ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • mwbr23 সেপ্টেম্বর পৃষ্ঠা ১-১৪
  • “জীবন ও পরিচর্যা সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা”-র রেফারেন্স

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • “জীবন ও পরিচর্যা সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা”-র রেফারেন্স
  • জীবন ও পরিচর্যা—সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা-র রেফারেন্স—২০২৩
  • উপশিরোনাম
  • সেপ্টেম্বর ৪-১০
  • সেপ্টেম্বর ১১-১৭
  • সেপ্টেম্বর ১৮-২৪
  • সেপ্টেম্বর ২৫–অক্টোবর ১
  • অক্টোবর ২-৮
  • অক্টোবর ৯-১৫
  • অক্টোবর ১৬-২২
  • অক্টোবর ২৩-২৯
  • অক্টোবর ৩০–নভেম্বর ৫
জীবন ও পরিচর্যা—সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা-র রেফারেন্স—২০২৩
mwbr23 সেপ্টেম্বর পৃষ্ঠা ১-১৪

জীবন ও পরিচর্যা সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা-র রেফারেন্স

© 2023 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania

সেপ্টেম্বর ৪-১০

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | ইষ্টের ১-২

“ইষ্টেরের মতো বিনয়ী মনোভাব দেখান”

প্রহরীদুর্গ ১৭.০১ ২৫ অনু. ১১

পরীক্ষার মধ্যেও আপনি বিনয়ী মনোভাব বজায় রাখতে পারেন

১১ এ ছাড়া, সেই সময়ও আমাদের বিনয়ভাব পরীক্ষিত হতে পারে, যখন লোকেরা আমাদের প্রশংসা অথবা তোষামোদ করে। ইষ্টের অনেক প্রশংসা লাভ করেছিলেন এবং তাকে তোষামোদও করা হয়েছিল। তিনি ছিলেন পারস্যের সবচেয়ে সুন্দরী নারীদের মধ্যে একজন। অন্যান্য যুবতীর মতো এক বছর ধরে বিশেষ সৌন্দর্য্যবর্ধক দ্রব্যাদি দিয়ে তারও রূপচর্চা করা হয়েছিল, যাতে তারা রাজার দৃষ্টিতে বিশেষ অনুগ্রহ লাভ করার প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারেন। এরপর রাজা ইষ্টেরকে রানি হিসেবে মনোনীত করেন। কিন্তু, এত মনোযোগ পাওয়া সত্ত্বেও ইষ্টেরের মনোভাব পরিবর্তিত হয়নি। তিনি আত্মকেন্দ্রিক হয়ে যাননি। তিনি বিনয়ী, সদয় ও সম্মানপূর্ণ মনোভাব বজায় রেখেছিলেন।—ইষ্টের ২:৯, ১২, ১৫, ১৭.

অনুকরণ করুন অধ্যায় ১৫ অনু. ১৫

তিনি ঈশ্বরের লোকেদের পক্ষসমর্থন করেছিলেন

১৫ যখন রাজার কাছে ইষ্টেরকে হাজির করার সময় এসেছিল, তখন নিজেকে আরও সুন্দরী দেখানোর জন্য যা-কিছুর প্রয়োজন আছে বলে তিনি মনে করতেন, তা বেছে নেওয়ার অধিকার তাকে দেওয়া হয়েছিল। তিনি বিনয়ীভাবে শুধু সেইসমস্ত জিনিসই নিয়েছিলেন, যা হেগয় তার জন্য বাছাই করে রেখেছিলেন। (ইষ্টের ২:১৫) খুব সম্ভবত, তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে, শুধুমাত্র সৌন্দর্য দিয়েই রাজার মন জয় করা যাবে না; এর জন্য নম্রতার মনোভাবও প্রয়োজন, যা রাজদরবারের লোকেদের মধ্যে ছিল না। তার এই চিন্তা কি সঠিক ছিলেন?

প্রহরীদুর্গ ১৭.০১ ২৫ অনু. ১২

পরীক্ষার মধ্যেও আপনি বিনয়ী মনোভাব বজায় রাখতে পারেন

১২ আমরা যদি বিনয়ী হই, তা হলে আমরা এমন পোশাক-আশাক পরব এবং এমন উপায়ে আচরণ করব, যা অন্যদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবে ও সেইসঙ্গে নিজেদের জন্য সম্মান নিয়ে আসবে। শ্লাঘা করার অথবা অন্যদের প্রভাবিত করতে চাওয়ার পরিবর্তে আমরা ‘মৃদু ও প্রশান্ত আত্মা’ বজায় রাখার চেষ্টা করব। (পড়ুন, ১ পিতর ৩:৩, ৪; যির. ৯:২৩, ২৪) নিজেদের প্রতি আমাদের মনোভাব একসময় আমাদের কথায় ও কাজে প্রকাশ পাবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আমরা হয়তো নিজেদের অন্যদের সামনে শ্রেষ্ঠ বলে তুলে ধরতে পারি, যদি আমরা বিশেষ সুযোগের অধিকারী হয়ে থাকি বা ভিতরের খবরাখবর জানি অথবা দায়িত্বপ্রাপ্ত ভাইদের সঙ্গে আমাদের বিশেষ সম্পর্ক থাকে। কিংবা প্রশংসা লাভ করার জন্য আমরা হয়তো এমনটা দেখাতে পারি যে, কোনো বিশেষ কাজ আমরা নিজেরা করেছি, যদিও আসলে অন্যেরা আমাদের সাহায্য করেছে। যিশুর কথা চিন্তা করুন। তিনি নিজের জ্ঞান দ্বারা অন্যদের অভিভূত করতে পারতেন। কিন্তু, তা না করে তিনি প্রায়ই ঈশ্বরের বাক্য থেকে উদ্ধৃতি করতেন। তিনি চাননি, যেন লোকেরা তাঁর গৌরব করে। তিনি সবসময় চেয়েছিলেন, যেন সমস্ত গৌরব যিহোবা লাভ করেন।—যোহন ৮:২৮.

অমূল্য রত্ন

প্রহরীদুর্গ ২২.১১ ৩১ অনু. ৩-৬

আপনি কি জানতেন?

সেই প্রত্নতত্ত্ববিদেরা একটা মাটির ফলক খুঁজে পায়, যেটার উপর মার্দুকা নামে একজন ব্যক্তির বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছিল (বাংলায় মর্দখয়)। সেখানে বলা হয়েছিল যে, তিনি শূশন নগরের একজন আধিকারিক ছিলেন এবং হয়তো টাকাপয়সার হিসাব রাখতেন। লক্ষ করুন, সেই ফলকের বিষয়ে আর্থার উনগাড নামে একজন বিশেষজ্ঞ কী বলেছিলেন, যার সেই এলাকা সম্বন্ধে ভালো জ্ঞান ছিল। তিনি বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত আমরা শুধু বাইবেল থেকে মর্দখয়ের বিষয়ে পড়েছি। এই প্রথম বার আমরা অন্য কোথাও মর্দখয়ের নাম দেখতে পাচ্ছি।’

পরবর্তী সময়ে, প্রত্নতত্ত্ববিদেরা এমন হাজার হাজার মাটির ফলক খুঁজে পায় আর সেগুলোতে লেখা কথাগুলো অনুবাদ করা হয়। যেমন, পের্সোপলিস নগরের ধ্বংসাবশেষ খনন করার সময় নগরের প্রাচীরের কাছে রাজকোষের ধ্বংসাবশেষের মধ্যে অনেক ছোটো ছোটো মাটির ফলক খুঁজে পাওয়া যায়। এগুলো জার্কসিজ ১মের সময়কালের এবং এগুলোর উপর এলোমীয় ভাষায় কিছু কথা লেখা ছিল। এগুলোতে এমন অনেক ব্যক্তির নাম লেখা আছে, যাদের নাম ইষ্টের বইয়েও পাওয়া যায়।

পের্সোপলিসে পাওয়া ফলকগুলোতে মার্দুকার নাম অনেক জায়গায় পাওয়া যায়। আর এমনটা মনে করা হয়, যখন জার্কসিজ ১ম শাসন করছিলেন, তখন তিনি শূশনের রাজপ্রাসাদে একজন ব্যবস্থাবেত্তা ছিলেন। একটা ফলক থেকে এও জানা যায় যে, মার্দুকা একটা ভাষা থেকে আরেকটা ভাষায় অনুবাদ করতেন। বাইবেলেও মর্দখয়ের বিষয়ে এইরকমই কিছু বলা হয়েছে। ইষ্টেরের বই পড়লে জানা যায়, তিনি রাজা অহশ্বেরশের (জার্কসিজ ১ম) রাজপ্রাসাদে একজন রাজর্কমচারী ছিলেন। তিনি অন্ততপক্ষে দুটো ভাষা জানতেন। বাইবেলে এও লেখা আছে, মর্দখয় রাজপ্রাসাদের নগরের দরজার কাছে বসে থাকতেন। (ইষ্টের ২:১৯, ২১; ৩:৩) রাজপ্রাসাদের নগরের দরজা আসলে একটা বড়ো অট্টালিকা ছিল, যেখানে থেকে রাজকর্মচারীরা কাজ করত।

পের্সোপলিসের ফলকগুলোতে যে-মার্দুকার বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে আর বাইবেলে যে-মর্দখয়ের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, তাদের দু-জনের মধ্যে অনেক বিষয়ে মিল আছে। তারা দু-জনে একই সময়ে বেঁচে ছিলেন, একই জায়গায় এবং একই ধরনের কাজ করতেন আর একই জায়গায় থাকতেন। এই সব বিষয় থেকে বোঝা যায়, মার্দুকা ইষ্টের বইয়ে বলা মর্দখয়ই ছিলেন।

সেপ্টেম্বর ১১-১৭

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | ইষ্টের ৩-৫

“মনপ্রাণ দিয়ে যিহোবার সেবা করার জন্য অন্যদের সাহায্য করুন”

অন্তর্দৃষ্টি-২ ৪৩১ অনু. ৭, ইংরেজি

মর্দখয়

হামনের সামনে মাথা নত করতে প্রত্যাখ্যান করেন। রাজা অহশ্বেরশ হামনকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করেছিলেন এবং এই আজ্ঞা দিয়েছিলেন, রাজপ্রাসাদের দরজার কাছে যত জন দাস আছে, তারা সবাই যেন হামনের সামনে মাথা নত করে। কিন্তু, মর্দখয় তা করতে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। এর পিছনে থাকা কারণ বলার সময়ে তিনি বলেছিলেন যে, তিনি একজন যিহুদি। (ইষ্টের ৩:১-৪) প্রাচীন কালে, ইজরায়েলীয়েরা রাজা কিংবা উচ্চপদস্থ কর্মচারীদের সমাদর করার জন্য তাদের সামনে মাথা নত করত। (২শমূ ১৪:৪; ১৮:২৮; ১রাজা ১:১৬) কিন্তু, মর্দখয় হামনের সামনে মাথা নত করেননি কারণ খুব সম্ভবত হামন একজন অমালেকীয় ছিলেন আর অমালেকীয়দের বিষয়ে যিহোবা বলেছিলেন: “পুরুষানুক্রমে অমালেকের সহিত সদাপ্রভুর যুদ্ধ হইবে।” (যাত্রা ১৭:১৬) তাই, মর্দখয় যে হামনের সামনে মাথা নত করেননি, এটার পিছনে কোনো রাজনৈতিক কারণ ছিল না বরং এটার সঙ্গে যিহোবার প্রতি বিশ্বস্ত থাকার বিষয়টা জড়িয়ে ছিল।

অন্তর্দৃষ্টি-২ ৪৩১ অনু. ৯, ইংরেজি

মর্দখয়

তার মাধ্যমে ইজরায়েলকে রক্ষা করা হয়। মর্দখয় যখন জানতে পেরেছিলেন, সমস্ত যিহুদিকে মেরে ফেলার আদেশ দেওয়া হয়েছে, তখন তিনি ইষ্টেরকে আস্থার সঙ্গে বলেছিলেন, যিহুদিদের রক্ষা করার জন্যই তাকে রানি করা হয়েছে। তিনি ইষ্টেরকে এটা বুঝতে সাহায্য করেছিলেন যে, তার উপর কত বড়ো এক দায়িত্ব রয়েছে। মর্দখয় তাকে রাজার কাছ থেকে সাহায্য চাওয়ার ব্যাপারেও নির্দেশনা দিয়েছিলেন। কিন্তু, রাজার কাছ থেকে সাহায্য চাওয়ার কাজটা ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। তারপরও, ইষ্টের মর্দখয়ের কথা শুনেছিলেন।—ইষ্টের ৪:৭–৫:২.

অনুকরণ করুন অধ্যায় ১৫ অনু. ২২-২৩

তিনি ঈশ্বরের লোকেদের পক্ষসমর্থন করেছিলেন

২২ ইষ্টের এই খবর শুনে নিশ্চয়ই খুব উদ্‌বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন। তার সামনে বিশ্বাস প্রদর্শন করার সবচেয়ে বড়ো পরীক্ষার সময় এসে পড়েছিল। তিনি খুবই ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন আর তা তিনি মর্দখয়কে খোলাখুলিভাবে জানিয়েছিলেন। তিনি মর্দখয়কে রাজার আইনের কথা মনে করিয়ে দিয়েছিলেন। বিনা আমন্ত্রণে কেউ রাজার সামনে গেলে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হতো। কিন্তু, রাজা যদি তার স্বর্ণময় রাজদণ্ড অন্যায়কারীর দিকে বাড়িয়ে দিতেন, একমাত্র তাহলেই তাকে ছেড়ে দেওয়া হতো। রাজার আদেশ সত্ত্বেও উপস্থিত না হওয়ায় বষ্টীর যে-পরিণাম হয়েছিল, তা মাথায় রেখে ইষ্টেরের এইরকম আশা করার কি কোনো কারণ ছিল যে, তার প্রতি দয়া দেখানো হবে? ইষ্টের মর্দখয়কে বলেছিলেন যে, ৩০ দিন হয়ে গিয়েছে তিনি রাজার আমন্ত্রণ পাননি। তাকে যেহেতু এতদিন আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, তাই তিনি মনে করেছিলেন যে, রাজা হয়তো মন পরিবর্তন করে ফেলেছেন আর তিনি তাকে আর ভালোবাসেন না।—ইষ্টের ৪:৯-১১.

২৩ ইষ্টেরের বিশ্বাসকে শক্তিশালী করার জন্য মর্দখয় দৃঢ়ভাবে উত্তর দিয়েছিলেন। তিনি তাকে আস্থার সঙ্গে বলেছিলেন, তিনি যদি কিছু করতে না-ও পারেন, তাহলে অন্য কোনো উৎস থেকে যিহুদিদের নিস্তার আসবে। কিন্তু একবার যদি তাড়না শুরু হয়, তাহলে কীভাবেই-বা তিনি নিজে তা থেকে রেহাই পাওয়ার আশা করতে পারেন? এই সময় মর্দখয় যিহোবার ওপর তার দৃঢ় বিশ্বাস দেখিয়েছিলেন, যিনি কখনোই তাঁর লোকেদের পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যেতে এবং তাঁর প্রতিজ্ঞাগুলো ব্যর্থ হতে দেবেন না। (যিহো. ২৩:১৪) এরপর মর্দখয় ইষ্টেরকে জিজ্ঞেস করেছিলেন: “কে জানে যে, তুমি এই প্রকার সময়ের জন্যই রাজ্ঞীপদ পাও নাই?” (ইষ্টের ৪:১২-১৪) মর্দখয়ের উদাহরণ কি অনুকরণযোগ্য নয়? তিনি সম্পূর্ণভাবে তার ঈশ্বর যিহোবার ওপর আস্থা রেখেছিলেন। আমরাও কি তা করি?—হিতো. ৩:৫, ৬.

অমূল্য রত্ন

ঈশ্বরের রাজ্য শাসন করছে! অধ্যায় ১৫ অনু. ১৪, ইংরেজি

উপাসনা করার স্বাধীনতার জন্য লড়াই

১৪ অতীতে ইষ্টের ও মর্দখয়ের মতো আজ যিহোবার লোকেরা আইনগত যুদ্ধ করে, যাতে তারা যিহোবার বলা উপায়েই তাঁর উপাসনার করার স্বাধীনতা লাভ করে। (ইষ্টের ৪:১৩-১৬) আপনিও কি এতে সাহায্য করতে পারেন? অবশ্যই। আপনি সেই ভাই-বোনদের জন্য ক্রমাগত প্রার্থনা করতে পারেন, যারা আজ আইনের কারণে অবিচার ভোগ করছে। আপনার করা প্রার্থনা তাদের তাড়না সহ্য করার জন্য সাহায্য করতে পারে। (পড়ুন, যাকোব ৫:১৬.) যিহোবা কি এইরকম প্রার্থনার উত্তর দেন? অনেক বার আদালত আমাদের পক্ষে যে-রায় দিয়েছে, সেটা থেকে প্রমাণ হয়, তিনি নিশ্চয়ই আমাদের প্রার্থনার উত্তর দেন।—ইব্রীয় ১৩:১৮, ১৯.

সেপ্টেম্বর ১৮-২৪

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | ইষ্টের ৬-৮

“ইষ্টেরের মতো হোন এবং ভালোভাবে কথা বলুন”

অনুকরণ করুন অধ্যায় ১৬ অনু. ১৫-১৬

তিনি বিজ্ঞ, সাহসী ও নিঃস্বার্থ পদক্ষেপ নিয়েছিলেন

১৫ ইষ্টের রাজাকে তার অনুরোধ জানানোর জন্য ধৈর্য ধরে আরও একটা দিন অপেক্ষা করায়, হামন নিজেই নিজের পতন ডেকে এনেছিলেন। আর রাজার অনিদ্রার পিছনে কি যিহোবা ঈশ্বরেরই হাত ছিল না? (হিতো. ২১:১) এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই যে, ঈশ্বরের বাক্য আমাদেরকে ‘অপেক্ষা করিবার’ বা অপেক্ষা করার মনোভাব দেখানোর জন্য উৎসাহ দেয়। (পড়ুন, মীখা ৭:৭.) আমরা যখন ঈশ্বরের ওপর আস্থা রাখি ও তিনি পদক্ষেপ নেবেন বলে অপেক্ষা করি, তখন আমরা হয়তো দেখতে পাই যে, আমরা আমাদের সমস্যাগুলো যেভাবে সমাধান করার কথা চিন্তা করেছিলাম, তার চেয়েও তাঁর সমাধান অনেক বেশি ভালো।

তিনি সাহসের সঙ্গে কথা বলেছিলেন

১৬ ইষ্টের আর রাজার ধৈর্যের পরীক্ষা করার সাহস দেখাননি; দ্বিতীয় ভোজে তাকে সবকিছু খুলে বলতে হয়েছিল। কিন্তু কীভাবে? ঘটনাক্রমে, রাজা তাকে সুযোগ করে দিয়েছিলেন, তাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন যে, তার অনুরোধ কী। (ইষ্টের ৭:২) ইষ্টেরের “কথা কহিবার কাল” এসে গিয়েছিল।

অনুকরণ করুন অধ্যায় ১৬ অনু. ১৭

তিনি বিজ্ঞ, সাহসী ও নিঃস্বার্থ পদক্ষেপ নিয়েছিলেন

১৭ আমরা হয়তো কল্পনা করতে পারি, ইষ্টের তার ঈশ্বরের কাছে নীরবে প্রার্থনা করার পর এই কথাগুলো বলছেন: “মহারাজ, আমি যদি আপনার দৃষ্টিতে অনুগ্রহ পাইয়া থাকি, ও যদি মহারাজের ভাল বোধ হয়, তবে আমার নিবেদনে আমার প্রাণ, ও আমার অনুরোধে আমার জাতি আমাকে দত্ত হউক।” (ইষ্টের ৭:৩) লক্ষ করুন, তিনি রাজাকে আশ্বস্ত করেছিলেন যে, ভালো-মন্দের বিষয়ে তিনি রাজার বিচারকে সম্মান করেন। এই বিষয়ে তিনি রাজার প্রাক্তন স্ত্রী বষ্টীর চেয়ে কতই-না আলাদা ছিলেন, যিনি ইচ্ছাকৃতভাবে তার স্বামীকে অবজ্ঞা করেছিলেন! (ইষ্টের ১:১০-১২) শুধু তাই নয়, হামনের ওপর আস্থা রেখে রাজা যে বোকার মতো কাজ করেছিলেন, সেটার জন্য ইষ্টের তার সমালোচনা করেননি। এর পরিবর্তে, তিনি রাজার কাছে তার নিজের জীবন বিপন্ন হওয়া থেকে তাকে রক্ষা করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন।

অনুকরণ করুন অধ্যায় ১৬ অনু. ১৮-১৯

তিনি বিজ্ঞ, সাহসী ও নিঃস্বার্থ পদক্ষেপ নিয়েছিলেন

১৮ সেই অনুরোধ নিশ্চয়ই রাজার হৃদয় স্পর্শ করেছিল এবং তাকে বিস্মিত করেছিল। কে তার রানিকে বিপদের মধ্যে ফেলার মতো দুঃসাহস দেখাতে পারে? ইষ্টের বলে চলেন: “আমি ও আমার স্বজাতি, আমরা সংহারিত, নিহত ও বিনষ্ট হইবার নিমিত্ত বিক্রীত হইয়াছি। যদি আমরা কেবল দাস দাসী হইবার জন্য বিক্রীত হইতাম, তবে আমি নীরব থাকিতাম; কিন্তু তাহা হইলেও মহারাজের ক্ষতিপূরণ করা বিপক্ষের অসাধ্য হইত।” (ইষ্টের ৭:৪) লক্ষ করুন, ইষ্টের খোলাখুলিভাবে তার সমস্যা ব্যক্ত করেছিলেন, যদিও তিনি বলেছিলেন যে, এর সঙ্গে যদি শুধুমাত্র দাসত্ব করার বিষয় জড়িত থাকত, তাহলে তিনি চুপ করে থাকতেন। কিন্তু, পুরো জাতিকে নিঃশেষ করার জন্য এই গণহত্যা রাজার জন্য এতটাই ক্ষতিকর হতো যে, সেই বিষয়ে চুপ করে থাকা তার পক্ষে সম্ভব ছিল না।

১৯ ইষ্টেরের উদাহরণ অন্যদের প্রত্যয়ী করে তোলার কৌশল সম্বন্ধে আমাদেরকে অনেক কিছু শিক্ষা দেয়। আপনার যদি কখনো কোনো গুরুতর সমস্যার বিষয়ে আপনার কোনো প্রিয়জন অথবা এমনকী কর্তৃত্বপদে থাকা কোনো ব্যক্তির কাছে প্রকাশ করার প্রয়োজন হয়, তাহলে ধৈর্য, সম্মান ও অকপট অভিব্যক্তি অনেক সাহায্যকারী হতে পারে।—হিতো. ১৬:২১, ২৩.

অমূল্য রত্ন

প্রহরীদুর্গ ০৬ ৩/১ ১১ অনু. ১

ইষ্টের বইয়ের প্রধান বিষয়গুলো

৭:৪—কীভাবে যিহুদিদের সংহার করা ‘মহারাজের ক্ষতি’ করবে? ইষ্টের যিহুদিদের দাস হিসেবে বিক্রীত হওয়ার সম্ভাবনার কথা কৌশলে উল্লেখ করে, তাদের ধ্বংস করার দ্বারা রাজার যে-ক্ষতি হবে সেই বিষয়ের ওপর জোর দিয়েছিলেন। হামন যে-১০,০০০ রৌপ্য মুদ্রা দেওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, তা না করে যদি তিনি যিহুদিদের দাস হিসেবে বিক্রি করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করতেন, তা হলে তার থেকে যে সম্পদ আসত, তা রাজার ভাণ্ডারের জন্য অনেক গুণ বেশি লাভজনক হতো। এ ছাড়া, হত্যার ষড়যন্ত্রের মানে হতো রানিকেও হারানো।

সেপ্টেম্বর ২৫–অক্টোবর ১

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | ইষ্টের ৯-১০

“তিনি তার অধিকারকে লোকদের উপকারের জন্য ব্যবহার করেছিলেন”

অন্তর্দৃষ্টি-২ ৪৩২ অনু. ২, ইংরেজি

মর্দখয়

মর্দখয়কে হামনের জায়গায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। রাজা তাকে সিলমোহর দেওয়ার আংটিও দেন, যেটা সরকারি নথিগুলোতে স্ট্যাম্প মারার জন্য ব্যবহার করা হত। এই ক্ষমতা লাভ করার পর মর্দখয় আরেকটা আদেশ জারি করেন, যেটা থেকে যিহুদিরা নিজেদের রক্ষা করার জন্য আইনত অধিকার লাভ করেছিল। এই আদেশ সম্বন্ধে জেনে যিহুদিরা কতই-না স্বস্তি লাভ করে এবং আনন্দিত হয়! তাই, যখন অদর মাসের ১৩তম দিন আসে এবং দুটোই আদেশ প্রয়োগ করতে হত, তখন যিহুদিরা প্রস্তুত ছিল। শূশনে রাজার অনুমতি নিয়ে পরের দিনও যুদ্ধ চলতে থাকে। এর ফলে, পুরো পারস্য সাম্রাজ্যে ৭৫,০০০-রের চেয়েও বেশি শত্রু মারা যায়, যাদের মধ্যে হামনের ১০ জন ছেলেও ছিল। (ইষ্টের ৮:১–৯:১৮) এরপর, মর্দখয় সমস্ত যিহুদিকে বলে, তারা যেন এখন থেকে অদর মাসের ১৪তম ও ১৫তম দিনে উৎসব পালন করে আর এটাকে “পূরীমের উৎসব” বলা হবে। এই উৎসব চলাকালীন তাদের বড়ো বড়ো ভোজ প্রস্তুত করতে হত, আনন্দ করতে হত, একে অন্যকে খাবারদাবার পাঠাতে হত এবং গরিবদের দান করতে হত। পুরো সাম্রাজ্যে রাজার পর মর্দখয়ই ছিলেন সবচেয়ে ক্ষমতাশালী ব্যক্তি। তিনি যিহুদিদের সুরক্ষার জন্য কাজ করে যান এবং যিহুদিরাও তাকে সম্মান করে।—ইষ্টের ৯:১৯-২২, ২৭-৩২; ১০:২, ৩.

অন্তর্দৃষ্টি-২ ৭১৬ অনু. ৫, ইংরেজি

পূরীম

কেন পালন করা হত? পূরীমের উৎসব এইজন্য পালন করা হত, যাতে যিহোবার সম্মান হয় কারণ তিনি তাঁর লোকদের শত্রুদের হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন। কিন্তু, আজ যিহুদিরা এই উৎসবকে অন্যভাবে পালন করে থাকে।

যিহোবার নিকটবর্তী হোন অধ্যায় ১০ অনু. ১২-১৩

আপনার ক্ষমতা ব্যবহার করার ক্ষেত্রে ‘ঈশ্বরের অনুকারী হোন’

১২ যিহোবা খ্রিস্টীয় মণ্ডলীতে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য অধ্যক্ষদের দিয়েছেন। (ইব্রীয় ১৩:১৭) এই যোগ্য পুরুষদের তাদের ঈশ্বরদত্ত কর্তৃত্বকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা জোগাতে এবং পালের মঙ্গলে অবদান রাখতে ব্যবহার করা উচিত। তাদের প্রাচীনপদ কি সহবিশ্বাসীদের ওপর প্রভুত্ব করার অধিকার দেয়? অবশ্যই না! মণ্ডলীতে প্রাচীনদের তাদের ভূমিকা সম্বন্ধে এক ভারসাম্যপূর্ণ, নম্র দৃষ্টিভঙ্গি থাকা দরকার। (১ পিতর ৫:২, ৩) বাইবেল অধ্যক্ষদের বলে: “ঈশ্বরের সেই মণ্ডলীকে পালন কর, যাহাকে তিনি নিজ রক্ত দ্বারা ক্রয় করিয়াছেন।” (প্রেরিত ২০:২৮) পালের প্রতিটা সদস্যকে কোমলভাবে পালন করার জন্য এটাই একটা জোরালো কারণ।

১৩ আমরা হয়তো বিষয়টাকে এভাবে উদাহরণের মাধ্যমে বর্ণনা করতে পারি। একজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু আপনাকে একটা প্রিয় জিনিস দেখাশোনা করার জন্য বলেছেন। আপনি জানেন যে আপনার বন্ধু অনেক মূল্য দিয়ে সেই জিনিসটা কিনেছেন। আপনি কি সেটা সাবধানে ও যত্নের সঙ্গে নাড়াচাড়া করবেন না? একইভাবে, ঈশ্বর প্রাচীনদের প্রকৃতই এক মূল্যবান সম্পদ দেখাশোনা করার দায়িত্ব দিয়েছেন, যা হল মণ্ডলী আর যেটার সদস্যরা মেষের মতো। (যোহন ২১:১৬, ১৭) যিহোবার মেষেরা তাঁর কাছে প্রিয়—এতই প্রিয় যে তিনি তাঁর একজাত পুত্র, যিশু খ্রিস্টের মূল্যবান রক্ত দিয়ে তাদের ক্রয় করেছেন। যিহোবা তাঁর মেষদের জন্য এর চেয়ে উচ্চমূল্য আর দিতে পারতেন না। নম্র প্রাচীনরা তা মনে রাখে এবং সেই অনুযায়ী যিহোবার মেষদের সঙ্গে আচরণ করে।

অমূল্য রত্ন

প্রহরীদুর্গ ০৬ ৩/১ ১১ অনু. ৪

ইষ্টের বইয়ের প্রধান বিষয়গুলো

৯:১০, ১৫, ১৬—দ্রব্যাদি লুট করার আদেশ জারি করলেও, কেন যিহুদিরা তা করা থেকে বিরত ছিল? তাদের এই প্রত্যাখ্যান সন্দেহের কোনো অবকাশই রাখেনি যে, তাদের উদ্দেশ্য ছিল নিজেদের লোকেদের রক্ষা করা, নিজেরা ধনী হওয়া নয়।

অক্টোবর ২-৮

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | ইয়োব ১–৩

“আপনি যিহোবাকে কতটা ভালোবাসেন, তা দেখিয়ে চলুন”

প্রহরীদুর্গ ১৮.০২ ৬ অনু. ১৬-১৭

নোহ, দানিয়েল ও ইয়োবের বিশ্বাস এবং বাধ্যতা অনুকরণ করুন

১৬ ইয়োবের প্রতিদ্বন্দ্বিতাগুলোর মধ্যে কয়েকটা কী ছিল? ইয়োব তার জীবনে বড়ো বড়ো পরিবর্তনের মুখোমুখি হয়েছিলেন। প্রথমে, ইয়োব “পূর্ব্বদেশের লোকদের মধ্যে . . . সর্ব্বাপেক্ষা মহান্‌ ছিলেন।” (ইয়োব ১:৩) তিনি খুবই ধনী ছিলেন এবং অনেকে তাকে জানত ও গভীরভাবে সম্মান করত। (ইয়োব ২৯:৭-১৬) এই সমস্ত কিছু সত্ত্বেও, ইয়োব এমনটা মনে করেননি যে, তিনি অন্যদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ অথবা তার জীবনে ঈশ্বরের কোনো প্রয়োজন নেই। আমরা এই বিষয়টা জানি কারণ যিহোবা তাকে “আমার দাস” বলে সম্বোধন করেছিলেন এবং তার সম্বন্ধে বলেছিলেন: তিনি “সিদ্ধ ও সরল, ঈশ্বরভয়শীল ও কুক্রিয়াত্যাগী” ব্যক্তি।—ইয়োব ১:৮.

১৭ কিন্তু হঠাৎই, ইয়োবের জীবন পুরোপুরি পালটে গিয়েছিল। তিনি সমস্ত কিছু হারিয়েছিলেন এবং এতটাই হতাশ হয়ে পড়েছিলেন যে, নিজের মৃত্যুকামনা করেছিলেন। বর্তমানে আমরা জানি, শয়তানের কারণেই ইয়োবের জীবনে সমস্যা এসেছিল। শয়তান বলেছিল, ইয়োব কেবল স্বার্থপর কারণগুলোর জন্যই যিহোবার সেবা করেন। (পড়ুন, ইয়োব ১:৯, ১০.) যিহোবা এই মন্দ অভিযোগকে খুবই গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছিলেন। শয়তান যে একজন মন্দ মিথ্যাবাদী, তা প্রমাণ করার জন্য যিহোবা কী করেছিলেন? তিনি ইয়োবকে সুযোগ দিয়েছিলেন, যাতে ইয়োব ঈশ্বরের প্রতি তার আনুগত্য প্রমাণ করতে পারেন এবং দেখাতে পারেন যে, তিনি ঈশ্বরের প্রতি তার প্রেমের কারণে তাঁর সেবা করেন।

প্রহরীদুর্গ ১৯.০২ ৫ অনু. ১০

আপনার বিশ্বস্ততা বজায় রাখুন!

১০ শয়তান আমাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ করে থাকে। শয়তান ইয়োবের বিষয়ে যে-প্রশ্ন তুলেছিল, সেটার সঙ্গে আপনি কীভাবে জড়িত? অন্যভাবে বললে, সে বলে আপনি আসলে যিহোবা ঈশ্বরকে ভালোবাসেন না আর তাই আপনি নিজেকে রক্ষা করার জন্য তাঁর সেবা করা বন্ধ করে দেবেন অর্থাৎ আপনি আপনার বিশ্বস্ততা বজায় রাখবেন না! (ইয়োব ২:৪, ৫; প্রকা. ১২:১০) এটা জেনে আপনি কেমন অনুভব করেন? আপনি কষ্ট পান, তাই না? তবে, এই বিষয়টা নিয়ে চিন্তা করুন: আপনার উপর যিহোবার এতটা আস্থা রয়েছে যে, তিনি আপনাকে এক বিশেষ সুযোগ দিয়েছেন। যিহোবা শয়তানকে আপনার বিশ্বস্ততা পরীক্ষা করে দেখার অনুমতি দিয়েছেন। প্রভু যিহোবার এই বিষয়ে আস্থা রয়েছে যে, আপনি আপনার বিশ্বস্ততা বজায় রাখতে পারবেন এবং শয়তানকে মিথ্যাবাদী প্রমাণ করার বিষয়ে তাঁকে সাহায্য করবেন। আর তিনি আপনাকে এই বিষয়ে সাহায্য করার প্রতিজ্ঞা করেছেন। (ইব্রীয় ১৩:৬) এটা কতই-না বিশেষ এক সুযোগ যে, নিখিলবিশ্বের শাসক আমাদের উপর আস্থা রেখেছেন! আপনি কি লক্ষ করতে পারছেন, কেন বিশ্বস্ততা এতটা গুরুত্বপূর্ণ? এটা আমাদের শয়তানের মিথ্যাগুলোকে ভুল বলে প্রমাণ করার এবং আমাদের পিতার সুনামকে বৃদ্ধি করার আর সেইসঙ্গে তাঁর শাসন করার পদ্ধতিকে সমর্থন করার সুযোগ করে দেয়। কীভাবে আমরা এই গুরুত্বপূর্ণ গুণটা গড়ে তুলতে পারি?

অমূল্য রত্ন

প্রহরীদুর্গ ২১.০৪ ১১ অনু. ৯

যিশুর বলা শেষ কথাগুলো থেকে শিখুন

৯ যিশু কী বলেছিলেন? যিশু মারা যাওয়ার ঠিক আগে বলেছিলেন: “ঈশ্বর আমার, ঈশ্বর আমার, তুমি কেন আমাকে পরিত্যাগ করেছ?” (মথি ২৭:৪৬) বাইবেল স্পষ্টভাবে জানায় না, কেন যিশু এই কথা বলেছিলেন। কিন্তু, তিনি যা বলেছিলেন, সেখান থেকে আমরা কিছু বিষয় বুঝতে পারি। প্রথমত, এই কথা বলে যিশু সেই ভবিষ্যদ্‌বাণী পরিপূর্ণ করেছিলেন, যেটা গীতসংহিতা ২২:১ পদে লেখা আছে। দ্বিতীয়ত, যিহোবা তাঁর পুত্রের সুরক্ষার জন্য তাঁর “চারিদিকে . . . বেড়া” দেননি। (ইয়োব ১:১০) যিশু বুঝতে পেরেছিলেন, যিহোবা অনুমতি দিয়েছেন, যেন যিশুর শত্রুরা পুরোপুরিভাবে তাঁর বিশ্বাসের পরীক্ষা নেয়। কোনো মানুষকে কখনো যিশুর মতো এইরকম পরীক্ষা সহ্য করতে হয়নি। তৃতীয়ত, যিশুর কথা থেকে এটাও বোঝা যায়, তিনি মৃত্যুদণ্ডের যোগ্য কোনো অপরাধ করেননি।

অক্টোবর ৯-১৫

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | ইয়োব ৪–৫

“ভুল তথ্য থেকে সাবধান থাকুন”

অন্তর্দৃষ্টি-১ ৭১৩ অনু. ১১, ইংরেজি

ইলীফস

২. ইলীফস ইয়োবের তিন জন মিথ্যা বন্ধুর মধ্যে একজন ছিলেন। (ইয়োব ২:১১) তিনি অব্রাহামের বংশধর ছিলেন এবং ইয়োবের দূর সম্পর্কের এক আত্মীয় ছিলেন। তিনি এবং তার বংশধরেরা নিজেদের প্রজ্ঞার বিষয়ে বড়াই করতেন। (যির ৪৯:৭) এমনটা মনে করা হয়, ইয়োবের তিন জন বন্ধুর মধ্যে ইলীফসের প্রভাব সবচেয়ে বেশি ছিল। তিনি হয়তো বয়সের দিক দিয়েও সবার চেয়ে বড়ো ছিলেন। তাই, তিনি যখন তিন বার ইয়োবের সঙ্গে তর্ক করেছিলেন, তখন প্রথমে তিনিই কথা বলেছিলেন এবং তার কথাগুলো সবচেয়ে লম্বা ছিল।

প্রহরীদুর্গ ০৫ ৯/১৫ ২৬ অনু. ২

ভুল চিন্তাভাবনা প্রতিরোধ করুন!

কোনো এক সময়ের একটা অতিপ্রাকৃত অভিজ্ঞতার বিষয় স্মরণ করে ইলীফস বলেছিলেন: “আমার সম্মুখ দিয়া একটা বাতাস [“আত্মা,” বাংলা কমন ল্যাঙ্গুয়েজ ভারসন] চলিয়া গেল, আমার শরীর রোমাঞ্চিত হইল। তাহা দাঁড়াইয়া থাকিল, কিন্তু আমি তাহার আকৃতি নির্ণয় করিতে পারিলাম না; একটী মূর্ত্তি আমার চক্ষুর্গোচর হইল, আমি মৃদু স্বর ও এই বাণী শুনিলাম।” (ইয়োব ৪:১৫, ১৬) কোন ধরনের আত্মা ইলীফসের চিন্তাভাবনাকে প্রভাবিত করেছিল? পরের পদে তার সমালোচনামূলক কথাবার্তার ধরন দেখায় যে, সেই আত্মা নিশ্চিতভাবেই ঈশ্বরের ধার্মিক দূতেদের মধ্যে একজন ছিল না। (ইয়োব ৪:১৭, ১৮) এটা একটা দুষ্ট আত্মিক প্রাণী ছিল। তা না হলে, কেন যিহোবা ইলীফস ও তার দুজন সহযোগীকে তাদের মিথ্যা কথাগুলোর জন্য তিরস্কার করবেন? (ইয়োব ৪২:৭) হ্যাঁ, ইলীফস মন্দ দূতের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন। তার মন্তব্যগুলো অধার্মিক চিন্তাভাবনাকে প্রতিফলিত করেছিল।

প্রহরীদুর্গ ১০ ২/১৫ ১৯ অনু. ৫-৬

শয়তানের অপপ্রচারকে প্রতিরোধ করুন

ইয়োবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসা তিন জন সঙ্গীর মধ্যে একজন, ইলীফসকে শয়তান এই বিষয়ে যুক্তি দেখানোর জন্য ব্যবহার করেছিল যে, মানুষ এতই দুর্বল যে, সে শয়তানের আক্রমণকে প্রতিরোধ করতে পারবে না। মানুষ “মৃণ্ময় গৃহে বাস করে” উল্লেখ করে তিনি ইয়োবকে বলেছিলেন: “[তাহাদের] গৃহের ভিত্তিমূল ধূলাতে স্থাপিত, যাহারা কীটের ন্যায় মর্দ্দিত হয়; . . . তাহারা প্রভাত ও সায়ংকালের মধ্যে চূর্ণ হয়; তাহারা চিরতরে বিনষ্ট হয়, কেহ চিন্তা করে না।”—ইয়োব ৪:১৯, ২০.

শাস্ত্রের আরেক জায়গায় আমাদেরকে ‘মৃন্ময় পাত্রের’—মাটির তৈরি ভঙ্গুর পাত্রের—সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। (২ করি. ৪:৭) উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত পাপ এবং অসিদ্ধতার কারণে আমরা দুর্বল। (রোমীয় ৫:১২) আমাদের নিজেদের ক্ষমতায় আমরা শয়তানের আক্রমণের সামনে অরক্ষিত থাকি। কিন্তু, খ্রিস্টান হিসেবে সাহায্যের জন্য আমরা যিহোবার ওপর নির্ভর করতে পারি। আমাদের দুর্বলতাগুলো থাকা সত্ত্বেও, আমরা ঈশ্বরের চোখে বহুমূল্য। (যিশা. ৪৩:৪) অধিকন্তু, যিহোবা তাদেরকে পবিত্র আত্মা দেন, যারা তাঁর কাছে তা চায়। (লূক ১১:১৩) তাঁর আত্মা আমাদেরকে “পরাক্রমের উৎকর্ষ [“অসাধারণ মহাশক্তি,” বাংলা কমন ল্যাঙ্গুয়েজ ভারসন]” দিতে পারে, যা শয়তান আমাদের ওপর যেকোনো দুর্দশা নিয়ে আসে, সেটার সঙ্গে সফলভাবে মোকাবিলা করতে সমর্থ করতে পারে। (২ করি. ৪:৭; ফিলি. ৪:১৩) আমরা যদি “বিশ্বাসে অটল থাকিয়া” দিয়াবলের প্রতিরোধ করি, তাহলে ঈশ্বর আমাদের দৃঢ় এবং শক্তিশালী করবেন। (১ পিতর ৫:৮-১০) তাই, শয়তান দিয়াবলকে আমাদের ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই।

অন্যান্য বিষয় প্রবন্ধ ৩২ অনু. ১৩-১৭, ইংরেজি

ভুল তথ্য থেকে সাবধান থাকুন!

● তথ্য কোথা থেকে এসেছে এবং তাতে কী বলা হয়েছে, তা পরীক্ষা করে দেখুন

বাইবেল যা বলে: “সমস্ত কিছু পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়ে নাও।”—১ থিষলনীকীয় ৫:২১.

যেকোনো তথ্যের উপর বিশ্বাস করার আগে কিংবা সেটা অন্যদের পাঠানোর আগে পুরোপুরি নিশ্চিত হোন, সেই তথ্য সঠিক কি না। এটা সেইসময়েও করুন, যখন সেই তথ্য খুবই পরিচিত হয়ে থাকে কিংবা বার বার খবরে দেখানো হয়ে থাকে। কীভাবে আপনি তা করতে পারেন?

চিন্তা করুন, তথ্য কোথা থেকে এসেছে কিংবা সেটা কে আপনাকে পাঠিয়েছে। আপনি কি সেটার উপর নির্ভর করতে পারেন? বিভিন্ন মিডিয়া এবং অন্যান্য সংগঠন হয়তো কোনো খবরকে এমনভাবে তুলে ধরে, যাতে এটা থেকে তাদের লাভ হয়। অথবা রাজনৈতিক বিষয়ে তাদের যে-চিন্তাধারা রয়েছে, তারা সেই অনুযায়ী খবর জানায়। তাই, শুধুমাত্র একটা নিউজ চ্যানেলের উপর বিশ্বাস করবেন না। সেই বিষয়ে অন্য চ্যানেলে কী বলা হয়েছে, সেটা তুলনা করুন। অনেকসময় এমনটাও হতে পারে, আপনার বন্ধু কোনো চিন্তাভাবনা না করেই একটা ভুল তথ্য সবাইকে ম্যাসেজ করে দিয়েছে অথবা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দিয়েছে। তাই, যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনি নিশ্চিত হচ্ছেন যে, সেই তথ্য যেখান থেকে কিংবা যার কাছ থেকে এসেছে, সেটা নির্ভরযোগ্য কি না, ততক্ষণ পর্যন্ত সেটার উপর বিশ্বাস করবেন না।

এও মনে রাখবেন, সেই তথ্যে কী বলা হয়েছে। সেটা কি সবেমাত্র বের হয়েছে এবং সঠিক? কোনো ঘটনা কি এমনি এমনিই তুলে ধরা হয়েছে, না কি সেটার তারিখও দেওয়া হয়েছে? কথাগুলো কি বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে, না কি সেটার কোনো ভিত্তি রয়েছে? সেই তথ্য যে সঠিক, সেটার কি কোনো দৃঢ় প্রমাণ রয়েছে? এমন কোনো ভিডিও বা প্রবন্ধও হতে পারে, যেখানে কোনো জটিল বিষয় সম্বন্ধে বেশি না জেনেই তুলে ধরা হয়েছে। কিংবা অনেকসময় হতে পারে, তথ্যকে এমনভাবে তুলে ধরা হয়, যেটার কারণে লোকেরা আবেগের বশে কিছু করে ফেলে। এইসমস্ত তথ্যগুলো থেকে আরও বেশি করে সাবধান থাকুন!

অমূল্য রত্ন

প্রহরীদুর্গ ০৩ ৫/১৫ ২২ অনু. ৫-৬

সুস্থির থাকুন এবং জীবনের দৌড়ে জয়ী হোন

বিশ্বব্যাপী সত্য উপাসকদের সংগঠনের অংশ হওয়া, স্থির থাকার ক্ষেত্রে আমাদের ওপর এক জোরালো প্রভাব ফেলতে পারে। এইধরনের এক প্রেমময়, বিশ্বব্যাপী ভ্রাতৃসমাজের সঙ্গে মেলামেশা করা কত বড়ই না এক আর্শীবাদ! (১ পিতর ২:১৭) আর স্থির থাকার ক্ষেত্রে আমাদের সহ বিশ্বাসীদের ওপর আমরা প্রভাব ফেলতে পারি।

ধার্মিক ব্যক্তি ইয়োবের সাহায্যকারী কাজ সম্বন্ধে বিবেচনা করুন। এমনকি মিথ্যা সান্ত্বনাকারী ইলীফসও এটা স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছিলেন যে: “তোমার বাক্য পতনোন্মুখ লোককে উঠাইয়াছে, তুমি ভগ্ন হাঁটু সবল করিয়াছ।” (ইয়োব ৪:৪) এই ব্যাপারে আমরা কী করছি? ঈশ্বরের সেবায় ধৈর্য ধরার জন্য আমাদের আত্মিক ভাইবোনদের সাহায্য করতে ব্যক্তিগতভাবে আমাদের দায়িত্ব রয়েছে। তাদের সঙ্গে মেলামেশা করার সময় আমরা এই কথাগুলোর সঙ্গে মিল রেখে কাজ করতে পারি: “দুর্ব্বল হস্ত সবল কর, কম্পিত জানু সুস্থির কর।” (যিশাইয় ৩৫:৩) তাই প্রত্যেকবার সহ খ্রিস্টানদের সঙ্গে আপনার যখন দেখা হয় তখন একজন বা দুজনকে শক্তিশালী করার ও উৎসাহ দেওয়ার, আপনি লক্ষ্য করুন না কেন? (ইব্রীয় ১০:২৪, ২৫) যিহোবাকে খুশি করার ব্যাপারে তাদের ক্রমাগত প্রচেষ্টার জন্য প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে দুচার কথা বলা তাদেরকে জীবনের দৌড়ে জয়ী হওয়ার প্রত্যাশা রেখে সুস্থির থাকতে সত্যিই সাহায্য করতে পারে।

অক্টোবর ১৬-২২

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | ইয়োব ৬–৭

“যখন আপনার পক্ষে পরীক্ষা সহ্য করা কঠিন হয়ে পড়ে”

প্রহরীদুর্গ ০৬ ৩/১৫ ১৪ অনু. ১০

ইয়োব বইয়ের প্রধান বিষয়গুলো

৭:১; ১৪:১৪—“সৈন্যবৃত্তি” দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? ইয়োবের দুর্দশা এতটাই চরম ছিল যে, তিনি তার জীবনকে কঠিন, কষ্টকর, বাধ্যতামূলক শ্রমের মতো মনে করেছিলেন। (ইয়োব ১০:১৭) একজন ব্যক্তি শিওলে—মৃত্যুর সময় থেকে শুরু করে পুনরুত্থান পর্যন্ত—যে-সময় কাটান, সেটা যেহেতু এক বাধ্যতামূলক সময়কাল, তাই ইয়োব এই সময়কে সৈন্যবৃত্তির মতো বাধ্যতামূলক কাজের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন।

প্রহরীদুর্গ ২০.১২ ১৬ অনু. ১

নিরুৎসাহিত হয়ে পড়েছে এমন ব্যক্তিদের যিহোবা রক্ষা করেন

কখনো কখনো আমরা হয়তো এই বাস্তব বিষয়টা নিয়ে চিন্তা করি যে, আমাদের জীবন সংক্ষিপ্ত এবং “উদ্বেগে পরিপূর্ণ।” (ইয়োব ১৪:১) তাই, স্বাভাবিকভাবেই আমরা মাঝে মাঝে নিরুৎসাহিত হয়ে পড়ি। প্রাচীন কালে যিহোবার অনেক দাস একইরকম বোধ করেছিলেন। কেউ কেউ এমনকী মারাও যেতে চেয়েছিলেন। (১ রাজা. ১৯:২-৪; ইয়োব ৩:১-৩, ১১; ৭:১৫, ১৬) কিন্তু, যিহোবা—যে-ঈশ্বরের উপর তারা নির্ভর করত—সবসময় তাদের সান্ত্বনা জুগিয়েছিলেন এবং তাদের শক্তিশালী করেছিলেন। তাদের বিবরণ আমাদের সান্ত্বনা ও নির্দেশনার জন্য লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।—রোমীয় ১৫:৪.

সজাগ হোন! ১/১২ ১৬-১৭, ইংরেজি

যখন আর বেঁচে থাকতে ইচ্ছা করে না

আপনার পরিস্থিতি যতই খারাপ হোক না কেন, একটা বিষয় সবসময় মনে রাখবেন: আপনি একা নন। আজ, প্রায় সবাই কোনো-না-কোনো সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বাইবেল বলে: “সমস্ত সৃষ্টি . . . একসঙ্গে আর্তনাদ করছে এবং একসঙ্গে যন্ত্রণা ভোগ করছে।” (রোমীয় ৮:২২) আপনার মনে হতে পারে, আপনার সমস্যা পাহাড়ের মতো আর সেটার কোনো সমাধান নেই। তবে প্রায় দেখা গিয়েছে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু, ততক্ষণ পর্যন্ত কোন বিষয়গুলো আপনাকে সাহায্য করতে পারে?

কোনো পরিপক্ব ও নির্ভরযোগ্য বন্ধুর কাছে আপনার অনুভূতির বিষয়ে খুলে বলুন। বাইবেল বলে: “বন্ধু সব সময়েই ভালবাসে, আর ভাই থাকে দুর্দশার সময়ে সাহায্য করবার জন্য।” (হিতো ১৭:১৭, বাংলা কমন ল্যাঙ্গুয়েজ ভারশন) বাইবেলে ইয়োব নামে একজন ধার্মিক ব্যক্তির বিষয়ে বলা হয়েছে। তিনি যখন খারাপ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন তিনি নিজের অনুভূতির বিষয়ে অন্যদের বলেছিলেন। তিনি তার “জীবনকে ঘৃণা” করতে শুরু করেছিলেন এবং বলেছিলেন: “আমি চুপ করে থাকব না, আমার মনে থাকা সমস্ত অভিযোগ প্রকাশ করব, আমার মধ্যে থাকা তিক্ততার কারণে আমি কথা বলব।” (ইয়োব ১০:১) কোনো নির্ভরযোগ্য বন্ধুকে নিজের অনুভূতির বিষয়ে বলার মাধ্যমে আপনি কিছুটা হলেও নিজের আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। এর ফলে, আপনি হয়তো আপনার সমস্যাগুলোকে একটা আলাদা দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখতে পারবেন।

প্রার্থনায় ঈশ্বরকে নিজের মনের সমস্ত কথা খুলে বলুন। কিছু লোক মনে করে, প্রার্থনা করলে শুধুমাত্র মনের বোঝাটাই হালকা হয়, তা ছাড়া আর কিছুই হয় না। কিন্তু, বাইবেল এমনটা বলে না। এর পরিবর্তে, গীতসংহিতা ৬৫:২ পদে লেখা আছে, যিহোবা হলেন “প্রার্থনা-শ্রবণকারী” ঈশ্বর এবং ১ পিতর ৫:৭ পদ বলে, “তিনি তোমাদের জন্য চিন্তা করেন।” বাইবেলের অনেক পদে লেখা রয়েছে যে, সমস্যার সময়ে ঈশ্বরের উপর নির্ভর করা কেন গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়:

“তুমি সমস্ত চিত্তে সদাপ্রভুতে বিশ্বাস কর; তোমার নিজ বিবেচনায় নির্ভর করিও না; তোমার সমস্ত পথে তাঁহাকে স্বীকার কর; তাহাতে তিনি তোমার পথ সকল সরল করিবেন।”—হিতোপদেশ ৩:৫, ৬.

“যাহারা তাঁহাকে ভয় করে, তিনি তাহাদের বাঞ্ছা পূর্ণ করেন, আর তাহাদের আর্ত্তনাদ শুনিয়া তাহাদিগকে ত্রাণ করেন।”—গীতসংহিতা ১৪৫:১৯.

“আমাদের এই আস্থা রয়েছে যে, ঈশ্বরের ইচ্ছার সঙ্গে মিল রেখে প্রার্থনায় আমরা যা-কিছুই চাই না কেন, তিনি আমাদের প্রার্থনা শোনেন।”—১ যোহন ৫:১৪.

“সদাপ্রভু দুষ্টদের হইতে দূরে থাকেন, কিন্তু তিনি ধার্ম্মিকদের প্রার্থনা শুনেন।” —হিতোপদেশ ১৫:২৯.

আপনি যদি ঈশ্বরকে আপনার সমস্যাগুলোর বিষয়ে বলেন, তা হলে তিনি অবশ্যই আপনাকে সাহায্য করবেন। তাই, বাইবেল আপনাকে উৎসাহ দেয়: ‘সতত তাঁহাতে নির্ভর করো, তাঁহারই সম্মুখে তোমাদের মনের কথা ভাঙ্গিয়া বলো।’—গীত ৬২:৮.

অমূল্য রত্ন

প্রহরীদুর্গ ২০.০৪ ১৭ অনু. ১০

শুনুন, জানুন এবং সমবেদনা দেখান

১০ আমরা আমাদের ভাই-বোনদের বোঝার চেষ্টা করার মাধ্যমে যিহোবাকে অনুকরণ করতে পারি। ভাই-বোনদের আরও ভালোভাবে জানুন। সভার আগে ও পরে তাদের সঙ্গে কথা বলুন, পরিচর্যায় তাদের সঙ্গে কাজ করুন আর যদি সম্ভব হয়, তা হলে তাদের খাবার খাওয়ার জন্য নিমন্ত্রণ জানান। আপনি যখন এমনটা করবেন, তখন আপনি আপনার ভাই-বোনদের আরও ভালোভাবে জানতে পারবেন। আপনি হয়তো জানতে পারবেন যে, একজন বোন যাকে আপনি বন্ধুত্বপরায়ণ নয় বলে ভাবতেন, তিনি আসলে লাজুক স্বভাবের; একজন ভাই যাকে আপনি বস্তুবাদী হিসেবে ভাবতেন, তিনি আসলে অতিথিপরায়ণ; অথবা একটা পরিবার প্রায়ই সভায় দেরি করে আসে, সেই পরিবার আসলে বিরোধিতা সহ্য করছে। (যাকোব ৪:১২) এটা ঠিক যে, লোকেদের সম্বন্ধে আমাদের ‘অনধিকারচর্চ্চা’ করা উচিত নয়। (১ তীম. ৫:১৩) তবে, আমাদের ভাই-বোনদের সম্বন্ধে এবং তাদের জীবনের অভিজ্ঞতা সম্বন্ধে কিছু বিষয় জানা ভালো। এটা তাদের আরও ভালোভাবে বোঝার জন্য আমাদের সাহায্য করবে।

অক্টোবর ২৩-২৯

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | ইয়োব ৮–১০

“যিহোবার অটল প্রেমের কারণে আমরা শয়তানের কথায় বিশ্বাস করি না”

প্রহরীদুর্গ ১৫ অক্টোবর–ডিসেম্বর ১০ অনু. ৩

আমরা কি সত্যিই ঈশ্বরকে খুশি করতে পারি?

ইয়োব একের-পর-এক অনেক সমস্যা ভোগ করেছিলেন, যে-সমস্যাগুলোকে আপাতদৃষ্টিতে অন্যায্য বলে মনে হয়েছিল। তিনি এই ভুল সিদ্ধান্তে এসেছিলেন, ঈশ্বরের উপর তিনি বিশ্বাসস্থাপন করেন কি না, সেই বিষয়ে ঈশ্বরের কোনো আগ্রহই নেই। (ইয়োব ৯:২০-২২) ইয়োব নিজের ধার্মিকতার বিষয়ে এতটাই নিশ্চিত ছিলেন যে, অন্যদের মনে হয়েছিল, তিনি নিজেকে ঈশ্বরের চেয়েও বেশি ধার্মিক বলে তুলে ধরছেন।—ইয়োব ৩২:১, ২; ৩৫:১, ২.

প্রহরীদুর্গ ২১.১১ ৬ অনু. ১৪

যিহোবা আপনার প্রতি অটল প্রেম দেখান

১৪ ঈশ্বরের অটল প্রেমের কারণে তাঁর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অটুট থাকে। দায়ূদ প্রার্থনায় যিহোবাকে বলেছিলেন: “তুমি আমার অন্তরাল, তুমি সঙ্কট হইতে আমাকে উদ্ধার করিবে; রক্ষাগীত দ্বারা আমাকে বেষ্টন করিবে . . . যে ব্যক্তি সদাপ্রভুতে নির্ভর করে, সে দয়াতে বেষ্টিত হইবে।” (গীত. ৩২:৭, ১০) প্রাচীন কালে, নগরের চারিদিকে উঁচু উঁচু প্রাচীর থাকত, যেটা লোকদের শত্রুদের হাত থেকে সুরক্ষা জোগাত। যিহোবার অটল প্রেমও প্রাচীরের মতো আমাদের সুরক্ষা জোগায়, যাতে তাঁর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে না যায়। এ ছাড়া, অটল প্রেমের কারণে তিনি আমাদের তাঁর প্রতি আকর্ষণ করেন। তাই, আমাদের এই আস্থা রয়েছে যে, আমরা সুরক্ষিত থাকব।—যির. ৩১:৩.

অমূল্য রত্ন

প্রহরীদুর্গ ১০ ১০/১৫ ৬-৭ অনু. ১৯-২০

‘কে ঈশ্বরের মন জানিয়াছে?’

১৯ ‘ঈশ্বরের মন’ সম্বন্ধে আমরা কী শিখেছি? ঈশ্বরের বাক্যকে সুযোগ দিতে হবে, যেন এটি যিহোবার মন সম্বন্ধে আমাদের সঠিক বোধগম্যতা প্রদান করে। আমাদের কখনোই যিহোবার ওপর আমাদের সীমাবদ্ধতাগুলো আরোপ করা এবং নিজেদের মানদণ্ড ও চিন্তাভাবনা অনুযায়ী তাঁর বিচার করা উচিত নয়। ইয়োব বলেছিলেন: “[ঈশ্বর] আমার ন্যায় মনুষ্য নহেন যে, তাঁহাকে উত্তর দিই, যে, তাঁহার সহিত একই বিচারস্থানে যাইতে পারি।” (ইয়োব ৯:৩২) ইয়োবের মতো আমরা যখন যিহোবার মন বুঝতে শুরু করি, তখন আমরাও বিস্ময়ে এই কথা না বলে থাকতে পারি না: “দেখ, এই সকল তাঁহার মার্গের প্রান্ত; তাঁহার বিষয়ে কাকলীমাত্র শুনা যায়; কিন্তু তাঁহার পরাক্রমের গর্জ্জন কে বুঝিতে পারে?”—ইয়োব ২৬:১৪.

২০ শাস্ত্র পড়ার সময় আমরা যদি এমন কোনো বাক্যাংশ পড়ি, যা বোঝা কঠিন আর বিশেষভাবে সেটা যদি যিহোবার চিন্তাভাবনার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হয়ে থাকে, তাহলে আমাদের কী করা উচিত? বিষয়টা নিয়ে গবেষণা করার পরও যদি আমাদের কাছে উত্তরটা স্পষ্ট না হয়, তাহলে আমরা সেটাকে যিহোবার ওপর আমাদের নির্ভরতা সম্বন্ধীয় এক পরীক্ষা হিসেবে বিবেচনা করতে পারি। মনে রাখবেন, মাঝে মাঝে নির্দিষ্ট কিছু বিবৃতি আমাদেরকে যিহোবার গুণাবলির ওপর আমাদের বিশ্বাস প্রকাশ করার সুযোগ প্রদান করে। আসুন আমরা নম্রভাবে এই বিষয়টা স্বীকার করে নিই যে, তাঁর মতো করে আমরা সমস্তকিছু বুঝতে পারি না। (উপ. ১১:৫) এভাবে আমরা প্রেরিত পৌলের এই কথাগুলোর সঙ্গে একমত হওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত হব: “আহা! ঈশ্বরের ধনাঢ্যতা ও প্রজ্ঞা ও জ্ঞান কেমন অগাধ! তাঁহার বিচার সকল কেমন বোধাতীত! তাঁহার পথ সকল কেমন অননুসন্ধেয়! কেননা প্রভুর [ঈশ্বরের] মন কে জানিয়াছে? ‘তাঁহার মন্ত্রীই বা কে হইয়াছে?’ অথবা কে অগ্রে তাঁহাকে কিছু দান করিয়াছে যে, এজন্য তাহার প্রত্যুপকার করিতে হইবে? যেহেতুক সকলই তাঁহা হইতে ও তাঁহার দ্বারা ও তাঁহার নিমিত্ত। যুগে যুগে তাঁহারই গৌরব হউক। আমেন।”—রোমীয় ১১:৩৩-৩৬.

অক্টোবর ৩০–নভেম্বর ৫

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | ইয়োব ১১–১২

“প্রজ্ঞা পাওয়ার তিনটে উপায়”

প্রহরীদুর্গ ০৯ ৪/১৫ ৬ অনু. ১৭

ইয়োব যিহোবার নামকে উচ্চীকৃত করেছিলেন

১৭ কী ইয়োবকে তার নীতিনিষ্ঠা বজায় রাখতে সাহায্য করেছিল? স্পষ্টতই বিপর্যয়গুলো আঘাত হানার আগে, তিনি ইতিমধ্যেই যিহোবার সঙ্গে এক নিকট সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। যদিও আমাদের কাছে এমন কোনো প্রমাণ নেই যে, শয়তান যে যিহোবাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আহ্বান করেছিল, সেই সম্বন্ধে তিনি জানতেন, তবুও ইয়োব অনুগত থাকার জন্য দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ ছিলেন। তিনি বলেছিলেন: “প্রাণ থাকিতে আমি আপন সিদ্ধতা [“নীতিনিষ্ঠা,” NW] ত্যাগ করিব না।” (ইয়োব ২৭:৫) কীভাবে ইয়োব এই নিকট সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন? কোনো সন্দেহ নেই যে, তার দূরসর্ম্পকের আত্মীয় অব্রাহাম, ইস্‌হাক এবং যাকোবের সঙ্গে ঈশ্বরের আচরণ সম্বন্ধে তিনি যা শুনেছিলেন, সেটাকে তিনি মূল্যবান বলে গণ্য করেছিলেন। আর সৃষ্টি পর্যবেক্ষণ করার মাধ্যমে ইয়োব যিহোবার অনেক গুণ উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন।—পড়ুন, ইয়োব ১২:৭-৯, ১৩, ১৬.

প্রহরীদুর্গ ২১.০৬ ১০-১১ অনু. ১০-১২

আপনি একা নন, যিহোবা আপনার সঙ্গে রয়েছেন

১০ ভাই-বোনদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করুন। মণ্ডলীর এমন ভাই-বোনদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করুন, যাদের কাছ থেকে আপনি ভালো বিষয়গুলো শিখতে পারবেন, তা তাদের বয়স অথবা সংস্কৃতি আপনার চেয়ে আলাদা হোক না কেন। বাইবেল আমাদের জানায়, “প্রাচীনদের নিকটে” প্রজ্ঞা আছে। (ইয়োব ১২:১২) বয়স্ক ভাই-বোনেরাও অল্পবয়সিদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারে। দায়ূদ ও যোনাথনের মধ্যে বয়সের অনেক পার্থক্য ছিল। তা সত্ত্বেও, তারা একে অপরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। (১ শমূ. ১৮:১) তাদের জীবনে বিভিন্ন সমস্যা এসেছিল, কিন্তু তারা যিহোবার সেবা করে চলার জন্য একে অপরকে সাহায্য করেছিলেন। (১ শমূ. ২৩:১৬-১৮) বোন ইরিনা, যিনি সত্যে একা রয়েছেন, বলেন: “মণ্ডলীর অনেকেই আমাদের বাবা-মা ও ভাই-বোনের মতো হয়ে উঠতে পারে। তাদের মাধ্যমে যিহোবা আমাদের যেকোনো অভাব পূরণ করতে পারেন।”

১১ বন্ধুত্ব করা সহজ নয়, বিশেষভাবে আপনি যদি লাজুক স্বভাবের হয়ে থাকেন। রত্না নামে একজন বোনও লাজুক স্বভাবের ছিলেন। তিনি অনেক বিরোধিতা সত্ত্বেও সত্য শিখেছিলেন। বোন বলেন: “আমি বুঝতে পারি, আমার মণ্ডলীর ভাই-বোনদের কাছ থেকে সাহায্য এবং সমর্থনের প্রয়োজন রয়েছে।” এটা ঠিক যে, কোনো ভাই কিংবা বোনকে নিজের অনুভূতির বিষয় বলা সহজ নয়। কিন্তু, আপনি যদি তাকে তা বলেন, তা হলে তিনি আপনার ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়ে উঠতে পারেন। মণ্ডলীর ভাই-বোনেরা আপনাকে সাহায্য করতে এবং আপনাকে উৎসাহিত করতে চায়। কিন্তু, তারা তখনই তা করতে পারবে, যখন আপনি আপনার দুশ্চিন্তার বিষয়ে তাদের কাছে খুলে বলবেন।

১২ বন্ধুত্ব করার সবচেয়ে ভালো উপায় হল, ভাই-বোনদের সঙ্গে প্রচার করা। আগে উল্লেখিত ক্যারল বলেন: “আমি আলাদা আলাদা বোনের সঙ্গে প্রচার করেছি আর যিহোবার সেবায় অন্যান্য কাজও করেছি। এভাবে, অনেক বোনের সঙ্গে আমার এক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। যিহোবা এই বন্ধুদের মাধ্যমে আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন।” ভাই-বোনদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করা ভালো বিষয় কারণ আপনি যখন হতাশ হয়ে পড়েন আর একাকিত্ব বোধ করেন, তখন যিহোবা সেই বন্ধুদের ব্যবহার করে আপনাকে সাহায্য ও উৎসাহিত করেন।—হিতো. ১৭:১৭.

অন্তর্দৃষ্টি-২ ১১৯০ অনু. ২, ইংরেজি

প্রজ্ঞা

ঈশ্বরের প্রজ্ঞা। বাইবেলে লেখা রয়েছে, যিহোবাই হলেন ‘একমাত্র প্রজ্ঞাবান ঈশ্বর।’ (রোমীয় ১৬:২৭; প্রকা ৭:১২) এটা থেকে বোঝা যায়, তাঁর মতো প্রজ্ঞাবান আর কেউ নেই। জ্ঞানের মানে হল কোনো বিষয়ের তথ্য থাকা। যিহোবা আমাদের সৃষ্টিকর্তা আর “অনাদিকাল হইতে অনন্তকাল” তিনিই ঈশ্বর। তাই, সমস্ত বিষয়ে তাঁর জ্ঞান রয়েছে। (গীত ৯০:১, ২) তিনি নিখিলবিশ্ব এবং এর ইতিহাসের বিষয়ে সব কিছু জানেন। তিনিই প্রকৃতির নিয়ম ও চক্র তৈরি করেছেন, যেগুলো গবেষণা করার এবং নতুন নতুন জিনিস আবিষ্কার করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। (দ্বিতীয় ৩২:৪-৬) কারো কাছে যিহোবার মতো বোঝার ক্ষমতা নেই। (যিশা ৪০:১৩, ১৪) যদিও যিহোবা এমন বিষয়গুলো ঘটার অনুমতি দেন, যেগুলো তাঁর নৈতিক মান অনুযায়ী সঠিক নয় আর এমনকী কিছুসময়ের জন্য সেগুলো বৃদ্ধি পায়, তবে তিনি সবসময়ের জন্য এমনটা ঘটতে দেবেন না। অবশেষে সেটাই হবে, যেটা তিনি স্থির করেছেন। তাঁর উদ্দেশ্য অবশ্যই “সিদ্ধার্থ” হবে।—যিশা ৫৫:৮-১১; ৪৬:৯-১১.

অমূল্য রত্ন

প্রহরীদুর্গ ০৮ অক্টোবর-ডিসেম্বর ১৯ অনু. ৫

বয়ঃসন্ধিকালের ছেলেমেয়েদের সঙ্গে ভাববিনিময় করা

▪ ‘আমি কি তার কথারগুলোর পিছনে যে-অনুভূতি রয়েছে, তা বুঝতে পারি?’ ইয়োব ১২:১১ পদ বলে: “রসনা যেমন খাদ্যের আস্বাদ লয়, তেমনি কর্ণ কি কথার পরীক্ষা করে না?” অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে, এই সময়ে আপনাকে আপনার ছেলে বা মেয়ে কী বলে, সেটার ‘পরীক্ষা করিতে’ হবে। বয়ঃসন্ধিকালের ছেলেমেয়েরা প্রায়ই এমনভাবে কথা বলে যেন তাদের কথাই সবসময় সঠিক। উদাহরণস্বরূপ, আপনার ছেলে বা মেয়ে হয়তো বলতে পারে, “তুমি সবসময় আমার সঙ্গে ছোটো বাচ্চাদের মতো আচরণ করো!” অথবা “তুমি কখনোই আমার কথা শোনো না!” “সবসময়” এবং “কখনোই” শব্দের মতো খুটিনাঁটি ভুলগুলো ধরার পরিবর্তে, বোঝার চেষ্টা করুন যে, আপনার সন্তান হয়তো আক্ষরিক কিছু বোঝাচ্ছে না। উদাহরণস্বরূপ, “তুমি সবসময় আমার সঙ্গে ছোটো বাচ্চাদের মতো আচরণ করো” কথাগুলোর অর্থ হতে পারে, “আমার মনে হয় যে, তুমি আমাকে বিশ্বাস করো না” আর “তুমি কখনোই আমার কথা শোনো না” হয়তো বোঝাতে পারে যে, “আমার আসলে কেমন লাগে, তা আমি তোমাকে বলতে চাই।” কথাগুলোর পিছনে যে-অনুভূতি রয়েছে, তা বোঝার চেষ্টা করুন।

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার