ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • g ১০/১৫ পৃষ্ঠা ১০-১১
  • সহনশীলতা

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • সহনশীলতা
  • ২০১৫ সচেতন থাক!
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • আরও সহনশীল হয়ে ওঠার চাবিকাঠি কী?
  • কেন সহনশীলতার এক সীমা থাকা উচিত?
  • ঈশ্বর কি চিরকাল দুষ্টতা সহ্য করবেন?
  • ঈশ্বর কতটা সহনশীল?
    ২০০২ সচেতন থাক!
  • আপনি কি সত্যিই সহনশীল?
    ২০০১ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • দুষ্টেরা আর কতদিন থাকবে?
    ২০০০ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • যিহোবার উপর আস্থা রাখুন এবং বেঁচে থাকুন!
    প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে (অধ্যয়ন)—২০১৮
আরও দেখুন
২০১৫ সচেতন থাক!
g ১০/১৫ পৃষ্ঠা ১০-১১

বাইবেলের দৃষ্টিভঙ্গি | সহনশীলতা

সহনশীলতা

মানিয়ে নেওয়া, ক্ষমা করা এবং সহনশীলতা দেখানো শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করতে সাহায্য করে। কিন্তু, সহনশীলতার কি একটা সীমা থাকা উচিত?

আরও সহনশীল হয়ে ওঠার চাবিকাঠি কী?

বর্তমানে বাস্তব চিত্র

পৃথিবীজুড়ে বর্ণ এবং সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে ভেদাভেদ, জাতীয়তাবাদ, উপজাতিগত এবং ধর্মীয় গোঁড়ামির জন্য মানুষের মধ্যে অসহনশীলতা ছড়িয়ে পড়েছে।

বাইবেল যা বলে

যিশু খ্রিস্ট যখন পরিচর্যা করতেন, তখন তাঁর চারিদিকে লোকেরা অসহনশীল ছিল। বিশেষ করে, যিহুদি এবং শমরীয় লোকেরা একে অন্যকে ঘৃণা করত। (যোহন ৪:৯) পুরুষদের চেয়ে স্ত্রীলোকদের নীচু চোখে দেখা হতো। যিহুদি ধর্মীয় নেতারা সাধারণ লোকদের অবজ্ঞার চোখে দেখত। (যোহন ৭:৪৯) কিন্তু, যিশু খ্রিস্ট ছিলেন একেবারে আলাদা। যিশুর বিরোধীরা বলত, “এ ব্যক্তি পাপীদিগকে গ্রহণ করে, ও তাহাদের সহিত আহার ব্যবহার করে।” (লূক ১৫:২) যিশু ছিলেন দয়ালু, ধৈর্যশীল এবং সহনশীল কারণ তিনি লোকেদের বিচার করতে নয় বরং তাদের আধ্যাত্মিকভাবে সুস্থ করতে এসেছিলেন। তিনি প্রধানত প্রেমের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে কাজ করতেন।—যোহন ৩:১৭; ১৩:৩৪.

পুরুষ, নারী এবং ছাটা ছলে-মেয়েরা যিশুর কথা শুনছ

যিশু যিনি সহনশীলতা দেখানোর ক্ষেত্রে আদর্শ ছিলেন, তিনি লোকেদের বিচার করতে নয় বরং তাদের আধ্যাত্মিকভাবে সুস্থ করতে এসেছিলেন

লোকেদের অসিদ্ধতা এবং ভিন্ন চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য থাকা সত্ত্বেও প্রেম আমাদেরকে আরও সহনশীল হতে, অন্যদের সাদরে গ্রহণ করে নিতে সাহায্য করে। কলসীয় ৩:১৩ পদ বলে: “পরস্পর সহনশীল হও, এবং যদি কাহাকেও দোষ দিবার কারণ থাকে, তবে পরস্পর ক্ষমা কর।”

“সর্ব্বাপেক্ষা পরস্পর একাগ্রভাবে প্রেম কর; কেননা ‘প্রেম পাপরাশি আচ্ছাদন করে।’” —১ পিতর ৪:৮.

কেন সহনশীলতার এক সীমা থাকা উচিত?

বাস্তব চিত্র

বেশিরভাগ সমাজ আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে চায়। আর তাই, তারা আচার-আচরণের ক্ষেত্রে যুক্তিসংগত সীমা আরোপ করে থাকে।

বাইবেল যা বলে

“[প্রেম] অশিষ্টাচরণ” বা অনুপযুক্ত আচরণ “করে না।” (১ করিন্থীয় ১৩:৫) যদিও যিশু সহনশীলতা দেখানোর ক্ষেত্রে আদর্শ ছিলেন কিন্তু তিনি অশালীন আচরণ, কপটতা এবং অন্যান্য খারাপ কাজকে প্রশ্রয় দেননি। এর পরিবর্তে, তিনি জোরালোভাবে সেগুলোর নিন্দা করেছিলেন। (মথি ২৩:১৩) তিনি বলেছিলেন, “যে কেহ কদাচরণ করে, সে [সত্যের] জ্যোতি ঘৃণা করে।”—যোহন ৩:২০.

খ্রিস্টান প্রেরিত পৌল লিখেছিলেন: “যাহা মন্দ তাহা নিতান্তই ঘৃণা কর; যাহা ভাল তাহাতে আসক্ত হও।” (রোমীয় ১২:৯) তিনি তার কথা অনুযায়ী জীবনযাপন করেছিলেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, কিছু যিহুদি খ্রিস্টান যখন ন-যিহুদি ভাই-বোনদের থেকে নিজেদের আলাদা করে নিয়েছিল, তখন পৌল, যিনি নিজে যিহুদি ছিলেন, তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে অথচ সদয়ভাবে তাদের সংশোধন করেছিলেন। (গালাতীয় ২:১১-১৪) তিনি জানতেন, ঈশ্বর যিনি “পক্ষপাতিত্ব করেন না,” তিনি তাঁর লোকেদের মধ্যে এই ধরনের জাতিগত ভেদাভেদ সহ্য করবেন না।—প্রেরিত ১০:৩৪. ইজি-টু-রিড ভারশন।

খ্রিস্টান হিসেবে যিহোবার সাক্ষিরা নৈতিক নির্দেশনার জন্য বাইবেলের সাহায্য নেয়। (যিশাইয় ৩৩:২২) আর তাই, তাদের সংগঠনে তারা কোনো ধরনের দুষ্টতা সহ্য করে না। শুদ্ধ খ্রিস্টীয় মণ্ডলী যেন কখনোই সেইসমস্ত লোকেদের দ্বারা কলুষিত না হয়, যারা ঈশ্বরের মান অনুসরণ করে না। এই ক্ষেত্রে, সাক্ষিরা বাইবেলের স্পষ্ট নির্দেশনার বাধ্য হয়: “তোমরা আপনাদের মধ্য হইতে সেই দুষ্টকে বাহির করিয়া দেও।”—১ করিন্থীয় ৫:১১-১৩.

“হে সদাপ্রভু-প্রেমিকগণ, দুষ্টতাকে ঘৃণা কর।”—গীতসংহিতা ৯৭:১০.

ঈশ্বর কি চিরকাল দুষ্টতা সহ্য করবেন?

অনেকে যা বিশ্বাস করে

মানুষের স্বভাবের কারণে আমাদের মধ্যে সবসময় দুষ্টতা থাকবে।

বাইবেল যা বলে

ভাববাদী হবক্‌কূক যিহোবা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনায় বলেছিলেন: “কেন তুমি অন্যায় সহ্য করছ? আমার সামনে ধ্বংস ও অত্যাচার হচ্ছে আর অনবরত ঝগড়া ও মারামারি চলছে।” (হবক্‌কূক ১:৩, বাংলা কমন ল্যাঙ্গুয়েজ ভারশন) তাঁর উদ্‌বিগ্ন ভাববাদীকে কোনো দ্বিধার মধ্যে না রেখে, ঈশ্বর তাকে এই আশ্বাস দিয়েছিলেন, তিনি দুষ্টদের কাছ থেকে নিকাশ নেবেন। সেই প্রতিজ্ঞা সম্বন্ধে ঈশ্বর বলেছিলেন: “তাহা অবশ্য উপস্থিত হইবে, যথাকালে বিলম্ব করিবে না।”—হবক্‌কূক ২:৩.

সেই দিন না আসা পর্যন্ত, দুষ্টদের সুযোগ রয়েছে, যাতে তারা মন্দপথ থেকে ফিরে আসতে পারে। “দুষ্ট লোকের মরণে কি আমার কিছু সন্তোষ আছে? ইহা প্রভু সদাপ্রভু কহেন; বরং সে আপন কুপথ হইতে ফিরিয়া বাঁচে, ইহাতে কি আমার সন্তোষ হয় না?” (যিহিষ্কেল ১৮:২৩) যে-ব্যক্তিরা যিহোবার অনুসন্ধান করার জন্য তাদের মন্দপথ ত্যাগ করে, তারা আস্থার সঙ্গে ভবিষ্যতের দিকে তাকাতে পারে। হিতোপদেশ ১:৩৩ পদ বলে: “যে জন আমার কথা শুনে, সে নির্ভয়ে বাস করিবে, শান্ত থাকিবে, অমঙ্গলের আশঙ্কা করিবে না।” ◼ (g15-E 08)

“আর ক্ষণকাল, পরে দুষ্ট লোক আর নাই, . . . মৃদুশীলেরা দেশের অধিকারী হইবে, এবং শান্তির বাহুল্যে আমোদ করিবে।”—গীতসংহিতা ৩৭:১০, ১১.

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার