ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • mwbr22 সেপ্টেম্বর পৃষ্ঠা ১-১২
  • জীবন ও পরিচর্যা সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা-র রেফারেন্স

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • জীবন ও পরিচর্যা সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা-র রেফারেন্স
  • জীবন ও পরিচর্যা—সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা-র রেফারেন্স (২০২২)
  • উপশিরোনাম
  • সেপ্টেম্বর ৫-১১
  • সেপ্টেম্বর ১২-১৮
  • সেপ্টেম্বর ১৯-২৫
  • সেপ্টেম্বর ২৬–অক্টোবর ২
  • অক্টোবর ৩-৯
  • অক্টোবর ১০-১৬
  • অক্টোবর ১৭-২৩
  • অক্টোবর ২৪-৩০
  • অক্টোবর ৩১–নভেম্বর ৬
জীবন ও পরিচর্যা—সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা-র রেফারেন্স (২০২২)
mwbr22 সেপ্টেম্বর পৃষ্ঠা ১-১২

জীবন ও পরিচর্যা সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা-র রেফারেন্স

সেপ্টেম্বর ৫-১১

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | ১ রাজাবলি ৯-১০

“যিহোবার প্রজ্ঞার জন্য তাঁর প্রশংসা করুন“

প্রহরীদুর্গ ৯৯ ৭/১ ৩০ অনু. ৬

এমন এক পরিদর্শন যা প্রচুর পুরস্কার এনেছিল

শলোমনের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর, রানি তাকে “গূঢ়বাক্য” বলে পরীক্ষা করতে শুরু করেন। (১ রাজাবলি ১০:১) এখানে যে ইব্রীয় শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে সেটা “ধাঁধা” হিসেবেও অনুবাদ করা যেতে পারে। কিন্তু তাই বলে, এটা বোঝায় না যে রানি শলোমনের সঙ্গে নিছক হেঁয়ালি করছিলেন। লক্ষ্য করার মতো বিষয় এই যে গীতসংহিতা ৪৯:৪ পদে পাপ, মৃত্যু ও মুক্তির মূল্য সম্বন্ধে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের বর্ণনার জন্য ইব্রীয় ভাষায় ওই একই শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। তাহলে, শিবার রানি শলোমনের সঙ্গে খুবই গভীর বিষয় নিয়ে আলোচনা করছিলেন যার মাধ্যমে তিনি শলোমনের জ্ঞানের প্রখরতাকে পরীক্ষা করেছিলেন। বাইবেল জানায় যে তিনি তার “নিজের মনে যাহা ছিল, তাঁহাকে সমস্তই কহিলেন।” আর শলোমন, “তাঁহার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর করিলেন; রাজার বোধের অগম্য কিছুই ছিল না, তিনি তাঁহাকে সকলই কহিলেন।”—১ রাজাবলি ১০:২খ, ৩.

প্রহরীদুর্গ ৯৯ ১১/১ ২০ অনু. ৬

অনেক উদারতা

রানি যা কিছু শুনেছিলেন এবং দেখেছিলেন তাতে অবাক হয়ে তিনি নম্রভাবে বলেছিলেন: “ধন্য [সুখী] আপনার এই দাসেরা, যাহারা নিয়ত আপনার সম্মুখে দাঁড়ায়, যাহারা আপনার জ্ঞানের উক্তি শোনে।” (১ রাজাবলি ১০:৪-৮) শলোমনের দাসেদের চারপাশে প্রচুর ধন-সম্পদ ছিল বলে রানি তাদেরকে সুখী বলেছিলেন তা নয়। কিন্তু শলোমনের দাসেরা এইজন্য সুখী ছিল যে তারা সবসময় শলোমনের মুখে ঈশ্বরের কাছ থেকে পাওয়া জ্ঞানের কথা শুনতে পারত। আজকে যিহোবার লোকেদের জন্য শিবার রানির উদাহরণ কতই না ভাল যারা সৃষ্টিকর্তার এবং তাঁর পুত্র যীশু খ্রীষ্টের প্রজ্ঞায় চলেন!

প্রহরীদুর্গ ৯৯ ৭/১ ৩০-৩১

এমন এক পরিদর্শন যা প্রচুর পুরস্কার এনেছিল

শিবার রানি শলোমনের বিজ্ঞতা এবং তার রাজ্যের সুখসমৃদ্ধি দেখে এতই অভিভূত হয়ে পড়েছিলেন যে তিনি “হতজ্ঞান হইলেন।” (১ রাজাবলি ১০:৪, ৫) কেউ কেউ এই বাক্যাংশটাকে এইভাবে অর্থ করেন যে রানি “শ্বাসরুদ্ধ” হয়ে যান। একজন পণ্ডিত ব্যক্তি এমনকি এটা বলেন যে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান! সত্যি বিষয় যাই হোক না কেন, রানি যা কিছু দেখেছিলেন আর শুনেছিলেন তা তাকে বিস্মিত করে দিয়েছিল। তিনি শলোমনের দাসেদেরকে ধন্য বলেছিলেন কারণ তারা এই রাজার বিজ্ঞতার কথা শুনতে পেতেন আর সেইসঙ্গে তিনি যিহোবার প্রশংসা করেছিলেন যিনি শলোমনকে সিংহাসনে অধিষ্ঠিত করেছেন। এরপর তিনি শলোমনকে অনেক দামি দামি উপঢৌকন দিয়েছিলেন আর শুধু সোনাই এত ছিল যে, আজকে তার মূল্য প্রায় ৪,০০,০০,০০০ মার্কিন ডলারের সমান। আর শলোমনও রানিকে উপঢৌকন দেন, তিনি রানির “বাসনানুসারে তাঁহার যাবতীয় বাঞ্ছিত দ্রব্য” দিয়েছিলেন।—১ রাজাবলি ১০:৬-১৩.

অমূল্য রত্ন

প্রহরীদুর্গ ০৮ ১১/১ ২২ অনু. ৪-৬, ইংরেজি

আপনি কি জানতেন?

রাজা শলোমনের কাছে কী পরিমাণ সোনা ছিল?

বাইবেল জানায়, সোরের রাজা শলোমনের কাছে চার টন সোনা পাঠিয়েছিলেন, শিবার রানি শলোমনকে প্রায় একই পরিমাণ সোনা দিয়েছিলেন আর শলোমনের জাহাজগুলো ওফীর থেকে ১৫ টনেরও বেশি সোনা নিয়ে এসেছিল। “প্রতি বছর শলোমনের কাছে প্রায় ৬৬৬ তালন্ত” অর্থাৎ ২৫ টনেরও বেশি “সোনা আসত।” (১রাজা ৯:১৪, ২৮; ১০:১০, ১৪) এটা কী সম্ভব? সেই সময় রাজাদের সোনা সংরক্ষণ করে রাখার জায়গা কতটা বড়ো ছিল?

এক প্রাচীন শিলালিপিতে একজন ফরৌণ সম্বন্ধে বলা আছে, যিনি প্রায় শলোমনের সময়েই বাস করতেন। আর পণ্ডিত ব্যক্তিরা এই শিলালিপিকে নির্ভরযোগ্য বলে মনে করে। বলা হয় যে, সেই ফরৌণ তার দেবতার মন্দিরে প্রায় ১৩.৫ টন সোনা দিয়েছিলেন।

বলা হয় যে, মহান আলেকজান্ডার (খ্রিস্টপূর্ব ৩৩৬-৩২৩ সাল) যখন পারস্যের শূশন নগর জয় করেছিলেন, তখন তিনি সেখান থেকে প্রায় ১,১৮০ টন সোনা এবং পুরো পারস্য থেকে প্রায় ৭,০০০ টন সোনা নিয়েছিলেন। এই বিবরণগুলো প্রমাণ দেয়, বাইবেলে রাজা শলোমনের যে-সোনার কথা বলা হয়েছে, তা একটুও বাড়িয়ে বলা হয়নি।

সেপ্টেম্বর ১২-১৮

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | ১ রাজাবলি ১১-১২

“বুঝে-শুনে বিবাহসাথি বাছাই করুন“

প্রহরীদুর্গ ১৮.০৭ ১৮ অনু. ৭

‘সদাপ্রভুর পক্ষে কে?’

৭ শলোমন যখন অল্পবয়সি ছিলেন, তখন যিহোবার সঙ্গে তার এক উত্তম সম্পর্ক ছিল। ঈশ্বর শলোমনকে খুবই বিজ্ঞ করে তুলেছিলেন এবং তাকে যিরূশালেমে এক সুন্দর মন্দির নির্মাণ করার একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ দিয়েছিলেন। কিন্তু, শলোমন যিহোবার সঙ্গে তার বন্ধুত্ব হারিয়ে ফেলেছিলেন। (১ রাজা. ৩:১২; ১১:১, ২) ঈশ্বরের ব্যবস্থায় বলা হয়েছিল, রাজার “অনেক স্ত্রী গ্রহণ” করা উচিত নয়, “পাছে তাহার হৃদয় বিপথগামী হয়।” (দ্বিতীয়. ১৭:১৭) শলোমন এই আইন ভেঙেছিলেন। পরিশেষে, তার ৭০০ স্ত্রী ও ৩০০ উপপত্নী ছিল! (১ রাজা. ১১:৩) এই নারীদের মধ্যে অনেকেই বিদেশি ছিল, যারা মিথ্যা দেবতাদের উপাসনা করত। তাই, ঈশ্বর বিদেশি নারীদের বিয়ে না করার বিষয়ে যে-আইন দিয়েছিলেন, শলোমন সেটাকেও ভেঙেছিলেন।—দ্বিতীয়. ৭:৩, ৪.

প্রহরীদুর্গ ১৯.০১ ১৫ অনু. ৬

কীভাবে আপনি আপনার হৃদয়কে রক্ষা করতে পারেন?

৬ শয়তান আমাদের তার মতো বিদ্রোহী বানাতে চায়। সে চায় যেন আমরা যিহোবার মানগুলো উপেক্ষা করি এবং স্বার্থপর মনোভাবের দ্বারা পরিচালিত হই। তবে, শয়তান আমাদের তার মতো করে যুক্তি করার ও কাজ করার জন্য জোর করতে পারে না। তাই, সে নিজের লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য অন্যান্য উপায় বেছে নেয়। উদাহরণ স্বরূপ, সে আমাদের এমন লোকেদের মাঝে রাখে, যারা ইতিমধ্যেই তার দ্বারা কলুষিত হয়ে গিয়েছে। (১ যোহন ৫:১৯) সে আশা করে যে, আমরা সেই লোকেদের সঙ্গে সময় কাটানো বেছে নেব আর তা এমনকী এটা জানা সত্ত্বেও যে, কুসংসর্গ আমাদের চিন্তাভাবনা ও কাজকর্মকে “নষ্ট” বা কলুষিত করে দেবে। (১ করি. ১৫:৩৩) এই কৌশল রাজা শলোমনের ক্ষেত্রে কাজ করেছিল। তিনি এমন অনেক মহিলাকে বিয়ে করেছিলেন, যারা পৌত্তলিক উপাসনা করত। আর তারা পরিশেষে শলোমনের উপর এক জোরালো প্রভাব ফেলেছিল এবং ধীরে ধীরে “তাঁহার হৃদয়কে” যিহোবার কাছ থেকে ‘বিপথগামী করিয়াছিল।’—১ রাজা. ১১:৩.

প্রহরীদুর্গ ১৮.০৭ ১৯ অনু. ৯

‘সদাপ্রভুর পক্ষে কে?’

৯ কিন্তু, যিহোবা কখনো পাপকে উপেক্ষা করেন না। বাইবেল বলে: “সদাপ্রভু শলোমনের প্রতি ক্রুদ্ধ হইলেন; কেননা তাঁহার অন্তঃকরণ . . . সদাপ্রভু হইতে বিপথগামী হইয়াছিল।” ঈশ্বর শলোমনকে সাহায্য করার চেষ্টা করেছিলেন। যিহোবা “দুইবার তাঁহাকে দর্শন দিয়াছিলেন, এবং এই বিষয় তাঁহাকে আজ্ঞা দিয়াছিলেন, যেন তিনি অন্য দেবগণের অনুগামী না হন; কিন্তু সদাপ্রভু যাহা আজ্ঞা দিয়াছিলেন, তাহা তিনি পালন করিলেন না।” ফল স্বরূপ, তিনি ঈশ্বরের অনুমোদন ও সমর্থন হারিয়ে ফেলেছিলেন। যিহোবা শলোমনের বংশধরদের সমগ্র ইস্রায়েল জাতির উপর শাসন করতে দেননি আর শত শত বছর ধরে তারা বিভিন্ন জটিল সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিল।—১ রাজা. ১১:৯-১৩.

অমূল্য রত্ন

প্রহরীদুর্গ ১৮.০৬ ১৩-১৪

তিনি ঈশ্বরের অনুগ্রহ লাভ করতে পারতেন

রহবিয়াম তার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর লোকেরা তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল। তাই, রহবিয়াম সেই বিদ্রোহী বংশগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তার সেনাবাহিনীকে একত্রিত করেছিলেন। কিন্তু, যিহোবা তাঁর ভাববাদী শময়িয়কে পাঠিয়ে তাদের বলেছিলেন: “তোমরা যাত্রা করিও না, তোমাদের ভ্রাতৃগণের সহিত, ইস্রায়েল-সন্তানগণের সহিত যুদ্ধ করিও না; প্রত্যেক জন আপন আপন গৃহে ফিরিয়া যাও, কেননা এই ঘটনা আমা হইতে হইল।”—১ রাজা. ১২:২১-২৪.

যিহোবার কথা মেনে নেওয়া কি রহবিয়ামের পক্ষে সহজ ছিল? লোকেরা তাদের নতুন রাজা সম্বন্ধে কী চিন্তা করবে? তিনি বলেছিলেন যে, তিনি তাদের “বৃশ্চিক দ্বারা” শাস্তি দেবেন কিন্তু এখন তিনি সেই চরম বিদ্রোহের বিষয়ে কিছুই করতে যাচ্ছিলেন না! (তুলনা করুন, ২ বংশাবলি ১৩:৭.) কিন্তু, লোকেরা তার বিষয়ে যা-ই চিন্তা করুক না কেন, রহবিয়াম ও তার সেনাবাহিনী “সদাপ্রভুর বাক্য মানিয়া সদাপ্রভুর আজ্ঞানুসারে ফিরিয়া গেল।”

এই বিবরণে আমাদের জন্য কোন শিক্ষা রয়েছে? ঈশ্বরের কথা মেনে চলা সবসময়ই বিজ্ঞতার কাজ, এমনকী তখনও, যখন তা করার ফলে লোকেরা আমাদের নিয়ে ঠাট্টা করে। আমরা যদি ঈশ্বরের কথা মেনে চলি, তা হলে তিনি সবসময় আমাদের আশীর্বাদ করবেন।—দ্বিতীয়. ২৮:২.

রহবিয়াম ঈশ্বরের কথা মেনেছিলেন বলে তাকে কি আশীর্বাদ করা হয়েছিল? রহবিয়াম তখনও যিহূদা ও বিন্যামীন বংশের উপর শাসন করতেন আর তিনি সেই দুই বংশের এলাকাগুলোতে নতুন নতুন নগর তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এ ছাড়া, তিনি বেশ কয়েকটা নগরকে “অতিশয়” দৃঢ় করেছিলেন। (২ বংশা. ১১:৫-১২) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা হল, কিছু সময়ের জন্য তিনি যিহোবার আইন মেনে চলেছিলেন। যেহেতু দশ বংশের রাজ্যে প্রতিমাপূজা শুরু হয়েছিল, তাই অনেকে রহবিয়ামকে ও সেইসঙ্গে সত্য উপাসনাকে সমর্থন করার জন্য সেখান থেকে যিরূশালেমে এসেছিল। (২ বংশা. ১১:১৬, ১৭) রহবিয়াম যিহোবার কথা মেনে চলেছিলেন বলে তার রাজ্য আরও শক্তিশালী হয়েছিল।

সেপ্টেম্বর ১৯-২৫

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | ১ রাজাবলি ১৩-১৪

“কেন সন্তুষ্ট থাকতে এবং বিনয়ী হতে হবে?“

প্রহরীদুর্গ ০৮ ৮/১৫ ৮ অনু. ৪

একাগ্র হৃদয়ে আনুগত্য বজায় রাখুন

৪ এরপর যারবিয়াম সত্য ঈশ্বরের লোককে বলেন: “আপনি আমার সহিত গৃহে আসিয়া আরাম করুন, আর আমি আপনাকে উপহার দিব।” (১ রাজা. ১৩:৭) ভাববাদী এখন কী করবেন? রাজার প্রতি বিচারের বার্তা ঘোষণা করার পর তার কি রাজার আতিথেয়তা গ্রহণ করা উচিত? (গীত. ১১৯:১১৩) নাকি রাজার নিমন্ত্রণকে তার প্রত্যাখ্যান করা উচিত, এমনকি যদিও রাজাকে দেখে মনে হয় যে, তিনি অনুশোচনা করেছেন? এটা নিশ্চিত যে, যারবিয়ামের তার বন্ধুদেরকে অনেক মূল্যবান উপহার দেওয়ার সামর্থ্য রয়েছে। যদি ঈশ্বরের ভাববাদী বস্তুগত বিষয়ের জন্য কোনোরকম গোপন আকাঙ্ক্ষা পুষে রাখেন, তাহলে রাজার প্রস্তাব সম্ভবত তার জন্য এক বিরাট প্রলোভন হবে। কিন্তু, যিহোবা ভাববাদীকে আদেশ দিয়েছেন: “তুমি অন্ন ভোজন ও জল পান করিও না, এবং যে পথ দিয়া যাইবে, সেই পথ দিয়া ফিরিয়া আসিও না।” তাই, সেই ভাববাদী স্পষ্টভাবে উত্তর দেন: “যদি আপনি আমাকে আপন বাটীর অর্দ্ধেক দেন, তথাপি আপনার সহিত প্রবেশ করিব না, আমি এই স্থানে অন্ন ভোজন বা জল পান করিব না।” আর সেই ভাববাদী অন্য পথ দিয়ে বৈথেল ত্যাগ করেন। (১ রাজা. ১৩:৮-১০) ভাববাদীর এই সিদ্ধান্ত আন্তরিক আনুগত্য সম্বন্ধে আমাদের কী শিক্ষা দেয়?—রোমীয় ১৫:৪.

প্রহরীদুর্গ ০৮ ৮/১৫ ১১ অনু. ১৫

একাগ্র হৃদয়ে আনুগত্য বজায় রাখুন

১৫ যিহূদা থেকে আসা ভাববাদীর ভুল থেকে আমরা আর কী শিখতে পারি? হিতোপদেশ ৩:৫ পদ বলে: “তুমি সমস্ত চিত্তে সদাপ্রভুতে বিশ্বাস কর; তোমার নিজ বিবেচনায় নির্ভর করিও না।” যিহূদা থেকে আসা ভাববাদী অতীতে যিহোবার ওপর যেভাবে নির্ভর করেছিলেন, সেইমতো নির্ভর করার পরিবর্তে, তিনি এই সময়টাতে তার নিজের বিচারবুদ্ধির ওপর বিশ্বাস বা নির্ভর করেছিলেন। তার ভুলের জন্য তাকে তার জীবন ও ঈশ্বরের কাছে সুনাম দুটোই হারাতে হয়েছিল। তার অভিজ্ঞতা যিহোবার প্রতি আমাদের সেবার ক্ষেত্রে বিনয়ী ও অনুগত হওয়ার গুরুত্বের ওপর কতই না জোর দেয়!

প্রহরীদুর্গ ০৮ ৮/১৫ ৯ অনু. ১০

একাগ্র হৃদয়ে আনুগত্য বজায় রাখুন

১০ যিহূদা থেকে আসা ভাববাদীর উচিত ছিল সেই বৃদ্ধ ভাববাদীর ছলনা বোঝা। তিনি নিজেকে জিজ্ঞেস করতে পারতেন, ‘কেন যিহোবা অন্য কারো কাছে আমার জন্য নতুন নির্দেশনা দিয়ে দূতকে প্রেরণ করবেন?’ ভাববাদী সেই নির্দেশনা স্পষ্ট করে দেওয়ার জন্য যিহোবাকে জিজ্ঞেস করতে পারতেন কিন্তু শাস্ত্রে এমন কোনো ইঙ্গিত নেই যে, তিনি এইরকম কিছু করেছিলেন। এর পরিবর্তে, “তিনি [সেই বৃদ্ধ ব্যক্তির] সহিত ফিরিয়া গিয়া তাঁহার গৃহে অন্ন ভোজন ও জল পান করিলেন।” এতে যিহোবা খুশি হননি। প্রতারিত ভাববাদী যখন শেষপর্যন্ত যিহূদায় ফিরে যাওয়ার জন্য রওনা হয়েছিলেন, তখন একটা সিংহ তাকে পেয়ে হত্যা করেছিল। ভাববাদী হিসেবে তার কর্মজীবনের কী এক দুঃখজনক পরিসমাপ্তি!—১ রাজা. ১৩:১৯-২৫.

অমূল্য রত্ন

প্রহরীদুর্গ ১১ ১/১ ২১ অনু. ৫

তিনি লোকেদের মধ্যে ভালো কিছু খোঁজেন

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, ১ রাজাবলি ১৪:১৩ পদের কথাগুলো, যিহোবা সম্বন্ধে এবং তিনি আমাদের মধ্যে যা খোঁজেন, সেই সম্বন্ধে আমাদেরকে ভালো কিছু শিক্ষা দেয়। স্মরণ করুন যে, অবিয়ের মধ্যে কিছুটা ভালো গুণ ‘পাওয়া গিয়াছিল।’ মনে করা হয় যে, যতক্ষণ পর্যন্ত না তিনি অবিয়ের মধ্যে লেশমাত্র ভালো গুণ খুঁজে পেয়েছিলেন, ততক্ষণ পর্যন্ত যিহোবা তার হৃদয় অনুসন্ধান করেছিলেন। একজন পণ্ডিত ব্যক্তি যেমন বলেন, তার পরিবারের সঙ্গে তুলনা করলে, অবিয় “নুড়ি পাথরের স্তূপের মধ্যে” একমাত্র মুক্তোর মতো ছিলেন। এক দুষ্ট পরিবারের এই একজন সদস্যের প্রতি কিছুটা করুণা দেখানোর দ্বারা যিহোবা এই ভালো গুণকে মূল্যবান বলে গণ্য করেছিলেন এবং এটাকে পুরস্কৃত করেছিলেন।

সেপ্টেম্বর ২৬–অক্টোবর ২

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | ১ রাজাবলি ১৫-১৬

“আসার মতো আপনি কি সাহসের সঙ্গে কাজ করেন?“

প্রহরীদুর্গ ১২ ৮/১৫ ৮ অনু. ৪

“তোমাদের কার্য্য পুরস্কৃত হইবে”

ইস্রায়েল দুই রাজ্যে বিভক্ত হয়ে যাওয়ার ২০ বছরের মধ্যেই যিহূদা পুরোপুরিভাবে পৌত্তলিক অভ্যাসগুলোর দ্বারা কলুষিত হয়ে পড়ে। খ্রিস্টপূর্ব ৯৭৭ সালে আসা যখন রাজা হন, তখন এমনকী রাজসভার ব্যক্তিরাও কনানীয় উর্বতার দেবতাদের উপাসনার মাধ্যমে কলুষিত হয়ে পড়ে। কিন্তু, আসার রাজত্বের সময় সম্পর্কে অনুপ্রাণিত বিবরণ বলে যে, তিনি “আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যাহা ভাল ও ন্যায্য, তাহাই করিতেন।” আসা “বিজাতীয় যজ্ঞবেদি ও উচ্চস্থলী সকল উঠাইয়া ফেলিলেন, স্তম্ভ সকল খণ্ড খণ্ড করিলেন ও আশেরা-মূর্ত্তি সকল ছেদন করিলেন।” (২ বংশা. ১৪:২, ৩) এ ছাড়াও, আসা যিহূদা রাজ্য থেকে “পুংগামীদিগকে” তাড়িয়ে দিয়েছিলেন, যারা ধর্মের নামে সমকামীতায় লিপ্ত ছিল। আসা কেবল বহিষ্করণের কাজই করেননি। তিনি লোকেদেরকে “তাহাদের পিতৃপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর অন্বেষণ” করার এবং ঈশ্বরের “ব্যবস্থা ও আজ্ঞা” পালন করার জন্য আদেশ দিয়েছিলেন।—১ রাজা. ১৫:১২, ১৩; ২ বংশা. ১৪:৪.

প্রহরীদুর্গ ১৭.০৩ ১৯ অনু. ৭

একাগ্র হৃদয়ে যিহোবার সেবা করুন!

৭ আমরাও যিহোবার প্রতি একান্তভাবে নিয়োজিত কি না, তা আমরা কীভাবে জানতে পারি? আমরা নিজেদের জিজ্ঞেস করতে পারি: ‘আমি কি কঠিন সময়ও যিহোবার প্রতি বাধ্য থাকব? আমি কি তাঁর মণ্ডলীকে শুচি রাখার জন্য দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ?’ চিন্তা করে দেখুন, তার ঠাকুরমাকে মাতারানির পদ থেকে সরানোর জন্য আসার কতটা সাহসের প্রয়োজন হয়েছিল! কখনো কখনো আপনাকেও হয়তো আসার মতো সাহসী হতে হবে। উদাহরণ স্বরূপ, আপনার পরিবারের কোনো সদস্য অথবা ঘনিষ্ঠ বন্ধু যদি পাপ করার পর অনুতপ্ত না হন এবং তাকে মণ্ডলী থেকে সমাজচ্যুত করা হয়, তা হলে? আপনি কি সেই ব্যক্তির সঙ্গে মেলামেশা না করার জন্য দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ হবেন? আপনার হৃদয় আপনাকে কী করতে পরিচালিত করবে?

অন্তর্দৃষ্টি-১ ১৮৪-১৮৫, ইংরেজি

আসা

আসা বোকার মতো কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আর তিনি সবসময় যিহোবার উপর পুরোপুরিভাবে নির্ভর করেননি। তা সত্ত্বেও, তার মধ্যে কিছু ভালো গুণ ছিল এবং তিনি দেশ থেকে মিথ্যা উপাসনা দূর করে দিয়েছিলেন। তিনি যতটা না ভুল করেছিলেন, সেটার চেয়ে আরও বেশি করে উত্তম গুণাবলি দেখিয়েছিলেন এবং উত্তম কাজ করেছিলেন আর তাই তাকে যিহূদার বিশ্বস্ত রাজাদের মধ্যে একজন বলে মনে করা হয়।—২বংশা ১৫:১৭.

অমূল্য রত্ন

প্রহরীদুর্গ ৯৮ ৯/১৫ ২১-২২

ঈশ্বর কি আপনার কাছে বাস্তব?

উদাহরণস্বরূপ, যিরীহো পুনর্নির্মাণের শাস্তি সম্বন্ধীয় ভবিষ্যদ্বাণীটি পড়ুন এবং তারপর এর পরিপূর্ণতা সম্বন্ধে বিবেচনা করুন। যিহোশূয়ের পুস্তক ৬:২৬ পদ বলে: “সেই সময়ে যিহোশূয় শপথ করিয়া লোকদিগকে কহিলেন, যে কেহ উঠিয়া এই যিরীহো নগর পত্তন করিবে, সে সদাপ্রভুর সাক্ষাতে শাপগ্রস্ত হউক; নগরের ভিত্তিমূল স্থাপনের দণ্ডরূপে সে আপন জ্যেষ্ঠ পুত্ত্রকে, ও নগরদ্বার সকল স্থাপনের দণ্ডরূপে আপন কনিষ্ঠ পুত্ত্রকে দিবে।” এটি প্রায় ৫০০ বছর পরে পরিপূর্ণ হয়েছিল, কারণ ১ রাজাবলি ১৬:৩৪ পদে আমরা পড়ি: “[রাজা আহাবের] সময়ে বৈথেলীয় হীয়েল যিরীহো নগর নির্ম্মাণ করিল; তাহাতে সদাপ্রভু নূনের পুত্ত্র যিহোশূয়ের দ্বারা যে বাক্য বলিয়াছিলেন, তদনুসারে তাহাকে ভিত্তিমূল স্থাপনের দণ্ডস্বরূপ আপন জ্যেষ্ঠ পুত্ত্র অবীরামকে, এবং কবাট স্থাপনের দণ্ডস্বরূপ আপন কনিষ্ঠ পুত্ত্র সগূবকে দিতে হইল।” একজন বাস্তব ঈশ্বরই কেবল এইধরনের ভবিষ্যদ্বাণীগুলি অনুপ্রাণিত এবং সেগুলি পরিপূর্ণ করতে পারেন।

অক্টোবর ৩-৯

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | ১ রাজাবলি ১৭-১৮

“তোমরা আর কত দিন সিদ্ধান্ত না নিয়ে থাকবে?”

প্রহরীদুর্গ ১৭.০৩ ১৪ অনু. ৬

বিশ্বাস দেখিয়ে চলুন—বিজ্ঞতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিন!

৬ ইস্রায়েলীয়রা যখন প্রতিজ্ঞাত দেশে বাস করছিল, তখন তাদের বেছে নিতে হয়েছিল যে, তারা যিহোবার উপাসনা করবে, না কি অন্য দেব-দেবীর সেবা করবে। (পড়ুন, যিহোশূয়ের পুস্তক ২৪:১৫.) এটাকে হয়তো এক সহজ সিদ্ধান্ত বলে মনে হয়েছিল। কিন্তু, তাদের সেই বাছাইয়ের সঙ্গে জীবন অথবা মৃত্যু যুক্ত ছিল। বিচারকদের সময় ইস্রায়েলীয়রা বার বার মন্দ বাছাই করেছিল। তারা যিহোবাকে উপাসনা করা বন্ধ করে দিয়ে মিথ্যা দেব-দেবীর উপাসনা করতে শুরু করেছিল। (বিচার. ২:৩, ১১-২৩) পরে, ভাববাদী এলিয়ের সময় ঈশ্বরের লোকেদের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল, তারা যিহোবার সেবা করবে, না কি মিথ্যা দেবতা বালের সেবা করবে। (১ রাজা. ১৮:২১) আপনি হয়তো চিন্তা করছেন, এটা এক সহজ বাছাই কারণ যিহোবার সেবা করা সবসময়ই উত্তম। একজন বিজ্ঞ ব্যক্তি কখনো এক নিষ্প্রাণ দেবতার সেবা করতে চাইবেন না। কিন্তু, লোকেরা সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। বাইবেল জানায়, ইস্রায়েলীয়রা “দুই নৌকায় পা দিয়া” ছিল। এলিয় বিজ্ঞতার সঙ্গে লোকেদের উৎসাহিত করেছিলেন, যেন তারা সত্য ঈশ্বর যিহোবার উপাসনা করা বেছে নেয়।

অনুকরণ করুন ৮৮ অনু. ১৫

তিনি বিশুদ্ধ উপাসনার পক্ষসমর্থন করেছিলেন

১৫ এর প্রতি সাড়া দিয়ে, বালের যাজকরা এমনকী আরও বেশি উত্তেজিত হয়ে উঠেছিল, “তাহারা উচ্চৈঃস্বরে ডাকিল, এবং আপনাদের ব্যবহারানুসারে গাত্রে রক্তের ধারা বহন পর্য্যন্ত ছুরিকা ও শলাকা দ্বারা আপনাদিগকে ক্ষতবিক্ষত করিল।” কিন্তু, কোনো লাভ হয়নি! “কোন বাণীও হইল না, কেহ উত্তরও দিল না, কেহ মনোযোগও করিল না।” (১ রাজা. ১৮:২৮, ২৯) আসলে বাল বলে কেউ ছিলই না। যিহোবার কাছ থেকে লোকদেরকে প্রলুব্ধ করে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সে ছিল শয়তানের পরিকল্পিত এক উদ্ভাবন। সত্য বিষয়টা হল, যিহোবা ছাড়া অন্য কোনো প্রভুকে বেছে নেওয়া হতাশার দিকে, এমনকী লজ্জিত হওয়ার দিকে পরিচালিত করে।—পড়ুন, গীতসংহিতা ২৫:৩; ১১৫:৪-৮.

অনুকরণ করুন ৯০ অনু. ১৮

তিনি বিশুদ্ধ উপাসনার পক্ষসমর্থন করেছিলেন

১৮ এলিয় প্রার্থনা করার আগে, সেখানে উপস্থিত জনতা হয়তো ভেবেছিল যে, যিহোবাও মিথ্যা হিসেবে প্রমাণিত হবেন কি না, যেমনটা বাল হয়েছিল। তবে, প্রার্থনা করার পর সন্দেহের অবকাশ ছিল না। বিবরণ বলে: “তখন সদাপ্রভুর অগ্নি পতিত হইল, এবং হোমবলি, কাষ্ঠ, প্রস্তর ও ধূলি গ্রাস করিল, এবং প্রণালীস্থীত জলও চাটিয়া খাইল।” (১ রাজা. ১৮:৩৮) কী চমৎকার এক উত্তর! আর লোকেরা কীভাবে সাড়া দিয়েছিল?

অমূল্য রত্ন

অনুকরণ করুন ৮৬, বাক্স

তিনি বিশুদ্ধ উপাসনার পক্ষসমর্থন করেছিলেন

এলিয়ের দিনে খরা কত দিন স্থায়ী ছিল?

যিহোবার ভাববাদী এলিয়, রাজা আহাবের কাছে ঘোষণা করেছিলেন যে, দীর্ঘদিন ধরে চলা খরা শীঘ্রই শেষ হতে চলেছে। স্পষ্টতই, খরা সম্বন্ধে এলিয়ের প্রথম ঘোষণা থেকে শুরু করে “তৃতীয় বৎসরে” এই ঘটনাটা ঘটেছিল। (১ রাজা. ১৮:১) যে-সময়ে বৃষ্টি আসবে বলে এলিয় বলেছিলেন, ঠিক তার পরেই যিহোবা বৃষ্টি পাঠিয়েছিলেন। অনেকে হয়তো এই সিদ্ধান্তে আসতে পারেন যে, খরা তৃতীয় বছরে শেষ হয়েছিল আর তাই তা তিন বছরের কম সময় ধরে চলেছিল। কিন্তু, যিশু ও যাকোব উভয়েই আমাদের জানান যে, খরা “তিন বৎসর ছয় মাস” ধরে চলেছিল। (লূক ৪:২৫; যাকোব ৫:১৭) তাহলে এই দুই বিবরণ কি পরস্পরবিরোধী?

কোনোমতেই নয়। লক্ষ করুন, প্রাচীন ইস্রায়েলে শুষ্ক মরসুম অনেকটা দীর্ঘ সময়, প্রায় ছয় মাস ধরে চলত। এতে কোন সন্দেহ নেই যে, এলিয় যখন আহাবের কাছে এসে খরা সম্বন্ধে ঘোষণা করেছিলেন, তখন ইতিমধ্যেই শুষ্ক মরসুম বেশ দীর্ঘদিন ধরে চলেছিল ও তীব্র আকার ধারণ করেছিল। আসলে, ছয় মাস আগেই খরা শুরু হয়ে গিয়েছিল। তাই, এলিয় যখন ঘোষণা করেছিলেন যে, তার আগের বারের ঘোষণার সময় থেকে “তৃতীয় বৎসরে” খরা শেষ হবে, তখন ইতিমধ্যেই সাড়ে তিন বছর অতিবাহিত হয়ে গিয়েছিল। কর্মিল পর্বতে লোকেরা যখন সেই মহাপরীক্ষা দেখার জন্য জড়ো হয়, তখন “তিন বৎসর ছয় মাস” সম্পূর্ণ হয়েছিল।

চিন্তা করে দেখুন, এলিয় যখন প্রথম আহাবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন, তখন কেন তা এক উপযুক্ত সময় ছিল। লোকেরা বিশ্বাস করত যে, বাল যিনি “মেঘে চড়ে আসেন,” তিনি সেই শুষ্ক মরসুম শেষ করার জন্য বৃষ্টি আনতে পারেন। সেই শুষ্ক মরসুম যদি বেশ দীর্ঘ সময় ধরে চলে থাকে, তাহলে লোকেরা নিশ্চয়ই এই ভেবে উদ্‌বিগ্ন হয়ে পড়েছিল যে, ‘বাল কোথায়? সে কখন বৃষ্টি আনবে?’ তাই, এলিয় যখন ঘোষণা করেছিলেন যে, তিনি যতক্ষণ না বলছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত বৃষ্টি বা শিশির পড়বে না, তখন তা শুনে সেই বাল উপাসকরা সম্পূর্ণভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল।—১ রাজা. ১৭:১.

অক্টোবর ১০-১৬

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | ১ রাজাবলি ১৯-২০

“যিহোবার কাছে সান্ত্বনা চান“

প্রহরীদুর্গ ১৯.০৬ ১৫ অনু. ৫

চাপের সঙ্গে মোকাবিলা করার সময়ে যিহোবার উপর নির্ভর করুন

৫ প্রথম রাজাবলি ১৯:১-৪ পদ পড়ুন। তবে, রানি ঈষেবল যখন এলিয়কে হত্যা করার হুমকি দিয়েছিলেন, তখন এলিয় ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। তাই, তিনি বেরশেবাতে পালিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি এতটাই নিরুৎসাহিত হয়ে গিয়েছিলেন যে, তিনি ‘আপনার মৃত্যু প্রার্থনা করিয়াছিলেন।’ কেন তিনি এইরকম অনুভব করেছিলেন? এলিয় একজন অসিদ্ধ ব্যক্তি ছিলেন, “আমাদের ন্যায় সুখদুঃখভোগী মনুষ্য ছিলেন।” (যাকোব ৫:১৭) খুব সম্ভবত, তিনি চাপ ও চরম ক্লান্তির কারণে ভারগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। মনে হয়, এলিয় ভেবেছিলেন যে, সত্য উপাসনাকে তুলে ধরার বিষয়ে তার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে গিয়েছে, ইস্রায়েলে কোনো উন্নতি হয়নি আর একমাত্র তিনিই যিহোবার সেবা করছেন। (১ রাজা. ১৮:৩, ৪, ১৩; ১৯:১০, ১৪) আমরা হয়তো এই বিশ্বস্ত ভাববাদীকে এভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাতে দেখে অবাক হয়ে যাই। কিন্তু, যিহোবা এলিয়ের অনুভূতি বুঝেছিলেন।

অনুকরণ করুন ১০৩ অনু. ১৩

তিনি তার ঈশ্বরের কাছ থেকে সান্ত্বনা লাভ করেছিলেন

১৩ যিহোবা যখন স্বর্গ থেকে তাঁর প্রিয় ভাববাদীকে প্রান্তরে সেই গাছের নীচে শুয়ে থাকতে এবং তাকে তার মৃত্যুকামনা করতে দেখেছিলেন, তখন তিনি কেমন অনুভব করেছিলেন বলে আপনি মনে করেন? আমাদের তা অনুমান করার প্রয়োজন নেই। এলিয় গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হওয়ার পর, যিহোবা একজন স্বর্গদূতকে তার কাছে পাঠিয়েছিলেন। সেই স্বর্গদূত এলিয়কে কোমলভাবে স্পর্শ করে জাগিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন: “উঠ, আহার কর।” এলিয় তা-ই করেছিলেন, কারণ স্বর্গদূত তাকে সদয়ভাবে সাধারণ খাদ্য, গরম গরম টাটকা রুটি এবং জল দিয়েছিলেন। এটার জন্য কি এলিয় সেই স্বর্গদূতকে ধন্যবাদ দিয়েছিলেন? বিবরণ শুধু বলে যে, ভাববাদী ভোজন ও পান করেছিলেন এবং আবারও ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। তিনি কি এতটাই হতাশ ছিলেন যে, তিনি কথা বলতে চাননি? যা-ই হোক না কেন, সেই স্বর্গদূত তাকে দ্বিতীয় বার, সম্ভবত ভোরের দিকে, জাগিয়ে তুলেছিলেন। আরও এক বার তিনি এলিয়কে বলেছিলেন, “উঠ, আহার কর” আর এরপর তিনি এই উল্লেখযোগ্য কথাটা বলেছিলেন, “কেননা তোমার শক্তি হইতেও পথ অধিক।”—১ রাজা. ১৯:৫-৭.

অনুকরণ করুন ১০৬ অনু. ২১

তিনি তার ঈশ্বরের কাছ থেকে সান্ত্বনা লাভ করেছিলেন

২১ প্রতিটা ক্ষেত্রেই, বিবরণ আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয় যে, প্রাকৃতিক শক্তির সেই বিস্ময়কর প্রদর্শনের মধ্যে যিহোবা অবস্থিতি করছিলেন না। এলিয় জানতেন যে, যিহোবা পৌরাণিক কাহিনির কোনো প্রাকৃতিক শক্তির দেবতা ছিলেন না, যেমনটা ছিল বাল দেবতা, যাকে তার ভ্রান্ত উপাসকরা এমন দেবতা হিসেবে উপাসনা করত, যিনি “মেঘে চড়ে আসেন” বা বৃষ্টি নিয়ে আসেন। প্রকৃতিতে যে-সমস্ত বিস্ময়কর শক্তি দেখতে পাওয়া যায়, যিহোবা হলেন সেগুলোর প্রকৃত উৎস, কিন্তু তিনি যা-কিছু সৃষ্টি করেছেন, সেগুলো থেকে তিনি আরও মহান। এমনকী স্বর্গ বা মহাকাশও তাঁকে ধারণ করতে পারে না! (১ রাজা. ৮:২৭) এই সমস্তকিছুই এলিয়কে কীভাবে সাহায্য করেছিল? তার ভয়ের বিষয়টা স্মরণ করুন। অপ্রতিরোধ্য শক্তি যাঁর হাতের মুঠোয় এমন একজন ঈশ্বর যিহোবা তার পক্ষে থাকায়, এলিয়ের আহাব ও ঈষেবলকে ভয় পাওয়ার কোনো কারণই ছিল না।—পড়ুন, গীতসংহিতা ১১৮:৬.

অনুকরণ করুন ১০৬ অনু. ২২

তিনি তার ঈশ্বরের কাছ থেকে সান্ত্বনা লাভ করেছিলেন

২২ আগুন নিভে যাওয়ার পর, সবকিছু শান্ত হয়ে গিয়েছিল এবং এলিয় “ঈষৎ শব্দকারী ক্ষুদ্র এক স্বর” শুনেছিলেন। এই স্বর আবারও এলিয়কে মনের কথা বলতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল এবং তিনি তা-ই করেছিলেন, দ্বিতীয় বার তার উদ্‌বেগগুলো সম্বন্ধে বলেছিলেন। সম্ভবত এটা তাকে আরও স্বস্তি দিয়েছিল। কিন্তু, সেই ‘ঈষৎ শব্দকারী ক্ষুদ্র স্বর’ পরে তাকে যা বলেছিল, তা থেকে এলিয় নিঃসন্দেহে আরও সান্ত্বনা লাভ করেছিলেন। যিহোবা এলিয়কে পুনরায় আশ্বস্ত করেছিলেন যে, তিনি অযোগ্য নন। কীভাবে? ইস্রায়েলে বাল উপাসনার বিরুদ্ধে যুদ্ধের বিষয়ে ঈশ্বর তাঁর ভবিষ্যৎ উদ্দেশ্য সম্বন্ধে অনেক কিছু প্রকাশ করেছিলেন। স্পষ্টতই, এলিয়ের কাজ ব্যর্থ হয়ে যায়নি কারণ ঈশ্বরের উদ্দেশ্য অপ্রতিরোধ্যভাবে সামনের দিকে এগিয়ে চলছিল। এ ছাড়া, যিহোবা যেহেতু তাকে সুনির্দিষ্ট কিছু নির্দেশনা দিয়ে আবার তার কাজে ফেরত পাঠিয়েছিলেন, তাই তখনও সেই উদ্দেশ্যে এলিয়ের ভূমিকা ছিল।—১ রাজা. ১৯:১২-১৭.

অমূল্য রত্ন

প্রহরীদুর্গ ৯৭ ১১/১ ৩১ অনু. ১

আত্মত্যাগ এবং নিষ্ঠার একটি উদাহরণ

আজকের দিনে ঈশ্বরের দাসেদের অনেকেই অনুরূপ আত্মত্যাগের মনোভাব দেখিয়ে থাকেন। কেউ কেউ দূরবর্তী এলাকাগুলিতে সুসমাচার প্রচার করার জন্য অথবা বেথেল পরিবারের একজন সদস্য হিসাবে সেবা করার জন্য তাদের “ক্ষেত্র,” তাদের জীবিকা পরিত্যাগ করেছে। আবার অন্যেরা সোসাইটির নির্মাণ প্রকল্পগুলিতে কাজ করার জন্য বিদেশে ভ্রমণ করেছেন। অনেকে যেগুলি হয়ত নিম্নস্তরের কাজ বলে বিবেচিত হয় তা গ্রহণ করেছেন। তথাপি, যিহোবার জন্য যারা দাসত্ব করে তাদের কারোর সম্পাদিত সেবাই তাৎপর্যহীন নয়। যারা ইচ্ছুক মনোভাব নিয়ে তাঁর সেবা করে তাদের সকলকে যিহোবা উপলব্ধি করেন আর তিনি তাদের আত্মত্যাগের মনোভাবকে আশীর্বাদ করবেন।—মার্ক ১০:২৯, ৩০.

অক্টোবর ১৭-২৩

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | ১ রাজাবলি ২১-২২

“আপনার অধীনে থাকা লোকদের সঙ্গে যিহোবার মতো করে আচরণ করুন“

নিকটবর্তী হোন ৫৯ অনু. ৫

ধ্বংসাত্মক শক্তি—“যিহোবা যুদ্ধবীর”

৫ মূল ভাষার বাইবেল অনুসারে, ইব্রীয় শাস্ত্রে প্রায় তিন শত বার এবং খ্রিস্টীয় গ্রিক শাস্ত্রে দুবার ঈশ্বরকে “বাহিনীগণের সদাপ্রভু [“যিহোবা,” NW]” উপাধি দেওয়া হয়েছে। (১ শমূয়েল ১:১১) সার্বভৌম শাসক হিসেবে, যিহোবা এক বিরাট দূতবাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করেন। (যিহোশূয়ের পুস্তক ৫:১৩-১৫; ১ রাজাবলি ২২:১৯) এই বাহিনীর ধ্বংস করার ক্ষমতা ভয়ংকর।—যিশাইয় ৩৭:৩৬.

প্রহরীদুর্গ ২১.০২ ৩ অনু. ৯

“প্রত্যেক পুরুষের মস্তক খ্রিস্ট”

৯ নম্রতা। যিহোবা হলেন সবচেয়ে বিজ্ঞ ব্যক্তি; তারপরও তিনি তাঁর দাসদের মতামত শোনেন। (আদি. ১৮:২৩, ২৪, ৩২) তিনি তাঁর কর্তৃত্বের অধী নে থাকা ব্যক্তিদের মতামত প্রকাশ করার সুযোগ দেন। (১ রাজা. ২২:১৯-২২) যিহোবা হলেন সিদ্ধ কিন্তু তিনি আমাদের কাছ থেকে সিদ্ধতা আশা করেন না। এর পরিবর্তে, তিনি সেই অসিদ্ধ মানুষদের সফল হতে সাহায্য করেন, যারা তাঁর সেবা করে। (গীত. ১১৩:৬, ৭) আসলে বাইবেল বলে যে, যিহোবা হলেন “সহায়” বা “সাহায্যকারী।” (গীত. ২৭:৯; ইব্রীয় ১৩:৬) রাজা দায়ূদ এটা স্বীকার করেছিলেন, একমাত্র যিহোবার নম্রতার কারণেই তিনি সেইসমস্ত বড়ো বড়ো কাজ সম্পন্ন করতে পেরেছিলেন, যেগুলো তাকে দেওয়া হয়েছিল।—গীত. ৫৪:৪.

অন্তর্দৃষ্টি-২ ২৪৫, ইংরেজি

মিথ্যা

একজন ব্যক্তি যদি “মিথ্যা শিক্ষার” দ্বারা প্রতারিত হতে চান, তা হলে যিহোবা ঈশ্বর সেই ব্যক্তির প্রতি তা-ই ঘটতে দেন। সেই ব্যক্তি একসময় “মিথ্যা বাক্যে বিশ্বাস করে।” (২থিষল ২:৯-১২) রাজা আহাবের ক্ষেত্রে তা-ই হয়েছিল। যিহোবা একজন স্বর্গদূতকে ব্যবহার করে রাজা আহাবের ভাববাদীদের দিয়ে সত্য কথা নয়, বরং সেটাই বলিয়েছিলেন, যা তারা বলতে চেয়েছিল এবং যা আহাব তাদের কাছ থেকে শুনতে চেয়েছিলেন। আহাব তার ভাববাদীদের মিথ্যার দ্বারা বোকা হওয়া বেছে নিয়েছিলেন আর এর মূল্য হিসেবে নিজের জীবন হারিয়েছিলেন।—১রাজা ২২:১-৩৮; ২বংশা ১৮.

অমূল্য রত্ন

প্রহরীদুর্গ ২১.১০ ৩ অনু. ৪-৬

প্রকৃত অনুতপ্ত হওয়ার অর্থ কী?

৪ পরিশেষে, যিহোবার ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায়। তিনি এলিয়ের মাধ্যমে আহাব ও ঈষেবলকে বলেন যে, তিনি তাদের পুরো বংশকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দেবেন। এই কথা শুনে আহাব খুব দুঃখ পান! আর এই গর্বিত রাজা নিজেকে “অবনত” বা নম্র করেন।—১ রাজা. ২১:১৯-২৯.

৫ এটা ঠিক যে, আহাব সেই সময়ে নম্র হয়েছিলেন। কিন্তু, পরবর্তী সময়ে তিনি যা-কিছু করেছিলেন, সেগুলো থেকে বোঝা যায়, তিনি নিজের ভুলের জন্য প্রকৃত অনুতপ্ত হননি। তিনি নিজের দেশ থেকে বাল দেবতার উপাসনা দূর করেননি। আর তিনি লোকদের যিহোবার উপাসনা করার জন্য উৎসাহিতও করেননি। তিনি আরও অনেক কিছু করেছিলেন, যেগুলো থেকে বোঝা যায় যে, তিনি নিজের ভুলের জন্য অনুতপ্ত হননি।

৬ কিছুসময় পর, আহাব যিহূদার রাজা যিহোশাফটকে বলেন, তিনি যেন অরামের (সিরিয়া) বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য তাকে সাহায্য করেন। যিহোশাফট একজন ভালো রাজা ছিলেন। তাই, তিনি বলেন, এই বিষয়ে তাকে যিহোবার ভাববাদীর কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়া উচিত। আহাব তা করতে চাননি কারণ তিনি বলেন: “আমরা যাহার দ্বারা সদাপ্রভুর কাছে অন্বেষণ করিতে পারি, এমন আর এক জন আছে, . . . কিন্তু আমি তাহাকে ঘৃণা করি, কেননা আমার উদ্দেশে সে মঙ্গলের নয়, কেবল অমঙ্গলের ভাবোক্তি প্রচার করে।” তা সত্ত্বেও, আহাব রাজি হন এবং দু-জন রাজা ভাববাদী মীখায়ের কাছ থেকে পরামর্শ নেন। আহাব যেমনটা বলেছিলেন, মীখায় তার সম্বন্ধে খারাপ খবর শোনান। এটা শুনে নিজেকে পরিবর্তন করার পরিবর্তে, আহাব ভাববাদীকে কারাগারে বন্দি করেন। (১ রাজা. ২২:৭-৯, ২৩, ২৭) যদিও তিনি ভাববাদীর মুখ বন্ধ করে দেন, কিন্তু যিহোবার কথা পরিপূর্ণ হওয়াকে বাধা দিতে পারেননি। সেই যুদ্ধে আহাব মারা যান।—১ রাজা. ২২:৩৪-৩৮.

অক্টোবর ২৪-৩০

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | ২ রাজাবলি ১-২

“আমাদের জন্য এক চমৎকার প্রশিক্ষণ“

প্রহরীদুর্গ ১৫ ৪/১৫ ১৩ অনু. ১৫

প্রাচীনরা যেভাবে অন্যদের যোগ্য হয়ে ওঠার জন্য প্রশিক্ষণ দেন

১৫ এ ছাড়া, ইলীশায়ের বিবরণ তুলে ধরে যে, বর্তমানে ভাইদের জন্য অভিজ্ঞ প্রাচীনদের প্রতি সম্মান দেখানো গুরুত্বপূর্ণ। এলিয় ও ইলীশায় যিরীহোর একদল ভাববাদীর সঙ্গে দেখা করার পর, যর্দন নদীর সামনে উপস্থিত হয়েছিলেন। এরপর “এলিয় আপন শাল ধরিয়া গুটাইয়া লইয়া জলে আঘাত করিলেন, তাহাতে জল এদিকে ওদিকে বিভক্ত হইল।” সেই দুই ব্যক্তি তখন যর্দন নদীর শুকনো ভূমির উপর দিয়ে পার হয়েছিলেন আর তারা ‘যাইতে যাইতে কথা কহিতেছিলেন।’ ইলীশায় তার শিক্ষকের বলা প্রতিটা কথা অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে শুনেছিলেন এবং ক্রমাগত শিক্ষা লাভ করেছিলেন। ইলীশায় কখনো এইরকম মনে করেননি, তিনি সব জানেন। তারপর, এলিয়কে ঘূর্ণবায়ুতে উঠিয়ে নেওয়া হয়েছিল আর ইলীশায় যর্দন নদীর কাছে ফিরে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি এলিয়ের শাল নিয়ে জলের উপর আঘাত করে বলেছিলেন: “এলিয়ের ঈশ্বর সদাপ্রভু কোথায়?” আবারও নদীর জল বিভক্ত হয়েছিল।—২ রাজা. ২:৮-১৪.

প্রহরীদুর্গ ১৫ ৪/১৫ ১৩ অনু. ১৬

প্রাচীনরা যেভাবে অন্যদের যোগ্য হয়ে ওঠার জন্য প্রশিক্ষণ দেন

১৬ আপনি কি লক্ষ করেছেন, ইলীশায়ের প্রথম অলৌকিক কাজ আর এলিয়ের শেষ অলৌকিক কাজ, হুবহু এক ছিল? এখান থেকে আমরা কী শিখতে পারি? ইলীশায় এমনটা মনে করেননি, যেহেতু তিনি এখন দায়িত্ব পেয়েছেন, তাই তাকে এলিয়ের চেয়ে ভিন্ন উপায়ে কাজ করতে হবে। এর পরিবর্তে, এলিয়ের পদ্ধতি অনুকরণ করার মাধ্যমে ইলীশায় দেখিয়েছিলেন, তিনি তার শিক্ষককে সম্মান করেন। আর এই বিষয়টা অন্যান্য ভাববাদীকে ইলীশায়ের প্রতি আস্থা গড়ে তুলতে সাহায্য করেছিল। (২ রাজা. ২:১৫) ইলীশায় ৬০ বছর ধরে একজন ভাববাদী হিসেবে সেবা করেছিলেন আর যিহোবা তাকে এলিয়ের চেয়ে আরও বেশি অলৌকিক কাজ করার ক্ষমতা দিয়েছিলেন। এখান থেকে বর্তমানে শিক্ষার্থীরা কোন শিক্ষা লাভ করতে পারেন?

অমূল্য রত্ন

প্রহরীদুর্গ ০৫ ৮/১ ৯ অনু. ১

দ্বিতীয় রাজাবলি বইয়ের প্রধান বিষয়গুলো

২:১১—যখন ‘এলিয় ঘূর্ণবায়ুতে উঠিয়া গিয়াছিলেন’ তখন তিনি কি আসলে ‘স্বর্গে’ গিয়েছিলেন? লক্ষ করুন যে, এখানে যে-মূল ইব্রীয় শব্দটিকে ‘স্বর্গ’ হিসেবে অনুবাদ করা হয়েছে সেটিকে ‘আকাশ’ অথবা ‘আকাশমণ্ডল’ হিসেবেও অনুবাদ করা যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, গীতসংহিতা ৭৮:২৬ পদ দেখুন যেখানে সেই একই মূল শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। এলিয় আকাশে উঠেছিলেন, ভৌত নিখিলবিশ্বের দূরবর্তী স্থানে অথবা ঈশ্বর ও তাঁর স্বর্গদূত পুত্রদের আধ্যাত্মিক বাসস্থানে নয়। (দ্বিতীয় বিবরণ ৪:১৯; গীতসংহিতা ১১:৪; মথি ৬:৯; ১৮:১১) পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মধ্যে দিয়ে ধাবিত হওয়ার সময়, অগ্নিময় রথটা স্পষ্টতই এলিয়কে পৃথিবীর আরেক প্রান্তে স্থানান্তরিত করেছিল, যেখানে তিনি কিছু সময়ের জন্য বেঁচে ছিলেন। বস্তুত, কয়েক বছর পর এলিয় যিহূদার রাজা যিহোরামকে একটা চিঠি লিখেছিলেন।—২ বংশাবলি ২১:১, ১২-১৫.

অক্টোবর ৩১–নভেম্বর ৬

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | ২ রাজাবলি ৩-৪

“তোমার ছেলেকে কোলে তুলে নাও”

প্রহরীদুর্গ ১৭.১২ ৪ অনু. ৭

“আমি জানি, . . . সে উঠিবে”

৭ বাইবেলে লিপিবদ্ধ দ্বিতীয় পুনরুত্থানটা ভাববাদী ইলীশায় করেছিলেন। শূনেম নামে একটা নগরে একজন ইস্রায়েলীয় মহিলা বাস করতেন, যার কোনো সন্তান ছিল না। যেহেতু সেই মহিলা ইলীশায়ের প্রতি প্রচুর আতিথেয়তা দেখিয়েছিলেন, তাই যিহোবা তাকে ও তার বৃদ্ধ স্বামীকে একটা পুত্রসন্তান দিয়ে আশীর্বাদ করেছিলেন। কিন্তু, এর কয়েক বছর পর সেই ছেলেটি মারা গিয়েছিল। একটু কল্পনা করুন, সেই মা কতটা দুঃখিত হয়ে পড়েছিলেন। তার শোক এতটাই তীব্র ছিল যে, তিনি ৩০ কিলোমিটার (১৯ মাইল) পথ পাড়ি দিয়ে কর্মিল পর্বতে ইলীশায়ের কাছে গিয়েছিলেন। ইলীশায় তার পরিচারক গেহসিকে পাঠিয়েছিলেন যেন তিনি তাদের আগেই শূনেমে গিয়ে সেই ছেলেটিকে পুনরুত্থিত করেন। কিন্তু, গেহসি তাকে পুনরুত্থিত করতে পারেননি। এরপর, সেই শোকার্ত মা ইলীশায়কে সঙ্গে নিয়ে ফিরে এসেছিলেন।—২ রাজা. ৪:৮-৩১.

প্রহরীদুর্গ ১৭.১২ ৫ অনু. ৮

“আমি জানি, . . . সে উঠিবে”

৮ ইলীশায় সেই বাড়িতে প্রবেশ করেছিলেন, যেখানে ছেলেটির মৃতদেহ রাখা ছিল। এরপর, তিনি প্রার্থনা করেছিলেন। যিহোবা ইলীশায়ের প্রার্থনার উত্তর দিয়েছিলেন এবং অলৌকিকভাবে সেই ছেলেটির জীবন ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। যখন ছেলেটির মা তাকে জীবিত অবস্থায় দেখেছিলেন, তখন তিনি অনেক আনন্দিত হয়েছিলেন! (পড়ুন, ২ রাজাবলি ৪:৩২-৩৭.) হতে পারে, তিনি হান্নার প্রার্থনার কথাগুলো স্মরণ করেছিলেন। হান্না সন্তানধারণে অক্ষম ছিলেন কিন্তু যিহোবা তাকে একটা পুত্রসন্তান দিয়ে আশীর্বাদ করেছিলেন, যার নাম রাখা হয়েছিল শমূয়েল। সন্তান লাভ করার পর হান্না যিহোবার প্রশংসা করেছিলেন কারণ ঈশ্বর “পাতালে” বা মানবজাতির সাধারণ কবরে “নামান ও ঊর্দ্ধ্বে তুলেন।” (১ শমূ. ২:৬) শূনেমে সেই ছেলেটিকে আক্ষরিকভাবে বাঁচিয়ে তোলার মাধ্যমে ঈশ্বর প্রমাণ করেছিলেন যে, মৃতদের পুনরুত্থিত করার ক্ষমতা তাঁর রয়েছে।

অমূল্য রত্ন

প্রহরীদুর্গ ৯৭ ১০/১ ৩০ অনু. ৮

শূনেম—প্রেম ও হিংসা দ্বারা চিহ্নিত

কোন সন্দেহ নেই যে এই শূনেমীয়া নারী ছিলেন একজন যিনি যীশুর মনে ছিলেন যখন তিনি বলেছিলেন: “যে ভাববাদীকে ভাববাদী বলিয়া গ্রহণ করে, সে ভাববাদীর পুরস্কার পাইবে।” (মথি ১০:৪১) যিহোবা এই ঈশ্বর-ভয়শীল নারীর জন্য বিশেষ পুরস্কার অনুমোদন করেছিলেন। যদিও তিনি অনেক বছর পর্যন্ত বন্ধ্যা ছিলেন, তিনি একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। কিছু বছর পরে তিনি ঐশিক সহায়তাও লাভ করেছিলেন যখন সাত বছরব্যাপী দুর্ভিক্ষ দেশকে বিধ্বস্ত করেছিল। এই জীবন্ত বিবরণ আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে ঈশ্বরের দাসেদের প্রতি আমরা যে দয়া দেখিয়ে থাকি তা কখনও আমাদের স্বর্গীয় পিতার অলক্ষিত থাকে না।—২ রাজাবলি ৪:১৩-৩৭; ৮:১-৬; ইব্রীয় ৬:১০.

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার