যখন সশস্ত্র ডাকাতদল হামলা করে
পশ্চিম আফ্রিকার অভিজাত শহরতলি, ইকোয়ির বাসভবনগুলি যেন দুর্গে পরিণত হয়েছে। বেশিরভাগ ভবনগুলির চারিদিকে তিন মিটার উঁচু দেওয়াল রয়েছে। দেওয়ালের উপরিভাগে পেরেক, ভাঙা কাঁচের টুকরা গেঁথে দেওয়া হয়েছে নয়তো বা কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। পাহাড়াদারেরা বিশাল গেটগুলিতে পাহাড়া দেয় আর তাতে হুড়কা, গরাদ, শিকল ও তালা লাগানো থাকে। জানালাগুলি গরাদ দিয়ে ঘেরা। শোয়ার ঘর ও অন্যান্য ঘরগুলির মাঝখানে ইস্পাতের দরজা লাগানো হয়। রাতের বেলা বড় বড় অ্যালসেশিয়ান এবং ডোবারম্যান কুকুরগুলিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। উজ্জ্বল আলোয় অন্ধকার উধাও হয়ে যায়। আর যখন সবকিছু ঠিক-ঠিক চলছে কমপিউটার নিয়ন্ত্রিত প্রহরা যন্ত্রগুলি ধীরে ধীরে আওয়াজ করতে থাকে।
প্রত্যেকেই মনে করেন যে তাদের বাড়ির নিরাপত্তার প্রয়োজন। সংবাদপত্রের শিরোনামগুলি খেদ প্রকাশ করে বলে: “সশস্ত্র ডাকাতদের এলাকার পর এলাকা লুঠ”; “কিশোর ছিনতাইকারীরা অদম্য হয়ে উঠছে”; “ডাকাতদের উৎপাতে শহর অতিষ্ঠ”, এই হল বিভিন্ন দেশের অবস্থা। বাইবেলের ভাববাণী অনুযায়ী আমরা সত্যই বিষম সময়ে আছি।—২ তীমথিয় ৩:১.
পৃথিবীর সব জায়গায় সশস্ত্র ডাকাতি সেইসঙ্গে অন্যান্য অপরাধের হার বাড়ছে। দিন দিন সরকারগুলি তাদের নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে কিংবা এ ব্যাপারে তাদের কোন আগ্রহই নেই। কিছু কিছু দেশে পুলিশ নেই বললেই চলে আর থাকলেও তাদের কাছে কোন অস্ত্র থাকে না তাই তারা কোন সাহায্যেও আসে না। ঘটনাস্থলে উপস্থিত বেশিরভাগ লোকেই এতে জড়াতে চান না।
যারা ছিনতাইয়ের কবলে পরেন তারা পুলিশ কিংবা জনগণের সাহায্যের উপর আস্থা রাখতে পারছে না বলে নিজেরাই নিজেদের রক্ষার ব্যবস্থা করেন। একটি উন্নয়নশীল দেশের একজন খ্রীষ্টীয় প্রাচীন বলেন: “ছিনতাইয়ের সময় আপনি যদি চিৎকার করেন তাহলে তারা আপনাকে হয় পঙ্গু করে দেবে অথবা খুন করবে। অন্য কারও সাহায্যের কথা ভুলে যান। যদি নিজের থেকে কেউ এগিয়ে আসে তো ভাল কিন্তু তা আশা করবেন না কারণ এতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।”
ঈশ্বরের বাক্য ও আপনার সুরক্ষা
খ্রীষ্টানেরা জগতের অংশ না হলেও তারা জগতের মধ্যেই বাস করেন। (যোহন ১৭:১১, ১৬) সুতরাং অন্যান্যদের মতো তারাও নিরাপত্তার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন। কিন্তু, যারা যিহোবাকে সেবা করেন না তাদের বিপরীতে ঈশ্বরের লোকেরা খ্রীষ্টীয় নীতির মধ্যে থেকে সুরক্ষা খোঁজেন।
অন্যদিকে, আফ্রিকার কিছু কিছু দেশে লোকেরা ডাকাতদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য জাদুমন্ত্র করেন। একজন ওঝা এক ব্যক্তির হাতের কব্জি, বুক অথবা পিঠের কিছু অংশ চেড়ে। তারপর সেই চেড়া জায়গায় জাদু করা ওষুধ লাগিয়ে দিয়ে মন্ত্র পড়ে আর ধরে নেওয়া হয় যে ব্যক্তিটি ডাকাতদের হামলা থেকে মুক্ত। অন্যরা সঙ্গে তাবিজ রাখেন অথবা তাদের ঘরে মন্ত্রপড়া জল রাখেন আর বিশ্বাস করেন যে এই “নিরাপত্তা ব্যবস্থা” নেওয়ার ফলে ডাকাতরা তাদের কোন কিছু লুঠ না করেই চলে যাবে।
কোন ধরনের জাদুর সঙ্গেই সত্য খ্রীষ্টানদের সম্পর্ক নেই। বাইবেল সকল ধরনের প্রেতচর্চাকে নিন্দা করে আর তা ন্যায়সংগত কারণ এইধরনের কাজ মন্দ দূতেদের সঙ্গে লোকেদের যোগাযোগ করিয়ে দেয়, যে দূতেরা পৃথিবীতে হিংস্রতা বৃদ্ধি করছে। (আদিপুস্তক ৬:২, ৪, ১১) বাইবেল স্পষ্টভাবে বলে: “তোমরা . . . গণকের বিদ্যা ব্যবহার করিও না।”—লেবীয় পুস্তক ১৯:২৬.
কিছু কিছু লোকেরা মরিয়া হয়ে নিজেদের নিরাপত্তার জন্য সঙ্গে অস্ত্র রাখেন। কিন্তু খ্রীষ্টানেরা যীশুর এই কথাকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন, যা বলে: “যে সকল লোক খড়গ ধারণ করে, তাহারা খড়গ দ্বারা বিনষ্ট হইবে।” (মথি ২৬:৫২) ঈশ্বরের লোকেরা ‘আপন আপন বড়শা ভাঙ্গিয়া কাস্ত্যা গড়েছেন’ এবং তারা ডাকাত কিংবা সহসা কোন আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য অস্ত্র কেনেন না।—মীখা ৪:৩.
কিন্তু আমরা কি আমাদের ঘরের সুরক্ষার জন্য কোন সশস্ত্র প্রহরী রাখতে পারি? যদিও এটি ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের ব্যাপার তবুও মনে রাখুন যে এটি করার অর্থ হবে অন্যের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া। ডাকাতদল হামলা করলে মালিক পাহাড়াদারের কাছে কী আশা করবেন? তিনি কি আশা করবেন না যে দরকার হলে তার পরিবার এবং ধনসম্পত্তি রক্ষার জন্য তারা ডাকাতকে গুলি করবে?
খ্রীষ্টানেরা নিজেদের সুরক্ষার জন্য জাদুমন্ত্র করেন না, অস্ত্রও রাখেন না আর এই বিষয়ে তাদের দৃঢ়সঙ্কল্প যারা ঈশ্বরকে জানে না তাদের কাছে বোকামি বলে মনে হতে পারে। কিন্তু বাইবেল আমাদের নিশ্চয়তা দেয়: “যে সদাপ্রভুতে বিশ্বাস করে, সে উচ্চে স্থাপিত [সুরক্ষিত] হইবে।” (হিতোপদেশ ২৯:২৫) যিহোবা তাঁর লোকেদের একটি সংগঠন হিসাবে সুরক্ষা যোগালেও, প্রতিটি ক্ষেত্রেই তিনি তাঁর দাসদের ডাকাতদলের হাত থেকে রক্ষা করেন না। ইয়োব অত্যন্ত বিশ্বস্ত ছিলেন, কিন্তু তারপরও দস্যুরা যখন চাকরদের হত্যা করে ইয়োবের পশুপাল লুঠ করেছিল তখন ঈশ্বর বাধা দেননি। (ইয়োব ১:১৪, ১৫, ১৭) ঈশ্বর প্রেরিত পৌলকেও ‘দস্যুসঙ্কট’ থেকে বাঁচাননি। (২ করিন্থীয় ১১:২৬) তাসত্ত্বেও, ঈশ্বর তাঁর দাসেদের এমন নীতি অনুসারে জীবনযাপন করতে শিক্ষা দেন যা লুন্ঠিত হওয়ার ঝুঁকিকে কমিয়ে দেয়। এছাড়াও তিনি তাদের জ্ঞান দিয়ে থাকেন যা তাদেরকে ডাকাতদের হামলার মুখে এমন আচরণ করতে সাহায্য করে যে তা ক্ষতির সম্ভাবনাকে কমিয়ে দেয়।
ডাকাতির আশঙ্কা কমিয়ে দেওয়া
অনেক আগে এক বিজ্ঞ ব্যক্তি উল্লেখ করেছিলেন: “ধনবানের পূর্ণতা তাহাকে নিদ্রা যাইতে দেয় না।” (উপদেশক ৫:১২) অন্য কথায়, যাদের প্রচুর সম্পদ রয়েছে তাদের সম্পদ লুঠ হওয়ার ভয়ে তারা এত বেশি উদ্বিগ্ন থাকেন যে তাদের ঘুম হয় না।
সুতরাং শুধু উদ্বিগ্নতাই নয় কিন্তু ডাকাতির আশঙ্কা কমানোর একটি উপায় হল প্রচুর দামি জিনিসপত্র সংগ্রহ না করা। অনুপ্রাণিত প্রেরিত লিখেছিলেন: “জগতে যে কিছু আছে, মাংসের অভিলাষ, চক্ষুর অভিলাষ, ও জীবিকার দর্প, এ সকল পিতা হইতে নয়, কিন্তু জগৎ হইতে হইয়াছে।” (১ যোহন ২:১৬) যে আকাঙ্ক্ষায় লোকেরা দামি জিনিসপত্র কেনেন সেই একই আকাঙ্ক্ষা অন্যদের চুরি করতে প্ররোচিত করে। আর “জীবিকার দর্প” অর্থাৎ দামি জিনিসপত্র দেখানো হয়তো চোরদের আকর্ষিত করতে পারে।
সাধারণ জীবনযাপন করা ছাড়াও ডাকাতদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার আরেকটি উপায় হল নিজেকে সত্য খ্রীষ্টান হিসাবে দেখানো। আপনি যদি অন্যদের প্রতি ভালবাসা দেখান, আপনার আচারব্যবহারে সৎ হন এবং খ্রীষ্টীয় পরিচর্যায় উদ্যোগী হন, তাহলে আপনি আপনার এলাকায় একজন ভাল লোক হবেন এবং সকলে আপনাকে সম্মান করবে। (গালাতীয় ৫:১৯-২৩) এইধরনের খ্রীষ্টীয় সুনাম অস্ত্রের চেয়েও আরও বেশি নিরাপত্তা দেবে।
যখন সশস্ত্র ডাকাতদল আসে
কিন্তু আপনি কী করবেন যদি ডাকাতেরা আপনার ঘরে ঢুকে পড়ে এবং আপনাকে ঘিরে ফেলে? মনে রাখবেন আপনার জীবন সম্পদের তুলনায় অনেক বেশি মূল্যবান। যীশু খ্রীষ্ট বলেছিলেন: “তোমরা দুষ্টের প্রতিরোধ করিও না; বরং যে কেহ তোমার দক্ষিণ গালে চড় মারে, অন্য গাল তাহার দিকে ফিরাইয়া দেও। আর যে . . . তোমার আঙ্রাখা লইতে চায়, তাহাকে চোগাও লইতে দেও।”—মথি ৫:৩৯, ৪০.
এটি একটি বিজ্ঞ পরামর্শ। যদিও খ্রীষ্টানেরা তাদের বিষয়সম্পত্তি কোথায় আছে তা ডাকাতদের বলতে বাধ্য নন কিন্তু ডাকাতরা যদি টের পায় যে তাদের সবকিছু ঠিক-ঠিক বলা হচ্ছে না বা কিছু লুকানো হচ্ছে অথবা তাদের ধোকা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে তাহলে তারা আরও হিংস্র হয়ে উঠতে পারে। তাদের মধ্যে অনেকেই “অসাড় হইয়া, [সম্পূর্ণ হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে]” সহজেই নৃশংস, নির্মম হয়ে ওঠে।—ইফিষীয় ৪:১৯.
স্যামুয়েল একটি এপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স-এ থাকেন। ডাকাতেরা বিল্ডিং ঘেরাও করে একটির পর একটি ফ্ল্যাটে ডাকাতি করতে থাকে। স্যামুয়েল গুলির আওয়াজ, দরজা ভাঙ্গার শব্দ আর চিৎকার, কান্না ও আর্তনাদ শুনতে পান। পালানো সম্ভব ছিল না। স্যামুয়েল তার স্ত্রী এবং তিন ছেলেকে মেঝের ওপর হাঁটু গেড়ে, হাত উপরে উঠিয়ে চোখ বন্ধ করে অপেক্ষা করতে বলেন। ডাকাতরা যখন ঝড়ের বেগে ঘরের মধ্যে ঢোকে স্যামুয়েল নিচের দিকে তাকিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলেন, এই চিন্তা করে যে যদি তিনি তাদের দিকে তাকিয়ে কথা বলেন তাহলে তারা হয়ত মনে করতে পারে যে পরে তিনি তাদের চিনতে পারবেন। তিনি বলেন: “ভিতরে আসুন।” “যা কিছু আপনারা চান, নিন। আপনাদের ইচ্ছামতো যে কোন জিনিস নিতে পারেন। আমরা যিহোবার সাক্ষী, আমরা আপনাদের বাধা দেব না।” তা শুনে ডাকাতরা অবাক হয়ে যায়। এক ঘন্টার মধ্যে মোট ১২ জনের সশস্ত্র একটি দল আসে। যদিও তারা গয়না, টাকাপয়সা এবং বৈদ্যুতিক সামগ্রী নিয়ে যায় কিন্তু বিল্ডিংয়ের অন্যান্যদের মতো এই পরিবারটিকে মারধর কিংবা ছুরি দিয়ে আঘাত করেনি। তাদের জীবন রক্ষার জন্য স্যামূয়েলের পরিবার যিহোবার কাছে কৃতজ্ঞ।
এই উদাহরণটি দেখায় যে টাকা এবং বস্তুসামগ্রী নেওয়ার সময় গৃহকর্তা যদি ডাকাতদের বাধা না দেন তবে তা আঘাতের সম্ভাবনাকে কমিয়ে দেয়।a
কখনও কখনও একজন খ্রীষ্টানের সাক্ষ্য দানও আঘাত থেকে রক্ষা করতে পারে। ডাকাতরা যখন ভাই অ্যাডির ঘরে হামলা করেছিল তখন তিনি তাদের বলেছিলেন: “আমি জানি যে কঠিন পরিস্থিতির কারণে অতিষ্ঠ হয়েই আপনারা এই পথ নিয়েছেন। যিহোবার সাক্ষী হিসাবে আমরা বিশ্বাস করি যে এমন একদিন আসবে যখন প্রত্যেকের জন্য যথেষ্ট খাদ্য থাকবে। ঈশ্বরের রাজ্যে প্রত্যেকে সুখে শান্তিতে থাকবে।” ফলে ডাকাতরা শান্ত হয়ে যায়। একজন ডাকাত বলে: “আমরা দুঃখিত যে আমরা আপনার ঘরে ঢুকে পড়েছি কিন্তু আপনি নিশ্চিয়ই বুঝতে পেরেছেন যে আমরা ক্ষুধার্ত।” যদিও তারা অ্যাডির ধনসম্পদ নিয়েছিল কিন্তু তারা তাকে এবং তার পরিবারের কাউকে স্পর্শও করেনি।
শান্ত থাকা
যেহেতু ডাকাতদের প্রথম লক্ষ্য থাকে তাদের শিকারদের ভয় দেখিয়ে বশীভূত করা তাই সেই বিপদজনক পরিস্থিতিতে শান্ত থাকা সহজ নয়। এই সময় প্রার্থনা আমাদের সাহায্য করবে। আমরা মনে মনে কিংবা সংক্ষেপে প্রার্থনা করলেও যিহোবা তা শুনবেন। বাইবেল আমাদের নিশ্চয়তা দেয়: “ধার্ম্মিকগণের প্রতি সদাপ্রভুর দৃষ্টি আছে, তাহাদের আর্ত্তনাদের প্রতি তাঁহার কর্ণ আছে।” (গীতসংহিতা ৩৪:১৫) যিহোবা আমাদের বিনতি শোনেন এবং যে কোন পরিস্থিতিকে শান্তভাবে মোকাবিলার জন্য প্রজ্ঞা দেন।—যাকোব ১:৫.
প্রার্থনা করা ছাড়াও, শান্ত থাকার আরেকটি উপায় আছে যা আমাদের সাহায্য করতে পারে। আপনার আগে থেকেই চিন্তা করে নেওয়া দরকার যে ডাকাতদের খপ্পড়ে পড়লে আপনি কী করবেন আর কী করবেন না। অবশ্য তা আগে থেকে জানা সম্ভব নয় যে আপনি তখন কি অবস্থায় থাকবেন। তবুও, কোন বিল্ডিং-এ আগুন লাগলে আপনি যদি সেখানে থাকেন তবে নিরাপত্তার জন্য কিছু পদ্ধতি জানা যেমন বিজ্ঞের কাজ, তেমনই এক্ষেত্রেও কিছু বিষয় মনে রাখা ভাল। আগে থেকেই প্রস্তুত থাকলে তা আপনাকে শান্ত থাকতে, ভয় এড়াতে এবং আঘাত থেকে রক্ষা পেতে সাহায্য করবে।
বাইবেলে ডাকাতি সম্পর্কে ঈশ্বরের দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্টভাবে বর্ণিত আছে: “আমি সদাপ্রভু ন্যায়বিচার ভালবাসি, অধর্ম্মযুক্ত অপহরণ ঘৃণা করি।” (যিশাইয় ৬১:৮) যিহোবা তাঁর ভাববাদী যিহিষ্কেলকে লিখতে অনুপ্রাণিত করেছিলেন যে ডাকাতি একটি গুরুতর পাপ। (যিহিষ্কেল ১৮:১৮) আবার বাইবেলের সেই একই বই দেখায় যে যদি সেই ব্যক্তি অনুতপ্ত হয়ে লুঠ করা জিনিসপত্র ফিরিয়ে দেন তাহলে ঈশ্বর করুণা সহকারে সেই সকল ব্যক্তিদের ক্ষমা করবেন।—যিহিষ্কেল ৩৩:১৪-১৬.
অপরাধপূর্ণ জগতে বাস করা সত্ত্বেও খ্রীষ্টানেরা ঈশ্বরের রাজ্যে বেঁচে থাকার প্রত্যাশায় আনন্দ করেন, যখন আর কোন ধরনের লুঠপাট থাকবে না। সেই সময় সম্পর্কে বাইবেল প্রতিজ্ঞা করে: “[ঈশ্বরের লোকেরা] আপন আপন দ্রাক্ষালতার ও আপন আপন ডুমুরবৃক্ষের তলে বসিবে; কেহ তাহাদিগকে ভয় দেখাইবে না; কেননা বাহিনীগণের সদাপ্রভুর মুখ ইহা বলিয়াছে।”—মীখা ৪:৪.
[পাদটীকাগুলো]
a তবে এটা ঠিক যে আমরা সবসময় ডাকাতদের কথা মেনে নিতে পারি না। যিহোবার সাক্ষীরা ডাকাতদের কথা শুনে কোন ভাবেই ঈশ্বরের আইন ভঙ্গ করবে না। উদাহরণস্বরূপ, একজন খ্রীষ্টান কখনও স্বেচ্ছায় ধর্ষণ করতে দেবেন না।