ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • mwbr19 সেপ্টেম্বর পৃষ্ঠা ১-৮
  • জীবন ও পরিচর্যা সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা-র রেফারেন্স

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • জীবন ও পরিচর্যা সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা-র রেফারেন্স
  • জীবন ও পরিচর্যা—সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা-র রেফারেন্স (২০১৯)
  • উপশিরোনাম
  • সেপ্টেম্বর ২-৮
  • ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | ইব্রীয় ৭-৮
  • সেপ্টেম্বর ৯-১৫
  • ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | ইব্রীয় ৯-১০
  • সেপ্টেম্বর ১৬-২২
  • ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | ইব্রীয় ১১
  • সেপ্টেম্বর ২৩-২৯
  • ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | ইব্রীয় ১২-১৩
  • সেপ্টেম্বর ৩০–অক্টোবর ৬
  • ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | যাকোব ১-২
জীবন ও পরিচর্যা—সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা-র রেফারেন্স (২০১৯)
mwbr19 সেপ্টেম্বর পৃষ্ঠা ১-৮

জীবন ও পরিচর্যা সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা-র রেফারেন্স

সেপ্টেম্বর ২-৮

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | ইব্রীয় ৭-৮

“মল্কীষেদকের রীতি অনুসারে অনন্তকালীন যাজক”

অন্তর্দৃষ্টি-২ ৩৬৬, ইংরেজি

মল্কীষেদক

প্রাচীন শালেমের রাজা ও ‘পরাৎপর ঈশ্বর’ যিহোবার “যাজক।” (আদি ১৪:১৮, ২২) তিনি হলেন, শাস্ত্রে উল্লেখিত প্রথম যাজক; তিনি খ্রিস্টপূর্ব ১৯৩৩ সালের আগে কোনো এক সময়ে যাজক হিসেবে সেবা করেছিলেন। শালেমের, যেটার অর্থ “শান্তি,” রাজা হওয়ায় প্রেরিত পৌল তাকে “শান্তিরাজ” হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন এবং তার নামের অর্থ অনুসারে তাকে “ধার্ম্মিকতার রাজা” বলেছিলেন। (ইব্রীয় ৭:১, ২) মনে করা হয়, প্রাচীন শালেম থেকেই পরবর্তীকালে যিরূশালেম নগর গড়ে উঠেছিল আর এটার নামকে যিরূশালেম নামের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, যে-নগরকে কখনো কখনো ‘শালেম’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।—গীত ৭৬:২.

কুলপতি অব্রাম (অব্রাহাম) কদলায়োমরকে ও তার সঙ্গী রাজাদের পরাজিত করার পর শাবী তলভূমিতে অর্থাৎ রাজার তলভূমিতে আসেন। সেখানে মল্কীষেদক “রুটী ও দ্রাক্ষারস বাহির করিয়া আনিলেন” এবং অব্রাহামকে এই বলে আশীর্বাদ করলেন: “অব্রাম স্বর্গমর্ত্তের অধিকারী পরাৎপর ঈশ্বরের আশীর্ব্বাদপাত্র হউন, আর পরাৎপর ঈশ্বর ধন্য হউন, যিনি তোমার বিপক্ষগণকে তোমার হস্তে সমর্পণ করিয়াছেন।” তখন অব্রাহাম সেই রাজা ও যাজককে “সমস্ত দ্রব্যের” অর্থাৎ ‘উত্তম উত্তম লুটদ্রব্যের’ “দশমাংশ” দিলেন, যেগুলো তিনি সেই জোটবদ্ধ রাজাদের সঙ্গে লড়াই করার পর লাভ করেছিলেন।—আদি ১৪:১৭-২০; ইব্রীয় ৭:৪.

অন্তর্দৃষ্টি-২ ৩৬৭ অনু. ৪, ইংরেজি

মল্কীষেদক

কোন অর্থে এটা সত্য যে, মল্কীষেদকের “আয়ুর আদি কি জীবনের অন্ত নাই”?

পৌল সেই সময় মল্কীষেদকের বিষয়ে এক উল্লেখযোগ্য বিষয় তুলে ধরেছিলেন, যখন তিনি তার বিষয়ে বলেছিলেন: “তাঁহার পিতা নাই, মাতা নাই, পূর্ব্বপুরুষাবলি নাই, আয়ুর আদি কি জীবনের অন্ত নাই; কিন্তু তিনি ঈশ্বরের পুত্ত্রের সদৃশীকৃত; তিনি নিত্যই যাজক থাকেন।” (ইব্রীয় ৭:৩) অন্যান্য মানুষের মতোই মল্কীষেদকেরও জন্ম ও মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু কোথাও তার বাবা-মায়ের নাম উল্লেখ করা হয়নি, তার পূর্বপুরুষ এবং উত্তরপুরুষের বিষয়েও প্রকাশ করা হয়নি আর শাস্ত্রে তার জন্ম ও মৃত্যুর বিষয়েও কোনো তথ্য নেই। তাই সঙ্গত কারণেই মল্কীষেদক যিশু খ্রিস্টের ছায়াস্বরূপ ছিলেন, যিনি অনন্তকালীন যাজক। ঠিক যেমন মল্কীষেদকের আগের কিংবা পরের যাজকের বিষয়ে কোনো নথি নেই, তেমনই খ্রিস্টের আগেও তাঁর মতো কোনো যাজক ছিল না আর বাইবেল দেখায় যে, তাঁর পরেও তাঁর স্থানে অন্য কেউ যাজক হবে না। এ ছাড়া, যদিও যিশু যিহূদা বংশে ও দায়ূদের রাজবংশে জন্মেছিলেন কিন্তু তিনি যে তাঁর মানববংশধারার কারণে যাজকত্ব লাভ করেছিলেন, এমন নয় আর তাঁর একইসঙ্গে যাজক ও রাজা হওয়াও মানববংশধারার কারণে হয়নি। যিহোবা তাঁর কাছে শপথ করেছিলেন বলেই তিনি যাজক ও রাজা হয়েছিলেন।

অন্তর্দৃষ্টি-২ ৩৬৬, ইংরেজি

মল্কীষেদক

খ্রিস্টের যাজকত্বের পূর্বাভাস। মশীহ সংক্রান্ত এক ভবিষ্যদ্‌বাণীতে যিহোবা দায়ূদের ‘প্রভুর’ কাছে এই শপথ করেছিলেন: “তুমি অনন্তকালীন যাজক, মল্কীষেদকের রীতি অনুসারে।” (গীত ১১০:১, ৪) এই অনুপ্রাণিত গীতের কারণে ইব্রীয়রা প্রতিজ্ঞাত মশীহকে একইসঙ্গে একজন যাজক ও একজন রাজা হিসেবে দেখতে সাহায্য করেছিল। ইব্রীয়দের প্রতি লেখা তার চিঠিতে প্রেরিত পৌল সেই প্রতিজ্ঞাত ব্যক্তির পরিচয় সম্বন্ধে যেকোনো সন্দেহ দূর করে দিয়েছিলেন, যখন তিনি ‘যীশুর’ বিষয়ে বলেছিলেন যে, তিনি “মল্কীষেদকের রীতি অনুযায়ী অনন্তকালীন মহাযাজক হইয়াছেন।”—ইব্রীয় ৬:২০; ৫:১০; দেখুন, চুক্তি।

আধ্যাত্মিক রত্ন খুঁজে বের করুন

প্রহরীদুর্গ ০০ ৮/১৫ ১৪ অনু. ১১

যে বলি ঈশ্বরকে খুশি করেছিল

১১ প্রেরিত পৌল রোমের খ্রিস্টানদের বলেছিলেন: “প্রত্যেক মহাযাজক উপহার ও বলি উৎসর্গ করিতে নিযুক্ত হন।” (ইব্রীয় ৮:৩) দেখুন যে পৌল বলেছিলেন ইস্রায়েলের মহাযাজক দু-ধরনের বলি উৎসর্গ করবে। সে “উপহার” দেবে আর “বলি” বা “পাপার্থক বলি” দেবে। (ইব্রীয় ৫:১) বেশিরভাগ সময় আমরা ভালোবাসা দেখাতে ও ধন্যবাদ দিতে অন্যদের উপহার দিই। আর উপহার দিয়ে আমরা অন্যের সঙ্গে বন্ধুত্ব করি, তাদের খুশি করি। (আদিপুস্তক ৩২:২০; হিতোপদেশ ১৮:১৬) সেইরকমই ব্যবস্থায় অনেক কিছু বলি দেওয়ার কথা বলা ছিল যা যিহোবাকে খুশি করতে ও তাঁর সঙ্গে কাছের সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য এক ‘উপহারের’ মতো ছিল। ব্যবস্থা না মেনে পাপ করলে ক্ষতিপূরণ দিতে হতো আর “পাপার্থক বলি” দিতে হতো। বাইবেলের প্রথম পাঁচটা বই বিশেষ করে যাত্রাপুস্তক, লেবীয় পুস্তক ও গণনাপুস্তকে বলি দেওয়ার জন্য কী কী জিনিসের দরকার হতো সে কথা বলা আছে। এর খুঁটিনাটি সব কিছু মনে রাখা যদিও আমাদের জন্য কঠিন, তবুও কিছু বিশেষ বিষয়গুলো আমাদের মনে রাখা দরকার।

অন্তর্দৃষ্টি-১ ৫২৩ অনু. ৫, ইংরেজি

চুক্তি

কীভাবে ব্যবস্থা চুক্তি “পুরাতন” হয়ে গিয়েছিল?

কিন্তু ব্যবস্থা চুক্তি সেই সময় এক অর্থে “পুরাতন” হয়ে গিয়েছিল, যখন ঈশ্বর যিরমিয় ভাববাদীর মাধ্যমে ঘোষণা করেছিলেন যে, এক নতুন নিয়ম বা চুক্তি করা হবে। (যির ৩১:৩১-৩৪; ইব্রীয় ৮:১৩) ৩৩ খ্রিস্টাব্দে যাতনাদণ্ডে খ্রিস্টের মৃত্যুর ভিত্তিতে ব্যবস্থা চুক্তি বাতিল করা হয়েছিল। (কল ২:১৪) আর সেটার পরিবর্তে নতুন চুক্তি কার্যকর হয়েছিল।—ইব্রীয় ৭:১২; ৯:১৫; প্রেরিত ২:১-৪.

সেপ্টেম্বর ৯-১৫

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | ইব্রীয় ৯-১০

‘আগামী উত্তম উত্তম বিষয়ের ছায়া’

অন্তর্দৃষ্টি-১ ৮৬২ অনু. ১, ইংরেজি

ক্ষমা

ইস্রায়েল জাতিকে দেওয়া ঈশ্বরের আইন অনুসারে, একজন ব্যক্তি যদি ঈশ্বরের বিরুদ্ধে কিংবা কোনো সহমানবের বিরুদ্ধে পাপ করে থাকেন, তা হলে তাকে ক্ষমা লাভ করার জন্য প্রথমে ব্যবস্থা অনুসারে ভুল সংশোধন করতে হতো আর তারপর অধিকাংশ ক্ষেত্রে যিহোবার উদ্দেশে কোনো প্রাণীর রক্ত উৎসর্গ করতে হতো। (লেবীয় ৫:৫–৬:৭) তাই পৌল যে-নীতি সম্বন্ধে বলেছিলেন, তা হল: “আর ব্যবস্থানুসারে প্রায় সকলই রক্তে শুচীকৃত হয়, এবং রক্তসেচন ব্যতিরেকে পাপমোচন হয় না।” (ইব্রীয় ৯:২২) কিন্তু, আসলে পশুবলির রক্ত পাপ দূর করতে পারেনি এবং একজন ব্যক্তিকে একেবারে শুদ্ধ বিবেক দিতে পারেনি। (ইব্রীয় ১০:১-৪; ৯:৯, ১৩, ১৪) এর পরিবর্তে, ভবিষ্যদ্‌বাণীকৃত নতুন চুক্তি খ্রিস্টের মুক্তির মূল্যের বলিদানের ভিত্তিতে প্রকৃত ক্ষমা লাভ করা সম্ভবপর করেছিল। (যির ৩১:৩৩, ৩৪; মথি ২৬:২৮; ১করি ১১:২৫; ইফি ১:৭) এমনকী পৃথিবীতে থাকাকালীন একজন পক্ষাঘাতগ্রস্ত ব্যক্তিকে সুস্থ করার মাধ্যমে যিশু দেখিয়েছিলেন যে, পাপ ক্ষমা করার অধিকার তাঁর ছিল।—মথি ৯:২-৭.

“আমার পশ্চাদ্গামী হও” ১৮৩ অনু. ৪, ইংরেজি

“আমার পশ্চাৎ আইস”

৪ যিশুর স্বর্গে ফিরে যাওয়া, তাঁকে স্বাগত জানানো এবং পিতার সঙ্গে তাঁর আনন্দময় পুনর্মিলনের বিষয়ে শাস্ত্র কিছু জানায় না। কিন্তু বাইবেল আগে থেকে জানিয়েছিল যে, যিশু স্বর্গে ফিরে যাওয়ার পর সেখানে কী হবে। প্রায় ১,৫০০ বছর ধরে যিহুদিরা নিয়মিতভাবে এক পবিত্র অনুষ্ঠান দেখে এসেছে। প্রতি বছর এক দিন, মহাযাজক প্রায়শ্চিত্ত দিনের বলির রক্ত নিয়ম সিন্দুকের সামনে ছিটিয়ে দেওয়ার জন্য মন্দিরের অতি পবিত্র স্থানে প্রবেশ করতেন। সেই দিন মহাযাজক মশীহকে চিত্রিত করতেন। যিশু স্বর্গে ফিরে যাওয়ার পর এই অনুষ্ঠানের ভবিষ্যদ্‌বাণীমূলক অর্থ এক বার, চিরকালের জন্য পূরণ করেছেন। তিনি স্বর্গে মহিমাময় যিহোবার সামনে উপস্থিত হয়েছিলেন, যেটা হল নিখিলবিশ্বের সবচেয়ে পবিত্র স্থান আর তিনি তাঁর পিতার কাছে তাঁর মুক্তির মূল্যরূপ বলিদানের মূল্য উপস্থাপন করেছিলেন। (ইব্রীয় ৯:১১, ১২, ২৪) যিহোবা কি তা গ্রহণ করেছিলেন?

অন্তর্দৃষ্টি-২ ৬০২-৬০৩, ইংরেজি

সিদ্ধতা

মোশির ব্যবস্থার সিদ্ধতা। মোশির মাধ্যমে ইস্রায়েল জাতিকে যে-ব্যবস্থা দেওয়া হয়েছিল, সেটার অন্তর্ভুক্ত ছিল যাজকত্বের প্রতিষ্ঠা এবং বিভিন্ন পশুবলি সংক্রান্ত আইন। ঈশ্বরের কাছ থেকে আসার ফলে এই ব্যবস্থা সিদ্ধ ছিল, কিন্তু তা সত্ত্বেও এই ব্যবস্থা, যাজকত্ব কিংবা বিভিন্ন বলি কোনো কিছুই ব্যবস্থার অধীনে থাকা লোকেদের জন্য সিদ্ধতা নিয়ে আসতে পারেনি, ঠিক যেমনটা অনুপ্রাণিত প্রেরিত দেখিয়েছেন। (ইব্রীয় ৭:১১, ১৯; ১০:১) পাপ ও মৃত্যু থেকে স্বাধীন করার পরিবর্তে এটা আসলে পাপকে আরও স্পষ্ট করে তুলেছিল। (রোমীয় ৩:২০; ৭:৭-১৩) তবে, ঈশ্বরের কাছ থেকে আসা এই সমস্ত আইনগুলো, ঈশ্বর যে-উদ্দেশ্যে সেগুলো দিয়েছিলেন, তা পূরণ করেছিল; ব্যবস্থা খ্রিস্টের কাছে নিয়ে আসার জন্য “পরিচালক দাস” হয়ে উঠেছিল আর এভাবে “আগামী উত্তম উত্তম বিষয়ের” এক সিদ্ধ ‘ছায়া’ হয়েছিল। (গালা ৩:১৯-২৫; ইব্রীয় ১০:১) তাই, পৌল যখন বলেছিলেন, ‘ব্যবস্থা মাংস দ্বারা দুর্ব্বল হওয়াতে করিতে পারে নাই,’ (রোমীয় ৮:৩) তখন তিনি স্পষ্টতই মানব যিহুদি মহাযাজক (যিনি বলিদান সংক্রান্ত বিষয়ে নেতৃত্ব প্রদান করার জন্য ব্যবস্থার মাধ্যমে নিযুক্ত হয়েছিলেন এবং যিনি বলির রক্ত নিয়ে প্রায়শ্চিত্ত দিনে অতি পবিত্র স্থানে প্রবেশ করতেন) যে-ব্যক্তিদের সেবা করতেন, তাদের “সম্পূর্ণরূপে পরিত্রাণ” করতে না পারার বিষয়টাই ইঙ্গিত করছিলেন, ঠিক যেমনটা ইব্রীয় ৭:১১, ১৮-২৮ পদে বর্ণনা করা হয়েছে। যদিও হারোণের বংশের যাজকদের মাধ্যমে উৎসর্গীকৃত বলি লোকেদের ঈশ্বরের সামনে এক সঠিক অবস্থান বজায় রাখতে সাহায্য করেছিল, কিন্তু এটা পাপ-সংবেদ থেকে তাদের পুরোপুরিভাবে রেহাই দেয়নি। প্রেরিত এই বিষয়টার প্রতিই ইঙ্গিত করেছিলেন, যখন তিনি বলেছিলেন যে, প্রায়শ্চিত্তের বলি “যাহারা নিকটে উপস্থিত হয়, তাহাদিগকে . . . সিদ্ধ” করতে পারেনি। (ইব্রীয় ১০:১-৪; তুলনা করুন, ইব্রীয় ৯:৯) মহাযাজক পাপ থেকে প্রকৃতরূপে মুক্তি পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় মূল্য প্রদান করতে অক্ষম ছিলেন। একমাত্র খ্রিস্টের দীর্ঘস্থায়ী যাজকীয় সেবা এবং তাঁর উপযুক্ত বলিই এই মূল্য প্রদান করতে পারে।—ইব্রীয় ৯:১৪; ১০:১২-২২.

আধ্যাত্মিক রত্ন খুঁজে বের করুন

প্রহরীদুর্গ ৯২ ৩/১ ৩১ অনু. ৪-৬, ইংরেজি

পাঠকদের কাছ থেকে প্রশ্ন

পৌল উল্লেখ করেছিলেন যে, ঈশ্বর ও মানুষের মধ্যে হওয়া চুক্তি কার্যকর করার জন্য একটা মৃত্যুর প্রয়োজন ছিল। এর একটা উদাহরণ হল, ব্যবস্থা চুক্তি। এটার মধ্যস্থতাকারী ছিলেন মোশি, যার মাধ্যমে ঈশ্বর ও মাংসিক ইস্রায়েলের মধ্যে এই চুক্তি হয়েছিল। এভাবে মোশি এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন এবং তিনিই ছিলেন সেই মানুষ, যিনি ইস্রায়েল জাতির যত্ন নিয়েছিলেন, যখন তারা সেই চুক্তির অধীনে আসছিল। তাই, মোশিকে ব্যবস্থা চুক্তির ক্ষেত্রে মানবচুক্তিকারী হিসেবে দেখা যেতে পারে, যে-চুক্তির উদ্যোক্তা যিহোবা। কিন্তু, এই ব্যবস্থা চুক্তি কার্যকর করার জন্য কি মোশিকে নিজের রক্ত দিতে হয়েছিল? না। বরং পশু বলি দেওয়া হয়েছিল, মোশির রক্তের পরিবর্তে সেই পশুদের রক্ত ব্যবহৃত হয়েছিল।—ইব্রীয় ৯:১৮-২২.

যিহোবা ও আত্মিক ইস্রায়েলের মধ্যে হওয়া নতুন চুক্তির বিষয়ে কী বলা যায়? যিহোবা ও আত্মিক ইস্রায়েলের মধ্যে যিশু খ্রিস্ট মধ্যস্থতাকারী হিসেবে গৌরবময় ভূমিকা পালন করেছেন। যদিও যিহোবা হলেন এই চুক্তির উদ্যোক্তা, কিন্তু এটা যিশু খ্রিস্টের উপর নির্ভরশীল। এই চুক্তির মধ্যস্থতাকারী হওয়ার পাশাপাশি যিশু মানুষ হিসেবে সরাসরি তাদের সঙ্গে মেলামেশা করেছিলেন, যারা প্রথমে এই চুক্তির অংশ হবে। (লূক ২২:২০, ২৮, ২৯) এ ছাড়া, এই চুক্তি কার্যকর করার জন্য যে-বলিদানের প্রয়োজন ছিল, সেটা দেওয়ার জন্য তিনিই ছিলেন যোগ্য ব্যক্তি। এতে কোনো পশু নয় বরং এক সিদ্ধ মানুষের জীবন বলি দেওয়া হয়েছিল। এই জন্যই পৌল খ্রিস্টকে নতুন চুক্তির ক্ষেত্রে মানবচুক্তিকারী হিসেবে উল্লেখ করতে পেরেছিলেন। ‘খ্রীষ্ট এখন আমাদের জন্য ঈশ্বরের সাক্ষাতে প্রকাশমান হইবার’ জন্য ‘স্বর্গে প্রবেশ করিবার’ পর নতুন চুক্তি কার্যকর হয়েছে।—ইব্রীয় ৯:১২-১৪, ২৪.

মোশি ও যিশুকে মানবচুক্তিকারী হিসেবে উল্লেখ করার মাধ্যমে পৌল এটা বোঝাতে চাননি যে, তারা সেই চুক্তিগুলোর উদ্যোক্তা; আসলে যিহোবাই এই চুক্তিগুলো করেছিলেন। সেই দু-জন মানুষ মধ্যস্থতাকারী হিসেবে সেই চুক্তিগুলো কার্যকর হওয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন। আর প্রতিটা ক্ষেত্রেই একটা করে মৃত্যুর প্রয়োজন ছিল—মোশির পরিবর্তে পশুর মৃত্যু এবং যারা নতুন চুক্তির অংশ, তাদের জন্য যিশুর নিজের রক্তের বলিদান।

অন্তর্দৃষ্টি-১ ২৪৯-২৫০, ইংরেজি

বাপ্তিস্ম

লূক বলেন যে, যিশু বাপ্তিস্মের সময় প্রার্থনা করছিলেন। (লূক ৩:২১) এ ছাড়া, ইব্রীয়দের প্রতি লেখা চিঠির লেখক বলেন যে, “জগতে প্রবেশ” করার সময় (তিনি যখন জন্মগ্রহণ এবং যখন পড়তে কিংবা কথা বলতে পারতেন না, তখন নয় বরং যখন তিনি বাপ্তিস্ম নিয়েছিলেন এবং পরিচর্যা শুরু করেছিলেন, সেই সময় ) যিশু খ্রিস্ট গীতসংহিতা ৪০:৬-৮ পদের সঙ্গে মিল রেখে বলছিলেন, “তুমি যজ্ঞ ও নৈবেদ্য ইচ্ছা কর নাই, কিন্তু আমার জন্য দেহ রচনা করিয়াছ; . . . দেখ, আমি আসিয়াছি,—গ্রন্থখানিতে আমার বিষয় লিখিত আছে—হে ঈশ্বর, যেন তোমার ইচ্ছা পালন করি।” (ইব্রীয় ১০:৫-৯) যিশু জন্মসূত্রে যিহুদি জাতির সদস্য ছিলেন, যে-জাতি ঈশ্বরের সঙ্গে এক চুক্তিতে আবদ্ধ ছিল, যেটাকে ব্যবস্থা চুক্তি বলা হয়। (যাত্রা ১৯:৫-৮; গালা ৪:৪) এই কারণে যিশু যখন বাপ্তিস্ম নেওয়ার জন্য যোহনের কাছে গিয়েছিলেন, তখন ইতিমধ্যে তিনি যিহোবা ঈশ্বরের সঙ্গে চুক্তির সম্পর্কে আবদ্ধ ছিলেন। ব্যবস্থা অনুসারে তাঁর যা করা প্রয়োজন, তার চেয়েও বেশি কিছু করার জন্য যিশু সেখানে গিয়েছিলেন। তিনি তাঁর ‘রচিত’ দেহ উৎসর্গ করার বিষয়ে পিতার ‘ইচ্ছা’ পালন করার জন্য এবং ব্যবস্থা অনুসারে যে-পশুবলি দেওয়া হতো, তা লোপ করার জন্য নিজেকে পিতা যিহোবার কাছে উপস্থাপন করছিলেন। প্রেরিত পৌল বলেছেন: “সেই ইচ্ছাক্রমে, যীশু খ্রীষ্টের দেহ একবার উৎসর্গ করণ দ্বারা, আমরা পবিত্রীকৃত হইয়া রহিয়াছি।” (ইব্রীয় ১০:১০) যিশুর জন্য পিতার ইচ্ছা এও ছিল যেন যিশু রাজ্যের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কাজগুলোতে অংশগ্রহণ করেন আর এই কাজের জন্যও যিশু নিজেকে উপস্থাপন করেছিলেন। (লূক ৪:৪৩; ১৭:২০, ২১) যিহোবা তাঁর পুত্রকে পবিত্র আত্মা দিয়ে অভিষিক্ত করার এবং এই কথা বলার দ্বারা পুত্রের উপস্থাপনা গ্রহণ করেছিলেন: “তুমিই আমার প্রিয় পুত্ত্র, তোমাতেই আমি প্রীত।”—মার্ক ১:৯-১১; লূক ৩:২১-২৩; মথি ৩:১৩-১৭.

সেপ্টেম্বর ১৬-২২

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | ইব্রীয় ১১

“বিশ্বাসের গুরুত্ব”

প্রহরীদুর্গ ১৬.১০ ২৭ অনু. ৬

যিহোবার প্রতিজ্ঞায় বিশ্বাস করে চলুন

৬ বিশ্বাস কী, সেই বিষয়ে বাইবেলের ইব্রীয় ১১:১ পদে বর্ণনা করা হয়েছে। (পড়ুন।) (১) বিশ্বাস হল “প্রত্যাশিত বিষয়ের নিশ্চয়জ্ঞান।” আমরা যে-বিষয়গুলোর ‘প্রত্যাশা’ করি, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে, ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে ঈশ্বরের বিভিন্ন প্রতিজ্ঞা। যেমন, দুষ্টতা যে শেষ হবে ও এক নতুন জগৎ আসবে, সেই ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত। (২) বিশ্বাস হল “অদৃশ্য বিষয়ের প্রমাণপ্রাপ্তি।” আমরা জানি, আমরা নিজেদের চোখে না দেখলেও স্বর্গে যিহোবা ঈশ্বর, যিশু খ্রিস্ট ও স্বর্গদূতেরা রয়েছেন এবং সেখানে রাজ্যের অস্তিত্ব রয়েছে। (ইব্রীয় ১১:৩) ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞাগুলোর প্রতি এবং অদৃশ্য বিষয়গুলোর প্রতি যে আমাদের সত্যিই বিশ্বাস রয়েছে, তা আমরা কীভাবে দেখাতে পারি? আমরা যেভাবে জীবনযাপন করি এবং আমরা যা বলি ও যা করি, সেগুলোর মাধ্যমে আমরা তা দেখাতে পারি।

প্রহরীদুর্গ ১৩ ১১/১ ১১ অনু. ২-৫, ইংরেজি

“যাহারা তাঁহার অন্বেষণ করে, . . . তাহাদের পুরস্কারদাতা”

যিহোবাকে খুশি করার জন্য কী প্রয়োজন? পৌল লিখেছেন, “বিনা বিশ্বাসে [ঈশ্বরের] প্রীতির পাত্র হওয়া কাহারও সাধ্য নয়।” লক্ষ করুন, পৌল বলেননি, বিনা বিশ্বাসে ঈশ্বরের প্রীতির পাত্র হওয়া বা ঈশ্বরকে খুশি করা কঠিন। বরং প্রেরিত বলছেন, এটা অসাধ্য। আরেকভাবে বললে, ঈশ্বরকে খুশি করার জন্য বিশ্বাস অপরিহার্য।

কোন ধরনের বিশ্বাস ঈশ্বরকে খুশি করে? ঈশ্বরের প্রতি আমাদের বিশ্বাসে দুটো বিষয় থাকতে হবে। প্রথমত, আমাদের “ইহা বিশ্বাস করা আবশ্যক যে ঈশ্বর আছেন।” অন্যান্য অনুবাদ বলে, “বিশ্বাস করতে হবে যে, ঈশ্বর আছেন” এবং “বিশ্বাস করা দরকার যে, ঈশ্বর আছেন।” আমরা যদি ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়েই সন্দেহ করি, তা হলে কীভাবে আমরা তাঁকে খুশি করতে পারব? তবে, প্রকৃত বিশ্বাসের সঙ্গে আরও কিছু জড়িত, কারণ মন্দ স্বর্গদূতেরাও বিশ্বাস করে যে, যিহোবা রয়েছেন। (যাকোব ২:১৯) ঈশ্বর যে একজন বাস্তব ব্যক্তি, এটার উপর আমাদের বিশ্বাস যেন আমাদের কাজ করতে পরিচালিত করে অর্থাৎ এমন উপায়ে জীবনযাপন করার মাধ্যমে আমাদের বিশ্বাসের প্রমাণ দিতে পরিচালিত করে, যা ঈশ্বরকে খুশি করে।—যাকোব ২:২০, ২৬.

দ্বিতীয়ত, আমাদের “ইহা বিশ্বাস করা আবশ্যক যে,” ঈশ্বর হলেন “পুরস্কারদাতা।” যে-ব্যক্তির প্রকৃত বিশ্বাস রয়েছে, তিনি পুরোপুরি নিশ্চিত যে, ঈশ্বরকে খুশি করে, এমন উপায়ে জীবনযাপন করার বিষয়ে তার চেষ্টা বিফলে যাবে না। (১ করিন্থীয় ১৫:৫৮) আমরা যদি আমাদের পুরস্কার দেওয়ার বিষয়ে যিহোবার ক্ষমতা কিংবা আকাঙ্ক্ষা নিয়েই সন্দেহ করি, তা হলে কীভাবে আমরা তাঁকে খুশি করতে পারব? (যাকোব ১:১৭; ১ পিতর ৫:৭) যে-ব্যক্তি মনে করেন, ঈশ্বর হয়তো যত্ন নেন না, তিনি উপলব্ধি দেখান না এবং তিনি উদার নন, সেই ব্যক্তি বাইবেলের ঈশ্বরকে জানেন না।

ঈশ্বর কাদের পুরস্কার দেন? পৌল বলেন, “যাহারা তাঁহার অন্বেষণ করে।” বাইবেল অনুবাদকদের একটা তথ্যগ্রন্থ বলে, যে-গ্রিক শব্দকে ‘অন্বেষণ করা’ হিসেবে অনুবাদ করা হয়েছে, সেটা ঈশ্বরকে “খোঁজা” বোঝায় না বরং এটা “উপাসনা করার জন্য” ঈশ্বরের কাছে আসার ধারণা দেয়। আরেকটা তথ্যগ্রন্থ বলে যে, এই গ্রিক শব্দ জোরালো এবং একাগ্র প্রচেষ্টার ইঙ্গিত দেয়। হ্যাঁ, যিহোবা সেই ব্যক্তিদেরই পুরস্কার দেন, যাদের বিশ্বাস তাদের প্রেমপূর্ণ হৃদয়ে ও উদ্যোগের সঙ্গে তাঁকে উপাসনা করতে পরিচালিত করে।—মথি ২২:৩৭.

প্রহরীদুর্গ ১৬.১০ ২৩ অনু. ১০-১১

প্রত্যাশিত বিষয়ের প্রতি আপনার বিশ্বাস দৃঢ় করুন

১০ ইব্রীয় ১১ অধ্যায়ে প্রেরিত পৌল বলেছিলেন: “নারীগণ আপন আপন মৃত লোককে পুনরুত্থান দ্বারা পুনঃপ্রাপ্ত হইলেন; অন্যেরা প্রহার দ্বারা নিহত হইলেন, মুক্তি গ্রহণ করেন নাই, যেন শ্রেষ্ঠ পুনরুত্থানের ভাগী হইতে পারেন।” (ইব্রীয় ১১:৩৫) অনেকে পরীক্ষা সহ্য করেছিলেন ও ঈশ্বরের প্রতি অনুগত ছিলেন কারণ ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞাত পুনরুত্থানের প্রতি তাদের দৃঢ়বিশ্বাস ছিল। তারা জানতেন, ভবিষ্যতে যিহোবা তাদের জীবনে ফিরিয়ে আনবেন আর তারা চিরকাল এই পৃথিবীতে বাস করবেন। নাবোৎ ও সখরিয়ের কথা চিন্তা করুন। ঈশ্বরের বাধ্য হওয়ার কারণে তাদের পাথর ছুড়ে হত্যা করা হয়েছিল। (১ রাজা. ২১:৩, ১৫; ২ বংশা. ২৪:২০, ২১) দানিয়েলকে ক্ষুধার্ত সিংহের গর্তে ও তার বন্ধুদের জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ডে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। তারা যিহোবার প্রতি আনুগত্যহীন হয়ে পড়ার চেয়ে বরং মৃত্যুকে বরণ করে নিতে ইচ্ছুক ছিলেন। তাদের এই ব্যাপারে দৃঢ়বিশ্বাস ছিল যে, যিহোবা তাদের পবিত্র আত্মা দেবেন ও কষ্ট সহ্য করতে সাহায্য করবেন।—দানি. ৩:১৬-১৮, ২০, ২৮; ৬:১৩, ১৬, ২১-২৩; ইব্রীয় ১১:৩৩, ৩৪.

১১ অনেক ভাববাদীকে, যেমন মীখায় ও যিরমিয়কে উপহাস করা হয়েছিল অথবা কারাগারে বন্দি করা হয়েছিল। আবার অন্যেরা, যেমন এলিয় ‘প্রান্তরে প্রান্তরে, পাহাড়ে পাহাড়ে, গুহায় গুহায় ও পৃথিবীর গহ্বরে গহ্বরে ভ্রমণ করিয়াছিলেন।’ তারা সকলে কষ্ট সহ্য করেছিলেন ও ঈশ্বরের প্রতি অনুগত ছিলেন কারণ তাদের “প্রত্যাশিত বিষয়ের নিশ্চয়জ্ঞান” ছিল।—ইব্রীয় ১১:১, ৩৬-৩৮; ১ রাজা. ১৮:১৩; ২২:২৪-২৭; যির. ২০:১, ২; ২৮:১০, ১১; ৩২:২.

আধ্যাত্মিক রত্ন খুঁজে বের করুন

অন্তর্দৃষ্টি-১ ৮০৪ অনু. ৫, ইংরেজি

বিশ্বাস

প্রাচীন কালে বিশ্বাসের উদাহরণ। পৌল যাদের ‘এমন বৃহৎ সাক্ষিমেঘ’ (ইব্রীয় ১২:১) বলে উল্লেখ করেছেন, তাদের প্রত্যেকের বিশ্বাসের এক ভিত্তি ছিল। উদাহরণ স্বরূপ, হেবল নিশ্চয়ই এক ‘বংশ’ সম্বন্ধে ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞার বিষয়ে জানতেন, যে ‘সর্পের’ মাথা চূর্ণ করবে। আর এদনে তার বাবা-মাকে যিহোবা যে-শাস্তি দিয়েছিলেন, সেটা পরিপূর্ণ হওয়ার অকাট্য প্রমাণও তিনি পেয়েছিলেন। এদনের বাইরে, আদম ও তার পরিবার ঘর্মাক্ত মুখে খাবার খেত, কারণ ভূমি অভিশপ্ত হয়েছিল আর তাই সেখানে কাঁটাগাছ ও শেয়ালকাঁটা জন্মাত। হেবল হয়তো এটা লক্ষ করেছিলেন যে, স্বামীর প্রতি হবার আকাঙ্ক্ষা ছিল আর আদম তার স্ত্রীর উপর কর্তৃত্ব করতেন। কোনো সন্দেহ নেই, তার মা গর্ভাবস্থার সময়ে যে-বেদনা ভোগ করেছিলেন, সেটার কথাও বলতেন। সেই সময়ও দু-জন করূব ও ঘূর্ণায়মান তেজোময় খড়্গ উদ্যানের প্রবেশপথ পাহারা দিচ্ছিল। (আদি ৩:১৪-১৯, ২৪) এই সমস্ত কিছু ছিল এমন এক ‘প্রমাণ,’ যা হেবলকে আস্থা জুগিয়েছিল যে, ‘প্রতিজ্ঞাত বংশের’ মাধ্যমে পরিত্রাণ আসবে। তাই তিনি বিশ্বাসের দ্বারা পরিচালিত হয়ে “ঈশ্বরের উদ্দেশে . . . যজ্ঞ উৎসর্গ করিলেন,” যেটা কয়িনের চেয়ে শ্রেষ্ঠ ছিল।—ইব্রীয় ১১:১, ৪.

প্রহরীদুর্গ, জনসাধারণের সংস্করণ ১৭.১ ১২-১৩

“তিনি ঈশ্বরের প্রীতির পাত্র ছিলেন”

তা হলে, কোন অর্থে হনোক ‘লোকান্তরে নীত হইয়াছিলেন,’ যেন তিনি ‘মৃত্যু দেখিতে’ না পান? হতে পারে, যিহোবা হনোককে মৃত্যু যন্ত্রণা থেকে রেহাই দেওয়ার জন্য মৃত্যুতে ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু, প্রথমে হনোকের ‘পক্ষে এই সাক্ষ্য দেওয়া হইয়াছিল যে, তিনি ঈশ্বরের প্রীতির পাত্র ছিলেন।’ কীভাবে? মৃত্যুর ঠিক আগে হনোক হয়তো ঈশ্বরের কাছ থেকে একটা দর্শন পেয়েছিলেন, যেখানে তিনি হয়তো পৃথিবীকে পরমদেশের আকারে দেখতে পেয়েছিলেন। যিহোবার অনুমোদনের এই স্পষ্ট চিহ্ন দেখতে দেখতে হনোক একসময় মৃত্যুতে ঘুমিয়ে গিয়েছিলেন। হনোক ও অন্যান্য বিশ্বস্ত নারী-পুরুষ সম্বন্ধে লিখতে গিয়ে প্রেরিত পৌল বলেছিলেন: “বিশ্বাসানুরূপে ইহাঁরা সকলে মরিলেন।” (ইব্রীয় ১১:১৩) এরপর, হনোকের শত্রুরা হয়তো তার দেহ খোঁজার চেষ্টা করেছিল কিন্তু সেটার “উদ্দেশ আর পাওয়া গেল না।” এর কারণ হতে পারে, সম্ভবত যিহোবা তার দেহ সরিয়ে ফেলেছিলেন, যাতে তারা সেটার অপব্যবহার না করে অথবা সেটা মিথ্যা উপাসনার জন্য ব্যবহার না করে।

সেপ্টেম্বর ২৩-২৯

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | ইব্রীয় ১২-১৩

“শাসন—যিহোবার প্রেমের প্রমাণ”

প্রহরীদুর্গ ১২ ৩/১৫ ২৯ অনু. ১৮

“পিছনে ফিরিয়া” তাকাবেন না

১৮ বেদনাদায়ক পরামর্শ। আমরা যদি ক্ষুব্ধ হয়ে আমাদেরকে দেওয়া হয়েছিল এমন কোনো পরামর্শের প্রতি ফিরে তাকানোর জন্য প্রলোভিত হই, তাহলে? সেটা কেবল বেদনাদায়কই হবে না কিন্তু সেইসঙ্গে আমাদের দুর্বল করে দিতে পারে—আমাদের ‘ক্লান্ত হইয়া’ পড়ার কারণ হতে পারে। (ইব্রীয় ১২:৫) আমরা যদি পরামর্শকে প্রত্যাখ্যান করার কারণে সেটাকে “তুচ্ছ” করি কিংবা সেটাকে মেনে নেওয়ার কারণে ‘ক্লান্ত হইয়া’ পড়ি আর পরে হাল ছেড়ে দিই, যেটাই করি না কেন, এর ফলাফল একই—আমরা আসলে নিজেদেরকে উপকৃত করার ও সংশোধিত করার জন্য সেই পরামর্শকে সুযোগ দিই না। শলোমনের এই বাক্যের প্রতি মনোযোগ দেওয়া কতই না ভালো হবে: “উপদেশ ধরিয়া রাখিও, ছাড়িয়া দিও না, তাহা রক্ষা কর, কেননা তাহা তোমার জীবন।” (হিতো. ৪:১৩) একজন চালক যেমন পথ নির্দেশক সংকেতচিহ্নগুলো মেনে চলেন, তেমনই আসুন আমরা পরামর্শ গ্রহণ করি, সেটাকে কাজে লাগাই এবং এগিয়ে চলি।—হিতো. ৪:২৬, ২৭; পড়ুন, ইব্রীয় ১২:১২, ১৩.

প্রহরীদুর্গ ১২ ৭/১ ২১ অনু. ৩, ইংরেজি

“তোমরা যখন প্রার্থনা কর, তখন বলিও, পিতঃ”

একজন প্রেমময় বাবা তার সন্তানদের শাসন করেন, কারণ তারা বড়ো হয়ে কেমন ব্যক্তি হবে, সেই বিষয়ে তিনি চিন্তা করেন। (ইফিষীয় ৬:৪) এইরকম একজন বাবা হয়তো দৃঢ় হন কিন্তু তিনি সন্তানদের সংশোধন করার সময় কখনোই নিষ্ঠুর হন না। একইভাবে আমাদের স্বর্গীয় পিতা কখনো কখনো আমাদের শাসন করা প্রয়োজন বলে মনে করতে পারেন। কিন্তু ঈশ্বরের শাসন সবসময় প্রেমের সঙ্গে দেওয়া হয় আর তা কখনোই নিষ্ঠুর নয়। তাঁর পিতার মতোই যিশুও কখনোই নিষ্ঠুর ছিলেন না, এমনকী সেই সময়ও নয়, যখন তাঁর শিষ্যরা প্রয়োজনীয় শাসনের প্রতি সঙ্গেসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দেখাতে ব্যর্থ হয়েছিল।—মথি ২০:২০-২৮; লূক ২২:২৪-৩০.

প্রহরীদুর্গ ১৮.০৩ ৩২ অনু. ১৮

“শাসনে অবধান কর, জ্ঞানবান হও”

১৮ শাসন লাভ করা দুঃখজনক হতে পারে কিন্তু ঈশ্বরের কাছ থেকে পাওয়া শাসন প্রত্যাখ্যান করার পরিণতি আরও বেশি দুঃখজনক হয়। (ইব্রীয় ১২:১১) আমরা কয়িন ও রাজা সিদিকিয়ের মন্দ উদাহরণ থেকে শিক্ষা লাভ করতে পারি। ঈশ্বর যখন দেখেছিলেন যে, কয়িন তার ভাইকে ঘৃণা করেন এবং তাকে হত্যা করতে চান, তখন তিনি কয়িনকে সতর্ক করে বলেছিলেন: “তুমি কেন ক্রোধ করিয়াছ? তোমার মুখ কেন বিষণ্ণ হইয়াছে? যদি সদাচরণ কর, তবে কি গ্রাহ্য হইবে না? আর যদি সদাচরণ না কর, তবে পাপ দ্বারে গুঁড়ি মারিয়া রহিয়াছে। তোমার প্রতি তাহার বাসনা থাকিবে, এবং তুমি তাহার উপরে কর্ত্তৃত্ব করিবে।” (আদি. ৪:৬, ৭) কয়িন যিহোবার কাছ থেকে পাওয়া শাসন প্রত্যাখ্যান করেছিলেন, তার ভাইকে হত্যা করেছিলেন এবং তার বাকি জীবন সেটার ভয়াবহ পরিণতিগুলো ভোগ করেছিলেন। (আদি. ৪:১১, ১২) কয়িন যদি ঈশ্বরের কথা শুনতেন, তা হলে তাকে এত দুঃখ ভোগ করতে হতো না।

আধ্যাত্মিক রত্ন খুঁজে বের করুন

প্রহরীদুর্গ ১১ ৯/১৫ ১৭-১৮ অনু. ১১

ধৈর্যপূর্বক ধাবনক্ষেত্রে দৌড়ান

১১ এই ‘বৃহৎ সাক্ষিমেঘ’ কেবল নীরব দর্শক বা প্রত্যক্ষদর্শী ছিল না অর্থাৎ এমন দর্শকদের মতো ছিল না, যারা শুধু সেখানে প্রতিযোগিতা দেখার অথবা তাদের প্রিয় খেলোয়াড় বা দলকে জয়ী হতে দেখার জন্য যেত। এর পরিবর্তে, তারা ধাবনক্ষেত্রের দৌড়বিদদের মতোই অংশগ্রহণকারী ছিল। আর তারা সফলভাবে ধাবনক্ষেত্রে দৌড়েছে ও তা শেষ করেছে। যদিও তারা এখন আর বেঁচে নেই, তবুও তাদেরকে এমন অভিজ্ঞ দৌড়বিদ বলে ধরা যেতে পারে, যারা ধাবনক্ষেত্রের নতুন দৌড়বিদদের উৎসাহিত করতে পারে। একটু কল্পনা করে দেখুন যে, একজন প্রতিযোগী সেই সময়ে কেমন অনুভব করবেন, যদি তিনি জানতে পারেন যে, তার চারপাশে সবচেয়ে সেরা কয়েক জন দৌড়বিদ রয়েছে বা তারা তাকে দেখছে। তিনি কি তার যথাসাধ্য করার অথবা এমনকী আরও বেশি প্রচেষ্টা করার জন্য অনুপ্রাণিত হবেন না? প্রাচীনকালের সেই সাক্ষিরা এই প্রমাণ দিতে পারে যে, এইরকম রূপক ধাবনক্ষেত্রে জয়ী হওয়া যেতে পারে, তা সেটা যত কষ্টকরই হোক না কেন। এভাবে, ‘সাক্ষিমেঘের’ উদাহরণ ভালোভাবে মনে রাখার মাধ্যমে প্রথম শতাব্দীর ইব্রীয় খ্রিস্টানরা সাহস লাভ করতে ও ‘ধৈর্য্যপূর্ব্বক ধাবনক্ষেত্রে দৌড়াইতে’ পেরেছিল—যেমনটা বর্তমানে আমরাও পারি।

প্রহরীদুর্গ ৮৯ ১২/১৫ ২২ অনু. ১০, ইংরেজি

বলি উৎসর্গ, যা যিহোবাকে খুশি করে

১০ তাই ইব্রীয়দের যিহুদিবাদীদের “বহুবিধ এবং বিজাতীয় শিক্ষা দ্বারা বিপথে চালিত” হওয়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন ছিল। (গালাতীয় ৫:১-৬) সেই শিক্ষাগুলোর দ্বারা নয় বরং ‘ঈশ্বরের অনুগ্রহ দ্বারা হৃদয় স্থিরীকৃত হইতে পারে,’ যাতে সত্যে স্থির থাকা যায়। স্পষ্টতই কেউ কেউ খাবার ও বলি নিয়ে তর্ক করেছিল, কারণ পৌল বলেছিলেন, হৃদয় ‘খাদ্য বিশেষ অবলম্বন করিবার’ দ্বারা স্থিরীকৃত হয় না, আর “তদাচারীদের কোন সুফল দর্শে নাই।” নির্দিষ্ট কোনো খাবার খাওয়ার এবং কোনো বিশেষ দিন পালন করার বিষয়ে অযথা চিন্তা করার ফলে নয় বরং ঈশ্বরের প্রতি ভক্তি এবং মুক্তির মূল্যের প্রতি উপলব্ধি দেখানোর ফলেই ঈশ্বরের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের উন্নতি হয়। (রোমীয় ১৪:৫-৯) আর সেইসঙ্গে, খ্রিস্টের বলিদান লেবীয়দের বলিকে অকার্যকর করে তুলেছিল।—ইব্রীয় ৯:৯-১৪; ১০:৫-১০.

সেপ্টেম্বর ৩০–অক্টোবর ৬

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | যাকোব ১-২

“পাপ ও মৃত্যুর পথ”

সজাগ হোন! ১৭.৩ ১৪

প্রলোভন

আপনি কোনো কিছুর প্রতি আকর্ষিত হন, বিশেষভাবে সেটা যদি খারাপ কিছু হয়ে থাকে, তা হলে এর অর্থ আপনি প্রলোভিত হয়েছেন। ধরুন, কেনাকাটা করার সময় কোনো আকর্ষণীয় জিনিস আপনার চোখে পড়ে গেল। আপনার মাথায় হঠাৎ একটা চিন্তা উঁকি দিল, আপনি সেই জিনিসটা সহজেই চুরি করতে পারেন আর কেউ তা দেখতে পাবে না। কিন্তু আপনার বিবেক বলল, না! তাই, আপনি সেই চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেললেন আর সেখান থেকে চলে এলেন। এই ক্ষেত্রে আপনি প্রলোভনের কাছে নতিস্বীকার না করে বিজয়ী হলেন।

বাইবেল যা বলে

প্রলোভিত হওয়ার অর্থ এই নয় যে, আপনি একজন খারাপ ব্যক্তি। বাইবেল স্বীকার করে, আমরা সবাই প্রলোভিত হই। (১ করিন্থীয় ১০:১৩) প্রকৃত বিষয়টা হল, প্রলোভনে পড়লে আমরা কী করি। কেউ কেউ অনুপযুক্ত আকাঙ্ক্ষাকে প্রশ্রয় দেয় আর আজ হোক বা কাল হোক, সেই প্রলোভনের কাছে নতিস্বীকার করে ফেলে। আবার অন্যেরা বোঝে, এটা ভুল আর সঙ্গেসঙ্গে তা প্রত্যাখ্যান করে।

“প্রত্যেকব্যক্তি নিজ কামনা দ্বারা আকর্ষিত ও প্ররোচিত হইয়া পরীক্ষিত হয়।” —যাকোব ১:১৪.

সজাগ হোন! ১৭.৩ ১৪

প্রলোভন

বাইবেল এমন পদক্ষেপগুলো সম্বন্ধে জানায়, যেগুলো ভুল কাজের দিকে নিয়ে যায়। যাকোব ১:১৫ পদ বলে: “কামনা সগর্ভা হইয়া পাপ প্রসব করে।” সহজ কথায়, মন্দ আকাঙ্ক্ষাকে প্রশ্রয় দিলে আমরা এমন এক পর্যায়ে পৌঁছাই, যখন আমরা সেই অনুযায়ী কাজ করা এড়াতে পারি না, ঠিক যেমন একজন গর্ভবতী মহিলা সন্তান জন্ম দেওয়া এড়াতে পারে না। কিন্তু, আমরা অনুপযুক্ত আকাঙ্ক্ষার দাস হওয়া এড়াতে পারি। আমরা এটার উপর প্রভুত্ব করতে পারি।

আধ্যাত্মিক রত্ন খুঁজে বের করুন

অন্তর্দৃষ্টি-২ ২৫৩-২৫৪, ইংরেজি

জ্যোতি

যিহোবা হলেন, ‘জ্যোতির্গণের পিতা।’ (যাকোব ১:১৭) তিনি যে কেবল “দিনমানে জ্যোতির জন্য সূর্য্যকে, এবং রাত্রিকালে জ্যোতির জন্য চন্দ্রের ও নক্ষত্রগণের বিধিকলাপ দেন,” (যির ৩১:৩৫) তা-ই নয় বরং সেইসঙ্গে তিনি সমস্ত আধ্যাত্মিক জ্ঞানালোকের উৎস। (২করি ৪:৬) তাঁর আইন, শাসন ও বাক্য সেই লোকেদের জন্য এক আলো, যারা সেগুলোর মাধ্যমে নিজেদের নির্দেশিত হওয়ার সুযোগ দেয়। (গীত ৪৩:৩; ১১৯:১০৫; হিতো ৬:২৩; যিশা ৫১:৪) গীতরচক ঘোষণা করেছিলেন: “তোমারই দীপ্তিতে আমরা দীপ্তি দেখিতে পাই।” (গীত ৩৬:৯; তুলনা করুন, ২৭:১; ৪৩:৩.) ঠিক যেমন ভোর হওয়ার পর থেকে “মধ্যাহ্ন” না হওয়া পর্যন্ত সূর্যের দীপ্তি বৃদ্ধি পেতে থাকে, তেমনই ধার্মিকদের পথ ঈশ্বরের প্রজ্ঞার আলোকে উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হতে থাকে। (হিতো ৪:১৮) যিহোবার দীপ্তিতে চলার অর্থ হল, যিহোবার নির্দেশিত পথে চলা। (যিশা ২:৩-৫) অপর দিকে, একজন ব্যক্তির যখন কোনো বিষয়ের প্রতি অনুপযুক্ত মনোভাব থাকে কিংবা সেটা সম্বন্ধে তার মন্দ উদ্দেশ্য থাকে, তখন এর অর্থ সে ঘোর আধ্যাত্মিক অন্ধকারে থাকে। যিশু এটাকে এভাবে বলেছিলেন: “তোমার চক্ষু যদি মন্দ হয়, তবে তোমার সমস্ত শরীর অন্ধকারময় হইবে। অতএব তোমার আন্তরিক দীপ্তি যদি অন্ধকার হয়, সেই অন্ধকার কত বড়!”—মথি ৬:২৩; দ্বিতীয় ১৫:৯; ২৮:৫৪-৫৭; হিতো ২৮:২২; ২পিতর ২:১৪.

অন্তর্দৃষ্টি-২ ২২২ অনু. ৪, ইংরেজি

ব্যবস্থা

“রাজকীয় ব্যবস্থা।” একজন রাজা মানবসম্পর্কের বিষয়ে লোকেদের যে-সমস্ত আইন দেন, সেগুলোর মধ্যে উপযুক্তভাবেই “রাজকীয় ব্যবস্থা” হল সবচেয়ে প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ। (যাকোব ২:৮) ব্যবস্থা চুক্তির সারমর্ম হল প্রেম; আর “তোমার প্রতিবাসীকে আপনার মত প্রেম করিবে” (রাজকীয় ব্যবস্থা) হল, দ্বিতীয় আজ্ঞা, যেটার উপর সমস্ত ব্যবস্থা এবং ভাববাদিগ্রন্থ ঝুলছে। (মথি ২২:৩৭-৪০) খ্রিস্টানরা ব্যবস্থা চুক্তির অধীনে না থাকলেও তারা নতুন চুক্তির মাধ্যমে রাজা যিহোবার ও তাঁর পুত্র, রাজা যিশু খ্রিস্টের আইনের অধীনে রয়েছে।

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার