প্রতিদ্বন্দ্বিতার মোকাবিলা করার সময় আপনি কি পীনহসের মতো হতে পারেন?
মণ্ডলীতে একজন প্রাচীন হিসেবে সেবা করা এক মূল্যবান সুযোগ। তবে, ঈশ্বরের বাক্য স্বীকার করে যে, প্রাচীনদের বিভিন্ন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মোকাবিলা করতে হবেই। কখনো কখনো, তাদেরকে অপরাধ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় মীমাংসা করতে হয়, যেখানে তারা “সদাপ্রভুর জন্য বিচার” করে থাকে। (২ করি. ১৯:৬) অথবা একজন অধ্যক্ষ হয়তো কোনো কার্যভারের জন্য নিজেকে মোশির মতোই অপ্রস্তুত বলে মনে করতে পারেন, যিনি তার একটা কার্যভার সম্বন্ধে বিনয়ের সঙ্গে জিজ্ঞেস করেছিলেন: “আমি কে, যে ফরৌণের নিকটে যাই?”—যাত্রা. ৩:১১.
শাস্ত্র—যেটি সেই একই সক্রিয় শক্তির প্রভাবে লেখা হয়েছিল, যার মাধ্যমে প্রাচীনদেরও নিযুক্ত করা হয়—এমন অধ্যক্ষদের জীবন্ত উদাহরণ তুলে ধরে, যারা সফলভাবে বিভিন্ন পরীক্ষার মোকাবিলা করেছে। পীনহস ছিলেন ইলিয়াসরের ছেলে ও হারোণের নাতি আর তাই তিনি মহাযাজক হতে যাচ্ছিলেন। তার জীবনের তিনটে ঘটনা আজকে প্রাচীনদের জন্য সাহস, অন্তর্দৃষ্টি ও যিহোবার ওপর নির্ভরতা সহকারে বিভিন্ন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মোকাবিলা করার প্রয়োজনীয়তা সম্বন্ধে তুলে ধরে।
‘তিনি তক্ষুনি ওঠেন’
ইস্রায়েলীয়রা যখন মোয়াবের তলভূমিতে শিবির স্থাপন করেছিল, তখন পীনহস যুবকবয়সি ছিলেন। বাইবেল জানায়: “লোকেরা মোয়াবের কন্যাদের সহিত ব্যভিচার করিতে প্রবৃত্ত হইল। . . . এবং লোকেরা ভোজন করিয়া তাহাদের দেবগণের কাছে প্রণিপাত করিল।” (গণনা. ২৫:১, ২) যিহোবা এক মারাত্মক মহামারী দ্বারা অন্যায়কারীদের আঘাত করেছিলেন। পীনহস যখন এই অন্যায় কাজের ও এর ফলে আসা মহামারীর সংবাদ পেয়েছিলেন, তখন তার কেমন লেগেছিল, সেটা কি আপনি কল্পনা করতে পারেন?
বিবরণটি আরও বলে: “দেখ, মোশির ও ইস্রায়েল-সন্তানদের সমস্ত মণ্ডলীর সাক্ষাতে ইস্রায়েল সন্তানদের মধ্যে এক পুরুষ আপন জ্ঞাতিগণের নিকটে এক মিদিয়নীয়া স্ত্রীকে আনিল, তৎকালে লোকেরা সমাগম-তাম্বুর দ্বারে রোদন করিতেছিল।” (গণনা. ২৫:৬) যাজক পীনহস কী করতে পারতেন? পীনহসের বয়স তখন তুলনামূলকভাবে কম ছিল আর সেই অন্যায়কারী ইস্রায়েলীয় ছিলেন একজন অধ্যক্ষ, যিনি উপাসনার সময় লোকেদের মধ্যে নেতৃত্ব দিতেন।—গণনা. ২৫:১৪.
কিন্তু, পীনহস যিহোবাকে ভয় করতেন, মানুষকে নয়। তাদের দুজনকে দেখে তিনি “উঠিয়া [‘তক্ষুনি উঠে,’ NW]” একটা বর্শা হাতে নিয়ে সেই পুরুষের পিছন পিছন কুঠরিতে প্রবেশ করেছিলেন এবং দুজনকেই বিদ্ধ করেছিলেন। যিহোবা পীনহসের এই সাহস ও চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষমতাকে কীভাবে দেখেছিলেন? যিহোবা সঙ্গেসঙ্গে সেই মহামারী নিবৃত্ত করেছিলেন এবং পীনহসের সঙ্গে এই নিয়ম বা চুক্তি করে তাকে আশীর্বাদ করেছিলেন যে, যাজকত্ব তার বংশে “চিরস্থায়ী” হবে।—গণনা. ২৫:৭-১৩.
অবশ্য, বর্তমানে খ্রিস্টান প্রাচীনরা দৌরাত্ম্যের আশ্রয় নেয় না। কিন্তু, পীনহসের মতো প্রাচীনদেরও চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেওয়ার ও সাহসী হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, গিলিয়ার্মাকে যখন একটা বিচার সংক্রান্ত কমিটিতে সেবা করার জন্য ডাকা হয়েছিল, তখন তিনি সবেমাত্র কয়েক মাস ধরে একজন প্রাচীন হিসেবে সেবা করছিলেন। ওই অন্যায় কাজের সঙ্গে এমন একজন প্রাচীন জড়িত ছিলেন, যিনি কিনা গিলিয়ার্মাকেই অল্পবয়সে সাহায্য করেছিলেন। “সেই ব্যাপারটা আমার কাছে অস্বস্তিকর বলে মনে হয়েছিল,” তিনি বলেন। “আমি রাতে ঘুমাতে পারতাম না। সবসময় আমার মাথায় ঘুরপাক খেত যে, কীভাবে আমি সেই বিষয়টাকে এমনভাবে মীমাংসা করতে পারি, যাতে আমার আবেগ আমার আধ্যাত্মিক দৃষ্টিশক্তিকে অস্পষ্ট করে না দেয়। আমি বেশ কিছু দিন বিষয়টা নিয়ে প্রার্থনা করেছি এবং বাইবেলভিত্তিক প্রকাশনাদি থেকে গবেষণা করেছি।” এটা তাকে সেই অস্বাভাবিক পরিস্থিতি মীমাংসা করার জন্য প্রয়োজনীয় সাহস অর্জন করতে আর সেইসঙ্গে তার সেই ভাইকে আধ্যাত্মিক সহযোগিতা প্রদান করতে সাহায্য করেছিল, যিনি অন্যায় করেছিলেন।—১ তীম. ৪:১১, ১২.
মণ্ডলীতে যখন এমন পরিস্থিতি দেখা দেয়, যেখানে এইরকম সাহস ও চূড়ান্ত পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষমতা সহকারে কাজ করার প্রয়োজন হয়, তখন প্রাচীনরা বিশ্বাস ও আনুগত্যের উদাহরণ হয়ে ওঠে। অবশ্য, অন্যান্য খ্রিস্টানদেরও সাহসের সঙ্গে কাজ করতে হবে, তাদেরকে সেই গুরুতর অন্যায় সম্বন্ধে জানাতে হবে, যে-বিষয়ে হয়তো তারা জানে। একইভাবে, এমন কোনো বন্ধু অথবা আত্মীয়ের সঙ্গে মেলামেশা বন্ধ করার জন্য আনুগত্য প্রয়োজন, যাকে সমাজচ্যুত করা হয়েছে।—১ করি. ৫:১১-১৩.
অন্তর্দৃষ্টি এক সংকটময় পরিস্থিতি রোধ করে
পীনহসের সাহসী কাজগুলো কেবল হুট করে করা কোনো কাজ ছিল না, যেমনটা সাধারণত অল্পবয়সিরা করে থাকে। তার কানে যখন আরেকটা সংবাদ এসেছিল, তখন তিনি কী ধরনের অন্তর্দৃষ্টি—বিচক্ষণতা ও সতর্কতা সহকারে কাজ করার ক্ষমতা—দেখিয়েছিলেন, তা একটু বিবেচনা করে দেখুন। রূবেণ ও গাদের বংশ এবং মনঃশির অর্ধ বংশ যর্দন নদীর কাছাকাছি একটা যজ্ঞবেদি নির্মাণ করেছিল। অন্যান্য ইস্রায়েলীয় এই উপসংহারে পৌঁছেছিল যে, এটা মিথ্যা উপাসনার জন্য নির্মাণ করা হয়েছিল আর তাই তারা যুদ্ধ করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিল।—যিহো. ২২:১১, ১২.
পীনহস কেমন প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন? পীনহস ও সেইসঙ্গে ইস্রায়েলীয় অধ্যক্ষরা বিচক্ষণতা সহকারে সেই ব্যক্তিদের সঙ্গে বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করেছিল, যারা ওই যজ্ঞবেদি নির্মাণ করেছিল। অভিযুক্ত বংশগুলো বিষয়টা পরিষ্কার করেছিল এবং ব্যাখ্যা করেছিল যে, এই যজ্ঞবেদি আসলে ‘সদাপ্রভুর সেবা করিবার’ জন্য নির্মাণ করা হয়েছে। এভাবে একটা সংকটময় পরিস্থিতি রোধ করা গিয়েছিল।—যিহো. ২২:১৩-৩৪.
একজন খ্রিস্টান যদি যিহোবার সেবায় নিয়োজিত কোনো সহদাসের বিষয়ে একটা অভিযোগ অথবা নেতিবাচক সংবাদ শোনেন, তাহলে পীনহসকে অনুকরণ করা কতই না বিজ্ঞতার কাজ হবে! বুদ্ধি বা অন্তর্দৃষ্টি আমাদেরকে ভাইবোনদের প্রতি বিরক্ত হওয়া অথবা তাদের সম্বন্ধে নির্দয় মন্তব্য করা থেকে বিরত রাখে।—হিতো. ১৯:১১.
কীভাবে অন্তর্দৃষ্টি প্রাচীদেরকে পীনহসের মতো কাজ করার জন্য সাহায্য করতে পারে? হাইমে, যিনি দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে একজন প্রাচীন হিসেবে সেবা করছেন, তিনি বলেন, “কোনো প্রকাশক যখন অন্য কোনো ব্যক্তির সঙ্গে নিজের ব্যক্তিগত মতবিরোধ নিয়ে কথা বলতে শুরু করেন, তখন সঙ্গেসঙ্গে আমি যিহোবার কাছে সাহায্য চেয়ে প্রার্থনা করি, যাতে আমি কোনো পক্ষ না নিয়ে বরং শাস্ত্রীয় নির্দেশনা দিতে পারি। একবার একজন বোন আমার কাছে একটা ব্যক্তিগত সমস্যা নিয়ে এসেছিলেন আর সেটা ছিল আরেকটা মণ্ডলীর একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত ভাই যেভাবে তার সঙ্গে আচরণ করেছিলেন, সেই বিষয়ে। যেহেতু সেই ভাই আমার বন্ধু ছিলেন, তাই আমি খুব সহজেই তার সঙ্গে কথা বলতে পারতাম। কিন্তু তা না করে, আমি সেই বোনের সঙ্গে বেশ কিছু শাস্ত্রপদ নিয়ে যুক্তি করেছিলাম। তিনি প্রথমে সেই ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলার জন্য রাজি হয়েছিলেন। (মথি ৫:২৩, ২৪) তবে, সঙ্গেসঙ্গেই শান্তিস্থাপন করা যায়নি। তাই আমি তাকে অন্যান্য শাস্ত্রীয় নীতি বিবেচনা করার জন্য পরামর্শ দিয়েছিলাম। তিনি সেই পরিস্থিতি নিয়ে আবারও প্রার্থনা করার এবং ক্ষমা করতে চেষ্টা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।”
ফলাফল কী হয়েছিল? হাইমে স্মরণ করে বলেন, “কয়েক মাস পর, সেই বোন আমার কাছে এসেছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে, পরবর্তী সময়ে সেই ভাই এভাবে কথা বলার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সেই ভাই পরিচর্যায় তার সঙ্গে কাজ করার ব্যবস্থা করেছিলেন এবং তার প্রতি উপলব্ধি প্রকাশ করেছিলেন। এভাবে সমস্যাটা সমাধান হয়েছিল। আমি কি এর চেয়ে ভালো ফলাফল পেতাম, যদি আমি অযথা সেই মতবিরোধে জড়িয়ে পড়তাম, যেখানে থাকলে কিনা আমাকে কিছুটা পক্ষপাতী বলে মনে হতো?” বাইবেল পরামর্শ দেয়: “তাড়াতাড়ি বিবাদ করিতে যাইও না।” (হিতো. ২৫:৮) অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন প্রাচীনরা বিজ্ঞতার সঙ্গে সেই খ্রিস্টানদেরকে শান্তি বৃদ্ধি ও অর্জন করার জন্য শাস্ত্রীয় নীতি কাজে লাগাতে উৎসাহিত করে থাকে, যাদের ব্যক্তিগত মতবিরোধ রয়েছে।
তিনি যিহোবার কাছে জিজ্ঞেস করেছিলেন
পীনহস ঈশ্বরের মনোনীত লোকেদের জন্য একজন যাজক হিসেবে সেবা করার বিশেষ সুযোগ লাভ করেছিলেন। আগে যেমন উল্লেখ করা হয়েছে যে, এমনকী তুলনামূলকভাবে কম বয়সেও তার অসাধারণ সাহস ও অন্তর্দৃষ্টি ছিল। তবে, তিনি যে সফলভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাগুলোর সঙ্গে মোকাবিলা করেছিলেন, সেটার পিছনে মূল কারণ ছিল যিহোবার ওপর তার নির্ভরতা।
গিবিয়ায় বিন্যামীন বংশের কিছু পুরুষ একজন লেবীয়ের উপপত্নীকে মর্মান্তিকভাবে বলাৎকার করে হত্যা করার পর, অন্যান্য বংশ বিন্যামীনীয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করতে যাচ্ছিল। (বিচার. ২০:১-১১) যদিও লড়াই করতে যাওয়ার আগে তারা যিহোবার সাহায্য চেয়ে প্রার্থনা করেছিল কিন্তু তারা দু-বার পরাজিত হয়েছিল ও সেইসঙ্গে তাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। (বিচার. ২০:১৪-২৫) তারা কি এই উপসংহারে এসেছিল যে, তাদের প্রার্থনা বিফল হয়ে গিয়েছে? যিহোবা কি আসলেই সেই অন্যায়ের প্রতি তাদের প্রতিক্রিয়া দেখার ব্যাপারে আগ্রহী ছিলেন?
পীনহস, যিনি তখন ইস্রায়েলের মহাযাজক, তিনি দৃঢ় আস্থা সহকারে আবারও অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি এই প্রার্থনা করেছিলেন, “আমরা আপন ভ্রাতা বিন্যামীন-সন্তানগণের সহিত যুদ্ধ করিতে এখনও কি পুনর্ব্বার যাইব? না ক্ষান্ত হইব?” এর উত্তরে যিহোবা বিন্যামীনীয়দেরকে তাদের হাতে সমর্পণ করেছিলেন আর গিবিয়াকে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।—বিচার. ২০:২৭-৪৮.
এই ঘটনা থেকে আমরা কোন শিক্ষা লাভ করতে পারি? মণ্ডলীতে উদ্ভূত কিছু সমস্যা, প্রাচীনদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা এবং ঈশ্বরের সাহায্য চেয়ে প্রার্থনা করা সত্ত্বেও, থেকেই যায়। যদি তা-ই হয়, তাহলে প্রাচীনদের যিশুর এই কথাগুলো মনে রাখা উচিত: “যাচ্ঞা [বা প্রার্থনা] কর, তোমাদিগকে দেওয়া যাইবে; অন্বেষণ কর, পাইবে; দ্বারে আঘাত কর, তোমাদের জন্য খুলিয়া দেওয়া যাইবে।” (লূক ১১:৯) এমনকী কোনো প্রার্থনার উত্তর দিতে দেরি হচ্ছে বলে মনে হলেও, অধ্যক্ষরা এই বিষয়ে নিশ্চিত থাকতে পারে যে, যিহোবা তাঁর নিরূপিত সময়ে উত্তর দেবেনই।
উদাহরণস্বরূপ, আয়ার্ল্যান্ডের একটা মণ্ডলীর জরুরি ভিত্তিতে একটা কিংডম হলের প্রয়োজন ছিল কিন্তু তারা স্থানীয় পরিকল্পনা আধিকারিকের কাছ থেকে অনুমতি পায়নি। তিনি সেই জায়গার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত সমস্ত প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছিলেন, যেখানে ভাইয়েরা কিংডম হল নির্মাণ করার কথা চিন্তা করছিল। একমাত্র যিনি সেই প্রস্তাবগুলো অনুমোদন করতে পারতেন, তিনি ছিলেন পুরো দেশের প্রধান পরিকল্পনা আধিকারিক। প্রার্থনা কি সাহায্য করবে, যেমনটা পীনহসের দিনে করেছিল?
একজন স্থানীয় প্রাচীন বলেন: “অনেক প্রার্থনা ও মিনতি করার পর আমরা প্রধান পরিকল্পনা কার্যালয়ে গিয়েছিলাম। আমাকে বলা হয়েছিল যে, প্রধান আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করার জন্য কয়েক সপ্তাহ লাগতে পারে। যাই হোক, আমরা তার সঙ্গে পাঁচ মিনিটের জন্য দেখা করতে পেরেছিলাম। পুনরায় নকশাকৃত পরিকল্পনাগুলো দেখার পর, তিনি সঙ্গেসঙ্গে আমাদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন আর এরপর থেকে সেই স্থানীয় পরিকল্পনা আধিকারিক আমাদেরকে সাহায্য করার জন্য বিশেষ প্রচেষ্টা করেছিলেন। এই অভিজ্ঞতা আমাদেরকে প্রার্থনার শক্তি বুঝতে সাহায্য করেছিল।” হ্যাঁ, যিহোবা সেই প্রাচীনদের আন্তরিক প্রার্থনার উত্তর দেবেন, যারা তাঁর ওপর নির্ভর করে।
পীনহসকে প্রাচীন ইস্রায়েলে এক গুরুদায়িত্বের ভার বহন করতে হয়েছিল; কিন্তু তিনি সাহস, অন্তর্দৃষ্টি ও ঈশ্বরের ওপর নির্ভর করার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিদ্বন্দ্বিতার সঙ্গে সফলভাবে মোকাবিলা করতে সমর্থ হয়েছিলেন। আর পীনহস অধ্যবসায়ের সঙ্গে ঈশ্বরের মণ্ডলীর যত্ন নিয়েছিলেন বলে যিহোবার অনুমোদন লাভ করেছিলেন। প্রায় ১,০০০ বছর পর, ইষ্রা এই কথা লিখতে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন: “পুরাকালে ইলিয়াসরের পুত্ত্র পীনহস তাহাদের অধ্যক্ষ ছিলেন, এবং সদাপ্রভু তাঁহার সহবর্ত্তী ছিলেন।” (১ বংশা. ৯:২০) এই বিষয়টা যেন বর্তমানে ঈশ্বরের লোকেদের মধ্যে নেতৃত্ব নেয় এমন সমস্ত লোকের ক্ষেত্রে ও সেইসঙ্গে তাঁকে অনুগতভাবে সেবা করে এমন সমস্ত খ্রিস্টানের ক্ষেত্রে সত্য হয়।