ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w৯৮ ২/১ পৃষ্ঠা ৪-৬
  • আজকে আশাবাদের সুযুক্তিপূর্ণ ভিত্তি

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • আজকে আশাবাদের সুযুক্তিপূর্ণ ভিত্তি
  • ১৯৯৮ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • অব্রাহামের আশাবাদ পুরস্কৃত হয়েছিল
  • দুইজন আশাবাদী গুপ্তচর
  • যোনার দ্বিধা
  • প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে আশাবাদ
  • প্রকৃত আশাবাদ বিজয়লাভ করে!
  • তিনি করুণা দেখানোর বিষয়ে এক শিক্ষা লাভ করেছিলেন
    তাদের বিশ্বাস অনুকরণ করুন
  • যিহোবার দয়া সম্বন্ধে যোনা শেখেন
    ১৯৯৬ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • তিনি তার ভুলগুলো থেকে শিখেছিলেন
    তাদের বিশ্বাস অনুকরণ করুন
  • তিনি করুণার বিষয়ে এক শিক্ষা লাভ করেছিলেন
    ২০০৯ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
আরও দেখুন
১৯৯৮ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w৯৮ ২/১ পৃষ্ঠা ৪-৬

আজকে আশাবাদের সুযুক্তিপূর্ণ ভিত্তি

ইতিহাসবিদ্‌ ও সমাজবিজ্ঞানী এইচ. জি. ওয়েলস ১৮৬৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং বিংশ শতাব্দীর চিন্তাধারায় তিনি এক শক্তিশালী প্রভাব বিস্তার করেছিলেন। তার লেখনীর মাধ্যমে তিনি তার দৃঢ় প্রত্যয়কে এইভাবে ব্যাখ্যা করেছিলেন যে, প্রত্যাশিত আগামী স্বর্ণযুগ বিজ্ঞানের অগ্রসরমান যাত্রার মতই হবে। তাই কোলিয়ার্স এনসাইক্লোপিডিয়া ওয়েলসের “অপরিসীম আশাবাদ”-কে স্মরণ করে, যেহেতু তিনি তার যুক্তিকে বিকশিত করার জন্য অবিশ্রান্তভাবে কাজ করেছিলেন। কিন্তু এটি এও উল্লেখ করে যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে তার সেই আশাবাদ চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গিয়েছিল।

ওয়েলস যখন উপলব্ধি করেছিলেন যে “বিজ্ঞান মঙ্গলের সাথে সাথে অমঙ্গলের জন্যও কাজ করতে পারে, তার বিশ্বাস লোপ পেয়েছিল এবং তিনি নৈরাশ্যবাদে পতিত হয়েছিলেন,” চেম্বারের আত্মজীবনীমূলক অভিধান (ইংরাজি) উল্লেখ করে। কেন এমন হয়েছিল?

ওয়েলসের বিশ্বাস ও আশাবাদ কেবল মানব সাফল্যগুলির উপর ভিত্তি করে ছিল। তিনি যখন উপলব্ধি করেছিলেন যে মানবজাতি তার স্বপ্নরাজ্যে পৌঁছাতে অক্ষম, তখন ফিরে তাকানোর জন্য তার আর কোন স্থান ছিল না। হতাশা শীঘ্রই নৈরাশ্যবাদে পরিবর্তিত হয়েছিল।

আজকে, অনেক লোকেদের একই কারণের জন্য অনুরূপ অভিজ্ঞতা রয়েছে। যুবকাবস্থায় তারা আশাবাদের প্রাণচাঞ্চল্যে উচ্ছল থাকেন কিন্তু বয়স বাড়ার সাথে সাথে তারা বিরূপ নৈরাশ্যবাদে পতিত হন। এমনকি অল্পবয়স্ক ব্যক্তিরাও তথাকথিত স্বাভাবিক জীবন যাত্রায় হাল ছেড়ে দিয়ে নেশাকর ওষুধের অপব্যবহার, বাছবিচারহীন যৌনসম্ভোগ ও অন্যান্য ধ্বংসাত্মক জীবনযাত্রাকে চরিতার্থ করে থাকে। এর উত্তর কী? বাইবেলের সময়ের নিম্নোক্ত উদাহরণগুলি বিবেচনা করুন এবং দেখুন যে আশাবাদের কোন্‌ ভিত্তি রয়েছে—অতীতে, বর্তমানে ও ভবিষ্যতে।

অব্রাহামের আশাবাদ পুরস্কৃত হয়েছিল

সা.কা.পূ. ১৯৪৩ সালে অব্রাহাম হারণ থেকে যাত্রা করে ইউফ্রেটিস নদী পার হয়েছিলেন এবং কনান দেশে প্রবেশ করেছিলেন। অব্রাহাম “যাহারা বিশ্বাস করে . . . তাহাদের সকলের পিতা” হিসাবে বর্ণিত হয়েছেন আর কী এক উত্তম দৃষ্টান্তই না তিনি স্থাপন করেছিলেন!—রোমীয় ৪:১১.

অব্রাহামের ভাইয়ের অনাথ পুত্র লোট ও লোটের পরিবার অব্রাহামের সঙ্গে গিয়েছিল। পরে, যখন একসময় সেই দেশে দুর্ভিক্ষ হয়, ওই দুই পরিবার মিশরে চলে গিয়েছিল এবং যথাসময়ে তারা আবার একত্রে ফিরে এসেছিলেন। এই সময়ের মধ্যে অব্রাহাম ও লোট উভয়েই প্রচুর ধনসম্পদ আর সেই সাথে পশুপালও বৃদ্ধি করেছিলেন। যখন তাদের পশুপালকদের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়েছিল অব্রাহাম প্রথমে পদক্ষেপ নিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন: “বিনয় করি, তোমাতে ও আমাতে এবং তোমার পশুপালকগণে ও আমার পশুপালকগণে বিবাদ না হউক; কেননা আমরা পরস্পর জ্ঞাতি। তোমার সম্মুখে কি সমস্ত দেশ নাই? বিনয় করি, আমা হইতে পৃথক্‌ হও; হয়, তুমি বামে যাও, আমি দক্ষিণে যাই; নয়, তুমি দক্ষিণে যাও, আমি বামে যাই।”—আদিপুস্তক ১৩:৮, ৯.

বয়োজ্যেষ্ঠ হওয়াতে অব্রাহাম, বিষয়গুলি তার অনুকূলে পরিচালিত করতে পারতেন আবার লোট তার কাকার সম্মানার্থে মনোনয়নের বিষয়টি অব্রাহামের উপরই ছেড়ে দিতে পারতেন। পরিবর্তে, “লোট চক্ষু তুলিয়া দেখিলেন, যর্দ্দনের সমস্ত অঞ্চল সোয়র পর্য্যন্ত সর্ব্বত্র সজল, সদাপ্রভুর উদ্যানের ন্যায়, মিসর দেশের ন্যায়, কেননা তৎকালে সদাপ্রভু সদোম ও ঘমোরা বিনষ্ট করেন নাই। অতএব লোট আপনার নিমিত্তে যর্দ্দনের সমস্ত অঞ্চল মনোনীত . . . করিলেন।” এইধরনের এক মনোনয়ন করার মাধ্যমে লোটের আশাবাদী হওয়ার সম্পূর্ণ কারণ ছিল। কিন্তু অব্রাহামের সম্বন্ধে কী বলা যায়?—আদিপুস্তক ১৩:১০, ১১.

অব্রাহাম কি মূর্খের মত সিদ্ধান্ত নিয়ে তার পরিবারের মঙ্গলকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছিলেন? না। অব্রাহামের ইতিবাচক মনোভাব ও উদার আচরণ প্রচুর পুরস্কার এনেছিল। যিহোবা অব্রাহামকে বলেছিলেন: “চক্ষু তুলিয়া এই যে স্থানে তুমি আছ, এই স্থান হইতে উত্তর দক্ষিণে ও পূর্ব্ব পশ্চিমে দৃষ্টিপাত কর; কেননা এই যে সমস্ত দেশ তুমি দেখিতে পাইতেছ, ইহা আমি তোমাকে ও যুগে যুগে তোমার বংশকে দিব।”—আদিপুস্তক ১৩:১৪, ১৫.

অব্রাহামের আশাবাদের এক সুযুক্তিপূর্ণ ভিত্তি ছিল। এটি ঈশ্বরের সেই প্রতিজ্ঞার উপর ভিত্তি করে ছিল যে তিনি অব্রাহামের থেকে এক মহাজাতি উৎপন্ন করবেন, যেন “[অব্রাহামে] ভূমণ্ডলের যাবতীয় গোষ্ঠী আশীর্ব্বাদ প্রাপ্ত [হয়]।” (আদিপুস্তক ১২:২-৪, ৭) “যাহারা ঈশ্বরকে প্রেম করে, . . . তাহাদের পক্ষে সকলই মঙ্গলার্থে একসঙ্গে কার্য্য করিতেছে,” এটি জেনে আমাদেরও প্রত্যয়ী হওয়ার কারণ রয়েছে।—রোমীয় ৮:২৮.

দুইজন আশাবাদী গুপ্তচর

৪০০ বছরেরও বেশি সময় পরে, ইস্রায়েল জাতি ‘সেই দুগ্ধমধুপ্রবাহী দেশ,’ কনানে প্রবেশ করার জন্য প্রস্তুত ছিল। (যাত্রাপুস্তক ৩:৮; দ্বিতীয় বিবরণ ৬:৩) মোশি ‘দেশ অনুসন্ধান করিবার, এবং তাহাদের কোন্‌ পথ দিয়া উঠিয়া যাইতে হইবে, ও কোন্‌ কোন্‌ নগরে উপস্থিত হইতে হইবে, তাহার সংবাদ লইয়া আসিবার’ জন্য ১২ জন অধ্যক্ষকে নিযুক্ত করেছিলেন। (দ্বিতীয় বিবরণ ১:২২; গণনাপুস্তক ১৩:২) ১২ জন গুপ্তচরই সেই দেশের সমৃদ্ধি সম্বন্ধে বর্ণনার ক্ষেত্রে একমত ছিলেন কিন্তু তাদের মধ্যে ১০ জন এক নৈরাশ্যবাদী বিবৃতি দিয়েছিলেন যা লোকেদের হৃদয়ে ভীতির উদ্রেক করেছিল।—গণনাপুস্তক ১৩:৩১-৩৩.

অপরদিকে, যিহোশূয় ও কালেব লোকেদের কাছে এক আশাবাদী সংবাদ উপস্থাপন করেছিলেন এবং তাদের ভীতি হ্রাস করার জন্য যথাসম্ভব কাজ করেছিলেন। তাদের মনোভাব এবং বিবৃতি, প্রতিজ্ঞাত দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্বন্ধে তাঁর বাক্য পরিপূর্ণ করতে যিহোবার ক্ষমতার উপর তাদের পূর্ণ প্রত্যয়কে প্রতিফলিত করেছিল—কিন্তু কোন লাভ হয়নি। পরিবর্তে, “সমস্ত মণ্ডলী সেই দুই জনকে প্রস্তরাঘাতে বধ করিতে বলিল।”—গণনাপুস্তক ১৩:৩০; ১৪:৬-১০.

মোশি লোকেদের যিহোবার উপর আস্থা রাখতে পরামর্শ দিয়েছিলেন কিন্তু তারা তা শুনতে অগ্রাহ্য করেছিল। যেহেতু তারা তাদের নৈরাশ্যবাদী মনোভাবে একরোখা ছিল, তাই সম্পূর্ণ জাতিকে ৪০ বছর প্রান্তরে লক্ষ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়াতে হয়েছিল। ১২ জন গুপ্তচরের মধ্যে কেবল যিহোশূয় ও কালেব আশাবাদী হওয়ার পুরস্কার লাভ করেছিলেন। মূল সমস্যাটি কী ছিল? বিশ্বাসের অভাব, কেননা লোকেরা তাদের নিজ প্রজ্ঞার প্রতি দৃষ্টি দিয়েছিল।—গণনাপুস্তক ১৪:২৬-৩০; ইব্রীয় ৩:৭-১২.

যোনার দ্বিধা

সা.কা.পূ. নবম শতাব্দীতে যোনা বেঁচে ছিলেন। বাইবেল ইঙ্গিত করে যে ইস্রায়েলের দশ বংশের কাছে তিনি যিহোবার একজন বিশ্বস্ত ভাববাদী ছিলেন, যিনি দ্বিতীয় যারবিয়ামের রাজত্বকালের কিছু সময়ব্যাপী ছিলেন। তথাপি তিনি লোকেদের সতর্কবাণী প্রদানের জন্য নীনবীতে যাওয়ার নিযুক্তি গ্রহণ করাকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। ইতিহাসবিদ্‌ যোসিফাস বলেন যে যোনা “পালিয়ে যাওয়াকে অধিকতর উত্তম মনে করেছিলেন” আর পরিবর্তে তিনি যাফোতে যাচ্ছিলেন। সেখানে তিনি তর্শীশে গমনকারী এক জাহাজে উঠেছিলেন, যা সম্ভবত আধুনিক দিনের স্পেন। (যোনা ১:১-৩) যোনা কেন এই কার্যভারের প্রতি এইধরনের নৈরাশ্যবাদী দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেছিলেন, তা যোনা ৪:২ পদে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

পরিশেষে যোনা তার দায়িত্ব সম্পাদন করতে সম্মত হয়েছিলেন কিন্তু নীনবীর লোকেরা যখন অনুতপ্ত হয়, তিনি রেগে গিয়েছিলেন। তাই যিহোবা একটি এরণ্ড গাছ যেটির নিচে যোনা আশ্রয় নিয়েছিলেন, সেটিকে শুষ্ক ও উৎপাটন করার দ্বারা তাকে করুণা সম্বন্ধে এক উত্তম শিক্ষা দিয়েছিলেন। (যোনা ৪:১-৮) গাছটি মরে যাওয়ার কারণে যোনার দুঃখবোধ আরও যথার্থভাবে নীনবীর ১,২০,০০০ জন লোকের প্রতি পরিচালিত হওয়া উচিত ছিল, যারা “দক্ষিণ হস্ত হইতে বাম হস্তের প্রভেদ জানে না।”—যোনা ৪:১১.

যোনার অভিজ্ঞতা থেকে আমরা কী শিখতে পারি? পবিত্র সেবায় নৈরাশ্যবাদের কোন স্থান নেই। যদি আমরা যিহোবার নির্দেশনাকে উপলব্ধি করি এবং পূর্ণ প্রত্যয়ের সাথে তা মেনে চলি, তাহলে আমরা সাফল্য উপভোগ করব।—হিতোপদেশ ৩:৫, ৬.

প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে আশাবাদ

“তুমি দুরাচারদের বিষয়ে রুষ্ট হইও না,” রাজা দায়ূদ ঘোষণা করেছিলেন। “অধর্ম্মাচারীদের প্রতি ঈর্ষা করিও না।” (গীতসংহিতা ৩৭:১) এটি বাস্তবিকই এক বিজ্ঞ পরামর্শ, কেননা আজকে আমাদের চতুর্দিকে অন্যায় ও অসততা বিদ্যমান।—উপদেশক ৮:১১.

যদিও আমরা অধার্মিকদের প্রতি ঈর্ষা করি না কিন্তু যখন আমরা দেখি যে নির্দোষ লোকেরা দুষ্টদের কাছ থেকে কষ্ট ভোগ করছে অথবা যখন আমাদের নিজেদের সাথে অন্যায় আচরণ করা হয়, তখন নৈরাশ্য বোধ করা স্বাভাবিক। এইধরনের অভিজ্ঞতাগুলি হয়ত আমাদের মধ্যে এমনকি এক হতাশাজনক অথবা নৈরাশ্যবাদী মনোভাব গড়ে তুলতে পারে। আমরা যখন এইরকম অনুভব করি, তখন আমাদের কী করা উচিত? প্রথমে আমরা মনে রাখতে পারি যে দুষ্টেরা উদ্বেগহীনভাবে মনে করতে পারে না, যে প্রতিশোধ কখনও আসবে না। গীতসংহিতা ৩৭ অধ্যায় ২ পদ আমাদের আশ্বাস দেয়: “তাহারা [দুরাচারেরা] ঘাসের ন্যায় শীঘ্র ছিন্ন হইবে, হরিৎ তৃণের ন্যায় ম্লান হইবে।”

এছাড়াও, আমরা যা উত্তম তা করে চলতে, আশাবাদী থাকতে এবং যিহোবার অপেক্ষা করতে পারি। “তুমি মন্দ হইতে দূরে যাও, সদাচরণ কর, চিরকাল বাস করিবে,” গীতরচক বলে চলেন। “কেননা সদাপ্রভু ন্যায়বিচার ভালবাসেন; তিনি আপন সাধুগণকে পরিত্যাগ করেন না।”—গীতসংহিতা ৩৭:২৭, ২৮.

প্রকৃত আশাবাদ বিজয়লাভ করে!

অতএব, আমাদের ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে কী বলা যায়? বাইবেলের বই প্রকাশিত বাক্য, “যাহা যাহা শীঘ্র ঘটিবে, সেই সকল” বিষয়ে আমাদের বলে। সেগুলির মধ্যে ‘পৃথিবী হইতে শান্তি অপহরণ করার জন্য’ যুদ্ধকে প্রতিনিধিত্বকারী লোহিত বর্ণ অশ্বে এক আরোহী প্রকাশিত হয়েছে।—প্রকাশিত বাক্য ১:১; ৬:৪.

১ম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে ব্রিটেনে এক জনপ্রিয়—এবং আশাবাদী—ধারণা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল যে, এটিই হবে শেষ বৃহৎ যুদ্ধ। ১৯১৬ সালে, ব্রিটিশ কূটনীতিজ্ঞ ডেভিড লয়েড জর্জ আরও বেশি বাস্তববাদী ছিলেন। তিনি বলেছিলেন: “যুদ্ধকে শেষ করার জন্য, এই যুদ্ধ হল পরবর্তী যুদ্ধের মত একটি যুদ্ধ।” (বাঁকা অক্ষরে মুদ্রণ আমাদের।) তিনিই ঠিক ছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ কেবল ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের চরম নিষ্ঠুর পদ্ধতির উৎপাদনকেই ত্বরান্বিত করেছিল। এর প্রায় ৫০ বছরেরও বেশি সময় পরে, এখনও যুদ্ধ শেষ হওয়ার কোন আশা দেখা যায় না।

প্রকাশিত বাক্যের একই বইয়ে আমরা অন্যান্য অশ্বারোহীদের সম্বন্ধেও পড়ি—যারা দুর্ভিক্ষ, মহামারী এবং মৃত্যুকে চিত্রিত করে। (প্রকাশিত বাক্য ৬:৫-৮) এগুলি সময়ের চিহ্নের আরও অন্যান্য দিক।—মথি ২৪:৩-৮.

এগুলি কি নৈরাশ্যবাদের কারণ? কোনক্রমেই না, কেননা দর্শন এটিও বর্ণনা করে যে, “এক শুক্লবর্ণ অশ্ব, এবং তাহার উপরে যিনি বসিয়া আছেন, তিনি ধনুর্ধারী, ও তাঁহাকে এক মুকুট দত্ত হইল; এবং তিনি জয় করিতে করিতে ও জয় করিবার জন্য বাহির হইলেন।” (প্রকাশিত বাক্য ৬:২) এখানে আমরা যীশু খ্রীষ্টকে এক স্বর্গীয় রাজা হিসাবে দেখি যিনি সমস্ত দুষ্টতাকে সরিয়ে বিশ্বব্যাপী শান্তি ও ঐক্য স্থাপন করার জন্য পরিভ্রমণ করছেন।a

মনোনীত রাজা হিসাবে যীশু খ্রীষ্ট পৃথিবীতে থাকাকালীন তাঁর শিষ্যদের সেই রাজ্যের জন্য প্রার্থনা করতে শিখিয়েছিলেন। সম্ভবত আপনাকেও “আমাদের পিতা” অথবা প্রভুর প্রার্থনা বলতে শেখান হয়েছে। এতে আমরা ঈশ্বরের রাজ্য আসার, তাঁর ইচ্ছা স্বর্গের ন্যায় এই পৃথিবীতে পরিপূর্ণ হওয়ার জন্য প্রার্থনা করি।—মথি ৬:৯-১৩.

বর্তমান বিধিব্যবস্থার সাময়িক সংস্কারসাধন করতে চেষ্টা করার পরিবর্তে, যিহোবা তাঁর মশীহ রাজা, খ্রীষ্ট যীশুর মাধ্যমে তা সম্পূর্ণরূপে সরিয়ে দেবেন। যিহোবা বলেন যে এর স্থলে “আমি নূতন আকাশমণ্ডলের ও নূতন পৃথিবীর সৃষ্টি করি; এবং পূর্ব্বে যাহা ছিল, তাহা স্মরণে থাকিবে না, আর মনে পড়িবে না।” স্বর্গীয় রাজ্য সরকারের অধীনে, মানবজাতির জন্য পৃথিবী এক শান্তিপূর্ণ, সুখী গৃহে পরিণত হবে যেখানে জীবন ও কাজ অবিরতভাবে আনন্দদায়ক হবে। “আমি যাহা সৃষ্টি করি, তোমরা তাহাতে চিরকাল আমোদ ও উল্লাস কর,” যিহোবা বলেন। “আমার মনোনীত লোকেরা দীর্ঘকাল আপন আপন হস্তের শ্রমফল ভোগ করিবে।” (যিশাইয় ৬৫:১৭-২২) আপনার ভবিষ্যৎ আশাকে যদি আপনি এই অব্যর্থ প্রতিজ্ঞার উপর স্থাপন করেন, তাহলে আপনার আশাবাদী হওয়ার প্রত্যেকটি কারণ থাকবে—এখন এবং চিরকাল!

[পাদটীকাগুলো]

a এই দর্শনের উপর বিস্তারিত আলোচনার জন্য, দয়া করে ওয়াচটাওয়ার বাইবেল অ্যান্ড ট্র্যাক্ট সোসাইটি দ্বারা প্রকাশিত, প্রকাশিত বাক্য—তার মহান পরিপূর্ণতা সন্নিকট! (ইংরাজি), বইয়ের অধ্যায় ১৬ দেখুন।

[৪ পৃষ্ঠার চিত্র]

এইচ. জি. ওয়েলস

[সজন্যে]

Corbis-Bettmann

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার