প্রচার করে চলুন!
১ ঈশ্বরের ইচ্ছা এই “যেন সমুদয় মনুষ্য পরিত্রাণ পায়, ও সত্যের তত্ত্বজ্ঞান পর্য্যন্ত পঁহুছিতে পারে।” (১ তীম. ২:৪) এইজন্যই তিনি আমাদের রাজ্যের সুসমাচার প্রচার করার কাজ দিয়েছেন। (মথি ২৪:১৪) তাই আমরা যদি বুঝি যে প্রচার করে চলা কেন জরুরি, তাহলে আমাদের উপর যে কোন বিরোধিতা, আমাদের পথে যে কোন বড় বাধাই আসুক না কেন আমরা প্রচার করে চলব।
২ কেন বার বার যাবেন? আজকে জগতে লোকেদের সমস্যা ও ঝামেলার অভাব নেই আর তাই খুব সহজেই তারা আমাদের কথা ভুলে যেতে বা আমরা যা বলি তা হালকাভাবে নিতে পারেন। কিন্তু লোকেদের পরিস্থিতি বদলে যায়। এমনকি জগতের অবস্থাও রাতারাতি বদলে যেতে পারে। (১ করি. ৭:৩১) কালকে, আগামী সপ্তায় বা পরের মাসে আমরা যে লোকেদের সঙ্গে কথা বলব, হতে পারে তাদের সামনে কোন নতুন সমস্যা, নতুন পরিস্থিতি এসে খাঁড়া হয়েছে। আর তাই এখন তারা আমাদের কথা শুনতে চান। তাই তাদের কাছে বার বার গিয়ে তাদের মনে করিয়ে দেওয়াই আমাদের কাজ, তাদেরকে রক্ষার পথ দেখানোই আমাদের কর্তব্য। (মথি ২৪:৩৮, ৩৯) আপনার কাছে যে ভাই বার বার এসে আপনাকে সত্য শিখিয়েছিলেন তার কাছে আপনি কি কৃতজ্ঞ নন?
৩ যিহোবার মতো করে দয়া দেখাতে চাওয়ায়: দুষ্টদের ধ্বংস করার আগে যিহোবা ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করছেন, লোকেদের সময় দিচ্ছেন। আমাদের কাজে লাগিয়ে তিনি ভাল লোকেদের খুঁজে বের করছেন ও লোকেদের তাঁর কাছে ফিরে আসার সুযোগ দিচ্ছেন যাতে তারা রক্ষা পান। (২ পিতর ৩:৯) আমরা যদি ঈশ্বরের দয়ার কথা লোকেদের কাছে গিয়ে না বলি ও যারা তাঁর কাছে ফিরে আসবে না সেই দুষ্ট লোকেদের তিনি ধ্বংস করবেন বলে সাবধান না করি, তাহলে আমরা তাদের রক্তের দায়ে দোষী হব। (যিহি. ৩৩:১-১১) এমনকি যদিও লোকেরা সবসময় আমাদের প্রচার ভাল করে শোনেন না, তবুও আমাদের কোন সুযোগকেই হাতছাড়া করা উচিত নয় ও ভাল লোকেদের ঈশ্বরের দয়ার কথা বলায় ধীমিয়ে পড়া উচিত নয়।—প্রেরিত ২০:২৬, ২৭; রোমীয় ১২:১১.
৪ যিহোবাকে প্রেম করায়: যিহোবা ঈশ্বর যীশু খ্রীষ্টকে দিয়ে আমাদের আজ্ঞা দিয়েছেন যে আমাদের সারা পৃথিবীতে সুসমাচার প্রচার করা দরকার। (মথি ২৮:১৯, ২০) তাই লোকেরা না শুনতে চাইলেও আমরা লোকেদের কাছে বার বার গিয়ে দেখাতে পারি যে আমরা ঈশ্বরকে প্রেম করি ও তাঁর বাধ্য থাকতে চাই। আর আমরা যা ঠিক তাই করতে চাই।—১ যোহন ৫:৩.
৫ তাই আসুন আমরা মনে মনে ঠিক করি যে আমরা প্রচার করে চলব! আর সেইজন্য এখন আমাদের জোর কদমে প্রচার করে চলা দরকার যেহেতু এটাই যিহোবার “পরিত্রাণের দিবস।”—২ করি. ৬:২.