ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • g ১/১৩ পৃষ্ঠা ৮-১১
  • আত্মপ্রিয় এক জগতে সুবিবেচক সন্তান গড়ে তোলা

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • আত্মপ্রিয় এক জগতে সুবিবেচক সন্তান গড়ে তোলা
  • ২০১৩ সচেতন থাক!
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • বাবামারা—আপনাদের সন্তানদের প্রেমের সঙ্গে প্রশিক্ষণ দিন
    ২০০৭ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • আধ্যাত্মিক দিক দিয়ে শক্তিশালী পরিবার গড়ে তোলা
    ২০০১ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • বাবা-মায়েরা, আপনাদের সন্তানদের যিহোবাকে ভালোবাসতে শেখান
    প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য সম্বন্ধে ঘোষণা করে (অধ্যয়ন)—২০২২
  • আপনার সন্তানকে শিশুকাল থেকেই প্রশিক্ষণ দিন
    পারিবারিক সুখের রহস্য
আরও দেখুন
২০১৩ সচেতন থাক!
g ১/১৩ পৃষ্ঠা ৮-১১

প্রচ্ছদ বিষয়

আত্মপ্রিয় এক জগতে সুবিবেচক সন্তান গড়ে তোলা

[৮ পৃষ্ঠার চিত্র]

প্রত্যেক দিন অপরের প্রতি দয়া দেখানোর বিভিন্ন সুযোগ লোকেদের থাকে। তবুও মনে হয় যে, অনেকে শুধু নিজেদের বিষয়েই চিন্তা করে। আপনি প্রায় সব জায়গায় এটার প্রমাণ দেখতে পাবেন—নির্লজ্জভাবে অন্যদেরকে ঠকানো থেকে শুরু করে দুঃসাহসিকভাবে গাড়ি চালানো, অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করা থেকে প্রচণ্ড রাগে ফেটে পড়া।

এ ছাড়া, অনেক বাড়িতেও আত্মপ্রিয় মনোভাব দেখা যায়। উদাহরণস্বরূপ, কোনো কোনো বিবাহসাথি শুধু এই ভেবেই বিবাহবিচ্ছেদ করে থাকে যে, তারা “আরও ভালো কাউকে পাওয়ার যোগ্য।” এমনকী কোনো কোনো বাবা-মাও নিজের অজান্তেই আত্মপ্রিয় মনোভাবের বীজ বপন করতে পারে। কীভাবে? তারা সন্তানদের শাসন করতে দ্বিধা করে অথচ তাদের সমস্ত বায়না পূরণ করে।

এর বিপরীতে, এমন অনেক বাবা-মা আছে, যারা তাদের সন্তানদের অন্যদেরকে বেশি প্রাধান্য দিতে শেখায় আর এতে অনেক ভালো ফল হয়। যে-সন্তানরা সুবিবেচনা দেখায়, তারা সাধারণত সহজেই বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে পারে এবং স্থায়ী সম্পর্ক উপভোগ করতে পারে। এ ছাড়াও, তারা বেশি সন্তুষ্ট থাকে। কেন? কারণ বাইবেল বলে, “পাওয়ার চেয়ে দেওয়ারই মধ্যে বেশি সুখ।”—প্রেরিত (শিষ্যচরিত) ২০:৩৫, জুবিলী বাইবেল।

আপনি যদি একজন বাবা-মা হয়ে থাকেন, তাহলে কীভাবে আপনার সন্তানকে সদয় হওয়ার উপকারগুলো লাভ করতে এবং তাদের চারপাশে যে-আত্মকেন্দ্রিক মনোভাব রয়েছে, সেটার দ্বারা কলুষিত হওয়া এড়িয়ে চলতে সাহায্য করতে পারেন? তিনটি ফাঁদ সম্বন্ধে বিবেচনা করুন, যেগুলো আপনার সন্তানের মধ্যে আত্মপ্রিয় মনোভাব জাগিয়ে তোলে এবং দেখুন যে, আপনি কীভাবে সেই ফাঁদগুলো এড়াতে পারেন।

১ মাত্রাধিক প্রশংসা করা

[৯ পৃষ্ঠার চিত্র]

সমস্যা। গবেষকরা চিন্তায় ফেলার মতো এক প্রবণতা লক্ষ করেছে: অনেক যুবক-যুবতী অধিকারবোধের লক্ষ্য নিয়ে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করে—যেটা হল এমন এক মনোভাব, যেখানে তারা খুব সামান্য কিছু কাজ করে অথবা কোনোকিছু না করেই সাফল্যের প্রত্যাশা করে থাকে। কেউ কেউ ধরে নেয় যে, তারা তাদের কাজে দক্ষ না হলেও তাদের পদোন্নতি হবে। অন্যেরা এই ব্যাপারে দৃঢ়নিশ্চিত যে, তারা হল বিশেষ কেউ আর তারা সেইরকম সম্মান পাওয়ার যোগ্য—কিন্তু পরে তারা যখন দেখে যে, জগৎ তাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে মেনে নেয় না, তখন তারা মনঃক্ষুণ্ণ হয়।

কারণটা কী। কখনো কখনো একজন ব্যক্তি যেভাবে বড়ো হয়ে ওঠে, সেটার সঙ্গে তার নিজেকে বড়ো মনে করার মনোভাব জড়িত। উদাহরণস্বরূপ, কোনো কোনো বাবা-মা সাম্প্রতিক কালে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা আত্মসম্মানবোধের প্রবণতার দ্বারা বেশিই প্রভাবিত হয়েছে। আপাতদৃষ্টিতে এই ধারণাটি সঠিক বলে মনে হয়, যেটা হল, বাচ্চার জন্য অল্প প্রশংসা যদি ভালো হয়, তাহলে বেশি প্রশংসা আরও বেশি ভালো। অপরদিকে, মনে করা হতো যে, কোনো ধরনের অসন্তুষ্টি প্রকাশ শুধু সন্তানের মন ভেঙে দেবে। যে-জগৎ আত্মসম্মানবোধকে প্রশ্রয় দেয়, সেখানে বাবা-মারা যদি এই অসন্তুষ্টি প্রকাশের মনোভাব অনুসরণ করে, তাহলে তারা তাদের দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে করা হয়। বাবা-মাদের বলা হয়েছে যে, সন্তানেরা যেন কখনো নিজেদের সম্বন্ধে খারাপ বোধ না করে।

তাই, অনেক বাবা-মা তাদের সন্তানদের প্রশংসায় ভরিয়ে দেয়, এমনকী সেই সময়ও যখন তারা প্রশংসা পাওয়ার মতো কিছু করে না। তাদের প্রতিটা সাফল্যের জন্য বাহবা দেওয়া হয়, তা সেটা যত সামান্যই হোক না কেন; তাদের প্রত্যেকটা ভুল উপেক্ষা করা হয়, তা সেটা যত গুরুতরই হোক না কেন। সেই বাবা-মারা মনে করে যে, আত্মসম্মানবোধ গড়ে তোলার রহস্য হচ্ছে, ভুলকে উপেক্ষা করা আর বাকি সমস্তকিছুর জন্য সন্তানদের প্রশংসা করা। যে-কাজ করলে সন্তানদের সত্যিই ভালো লাগবে তা শেখানোর পরিবর্তে, সন্তানদের নিজেদের যা ভালো বলে মনে হয়, তা করতে দেওয়ার বিষয়টাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

বাইবেল যা বলে। বাইবেল স্বীকার করে যে, প্রশংসা করা সঠিক যখন তা করা উপযুক্ত। (মথি ২৫:১৯-২১) কিন্তু, তাদের ভালো লাগবে শুধু এই কারণে সন্তানদের প্রশংসা করা হলে, তারা নিজেদের সম্বন্ধে বিকৃত ধারণা গড়ে তুলতে পারে। তাই, বাইবেল উপযুক্তভাবেই বলে: “যদি কেহ মনে করে, আমি কিছু, কিন্তু বাস্তবিক সে কিছুই নয়, তবে সে আপনি আপনাকে ভুলায়।” (গালাতীয় ৬:৩) উত্তম কারণেই বাইবেল বাবা-মাদের বলে: “তোমার সন্তানদের সংশোধন করতে ত্রুটি কোরো না। দৃঢ় হওয়ার দ্বারা তুমি তোমার সন্তানদের মেরে ফেলবে না।”a—হিতোপদেশ ২৩:১৩, কনটেমপোরারি ইংলিশ ভারসন।

আপনি যা করতে পারেন। প্রয়োজন হলে সংশোধন করার এবং সত্যিই যোগ্য হলে প্রশংসা করার লক্ষ্য রাখুন। সন্তানদের ভালো লাগবে শুধু এই জন্যই প্রশংসা করবেন না। খুব সম্ভবত, এটা কাজে দেবে না। জেনারেশন মি বইটি বলে, “তুমি অস্তিত্বে আছ বলে কেউ তোমাকে মহান বললেই যে তোমার প্রকৃত আত্মবিশ্বাস গড়ে উঠবে তা নয়, কিন্তু এটা তোমার দক্ষতাকে বাড়ানোর এবং বিভিন্ন বিষয় শেখার দ্বারা আসবে।”

“তোমার নিজেকে যতটা মনে করা উচিত তার চেয়ে বড়ো মনে কোরো না। বরং বিনয়ী হও।”—রোমীয় ১২:৩, গুড নিউজ ট্রান্সলেশন

২ অতিরিক্ত আগলে রাখা

[১০ পৃষ্ঠার চিত্র]

সমস্যা। অনেক যুবক-যুবতী প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত না হয়েই কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করে। অনেকে সামান্য সমালোচনাতেই ভেঙে পড়ে। আবার অনেককে সহজেই খুশি করা যায় না এবং তারা শুধু সেই সব কাজই করতে চায়, যা তাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষাগুলো পূরণ করবে। উদাহরণস্বরূপ, ড. যোষেফ আ্যলেন তার এসকেপিং দি এন্ডলেস আ্যডোলসেন্স নামক বইতে এমন একজন যুবক ব্যক্তি সম্বন্ধে বলেন, যিনি চাকরির ইন্টারভিউ দেওয়ার সময় তাকে বলেছিলেন: “আমার মনে হয় যে, কাজের কিছু কিছু অংশ একটু একঘেয়ে লাগতে পারে আর আমি একঘেয়েমি পছন্দ করি না।” ড. আ্যলেন লেখেন: “সে হয়তো এটা বোঝে না যে, সব কাজেই কিছু না কিছু একঘেয়ে বিষয় থাকে। এটা না জেনেই, কীভাবে একজন তেইশ বছরে পৌঁছাতে পারে?”

কারণটা কী। সাম্প্রতিক দশকগুলোতে, অনেক বাবা-মা সন্তানদেরকে যেকোনো ধরনের প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে আগলে রাখার বাধ্যতা বোধ করে। আপনার মেয়ে যদি কোনো বিষয়ে ফেল করে, তখন আপনি কী করেন? আপনি হয়তো গিয়ে শিক্ষকের কাছে নম্বর বাড়ানোর দাবি করেন। আপনার ছেলে যদি দুষ্টুমি করতে গিয়ে কিছু ভেঙে ফেলে, তাহলে? আপনি হয়তো তার হয়ে ক্ষতিপূরণ দিয়ে দেন। প্রেমে ব্যর্থ হলে? সমস্ত দোষ অপর ব্যক্তির ওপর চাপিয়ে দেন।

আপনার সন্তানদেরকে সুরক্ষা দিতে চাওয়া স্বাভাবিক হলেও, তাদের অতিরিক্ত আগলে রাখা ভুল বার্তা পৌঁছে দিতে পারে—তা হল, তাদের কাজের জন্য তাদের দায়িত্ব নেওয়ার দরকার নেই। কিশোর বয়সিদের জন্য ইতিবাচক শাসন (ইংরেজি) বইটি বলে, “আঘাত ও হতাশা কাটিয়ে উঠে তার থেকে কিছু শেখার পরিবর্তে, [এই ধরনের] ছেলে-মেয়েরা খুবই আত্মকেন্দ্রিক হিসেবে বড়ো হয়ে ওঠে, যারা মনে করে যে, এই জগৎ ও তাদের বাবা-মায়েরা তাদের কাছে ঋণী।”

বাইবেল যা বলে। প্রতিকূল পরিস্থিতি জীবনেরই একটা অংশ। এই বিষয়ে বাইবেল বলে: “প্রত্যেকের কাছে আশাতীত প্রতিকুলতা ঘটে।” (উপদেশক ৯:১১, ইজি-টু-রিড ভারসন) এর অন্তর্ভুক্ত হল ভালো লোকেরাও। উদাহরণস্বরূপ, খ্রিস্টান প্রেরিত পৌল তার পরিচর্যাকালে সমস্ত ধরনের কষ্ট ভোগ করেছিলেন। কিন্তু, প্রতিকূল পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়া তাকে উপকৃত করেছিল! তিনি লিখেছিলেন: “আমি যে অবস্থায় থাকি, তাহাতে সন্তুষ্ট থাকিতে শিখিয়াছি। . . . প্রত্যেক বিষয়ে ও সর্ব্ববিষয়ে আমি তৃপ্ত কি ক্ষুধিত হইতে, এবং উপচয় কি অনাটন ভোগ করিতে দীক্ষিত হইয়াছি।”—ফিলিপীয় ৪:১১, ১২.

আপনি যা করতে পারেন। আপনার সন্তান কতটা পরিপক্ব তা মাথায় রেখে, বাইবেলের এই নীতি প্রয়োগ করার চেষ্টা করুন: “প্রত্যেক জন নিজ নিজ ভার বহন করিবে।” (গালাতীয় ৬:৫) আপনার সন্তান যদি দুষ্টুমি করে কিছু ভেঙে ফেলে, তাহলে সবচেয়ে ভালো হবে সেটার জন্য তাকেই ক্ষতিপূরণ দিতে বলা। আপনার মেয়ে যদি কোনো বিষয়ে ফেল করে, তাহলে এটা তার জন্য এক সতর্কবাণী হওয়া উচিত, যাতে সে পরবর্তী পরীক্ষার জন্য ভালোভাবে প্রস্তুতি নেয়। আপনার ছেলে যদি প্রেমে ব্যর্থ হয়, তাহলে তাকে সান্ত্বনা দিন—কিন্তু উপযুক্ত সময়ে এই ধরনের প্রশ্নগুলো নিয়ে চিন্তা করতে সাহায্য করুন যেমন, ‘পিছনে ফিরে তাকালে এই অভিজ্ঞতা কি এমন কোনো ক্ষেত্র দেখায়, যেখানে আমার উন্নতি করা প্রয়োজন?’ যে-ছেলে-মেয়েরা তাদের সমস্যার মধ্যে দিয়েও কাজ করে, তারা দৃঢ়তা ও আত্মবিশ্বাসের মতো ভালো গুণাবলি গড়ে তোলে, যেগুলো সেই সমস্ত ছেলে-মেয়ের মধ্যে থাকে না, যাদেরকে সবসময় আগলে রাখা হয়।

‘প্রত্যেক জন নিজ নিজ কর্ম্মের পরীক্ষা করুক, তাহা হইলে সে শ্লাঘা করিবার হেতু পাইবে।’—গালাতীয় ৬:৪

৩ অতিরিক্ত চাহিদা পূরণ করা

[১১ পৃষ্ঠার চিত্র]

সমস্যা। যুবক-যুবতীদের ওপর করা এক সমীক্ষায়, শতকরা ৮১ জন বলেছিল যে, তাদের প্রজন্মের সবচেয়ে বড়ো লক্ষ্য হল ‘ধনী হওয়া,’ যা দেখায় যে, তারা অন্যদের সাহায্য করার চেয়ে ধনী হওয়াকে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে। কিন্তু, ধনসম্পদের পিছনে ছোটা সন্তুষ্টি নিয়ে আসে না। আসলে, গবেষণা ইঙ্গিত দেয় যে, যে-লোকেরা বস্তুগত জিনিসের ওপর বেশি মনোযোগ দেয়, তারা সুখী হয় না বরং বেশি মনমরা থাকে। এ ছাড়াও, তারা শারীরিক ও মানসিকভাবে বেশি সমস্যায় ভোগে।

কারণটা কী। কিছু কিছু ক্ষেত্রে, সন্তানেরা এমন পরিবারে বড়ো হয়ে ওঠে, যারা টাকাপয়সার পিছনে ছোটে। নারসিসিশম্‌ এপিডেমিক নামক বইটি বলে, “বাবা-মারা সন্তানদের সুখী দেখতে চায় কিন্তু ছেলে-মেয়েরা চায় জিনিসপত্র। তাই, বাবা-মারা তাদের জিনিসপত্র কিনে দেয়। সন্তানরা খুশি হয় কিন্তু অল্পসময়ের জন্য। এরপর তারা এমনকী আরও জিনিসপত্র চায়।”

অবশ্য, বিজ্ঞাপনজগৎ এই লোভী পণ্য বাজারের সুযোগ নিচ্ছে। এটা এই ধরনের ধারণাকে তুলে ধরে ‘সবচেয়ে ভালোটা তোমার প্রাপ্য’ এবং ‘তুমি এটা পাওয়ার যোগ্য।’ অনেক যুবক-যুবতী এই ধারণা অনুযায়ী চলে এখন ঋণের মধ্যে জড়িয়ে পড়েছে, কারণ তারা তাদের “প্রাপ্য” জিনিসের মূল্য দিতে পারেনি।

বাইবেল যা বলে। বাইবেল স্বীকার করে যে, টাকাপয়সার প্রয়োজন আছে। (উপদেশক ৭:১২) একই সময়ে, এটি সতর্ক করে যে, “ধনাসক্তি সকল মন্দের একটা মূল।” এটি আরও বলে: “তাহাতে রত হওয়াতে কতক লোক . . . অনেক যাতনারূপ কন্টকে আপনারা আপনাদিগকে বিদ্ধ করিয়াছে।” (১ তীমথিয় ৬:১০) বাইবেল আমাদের ধনসম্পদের পিছনে না ছুটে, দৈনন্দিন জীবনের জন্য যা প্রয়োজন, তাতেই সন্তুষ্ট থাকতে উৎসাহিত করে।—১ তীমথিয় ৬:৭, ৮. 

“যাহারা ধনী হইতে বাসনা করে, তাহারা পরীক্ষাতে ও ফাঁদে এবং নানাবিধ মূঢ় ও হানিকর অভিলাষে পতিত হয়।”—১ তীমথিয় ৬:৯

আপনি যা করতে পারেন। একজন বাবা অথবা মা হিসেবে, টাকাপয়সা এবং এটা দিয়ে যা-কিছু কেনা যায়, সেগুলোর ব্যাপারে আপনার নিজের মনোভাব পরীক্ষা করে দেখুন। আপনার অগ্রাধিকারের বিষয়গুলোতে স্থির থাকুন এবং সন্তানদেরও তা করতে সাহায্য করুন। আগে উল্লেখিত নারসিসিশম্‌ এপিডেমিক বইটি পরামর্শ দেয়: “বাবা-মা ও সন্তানরা এইরকম বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করতে পারে যেমন, ‘কখন সেলের জিনিসপত্র কিনলে ভালো হয়? কখন হয় না?’ ‘সুদের হার কত?’ ‘কখন তুমি অন্যদের চাপে পড়ে জিনিসপত্র কিনেছ?’”

পরিবারের যে-সমস্যাগুলোর প্রতি মনোযোগ দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে, সেগুলো ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ‘জিনিসপত্রকে’ ওষুধের মতো ব্যবহার করা থেকে সাবধান থাকুন। বিশেষ সুযোগগুলোর মূল্য (ইংরেজি) বইটি বলে: “জিনিসপত্রের দ্বারা সমস্যাগুলো ধামাচাপা দেওয়া হল, এক ব্যর্থ প্রচেষ্টা: ব্যাগ ও জুতো দিয়ে নয়, কিন্তু চিন্তা, অন্তর্দৃষ্টি ও সহানুভূতির দ্বারা সমস্যাগুলো সমাধান করা প্রয়োজন।” ◼ (g১৩-E ০১)

a সন্তানদের শারীরিক বা আবেগগতভাবে নির্যাতন করাকে বাইবেল সমর্থন করে না। (ইফিষীয় ৪:২৯, ৩১; ৬:৪) সংশোধন করার লক্ষ্য হল তাদের শিক্ষা দেওয়া, বাবা-মার রাগ প্রকাশ করা নয়।

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার