ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • ঈশ্বরের রাজ্য কী?
    চিরকাল জীবন উপভোগ করুন!—ঈশ্বরের কাছ থেকে শিখুন
    • পাঠ ৩১. স্বর্গে যিহোবার মহিমা ও প্রতাপের সামনে যিশু খ্রিস্ট একজন রাজা হিসেবে দাঁড়িয়ে আছেন।

      পাঠ ৩১

      ঈশ্বরের রাজ্য কী?

      বাইবেলের মূল বার্তাই হল, ঈশ্বরের রাজ্য। যিহোবা এই রাজ্যের মাধ্যমেই পুরো পৃথিবীকে এক পরমদেশে পরিণত করবেন, ঠিক যেমনটা তিনি শুরুতে চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রশ্ন হল, ঈশ্বরের রাজ্য কী? কীভাবে আমরা জানতে পারি, বর্তমানে এই রাজ্য শাসন করছে? ঈশ্বরের রাজ্য এখনও পর্যন্ত কী করেছে এবং ভবিষ্যতে কী করবে? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর এই পাঠে এবং পরবর্তী দুটো পাঠে দেওয়া হবে।

      ১. ঈশ্বরের রাজ্য কী এবং ঈশ্বর কাকে এই রাজ্যের রাজা করেছেন?

      যিহোবা ঈশ্বর স্বর্গে একটা সরকার স্থাপন করেছেন, যেটাকে ঈশ্বরের রাজ্য বলা হয়েছে। যিহোবা যিশু খ্রিস্টকে এই রাজ্যের রাজা করেছেন। (মথি ৪:১৭; যোহন ১৮:৩৬) বাইবেল যিশু সম্বন্ধে বলে: তিনি রাজা হয়ে “চিরকাল রাজত্ব করবেন।” (লূক ১:৩২, ৩৩) যিশু রাজা হয়ে এই পৃথিবীর সমস্ত লোকের উপর রাজত্ব করবেন।

      ২. যিশুর সঙ্গে কারা রাজত্ব করবে?

      যিশু একা রাজত্ব করবেন না। “সমস্ত বংশ ও ভাষা ও বর্ণ ও জাতির মধ্য থেকে” আসা ব্যক্তিরা রাজা হয়ে “পৃথিবীর উপর রাজত্ব করবে।” (প্রকাশিত বাক্য ৫:৯, ১০) যিশু পৃথিবীতে আসার পর থেকে আজ পর্যন্ত লক্ষ লক্ষ ব্যক্তি তাঁর শিষ্য হয়েছে। কিন্তু, তারা প্রত্যেকেই কি তাঁর সঙ্গে স্বর্গে রাজত্ব করবে? না। তাদের মধ্যে থেকে শুধুমাত্র ১,৪৪,০০০ জন ব্যক্তি যিশুর সঙ্গে স্বর্গে রাজত্ব করবে। (পড়ুন, প্রকাশিত বাক্য ১৪:১-৪.) আর যিশুর বাকি শিষ্যেরা সেই রাজ্যের প্রজা হয়ে এই পৃথিবীতে জীবনযাপন করবে।—গীতসংহিতা ৩৭:২৯.

      ৩. ঈশ্বরের রাজ্য কেন মানুষের সরকারের চেয়ে অনেক বেশি ভালো?

      একজন মানব শাসক হয়তো মানুষের ভালোর জন্য অনেক কিছু করতে চান, কিন্তু সমস্ত কিছু করার ক্ষমতা তার কাছে থাকে না। শুধু তা-ই নয়, কিছুদিন পর এই শাসকের পরিবর্তে অন্য কোনো শাসক চলে আসেন এবং তিনি হয়তো লোকদের ভালোর জন্য চিন্তা না-ও করতে পারেন। কিন্তু, রাজা যিশুর জায়গায় কখনো অন্য কেউ শাসন করবে না। কারণ ঈশ্বর “এক রাজ্য স্থাপন করিবেন, তাহা কখনও বিনষ্ট হইবে না।” (দানিয়েল ২:৪৪) যিশু পুরো পৃথিবীর উপরে রাজত্ব করবেন এবং কারো প্রতি পক্ষপাতের মনোভাব দেখাবেন না। যিশু হলেন একজন প্রেমময়, দয়ালু এবং ন্যায়পরায়ণ রাজা। তিনি তাঁর প্রজাদেরও শেখাবেন, যেন তারা একে অপরের সঙ্গে প্রেম ও দয়া দেখিয়ে এবং ন্যায্যভাবে আচরণ করে।— পড়ুন, যিশাইয় ১১:৯.

      গভীরভাবে গবেষণা করুন

      কেন ঈশ্বরের রাজ্য মানুষের সরকারের চেয়ে অনেক বেশি ভালো? আসুন তা জানি।

      স্বর্গে যিশু রাজসিংহাসনে বসে পৃথিবীর উপর শাসন করছেন। পিছনে তাঁর সহ-শাসকেরা বসে রয়েছে। তাঁদের পিছনে যিহোবা বসে রয়েছেন, যিনি প্রতাপে পরিপূর্ণ।

      ৪. ঈশ্বরের রাজ্য হল এমন এক ক্ষমতাশালী সরকার, যা পুরো পৃথিবীর উপর শাসন করবে

      যিশু খ্রিস্টের কাছে এত ক্ষমতা রয়েছে, যা অন্য কোনো শাসকের কাছে নেই। মথি ২৮:১৮ পদ পড়ুন এবং এরপর এই প্রশ্নটা নিয়ে আলোচনা করুন:

      • কেন আমরা বলতে পারি, যিশুর কাছে অন্য যেকোনো শাসকের চেয়ে অনেক বেশি ক্ষমতা রয়েছে?

      মানুষের সরকার পরিবর্তন হতেই থাকে। এ ছাড়া, প্রতিটা সরকার পৃথিবীর কোনো একটা দেশে অথবা এলাকায় শাসন করে থাকে। কিন্তু, ঈশ্বরের রাজ্য সম্বন্ধে কী বলা হয়েছে, তা লক্ষ করুন। দানিয়েল ৭:১৪ পদ পড়ুন এবং এরপর এই প্রশ্নগুলো নিয়ে আলোচনা করুন:

      • ঈশ্বরের রাজ্য কখনো “বিনষ্ট হইবে না।” এর থেকে আমাদের কোন উপকার হবে বলে আপনার মনে হয়?

      • ঈশ্বরের রাজ্য পুরো পৃথিবীর উপর শাসন করবে। এর থেকে আমাদের কোন উপকার হবে বলে আপনার মনে হয়?

      ৫. ইতিহাস দেখায়, মানুষ সঠিকভাবে শাসন করতে পারে না

      মানুষের সরকারের পরিবর্তে কেন আমাদের ঈশ্বরের রাজ্যের প্রয়োজন? ভিডিওটা দেখুন এবং এরপর এই প্রশ্নটা নিয়ে আলোচনা করুন।

      ভিডিও: ঈশ্বরের রাজ্য কী?—অংশবিশেষ (১:৪১)

      • মানুষের শাসনের পরিণতি কী হয়েছে?

      উপদেশক ৮:৯ পদ পড়ুন এবং এরপর এই প্রশ্নগুলো নিয়ে আলোচনা করুন:

      • আপনার কি মনে হয় যে, মানুষের সরকারের পরিবর্তে আমাদের ঈশ্বরের রাজ্যের প্রয়োজন? কেন আপনি তা মনে করেন?

      ৬. ঈশ্বরের রাজ্যের শাসকেরা আমাদের ভালোভাবে বোঝেন

      আমাদের রাজা যিশু একজন মানুষ হিসেবে জীবনযাপন করেছেন। তাই, তিনি আমাদের ভালোভাবে বোঝেন এবং “আমাদের দুর্বলতার প্রতি সমবেদনা দেখাতে” পারেন। (ইব্রীয় ৪:১৫, ফুটনোট) যিহোবা এই পৃথিবী থেকে ১,৪৪,০০০ জন ব্যক্তিকে যিশুর সঙ্গে রাজত্ব করার জন্য বাছাই করেছেন। এই বিশ্বস্ত পুরুষ ও নারীদের “সমস্ত বংশ ও ভাষা ও বর্ণ ও জাতির মধ্য থেকে” বাছাই করা হয়েছে।—প্রকাশিত বাক্য ৫:৯.

      • যিশু এবং তাঁর সহ-শাসকেরা আমাদের অনুভূতি বোঝেন আর আমরা কোন সমস্যাগুলোর মুখোমুখি হই, তা তারা জানেন। কেন আপনি এই বিষয়টা জেনে সান্ত্বনা লাভ করতে পারেন?

      আলাদা আলাদা সময়ে এবং আলাদা আলাদা পরিবেশে বড়ো হওয়া অভিষিক্ত পুরুষ ও নারীরা।

      যিশুর সঙ্গে রাজত্ব করার জন্য যিহোবা আলাদা আলাদা দেশ, জাতি ও ভাষা থেকে পুরুষ ও নারীদের বাছাই করেছেন

      ৭. ঈশ্বরের রাজ্যের আইনগুলো অন্য যেকোনো সরকারের চেয়ে অনেক বেশি ভালো

      সরকারগুলো তাদের নাগরিকদের ভালোর জন্য এবং তাদের সুরক্ষার জন্য সাধারণত কিছু আইন তৈরি করে থাকে। ঈশ্বরের রাজ্য বা সরকারও তার নাগরিকদের জন্য কিছু আইন তৈরি করেছে। ১ করিন্থীয় ৬:৯-১১ পদ পড়ুন এবং এরপর এই প্রশ্নগুলো নিয়ে আলোচনা করুন:

      • সমস্ত ব্যক্তি যদি ঈশ্বরের আইন অনুযায়ী জীবনযাপন করে,a তা হলে এই পৃথিবী কেমন হবে?

      • যিহোবা তাঁর রাজ্যের নাগরিকদের কাছ থেকে আশা করেন, তারা যেন সেই আইনগুলো মেনে চলে। যিহোবার এইরকম আশা করা কি ভুল? কেন আপনি তা মনে করেন?

      • কোন বিষয়টা থেকে আমরা বুঝতে পারি, ঈশ্বরের আইন যে-লোকেরা মেনে চলে না, তারাও পরিবর্তিত হতে পারে?—১১ পদ দেখুন।

      একজন পুলিশ রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে ট্রাফিক কনট্রোল করছে। বিভিন্ন বয়সের ব্যক্তিরা রাস্তা পার হচ্ছে।

      মানব সরকারগুলো তাদের নাগরিকদের ভালোর জন্য এবং তাদের সুরক্ষার জন্য সাধারণত কিছু আইন তৈরি করে থাকে। ঈশ্বরের সরকারও তার নাগরিকদের ভালোর জন্য এবং তাদের সুরক্ষার জন্য বিভিন্ন আইন তৈরি করেছে। কিন্তু, এই আইনগুলো মানুষের সরকারের চেয়ে অনেক বেশি ভালো

      কেউ কেউ জিজ্ঞেস করতে পারে: “ঈশ্বরের রাজ্য কী?”

      • উত্তরে আপনি কী বলবেন?

      সারাংশ

      ঈশ্বরের রাজ্য হল, একটা বাস্তব সরকার আর এই সরকার স্বর্গ থেকে পুরো পৃথিবীর উপর শাসন করবে।

      পুনরালোচনা

      • ঈশ্বরের রাজ্যের রাজা কে?

      • ঈশ্বরের রাজ্য কেন মানুষের সরকারের চেয়ে অনেক বেশি ভালো?

      • যিহোবা তাঁর রাজ্যের নাগরিকদের কাছ থেকে কী আশা করেন?

      লক্ষ্য

      আরও জানুন

      ঈশ্বরের রাজ্য সম্বন্ধে যিশু কী বলেছিলেন? আসুন তা জানি।

      “ঈশ্বরের রাজ্য কি আমাদের হৃদয়ে রয়েছে?” (অনলাইন প্রবন্ধ)

      কেন যিহোবার সাক্ষিরা মানুষের সরকারের পরিবর্তে ঈশ্বরের রাজ্যকে সমর্থন করে?

      ঈশ্বরের রাজ্যকে সমর্থন করা (১:৪৩)

      বাইবেল আমাদের ১,৪৪,০০০ জন ব্যক্তি সম্বন্ধে কী জানায়, যাদের যিহোবা যিশুর সঙ্গে রাজত্ব করার জন্য বেছে নিয়েছেন? আসুন তা জানি।

      “কারা স্বর্গে যাবে?” (অনলাইন প্রবন্ধ)

      জেলে বন্দি একজন মহিলা কোন বিষয়টা থেকে নিশ্চিত হয়েছিলেন যে, একমাত্র ঈশ্বরই এই পৃথিবী থেকে সমস্ত অবিচার দূর করতে পারেন? আসুন তা জানি।

      “অবশেষে আমি বুঝতে পারি, অবিচার একদিন শেষ হবে” (সচেতন থাক!, নভেম্বর ২০১১, ইংরেজি)

      a বিভাগ ৩-এ এই আইনগুলোর মধ্যে থেকে কয়েকটা আলোচনা করা হবে।

  • ঈশ্বরের রাজ্য শাসন করছে!
    চিরকাল জীবন উপভোগ করুন!—ঈশ্বরের কাছ থেকে শিখুন
    • পাঠ ৩২. যিশু খ্রিস্ট হাতে একটা রাজদণ্ড ধরে আছেন এবং স্বর্গ থেকে পুরো পৃথিবীর উপর রাজত্ব করছেন।

      পাঠ ৩২

      ঈশ্বরের রাজ্য শাসন করছে!

      ঈশ্বরের রাজ্য ১৯১৪ সালে স্বর্গে শাসন করতে শুরু করেছে। আর তখন থেকেই মানব শাসনের শেষকাল শুরু হয়েছে। কীভাবে আমরা তা জানতে পারি? উত্তর জানার জন্য বাইবেলে এই বিষয়ে কী ভবিষ্যদ্‌বাণী করা হয়েছিল আর ১৯১৪ সাল থেকে জগতের পরিস্থিতি এবং লোকদের আচরণ কী প্রমাণ দেয়, তা লক্ষ করুন।

      ১. বাইবেলে কী ভবিষ্যদ্‌বাণী করা হয়েছিল?

      বাইবেলের দানিয়েল বইয়ে করা ভবিষ্যদ্‌বাণী আমাদের এক সময়কাল সম্বন্ধে জানায়, যেটাকে “সাত কাল” বলা হয়েছে আর এই সময়কাল শেষ হওয়ার পরই ঈশ্বরের রাজ্য শাসন করতে শুরু করবে। (দানিয়েল ৪:১৬, ১৭) শত শত বছর পর যিশু এই সময়কালকে “ন-যিহুদিদের” বা জাতিগুলোর জন্য “নিরূপিত সময়” বলে উল্লেখ করেছিলেন। যিশু শিখিয়েছিলেন যে, তিনি যখন পৃথিবীতে ছিলেন, তখনও এই সময়কাল শেষ হয়নি। (লূক ২১:২৪) আমরা দেখব যে, সাত কালের এই সময়কাল ১৯১৪ সালে শেষ হয়েছে।

      ২. জগতের পরিস্থিতি এবং লোকদের আচরণ ১৯১৪ সাল থেকে কেমন হয়ে গিয়েছে?

      যিশুর শিষ্যেরা তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিল, “আপনার উপস্থিতির এবং এই বিধিব্যবস্থার শেষ সময়ের চিহ্ন কী?” (মথি ২৪:৩) উত্তরে যিশু তাদের বলেছিলেন, তিনি যখন স্বর্গে ঈশ্বরের রাজ্যের রাজা হবেন, তখন পৃথিবীতে কোন কোন ঘটনা ঘটবে। তিনি বলেছিলেন, যুদ্ধ হবে, খাদ্যের অভাব দেখা দেবে এবং ভূমিকম্প হবে। (পড়ুন, মথি ২৪:৭.) বাইবেলে এটাও ভবিষ্যদ্‌বাণী করা হয়েছিল, “শেষকালে” লোকদের আচরণ এমন হবে যে, আমাদের জীবন “কঠিন ও বিপদজনক হবে।” (২ তীমথিয় ৩:১-৫) বিশেষ করে, ১৯১৪ সাল থেকে জগতের পরিস্থিতি এবং লোকদের আচরণ সেইরকমই হয়ে গিয়েছে, ঠিক যেমনটা বাইবেলে ভবিষ্যদ্‌বাণী করা হয়েছিল।

      ৩. ঈশ্বরের রাজ্যের শাসন স্বর্গে শুরু হওয়ার পর থেকে জগতের পরিস্থিতি কেন এত খারাপ হয়ে গিয়েছে?

      যিশু ঈশ্বরের রাজ্যের রাজা হওয়ার কিছু সময় পর শয়তান এবং মন্দ স্বর্গদূতদের সঙ্গে স্বর্গে যুদ্ধ করেছিলেন আর এই যুদ্ধে শয়তান হেরে গিয়েছিল। বাইবেল বলে, শয়তানকে এই পৃথিবীতে “নিক্ষেপ করা হল এবং এর সঙ্গে এর স্বর্গদূতদেরও নিক্ষেপ করা হল।” (প্রকাশিত বাক্য ১২:৯, ১০, ১২) শয়তান খুব রেগে আছে, কারণ সে জানে তাকে খুব শীঘ্রই ধ্বংস করে দেওয়া হবে। তাই, সে রেগে গিয়ে এই পৃথিবীতে বিভিন্ন সমস্যা ও দুঃখকষ্ট নিয়ে আসছে। এই কারণেই পৃথিবীর পরিস্থিতি এত খারাপ হয়ে গিয়েছে! কিন্তু, খুব শীঘ্রই ঈশ্বর তাঁর রাজ্যের মাধ্যমে সমস্ত সমস্যা দূর করে দেবেন।

      গভীরভাবে গবেষণা করুন

      কেন আমরা বলতে পারি, ১৯১৪ সালে ঈশ্বরের রাজ্য স্বর্গে শাসন করতে শুরু করেছে এবং এটা জানার পর আমাদের কী করা উচিত? আসুন তা দেখি।

      ৪. বাইবেলের ভবিষ্যদ্‌বাণী অনুযায়ী ১৯১৪ সালে ঈশ্বরের রাজ্য শাসন করতে শুরু করেছে

      ভিডিওটা দেখুন।

      ভিডিও: ঈশ্বরের রাজ্য ১৯১৪ সালে শাসন করতে শুরু করে (৫:০২)

      প্রাচীন কালে বাবিলের রাজা নবূখদ্‌নিৎসরকে ঈশ্বর একটা স্বপ্নের মাধ্যমে দেখিয়েছিলেন যে, ভবিষ্যতে কী ঘটবে। দানিয়েল যখন সেই স্বপ্ন এবং এর অর্থ বলেছিলেন, তখন এটা বোঝা গিয়েছিল যে, এই স্বপ্নের দুটো পরিপূর্ণতা রয়েছে। প্রথমটা নবূখদ্‌নিৎসরের রাজত্বের ক্ষেত্রে এবং দ্বিতীয়টা ঈশ্বরের রাজ্যের রাজত্বের ক্ষেত্রে।—দানিয়েল ৪:১৭ পদ পড়ুন।a

      দানিয়েল ৪:২০-২৬ পদ পড়ুন আর তালিকা দেখুন এবং এরপর নীচে দেওয়া প্রশ্নগুলোর উত্তর দিন:

      • (ক) নবূখদ্‌নিৎসর তার স্বপ্নে কী দেখেছিলেন?—২০ ও ২১ পদ দেখুন।

      • (খ) নবূখদ্‌নিৎসর স্বপ্নে যে-বৃক্ষটা দেখেছিলেন, সেটার কী হয়েছিল?—২৩ পদ দেখুন।

      • (গ) “সাত কাল” শেষ হওয়ার পর কী ঘটবে বলে বলা হয়েছিল?—২৬ পদ দেখুন।

      বৃক্ষের বিষয়ে এই স্বপ্ন কীভাবে ঈশ্বরের রাজ্যের সঙ্গে জড়িত?

      ভবিষ্যদ্‌বাণী (দানিয়েল ৪:২০-৩৬)

      শাসন

      (ক) একটা বড়ো বৃক্ষ

      অনেক উচ্চ একটা গাছ।

      শাসনে বাধা আসে

      (খ) “বৃক্ষটা ছেদন কর” এবং ‘সাত কাল ঘূরুক’

      গাছটাকে লোহা ও তামার একটা শিকল দিয়ে বাঁধা হয়েছে।

      শাসন আবার শুরু হয়

      (গ) ”আপনার হস্তে আপনার রাজত্ব স্থির [ফিরিয়ে দেওয়া] হইবে।”

      অনেক উচ্চ একটা গাছ।

      প্রথমবার এই ভবিষ্যদ্‌বাণী কখন ও কীভাবে পরিপূর্ণ হয়েছিল?

      • (ঘ) বৃক্ষ কাকে চিত্রিত করেছিল?—২২ পদ দেখুন।

      • (ঙ) কীভাবে তার শাসনে বাধা এসেছিল?—দানিয়েল ৪:২৯-৩৩ পদ পড়ুন।

      • (চ) “সাত কাল” শেষ হওয়ার পর নবূখদ্‌নিৎসরের কী হয়েছিল?—দানিয়েল ৪:৩৪-৩৬ পদ পড়ুন।

      প্রথমবার কখন ও কীভাবে পরিপূর্ণ হয়েছিল?

      শাসন

      (ঘ) বাবিলের রাজা নবূখদ্‌নিৎসর

      রাজা নবূখদ্‌নিৎসর দাঁড়িয়ে আছেন এবং তিনি অনেক গর্বিত।

      শাসনে বাধা আসে

      (ঙ) খ্রিস্টপূর্ব ৬০৬ সালের পর নবূখদ্‌নিৎসর তার মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন

      নবূখদ্‌নিৎসর মাটিতে বসে পশুর মতো ঘাস খাচ্ছেন।

      শাসন আবার শুরু হয়

      (চ) নবূখদ্‌নিৎসর তার মানসিক ভারসাম্য ফিরে পান এবং আবার শাসন করতে শুরু করেন

      রাজা নবূখদ্‌নিৎসর দু-হাত তুলে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছেন।

      দ্বিতীয়বার এই ভবিষ্যদ্‌বাণী কখন ও কীভাবে পরিপূর্ণ হয়েছিল?

      • (ছ) বৃক্ষ কাকে চিত্রিত করেছিল?—১ বংশাবলি ২৯:২৩ পদ পড়ুন।

      • (জ) কীভাবে সেই শাসনে বাধা এসেছিল? কীভাবে আমরা জানতে পারি, যিশু যখন এই পৃথিবীতে ছিলেন তখনও এই শাসন শুরু হয়নি?—লূক ২১:২৪ পদ পড়ুন।

      • (ঞ) এই শাসন আবার কখন ও কোথায় শুরু হয়েছিল?

      দ্বিতীয়বার কখন ও কীভাবে পরিপূর্ণ হয়েছিল?

      শাসন

      (ছ) ইজরায়েলীয় রাজারা ঈশ্বরের শাসনকে চিত্রিত করেছিল

      একের-পর-এক ইজরায়েলীয় রাজারা এসেছেন, তারা রাজ সিংহাসনে বসেছেন এবং তাদের উপর আলোকরস্মি জ্বলজ্বল করছে।

      শাসনে বাধা আসে

      (জ) জেরুসালেমকে ধ্বংস করা হয় এবং ২,৫২০ বছরের জন্য ইজরায়েলীয় রাজাদের শাসনে বাধা আসে

      খ্রিস্টপূর্ব ৬০৭ সালে জেরুসালেম ধ্বংস হয় এবং তা পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এর পর থেকে ২,৫২০ বছর কেটে যায়।

      শাসন আবার শুরু হয়

      (ঞ) যিশু স্বর্গে ঈশ্বরের রাজ্যের রাজা হন এবং শাসন করতে শুরু করেন

      ১৯১৪ সালে যিশু স্বর্গে শাসন করছেন। তার উপর আলোকরস্মি পড়ছে।

      সাত কাল কতটা দীর্ঘ?

      বাইবেলের কিছু শাস্ত্রপদ বোঝার জন্য বাইবেলের অন্যান্য শাস্ত্রপদগুলো আমাদের সাহায্য করে থাকে। যেমন প্রকাশিত বাক্য বইয়ে বলা হয়েছে, সাড়ে তিন কাল হল ১,২৬০ দিনের সমান। (প্রকাশিত বাক্য ১২:৬, ১৪) তা হলে, সাড়ে তিন কালের দ্বিগুণ হল, সাত কাল অর্থাৎ ২,৫২০ দিন। বাইবেলের কিছু ভবিষ্যদ্‌বাণী কখনো কখনো এক দিন একটা বছরকে চিত্রিত করে। (যিহিষ্কেল ৪:৬) দানিয়েলের এই ভবিষ্যদ্‌বাণী হল সেগুলোর মধ্যে একটা। তাই, সাত কাল সমান ২,৫২০ বছর।

      ৫. জগতের পরিস্থিতি ১৯১৪ সালের পর থেকে বদলে গিয়েছে

      ভিডিওটা দেখুন।

      ভিডিও: ১৯১৪ সালের পর থেকে এই জগতের পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে (১:১০)

      যিশু ভবিষ্যদ্‌বাণী করেছিলেন, তিনি রাজা হওয়ার পর জগতের পরিস্থিতি কেমন হবে। লূক ২১:৯-১১ পদ পড়ুন এবং এরপর এই প্রশ্নটা নিয়ে আলোচনা করুন:

      • এখানে যে-পরিস্থিতি সম্বন্ধে বলা হয়েছে, এর মধ্যে আপনি কোনগুলো শুনেছেন অথবা ঘটতে দেখেছেন?

      প্রেরিত পৌল বলেছিলেন যে, মানব শাসনের শেষকালে লোকদের আচরণ কেমন হবে। ২ তীমথিয় ৩:১-৫ পদ পড়ুন এবং এরপর এই প্রশ্নটা নিয়ে আলোচনা করুন:

      • এখানে বলা আচরণগুলোর মধ্যে আপনি কোন কোন আচরণ লোকদের মধ্যে লক্ষ করেছেন?

      কোলাজ: এই দৃশ্যে শেষকালে জগতের পরিস্থিতি এবং লোকদের আচরণ দেখানো হয়েছে। ১. একজন সেনাপ্রধান স্টেজে দাঁড়িয়ে হাত তুলে চিৎকার করছে। ২. ভূমিকম্পের ফলে ঘরবাড়ি ধুলিসাৎ হয়ে গিয়েছে। ৩. সেনাদের প্লেন। ৪. লোকেরা মাস্ক পরে রাস্তা দিয়ে হাঁটছে। ৫. জঙ্গিরা নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ারে হামলা করেছে আর সেটা আগুনে পুড়ছে। ৬. একজন ব্যক্তি ড্রাগ্‌স নিচ্ছে। ৭. একজন স্বামী তার স্ত্রীকে মারতে যাচ্ছে এবং তার উপর চিৎকার করছে। ৮. বিভিন্ন ধরনের ড্রাগ্‌স ও মদের বোতল। ৯. দু-জন মহিলা হাল ফ্যাশানের ড্রেস ও গয়না পড়ে রয়েছে এবং তারা সেলফি নিচ্ছে। ১০. একটা মিউজিক কনসার্ট চলছে এবং ডিজে গান বাজছে। ১১. দাঙ্গা লাগায় এমন একজন ব্যক্তি একটা পেট্রোল বোমা ছুড়ছে।

      ৬. ঈশ্বরের রাজ্যের শাসন স্বর্গে শুরু হয়ে গিয়েছে, এটা জেনে আমাদের কী করা উচিত?

      মথি ২৪:৩, ১৪ পদ পড়ুন এবং এরপর এই প্রশ্নগুলো নিয়ে আলোচনা করুন:

      • এমন কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজ চলছে, যেটা দেখায় ঈশ্বরের রাজ্য শাসন করছে?

      • কীভাবে আপনি এই কাজে অংশ নিতে পারেন?

      ঈশ্বরের রাজ্য স্বর্গে শাসন করছে আর খুব শীঘ্রই পুরো পৃথিবীর উপরও শাসন করবে। ইব্রীয় ১০:২৪, ২৫ পদ পড়ুন এবং এরপর এই প্রশ্নটা নিয়ে আলোচনা করুন:

      • “ঈশ্বরের দিন যেহেতু এগিয়ে আসছে,” তাই আমাদের প্রত্যেকের কী করা উচিত?

      কোলাজ: ক. একজন বাইবেল ছাত্র যিহোবার সাক্ষিদের সভাতে যোগ দিচ্ছে। ২. সেই একই বাইবেল ছাত্র তার পরিচিত ব্যক্তির কাছে প্রচার করছে।

      আপনি যদি এমন কোনো বিষয় জেনে থাকেন, যেটা লোকদের সাহায্য করতে এবং তাদের জীবন রক্ষা করতে পারে, তা হলে আপনি কী করবেন?

      কেউ কেউ জিজ্ঞেস করতে পারে: “যিহোবার সাক্ষিরা কেন ১৯১৪ সাল নিয়ে এত বেশি কথা বলে?”

      • উত্তরে আপনি কী বলবেন?

      সারাংশ

      বাইবেলের ভবিষ্যদ্‌বাণী এবং এই জগতের পরিস্থিতি থেকে বোঝা যায়, ঈশ্বরের রাজ্য স্বর্গে শাসন করছে। আমরাও এই বিষয়ে নিশ্চিত আর তাই আমরা ঈশ্বরের রাজ্যের বিষয়ে প্রচার করি এবং মণ্ডলীর সভায় যোগ দিই।

      পুনরালোচনা

      • দানিয়েলের ভবিষ্যদ্‌বাণী অনুযায়ী, সাত কাল শেষ হওয়ার পর কী হয়েছিল?

      • কোন বিষয়টা থেকে আপনি নিশ্চিত হয়েছেন যে, ঈশ্বরের রাজ্য ১৯১৪ সাল থেকে শাসন করতে শুরু করেছে?

      • আপনি যদি নিশ্চিত থাকেন, ঈশ্বরের রাজ্য শাসন করছে, তা হলে আপনি কী করতে চাইবেন?

      লক্ষ্য

      আরও জানুন

      ১৯১৪ সালের পর থেকে জগতের পরিস্থিতি যেভাবে বদলে গিয়েছে, সেই বিষয়ে ইতিহাসবিদেরা এবং অন্যান্য লোকেরা কী বলে, তা জানুন।

      “নাটকীয়ভাবে যখন নৈতিক অধঃপতন ঘটে” (সচেতন থাক!, জুলাই ২০০৭)

      মথি ২৪:১৪ পদের ভবিষ্যদ্‌বাণী যেভাবে একজন ব্যক্তির জীবন বদলে দিয়েছিল, তা জানুন।

      “বেসবল খেলাকে আমি মনপ্রাণ দিয়ে ভালোবাসতাম” (প্রহরীদুর্গ, নং ২ ২০১৭)

      কীভাবে আমরা জানতে পারি যে, দানিয়েল ৪ অধ্যায়ের ভবিষ্যদ্‌বাণী ঈশ্বরের রাজ্যের বিষয়ে করা হয়েছিল?

      “কখন ঈশ্বরের রাজ্য শাসন করতে শুরু করে? (১ম ভাগ)” (প্রহরীদুর্গ, জানুয়ারি ১, ২০১৫)

      কোন বিষয়টা থেকে আমরা বুঝতে পারি যে, দানিয়েল ৪ অধ্যায়ে বলা “সাত কাল” ১৯১৪ সালে শেষ হয়েছিল?

      “কখন ঈশ্বরের রাজ্য শাসন করতে শুরু করে? (২য় ভাগ)” (প্রহরীদুর্গ, এপ্রিল ১, ২০১৫)

      a এই পাঠের “আরও জানুন” অংশে শেষ দুটো প্রবন্ধ পড়ুন।

  • ঈশ্বরের রাজ্য কী করবে?
    চিরকাল জীবন উপভোগ করুন!—ঈশ্বরের কাছ থেকে শিখুন
    • পাঠ ৩৩. এক পরমদেশ পৃথিবীতে লোকেরা বাস করছে।

      পাঠ ৩৩

      ঈশ্বরের রাজ্য কী করবে?

      ঈশ্বরের রাজ্য ইতিমধ্যে স্বর্গে শাসন করছে। খুব শীঘ্রই, এটা পৃথিবীর উপরেও শাসন করতে শুরু করবে এবং পৃথিবীর যে-ক্ষতি হয়েছে, তা ঠিক করে দেবে। এই রাজ্যের অধীনে আমরা প্রচুর আশীর্বাদ লাভ করব। আসুন, কিছু আশীর্বাদ সম্বন্ধে জানি, যেগুলোর জন্য আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে পারি।

      ১. ঈশ্বরের রাজ্য কীভাবে পৃথিবীর উপর শান্তি ও ন্যায়বিচার নিয়ে আসবে?

      ঈশ্বরের রাজ্যের রাজা যিশু, দুষ্ট লোকদের এবং সরকারগুলোকে হর্‌মাগিদোনের যুদ্ধে ধ্বংস করে দেবেন। (প্রকাশিত বাক্য ১৬:১৪, ১৬) সেই সময়, বাইবেলের এই প্রতিজ্ঞা পরিপূর্ণ হবে: “আর ক্ষণকাল, পরে দুষ্ট লোক আর নাই।” (গীতসংহিতা ৩৭:১০) এভাবে, যিশু ঈশ্বরের রাজ্যের মাধ্যমে পুরো পৃথিবীর উপর শান্তি ও ন্যায়বিচার নিয়ে আসবেন।—পড়ুন, যিশাইয় ১১:৪.

      ২. ঈশ্বরের ইচ্ছা যখন পৃথিবীতে পূর্ণ হবে, তখন জীবন কেমন হবে?

      ঈশ্বরের রাজ্যে “ধার্ম্মিকেরা দেশের অধিকারী হইবে, তাহারা নিয়ত তথায় বাস করিবে।” (গীতসংহিতা ৩৭:২৯) কল্পনা করুন, পৃথিবীতে সমস্ত লোক ধার্মিক হবে অর্থাৎ তারা যা সঠিক, তা-ই করবে। প্রত্যেক ব্যক্তি যিহোবাকে এবং একে অন্যকে ভালোবাসবে। কেউ অসুস্থ হবে না এবং মানুষ চিরকাল বেঁচে থাকবে। সেই জীবন কতই-না সুন্দর হবে!

      ৩. ঈশ্বরের রাজ্য দুষ্ট লোকদের ধ্বংস করে দেওয়ার পর কী করবে?

      যিশু দুষ্ট লোকদের ধ্বংস করার পর ১,০০০ বছর ধরে রাজত্ব করবেন। যিশু এবং তাঁর সঙ্গে যারা শাসন করবে অর্থাৎ সেই ১,৪৪,০০০ জন ব্যক্তি, সেই সময় মানুষকে নিখুঁত হতে সাহায্য করবে। এই পৃথিবী সেই হাজার বছরের শেষে এক সুন্দর পরমদেশে পরিণত হবে আর সেখানে প্রত্যেকে আনন্দে থাকবে কারণ তারা যিহোবার আজ্ঞা মেনে চলবে। এরপর, যিশু তাঁর পিতাকে রাজ্য ফিরিয়ে দেবেন। তখন যিহোবার “নাম পবিত্র” হবে, যেমনটা আগে কখনো হয়নি। (মথি ৬:৯, ১০) আর এটা প্রমাণিত হবে যে, যিহোবা হলেন একজন ভালো শাসক এবং তিনি তাঁর প্রজাদের জন্য চিন্তা করেন। যিহোবা এরপর শয়তান এবং মন্দ স্বর্গদূতদের ধ্বংস করে দেবেন। তিনি সেই লোকদেরও ধ্বংস করে দেবেন, যারা তাঁর শাসন মানতে চাইবে না। (প্রকাশিত বাক্য ২০:৭-১০) ঈশ্বরের রাজ্যে আমরা যে-সমস্ত চমৎকার আশীর্বাদ উপভোগ করব, সেগুলো চিরকাল ধরে থাকবে।

      গভীরভাবে গবেষণা করুন

      কেন আমরা নিশ্চিত হতে পারি, ঈশ্বর বাইবেলে যে-প্রতিজ্ঞাগুলো সম্বন্ধে বলেছেন, সেগুলো তাঁর রাজ্যের মাধ্যমে পরিপূর্ণ হবে? আসুন তা জানি।

      ৪. ঈশ্বরের রাজ্য মানব সরকারগুলোকে শেষ করে দেবে

      “একজন লোক অন্যদের উপর কর্তৃত্ব করে এবং তার ফলে তাদের ক্ষতি হয়।” (উপদেশক ৮:৯, বাংলা কমন ল্যাঙ্গুয়েজ ভারশন) যিহোবা তাঁর রাজ্যের মাধ্যমে মানব সরকারগুলোকে এবং এদের কারণে আসা সমস্ত দুঃখকষ্ট দূর করে দেবেন।

      দানিয়েল ২:৪৪ এবং ২ থিষলনীকীয় ১:৬-৮ পদ পড়ুন এবং এরপর এই প্রশ্নগুলো নিয়ে আলোচনা করুন:

      • যিহোবা এবং তাঁর পুত্র যিশু মানব সরকারগুলোকে আর যারা তাদের সমর্থন করে, তাদের কী করবেন?

      • যিহোবা ও যিশু সম্বন্ধে আপনি এই পর্যন্ত অনেক কিছু জেনেছেন। তা মনে রেখে আপনি কেন নিশ্চিত যে, তাঁরা যা করবেন, তা সঠিক হবে?

      যিশু একজন রাজা হিসেবে স্বর্গ থেকে পরমদেশ পৃথিবীর উপর শাসন করছেন।

      ৫. যিশুর চেয়ে ভালো রাজা আর কেউ হতে পারে না

      ঈশ্বরের রাজ্যের রাজা যিশু, তাঁর প্রজাদের জন্য অনেক ভালো ভালো কাজ করবেন। তিনি পৃথিবীতে থাকার সময় এটার প্রমাণ দিয়েছিলেন। তিনি যা-কিছু করেছিলেন, সেটা থেকে বোঝা যায় যে, তিনি লোকদের জন্য চিন্তা করেন। আর এখান থেকে এটাও বোঝা যায় যে, ঈশ্বর তাঁকে লোকদের প্রতি ভালো কাজ করার জন্য শক্তি দিয়েছেন। এই বিষয়ে জানার জন্য ভিডিওটা দেখুন।

      ভিডিও: যিশু দেখিয়েছিলেন যে, ঈশ্বরের রাজ্য কী করবে (১:১৩)

      যিশু পৃথিবীতে যে-কাজগুলো করেছিলেন, সেগুলো থেকে একটা আভাস পাওয়া গিয়েছিল যে, ঈশ্বরের রাজ্য কী করবে। এখানে কিছু প্রতিজ্ঞার বিষয়ে বলা হয়েছে, যেগুলো ঈশ্বরের রাজ্যে পরিপূর্ণ হবে। এগুলোর মধ্যে কোন প্রতিজ্ঞাটা পরিপূর্ণ হতে দেখার জন্য আপনি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে রয়েছেন? প্রতিজ্ঞাটার পাশে দেওয়া শাস্ত্রপদগুলো পড়ুন।

      যিশু পৃথিবীতে থাকার সময় কী করেছিলেন?

      যিশু স্বর্গ থেকে কী করবেন?

      • তিনি প্রাকৃতিক শক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন।— মার্ক ৪:৩৬-৪১.

      • তিনি প্রকৃতির যে-সমস্ত ক্ষতি হয়েছে, সেগুলো ঠিক করে দেবেন।—যিশাইয় ৩৫:১, ২.

      • তিনি অলৌকিকভাবে হাজার হাজার ব্যক্তিকে খাবার খাইয়েছিলেন। —মথি ১৪:১৭-২১.

      • তিনি পৃথিবী থেকে খাদ্যের অভাব দূর করে দেবেন। —গীতসংহিতা ৭২:১৬.

      • তিনি অনেক অসুস্থ ব্যক্তিকে সুস্থ করেছিলেন।—লূক ১৮:৩৫-৪৩.

      • তিনি অসুস্থতা দূর করে দেবেন।—যিশাইয় ৩৩:২৪.

      • তিনি মৃত ব্যক্তিদের পুনরুত্থিত করেছিলেন।—লূক ৮:৪৯-৫৫.

      • তিনি মৃত্যুকে সরিয়ে দেবেন এবং যারা মারা গিয়েছে, তাদের পুনরুত্থিত করবেন।—প্রকাশিত বাক্য ২১:৩, ৪.

      ৬. ঈশ্বরের রাজ্য মানুষের জন্য এক অপূর্ব ভবিষ্যৎ নিয়ে আসবে

      ঈশ্বরের রাজ্যে মানুষ সেই জীবন পাবে, যে-জীবন ঈশ্বর সবসময় তাদের জন্য চেয়েছিলেন। এই পৃথিবী এক সুন্দর পরমদেশে পরিণত হবে এবং মানুষ সেখানে চিরকাল বেঁচে থাকবে। যিহোবা নিজের উদ্দেশ্য পরিপূর্ণ করার জন্য তাঁর পুত্র যিশুর মাধ্যমে কী করছেন, তা জানার জন্য ভিডিওটা দেখুন।

      ভিডিও: অপূর্ব ভবিষ্যতের এক ঝলক (৪:৩৮)

      গীতসংহিতা ১৪৫:১৬ পদ পড়ুন এবং এরপর এই প্রশ্নটা নিয়ে আলোচনা করুন:

      • যিহোবা “সমুদয় প্রাণীর বাঞ্ছা পূর্ণ” করবেন, এটা জেনে আপনার কেমন লাগছে?

      কেউ কেউ বলে থাকে: “যদি সবাই মিলে প্রচেষ্টা করি, তা হলে আমরা নিজেরাই পৃথিবীর সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারব।”

      • ঈশ্বরের রাজ্য এমন কোন সমস্যাগুলো সমাধান করবে, যেগুলো মানব সরকারের পক্ষে কখনো করা সম্ভব নয়?

      সারাংশ

      যিহোবা তাঁর রাজ্যের মাধ্যমে নিজের উদ্দেশ্য পরিপূর্ণ করবেন। সেই রাজ্যের অধীনে পুরো পৃথিবী এক সুন্দর পরমদেশে পরিণত হবে আর কেবলমাত্র ভালো লোকেরাই এই পৃথিবীতে থাকবে এবং তারা চিরকাল ধরে যিহোবার উপাসনা করবে।

      পুনরালোচনা

      • ঈশ্বরের রাজ্য কীভাবে যিহোবার নামকে পবিত্র করবে?

      • কেন আমরা নিশ্চিত হতে পারি যে, ঈশ্বরের রাজ্য বাইবেলে বলা সমস্ত প্রতিজ্ঞা পরিপূর্ণ করবে?

      • ঈশ্বরের রাজ্যে কোন প্রতিজ্ঞাটা পরিপূর্ণ হতে দেখার জন্য আপনি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে রয়েছেন?

      লক্ষ্য

      আরও জানুন

      হর্‌মাগিদোন কী? তা জানুন।

      “হর্‌মাগিদোন কী?” (অনলাইন প্রবন্ধ)

      যিশুর দ্বারা উল্লেখিত ‘মহাক্লেশের’ সময় কী কী ঘটবে, তা জানুন।—মথি ২৪:২১.

      “মহাক্লেশ বলতে কী বোঝায়?” (অনলাইন প্রবন্ধ)

      আপনি যেভাবে আপনার পরিবারের সঙ্গে নিজেকে নতুন জগতে কল্পনা করতে পারেন, তা ভিডিওতে দেখুন।

      পরমদেশে নিজেকে কল্পনা করো (১:৫০)

      “আমার মনে অনেক প্রশ্ন ছিল, যেগুলো নিয়ে আমি সবসময় চিন্তা করতাম” এই জীবনকাহিনীতে একজন ব্যক্তি সম্বন্ধে জানুন, যিনি তার দেশের সরকার পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, তিনি তার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গিয়েছিলেন।

      “বাইবেল জীবনকে পরিবর্তন করে” (প্রহরীদুর্গ, জানুয়ারি ১, ২০১২, ইংরেজি)

বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
লগ আউট
লগ ইন
  • বাংলা
  • শেয়ার
  • পছন্দসমূহ
  • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
  • ব্যবহারের শর্ত
  • গোপনীয়তার নীতি
  • গোপনীয়তার সেটিং
  • JW.ORG
  • লগ ইন
শেয়ার