বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর
তোমরা প্রান্তরে সদাপ্রভুর পথ প্রস্তুত কর, মরুভূমিতে আমাদের ঈশ্বরের জন্য রাজপথ সরল কর।—যিশা. ৪০:৩.
ব্যাবিলন থেকে ইজরায়েল পর্যন্ত যাত্রা করা অনেক কঠিন ছিল আর এই যাত্রার জন্য তাদের প্রায় চার মাস সময় লাগতে পারত। কিন্তু, যিহোবা যিহুদিদের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, তিনি পথে আসা যেকোনো বাধা দূর করে দেবেন। যে-যিহুদিরা যিহোবার প্রতি বিশ্বস্ত ছিল, তারা জানত, এই যাত্রা করার জন্য তাদের ত্যাগস্বীকার করতে হবে। কিন্তু, তারা এটাও জানত, এই ত্যাগস্বীকার সেই আশীর্বাদের তুলনায় কিছুই নয়, যেটা তারা ইজরায়েলে ফিরে গিয়ে পাবে। সবচেয়ে বড়ো আশীর্বাদ এটা হবে যে, তারা এখন খুব ভালোভাবে যিহোবার উপাসনা করতে পারবে। ব্যাবিলন নগরে যিহোবার কোনো মন্দির ছিল না আর সেইসঙ্গে কোনো বেদিও ছিল না, যেটার উপর মোশির ব্যবস্থা অনুযায়ী বলি উৎসর্গ করতে হত। আর সেই বলিগুলো উৎসর্গ করার জন্য সেখানে যাজকদেরও কোনো ব্যবস্থা ছিল না। এ ছাড়া, তারা এমন লোকদের মাঝে ছিল, যারা মিথ্যা দেব-দেবীদের উপাসনা করত এবং যিহোবার মানগুলোকে একটুও পরোয়া করত না। সেই লোকদের সংখ্যা যিহুদিদের চেয়ে অনেক বেশি ছিল। এই সমস্ত কারণে হাজার হাজার বিশ্বস্ত যিহুদি তাদের দেশে ফিরে আসার জন্য উৎসুক হয়ে ছিল, যেখানে তারা আবারও বিশুদ্ধ উপাসনা শুরু করতে পারত। প্রহরীদুর্গ ২৩.০৫ ১৪-১৫ অনু. ৩-৪
শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর
আলোর সন্তান হিসেবে চলো।—ইফি. ৫:৮.
‘আলোর সন্তান হিসেবে চলার’ জন্য আমাদের পবিত্র শক্তির সাহায্য নিতে হবে। কেন? কারণ এই জগৎ অনৈতিকতায় ভরে গিয়েছে আর এর মধ্যে নিজেদের শুদ্ধ রাখা সহজ নয়। (১ থিষল. ৪:৩-৫, ৭, ৮) কিন্তু, পবিত্র শক্তির সাহায্যে আমরা জগতের সেইসমস্ত চিন্তাভাবনা ও মনোভাবকে নিজেদের উপর প্রভাব ফেলতে দেব না, যেগুলো যিহোবার চিন্তাভাবনার সঙ্গে মেলে না। এ ছাড়া, পবিত্র শক্তির সাহায্যে আমরা ‘ধার্মিক হতে এবং সত্যের সঙ্গে মিল রেখে জীবনযাপন করতে’ পারব। (ইফি. ৫:৯) পবিত্র শক্তি পাওয়ার একটা উপায় হল, এটার জন্য যিহোবার কাছে প্রার্থনা করা। যিশু বলেছিলেন, ‘[যিহোবার] কাছে যারা চায়, তিনি তাদের পবিত্র শক্তি দেবেন।’ (লূক ১১:১৩) এ ছাড়া, আমরা যখন সভায় প্রত্যেকের সঙ্গে যিহোবার উপাসনা করি, তখন আমরা পবিত্র শক্তি পাই। (ইফি. ৫:১৯, ২০) পবিত্র শক্তি যখন আমাদের মধ্যে কাজ করে, তখন আমরা এমনভাবে জীবনযাপন করি, যেটা দেখে যিহোবা খুশি হন। প্রহরীদুর্গ ২৪.০৩ ২৩-২৪ অনু. ১৩-১৫
শনিবার, ১৮ অক্টোবর
চাইতে থাকো, তা হলে তোমাদের দেওয়া হবে; অন্বেষণ করতে থাকো, তা হলে তোমরা খুঁজে পাবে; দরজায় আঘাত করতে থাকো, তা হলে তোমাদের জন্য তা খুলে দেওয়া হবে।—লূক ১১:৯.
আপনার কি আরও ধৈর্যের প্রয়োজন? যদি হয়, তা হলে প্রার্থনা করুন। ধৈর্য পবিত্র শক্তির ফলের একটা দিক। (গালা. ৫:২২, ২৩) তাই, যিহোবার কাছ থেকে পবিত্র শক্তি চান এবং তাঁর কাছে অনুরোধ করুন যেন আপনি ধৈর্য ধরতে পারেন। যদি আপনার সামনে কখনো এমন পরিস্থিতি আসে, যেখানে ধৈর্য ধরা আপনার কঠিন বলে মনে হয়, তা হলে পবিত্র শক্তি ‘চাইতে থাকুন।’ (লূক ১১:১৩) এ ছাড়া, আমরা বিনতি করতে পারি, যেন আমরা পরিস্থিতিকে যিহোবার মতো করে দেখতে পারি। এরপর, আমাদের প্রার্থনা করা উচিত। প্রার্থনা করার পর আমাদের প্রতিদিন ধৈর্য ধরার জন্য কঠোর প্রচেষ্টা করা উচিত। আমরা ধৈর্য ধরার জন্য যত বেশি প্রার্থনা করব এবং তা করার জন্য কঠোর প্রচেষ্টা করব, তত বেশি আমরা ধৈর্য ধরতে পারব। আর এটা আমাদের এক অভ্যাসে পরিণত হয়ে যাবে। এটা বাইবেলে দেওয়া উদাহরণগুলো নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করার জন্য সাহায্য করে। বাইবেলে এমন অনেক ব্যক্তির বিষয়ে বলা হয়েছে, যারা ধৈর্য ধরেছিল। সেই ব্যক্তিদের বিবরণ পড়ে এবং সেগুলো নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করে আমরা জানতে পারি যে, কীভাবে আমরা আলাদা আলাদা পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধরতে পারি। প্রহরীদুর্গ ২৩.০৮ ২২ অনু. ১০-১১