এটা কি সুপরিকল্পিতভাবে সৃষ্ট?
হাম্পব্যাক তিমির ফ্লিপার
একটি পূর্ণবয়স্ক হাম্পব্যাক তিমি একটা বাসের চেয়েও বড়ো ও ভারী হয়। তা সত্ত্বেও, প্রকাণ্ড আকারের স্তন্যপায়ী প্রাণীটি খুবই তৎপরভাবে জলে ডুব দিতে ও নিজের দেহকে ঘোরাতে পারে। কীভাবে এই হাম্পব্যাক তিমি এতটা তৎপর হতে পারে? রহস্যটা লুকিয়ে রয়েছে এটির ফ্লপিরের ওপর স্ফীত অংশ বা বাম্পগুলোতে।
বিবেচনা করুন: অধিকাংশ তিমি ও অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণীর ফ্লিপারের সামনের কিনারাগুলো মসৃণ হয়। কিন্তু, হাম্পব্যাক তিমির ক্ষেত্রে তা নয়। এটির ফ্লিপারগুলোর সামনের কিনারাতে বড়ো বড়ো বাম্প (যেগুলোকে টিউবারকল বলা হয়) থাকে। হাম্পব্যাক তিমি যখন সাঁতার কাটে, তখন জল এই বাম্পগুলোর ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে প্রচুর জলের ঘূর্ণি সৃষ্টি করে। বাম্পগুলোর মধ্য দিয়ে জলস্রোত যাওয়ার সময় প্রবাহের সৃষ্টি করে, যেটাকে “টিউবারকল এফেক্ট” বলে। এটার ফলে তিমির ওপর জলের ঊর্ধ্বমুখী চাপ বৃদ্ধি পায় এবং তিমি থেমে না গিয়েই ফ্লিপারগুলোকে আরও বেশি বাঁকাতে পারে। হাম্পব্যাক তিমির লম্বা ফ্লিপারগুলোর সবচেয়ে বড়ো উপকারিতা হল, বেশি বাঁকানো অবস্থায় এই বাম্পগুলো জলের ঘর্ষণ প্রতিরোধ করে। প্রতিটি ফ্লিপারের দৈর্ঘ্য তিমির দেহের এক-তৃতীয়াংশ।
গবেষকরা এই নীতি কাজে লাগিয়ে আরও অত্যাধুনিক নৌকার হাল, জলচালিত টারবাইন, উইন্ডমিল ও হেলিকপ্টারের রোটার ব্লেড তৈরি করছে।
আপনি কী মনে করেন? হাম্পব্যাক তিমির ফ্লিপার কি ক্রমবিবর্তনের মাধ্যমে এসেছে? না কি এটাকে সুপরিকল্পিতভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে? (g১৩-E ০৬)