চোর-বিহীন একটি জগৎ
কত দ্রুত ঘটনাটি ঘটে গেল। ব্রাজিলের সাও পাওলোতে অ্যান্টোনিওরa বাড়ির সামনে, একজন সুসজ্জিত ব্যক্তি তার মাথার দিকে পিস্তল নিশানা করে তার গাড়ির চাবি এবং দলিলপত্র চায়, আর তারপর তাড়াতাড়ি সেই গাড়ি চালিয়ে চলে যায়।
রিও ডি জেনিরোতে, পাওলোর দশ বছর বয়স্ক মেয়ের সামনে, চার জন অস্ত্রসস্ত্র-সজ্জিত লোক পাওলোকে কাবু করে ফেলে। তারপর, তার বাড়ি পর্যন্ত গাড়ি চালিয়ে এসে চোরেরা যা ইচ্ছা তাই সঙ্গে নিয়ে পাওলোর দুটি গাড়ি বোঝাই করে ফেলে। তারপর খুন করার ভয় দেখিয়ে পাওলোর স্ত্রী এবং একজন কর্মচারীকে সঙ্গে নিয়ে শহরের অন্যদিকে পাওলোর গায়নার দোকানে যায় এবং সেখান থেকেও মূল্যবান সবকিছু লুট করে নেয়। পরে অবশ্য আশাতীতভাবে চোরেরা ফোন করে জানিয়ে দেয় যে গাড়িগুলো তারা কোথায় রেখেছে।
বহু কষ্টে অর্জন করা টাকাপয়সা এবং জিনিসপত্র চুরি যাওয়া কত হতাশাজনক বিষয়! অ্যান্টোনিও অথবা পাওলো না করলেও, অন্য অনেকে আইনের কাজ নিজের হাতে তুলে নেয়। তারা হয়ত চোরকে জখম অথবা খুন করতে পারে অথবা নিজেদের জীবন হারাতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, একটি যুবক যখন একজন ব্রাজিলিয়ান মহিলার ঘড়ি ছিনতাই করে, তখন রেগে গিয়ে সেই মহিলা তার ব্যাগ থেকে পিস্তল বের করে চোরটিকে গুলি করে এবং সে মারা যায়। তার ফল? ও এস্টাডো ডি সাও পাওলো জানিয়েছে: “যারা ঘটনাটি দেখেছিল তারা সেই অজানা মহিলার সাহসের প্রশংসা করে আর কেউ তাকে শনাক্ত করতে পুলিশকে সাহায্য করতে চায় না।” চোর-বিহীন একটি জগৎ কামনা করলেও, খ্রীষ্টানেরা সেই মহিলার মতো পাল্টা জবাব দেয় না। যেহেতু প্রতিশোধ নেওয়া ঈশ্বরের কাজ, সেই জন্য তারা হিতোপদেশ ২৪:১৯, ২০ পদের উপদেশ মেনে চলে: “তুমি দুরাচারদের বিষয়ে রুষ্ট হইও না; দুষ্টগণের প্রতি ঈর্ষা করিও না। যেহেতু দুর্বৃত্ত লোকের শেষ ফল হইবে না।”
কিন্তু আক্রমণ করা হলে আপনি কী করতে পারেন? রিও ডি জেনিরোর একটি ঘটনা দেখায় যে শান্ত থাকা কতটা গুরত্বপূর্ণ। এলোইসা নামে একজন খ্রীষ্টান বাসে করে একজনের সাথে বাইবেল অধ্যয়ন করতে যাচ্ছিল। দুইজন ব্যক্তি যাত্রিদের লুট করতে শুরু করে। যেখানে তার নামার কথা ছিল সেখানে পৌঁছে, এলোইসা তাদের বলে যে সে একজন যিহোবার সাক্ষী এবং বাইবেল অধ্যয়ন করতে যাচ্ছে। সে তার বাইবেল এবং অধ্যয়নের বইটি তাদের দেখায়। তার জিনিসপত্র না নিয়েই, চোরেরা তাকে যেতে দেয়। আরেকজন যাত্রীকে কিন্তু যেতে দেওয়া হয় না। বাসের চালক পরে বলেছিল যে এইরকম কিছু সে আগে কখনও দেখেনি।
দুজন সশস্ত্র লোক যখন রেজিনাকে তার গাড়িতে উঠতে বলে, তখন সেও শান্ত থেকেছিল। তার ব্যক্তিগত আওয়েক! পত্রিকা দেখিয়ে সে তাদের সাক্ষ্য দিয়েছিল। যেহেতু চোর দুজন উদ্বেগে ভুগছিল, রেজিনা তাদের বলে যে গাড়ির ড্যাশবোর্ডে জিনিসপত্র রাখার বাক্সটি খুলে দেখতে যেখানে সে কিছু মিষ্টি রেখেছিল। কিন্তু কিংডম মেলোডিজ্-এর একটি ক্যাসেট দেখতে পেয়ে, তারা সেটি শুনতে আরম্ভ করে। পরিস্থিতি কিছুটা সহজ হয়ে ওঠে, চোরেরা ঠিক করে যে তারা রেজিনার কোন ক্ষতি না করেই বড় রাস্তার উপর তাকে ছেড়ে দেবে আর তাকে আশ্বাস দেয় যে কোন দয়ালু ব্যক্তি অব্যশই তাকে সাহায্য করবে। দশ মিনিট হাঁটার পর, সে একটি বাড়ি খুঁজে পায়, কিন্তু গৃহকর্তা তার কথা বিশ্বাস করতে পারে না এবং বলে: “তোমাকে যে আক্রমণ করা হয়েছিল তা একেবারেই মনে হয় না; তুমি এত শান্ত রয়েছ।”
দৈহিকভাবে ক্ষতি না করা হলেও, এই ধরনের বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতার জন্য পরে গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে। ‘নিজেকে নিরাপদ মনে না করা, পরিবারের সদস্যরা এবং যারা তাকে সাহায্য করতে চায় তাদের প্রতি বিদ্বেষ প্রদর্শন করা, অন্যদের বিশ্বাস করতে অক্ষম হওয়া, সমস্ত বিষয় ভাল করে পরীক্ষা করে দেখতে মেতে ওঠা, জগতকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলে মনে করার মনোভাব একজন আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে গড়ে উঠতে পারে,’ ও এস্টাডো ডি সাও পাওলো-তে জানানো হয়েছে। এর বিপরীতে, যে ব্যক্তি যিহোবা ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস রাখে, শারীরিকভাবে এবং মানসিকভাবে অক্ষত অবস্থায় এই অভিজ্ঞতা থেকে তার বেরিয়ে আসার সুযোগ অনেক বেশি। তবুও, আপনি কি একমত হবেন না যে অপরাধ অথবা ভয়ের অন্য কোন কারণ না থাকলে, তা একটি আশীর্বাদস্বরূপ হত?
“চোর আর চুরি না করুক”
যদিও অনেকে তাদের লোভী জীবনযাত্রা পছন্দ করে, ঈশ্বরের বাক্য কিন্তু অনেক চোরেদের চাহিদা এবং ব্যক্তিত্বে পরিবর্তন আনতে সাহায্য করেছে। (ইফিষীয় ৪:২৩) জীবনে একটি প্রকৃত, বাইবেল-ভিত্তিক উদ্দেশ্য নিয়ে, তারা এই কথাগুলি গ্রহণ করেছে: “ধার্ম্মিকতার সহিত অল্পও ভাল, তথাপি অন্যায়ের সহিত প্রচুর আয় ভাল নয়।” (হিতোপদেশ ১৬:৮) ক্লডিও জানিয়েছে: “আমার পরিবারে প্রায় সকলেই সাক্ষী ছিল, কিন্তু যিহোবা এবং তাঁর উদ্দেশ্য সম্বন্ধে তারা যা বলত আমি তাতে কান দিতাম না। একবার, একটি চুরি করা ট্রাকে প্রায় ২,০০০ কিলোমিটার যাত্রা করার পর ফেরার সময়ে, অনেকগুলি পুলিশ-পাহারা আমাকে অতিক্রম করতে হয়। সেইসময়ে আমার মনে হয়েছিল যে আমার জীবনধারা পরিবর্তন করা প্রয়োজন। আগে আমি তা করতে চেষ্টা করেছি কিন্তু সফল হইনি। এইবারে আমার যিহোবার সাক্ষী আত্মীয়দের সম্বন্ধে চিন্তা করতে শুরু করি, তারা কত অন্যরকম, তাদের মনে আনন্দ, সুখ এবং শান্তি আছে।” এর ফলে, ক্লডিও ঈশ্বরের বাক্য পড়তে শুরু করে, নেশাকর ওষুধ এবং তার পুরনো বন্ধুদের পরিত্যাগ করে এবং একজন খ্রীষ্টীয় পরিচারক হয়ে ওঠে।
অন্যেরাও এই কথাগুলি মেনে চলে: “তোমরা উপদ্রবে নির্ভর করিও না, অপহরণের শ্লাঘা করিও না।” (গীতসংহিতা ৬২:১০) চুরি করতে গিয়ে খুন করার চেষ্টার করার জন্য জেল খাটার পরে, হোসে, একজন মাদকদ্রব্য ব্যবহারকারী এবং বিক্রেতা, তার শালকের সাথে বাইবেল অধ্যয়ন করে উপকৃত হয়। মাদকদ্রব্য ত্যাগ করে এখন সে একজন উদ্যোগী সাক্ষী হয়ে উঠেছে।
অবশ্য, একটি নতুন ব্যক্তিত্ব সঙ্গে সঙ্গে অথবা অলৌকিকভাবে গড়ে ওঠে না। অস্কার, নেশাকর ওষুধ এবং চুরির সাথে যে প্রবলভাবে জড়িত ছিল, সে বলেছে: “এত একাগ্রভাবে আমি যিহোবার কাছে প্রার্থনা করতাম যে অনেকসময়ে ঘরের মেঝে কেঁদে ভাসিয়ে দিতাম।” হ্যাঁ, একনিষ্ঠভাবে ঈশ্বরের বাক্য অধ্যয়ন করা ছাড়াও, ক্রমাগত আন্তরিকভাবে প্রার্থনা করার প্রয়োজন রয়েছে। এই প্রার্থনাপূর্বক মনোভাবের পিছনে যে বিজ্ঞতা রয়েছে তা লক্ষ্য করুন: “দরিদ্রতা অথবা ঐশ্বর্য্য আমাকে দিও না, আমার নিরূপিত খাদ্য আমাকে ভোজন করাও; পাছে অতি তৃপ্ত হইলে আমি তোমাকে অস্বীকার করিয়া বলি, সদাপ্রভু কে? কিম্বা পাছে দরিদ্র হইলে চুরি করিয়া বসি, ও আমার ঈশ্বরের নাম অপব্যবহার করি।”—হিতোপদেশ ৩০:৮, ৯.
নিজের প্রতি আগ্রহের পরিবর্তে প্রকৃত প্রেম গড়ে তুলতে হবে: “চোর আর চুরি না করুক, বরং স্বহস্তে সদ্ব্যাপারে পরিশ্রম করুক, যেন দীনহীনকে দিবার জন্য তাহার কাছে কিছু থাকে।” (ইফিষীয় ৪:২৮) প্রথম শতাব্দীর কিছু ব্যক্তি যারা আগে ‘চোর বা লোভী’ ছিল, তাদের মত যারা অনুতপ্ত হয়, যীশু খ্রীষ্টের দেওয়া মুক্তির মূল্যের মাধ্যমে যিহোবা করুণাবশত তাদের ক্ষমা করেন। (১ করিন্থীয় ৬:৯-১১) আমাদের অতীত যাই হোক না কেন, আমরা যে আমাদের জীবনধারা পরিবর্তন করে ঈশ্বরের অনুগ্রহ পেতে পারি, তা কতই না সান্ত্বনাদায়ক!—যোহন ৩:১৬.
ঈশ্বরের নতুন জগতে নিরাপত্তা
চোরহীন একটি জগতের কথা চিন্তা করুন! বিচারক, উকিল, পুলিশ, জেল ইত্যাদি সমেত একটি ব্যয়সাপেক্ষ আইনব্যবস্থা আপনার প্রয়োজন হবে না। সেটি একটি সমৃদ্ধিশালী জগৎ হবে যেখানে প্রত্যেকে অন্যদের এবং তাদের সম্পত্তির প্রতি সম্মান দেখাবে! অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে কি? ঈশ্বর কি সত্যিই মানুষের কার্যকলাপে হস্তক্ষেপ করে বেআইনি কাজ দূর করবেন? বাইবেল যে ঈশ্বরের বাক্য এবং সেখানে দেওয়া ভবিষ্যদ্বাণীগুলি যে বিশ্বাসযোগ্য তা পরীক্ষা করে দেখার জন্য আমরা আপনাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। একটি পরিবর্তন যে আগতপ্রায়, তাতে বিশ্বাস করার একটি ভিত্তি আপনি খুঁজে পাবেন। যারা ধার্মিকতা ভালবাসে তাদের পরিত্রাণ করার প্রতিজ্ঞা পূর্ণ করা থেকে কেউ ঈশ্বরকে বিরত করতে পারবে না: “তুমি দুরাচারদের বিষয়ে রুষ্ট হইও না; অধর্ম্মাচারীদের প্রতি ঈর্ষা করিও না। কেননা তাহারা ঘাসের ন্যায় শীঘ্র ছিন্ন হইবে, হরিৎ তৃণের ন্যায় ম্লান হইবে।” (গীতসংহিতা ৩৭:১, ২) বহু আগে লেখা এই কথাগুলি শীঘ্রই সম্পূর্ণরূপে পূর্ণ হবে।
দুঃখদুর্দশা এবং অধার্মিকতা, যে জন্য বহু হতাশা এবং অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়, ঈশ্বরের রাজ্য তা শেষ করবে। কেউ অভাবে থাকবে না, চুরি করার প্রয়োজন বোধ করবে না। একটি ভবিষ্যদ্বাণী আমাদের আশ্বাস দিয়েছে: “দেশমধ্যে পর্ব্বত-শিখরে প্রচুর শস্য হইবে। তাহার ফল [প্রাচীন] লিবানোনের ন্যায় দোলায়মান হইবে; এবং নগরবাসীরা ভূমির তৃণের ন্যায় প্রফুল্ল হইবে” (গীতসংহিতা ৭২:১৬) প্রকৃতই, পুনঃস্থাপিত পরমদেশে, যারা সত্য ঈশ্বরকে জানে এবং তাঁর উপাসনা করে, কোনকিছুই তাদের শান্তিকে বিদ্ধ করবে না।—যিশাইয় ৩২:১৮.
লোভী জগতের পথে না চলার জন্য কী অপূর্ব পুরস্কারই না তা হবে! হিতোপদেশ ১১:১৯ বলে: “যে ধার্ম্মিকতায় অটল, সে জীবন পায়; কিন্তু যে দুষ্টতার পিছনে দৌড়ে, সে নিজ মৃত্যু ঘটায়।” হ্যাঁ দুরাচারগণ উচ্ছিন্ন হওয়ার পর, জীবন অথবা ধনসম্পত্তির জন্য কাউকে আর উদ্বিগ্ন হতে হবে না। গীতসংহিতা ৩৭:১১ পদে আমাদের এই আশ্বাসবাণী দেওয়া হয়েছে: “মৃদুশীলেরা দেশের অধিকারী হইবে, এবং শান্তির বাহুল্যে আমোদ করিবে।” (w93 10/15)
[পাদটীকাগুলো]
a কিছু নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।
[৫ পৃষ্ঠার বাক্স]
চৌর্যবৃত্তির বাস্তবতার সাথে মোকাবিলা করা
বাড়িতে—আপনি বাড়িতে থাকলে অথবা না থাকলেও যেহেতু চোরেরা ঢুকে পড়তে পারে, সেই জন্য দরজা বন্ধ করে এবং তালা দিয়ে রাখুন। বিশেষজ্ঞরা অ্যালার্ম অথবা একটি পাহারাদার কুকুর রাখতে উপদেশ দেয়। ছুটিতে গেলে কোন বিশ্বাসযোগ্য প্রতিবেশীকে জানিয়ে রাখুন। শান্ত থাকুন—চোরেরা দ্রুত, অপ্রত্যাশিত আচরণ করে এবং বিপদের আশঙ্কা দেখলে, তৎক্ষণাৎ তাদের পরিকল্পনার পরিবর্তন করে। আপনি যদি একজন যিহোবার সাক্ষী হন, তাহলে নিজের পরিচয় দিন এবং সাক্ষ্য দিতে চেষ্টা করুন। আপনি হয়ত কিছুটা সহজভাব অথবা সহানুভূতি জাগিয়ে তুলতে পারবেন। শারীরিকভাবে আক্রমণ না করা পর্যন্ত বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবেন না।
জনসাধারণের মাঝে—কেউ আপনাকে অনুসরণ করছে কিনা সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখুন। ফুটপাথের মাঝখান দিয়ে হাঁটুন। অন্ধকার এবং জনমানবহীন রাস্তা এড়িয়ে চলুন। আপনার ব্যাগ এবং মূল্যবান জিনিসপত্র সাবধানে রাখুন। দ্রুত হাঁটুন, যেন মনে হয় যে আপনি কোথাও যাচ্ছেন। দামী জামাকাপড় অথবা আকর্ষণীয় গয়না পরা এড়িয়ে চলুন। সম্ভব হলে, একজন সঙ্গীর সাথে দোকানবাজার করুন। শুধুমাত্র যতটা প্রয়োজন তত টাকাপয়সা সঙ্গে নিন এবং বিভিন্ন পকেটে তা ভাগ করে রাখুন।
গাড়িতে—আপনার এলাকায় গাড়ির চালক সমেত গাড়ি “অপহরণ” করা যদি সাধারণ হয়, তাহলে আপনার গাড়ি থামিয়ে বসে থাকবেন না। কাজে যাওয়ার এবং আসার পথ পরিবর্তন করুন। অপেক্ষাকৃত নিরাপদ পথটি যদি বেশি দূর হয়, তাহলেও সেটি বেছে নিন। গাড়ি রাখবার আগে, সন্দেহজনক কোন কিছুর জন্য চারিদিকে একবার দেখে নিন। ফাঁকা জায়গায় গাড়িতে মালপত্র রাখার জায়গা পারৎপক্ষে খুলবেন না। গাড়িতে মূল্যবান জিনিসপত্র এমনভাবে রাখবেন না যে বাইরে থেকে দেখা যায়। সহজেই চোখে পড়ে এমন একটি তালা অথবা চুরির বিরুদ্ধে অন্যান্য যন্ত্র লাগিয়ে রাখলে, সাধারণ চোরকে তা নিবৃত করবে।
[৬ পৃষ্ঠার বাক্স]
“তোমরা পৃথিবীতে আপনাদের জন্য ধন সঞ্চয় করিও না; এখানে ত কীটে ও মর্চ্চ্যায় ক্ষয় করে, এবং এখানে চোরে সিঁধ কাটিয়া চুরি করে। কিন্তু স্বর্গে আপনাদের জন্য ধন সঞ্চয় কর; সেখানে কীটে ও মর্চ্চ্যায় ক্ষয় করে না, সেখানে চোরেও সিঁধ কাটিয়া চুরি করে না।”—মথি ৬:১৯, ২০.