ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w11 ৩/১৫ পৃষ্ঠা ৩-৫
  • মিথ্যা যুক্তি দ্বারা নিজেকে প্রতারিত করবেন না

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • মিথ্যা যুক্তি দ্বারা নিজেকে প্রতারিত করবেন না
  • ২০১১ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • আত্মপ্রতারণার উদাহরণ
  • গঠনমূলক চিন্তাভাবনার দ্বারা মিথ্যা যুক্তিকে খণ্ডন করা
  • আমরা কীভাবে চলছি তা ভালো করে চিন্তা করে দেখা
  • যে-সময়কাল সম্বন্ধে বাইবেল আগেই জানিয়েছিল
  • মিথ্যা যুক্তি উপড়ে ফেলা
  • “আমি তোমাদের সঙ্গে সঙ্গে আছি”
    ২০০৬ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • নিশ্চিত থাকুন, সমস্যার সময়েও যিহোবা আপনার সঙ্গে থাকবেন!
    প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য সম্বন্ধে ঘোষণা করে (অধ্যয়ন)—২০২৩
  • আপনাদের হস্ত সবল হোক
    ২০০৬ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • সকলে যিহোবার গৌরব করুক!
    ১৯৯৭ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
আরও দেখুন
২০১১ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w11 ৩/১৫ পৃষ্ঠা ৩-৫

মিথ্যা যুক্তি দ্বারা নিজেকে প্রতারিত করবেন না

“তুমি এ কি করিলে?” হবা নিষিদ্ধ গাছের ফল খাওয়ার পর ঈশ্বর তাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন। “সর্প আমাকে ভুলাইয়াছিল, তাই খাইয়াছি,” সে উত্তর দিয়েছিল। (আদি. ৩:১৩) যে-চতুর সর্প অর্থাৎ শয়তান হবাকে ঈশ্বরের অবাধ্য হতে প্ররোচিত করেছিল, তাকে পরে “সেই পুরাতন সর্প” বলে অভিহিত করা হয়েছে, যে “সমস্ত নরলোকের ভ্রান্তি জন্মায়।”—প্রকা. ১২:৯.

আদিপুস্তকের এই বিবরণ শয়তানকে ধূর্ত হিসেবে তুলে ধরে, যে অসতর্ক ব্যক্তিদের প্রতারিত করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা বলে। হবা নিশ্চিতভাবেই এই প্রতারণার কাছে নতিস্বীকার করেছিল। তা সত্ত্বেও, আমাদের এইরকম চিন্তা করা উচিত নয় যে, শুধুমাত্র শয়তানই আমাদের ভ্রান্ত করতে পারে। বাইবেল ‘আপনাদিগকে ভুলাইবার [‘মিথ্যা যুক্তি দ্বারা প্রতারিত করার,’ NW]’ বিপদ সম্বন্ধেও সতর্ক করে।—যাকোব ১:২২.

নিজেরাই নিজেদের প্রতারিত করার ধারণাটা হয়তো একেবারেই অসম্ভব বলে মনে হতে পারে। কিন্তু, এই ঐশিক সতর্কবাণী দেওয়ার পিছনে স্পষ্টতই একটা উদ্দেশ্য রয়েছে। তাই, আমাদের বিবেচনা করা উচিত যে, কীভাবে আমরা নিজেদের প্রতারিত করতে পারি এবং কী ধরনের মিথ্যা যুক্তি আমাদের ভ্রান্ত করতে পারে। একটা শাস্ত্রীয় উদাহরণ আমাদের সাহায্য করতে পারে।

আত্মপ্রতারণার উদাহরণ

সাধারণ কাল পূর্ব প্রায় ৫৩৭ সালে, পারস্য-রাজ মহান কোরস বাবিলে নির্বাসিত যিহুদিদেরকে যিরূশালেমে ফিরে যাওয়ার এবং মন্দির পুনর্নির্মাণ করার জন্য এক আদেশ জারি করেছিলেন। (ইষ্রা ১:১, ২) পরের বছর, যিহোবার উদ্দেশ্য অনুযায়ী লোকেরা নতুন মন্দিরের ভিত্তিমূল স্থাপন করেছিল। ফিরে আসা লোকেরা আনন্দিত হয়েছিল এবং এই গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের প্রাথমিক পর্যায়ে যিহোবার আশীর্বাদের জন্য তাঁর প্রশংসা করেছিল। (ইষ্রা ৩:৮, ১০, ১১) কিন্তু, শীঘ্র তাদের পুনর্নির্মাণ কাজের বিরোধিতা করা হয়েছিল এবং লোকেরা উদ্‌বিগ্ন বা নিরুৎসাহিত হয়ে পড়েছিল। (ইষ্রা ৪:৪) তারা ফিরে আসার প্রায় ১৫ বছর পর, পারস্যের কর্তৃপক্ষ যিরূশালেমের সমস্ত ধরনের নির্মাণ কাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। সেই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার জন্য প্রাদেশিক কর্মকর্তারা যিরূশালেমে এসেছিল এবং যিহুদিদেরকে ‘হস্ত ও বলপ্রয়োগে কর্ম্ম হইতে নিবৃত্ত করিয়াছিল।’—ইষ্রা ৪:২১-২৪.

এই কঠিন প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়ে যিহুদিরা মিথ্যা যুক্তি দ্বারা নিজেদের প্রতারিত করেছিল। “সময়, সদাপ্রভুর গৃহ নির্ম্মাণের সময়, উপস্থিত হয় নাই,” তারা নিজেদের বলেছিল। (হগয় ১:২) তারা এই উপসংহারে এসেছিল, ঈশ্বর চান না যে অবিলম্বে মন্দির নির্মাণ করা হোক। তাঁর ইচ্ছা পালন করার উপায় খোঁজার পরিবর্তে তারা তাদের পবিত্র কার্যভার পরিত্যাগ করেছিল এবং নিজেদের ঘরবাড়ি উন্নত করার জন্য ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছিল। ঈশ্বরের ভাববাদী হগয় সুস্পষ্টভাবেই তাদের এই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেছিলেন: “এই কি তোমাদের আপন আপন ছাদ আঁটা গৃহে বাস করিবার সময়? এই গৃহ [সদাপ্রভুর মন্দির] ত উৎসন্ন রহিয়াছে।”—হগয় ১:৪.

এই উদাহরণ থেকে আপনি কি কোনো শিক্ষা লাভ করেছেন? ঐশিক উদ্দেশ্যের পরিপূর্ণতার সময় সম্বন্ধে ভুল দৃষ্টিভঙ্গি, আমাদের আধ্যাত্মিক কার্যক্রমের গুরুত্বের প্রতি মনোযোগকে নষ্ট করে দিয়ে ব্যক্তিগত আগ্রহের দ্বারা পথভ্রষ্ট হওয়ার দিকে পরিচালিত করতে পারে। বিষয়টা বোঝার জন্য, ধরুন আপনি অতিথিদের অপেক্ষায় আছেন। তারা আসবে জেনে আপনি হয়তো তাড়াহুড়ো করে ঘরের প্রয়োজনীয় টুকিটাকি কাজ সেরে রাখতে চাইবেন। কিন্তু, পরে আপনি জানতে পারেন যে, আপনার অতিথিদের আসতে দেরি হবে। আপনি কি প্রস্তুতি নেওয়া বন্ধ করে দেবেন?

যাই হোক, মনে করে দেখুন, হগয় ও সখরিয় যিহুদিদের এই বিষয়টা বুঝতে সাহায্য করেছিল যে, যিহোবার ইচ্ছা হল যেন দেরি না করে মন্দির পুনর্নির্মাণ করা হয়। “দেশের সমস্ত লোক, তোমরা বলবান হও, . . . আর কার্য্য কর,” হগয় জোরালো পরামর্শ দিয়েছিলেন। (হগয় ২:৪) তাদের হাতে যে-কাজ ছিল, সেটা তাদের চালিয়ে যেতে হতো, এই আস্থা রেখে যে, ঈশ্বরের আত্মা তাদের সমর্থন করবে। (সখ. ৪:৬, ৭) এই উদাহরণ কি আমাদেরকে যিহোবার দিন সম্বন্ধে ভুল উপসংহারে পৌঁছানো এড়াতে সাহায্য করবে?—১ করি. ১০:১১.

গঠনমূলক চিন্তাভাবনার দ্বারা মিথ্যা যুক্তিকে খণ্ডন করা

প্রেরিত পিতর তার দ্বিতীয় চিঠিতে ‘নূতন আকাশমণ্ডল ও নূতন পৃথিবী’ প্রতিষ্ঠা করার ব্যাপারে যিহোবার সময় সম্বন্ধে আলোচনা করেছিলেন। (২ পিতর ৩:১৩) তিনি উল্লেখ করেছিলেন, কিছু উপহাসক এই বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেছিল যে, ঈশ্বর কখনো মানুষের বিভিন্ন বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবেন কি না। তারা ভুলভাবে যুক্তি দেখিয়েছিল যে, কিছুই হবে না কারণ “সমস্তই সৃষ্টির আরম্ভ অবধি যেমন, তেমনই রহিয়াছে।” (২ পিতর ৩:৪) পিতর এই ধরনের ভুল যুক্তি খণ্ডন করার প্রয়োজন অনুভব করেছিলেন। “আমি . . . তোমাদিগকে স্মরণ করাইয়া দিয়া তোমাদের সরল চিত্তকে [“স্পষ্টভাবে চিন্তা করার ক্ষমতাকে,” NW] জাগ্রত করিতেছি।” তিনি সহখ্রিস্টানদের মনে করিয়ে দিয়েছিলেন যে, সেই উপহাসকরা ভুল ছিল। ঈশ্বর আগেও মানবজাতির বিভিন্ন বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছিলেন, বিশ্বব্যাপী এক ধ্বংসাত্মক জলপ্লাবন নিয়ে এসেছিলেন।—২ পিতর ৩:১, ৫-৭.

সাধারণ কাল পূর্ব ৫২০ সালে হগয়ও নিরুৎসাহিত ও নিষ্ক্রিয় যিহুদিদের একইরকম পরামর্শ দিয়েছিলেন। তিনি তাদের এই উপদেশ দিয়েছিলেন: “তোমরা কিভাবে চলছ তা ভাল করে চিন্তা করে দেখ।” (হগয় ১:৫, বাংলা কমন ল্যাঙ্গুয়েজ ভারসন) তিনি সহউপাসকদের চিন্তা করার ক্ষমতাকে জাগিয়ে তোলার জন্য তাঁর লোকেদের বিষয়ে ঈশ্বরের উদ্দেশ্য ও প্রতিজ্ঞাগুলো মনে করিয়ে দিয়েছিলেন। (হগয় ১:৮; ২:৪, ৫) সেই উৎসাহদানের অল্প সময় পরেই, কর্মকর্তাদের বাধানিষেধ সত্ত্বেও নির্মাণ কাজ পুনরায় শুরু হয়েছিল। আবারও, শত্রুরা সেই নির্মাণ প্রকল্পকে থামিয়ে দিতে চেয়েছিল কিন্তু তারা সফল হয়নি। সেই নিষেধাজ্ঞা বাতিল করা হয়েছিল এবং পাঁচ বছরের মধ্যে মন্দির নির্মাণ সমাপ্ত হয়েছিল।—ইষ্রা ৬:১৪, ১৫; হগয় ১:১৪, ১৫.

আমরা কীভাবে চলছি তা ভালো করে চিন্তা করে দেখা

আপনি কি মনে করেন যে, সমস্যা দেখা দিলে হগয়ের দিনের যিহুদিদের মতো আমরাও নিরুৎসাহিত হয়ে পড়ব? যদি তা হয়, তাহলে আমাদের পক্ষে সুসমাচার প্রচার করার জন্য উদ্যোগ বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়বে। কিন্তু কী আমাদের নিরুৎসাহিত করে ফেলতে পারে? আমরা হয়তো এই বিধিব্যবস্থার অবিচারের কারণে কষ্ট ভোগ করতে পারি। হবক্‌কূকের কথা চিন্তা করুন, যিনি এই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেছিলেন: “কতকাল ‘অত্যাচার চলছে’ বলে তোমার কাছে কান্নাকাটি করব আর তুমি উদ্ধার করবে না?” (হবক্‌. ১:২, বাংলা কমন ল্যাঙ্গুয়েজ ভারসন) কেউ কেউ দেরিকে যেভাবে দেখে থাকে, সেটার পরিপ্রেক্ষিতে একজন খ্রিস্টান তৎপরতার মনোভাব হারিয়ে ফেলতে পারেন আর এর পরিবর্তে আরামদায়ক জীবনযাপনকে অগ্রাধিকার দিতে পারেন। আপনি কি নিজের ক্ষেত্রে তা ঘটতে দেখছেন? আমরা যদি এইরকম যুক্তি করে চলি, তাহলে আমরা নিজেদের প্রতারিত করব। আমাদের জন্য ‘আমরা কিভাবে চলছি তা ভাল করে চিন্তা করে দেখার’ এবং ‘আমাদের স্পষ্টভাবে চিন্তা করার ক্ষমতাকে জাগ্রত করার’ শাস্ত্রীয় এই পরামর্শে মনোযোগ দেওয়া কতই না গুরুত্বপূর্ণ! আমরা নিজেদের এই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে পারি, ‘এই দুষ্ট বিধিব্যবস্থা আমি যতটা আশা করেছিলাম, তার চেয়েও বেশি সময় ধরে টিকে রয়েছে বলে কি আমি অবাক হই?’

যে-সময়কাল সম্বন্ধে বাইবেল আগেই জানিয়েছিল

এই বিধিব্যবস্থার শেষ সম্বন্ধে যিশুর কথাগুলো বিবেচনা করার জন্য একটু থামুন। শেষকালের বিষয়ে যিশুর ভবিষ্যদ্‌বাণী সম্বন্ধে মার্কের বিবরণ প্রকাশ করে যে, যিশু আমাদেরকে সতর্ক থাকার জন্য বার বার পরামর্শ দিয়েছেন। (মার্ক ১৩:৩৩-৩৭) আমরা আরমাগিদোনে যিহোবার মহাদিন সম্বন্ধে ভবিষ্যদ্‌বাণীমূলক বর্ণনার মাঝখানে একইরকম সতর্কবাণী দেখতে পাই। (প্রকা. ১৬:১৪-১৬) কেন বার বার সতর্কবাণী দেওয়া হয়েছে? এই ধরনের অনুস্মারক সেই সময়ে প্রয়োজন, যখন লোকেরা তাদের কাছে দীর্ঘ বলে মনে হয় এমন সময়কাল ধরে অপেক্ষা করার কারণে তৎপরতার মনোভাব হারিয়ে ফেলার ঝুঁকির মুখে থাকে।

এই বিধিব্যবস্থা শেষ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করার সময়ে সদাজাগ্রত থাকার প্রয়োজনীয়তা সম্বন্ধে যিশু দৃষ্টান্ত সহকারে তুলে ধরেছিলেন। তিনি এমন একজন গৃহকর্তা সম্বন্ধে উল্লেখ করেছিলেন, যার ঘরে সিঁধ কাটা হয়েছে। কীভাবে তিনি জিনিসপত্র চুরি হয়ে যাওয়ার বিষয়টা এড়াতে পারেন? সারা রাত জেগে থাকার মাধ্যমে। যিশু আমাদের এই পরামর্শ দিয়ে তাঁর দৃষ্টান্ত শেষ করেছিলেন: “প্রস্তুত থাক, কেননা যে দণ্ড তোমরা মনে করিবে না, সেই দণ্ডে মনুষ্যপুত্ত্র আসিবেন।”—মথি ২৪:৪৩, ৪৪.

এই দৃষ্টান্ত অপেক্ষা করার সময় প্রস্তুত থাকার প্রয়োজনীয়তা সম্বন্ধে প্রকাশ করে, এমনকী বেশ দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করার প্রয়োজন হলেও। না, আমাদের এই বিষয়টা নিয়ে অতিরিক্ত উদ্‌বিগ্ন হওয়া উচিত নয় যে, এই দুষ্ট বিধিব্যবস্থা হয়তো আমরা যতটা আশা করেছিলাম, তার চেয়ে বেশি সময় ধরে টিকে থাকবে। আমাদের এই মিথ্যা যুক্তি দ্বারা নিজেদের প্রতারিত করা উচিত নয় যে, ‘সদাপ্রভুর সময় উপস্থিত হয় নাই।’ এই ধরনের চিন্তাভাবনা রাজ্যের সুসমাচার প্রচার করার জন্য আমাদের আকাঙ্ক্ষাকে ম্লান করে দিতে পারে।—রোমীয় ১২:১১.

মিথ্যা যুক্তি উপড়ে ফেলা

মিথ্যা যুক্তির ক্ষেত্রে গালাতীয় ৬:৭ পদে প্রাপ্ত এই নীতি কাজে লাগানো যায়: “তোমরা ভ্রান্ত হইও না, . . . কেননা মনুষ্য যাহা কিছু বুনে তাহাই কাটিবে।” কোনো জমিতে বীজ বপন না করে ফেলে রাখা হলে, সেখানে সহজেই আগাছা জন্মাতে পারে। একইভাবে, আমরা যদি আমাদের স্পষ্টভাবে চিন্তা করার ক্ষমতাকে জাগিয়ে না তুলি, তাহলে মিথ্যা যুক্তি আমাদের মনে শিকড় বিস্তার করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, আমরা হয়তো নিজেদের বলতে পারি, ‘নিঃসন্দেহে যিহোবার দিন আসতে যাচ্ছে—তবে এখনই নয়।’ প্রত্যাশাগুলোর মধ্যে এই ধরনের পরিবর্তন আমাদের ঈশতান্ত্রিক কাজগুলোর প্রতি শিথিলভাব দেখানোর জন্য পরিচালিত করতে পারে। ফলে, আমরা নিজেদের আধ্যাত্মিক তালিকার ব্যাপারে অবহেলা করা শুরু করতে পারি। যিহোবার দিনে আমাদের অসতর্ক অবস্থায় পাওয়া যেতে পারে।—২ পিতর ৩:১০.

কিন্তু, মিথ্যা যুক্তি আমাদের মনে শিকড় বিস্তার করতে পারবে না, যদি আমরা “ঈশ্বরের ইচ্ছা, যাহা উত্তম ও প্রীতিজনক ও সিদ্ধ,” তা ক্রমাগত পালন করি। (রোমীয় ১২:২) এই ক্ষেত্রে, নিয়মিত ঈশ্বরের বাক্য পড়া হল সর্বোত্তম সহায়কগুলোর মধ্যে একটা। শাস্ত্র আমাদের এই দৃঢ়প্রত্যয়কে শক্তিশালী করতে পারে যে, যিহোবা সবসময় তাঁর নিরূপিত সময়ে কাজ করেন।—হবক্‌. ২:৩.

আমাদের অধ্যয়ন, প্রার্থনা, সভায় নিয়মিত যোগদান এবং প্রচার ও সেইসঙ্গে প্রেমপূর্ণ দয়ার কাজ আমাদেরকে ‘ঈশ্বরের সেই দিনের আগমনের আকাঙ্ক্ষা করিতে’ সমর্থ করবে। (২ পিতর ৩:১১, ১২) যিহোবা আমাদের আনুগত্যের প্রতি লক্ষ রাখবেন। প্রেরিত পৌল আমাদের মনে করিয়ে দেন: “আইস, আমরা সৎকর্ম্ম করিতে করিতে নিরুৎসাহ না হই; কেননা ক্লান্ত না হইলে যথাসময়ে শস্য পাইব।”—গালা. ৬:৯.

এখন নিশ্চিতভাবেই মিথ্যা যুক্তি দ্বারা প্রতারিত হয়ে এই চিন্তাভাবনা করার সময় নয় যে, যিহোবার দিন আসতে দেরি হবে। এর পরিবর্তে, এখন আমাদের হৃদয়কে স্থির করার সময় কারণ যিহোবার দিন নিকটবর্তী।

[৪ পৃষ্ঠার চিত্র]

হগয় ও সখরিয় যিহুদিদের নির্মাণ কাজ করার জন্য জোরালো পরামর্শ দিয়েছিল

[৫ পৃষ্ঠার চিত্র]

গৃহকর্তা যদি আগে থেকেই জানতেন যে, চোর আসতে যাচ্ছে, তাহলে?

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার