পশ্চিম আফ্রিকায় একটি ডাকাতির পরিকল্পনা ভেস্তে যায়
ইউনিস অ্যাবু দ্বারা কথিত
“সাধারণত যে দিন আমাদের ঘরে বুকস্টাডি হয়ে থাকে ঠিক সেই দিনই সশস্ত্র ডাকাতদল হামলা করার পরিকল্পনা করেছিল। আমরা আমাদের গেটগুলি ভাইবোন এবং আগ্রহী ব্যক্তিদের জন্য সম্পূর্ণ খুলে রাখি। সম্ভবত ডাকাতরা জানে যে এই সময় আমরা গেট খোলা রাখি এবং সভায় থাকি। নিশ্চয়ই তারা অন্য কোথাও থেকে গাড়ি চুরি করে, আমাদের বুকস্টাডির দিনে সেই সময়েই আমাদের গেটের কাছে অপেক্ষা করছিল।
“কিন্তু ঘটনাচক্রে যে সপ্তাহে তারা এসেছিল, সেই সপ্তাহেই আবার সীমা অধ্যক্ষের পরিদর্শন চলছিল। তাই সেদিন ঘরে সভা না হয়ে কিংডম হলে হয়েছিল। সভা শেষ হওয়ার পর প্রাচীনদের সভা ছিল। সাধারণত আমি ছেলেমেয়েদের নিয়ে ঘরে চলে আসি কিন্তু আমার স্বামী একজন প্রাচীন ছিলেন। তাই তিনি বলেন খুব বেশি সময় লাগবে না, আমরা যেন একটু অপেক্ষা করি। আর আমরা অপেক্ষা করি।
“এরপর আমরা দেখি যে গাড়িটি চালু হচ্ছে না। সীমা অধ্যক্ষ এবং আমার স্বামী এটিকে সারাবার চেষ্টা করেও পারেননি। এমনকি যে কারিগরকে ডাকা হয়েছিল তিনিও পারেননি।
“তাই ছেলেমেয়েরা হেঁটেই বাড়ি চলে যায়। এর কিছুক্ষণ পর, আমিও চলে আসি। আমি প্রায় রাত ১০টায় ঘরে পৌঁছাই। আমরা কেউই গাড়িতে করে আসিনি বলে বড় গেট খুলতে হয়নি।
“আমি শোয়ার ঘরে ঢোকামাত্রই গুলির এক বিকট আওয়াজ শুনতে পাই। আমি ভাবি কী হচ্ছে। আমি পুলিশকে ফোন করার চেষ্টা করি কিন্তু ফোন ডেড ছিল। আমি দ্রুত নিচে গিয়ে ইস্পাতের গেটে তালা লাগাই, তারপর তাড়াতাড়ি করে মাঝের দরজাটিতেও তালা লাগিয়ে দিই। আমি বাতি নিভিয়ে দিই। ছেলেমেয়েরা ভয় পেয়ে যায় তাই আমি তাদেরকে শান্ত থাকতে বলি। আমরা সবাই মিলে যিহোবার কাছে প্রার্থনা করি যেন তিনি আমাদের রক্ষা করেন। আর আমার স্বামী তখনও কিংডম হলে গাড়িটি মেরামতের চেষ্টা করছিলেন।
“আমি জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখি যে গেটের বাইরে একজন লোক রাস্তায় পড়ে আছেন। আর মনে হয়েছিল যে ডাকাতেরা চলে গেছে, তাই আমি আহত লোকটিকে আমার গাড়িতে করে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাই। যদিও তা ঝুঁকিপূর্ণ ছিল কিন্তু আমার কিছু একটা করা দরকার ছিল। তবে দুঃখের কথা যে পরের দিন তিনি মারা যান।
“যদিও যা কিছু ঘটেছিল তা মর্মান্তিক ছিল কিন্তু আরও বেশি কিছু ঘটতে পারত। সীমা অধ্যক্ষের পরিদর্শনের কারণে আমরা ঘরে বুকস্টাডি করিনি। গাড়ি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় পরিবারের সকলে একসঙ্গে গাড়িতে করে বাড়ি ফিরিনি। আমার স্বামী অনেক রাতে বাড়ি ফিরেছিল, না হলে ডাকাতরা তাকে অবশ্যই আঘাত করত। এই সবকিছু ঘটার জন্যই আমরা সেই রাতে বেঁচে গিয়েছিলাম।
“যিহোবাই হলেন আমাদের দৃঢ়দুর্গ এবং আশ্রয়। যেমন শাস্ত্র বলে: “যদি সদাপ্রভু নগর রক্ষা না করেন, রক্ষক বৃথাই জাগরণ করে।””—গীতসংহিতা ১২৭:১.