অন্যেরা আমাদের উপর আস্থা রাখে। কিন্তু, তারা তখনই আমাদের উপর আস্থা রাখতে পারবে, যখন আমরা আত্মসংযম বজায় রাখব।

মে ২০-২৬

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন গীতসংহিতা ৪০-৪১

কেন অন্যদের সাহায্য করবেন?

প্রহরীদুর্গ ১৮.০৮ ২২ অনু. ১৬-১৮

যারা উদারভাবে দেয়, তারা সুখী হয়

১৬ প্রকৃতরূপে উদার ব্যক্তিরা অন্যদের কাছ থেকে কিছু পাওয়ার আশা নিয়ে কিছু দেয় না। যিশু বলেছিলেন: “তুমি যখন ভোজ প্রস্তুত কর, তখন দরিদ্র, নুলা, খঞ্জ ও অন্ধদিগকে নিমন্ত্রণ করিও; তাহাতে ধন্য” বা সুখী “হইবে, কেননা তোমার প্রতিদান করিতে তাহাদের কিছু নাই।” (লূক ১৪:১৩, ১৪) এ ছাড়া, বাইবেল ব্যাখ্যা করে: “সুনয়ন [“দানশীল,” বাংলা কমন ল্যাঙ্গুয়েজ ভারশন] ব্যক্তি আশীর্ব্বাদযুক্ত হইবে” এবং “ধন্য” বা সুখী “সেই জন, যে দীনহীনের পক্ষে চিন্তাশীল।” (হিতো. ২২:৯; গীত. ৪১:১) আমাদের উদারতা দেখানো উচিত কারণ আমরা প্রকৃতই অন্যদের সাহায্য করতে চাই।

১৭ পৌল যখন যিশুর এই কথাগুলো উদ্ধৃতি করেছিলেন, “গ্রহণ করা অপেক্ষা বরং দান করা ধন্য” বা সুখী “হইবার বিষয়,” তখন তিনি কেবল বস্তুগত জিনিস দেওয়ার বিষয়ে বলছিলেন না। আমরা লোকেদের উৎসাহ, বাইবেল থেকে পরামর্শ ও ব্যাবহারিক সাহায্যও প্রদান করতে পারি। (প্রেরিত ২০:৩১-৩৫) পৌল তার কথা ও কাজের মাধ্যমে আমাদের শিখিয়েছিলেন যে, লোকেদের সময় ও শক্তি দেওয়ার, তাদের প্রতি মনোযোগ দেওয়ার এবং তাদের প্রতি ভালোবাসা দেখানোর বিষয়ে উদার হওয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

১৮ যে-গবেষকরা মানব আচরণ নিয়ে গবেষণা করে, তারাও দেখেছে যে, দেওয়ার মাধ্যমে লোকেরা সুখী হয়ে ওঠে। একটা প্রবন্ধ অনুযায়ী, লোকেরা বলে যে, তারা অন্যদের জন্য উত্তম কাজ করার পর আরও বেশি সুখী হয়। গবেষকরা বলে যে, আমরা যখন অন্যদের সাহায্য করি, তখন আমরা আমাদের জীবনকে উদ্দেশ্যপূর্ণ ও অর্থপূর্ণ বলে মনে করি। তাই, কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ পরামর্শ দেয় যেন লোকেরা আরও বেশি স্বাস্থ্যবান ও সুখী হওয়ার জন্য স্বেচ্ছাসেবকের কাজ করে। অবশ্য, তারা গবেষণার মাধ্যমে যা জানতে পেরেছে, সেটা আমাদের অবাক করে না কারণ আমাদের প্রেমময় সৃষ্টিকর্তা যিহোবা প্রথম থেকেই বলেছেন যে, দেওয়ার মাধ্যমে আমরা সুখী হই।—২ তীম. ৩:১৬, ১৭.

প্রহরীদুর্গ ১৫ ১২/১৫ ২৪ অনু. ৭

যিহোবা আপনাকে ধরে রাখবেন

৭ তবে আপনি যদি অসুস্থ হয়ে থাকেন, তা হলে যিহোবা আপনাকে সান্ত্বনা দেবেন ও সমর্থন করবেন, ঠিক যেমনটা তিনি অতীতে তাঁর দাসদের ক্ষেত্রেও করেছিলেন। রাজা দায়ূদ লিখেছিলেন: “ধন্য সেই জন, যে দীনহীনের পক্ষে চিন্তাশীল; বিপদের দিনে সদাপ্রভু তাহাকে নিস্তার করিবেন। সদাপ্রভু তাহাকে রক্ষা করিবেন, জীবিত রাখিবেন।” (গীত. ৪১:১, ২) নিশ্চিতভাবেই দায়ূদ এটা বোঝাতে চাননি, সেই সময়ে বেঁচে থাকা একজন ভালো ব্যক্তি, যিনি দীনহীনের প্রতি চিন্তাশীল মনোভাব দেখান, তিনি কখনো মারা যাবেন না। তা হলে, যিহোবা কীভাবে সেই ভালো ব্যক্তিকে সাহায্য করবেন? দায়ূদ ব্যাখ্যা করেছিলেন: “ব্যাধিশয্যাগত হইলে সদাপ্রভু তাহাকে ধরিয়া রাখিবেন; তাহার পীড়ার সময়ে তুমি তাহার সমস্ত শয্যা পরিবর্ত্তন করিয়াছ।” (গীত. ৪১:৩) যিহোবার দাসেরা কী ভোগ করছে, তা তিনি ভালোভাবে জানেন আর তিনি তাদের ভুলে যান না। তিনি তাদের সাহস ও প্রজ্ঞা দিতে পারেন। এ ছাড়া, যিহোবা এমনভাবে মানবদেহ তৈরি করেছেন, যেন তা নিজে নিজে সুস্থ হতে পারে।

প্রহরীদুর্গ ১৭.০৯ ১২ অনু. ১৭

যিহোবার সমবেদনা অনুকরণ করুন

১৭ যদিও সমবেদনা দেখানো আমাদের জন্য উত্তম কিন্তু আমরা যে-প্রধান কারণে সমবেদনা দেখাই, তা হল আমরা যিহোবাকে অনুকরণ করতে চাই এবং তাঁকে গৌরব প্রদান করতে চাই। তিনি হলেন প্রেম ও দয়া বা সমবেদনার উৎস। (হিতো. ১৪:৩১) তিনি আমাদের জন্য সবচেয়ে নিখুঁত উদাহরণ স্থাপন করেন। তাই আসুন, আমরা সমবেদনা দেখানোর মাধ্যমে ঈশ্বরকে অনুকরণ করার জন্য যথাসাধ্য করি। এভাবে আমরা আমাদের ভাই-বোনদের আরও ঘনিষ্ঠ হব এবং আমাদের আশেপাশের লোকেদের সঙ্গে আরও উত্তম সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারব।—গালা. ৬:১০; ১ যোহন ৪:১৬.

অমূল্য রত্ন

অন্তর্দৃষ্টি-২ ১৬, ইংরেজি

যিহোবা

বাইবেলে মূলত এই বিষয়টা তুলে ধরা হয়েছে যে, যিহোবার শাসন ন্যায্য। আর এটা দেখায়, তাঁর প্রধান উদ্দেশ্য হল তাঁর নামকে পবিত্র করা। তা করার জন্য ঈশ্বরের নামকে সমস্ত অপমান থেকে মুক্ত হতে হবে। কিন্তু, আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, স্বর্গ ও পৃথিবীর সমস্ত বুদ্ধিবিশিষ্ট প্রাণীকে তাঁর সর্বোচ্চ অবস্থানের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে। যিহোবার প্রতি ভালোবাসার কারণে তাদের ইচ্ছুকমনে তাঁর সেবা করা উচিত এবং আনন্দ সহকারে তাঁর ইচ্ছা পালন করা উচিত। গীতসংহিতা ৪০:৫-১০ পদে উল্লেখিত দায়ূদের প্রার্থনার মধ্যে এই মনোভাব এবং যিহোবার নামের প্রকৃত পবিত্রীকরণের বিষয়টা চমৎকার উপায়ে প্রকাশ পেয়েছে। (এই গীতের বিভিন্ন অংশ ইব্রীয় ১০:৫-১০ পদ কীভাবে খ্রিস্ট যিশুর প্রতি প্রয়োগ করা হয়েছে, তা লক্ষ করুন।)

মে ২৭–জুন ২

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন গীতসংহিতা ৪২-৪৪

যিহোবার কাছ থেকে পাওয়া নির্দেশনা কাজে লাগান

প্রহরীদুর্গ ০৬ ৬/১ ৯ অনু. ৪

গীতসংহিতা বইয়ের দ্বিতীয় বিভাগের প্রধান বিষয়গুলো

৪২:৪, ৫, ১১; ৪৩:৩-৫. আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে রয়েছে এমন কোনো কারণে যদি আমরা কিছু সময়ের জন্য খ্রিস্টীয় মণ্ডলী থেকে বিচ্ছিন্ন থাকি, তা হলে অতীতের এই ধরনের আনন্দময় সাহচর্যের স্মৃতি আমাদের শক্তি জোগাতে পারে। যদিও প্রথমে এটা হয়তো নিঃসঙ্গতার যন্ত্রণাকে তীব্রতর করতে পারে কিন্তু এটা আমাদেরকে এও মনে করিয়ে দেবে যে, ঈশ্বর হলেন আমাদের আশ্রয় আর তাই মুক্তির জন্য আমাদের তাঁর অপেক্ষা করতে হবে।

প্রহরীদুর্গ ১২ ১/১৫ ১৫ অনু. ২

অধ্যয়নের সময়কে আরও উপভোগ্য এবং ফলপ্রসূ করে তোলা

১ প্রার্থনা: প্রথম যে-পদক্ষেপটা নিতে হবে, সেটা হল প্রার্থনা করা। (গীত. ৪২:৮) কেন? ঈশ্বরের বাক্য অধ্যয়ন করাকে আমাদের উপাসনার অংশ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। তাই, যিহোবার কাছে আমাদের যাচ্ঞা করতে হবে, যাতে তিনি আমাদেরকে সঠিক মনোভাব বজায় রাখতে সাহায্য করেন এবং আমাদেরকে তাঁর পবিত্র আত্মা দান করেন। (লূক ১১:১৩) বারবারা নামে দীর্ঘসময়ের একজন মিশনারি বলেন: “বাইবেল পড়ার বা অধ্যয়ন করার আগে আমি সবসময় প্রার্থনা করে থাকি। এরপর, আমি অনুভব করি যে, যিহোবা আমার সঙ্গে রয়েছেন এবং আমি যা করছি, সেটাকে তিনি অনুমোদন করেন।” অধ্যয়নের আগে প্রার্থনা করা, আমাদের সামনে যে-প্রচুর আধ্যাত্মিক খাদ্য রয়েছে, সেগুলো পূর্ণরূপে গ্রহণ করার জন্য আমাদের মন ও হৃদয়কে খুলে দেয়।

প্রহরীদুর্গ ১৬.০৯ ৫ অনু. ১১-১২

“তোমার হস্ত শিথিল না হউক”

১১ খ্রিস্টীয় সভা, সম্মেলন ও সেইসঙ্গে আমাদের বিভিন্ন স্কুল থেকে আমরা যে-সমস্ত নির্দেশনা পাই, সেগুলোর মাধ্যমেও যিহোবা আমাদের শক্তিশালী করেন। এসব নির্দেশনা সঠিক উদ্দেশ্য নিয়ে ঈশ্বরের সেবা করতে, বিভিন্ন লক্ষ্যস্থাপন করতে এবং বিভিন্ন খ্রিস্টীয় দায়িত্ব পালন করার ক্ষেত্রে আমাদের সাহায্য করতে পারে। (গীত. ১১৯:৩২) আপনি কি যিহোবার নির্দেশনা থেকে শক্তি লাভ করার ব্যাপারে উৎসুক?

১২ যিহোবা তাঁর লোকেদের সাহায্য করেছিলেন যেন তারা অমালেকীয় ও কূশীয়দের পরাজিত করতে পারে। আর তিনি নহিমিয় ও যিহুদিদের যিরূশালেমের প্রাচীর নির্মাণ সমাপ্ত করার শক্তি দিয়েছিলেন। একইভাবে, ঈশ্বর আমাদেরও শক্তি দেবেন যাতে আমরা নিজেদের উদ্‌বিগ্নতা এবং অন্যদের বিরোধিতা ও উদাসীনতা সত্ত্বেও, প্রচার কাজ করে চলতে পারি। (১ পিতর ৫:১০) যিহোবা অলৌকিকভাবে আমাদের সমস্যাগুলো দূর করে দেবেন না। এর পরিবর্তে, আমাদের অবশ্যই নিজেদের অংশটুকু করতে হবে। কীভাবে? আমাদের প্রতিদিন ঈশ্বরের বাক্য পড়তে হবে, প্রতি সপ্তাহের সভার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে ও সভায় যেতে হবে, নিয়মিতভাবে ব্যক্তিগত অধ্যয়ন ও পারিবারিক উপাসনা করতে হবে এবং প্রার্থনায় যিহোবার উপর নির্ভর করতে হবে। আমাদের শক্তিশালী ও উৎসাহিত করার জন্য যিহোবা যে-ব্যবস্থাগুলো করেছেন, সেগুলো থেকে কোনো কিছুই যেন আমাদের বিক্ষিপ্ত করতে না পারে। আপনার যদি মনে হয়, এগুলোর মধ্যে কোনোটার ব্যাপারে আপনার হস্ত শিথিল হয়ে পড়েছে, তা হলে ঈশ্বরের কাছে সাহায্য চান। তারপর দেখুন, কীভাবে ঈশ্বরের আত্মা আপনার “অন্তরে ইচ্ছা ও কার্য্য উভয়ের সাধনকারী” হয়। (ফিলি. ২:১৩) তাহলে, আপনি কি অন্যদের হস্ত সবল করতে পারেন?

অমূল্য রত্ন

অন্তর্দৃষ্টি-১ ১২৪২, ইংরেজি

শিয়াল

শাস্ত্রে শিয়ালকে প্রায়ই প্রতীক অথবা দৃষ্টান্ত হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। ইয়োব তার দুঃখজনক অবস্থা সম্বন্ধে বর্ণনা করার সময় চিৎকার করে বলেছিলেন যে, তিনি “শিয়ালদের ভাই” হয়ে গিয়েছেন। (ইয়োব ৩০:২৯) একবার যখন ঈশ্বরের লোকেরা যুদ্ধে চরমভাবে পরাজিত হয়েছিল, তখন একজন গীতরচক দুঃখ করে বলেছিলেন: “তুমি আমাদিগকে শৃগালদিগের স্থানে চূরমার করিয়াছ।“ (গীত ৪৪:১৯) তিনি সম্ভবত সেই যুদ্ধক্ষেত্র সম্বন্ধে উল্লেখ করেছিলেন, যেখানে শিয়ালেরা মৃতদেহ খাওয়ার জন্য একত্রিত হয়। (তুলনা করুন, গীত ৬৮:২৩) খ্রিস্টপূর্ব ৬০৭ সালে ব্যাবিলন যখন জেরুসালেমকে অবরোধ করেছিল, তখন পুরো নগরে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিল। ক্ষুধার তাড়নায় মায়েরা এতটাই নিষ্ঠুর হয়ে গিয়েছিল যে, তারা তাদের সন্তানদেরও রেহাই দেয়নি। এটা দেখে যিরমিয় বলেছিলেন, ‘আমার জাতির’ চেয়ে শিয়ালেরা আরও ভালো, যারা তাদের বাচ্চাদের যত্ন নিয়ে থাকে।—বিলাপ ৪:৩, ১০.

জুন ৩-৯

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন গীতসংহিতা ৪৫-৪৭

একজন রাজার বিয়ে সম্বন্ধে গান

প্রহরীদুর্গ ১৪ ২/১৫ ৯-১০ অনু. ৮-৯

মেষশাবকের বিবাহে আনন্দ করুন!

৮ গীতসংহিতা ৪৫:১৩, ১৪ক পদ পড়ুন। কনেকে রাজকীয় বিয়ের জন্য “সর্ব্বতোভাবে সুশোভিতা” হিসেবে উপস্থিত করা হয়। প্রকাশিত বাক্য ২১:২ পদে কনেকে একটা নগরের সঙ্গে, নতুন যিরূশালেমের সঙ্গে তুলনা করা হয় এবং বলা হয় যে, তিনি “আপন বরের নিমিত্ত বিভূষিতা” হয়েছেন। স্বর্গীয় নগর “ঈশ্বরের প্রতাপবিশিষ্ট” এবং এর জ্যোতি “বহুমূল্য মণির, স্ফটিকবৎ নির্ম্মল সূর্য্যকান্তমণির তুল্য।” (প্রকা. ২১:১০, ১১) প্রকাশিত বাক্য বইয়ে নতুন যিরূশালেমের সৌন্দর্য সম্বন্ধে চমৎকারভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। (প্রকা. ২১:১৮-২১) তাই, এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে, গীতরচক কনেকে “সর্ব্বতোভাবে সুশোভিতা” বলে অভিহিত করেছেন! সবচেয়ে বড়ো কথা হল, এই রাজকীয় বিয়ে স্বর্গে হচ্ছে।

৯ কনেকে যাঁর কাছে নিয়ে আসা হয়, তিনি হলেন বর, মশীহ রাজা। ‘তিনি জলস্নান দ্বারা বাক্যে তাহাকে শুচি করিয়া’ প্রস্তুত করেন। তাই, সেই কনে “পবিত্র ও অনিন্দনীয়।” (ইফি. ৫:২৬, ২৭) তাকেও সেই উপলক্ষ্যের জন্য উপযুক্তভাবে সজ্জিত হতে হবে। আর তিনি সেভাবেই সজ্জিত হন! বাস্তবিকপক্ষে, “তাঁহার পরিচ্ছদ স্বর্ণসূত্র-খচিত” এবং “তিনি সূচীশিল্পিত বস্ত্র পরিয়া রাজার নিকটে আনীতা হইবেন।” মেষশাবকের বিয়ের জন্য “ইহাকে এই বর দত্ত হইল যে, সে উজ্জ্বল ও শুচি মসীনা-বস্ত্রে আপনাকে সজ্জিত করে, কারণ সেই মসীনা-বস্ত্র পবিত্রগণের ধর্ম্মাচরণ।”—প্রকা. ১৯:৮.

প্রহরীদুর্গ ২২.০৫ ১৭ অনু. ১০-১২

প্রকাশিত বাক্যে আমাদের ভবিষ্যতের জন্য আশা

১০ যখন যিহোবার লোকদের উপর আক্রমণ করা হবে, তখন এটা দেখে যিহোবার কেমন লাগবে? তিনি বলেন, “আমার ভীষণ ক্রোধ জ্বলে উঠবে।” (যিহি. ৩৮:১৮, বাংলা কমন ল্যাঙ্গুয়েজ ভারশন; যিহি. ৩৮:২১-২৩) প্রকাশিত বাক্য ১৯ অধ্যায়ে বলা হয়েছে যে, যিহোবা কী করবেন। যিহোবা তাঁর লোকদের রক্ষা করার এবং তাঁর শত্রুদের ধ্বংস করার জন্য তাঁর পুত্রকে পাঠাবেন। যিশুর সঙ্গে “স্বর্গীয়বাহিনী” অর্থাৎ বিশ্বস্ত স্বর্গদূতেরা এবং ১,৪৪,০০০ জন সহ-শাসকও থাকবে। (প্রকা. ১৭:১৪; ১৯:১১-১৫) এই যুদ্ধের ফলাফল কী হবে? যত লোক এবং সংগঠনগুলো যিহোবার বিরুদ্ধে যাবে, তাদের সবাইকে ধ্বংস করে দেওয়া হবে। —পড়ুন, প্রকাশিত বাক্য ১৯:১৯-২১.

১১ যখন ঈশ্বরের শত্রুরা ধ্বংস হয়ে যাবে, তখন পৃথিবীতে বিশ্বস্ত লোকেরা আনন্দ করবে। সেইসময় স্বর্গের পরিবেশ কেমন হবে? মহতী বাবিলের ধ্বংসের সময় স্বর্গে অনেক আনন্দ হয়েছিল, কিন্তু এখন এমন কিছু হবে, যেটার কারণে স্বর্গে আরও বেশি আনন্দ হবে। (প্রকা. ১৯:১-৩) প্রকাশিত বাক্য বইয়ের শেষের দিকে বলা হয়েছে, ‘মেষশাবকের বিয়ে’ হবে।—প্রকা. ১৯:৬-৯.

১২ মেষশাবকের বিয়ে কখন হবে? আরমাগিদোন যুদ্ধ শুরু হওয়ার ঠিক আগে ১,৪৪,০০০ জন ব্যক্তির সবাইকে স্বর্গে একত্রিত করা হবে। কিন্তু, এই বিয়ে তখনও হবে না। (পড়ুন, প্রকাশিত বাক্য ২১:১, ২.) আরমাগিদোন যুদ্ধে যখন সমস্ত শত্রু ধ্বংস হয়ে যাবে, তারপর মেষশাবকের বিয়ে হবে।—গীত. ৪৫:৩, ৪, ১৩-১৭.

অন্তর্দৃষ্টি-২ ১১৬৯, ইংরেজি

যুদ্ধ

এই যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর পৃথিবীতে এক হাজার বছর ধরে শান্তি থাকবে। গীতরচক আনন্দের সঙ্গে বলেছিলেন যে, যিহোবা “পৃথিবীর প্রান্ত পর্য্যন্ত যুদ্ধ নিবৃত্ত করেন; তিনি ধনু ভগ্ন করেন, বড়শা খণ্ড খণ্ড করেন, তিনি রথ সকল আগুনে পোড়াইয়া দেন।” এই ভবিষ্যদ্‌বাণী প্রথমে সেইসময়ে পরিপূর্ণ হয়েছিল, যখন যিহোবা শত্রুদের যুদ্ধের সরঞ্জাম ধ্বংস করার মাধ্যমে ইজরায়েলের জন্য শান্তি নিয়ে এসেছিলেন। হর্‌মাগিদোনের সময় যিশু সেই লোকদের পরাজিত করবেন, যারা যুদ্ধ করার জন্য উসকে দেয়। এরপর পুরো পৃথিবীতে চিরকালের জন্য শান্তি থাকবে। (গীত ৪৬:৮-১০) যে-লোকেরা ‘আপন আপন খড্‌গ ভাঙ্গিয়া লাঙ্গলের ফাল গড়িয়াছে, ও আপন আপন বড়শা ভাঙ্গিয়া কাস্তা গড়িয়াছে” এবং যারা “আর যুদ্ধ শিখিবে না,” তারা অনন্তজীবন লাভ করবে। কেন আমরা নিশ্চিত থাকতে পারি যে, এই ভবিষ্যদ্‌বাণী পরিপূর্ণ হবে? “কেননা বাহিনীগণের সদাপ্রভুর মুখ ইহা বলিয়াছে।”—যিশা ২:৪; মীখা ৪:৩, ৪.

অমূল্য রত্ন

প্রহরীদুর্গ ১৭.০৪ ১১ অনু. ৯

ঈশ্বরের রাজ্য আসার পর কী দূর হয়ে যাবে?

৯ কলুষিত সংগঠনগুলোকে দূর করে দেওয়ার পর কী থাকবে? আরমাগিদোনের পর পৃথিবীতে কি কোনো সংগঠন থাকবে? বাইবেল বলে: “তাঁহার প্রতিজ্ঞা অনুসারে আমরা এমন নূতন আকাশমণ্ডলের ও নূতন পৃথিবীর অপেক্ষায় আছি, যাহার মধ্যে ধার্ম্মিকতা বসতি করে।” (২ পিতর ৩:১৩) পুরোনো আকাশমণ্ডল ও পৃথিবী বলতে কলুষিত সরকার ও সেগুলোর নিয়ন্ত্রণাধীন লোকেদের বোঝায়। এগুলো দূর হয়ে যাওয়ার পর কী থাকবে? ‘নূতন আকাশমণ্ডল ও নূতন পৃথিবী।’ নতুন আকাশমণ্ডল এক নতুন সরকারকে অর্থাৎ সেই রাজ্যকে নির্দেশ করে, যে-রাজ্য যিশু খ্রিস্ট ও তাঁর ১,৪৪,০০০ জন সহ-শাসককে নিয়ে গঠিত। আর নতুন পৃথিবী সেই লোকেদের নির্দেশ করে, যাদের উপর ঈশ্বরের রাজ্য শাসন করবে। যিশু ও তাঁর সহ-শাসকরা যিহোবা ঈশ্বরকে একেবারে নিখুঁতভাবে অনুকরণ করবে, যিনি শৃঙ্খলার ঈশ্বর। (১ করি. ১৪:৩৩) তাই, ‘নূতন পৃথিবীকে’ সুসংগঠিত করা হবে। সেখানে বিভিন্ন বিষয়ের যত্ন নেওয়ার জন্য উত্তম পুরুষেরা থাকবে। (গীত. ৪৫:১৬) এই পুরুষেরা খ্রিস্ট এবং ১,৪৪,০০০ জন ব্যক্তির কাছ থেকে নির্দেশনা লাভ করবে। সেই সময়ের কথা কল্পনা করে দেখুন, যখন সমস্ত কলুষিত সংগঠন দূর হয়ে গিয়ে কেবল একটা একতাবদ্ধ সংগঠন থাকবে, যা কখনো কলুষিত হবে না!

জুন ১০-১৬

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন গীতসংহিতা ৪৮-৫০

বাবা-মায়েরা—যিহোবার সংগঠনের প্রতি আপনাদের পরিবারের আস্থাকে দৃঢ় করুন

প্রহরীদুর্গ ২২.০৩ ২২ অনু.১১

সত্য উপাসনা আপনার আনন্দ বৃদ্ধি করবে

১১ ঈশ্বরের বাক্য নিয়ে অধ্যয়ন করা এবং যিহোবা সম্বন্ধে আমাদের সন্তানদের শেখানোর মাধ্যমে আমরা যিহোবার উপাসনা করি। বিশ্রামবার ইজরায়েলীয়েদের দৈনন্দিন জীবনের কাজকর্ম বন্ধ রেখে যিহোবার সঙ্গে তাদের সম্পর্কের উপর মনোযোগ দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিল। (যাত্রা. ৩১:১৬, ১৭) তাদের মধ্যে যারা বিশ্বস্ত ছিল, তারা সেই দিনে যিহোবা ও তাঁর করা ভালো কাজগুলো সম্বন্ধে তাদের সন্তানদের শেখাত। বর্তমানে, আমাদেরও ঈশ্বরের বাক্য পড়া এবং সেটি নিয়ে ধ্যান করার জন্য সময় বের করা উচিত। এটা আমাদের উপাসনার একটা অংশ আর এটা যিহোবার সঙ্গে আমাদের আরও কাছের সম্পর্ক গড়ে তুলতে সাহায্য করে। (গীত. ৭৩:২৮) আর আমরা যখন পরিবারগতভাবে অধ্যয়ন করি, তখন আমরা এক নতুন প্রজন্মকে অর্থাৎ আমাদের সন্তানদের আমাদের স্বর্গীয় পিতার সঙ্গে এক ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে সাহায্য করি।—পড়ুন, গীতসংহিতা ৪৮:১৩.

প্রহরীদুর্গ ১১ ৩/১৫ ১৯ অনু. ৫-৭

আপনাদের আনন্দ করার কারণ রয়েছে

“তোমরা সিয়োনকে প্রদক্ষিণ কর, তাহার চারিদিকে ভ্রমণ কর, তাহার দুর্গ সকল গণনা কর, তাহার দৃঢ় প্রাচীরে মনোযোগ কর, তাহার অট্টালিকা সকল সন্দর্শন কর, যেন ভাবী বংশের কাছে তাহার বর্ণনা করিতে পার।” (গীত. ৪৮:১২, ১৩) গীতরচক এখানে যিরূশালেমকে কাছ থেকে দেখার জন্য ইস্রায়েলীয়দের জোরালো পরামর্শ দিয়েছিলেন। আপনারা কি সেই ইস্রায়েলীয় পরিবারগুলোর বলা অমূল্য স্মৃতিগুলো কল্পনা করতে পারেন, যারা বার্ষিক উৎসবের সময়ে সেই পবিত্র নগরে যাত্রা করেছিল ও এর অপূর্ব মন্দির দেখেছিল? তারা নিশ্চয়ই “ভাবী বংশের কাছে তাহার বর্ণনা” করতে অনুপ্রাণিত হয়েছিল।

শিবার রানির কথা চিন্তা করুন, যিনি প্রথমে শলোমনের চমৎকার শাসন ও মহৎ প্রজ্ঞার বিবরণ শুনে সন্দেহ করেছিলেন। কোন বিষয়টা তাকে তার শোনা বিষয়গুলোকে সত্য বলে মেনে নিতে দৃঢ়প্রত্যয়ী করেছিল? “আমি যাবৎ আসিয়া স্বচক্ষে না দেখিলাম,” তিনি বলেছিলেন, “তাবৎ লোকেদের সেই কথায় আমার বিশ্বাস হয় নাই।” (২ বংশা. ৯:৬) হ্যাঁ, আমরা “স্বচক্ষে” যা দেখি, তা আমাদের গভীরভাবে প্রভাবিত করতে পারে।

কীভাবে আপনি আপনার সন্তানদের যিহোবার সংগঠনের চমৎকার বিষয়গুলো “স্বচক্ষে” দেখার জন্য সাহায্য করতে পারেন? যদি আপনাদের বাড়ির কাছাকাছি যিহোবার সাক্ষিদের কোনো শাখা অফিস থাকে, তাহলে সেখানে পরিদর্শন করার প্রচেষ্টা করুন। উদাহরণস্বরূপ, ম্যান্ডি ও বেথানি তাদের দেশের বেথেল হোম থেকে প্রায় ১,৫০০ কিলোমিটার (৯০০ মাইল) দূরে বড়ো হয়ে উঠেছিল। কিন্তু, তাদের বাবা-মা প্রায়ই পরিবারগতভাবে সেই জায়গা পরিদর্শন করার পরিকল্পনা করত। “বেথেল পরিদর্শন করার আগে, আমরা মনে করতাম যে, এটা নীরস জায়গা এবং শুধুমাত্র বয়স্ক লোকেদের জন্য,” তারা ব্যাখ্যা করেছিল। “কিন্তু, সেখানে আমাদের অল্পবয়সি ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা হয়েছিল, যারা যিহোবার জন্য কঠোর পরিশ্রম করছে এবং তা উপভোগ করছে! আমরা দেখেছিলাম যে, যিহোবার সংগঠন আমরা যে-ছোট্ট এলাকায় থাকি, কেবল সেটার চেয়ে আরও বেশি কিছু এবং বেথেলে প্রতি বার পরিদর্শন আমাদেরকে যিহোবার আরও নিকটবর্তী করেছিল ও যিহোবার সেবায় এমনকী আরও বেশি করতে অনুপ্রাণিত করেছিল।” ঈশ্বরের সংগঠনকে কাছ থেকে দেখা ম্যান্ডি ও বেথানিকে অগ্রগামীর কাজ শুরু করার জন্য অনুপ্রাণিত করেছিল এবং তাদেরকে এমনকী বেথেলে সাময়িক স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে সেবা করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।

প্রহরীদুর্গ ১২ ৮/১৫ ১২ অনু. ৫

রাজ্যের প্রজাদের মতো আচরণ করুন!

৫ ইতিহাস সম্বন্ধে জানুন। কোনো মানব সরকারের প্রজা হতে চান এমন একজন ব্যক্তিকে হয়তো সেই সরকারের ইতিহাস সম্বন্ধে কিছু শিখতে হয়। একইভাবে, ঈশ্বরের রাজ্যের প্রজা হতে চায় এমন ব্যক্তিদের ঈশ্বরের রাজ্য সম্বন্ধে যতটুকু সম্ভব শেখা উচিত। কোরহের ছেলেদের দ্বারা স্থাপিত উদাহরণ বিবেচনা করুন, যারা প্রাচীন ইস্রায়েলে সেবা করত। তারা যিরূশালেম এবং এর উপাসনাস্থলের ব্যাপারে ও সেইসঙ্গে এই শহরের ইতিহাস সম্বন্ধে বর্ণনা করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত ছিল। পাথর এবং চুনবালির মিশ্রণ নয় বরং সেই শহর ও উপাসনাস্থল যে-বিষয়টাকে চিত্রিত করত, সেটাই তাদেরকে সবচেয়ে বেশি অভিভূত করেছিল। যিরূশালেম ছিল ‘মহান্‌ রাজা’ যিহোবার “পুরী” কারণ এটা ছিল বিশুদ্ধ উপাসনার কেন্দ্রস্থল। এখানেই যিহোবার ব্যবস্থা সম্বন্ধে শিক্ষা দেওয়া হতো। এখানকার লোকেদের প্রতিই যিহোবা তাঁর দয়া বা প্রেমপূর্ণ দয়া প্রকাশ করতেন, যাদের ওপর যিরূশালেমের রাজারা শাসন করত। (পড়ুন, গীতসংহিতা ৪৮:১, ২, ৯, ১২, ১৩.) তাদের মতো আপনারও কি যিহোবার সংগঠনের পার্থিব অংশের ইতিহাস সম্বন্ধে জানার ও বর্ণনা করার এক আকাঙ্ক্ষা রয়েছে? ঈশ্বরের সংগঠন সম্বন্ধে এবং কীভাবে যিহোবা তাঁর লোকেদেরকে সমর্থন করেন, সেই সম্বন্ধে আপনি যত বেশি শিখবেন, ঈশ্বরের রাজ্য আপনার কাছে তত বেশি বাস্তব হয়ে উঠবে। রাজ্যের সুসমাচার প্রচার করার ব্যাপারে আপনার আকাঙ্ক্ষা স্বাভাবিকভাবেই বৃদ্ধি পাবে।—যির. ৯:২৪; লূক ৪:৪৩.

অমূল্য রত্ন

অন্তর্দৃষ্টি-২ ৮০৫, ইংরেজি

ধনসম্পদ

ইজরায়েলের অবস্থা যখন খুব ভালো ছিল, তখন লোকেরা উত্তম খাবারদাবার উপভোগ করেছিল। (১রাজা ৪:২০; উপ ৫:১৮, ১৯) আর দরিদ্রতা থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য তারা তাদের ধনসম্পদ ব্যবহার করেছিল। (হিতো ১০:১৫; উপ ৭:১২) যিহোবা চেয়েছিলেন যেন ইজরায়েলীয়েরা পরিশ্রম করে ধনসম্পদ উপার্জন করে। (হিতো ৬:৬-১১; ২০:১৩; ২৪:৩৩, ৩৪) তবে, তিনি তাদের এই সাবধানবাণী দিয়েছিলেন, তারা যেন এটা ভুলে না যায় যে, তাদের কাছে যা-কিছু রয়েছে, সেগুলো তারা তাঁর কাছ থেকে লাভ করেছে আর সেইসঙ্গে তারা যেন তাদের ধনসম্পদের উপর নির্ভর না করে। (দ্বিতীয় ৮:৭-১৭; গীত ৪৯:৬-৯; হিতো ১১:৪; ১৮:১০, ১১; যির ৯:২৩, ২৪) তাদের মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে, ধনসম্পদ ক্ষণস্থায়ী বিষয়, (হিতো ২৩:৪, ৫) এগুলো ঈশ্বরকে দেওয়ার মাধ্যমে মৃত্যু থেকে উদ্ধার লাভ করা যায় না (গীত ৪৯:৬, ৭) আর এগুলো সেই লোকদের কোনো কাজেই আসে না, যারা মারা যায়। (গীত ৪৯:১৬, ১৭; উপ ৫:১৫) ইজরায়েলীয়দের এই সাবধানবাণীও দেওয়া হয়েছিল, তারা যদি ধনসম্পদের পিছনে ছোটে, তা হলে তারা অসৎ হয়ে পড়তে পারে এবং যিহোবার অনুমোদন হারিয়ে ফেলতে পারে। (হিতো ২৮:২০; যির ৫:২৬-২৮; ১৭:৯-১১) এ ছাড়া, তাদের উৎসাহিত করা হয়েছিল যেন তারা “আপনার ধনে” যিহোবার ‘সম্মান করে।’—হিতো ৩:৯.

জুন ১৭-২৩

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন গীতসংহিতা ৫১-৫৩

গুরুতর ভুলগুলো এড়িয়ে চলার জন্য আপনি কী করতে পারেন?

প্রহরীদুর্গ ১৯.০১ ১৫ অনু. ৪-৫

কীভাবে আপনি আপনার হৃদয়কে রক্ষা করতে পারেন?

৪ হিতোপদেশ ৪:২৩ পদে ব্যবহৃত “হৃদয়” শব্দটা আমাদের ব্যক্তিগত চিন্তাভাবনা, অনুভূতি, মনোভাব ও আকাঙ্ক্ষাকে বোঝানোর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। এটা কেবল আমাদের বাইরের ব্যক্তিত্বকে নয় কিন্তু সেইসঙ্গে ভিতরের ব্যক্তিত্বকেও বোঝায়।

৫ আমাদের ভিতরের ব্যক্তিত্ব কেমন, সেই বিষয়টার উপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করা কেন গুরুত্বপূর্ণ? এটা বোঝার জন্য আমাদের শরীরের কথা চিন্তা করুন। প্রথমত, আমরা যদি শারীরিকভাবে ভিতর থেকে সুস্থ থাকতে চাই, তা হলে আমাদের অবশ্যই পুষ্টিকর খাবার খাওয়া বেছে নিতে হবে এবং নিয়মিতভাবে শরীরচর্চা করতে হবে। একইভাবে, আমাদের রূপক হৃদয়কে স্বাস্থ্যবান রাখার জন্য আমাদের অবশ্যই নিয়মিতভাবে বাইবেল ও বাইবেলভিত্তিক প্রকাশনা পড়তে হবে এবং নিয়মিতভাবে যিহোবার প্রতি আমাদের বিশ্বাস দেখাতে হবে। আর যিহোবার প্রতি আমাদের বিশ্বাস দেখানোর জন্য আমরা যা-শিখি, তা কাজে লাগাতে হবে এবং আমাদের বিশ্বাস সম্বন্ধে অন্যদের বলতে হবে। (রোমীয় ১০:৮-১০; যাকোব ২:২৬) দ্বিতীয়ত, আমরা হয়তো বাইরে থেকে নিজেদের দেখে স্বাস্থ্যবান বলে মনে করতে পারি যদিও আমাদের ভিতরে কোনো রোগ রয়েছে। একইভাবে, আমরা হয়তো ঈশ্বরের সেবায় নিজেদের ব্যস্ত দেখে বিশ্বাসে দৃঢ় আছি বলে মনে করতে পারি কিন্তু মন্দ আকাঙ্ক্ষা আমাদের ভিতরে বৃদ্ধি পেতে পারে। (১ করি. ১০:১২; যাকোব ১:১৪, ১৫) আমাদের অবশ্যই এটা মনে রাখতে হবে, শয়তান তার চিন্তাভাবনার দ্বারা আমাদের কলুষিত করতে চায়। কীভাবে সে হয়তো এমনটা করার চেষ্টা করে? আর কীভাবে আমরা নিজেদের রক্ষা করতে পারি?

প্রহরীদুর্গ ১৫ ৬/১৫ ১৪ অনু. ৫-৬

আমরা শুচি থাকতে পারি

৫ আমরা যদি যিহোবার কাছে সাহায্য চেয়ে ক্রমাগত প্রার্থনা করি, তাহলে তিনি আমাদের অনৈতিক চিন্তাভাবনার সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করবেন। আমরা যাতে শুচি থাকার জন্য শক্তি লাভ করি, সেইজন্য তিনি আমাদের তাঁর পবিত্র আত্মা দান করেন। প্রার্থনায় আমরা যিহোবার কাছে বলতে পারি, যেন আমাদের চিন্তাভাবনা তাঁর দৃষ্টিতে গ্রাহ্য হয় অর্থাৎ তাঁকে খুশি করে। (গীত. ১৯:১৪) আমরা নম্র হয়ে তাঁর কাছে যাচ্ঞা করতে পারি, যেন তিনি পরীক্ষা করে দেখেন, আমাদের মধ্যে এমন কোনো ক্ষতিকর আকাঙ্ক্ষা আছে কি না, যা আমাদেরকে পাপ করার জন্য প্ররোচিত করতে পারে। (গীত. ১৩৯:২৩, ২৪) আপনি যাতে অনৈতিক বিষয় পরিত্যাগ করতে পারেন আর এমনকী কঠিন পরিস্থিতিতেও যা সঠিক তা করতে পারেন, সেইজন্য যিহোবার কাছে সাহায্য চেয়ে ক্রমাগত প্রার্থনা করুন।—মথি ৬:১৩.

৬ যিহোবা সম্বন্ধে জানার আগে, আমরা হয়তো এমন বিষয়গুলো করেছি, যেগুলো তিনি অনুমোদন করেন না আর আমরা হয়তো এখনও সেই মন্দ আকাঙ্ক্ষাগুলোর সঙ্গে লড়াই করছি। কিন্তু, যিহোবা আমাদের পরিবর্তিত হতে এবং তাঁকে খুশি করে এমন বিষয়গুলো করার জন্য সাহায্য করতে পারেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, রাজা দায়ূদ বৎশেবার সঙ্গে ব্যভিচার করার পর অনুতপ্ত হয়েছিলেন এবং যিহোবার কাছে মিনতি করেছিলেন, যেন তিনি তাকে “বিশুদ্ধ অন্তঃকরণ” দেন এবং তাঁর বাধ্য হতে সাহায্য করেন। (গীত. ৫১:১০, ১২) তাই, অতীতে আমাদের মধ্যে যদি কোনো মন্দ আকাঙ্ক্ষা থাকে আর এখনও যদি আমাদের সেই আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে লড়াই করতে হয়, তাহলে যিহোবা আমাদেরকে তাঁর বাধ্য হওয়ার জন্য এবং যা সঠিক তা করার জন্য আরও জোরালো আকাঙ্ক্ষা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারেন। আমরা যাতে অসিদ্ধ চিন্তাভাবনা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, সেইজন্য তিনি আমাদের সাহায্য করতে পারেন।—গীত. ১১৯:১৩৩.

অমূল্য রত্ন

অন্তর্দৃষ্টি-১ ৬৪৪, ইংরেজি

দোয়েগ

দোয়েগ একজন ইদোমীয় ছিলেন। তিনি রাজা শৌলের প্রধান মেষপালক ছিলেন। (১শমূ ২১:৭; ২২:৯) তিনি সম্ভবত যিহোবার একজন উপাসক হয়ে উঠেছিলেন। হতে পারে কোনো অঙ্গীকার, অশুচিতা অথবা কুষ্ঠ রোগ হওয়ার কারণে তাকে নোব নগরে “যিহোবার সামনে থাকতে হয়েছিল।” সেইসময় মহাযাজক অহীমেলক যখন দায়ূদকে দর্শন-রুটি এবং গলিয়াতের তলোয়ার দিয়েছিলেন, তখন তিনি তা দেখেছিলেন। পরে, শৌলের যখন সন্দেহ হয়েছিল যে, তার বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে, তখন দোয়েগ যা-কিছু দেখেছিলেন, তা শৌলকে বলে দিয়েছিলেন। শৌল তার পাহারাদারদের আদেশ দিয়েছিলেন যেন তারা সমস্ত যাজককে হত্যা করে। কিন্তু, পাহারাদারেরা যখন দ্বিধা করছিল, তখন শৌল দোয়েগকে আদেশ দিয়েছিলেন আর দোয়েগ কোনো দ্বিধা না করে সঙ্গেসঙ্গে ৮৫ জন যাজককে হত্যা করেছিলেন। এই মন্দ কাজের পরে দোয়েগ নোব নগরে যান এবং সেখানকার ছোটো-বড়ো সমস্ত লোককে এবং পশুপালকে হত্যা করেন।—১শমূ ২২:৬-২০.

গীতসংহিতার ৫২ গীতের শীর্ষলিখন অনুযায়ী দায়ূদ দোয়েগের বিষয়ে লিখেছিলেন: “তোমার জিহ্বা দুষ্টতার কল্পনা করিতেছে; হে ছলসাধক, তাহা শাণিত ক্ষুরের সদৃশ। তুমি সৎক্রিয়া অপেক্ষা দুষ্ক্রিয়া, এবং ধর্ম্মবাক্য অপেক্ষা মিথ্যা কথা ভালবাস। হে ছলনার জিহ্বা, তুমি সমুদয় বিনাশক কথা ভালবাস।”—গীত ৫২:২-৪.

জুন ২৪-৩০

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন গীতসংহিতা ৫৪-৫৬

ঈশ্বর আপনার পক্ষে রয়েছেন

প্রহরীদুর্গ ০৬ ৮/১ ২২ অনু. ১০-১১

বিজ্ঞ হোন—ঈশ্বরকে ভয় করুন!

১০ একবার দায়ূদ গলিয়াতের নিজ দেশ, পলেষ্টীয় নগর গাতের রাজা আখীশের কাছে আশ্রয় লাভের চেষ্টা করেছিলেন। (১ শমূয়েল ২১:১০-১৫) রাজার দাসেরা তাকে তাদের জাতির শত্রু বলে জনসমক্ষে অভিযুক্ত করেছিল। সেই বিপদজনক পরিস্থিতিতে দায়ূদ কেমন প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন? তিনি যিহোবার কাছে আন্তরিকভাবে প্রার্থনা করেছিলেন। (গীতসংহিতা ৫৬:১-৪, ১১-১৩) যদিও রেহাই পাওয়ার জন্য তাকে পাগলের ভান করতে হয়েছিল কিন্তু দায়ূদ জানতেন যে, তার প্রচেষ্টাগুলোতে আশীর্বাদ করার মাধ্যমে আসলে যিহোবাই তাকে উদ্ধার করেছিলেন। যিহোবার ওপর তার পূর্ণহৃদয়ের নির্ভরতা ও আস্থা দেখিয়েছিল যে, দায়ূদ সত্যিই ঈশ্বরভয়শীল ব্যক্তি ছিলেন।—গীতসংহিতা ৩৪:৪-৬, ৯-১১.

১১ আমাদের সমস্যাগুলো সফলভাবে মোকাবিলা করতে সাহায্য করার বিষয়ে তাঁর প্রতিজ্ঞাগুলোর ওপর নির্ভর করার মাধ্যমে আমরাও দায়ূদের মতো ঈশ্বরের প্রতি ভয় দেখাতে পারি। দায়ূদ বলেছিলেন: “তোমার গতি সদাপ্রভুতে অর্পণ কর, তাঁহাতে নির্ভর কর, তিনিই কার্য্য সাধন করিবেন।” (গীতসংহিতা ৩৭:৫) এর অর্থ এই নয় যে, সমস্যাগুলোর ক্ষেত্রে আমরা যা করতে পারি, তা না করে আমাদের সমস্যাগুলো শুধু যিহোবার হাতে ছেড়ে দেব ও আশা করব যে, তিনি আমাদের জন্য কাজ করবেন। দায়ূদ ঈশ্বরের কাছে সাহায্যের জন্য প্রার্থনা করার পর কোনোকিছু না করে বিষয়গুলো ফেলে রাখেননি। তিনি যিহোবাদত্ত শারীরিক ক্ষমতা ও বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়েছিলেন এবং তার সমস্যাগুলো মোকাবিলা করেছিলেন। কিন্তু দায়ূদ জানতেন যে, সাফল্যের জন্য শুধু মানবপ্রচেষ্টার ওপর নির্ভর করা যেতে পারে না। তাই, আমাদের ক্ষেত্রেও একই বিষয় হওয়া উচিত। আমাদের ক্ষমতা অনুযায়ী সমস্তকিছু করার পর, বাকি বিষয়টা যিহোবার ওপর ছেড়ে দিতে হবে। বস্তুতপক্ষে, প্রায়ই যিহোবার ওপর নির্ভর করা ছাড়া আমাদের আর কিছুই করার থাকে না। আর তখনই আমাদের ঈশ্বরের প্রতি ব্যক্তিগত ভয় দেখানোর সময়। আমরা দায়ূদের এই আন্তরিক অভিব্যক্তি থেকে সান্ত্বনা লাভ করতে পারি: “সদাপ্রভুর গূঢ় মন্ত্রণা [“যিহোবার সঙ্গে অন্তরঙ্গতা,” NW] তাঁহার ভয়কারীদের অধিকার।”—গীতসংহিতা ২৫:১৪.

যিহোবার নিকটবর্তী হোন ২৪৩ অনু. ৯

কোনো কিছুই “ঈশ্বরের প্রেম হইতে আমাদিগকে পৃথক্‌ করিতে” পারে না

৯ যিহোবা আমাদের স্থির থাকাকেও মূল্য দেন। (মথি ২৪:১৩) মনে রাখবেন যে, শয়তান চায় যেন আপনি যিহোবাকে পরিত্যাগ করেন। একেকটা দিন যিহোবার প্রতি আনুগত্য বজায় রেখে আপনি তাঁকে শয়তানের টিটকারির উত্তর দিতে সাহায্য করছেন। (হিতোপদেশ ২৭:১১) কখনও কখনও স্থির থাকা সহজ ব্যাপার নয়। স্বাস্থ্যগত সমস্যা, অর্থনৈতিক সমস্যা, মানসিক চাপ এবং অন্যান্য বাধা প্রতিটা দিনকে একটা পরীক্ষা করে তুলতে পারে। আমরা যা আশা করি, তা পেতে বিলম্ব হওয়া নিরুৎসাহিত করতে পারে। (হিতোপদেশ ১৩:১২) এইরকম প্রতিদ্বন্দ্বিতাগুলোর মুখে স্থির থাকা যিহোবার কাছে আরও বেশি মূল্যবান। এই কারণেই রাজা দায়ূদ তার চোখের জল “কুপাতে” জমা রাখতে যিহোবাকে অনুরোধ করেছিলেন আর আস্থার সঙ্গে বলেছিলেন: “তাহা কি তোমার পুস্তকে লিখিত নাই?” (গীতসংহিতা ৫৬:৮) হ্যাঁ, তাঁর প্রতি আনুগত্য বজায় রাখার সময় আমরা যত চোখের জল ফেলি এবং কষ্ট ভোগ করি, সেগুলোর সমস্তই যিহোবা মূল্য দেন। তাঁর চোখে এগুলোও মূল্যবান।

প্রহরীদুর্গ ২২.০৬ ১৮ অনু. ১৬-১৭

যিহোবার ভালোবাসা আমাদের ভয় কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে

১৬ শয়তান জানে, আমরা সবাই আমাদের জীবনকে খুব ভালোবাসি। সে দাবি করে, আমরা আমাদের জীবনকে রক্ষা করার জন্য যেকোনো কিছু করতে পারি, এমনকী যিহোবার সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বও ভেঙে ফেলতে পারি। (ইয়োব ২:৪, ৫) এটা একেবারেই মিথ্যা কথা! তবে, শয়তানের কাছে “মৃত্যু ঘটানোর শক্তি রয়েছে।” (ইব্রীয় ২:১৪, ১৫) তাই, সে আমাদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করে, যাতে আমরা যিহোবাকে পরিত্যাগ করি। কখনো কখনো সে লোকদের কিংবা সরকারগুলোর মাধ্যমে আমাদের হুমকি দেয় যে, আমরা যদি যিহোবার সেবা করা বন্ধ না করি, তা হলে আমাদের মেরে ফেলা হবে। অথবা আমরা যদি কখনো খুব অসুস্থ হয়ে পড়ি, তখন শয়তান ডাক্তার অথবা আমাদের পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে আমাদের উপর চাপ দিতে পারে, যাতে আমরা জীবন রক্ষা করার জন্য রক্ত গ্রহণ করি কিংবা এমন কোনো চিকিৎসাপদ্ধতি গ্রহণ করি, যেটা বাইবেলের নীতির বিরুদ্ধে।

১৭ আমরা কেউই মারা যেতে চাই না। কিন্তু আমরা জানি, আমরা যদি মারাও যাই, যিহোবা আমাদের ক্রমাগত ভালোবাসবেন। (পড়ুন, রোমীয় ৮:৩৭-৩৯.) যিহোবার বন্ধুরা মারা গেলেও তিনি তাদের ভুলে যান না। তিনি তাঁর স্মৃতিতে তাদের সুরক্ষিত রাখেন। তিনি তাদের আবারও জীবন ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করে রয়েছেন। (লূক ২০:৩৭, ৩৮; ইয়োব ১৪:১৫) যিহোবা আমাদের “অনন্তজীবন” দেওয়ার জন্য তাঁর একজাত পুত্রকে বলি হিসেবে দান করেছিলেন। (যোহন ৩:১৬) এতে কোনো সন্দেহ নেই, যিহোবা আমাদের খুব ভালোবাসেন এবং আমাদের জন্য অনেক চিন্তা করেন। তাই, আমরা যদি কখনো অসুস্থ হয়ে পড়ি কিংবা লোকেরা যদি আমাদের ভয় দেখায় এবং হুমকিও দেয়, তা হলেও আমরা যিহোবার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেব না। এর পরিবর্তে, আমরা তাঁকে বলব যেন তিনি আমাদের বুদ্ধি, সাহস ও সান্ত্বনা দেন। ব্যালেরি এবং তার স্বামী এমনটাই করেছিলেন।—গীত. ৪১:৩.

অমূল্য রত্ন

অন্তর্দৃষ্টি-১ ৮৫৭-৮৫৮, ইংরেজি

আগে থেকে জানা, আগে থেকে ঠিক করে রাখা

ঈষ্করিয়োতীয় যিহূদা যখন বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন, তখন বাইবেলের ভবিষ্যদ্‌বাণী পরিপূর্ণ হয়েছিল আর এতে বোঝা যায় যে, যিহোবা এবং তাঁর পুত্র আগে থেকেই কোনো বিষয় জানতে পারেন। (গীত ৪১:৯; ৫৫:১২, ১৩; ১০৯:৮; প্রেরিত ১:১৬-২০) তা সত্ত্বেও, আমরা যিহোবা সম্বন্ধে এইরকম বলতে পারি না যে, তিনি আগে থেকে ঠিক করে রেখেছিলেন, যিহূদা বিশ্বাসঘাতকতা করবেন। ভবিষ্যদ্‌বাণীতে বলা হয়েছিল, যিশুর কোনো বন্ধু তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবেন, তবে এটা বলা হয়নি যে, সেই বন্ধু কে। এ ছাড়া, বাইবেলের নীতির সঙ্গে এই বিষয়টা সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় যে, ঈশ্বর আগে থেকেই এটা ঠিক রেখেছিলেন, যিহূদাই এই কাজটা করবেন। প্রেরিত পৌল ঈশ্বরের এই মান সম্বন্ধে বলেছিলেন, “তাড়াহুড়ো করে কাউকে কোনো দায়িত্বের জন্য নিযুক্ত কোরো না; অন্যের পাপের অংশী হোয়ো না; নিজেকে বিশুদ্ধ রেখো।” (১তীম ৫:২২; তুলনা করুন, ৩:৬) যিশু তাঁর ১২ জন প্রেরিতকে বাছাই করার আগে সারারাত ধরে প্রার্থনা করেছিলেন যেন যিহোবা তাঁকে প্রজ্ঞা ও নির্দেশনা দেন। (লূক ৬:১২-১৬) যদি আগে থেকেই ঠিক করে রাখা হত যে, যিহূদা যিশুর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবেন, তা হলে যিশুকে নির্দেশনা দেওয়ার কোনো মানেই হয় না। এ ছাড়া, তা করার মাধ্যমে আগে বলা নিয়ম অনুযায়ী যিশু তো যিহূদার পাপের অংশী হয়ে যেতেন।

এতে স্পষ্ট বোঝা যায়, যিহূদাকে যখন প্রেরিত হিসেবে বাছাই করা হচ্ছিল, তখন তার হৃদয়ে কোনো প্রতারণা ছিল না। তিনি নিজের মধ্যে “বিষাক্ত মূল উৎপন্ন” হতে এবং নিজেকে কলুষিত হতে দিয়েছিলেন। এই কারণে তিনি আর ঈশ্বরের নির্দেশনা মেনে না চলে বরং শয়তানের পথে চলেছিলেন অর্থাৎ তিনি চুরি করেছিলেন এবং বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন। (ইব্রীয় ১২:১৪, ১৫; যোহন ১৩:২; প্রেরিত ১:২৪, ২৫; যাকোব ১:১৪, ১৫) এইরকম করতে করতে যখন কিছু সময় পার হয়ে গিয়েছিল, তখন যিশু তার হৃদয় পড়তে পেরেছিলেন এবং আগে থেকে বুঝতে পেরেছিলেন যে, যিহূদা তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবেন।—যোহন ১৩:১০, ১১.

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার