বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই
প্রকৃত বন্ধু সবসময় ভালোবাসা দেখায় আর সে বিপদের সময়ে নিজের ভাই বলে প্রমাণিত হয়।—হিতো. ১৭:১৭.
যিশুর মা, মরিয়মের সাহসের প্রয়োজন ছিল। এখনও পর্যন্ত তার বিয়ে হয়নি। কিন্তু, তিনি গর্ভবতী হতে চলেছেন। সন্তান লালনপালন করার তার কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না। কিন্তু, তাকে এমন এক সন্তানকে বড়ো করে তুলতে হত, যিনি পরবর্তী সময়ে মশীহ হবেন। মরিয়ম এখনও পর্যন্ত কোনো পুরুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেননি। কিন্তু, তারপরও তিনি মা হতে চলেছেন। তিনি যোষেফকে কীভাবে এই সমস্ত কিছু বোঝাবেন, যিনি তার স্বামী হবেন? (লূক ১:২৬-৩৩) মরিয়ম কীভাবে সাহস পেয়েছিলেন? তিনি অন্যদের কাছ থেকে সাহায্য চেয়েছিলেন। যেমন, তিনি গাব্রিয়েল স্বর্গদূতকে বলেছিলেন, যেন তিনি সেই বিষয়ে তাকে আরও তথ্য দেন। (লূক ১:৩৪) কিছুসময় পর, মরিয়ম এক দীর্ঘ যাত্রা করে যিহূদার “পাহাড়ি অঞ্চলে” তার আত্মীয় ইলীশাবেতের সঙ্গে দেখা করতে যান। ইলীশাবেৎ মরিয়মের অনেক প্রশংসা করেন এবং যিহোবার সাহায্যে তিনি মরিয়মের সন্তানের বিষয়ে এক ভবিষ্যদ্বাণী করেন। (লূক ১:৩৯-৪৫) তখন মরিয়ম বলেছিলেন যে, যিহোবা “তাঁর হস্ত দিয়ে পরাক্রমী কাজ করেছেন।” (লূক ১:৪৬-৫১) গাব্রিয়েল স্বর্গদূত ও ইলীশাবেতের মাধ্যমে যিহোবা মরিয়মকে সাহস জুগিয়েছিলেন। প্রহরীদুর্গ ২৩.১০ ১৪-১৫ অনু. ১০-১২
শুক্রবার, ১৮ জুলাই
[তিনি] আমাদের রাজা ও যাজক করেছেন, যেন আমরা তাঁর ঈশ্বর ও পিতার সেবা করি।—প্রকা. ১:৬.
খ্রিস্টের কিছু শিষ্যকে পবিত্র শক্তির মাধ্যমে অভিষিক্ত করা হয়েছে এবং যিহোবার সঙ্গে তাদের এক বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। এই ১,৪৪,০০০ জন ব্যক্তি স্বর্গে যাজক হিসেবে যিশুর সঙ্গে সেবা করবে। (প্রকা. ১৪:১) পৃথিবীতে থাকাকালীন ঈশ্বর তাদের পবিত্র শক্তির মাধ্যমে অভিষিক্ত করে নিজের পুত্র হিসেবে দত্তক নেন। আবাসের পবিত্র স্থান ঈশ্বরের সঙ্গে তাদের এই বিশেষ সম্পর্ককে চিত্রিত করে। (রোমীয় ৮:১৫-১৭) আবাসের মহাপবিত্র স্থান স্বর্গকে চিত্রিত করে, যেখানে যিহোবা থাকেন। পবিত্র ও মহাপবিত্র স্থানের মাঝে ‘যে-পর্দা’ ছিল, সেটা যিশুর মানব শরীরকে চিত্রিত করে। এই শরীর নিয়ে তিনি স্বর্গে যেতে পারতেন না আর আধ্যাত্মিক মন্দিরে মহান মহাযাজক হিসেবে সেবা করতে পারতেন না। যিশু যখন নিজের শরীর মানুষের জন্য বলি দিয়েছিলেন, তখন সমস্ত অভিষিক্ত ব্যক্তির জন্য স্বর্গে যাওয়ার রাস্তা খুলে গিয়েছিল। তাদেরও স্বর্গে পুরস্কার পাওয়ার জন্য তাদের মানব শরীর ত্যাগ করতে হবে।—ইব্রীয় ১০:১৯, ২০; ১ করি. ১৫:৫০. প্রহরীদুর্গ ২৩.১০ ২৮ অনু. ১৩
শনিবার, ১৯ জুলাই
আমি যদি গিদিয়োন, . . . এবং অন্যান্য ভাববাদীর কথা বলতে থাকি, তা হলে সময়ে কুলোবে না।—ইব্রীয় ১১:৩২.
ইফ্রয়িমের পুরুষেরা যখন গিদিয়োনের সঙ্গে ঝগড়া করতে এবং তার ভুলগুলো ধরতে শুরু করেছিল, তখন তিনি তাদের উপর রেগে যাননি বরং শান্ত ছিলেন। (বিচার. ৮:১-৩) তিনি মন দিয়ে তাদের কথা শুনেছিলেন এবং সদয়ভাবে উত্তর দিয়েছিলেন। এর ফলে, তাদের রাগ ঠাণ্ডা হয়ে গিয়েছিল। গিদিয়োনের আচরণ থেকে বোঝা যায়, তিনি কতটা নম্র ছিলেন। প্রাচীনেরাও গিদিয়োনের মতো হতে পারেন। কেউ যখন তাদের দুর্বলতার বিষয়ে বলে, তখন তারা মন দিয়ে তা শুনতে পারেন এবং সদয়ভাবে উত্তর দিতে পারেন। (যাকোব ৩:১৩) এর ফলে, মণ্ডলীতে শান্তি বজায় থাকবে। গিদিয়োন যখন মিদিয়নীয়দের পরাজিত করেছিলেন, তখন ইজরায়েলীয়েরা তার প্রশংসা করেছিল। কিন্তু, তিনি সমস্ত কৃতিত্ব যিহোবাকে দিয়েছিলেন। (বিচার. ৮:২২, ২৩) আজ প্রাচীনেরা কীভাবে গিদিয়োনের মতো হতে পারেন? তারা যা-কিছু করেন, সেগুলোর সমস্ত কৃতিত্ব যিহোবাকে দিতে পারেন। (১ করি. ৪:৬, ৭) যেমন, একজন প্রাচীন যদি খুব ভালোভাবে শিক্ষা দেন এবং তাকে সেটার জন্য প্রশংসা করা হয়, তা হলে তিনি বলতে পারেন, তিনি যা-কিছু শিখিয়েছেন, সেগুলো ঈশ্বরের বাক্য থেকে ছিল কিংবা আমরা সবাই যিহোবার সংগঠনের কাছ থেকেই শিখি। সময়ে সময়ে প্রাচীনদের চিন্তা করা উচিত, তারা যেভাবে শেখান, তাতে লোকদের সম্পূর্ণ মনোযোগ তাদের উপর চলে যায় না তো? প্রহরীদুর্গ ২৩.০৬ ৪ অনু. ৭-৮