ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • mwbr20 এপ্রিল পৃষ্ঠা ১-৬
  • জীবন ও পরিচর্যা সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা-র রেফারেন্স

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • জীবন ও পরিচর্যা সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা-র রেফারেন্স
  • জীবন ও পরিচর্যা—সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা-র রেফারেন্স (২০২০)
  • উপশিরোনাম
  • এপ্রিল ১৩-১৯
  • এপ্রিল ২০-২৬
  • এপ্রিল ২৭–মে ৩
  • প্রহরীদুর্গ ১৭.১২ ১৪
জীবন ও পরিচর্যা—সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা-র রেফারেন্স (২০২০)
mwbr20 এপ্রিল পৃষ্ঠা ১-৬

জীবন ও পরিচর্যা সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা-র রেফারেন্স

এপ্রিল ১৩-১৯

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন

আদিপুস্তক ৩১

“যাকোব এবং লাবন এক শান্তি চুক্তি করেন”

অন্তর্দৃষ্টি-১ ৮৮৩ অনু. ১

গিলিয়দ

যাকোব এবং লাবন শান্তিপূর্ণ উপায়ে তাদের বিবাদের মিমাংসা করেছিলেন। তারপর, তারা পরস্পরের মধ্যে এক চুক্তি করেছিলেন। এরপর, যাকোব একটা পাথর নিয়েছিলেন এবং স্তম্ভের মতো করে স্থাপন করেছিলেন। তিনি তার “কুটুম্বদিগকে” বলেছিলেন তারাও যেন, কিছু পাথর নিয়ে এক রাশি তৈরি করে। সম্ভবত, এই রাশি একটা টেবিলের আকারে স্থাপন করা হয়েছিল। যাকোব এবং লাবনের মধ্যে যে, চুক্তি  হয়েছিল, তার চিহ্ন হিসেবে তারা সেই রাশির উপরে ভোজন করেছিলেন। লাবন অরামীয়(সিরীয়) ভাষায় সেই রাশির নাম “যিগর্‌-সাহদূথা” রেখেছিলেন। কিন্তু যাকোব ইব্রীয় ভাষায় এই রাশির নাম “গল্‌-এদ” রেখেছিলেন। এই দুটো নামের অর্থ একই ছিল। এই রাশির নামানুসারে এই জায়গার নামকরণ হয়েছিল, যেখানে তারা চুক্তি করেছিলেন। লাবন বলেছিলেন,‘এই রাশি [ইব্রীয় গল্‌] অদ্য তোমার ও আমার সাক্ষী [ইব্রীয় এদ] থাকিল।’(আদি ৩১:৪৪-৪৮) স্তম্ভের আকারে স্থাপন করা পাথর (পাথরের রাশি) যারা দেখেছিল, সেটা তাদের জন্য কীসের চিহ্ন ছিল? ৪৯ পদ অনুসারে  [ইব্রীয় মিস্পা] “প্রহরি-স্থান” এই বিষয়ের চিহ্ন ছিল যে, যাকোব ও লাবন পরস্পরের মধ্যে এবং পরিবারের মধ্যেও শান্তি বজায় রাখার প্রতিজ্ঞা করেছেন। (আদি ৩১:৫০-৫৩) পরবর্তী সময়ে, আরও কিছু ক্ষেত্রগুলোতেও পাথরকে প্রতিজ্ঞার এক চিহ্ন হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল।—যিহো ৪:৪-৭; ২৪:২৫-২৭.

অন্তর্দৃষ্টি-২ ১১৭২

প্রহরি-স্থান

যাকোব যে, পাথরের বাশি স্থাপন করেছিলেন সেটার নাম “গিলিয়দ”(অর্থাৎ সাক্ষি-রাশি)এবং “প্রহরি-স্থান”রেখেছিলেন। যাকোব ও লাবন পরস্পরের মধ্যে যে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, পাথরের এই রাশি তার এক সাক্ষি হয়েছিল। কীভাবে? লাবন বলেছিলেন, “আমরা পরস্পর অদৃশ্য হইলে সদাপ্রভু আমার ও তোমার প্রহরী থাকিবেন।” (আদি. ৩১:৪৫-৪৯)

আধ্যাত্মিক রত্ন খুঁজে বের করুন

অন্তর্দৃষ্টি-২ ১০৮৭-১০৮৮

ঠাকুরের মূর্তি

মেসোপটেমিয়া এবং এর আশেপাশের এলাকার প্রত্নত্বাত্তিক তথ্য থেকে এটা জানা যায় যে, পরিবারের যে-সদস্যের কাছে ঠাকুরের মূর্তি থাকত তিনি পারিবারিক সম্পত্তির উত্তরাধিকার লাভ করতেন। নুজি নামে এক শহর থেকে পাওয়া লিখিত পাথরের ফলক অনুসারে, যদি কোনো ব্যক্তির শশুর মারা যেতেন, তাহলে এমন পরিস্থিতিতে তার জামাই, তার কাছে থাকা ঠাকুরের মূর্তি নিয়ে আদালতে গিয়ে তার শশুরের সম্পত্তি লাভ করার দাবি করতে পারতেন। (প্রাচীণ নিকট-প্রাচ্যের পাঠ ইংরেজী, জে. প্রিচার্ড দ্বারা সম্পাদিত ১৯৭৪, পৃষ্ঠা. ২১৯, ২২০, এবং পাদটীকা ৫১) হয়তো, রাহেল এই ভেবেই নিজের বাবার ঠাকুরের মূর্তিগুলো চুরি করেছিলেন। সম্ভবত রাহেলের এটা মনে হয়েছিল যে, তিনি কোনো ভুল করছেন না কারণ, তার বাবা লাবন বার বার তার স্বামী যাকোবকে ঠকিয়েছেন। (তুলনা করুন, আদি ৩১:১৪-১৬) এর থেকে আমরা বুঝতে পারি, যে ব্যক্তির কাছে ঠাকুরের মূর্তিগুলো থাকত, সে সম্পত্তির অধিকার লাভ করত। তাই যখন লাবন এটা জানতে পেরেছিলেন যে, তার ঠাকুরের মূর্তিগুলো চুরি হয়েছে তখন তিনি যেকোনো পরিস্থিতিতে সেগুলো ফেরত পেতে চেয়েছিলেন। তিনি তার নিজের আত্মীয়দের সঙ্গে নিয়ে যাকোবের পিছু নিয়েছিলেন এবং সাত দিনের লম্বা যাত্রা করেছিলেন। (আদি ৩১:১৯-৩০) কিন্তু যাকোব এটা জানতেন না যে, রাহেল লাবনের ঠাকুরের মূর্তিগুলো চুরি করেছিলেন। (আদি ৩১:৩২) এই বিষয়ে কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায় না যে, যাকোব সেই মূর্তিগুলো ব্যবহার করে লাবনের ছেলেদের থেকে সম্পত্তি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। যাকোবের এই মূর্তিগুলো পাওয়ার কোনো আগ্রহই ছিল না। তা হলে, এই মূর্তিগুলোর কী হয়েছিল? যাকোব তার আত্মীয়দের মিথ্যা দেবতার মূর্তিগুলো ফেলে দেওয়ার জন্য বলেন এবং যাকোব সেগুলো শিখিমের কাছে থাকা বড় গাছের নিচে পুঁতে দেন, তাই হতে পারে, এটা করার সময়ই তিনি লাবনের ঠাকুরের মুর্তিগুলোকেও পুঁতে দিয়েছিলেন।—আদি ৩৫:১-৪.

প্রহরীদুর্গ ১৩ ৩/১৫ ২১ অনু. ৮

যিহোবা—আমাদের বাসস্থান

৮ যাকোব যখন হারণে পৌঁছেছিলেন, তখন তার মামা লাবন তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছিলেন এবং পরবর্তী সময়ে লেয়া ও রাহেলকে স্ত্রী হিসেবে দান করেছিলেন। কিন্তু, পরে লাবন যাকোবকে স্বীয়স্বার্থে কাজে লাগিয়েছিলেন, দশ বার তার বেতন অন্যথা করেছিলেন! (আদি. ৩১:৪১, ৪২) তা সত্ত্বেও, যাকোব এই অবিচার সহ্য করেছিলেন, এই আস্থা রেখেছিলেন যে, যিহোবা ক্রমাগত তার যত্ন নেবেন—এবং তিনি নিয়েছিলেন! বস্তুতপক্ষে, ঈশ্বর যখন যাকোবকে কনানে ফিরে যেতে বলেছিলেন, তখন এই কুলপতির‘পশু ও দাস দাসী এবং উষ্ট্র ও গর্দ্দভ যথেষ্ট হইয়াছিল।’ (আদি. ৩০:৪৩) গভীর উপলব্ধি সহকারে তিনি এই প্রার্থনা করেছিলেন: “তুমি এই দাসের প্রতি যে সমস্ত দয়া ও যে সমস্ত সত্যাচরণ করিয়াছ, আমি তাহার কিছুরই যোগ্য নই; কেননা আমি নিজ যষ্টিখানি লইয়া এই যর্দ্দন পার হইয়াছিলাম, এখন দুই দল হইয়াছি।”—আদি. ৩২:১০.

এপ্রিল ২০-২৬

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন

আদিপুস্তক ৩২-৩৩

“আপনি কি আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য মল্লযুদ্ধ করছেন?”

প্রহরীদুর্গ ০৩ ৮/১৫ ২৫ অনু. ৩

আপনি কি আন্তরিকভাবে যিহোবার অন্বেষণ করছেন?

শাস্ত্রে এমন অনেকের উদাহরণ রয়েছে, যারা যিহোবাকে অন্বেষণ করার ব্যাপারে মনোযোগপূর্ণ প্রচেষ্টা করেছিল। তাদের মধ্যে একজন ছিলেন যাকোব, যিনি মানুষের রূপধারী ঈশ্বরের স্বর্গদূতের সঙ্গে ভোর পর্যন্ত পুরো শক্তি দিয়ে মল্লযুদ্ধ করেছিলেন। এর ফলে যাকোবকে ইস্রায়েল (ঈশ্বরের সহিত যুদ্ধকারী) নাম দেওয়া হয়েছিল কারণ তিনি ঈশ্বরের সঙ্গে “যুদ্ধ” করেছিলেন বা চালিয়ে গিয়েছিলেন, প্রাণপণ করেছিলেন ও লেগে থেকেছিলেন। স্বর্গদূত তাকে তার আন্তরিক প্রচেষ্টার জন্য আশীর্বাদ করেছিলেন।—আদিপুস্তক ৩২:২৪-৩০.

অন্তর্দৃষ্টি-২ ১৯০

খোঁড়া, খোঁড়ানো

যাকোব খোঁড়াতে লাগল। প্রায় ৯৭ বছর বয়সে যাকোব, এক স্বর্গদূতের সঙ্গে সারারাত ধরে মল্লযুদ্ধ করেছিলেন। তিনি সেই স্বর্গদূতকে ততক্ষণ পর্যন্ত ছাড়েননি যতক্ষণ না পর্যন্ত তিনি তাকে আশীর্বাদ করেন। মল্লযুদ্ধ করার সময় স্বর্গদূত যাকোবের শ্রোণিফলকে আঘাত করেছিলেন এবং তার ঊরুফলক স্থানচ্যুত হয়েছিল। এর ফলে যাকোব খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছিলেন। (আদি ৩২:২৪-৩২;হোশেয় ১২:২-৪) এটা সবসময় তাকে মনে করিয়ে দিত যে, তিনি ঈশ্বরের শক্তিশালী স্বর্গদূতকে হারাতে পারেননি। কিন্তু সেই স্বর্গদূত কেন যাকোবকে এটা বলেছিলেন যে,“তুমি ঈশ্বরের [ঈশ্বরের স্বর্গদূত] ও মনুষ্যদের সহিত যুদ্ধ করিয়া জয়ী হইয়াছ”? কারণ, এটা ঈশ্বরের উদ্দেশ্য ছিল এবং তিনি যাকোবকে স্বর্গদূতের সঙ্গে মল্লযুদ্ধ করতে দিয়েছিলেন। স্বর্গদূতের সঙ্গে মল্লযুদ্ধ করার মাধ্যমে যাকোব এটা দেখানোর সুযোগ পেয়েছিলেন যে, তিনি যিহোবার আশীর্বাদকে উচ্চমূল্য দেন এবং তা পাওয়ার জন্য নিজের যথাসাধ্য করেন।

অন্তর্দৃষ্টি-১ ১২২৮

ইস্রায়েল

১. যাকোবের প্রায় ৯৭ বছর বয়সে, ঈশ্বর তাকে এই নাম দিয়েছিলেন। যখন যাকোব তার নিজের ভাই এষৌর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন এবং যব্বোক উপত্যকা পার হয়েছিলেন, তখন রাত ছিল। সেখানে তিনি এক ব্যক্তির সঙ্গে মল্লযুদ্ধ করেছিলেন যিনি আসলে একজন স্বর্গদূত ছিলেন। যাকোব অনেকক্ষণ ধরে সেই স্বর্গদূতের সঙ্গে মল্লযুদ্ধ করতে থাকেন এবং হাল ছেড়ে দেননি। তাই, তিনি যিহোবার কাছ থেকে এক আশীর্বাদ লাভ করেছিলেন এবং তা হল তার নাম যাকোবের বদলে ইস্রায়েল রাখা হয়েছিল। এই ঘটনার স্মরণে যাকোব সেই জায়গার নাম পনূয়েল রেখেছিলেন। (আদি ৩২:২২-৩১; দেখুন যাকোব নং. ১.) কিছু সময় পরে, যখন যাকোব বৈথেলে ছিলেন তখন ঈশ্বর তাকে আবারও বলেছিলেন যে, তার নাম যাকোব নয় কিন্তু ইস্রায়েল হবে। সেই সময় থেকে তার মৃত্যু পর্যন্ত যাকোবকে বেশ কয়েকবার ইস্রায়েল নামে ডাকা হয়েছিল (আদি ৩৫:১০, ১৫; ৫০:২; ১বংশা ১:৩৪) বিবরণে ২৫০০ বারেরও বেশি ইস্রায়েল নাম রয়েছে, যদিও এটা যাকোবকে নয়, কিন্তু যাকোবের বংশধরদের এক জাতিকে বোঝানো হয়েছে।—যাত্রা ৫:১, ২.

আধ্যাত্মিক রত্ন খুঁজে বের করুন

প্রহরীদুর্গ ১০ ৬/১৫ ২২ অনু. ১০-১১

সদয় কথাবার্তা উত্তম সম্পর্ক বজায় রাখতে সাহায্য করে

১০ সদয় কথাবার্তা ও উত্তম ভাববিনিময় শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করতে ও বজায় রাখতে সাহায্য করে। বস্তুতপক্ষে, অন্যদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ককে উন্নত করার জন্য নিজেদের যথাসাধ্য করা, তাদের সঙ্গে আমাদের ভাববিনিময়কে উন্নত করতে পারে। অন্যদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করার জন্য আন্তরিক ও সদয় কাজগুলো করা—সাহায্য করার সুযোগ খোঁজা, হৃদয় থেকে উপহার দেওয়া, আতিথেয়তা দেখানো—খোলাখুলি ভাববিনিময়ে অবদান বাখতে পারে। এটা এমনকী একজন ব্যক্তির ওপরে “জ্বলন্ত অঙ্গারের রাশি” করে রাখতে ও তার উত্তম গুণগুলো বের করে আনতে পারে, বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলাকে আরও সহজ করে তুলতে পারে।—রোমীয় ১২:২০, ২১.

১১ কুলপতি যাকোব এই বিষয়টা বুঝতে পেরেছিলেন। তার যমজ ভাই এষৌ এতটাই রেগে গিয়েছিলেন যে, এষৌ তাকে হত্যা করবেন এই ভয়ে যাকোব পালিয়ে গিয়েছিলেন। অনেক বছর পর যাকোব ফিরে এসেছিলেন। এষৌ ৪০০ জন লোক নিয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। যাকোব যিহোবার সাহায্যের জন্য প্রার্থনা করেছিলেন। এরপর তিনি উপহার হিসেবে এক বিরাট পশুপাল আগেই এষৌর কাছে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। সেই উপহার এর উদ্দেশ্য সাধন করেছিল। তাদের যখন দেখা হয়েছিল, তখন এষৌর হৃদয় পরিবর্তন হয়ে গিয়েছিল আর তিনি দৌড়ে এসে যাকোবকে আলিঙ্গন করেছিলেন।—আদি. ২৭:৪১-৪৪; ৩২:৬, ১১, ১৩-১৫; ৩৩:৪, ১০.

অন্তর্দৃষ্টি-১ ৯৮০

ঈশ্বর, ইস্রায়েলের ঈশ্বর

যাকোব পনূয়েলে যিহোবার এক স্বর্গদূতের সঙ্গে মল্লযুদ্ধ করেছিলেন এবং তাকে ইস্রায়েল নাম দেওয়া হয়েছিল। এরপর যাকোব তার ভাই এষৌর সঙ্গে মিলিত হয়ে শান্তিস্থাপন করেন এবং সুক্কোতে থাকেন ও এর কিছু সময় পরে তারা শিখিমে চলে যান। শিখিমে তারা হমোরের ছেলেদের থেকে একখণ্ড জমি কিনেছিলেন এবং সেখানে তাঁবু স্থাপন করেছিলেন। (আদি ৩২:২৪-৩০; ৩৩:১-৪, ১৭-১৯) “তথায় এক যজ্ঞবেদি নির্ম্মাণ করিয়া তাহার নাম এল্‌ইলোহেইস্রায়েল [ঈশ্বর, ইস্রায়েলের ঈশ্বর] রাখিলেন।” (আদি ৩৩:২০) যাকোব এই বেদির নাম নিজের নতুন নাম অনুসারে কেন রাখলেন? তিনি এটা প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন যে, তিনি এই নাম মেনে নিয়েছেন এবং এই নামের জন্য তিনি খুব খুশি। এই কারণের জন্যেও তিনি কৃতজ্ঞ ছিলেন যে, ঈশ্বর তাকে প্রতিজ্ঞাত দেশে সুরক্ষিতভাবে ফিরিয়ে এনেছেন। “ঈশ্বর, ইস্রায়েলের ঈশ্বর” এই কথাটা বাইবেলে মাত্র একবার পাওয়া গিয়েছে।

এপ্রিল ২৭–মে ৩

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন

আদিপুস্তক ৩৪-৩৫

“কুসংসর্গের দুঃখজনক পরিণতি”

প্রহরীদুর্গ ৯৭ ২/১ ৩০ অনু. ৪

শিখিম—উপত্যকার নগরটি

নগরের যুবকেরা এই যুবতী কুমারীকে কোন্‌ দৃষ্টিতে দেখবে যে তাদের শহরে নিয়মিত যাতায়াত করত—আপাতদৃষ্টিতে সঙ্গিহীনভাবে? একজন দেশাধিপতির পুত্র “তাহাকে দেখিতে পাইল এবং তাহাকে হরণ করিয়া তাহার সহিত শয়ন করিল, তাহাকে ভ্রষ্ট করিল।” দীণা কেন নীতিহীন কনানীয়দের সাথে মেলামেশা করে বিপদ ডেকে এনেছিল? তার মত সমবয়সী মেয়েদের সঙ্গ পাবার অনুভূতিই কি এর কারণ ছিল? সে কি তার কোন কোন ভাইয়েদের মত একগুঁয়ে এবং স্বাধীনচেতা ছিল? আদিপুস্তকের বিবরণটি পড়ুন এবং তাদের কন্যার শিখিমে যাতায়াত করার নিদারুণ পরিণতির কারণে যাকোব ও লেয়াকে অবশ্যই যে কষ্ট এবং লজ্জা পেতে হয়, তা উপলব্ধি করার চেষ্টা করুন।—আদিপুস্তক ৩৪:১-৩১; ৪৯৫-৭; এছাড়াও প্রহরীদুর্গ (ইংরাজি), জুন ১৫, ১৯৮৫, পৃষ্ঠা ৩১ দেখুন।

ঈশ্বরের প্রেম ১১৯ অনু. ১৪

“তোমরা ব্যভিচার হইতে পলায়ন কর”

১৪ দীণা যখন শিখিমকে দেখেছিলেন, তখন তার মনে হয়তো যৌনসম্পর্ক করার বিষয়টা ছিল না। কিন্তু, শিখিম সেই কাজটা করেছিলেন, যেটাকে অধিকাংশ কনানীয় যৌন অনুভূতি জেগে উঠলে স্বাভাবিক বলে বিবেচনা করত। শেষ মুহূর্তে দীণার কোনো বাধাতেই লাভ হয়নি কারণ শিখিম ‘তাহাকে হরণ করিয়াছিলেন’ এবং ‘তাহাকে ভ্রষ্ট করিয়াছিলেন।’ মনে হয় পরে শিখিম দীণাকে ‘প্রেম করিয়াছিলেন’ কিন্তু তা দীণার প্রতি তিনি যা করেছিলেন, সেটাকে পরিবর্তন করে দেয়নি। (পড়ুন, আদিপুস্তক ৩৪:১-৪.) আর এর ফলে কেবল দীণা একাই কষ্টভোগ করেননি। তার বন্ধুবান্ধব বাছাইয়ের বিষয়টা এমন ঘটনাগুলোর সূত্রপাত ঘটিয়েছিল, যেগুলো তার সম্পূর্ণ পরিবারের উপর অপমান ও নিন্দা নিয়ে এসেছিল।—আদিপুস্তক ৩৪:৭, ২৫-৩১; গালাতীয় ৬:৭, ৮.

প্রহরীদুর্গ ১০ জানুয়ারি-মার্চ ১১ অনু. ১-২

প্রতিশোধ নেওয়া কি সঠিক?

প্রায়ই দেখা যায় যে, যারা প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করে তারা সাধারণত কোনো অন্যায়ের কারণে প্রাপ্ত আবেগগত কষ্টকে লাঘব করার জন্য তা করতে চায়। উদাহরণস্বরূপ, বাইবেল আমাদের বলে যে, যখন ইব্রীয় কুলপতি যাকোবের ছেলেরা জানতে পেরেছিল যে, কনানীয় শিখিম তাদের বোন দীণাকে ভ্রষ্ট করেছে, তখন “তাহারা ক্ষুব্ধ ও অতি ক্রোধান্বিত হইয়াছিল।” (আদিপুস্তক ৩৪:১-৭) তাদের বোনের প্রতি যে-অন্যায় করা হয়েছে, সেটার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য যাকোবের ছেলেদের মধ্যে দুজন, শিখিম ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এঁটেছিল। শিমিয়োন ও লেবি ছলপূর্বক কনানীয় শহরে প্রবেশ করেছিল এবং শিখিমসহ প্রত্যেক পুরুষকে হত্যা করেছিল।—আদিপুস্তক ৩৪:১৩-২৭.

এত ব্যাপক রক্তপাত কি সেই বিষয়টাকে মিটমাট করেছিল? যাকোব যখন তার ছেলেদের কাজ সম্বন্ধে জানতে পেরেছিলেন, তখন তিনি তাদের এই কথা বলে তিরস্কার করেছিলেন: ‘তোমরা এই দেশনিবাসীদের নিকটে আমাকে দুর্গন্ধস্বরূপ করিয়া ব্যাকুল করিলে; তাহারা আমার বিরুদ্ধে একত্র হইয়া আমাকে আঘাত করিবে; আর আমি সপরিবারে বিনষ্ট হইব।’ (আদিপুস্তক ৩৪:৩০) হ্যাঁ, বিষয়টাকে মিটমাট করার পরিবর্তে, তাদের প্রতিশোধপরায়ণ কাজগুলো বিপরীত পরিণতি নিয়ে এসেছিল; যাকোবের পরিবারকে এরপর সেই পালটা আক্রমণের আশঙ্কায় সতর্ক থাকতে হয়েছিল, যা ক্রুদ্ধ প্রতিবেশীদের কাছ থেকে আসতে পারত। সম্ভবত এইরকম এক পরিণতিকে দমন করার জন্য ঈশ্বর যাকোবকে তার পরিবারসহ সেই এলাকার বাইরে বৈথেলে চলে যেতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।—আদিপুস্তক ৩৫:১, ৫.

আধ্যাত্মিক রত্ন খুঁজে বের করুন

অন্তর্দৃষ্টি-১ ৬০০ অনু. ৪

দবোরা

১. রিবিকার ধাত্রী। যখন রিবিকা ইস্‌হাককে বিয়ে করার জন্য তার পিতা বথূয়েলের বাড়ি ছেড়ে পলেষ্টিয়া দেশে এসেছিলেন তখন দবোরা তার সঙ্গে এসেছিলেন। (আদি ২৪:৫৯) দবোরা অনেক বছর ধরে ইস্‌হাকের বাড়িতে সেবা করেছিলেন। সম্ভবত রিবিকার মৃত্যুর পরে দবোরা যাকোবের ঘরের দেখাশোনা করতে শুরু করেছিলেন। এটা মনে হয় যে, ইস্‌হাক ও রিবিকার বিয়ের ১২৫ বছর পরে দবোরা মারা গিয়েছিলেন। তাকে বৈথেলের কাছে এক বড় গাছের নিচে কবর দেওয়া হয়েছিল। সেই গাছের নাম অলোন্‌বাখুৎ [রোদন-বৃক্ষ] রাখা হয়েছিল। এটা ইঙ্গিত দেয় যে, যাকোব ও তার পরিবার দবোরাকে খুবই ভালোবাসতেন।—আদি ৩৫:৮.

প্রহরীদুর্গ ১৭.১২ ১৪

পাঠকদের কাছ থেকে প্রশ্ন

প্রাচীন ইস্রায়েলে, মশীহের বংশধারা কি প্রথমজাত সন্তানের অধিকারের সঙ্গে যুক্ত ছিল?

আমরা কখনো কখনো এমন মন্তব্য করেছি, যেটা ইঙ্গিত দিয়েছে যে, এই বিষয়টা সত্য। এই বিষয়টা ইব্রীয় ১২:১৬ পদের কথাগুলোর সঙ্গে সংগতিপূর্ণ বলে মনে হয়েছিল। সেই শাস্ত্রপদ বলে, এষৌ “ধর্ম্মবিরূপক” হয়েছিলেন এবং ‘এক বারের খাদ্যের নিমিত্ত [যাকোবের কাছে] আপন জ্যেষ্ঠাধিকার বিক্রয় করিয়াছিলেন।‘ এমনটা মনে করা হয়েছিল, এই শাস্ত্রপদ বলে যে, যাকোব যখন “জ্যেষ্ঠাধিকার” বা প্রথমজাত সন্তানের অধিকার লাভ করেছিলেন, তখন তিনি মশীহের পূর্বপুরুষ হওয়ারও যোগ্য হয়ে উঠেছিলেন।—মথি ১:২, ১৬; লূক ৩:২৩, ৩৪.

কিন্তু, বাইবেলের বিভিন্ন বিবরণ ভালোভাবে পরীক্ষা করার মাধ্যমে এই বিষয়টা স্পষ্ট হয়েছে যে, মশীহের পূর্বপুরুষ হওয়ার জন্য একজন ব্যক্তিকে প্রথমজাত পুত্র হওয়ার কোনো প্রয়োজন ছিল না। আসুন, আমরা কয়েকটা প্রমাণ বিবেচনা করি:

যাকোব (ইস্রায়েল) লেয়ার মাধ্যমে যে-প্রথমজাত পুত্রসন্তান লাভ করেছিলেন, তিনি ছিলেন রূবেণ। পরবর্তী সময়, যাকোব তার প্রিয় স্ত্রী রাহেলের মাধ্যমে যে-প্রথম পুত্রসন্তান লাভ করেছিলেন, তিনি ছিলেন যোষেফ। রূবেণ যখন অনৈতিকতায় লিপ্ত হওয়ার দ্বারা দোষী হয়ে পড়েছিলেন, তখন প্রথমজাত সন্তানের অধিকার যোষেফের কাছে চলে গিয়েছিল। (আদি. ২৯:৩১-৩৫; ৩০:২২-২৫; ৩৫:২২-২৬; ৪৯:২২-২৬; ১ বংশা. ৫:১, ২) তা সত্ত্বেও, মশীহের বংশধারা রুবেণ কিংবা যোষেফ, কারো মাধ্যমেই আসেনি। এই বংশ এসেছিল যাকোব ও লেয়ার চতুর্থ ছেলে যিহূদার মাধ্যমে।—আদি. ৪৯:১০.

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার