তারা সাক্ষ্যদানের কাজ করা বন্ধ করে দেয়নি
১ যিহোবার সাক্ষী নাম আমাদের চিহ্নিত করে ও বর্ণনা করে আমরা কী করি। আমাদের ঈশ্বর যিহোবার আমরা প্রশংসা করি। (যিশা. ৪৩:১০, ১২) সকলকে এই সাক্ষ্যদানের কাজে অংশগ্রহণ করতে হবে যদি সে মণ্ডলীর অন্তর্ভুক্ত হতে চায়। প্রচার কাজ প্রধানত, জনসাধারাণ্যে পরিচর্যার দ্বারা হয়ে থাকে, যার অন্তর্ভুক্ত ঘরে ঘরে প্রচার, রাস্তায় সাক্ষ্যদান, পুনর্সাক্ষাৎ ও বাইবেল অধ্যয়ন পরিচালনা করা। আমাদের সকলকেই সম্পূর্ণ মাত্রায় অংশ নিতে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।—১ করি. ১৫:৫৮.
২ কিন্তু, মণ্ডলীর কোন কোন সদস্য হয়ত বেশি করতে পারে না। গুরুতর রোগ-ব্যাধি অথবা দুর্বলতা তাদের হয়ত বাধা দেয়। বিরোধী আত্মীয়রা হয়ত কষ্টকর বাধা নিয়ে আসতে পারে। একজন অল্পবয়স্ক যুবক হয়ত অবিশ্বাসী পিতামাতার দ্বারা সীমাবদ্ধ হতে পারে। যে ব্যক্তি বিচ্ছিন্ন এলাকায় বাস করে সে হয়ত যাতায়াতের অসুবিধার ফলে প্রচার করা প্রায় অসম্ভব মনে করতে পারে। স্বাভাবিক লাজুকতার ফলে কেউ কেউ হয়ত শুরু করতে ইতস্ততবোধ করতে পারে। কিছু প্রকাশকেরা যারা এইরকম বা এইধরনের পরিস্থিতির মধ্যে আছে হয়ত মনে করতে পারে যে তারা খ্রীষ্টীয় মাত্রায় পৌঁছাচ্ছে না কারণ তারা অন্যদের চাইতে কম করছে অথবা যতটা করতে চাইছে তার থেকে কম করছে। নিজেদের ছোট করার জন্য তাদের কোন কারণ নেই। (গালা. ৬:৪) সেই ব্যক্তিরা সান্ত্বনা পেতে পারে কারণ যে কোন পরিস্থিতিতে তারা সর্বস্ব দিচ্ছে জেনে যিহোবা খুশি হন।—লূক ২১:১-৪.
৩ অংশ নেওয়ার পথ খোঁজা: হাজার হাজার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করা হয়েছে যাতে দেখানো হয়েছে কী করে কিছু ব্যক্তিরা প্রতিকূল পরিস্থিতি থাকা সত্ত্বেও সাক্ষ্যদান দেওয়া থেকে বিরত হয়নি। নিজ উদ্যমে তারা রীতিবহির্ভূত সাক্ষ্যদানের বিভিন্ন রকমের রাস্তা খুলে নিয়েছে। যাদের ঘরে থাকতে হয় তারা বৃহৎ দ্বার খুলে নিয়েছে টেলিফোনের দ্বারা সাক্ষ্যদানের মাধ্যমে। যে কোন অতিথিকে সম্ভাব্য শ্রোতা হিসাবে দেখা হয়। যে স্ত্রীর বিরোধী পরিবার আছে তিনি হয়ত পরিবারে সাক্ষ্যদান করতে পারবেন না কিন্তু প্রতিবেশি অথবা যে কোন অন্য ব্যক্তি, যার সঙ্গে তার দেখা হয়, তাদের সাক্ষ্য দেওয়ার সুযোগ তিনি কিনে নিতে পারেন।
৪ একজন অল্পবয়স্ক যুবকের পক্ষে অবিশ্বাসী পিতামাতা থাকার ফলে জনসাধারণ্যে সাক্ষ্যদানে অংশগ্রহণ করা হয়ত নিষেধ হতে পারে। অলঙ্ঘনীয় বাধা মনে না করে, সে হয়ত তার সহপাঠীদের ও শিক্ষক-শিক্ষিকাকে তার ব্যক্তিগত “এলাকা” হিসাবে ধরে নিতে পারে, এমনকি তাদের সঙ্গে বাইবেল অধ্যয়ন পরিচালনা করতে পারে। অনেকে যারা বিচ্ছিন্ন অঞ্চলে বাস করে তারা হয়ত সাক্ষ্যদানে অংশগ্রহণ করেছে চিঠির মাধ্যমে। যারা খ্রীষ্টীয় উদ্যমতার ফলে প্রেরণা পায় তারা সবসময় কোন না কোন পথ খুঁজে নেবে যাতে করে ‘আমাদের খ্রীষ্টের তত্ত্বজ্ঞান সম্বন্ধে . . . অলসতা কি ফলহীনতা’ এড়িয়ে যেতে পারে।—২ পিতর ১:৮.
৫ আমাদের সাক্ষ্যদানে অংশগ্রহণ সম্বন্ধে যিহোবার মাপকাঠি সকলের জন্য কিন্তু একই আছে অর্থাৎ আমরা যেন “প্রাণের সহিত” কাজ করি। (কল. ৩:২৩) যদিও যে সময় আমরা ব্যয় করি আর পরিচর্যায় আমরা কতটা সম্পাদন করি তা ভিন্ন হতে পারে আমাদের প্রেরণা সেই একই রয়েছে—অপরের প্রতি প্রকৃত প্রেম যা “একাগ্র অন্তঃকরণ” থেকে নির্গত হয়। (১ বংশা. ২৮:৯; ১ করি. ১৬:১৪) যদি আমরা আমাদের সর্বস্ব দিই তাহলে আমাদের কখনও নিজেদের অল্পবিশ্বাসী মনে করা অথবা খুব কম সময় দিই বলে মণ্ডলীর অকেজো সদস্য ভাবার কোন কারণ নেই। পৌলের মত আমরাও সত্যই বলতে পারি যে আমরা ‘কোন হিতকথা গোপন না করে তোমাদেরকে সকলই জানাতে, এবং সাধারণ্যে . . . শিক্ষা দিতে সঙ্কুচিত হয়নি।’—প্রেরিত ২০:২০.