ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w14 ১/১৫ পৃষ্ঠা ১২-১৬
  • রাজ্য শাসনের ১০০ বছর—এটা আপনার ওপর কেমন প্রভাব ফেলে?

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • রাজ্য শাসনের ১০০ বছর—এটা আপনার ওপর কেমন প্রভাব ফেলে?
  • ২০১৪ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • যিহোবার নিযুক্ত রাজা পদক্ষেপ নেন
  • মশীহ রাজা তাঁর অনুগত প্রজাদের শুচি করেন
  • রাজা তাঁর প্রজাদের পৃথিবীব্যাপী প্রচার করার জন্য শিক্ষা প্রদান করেন
  • রাজা তাঁর প্রজাদের আরও বড়ো কাজের জন্য সংগঠিত করেন
  • মশীহ রাজ্যের ভাবী আশীর্বাদ
  • ঈশ্বরের রাজ্য শাসন করে
    জ্ঞান যা অনন্ত জীবনে পরিচালিত করে
  • এক রাজ্য “তাহা কখনও বিনষ্ট হইবে না”
    একমাত্র সত্য ঈশ্বরের উপাসনা করুন
  • ঈশ্বরের রাজ্য কী?
    বাইবেল প্রকৃতপক্ষে কী শিক্ষা দেয়?
  • ঈশ্বরের রাজ্য কী?
    ঈশ্বরের কাছ থেকে সুসমাচার!
আরও দেখুন
২০১৪ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w14 ১/১৫ পৃষ্ঠা ১২-১৬
যিহোবা ঈবর, যিশু এবং ১,৪৪,০০০ জন বর্গে তাদের সিংহাসনে বসে আছ

রাজ্য শাসনের ১০০ বছর—এটা আপনার ওপর কেমন প্রভাব ফেলে?

“মহৎ ও আশ্চর্য্য তোমার ক্রিয়া সকল, হে প্রভু ঈশ্বর, . . . হে জাতিগণের রাজন্‌!”—প্রকা. ১৫:৩.

আপনি কি উত্তর দিতে পারেন?

  • কীভাবে যিহোবা ১৯১৪ সালে রাজা হন আর রাজ্য প্রথমে যে-বিষয়গুলো করেছে, সেগুলোর কয়েকটা কী?

  • পৃথিবীতে ঈশ্বরের অনুগত প্রজাদের শুচি করার, শিক্ষা প্রদান করার এবং সংগঠিত করার জন্য মশীহ রাজ্যকে যিশু কীভাবে ব্যবহার করেছেন?

  • কখন আমাদের এই প্রার্থনার উত্তর পূর্ণরূপে দেওয়া হবে যে, “তোমার রাজ্য আইসুক” আর এর অর্থ কী হবে?

১, ২. ঈশ্বরের রাজ্য কী সম্পাদন করবে আর কেন আমরা নিশ্চিত থাকতে পারি যে, সেই রাজ্য আসবেই?

একত্রিশ খ্রিস্টাব্দের বসন্তকালে কফরনাহূমের কাছেই একটা পর্বতে, যিশু খ্রিস্ট তাঁর অনুসারীদের এই প্রার্থনা করতে শিখিয়েছিলেন: “তোমার রাজ্য আইসুক।” (মথি ৬:১০) সেই রাজ্য আসলেই আসবে কি না, সেটা নিয়ে বর্তমানে অনেকে সন্দেহ করে থাকে। কিন্তু, আমরা নিশ্চিত যে, ঈশ্বরের রাজ্য আসার জন্য আমরা যে-আন্তরিক প্রার্থনা করে থাকি, সেটার উত্তর দেওয়া হবে।

২ যিহোবা সেই রাজ্যের মাধ্যমে তাঁর স্বর্গীয় ও পার্থিব পরিবারকে ঐক্যবদ্ধ করবেন। তাঁর এই উদ্দেশ্য পরিপূর্ণ হবেই। (যিশা. ৫৫:১০, ১১) সত্যি বলতে কী, আমাদের দিনে ইতিমধ্যেই যিহোবা রাজা হয়েছেন! বিগত ১০০ বছরের রোমাঞ্চকর ঘটনাগুলো এর প্রমাণ দেয়। ঈশ্বর তাঁর লক্ষ লক্ষ অনুগত প্রজার জন্য মহৎ ও আশ্চর্য কাজ করছেন। (সখ. ১৪:৯; প্রকা. ১৫:৩) তবে, যিহোবা যে রাজা হয়েছেন, সেটা এবং ঈশ্বরের সেই রাজ্য আসার বিষয়টা এক নয়, যে-সম্বন্ধে যিশু আমাদেরকে প্রার্থনা করতে শিখিয়েছেন। কীভাবে এই দুটো বিষয় আলাদা এবং সেগুলো আমাদের ওপর কেমন প্রভাব ফেলে?

যিহোবার নিযুক্ত রাজা পদক্ষেপ নেন

৩. (ক) কখন যিশু রাজা হিসেবে নিযুক্ত হন এবং কোথায়? (খ) কীভাবে আপনি প্রমাণ করবেন যে, রাজ্য ১৯১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে? (পাদটীকা দেখুন।)

৩ উনিশ-শো সাল শুরু হওয়ার প্রায় ২০ বছর আগে, দানিয়েলের দ্বারা লিপিবদ্ধ ২,৫০০ বছরের পুরোনো এই ভবিষ্যদ্‌বাণীর অর্থ স্পষ্ট হতে শুরু করে: “সেই রাজগণের সময়ে স্বর্গের ঈশ্বর এক রাজ্য স্থাপন করিবেন, তাহা কখনও বিনষ্ট হইবে না।” (দানি. ২:৪৪) ১৯১৪ সাল যে এক তাৎপর্যপূর্ণ বছর হবে, সেই বিষয়টা খুঁজে বের করার জন্য বাইবেল ছাত্ররা বহু বছর প্রচেষ্টা চালিয়েছে। সেই সময় অনেক লোক আশাবাদী ছিল। একজন লেখক বলেন: “১৯১৪ সালের পৃথিবী আশা এবং প্রতিজ্ঞায় পূর্ণ ছিল।” কিন্তু, পরে সেই বছরই ১ম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার মাধ্যমে বাইবেলের ভবিষ্যদ্‌বাণী সত্য বলে প্রমাণিত হয়। যুদ্ধ পরবর্তী দুর্ভিক্ষ, ভূমিকম্প এবং মহামারী ও সেইসঙ্গে বাইবেলের অন্যান্য ভবিষ্যদ্‌বাণীর পরিপূর্ণতা নিশ্চিতভাবেই প্রমাণ দেয় যে, ১৯১৪ সালে যিশু খ্রিস্ট ঈশ্বরের রাজ্যের রাজা হিসেবে স্বর্গে শাসন করতে শুরু করেছেন।a আসলে তাঁর পুত্রকে মশীহ রাজা হিসেবে নিযুক্ত করার মাধ্যমে যিহোবাই এক নতুন অর্থে রাজা হয়েছিলেন!

সাংগঠনিক ও শিক্ষাগত রদবদলের এবং বিবব্যাপী সাক্ষিদের সংখ্যার একটা কালানুক্রমিক রেখা

৪. নিযুক্ত নতুন রাজা প্রথমে কোন কাজটা করেছিলেন এবং এরপর তিনি কাদের দিকে মনোযোগ দিয়েছিলেন?

৪ ঈশ্বরের নিযুক্ত নতুন রাজা প্রথমে যে-কাজটা করেছিলেন, সেটা হল তাঁর পিতার প্রধান শত্রু দিয়াবলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা। যিশু এবং তাঁর দূতেরা দিয়াবল ও তার মন্দদূতদের স্বর্গ থেকে নিক্ষেপ করেছিল। এই কারণে স্বর্গে প্রচুর আনন্দ হয়েছিল কিন্তু পৃথিবীতে চরম বিপর্যয় নেমে এসেছিল। (পড়ুন, প্রকাশিত বাক্য ১২:৭-৯, ১২.) এরপর, রাজা তাঁর পার্থিব প্রজাদের দিকে মনোযোগ দেন, তিনি তাদেরকে ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করার জন্য শুচি করেন, শিক্ষা প্রদান করেন এবং সংগঠিত করেন। আসুন আমরা বিবেচনা করে দেখি যে, রাজ্য শাসনের এই তিনটে কাজের প্রতি তাদের ইতিবাচক মনোভাব বর্তমানে আমাদের জন্য কীভাবে এক উত্তম উদাহরণ স্থাপন করে।

মশীহ রাজা তাঁর অনুগত প্রজাদের শুচি করেন

৫. উনিশ-শো চোদ্দো সাল এবং উনিশ-শো উনিশ সাল শুরু হওয়ার মাঝামাঝি সময়ে কোন শুচিকরণের কাজ হয়েছিল?

৫ নিযুক্ত রাজা স্বর্গকে শয়তান ও তার মন্দদূতদের কলুষিত প্রভাব থেকে মুক্ত করার পর, যিহোবা যিশুকে তাঁর পার্থিব অনুসারীদের আধ্যাত্মিক অবস্থা পরীক্ষা করার এবং শুচি করার নির্দেশনা দিয়েছিলেন। ভাববাদী মালাখি এটাকে শুচিকরণের কাজ হিসেবে বর্ণনা করেন। (মালাখি ৩:১-৩) ইতিহাস দেখায় যে, এটা ১৯১৪ সাল এবং ১৯১৯ সাল শুরু হওয়ার মাঝামাঝি সময়ে ঘটেছিল।b যিহোবার স্বর্গীয় ও পার্থিব পরিবারের অংশ হওয়ার জন্য আমাদের অবশ্যই শুচি অথবা পবিত্র হতে হবে। (১ পিতর ১:১৫, ১৬) আমাদের অবশ্যই মিথ্যা ধর্মের অথবা এই জগতের রাজনীতির যেকোনো কলুষতা থেকে মুক্ত থাকতে হবে।

৬. কীভাবে আধ্যাত্মিক খাদ্য জোগানো হয় এবং কেন তা অতীব গুরুত্বপূর্ণ?

৬ ‘বিশ্বস্ত ও বুদ্ধিমান্‌ দাসকে’ নিযুক্ত করার জন্য রাজা হিসেবে যিশু তাঁর ক্ষমতা ব্যবহার করেন। এই দাস সেইসমস্ত ব্যক্তির জন্য নিয়মিতভাবে উত্তম আধ্যাত্মিক খাদ্য জোগাবেন, যারা যিশুর যত্নাধীনে ‘এক পালের’ মধ্যে রয়েছে। (মথি ২৪:৪৫-৪৭; যোহন ১০:১৬) ১৯১৯ সাল থেকে, সেই বিশ্বস্ত ও বুদ্ধিমান দাস অনুগতভাবে “পরিজনের” জন্য খাদ্য জোগানোর গুরু দায়িত্ব পালন করে আসছে। এই মাধ্যমের দ্বারা জোগানো প্রচুর আধ্যাত্মিক খাদ্য আমাদেরকে শক্তি জোগায়, যাতে আমরা বিশ্বাসকে বৃদ্ধি করতে পারি। এটা আমাদেরকে আধ্যাত্মিকভাবে, নৈতিকভাবে, মানসিকভাবে এবং দৈহিকভাবে শুচি থাকার ব্যাপারে আমাদের দৃঢ়সংকল্পকে শক্তিশালী করে। এ ছাড়া, এই আধ্যাত্মিক খাদ্য আমাদেরকে শিক্ষা প্রদান করে এবং বর্তমানে পৃথিবীতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে-কাজ চলছে, তাতে পূর্ণরূপে অংশ নেওয়ার জন্য সজ্জিত করে। আপনি কি নিয়মিতভাবে এই আধ্যাত্মিক খাদ্য গ্রহণ করছেন?

রাজা তাঁর প্রজাদের পৃথিবীব্যাপী প্রচার করার জন্য শিক্ষা প্রদান করেন

৭. যিশু যখন পৃথিবীতে ছিলেন, তখন তিনি কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজ শুরু করেছিলেন এবং কখন পর্যন্ত তা চলবে?

৭ যিশু যখন পৃথিবীতে পরিচর্যা কাজ শুরু করেন, তখন তিনি বলেন: “অন্য অন্য নগরে আমাকে ঈশ্বরের রাজ্যের সুসমাচার প্রচার করিতে হইবে; কেননা সেই জন্যই আমি প্রেরিত হইয়াছি।” (লূক ৪:৪৩) সাড়ে তিন বছর ধরে, যিশুর জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিল এই পরিচর্যা। তিনি তাঁর শিষ্যদের নির্দেশনা দেন: “আর তোমরা যাইতে যাইতে এই কথা প্রচার কর, ‘স্বর্গ-রাজ্য সন্নিকট হইল’।” (মথি ১০:৭) পুনরুত্থানের পর, যিশু ভবিষ্যদ্‌বাণী করেন যে, তাঁর অনুসারীরা “পৃথিবীর প্রান্ত পর্য্যন্ত” এই বার্তা ছড়িয়ে দেবে। (প্রেরিত ১:৮) তিনি প্রতিজ্ঞা করেন, আমাদের দিন পর্যন্ত তিনি অতীব গুরুত্বপূর্ণ এই কাজে ব্যক্তিগতভাবে যুক্ত থাকবেন।—মথি ২৮:১৯, ২০.

৮. কীভাবে রাজা তাঁর পার্থিব প্রজাদের কাজ করার জন্য উদ্দীপিত করেন?

৮ উনিশ-শো উনিশ সালের মধ্যে ‘রাজ্যের সুসমাচারের’ সঙ্গে এক নতুন বিষয় যুক্ত হয়। (মথি ২৪:১৪) রাজা স্বর্গে রাজত্ব করছিলেন এবং তিনি পৃথিবীর শুচি প্রজাদের একটা ছোট্ট দলকে একত্রিত করেন। তারা উৎসুকভাবে যিশুর এই অনুপ্রেরণাদায়ক নির্দেশনার প্রতি সাড়া দেয়: সমস্ত পৃথিবীতে ঈশ্বরের প্রতিষ্ঠিত রাজ্য সম্বন্ধে সুসমাচার প্রচার করো! (প্রেরিত ১০:৪২) উদাহরণ স্বরূপ, ১৯২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইওর সিডার পয়েন্টে অনুষ্ঠিত এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রায় ২০,০০০ জন রাজ্য সমর্থক একত্রিত হয়। সেই সময় তারা কতটা রোমাঞ্চিত হয়, তা একটু কল্পনা করে দেখুন, যখন ভাই রাদারফোর্ড “রাজ্য” শিরোনামের বক্তৃতা দেন এবং এই ঘোষণা করেন: “দেখুন, রাজা রাজত্ব করছেন! জনসাধারণ্যে তাঁর সম্বন্ধে ঘোষণা করার জন্য আপনারাই হচ্ছেন তাঁর প্রতিনিধি। তাই, রাজা এবং তাঁর রাজ্য সম্বন্ধে ঘোষণা করুন, ঘোষণা করুন, ঘোষণা করুন।” পরের দিন, তাদের মধ্যে দু-হাজার জন ব্যক্তি ক্ষেত্রের পরিচর্যায় যায় এবং এমনকী কেউ কেউ প্রচার করার জন্য সম্মেলন স্থল থেকে ৭২ কিলোমিটার (৪৫ মাইল) দূর পর্যন্ত যায়। অনুপ্রাণিত হয়ে একজন বোন বলেন: “রাজ্য সম্বন্ধে ঘোষণা করার যে-আহ্বান জানানো হয়েছিল এবং সমবেত লোকেরা যে-উদ্যোগ দেখিয়েছিল, তা আমি কখনোই ভুলব না!” আরও অনেকে একইরকম প্রতিক্রিয়া দেখায়।

৯, ১০. (ক) প্রকাশকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য কোন ব্যবস্থাগুলো করা হয়েছে? (খ) এই প্রশিক্ষণ থেকে ব্যক্তিগতভাবে আপনি কীভাবে উপকৃত হয়েছেন?

৯ উনিশ-শো বাইশ সালের মধ্যে ১৭,০০০-রেরও বেশি প্রকাশক সারা পৃথিবীতে ৫৮টা দেশে প্রচার করা শুরু করে। কিন্তু, তাদের প্রশিক্ষণের প্রয়োজন ছিল। প্রথম শতাব্দীতে, নিযুক্ত রাজা তাঁর শিষ্যদের কী প্রচার করতে হবে, কোথায় প্রচার করতে হবে এবং কীভাবে প্রচার করতে হবে, সেই সম্বন্ধে স্পষ্ট নির্দেশনা দেন। (মথি ১০:৫-৭; লূক ৯:১-৬; ১০:১-১১) বর্তমানে, এই একই আদর্শ অনুসরণ করে, যিশু লক্ষ রাখেন যেন রাজ্যের প্রচার কাজে অংশ নিচ্ছে এমন সকলে নির্দেশনা পায় এবং কার্যকারীভাবে প্রচার করার জন্য তাদের যে-হাতিয়ারগুলো দরকার, সেগুলো লাভ করে। (২ তীম. ৩:১৭) খ্রিস্টীয় মণ্ডলীর মাধ্যমে যিশু তাঁর প্রজাদের প্রচার কাজের জন্য প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। একটা যে-উপায়ে তিনি প্রশিক্ষণ দেন, তা হল ঐশিক পরিচর্যা বিদ্যালয় আর এই স্কুল সারা পৃথিবীর ১,১১,০০০-রেরও বেশি মণ্ডলীতে অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রশিক্ষণ কাজে লাগিয়ে সত্তর লক্ষেরও বেশি প্রচারক এখন প্রচার করার এবং এমন উপায়ে শিক্ষা দেওয়ার জন্য সজ্জিত হয়েছে, যা “সর্ব্বজনের” কাছে আবেদনময় হয়ে ওঠে।—পড়ুন, ১ করিন্থীয় ৯:২০-২৩.

১০ ঐশিক পরিচর্যা বিদ্যালয় ছাড়াও অন্যান্য বাইবেল স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আর এগুলো থেকে মণ্ডলীর প্রাচীন, অগ্রগামী, অবিবাহিত ভাই, খ্রিস্টান দম্পতি, শাখা কমিটির সদস্য ও তাদের স্ত্রী, ভ্রমণ অধ্যক্ষ ও তাদের স্ত্রী এবং মিশনারিরা প্রশিক্ষণ লাভ করে থাকে।c খ্রিস্টান দম্পতিদের জন্য বাইবেল স্কুল-এর একটা ক্লাসের ছাত্র-ছাত্রী স্কুলের জন্য এভাবে তাদের উপলব্ধি প্রকাশ করে: “এখান থেকে আমরা যে-বিশেষ প্রশিক্ষণ লাভ করেছি, সেটা যিহোবার প্রতি আমাদের প্রেমকে আরও গভীর করেছে এবং অন্যদেরকে সাহায্য করার জন্য আমাদেরকে আরও সজ্জিত করেছে।”

১১. বিরোধিতা সত্ত্বেও, প্রকাশকরা কীভাবে টিকে থাকতে পেরেছে?

১১ এই ব্যাপক প্রচার কাজ এবং শিক্ষাদানের প্রচেষ্টা শত্রু শয়তানের নজর এড়ায়নি। এই কাজ বন্ধ করার প্রচেষ্টায় সে রাজ্যের বার্তা এবং এর বার্তাবাহকদের ওপর সরাসরি এবং সূক্ষ্ম আক্রমণ নিয়ে আসে। কিন্তু, এই শত্রুর প্রচেষ্টা বিফল হয়। যিহোবা তাঁর পুত্রকে “সমস্ত আধিপত্য, কর্ত্তৃত্ব, পরাক্রম, ও প্রভুত্বের উপরে” স্থাপন করেন। (ইফি. ১:২০-২২) তাঁর পিতার ইচ্ছা যেন সম্পাদিত হয়, সেই বিষয়টা নিশ্চিত করার জন্য রাজা হিসেবে যিশু তাঁর শিষ্যদের সুরক্ষা ও নির্দেশনা প্রদান করার জন্য তাঁর ক্ষমতা ব্যবহার করেন।d সুসমাচার প্রচার করা হচ্ছে আর লক্ষ লক্ষ সৎহৃদয়ের ব্যক্তিকে যিহোবার পথ সম্বন্ধে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। এই মহৎ কাজে অংশ নিতে পারা আমাদের জন্য কতই-না বিশেষ এক সুযোগ!

রাজা তাঁর প্রজাদের আরও বড়ো কাজের জন্য সংগঠিত করেন

১২. সংগঠনের কিছু রদবদল সম্বন্ধে বর্ণনা করুন, যেগুলো রাজ্য প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে করা হয়েছে।

১২ উনিশ-শো চোদ্দো সালে রাজ্য প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে, রাজা যিশু ঈশ্বরের দাসদের সংগঠনে বিভিন্ন রদবদল নিয়ে আসেন, যাতে তারা তাঁর পিতার ইচ্ছা পালন করতে পারে। (পড়ুন, যিশাইয় ৬০:১৭.) ১৯১৯ সালে, প্রচার কাজে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য প্রতিটা মণ্ডলীতে একজন পরিচর্যা পরিচালক নিযুক্ত করা হয়। ১৯২৭ সালে, প্রতি রবিবার নিয়মিতভাবে ঘরে ঘরে প্রচার করার ব্যবস্থা করা হয়। ১৯৩১ সালে, যিহোবার দাসেরা যিহোবার সাক্ষি নাম ব্যবহার করতে শুরু করে আর এই বিষয়টা তাদেরকে আরও বড়ো কাজ করার জন্য উদ্দীপিত করে। (যিশা. ৪৩:১০-১২; যাত্রা. ৩:১৫) ১৯৩৮ সাল থেকে, যারা মণ্ডলীতে নেতৃত্ব দিত, তাদেরকে আর ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন করা হয় না। এর পরিবর্তে, নিযুক্ত হওয়ার জন্য তাদেরকে বাইবেলের চাহিদাগুলো পূরণ করতে হয়। ১৯৭২ সালে, মণ্ডলীর দেখাশোনা করার জন্য মণ্ডলীর একজন অধ্যক্ষের পরিবর্তে প্রাচীনগোষ্ঠীকে নিযুক্ত করা হয়। সমস্ত যোগ্য পুরুষদের উৎসাহিত করা হয়, যেন তারা ‘ঈশ্বরের যে পাল আছে, তাহা পালন করিবার’ জন্য ইচ্ছুক মনোভাব প্রকাশ করে। (১ পিতর ৫:২) ১৯৭৬ সালে, সারা পৃথিবীতে রাজ্যের কাজের দেখাশোনা করার জন্য পরিচালকগোষ্ঠীকে ছয়টা কমিটিতে সংগঠিত করা হয়। উপযুক্তভাবেই, যিহোবার নিযুক্ত রাজা ধীরে ধীরে রাজ্যের প্রজাদের ঈশ্বরের উপায়ে সংগঠিত করেন।

১৩. এক-শো বছরের শাসনে রাজ্য যে-বিষয়গুলো সম্পাদন করেছে, সেগুলো আপনার জীবনের ওপর কেমন প্রভাব ফেলে?

১৩ তাঁর শাসনের প্রথম ১০০ বছরে মশীহ রাজা যে-বিষয়গুলো সম্পাদন করেছেন, সেগুলো বিবেচনা করুন। তিনি যিহোবার নামের জন্য একদল লোককে শুচি করেছেন। তিনি দ্বীপ ও দেশ মিলিয়ে ২৩৯টা জায়গায় রাজ্যের সুসমাচার প্রচার করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন এবং লক্ষ লক্ষ ব্যক্তিকে যিহোবার পথ সম্বন্ধে শিক্ষা দিয়েছেন। তিনি ৭০ লক্ষেরও বেশি অনুগত প্রজাকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন, যারা পিতার ইচ্ছা পালন করার জন্য স্বেচ্ছায় নিজেদের বিলিয়ে দিয়েছে। (গীত. ১১০:৩) সত্যিই, মশীহ রাজ্যের মাধ্যমে সম্পাদিত যিহোবার কাজগুলো মহৎ এবং আশ্চর্যজনক। সামনে এমনকী আরও রোমাঞ্চকর ঘটনা ঘটবে!

মশীহ রাজ্যের ভাবী আশীর্বাদ

১৪. (ক) আমরা যখন এই প্রার্থনা করি যে, “তোমার রাজ্য আইসুক,” তখন আমরা আসলে ঈশ্বরের কাছে কোন অনুরোধ করি? (খ) ২০১৪ সালের জন্য বার্ষিক শাস্ত্রপদ কী এবং কেন তা উপযুক্ত?

১৪ যদিও যিহোবা তাঁর পুত্র যিশু খ্রিস্টকে ১৯১৪ সালে মশীহ রাজা হিসেবে নিযুক্ত করেছেন, তবুও এটা আমাদের এই প্রার্থনার পূর্ণ উত্তর নয় যে, “তোমার রাজ্য আইসুক।” (মথি ৬:১০) বাইবেলে ভবিষ্যদ্‌বাণী করা হয়েছে যে, যিশু “আপন শত্রুদের মধ্যে কর্ত্তৃত্ব” করবেন। (গীত. ১১০:২) শয়তানের নিয়ন্ত্রণাধীন মানব সরকারগুলো এখনও এই রাজ্যের বিরোধিতা করে। আমরা যখন ঈশ্বরের রাজ্য আসার বিষয়ে প্রার্থনা করি, তখন আমরা আসলে ঈশ্বরের কাছে অনুরোধ করি, যেন মশীহ রাজা ও তাঁর সহ-শাসকরা মানব শাসনের শেষ নিয়ে আসে এবং পৃথিবীতে রাজ্যের যে-বিরোধীরা রয়েছে, তাদের দূর করে দেয়। এই পদক্ষেপ দানিয়েল ২:৪৪ পদের এই কথাগুলো পরিপূর্ণ করবে যে, ঈশ্বরের রাজ্য ‘ঐ সকল রাজ্য চূর্ণ ও বিনষ্ট করিবে।’ এটা ঈশ্বরের রাজ্যের যে-রাজনৈতিক শত্রুরা রয়েছে, তাদের নির্মূল করে দেবে। (প্রকা. ৬:১, ২; ১৩:১-১৮; ১৯:১১-২১) খুব শীঘ্র এটা ঘটবে। তাই, এটা কতই-না উপযুক্ত যে, ২০১৪ সালের জন্য আমাদের বার্ষিক শাস্ত্রপদ হল, মথি ৬:১০ পদ: “তোমার রাজ্য আইসুক”! যিশু স্বর্গে রাজত্ব শুরু করার পর ১০০ বছর কেটে গিয়েছে!

২০১৪ সালের জন্য আমাদের বার্ষিক শাস্ত্রপদ: “তোমার রাজ্য আইসুক।” —মথি ৬:১০

১৫, ১৬. (ক) হাজার বছর রাজত্বের সময় কোন রোমাঞ্চকর ঘটনাগুলো ঘটবে? (খ) মশীহ রাজা হিসেবে যিশুর চূড়ান্ত কাজ কী হবে এবং যিহোবার উদ্দেশ্যের জন্য এর অর্থ কী হবে?

১৫ মশীহ রাজা ঈশ্বরের শত্রুদের ধ্বংস করার পর শয়তান ও তার মন্দদূতদের হাজার বছরের জন্য অগাধলোকে নিক্ষেপ করবেন। (প্রকা. ২০:১-৩) মন্দ প্রভাব দূর করার পর, রাজ্য যিশুর মুক্তির মূল্যরূপ বলিদানের উপকারগুলো প্রয়োগ করার এবং আদমের পাপের প্রভাব দূর করার জন্য সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। রাজা এমন লক্ষ লক্ষ ব্যক্তিকে পুনরুত্থিত করবেন, যারা কবরে ঘুমিয়ে আছে। এ ছাড়া, সেই লোকেদেরকে যিহোবা সম্বন্ধে শিক্ষা দেওয়ার জন্য তিনি এক ব্যাপক শিক্ষাদানের কার্যক্রম সংগঠিত করবেন। (প্রকা. ২০:১২, ১৩) পুরো পৃথিবী এদন বাগানের মতো হয়ে উঠবে। সমস্ত বিশ্বস্ত মানুষকে সিদ্ধতায় নিয়ে যাওয়া হবে।

১৬ খ্রিস্টের হাজার বছরের রাজত্বের শেষে, মশীহ রাজ্য এর উদ্দেশ্য সম্পাদন করবে। এরপর, যিশু তাঁর পিতার হাতে রাজ্য ফিরিয়ে দেবেন। (পড়ুন, ১ করিন্থীয় ১৫:২৪-২৮.) সেই সময় যিহোবা এবং তাঁর পার্থিব সন্তানদের মধ্যে কোনো মধ্যস্থতাকারীর প্রয়োজন হবে না। ঈশ্বরের স্বর্গীয় পুত্র এবং পার্থিব সন্তানরা সকলে তাদের স্বর্গীয় পিতার পরিবারে তাঁর সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হবে।

১৭. রাজ্য সম্বন্ধে আপনি কী করার জন্য দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ?

১৭ রাজ্য শাসনের ১০০ বছরের রোমাঞ্চকর ঘটনাগুলো আমাদেরকে এই আশ্বাস দেয় যে, যিহোবার হাতে নিয়ন্ত্রণ রয়েছে এবং পৃথিবীর জন্য তাঁর উদ্দেশ্য পরিপূর্ণ হবে। আমরা যেন ক্রমাগত তাঁর অনুগত প্রজা থাকি এবং রাজা ও তাঁর রাজ্য সম্বন্ধে ঘোষণা করি। আমরা পূর্ণ আস্থা নিয়ে এই কাজ করি যে, যিহোবা শীঘ্র আমাদের এই আন্তরিক প্রার্থনার উত্তর দেবেন: “তোমার রাজ্য আইসুক”!

a বাইবেল প্রকৃতপক্ষে কী শিক্ষা দেয়? বইয়ের ৮৮-৯২ পৃষ্ঠা দেখুন।

b ২০১৩ সালের ১৫ জুলাই প্রহরীদুর্গ পত্রিকার ২২-২৩ পৃষ্ঠার ১২ অনুচ্ছেদ দেখুন।

c ২০১২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর প্রহরীদুর্গ পত্রিকার ১৩-১৭ পৃষ্ঠার “ঐশিক বিদ্যালয়গুলো—যিহোবার প্রেমের প্রমাণ” শিরোনামের প্রবন্ধ দেখুন।

d বিভিন্ন দেশে আইনি বিজয়ের উদাহরণ সম্বন্ধে জানার জন্য ২০১২ সালের ১৫ আগস্ট প্রহরীদুর্গ পত্রিকার ১৭ পৃষ্ঠা দেখুন।

১৯১৪ থেকে ১৯১৯ সালে বিভিন্ন রদবদল

যিশু পৃথিবীতে তাঁর অনুসারীদের আধ্যাত্মিক অবস্থা পরীক্ষা করেন এবং তাদের শুচি করেন। ১৯১৯ সালে যিশু ‘বিশ্বস্ত ও বুদ্ধিমান্‌ দাসকে’ নিযুক্ত করেন

১৯১৯ পরিচর্যা পরিচালক নিযুক্ত করা হয়

১৯২৭ প্রতি রবিবার ঘরে ঘরে প্রচার করার ব্যবস্থা করা হয়

১৯৩৮ মণ্ডলীর নিযুক্ত দাসদের বাইবেলের চাহিদাগুলো পূরণ করতে হতো

১৯৭২ মণ্ডলীর দেখাশোনা করার জন্য প্রাচীনগোষ্ঠীকে নিযুক্ত করা হয়

১৯৪৩ বাইবেল স্কুল অভ্‌ গিলিয়েড এবং ঐশিক পরিচর্যা বিদ্যালয়

পৃথিবীব্যাপী প্রকাশক:

৬,০০০

১৭,০০০

৩,২৮,৫৭২

৮,৫১,৩৭৮

১৯১০

১৯১৪

১৯২০

১৯৩০

১৯৪০

১৯৫০

১৯৬০

১৯৭৬ পরিচালকগোষ্ঠীকে ছয়টা কমিটিতে সংগঠিত করা হয়

১৯৭৭ অগ্রগামী পরিচর্যা বিদ্যালয়

১৯৮৭ মিনিস্টিরিয়াল ট্রেনিং স্কুল

১৯৯৯ ভ্রমণ অধ্যক্ষদের জন্য স্কুল

২০১১ খ্রিস্টান দম্পতিদের জন্য বাইবেল স্কুল

১৩,৮৪,৭৮২

২১,৭৫,৪০৩

৬০,৩৫,৫৬৪

৭২,২৪,৯৩০

১৯৭০

১৯৮০

১৯৯০

২০০০

২০১০

২০১৪

সংগঠন

শিক্ষা

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার